ক্যাডেট কলেজ ব্লগে এটা আমার প্রথম লেখা। আমি লেখালেখিতে তেমন অভ্যস্ত নই। তবুও লেখালেখি নিয়ে আমার আগ্রহ অনেক। যাই হোক, প্রথম লেখাটা অনেকটা জার্নাল ফরম্যাট এ লেখা। যদিও এতে কোন ধরণের রেফারেন্স ব্যবহার করিনি। সাধু-চলিত ও বাংলা-ইংরেজির (বাংলাতেই) যথেচ্ছা ব্যবহার, পড়া পর্বে পাঠকের উষ্মা প্রকাশের কারণ হতে পারে। আশা করি, পাঠক আমার লেখাটি সাদরে গ্রহণ করবেন।
সাইফুল
ফকক/ফহা/১৯৪৮/১৯৯২-১৯৯৮(৩৯-তম ব্যাচ)
লেখার উদ্দেশ্য: ২০১১ এর মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল কিছুদিন আগে বের হয়েছে। বরাবরের মতই এবার-ও সবগুলো ক্যাডেট কলেজ খুব…খুব… ভাল ফলাফল করেছে। ফেইসবুক’এর এক্স ক্যাডেটদের বিভিন্ন ফোরামে ক্যাডেটদের ফলাফল নিয়ে আত্মতুষ্টি ও গৌরব এর বহিঃপ্রকাশ দেখলাম। অন্যদিকে “প্রথম আলো”-এর একটি নেগেটিভ রিপোর্ট , আবার সেই রিপোর্টকে ধুয়ে দেয়া এক্স ক্যাডেটদের ফোরামগুলোতে। মূলত, আমার লেখার রেফারেন্স হচ্ছে এই বিষয়টা। আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, ক্যাডেট কলেজ গুলো কি আসলেই সেরা, নাকি আজকের ক্যাডেটরা তাদের ৬০/৭০ অথবা ৮০-এর দশকের গৌরব নিয়ে আত্মতুষ্ট? আমরা যদি সেরা হই, তবে কেন আমাদের নিয়ে এত সমালোচনা? আমরা কি জাতির আশা পূরণ করতে ব্যর্থ হচ্ছি? আমাদেরকেই কেন আবার সমালোচনার ‘পাটকেল’ মারতে হবে? একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কি আমাদের ক্যাডেট কলেজ গুলো কি আপ টু ডেট, নাকি পিছিয়ে আছে? আর এক্স ক্যাডেটরা কি তাদের কলেজের প্রতি দায়বদ্ধতা বা কৈশোরের ঋণ কোন না কোন ভাবে পরবর্তী প্রজন্মের ক্যাডেটদের বা কলেজের জন্য পরিশোধ করল, নাকি বড় মেজবান আয়োজন, গেটটুগেদার করে, ক্যাডেট কলেজ ক্লাবে গিয়ে স্মৃতিচারণ কিংবা সস্তায় পানীয় (???) পান করে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে বলছে “আমরা ক্যাডেট, আমরা …”। ক্যাডেট কলেজ আমাকে কি দিল, আমি কি পেলাম এক্স ক্যাডেট হয়ে বড় ভাইদের রেফারেন্সে কিংবা এক্স ক্যাডেট এসোসিয়েশন কে, কিভাবে নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করা যায়, নাকি ক্যাডেট কলেজের জন্য কিছু করা দরকার এই মানসিকতা আমরা পোষণ করছি, এর টানাপড়েনের ব্যাপার টি লেখক ভাবনায় প্রকাশিত হয়েছে। অধম ও আনাড়ি লেখক আত্মতুষ্টি নয়, আত্নসমালোচনার দৃষ্টিতে ক্যাডেট কলেজের বর্তমান অবস্থান ও তার সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন খাতওয়ারী বিষয় সম্বন্ধে নিজের মতামত বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে ও অভিজ্ঞতার আলোকে তুলে ধরার প্রয়াস করেছে মাত্র।
সূচনা: ৫০ বছরের বেশী সময় ধরে বাংলাদেশে ক্যাডেট কলেজ শিক্ষা ব্যবস্থার ঐতিহ্য। ১৯৫৮ সালে তদানন্তীন পাকিস্তানের স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের সুদৃষ্টির কারণে পূর্ব পাকিস্তানে, চট্টগ্রামের অদূরে ফৌজদারহাটে প্রথম ক্যাডেট কলেজ যাত্রা শুরু করে। যদিও স্বৈরশাসকের উদ্দেশ্য ছিল (অন্যান্য ভাইদের লেখা থেকে জানতে পারা) পাকিস্তান আর্মির জন্য চৌকস বাঙ্গালী আর্মি অফিসার তৈরির নগদ একটা পাইপ লাইন তৈরি রাখা। যদিও সে সময়ের অধ্যক্ষ গ্রেইট নিজিল্যান্ডার কর্নেল মরিস ব্রাউন-এর সুযোগ্য নেতৃত্বে ক্যাডেট কলেজের সাফল্য আর চৌকস বাঙ্গালী আর্মি অফিসার তৈরির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই ক্যাডেটদের সাফল্য বিভিন্ন মাত্রায় পৌঁছে। রোডস স্কলার সহ আর অনেক মেধাবী মুখ বেরিয়ে আসতে থাকে সেসব ক্যাডেট কলেজ থেকে। দেশ পেতে থাকে সরকারের বিশাল বিনিয়োগের ফসল। তৈরি হতে থাকে বিংশ শতাব্দীর শেষের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার আধুনিক নাগরিক। সে সময় ধনী-মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত সব পরিবারের জন্য , তাদের ছেলে-মেয়ের জন্য প্রথম পছন্দের স্কুল ছিল এই ক্যাডেট কলেজ গুলো। আমি কিন্তু এখনো ৬০/৭০ আর ৮০ দশকের ক্যাডেট কলেজের কথা বলছি। লেখা বাহুল্য, তখনো কিন্তু মেয়েদের ক্যাডেট কলেজ চালু হয়নি।
স্বাধীনতা পূর্ববর্তী ৪-টা ক্যাডেট কলেজ বেশ সুনামের সাথেই তার পাকিস্তান পর্ব শেষ করে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের সরকার নাকি আবার ক্যাডেট কলেজ ব্যবস্থা বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল (এটিও অন্যান্য ভাইদের লেখা থেকে জানতে পারা), তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আর অভিলাষ পূরণ করতে না পারায়। ক্যাডেটদের প্রতিবাদে আর কিছু দূরদৃষ্টি সম্পন্ন আর্মি অফিসারের জন্য সেই যাত্রায় বেঁচে যায় ক্যাডেট কলেজ ব্যবস্থা । হাঁটি হাঁটি পা পা করে চলতে থাকে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে ক্যাডেট কলেজ গুলো ।
ক্যাডেট কলেজের উপর প্রথম আঘাত আসে (আমার মতে) স্বৈরশাসক এরশাদের আমলে। সম্ভবত ১৯৮৩ সালে (ভুল হলে সময়টা ঠিক করে দিবেন)। সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু করতে গিয়ে ক্যাডেট কলেজ গুলোকে ইংরেজি মাধ্যম থেকে বাংলা মাধ্যম-এ রূপান্তর করা হয়। যদিও ভদ্রলোক ৪-টা থেকে ক্যাডেট কলেজের সংখ্যা ১০-এ নিয়ে যান। এখন সংখ্যা ১২ তে গিয়ে ঠেকেছে। জানিনা, এর সংখ্যা কখনো ৬৪ হবে কিনা? হলেও দেখা হবে কিনা এই ক্ষুদ্র জীবনে, একমাত্র আল্লাহ ভাল জানে । তা যা বলছিলাম, পরবর্তী সময় সরকারের বাজেট ছাঁট, পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাবে ভাল শিক্ষকদের আকৃষ্ট করতে না পারা, সমাজের অন্যান্য জায়গায় ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি, আর কিছু মানুষের (???) কল্যাণে ক্যাডেট কলেজ এর নামে অপপ্রচার, ক্যাডেট কলেজ গুলো মানুষের পছন্দের টপ চার্ট থেকে সরে গিয়েছে। উচ্চবিত্ত-উচ্চ-মধ্যবিত্তরা এখন আর তাদের ছেলেমেয়েদের ক্যাডেট কলেজে পাঠাচ্ছে না, কিংবা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। যদি তাই না হত তবে বর্তমান সময়ে দ্বিতীয় প্রজন্মের ক্যাডেট (মানে যাদের বাবাও ক্যাডেট ছিল) অনেক দেখা যেত। আমার মনে হয় দ্বিতীয় প্রজন্মের ক্যাডেট-এর সংখ্যা সীমিত, অনুমান করলে হয়ত, ৫০ এর জনের প্রথম প্রজন্ম থেকে হয়ত খুব বেশী ৫-১০ জন পরবর্তীতে তাদের ছেলে-মেয়েদের ক্যাডেট কলেজে দিচ্ছে। আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি, অনেক প্রথম প্রজন্মের ক্যাডেট, তাদের ছেলে-মেয়েদের আর ক্যাডেট কলেজে পাঠাচ্ছে না। এর দুটো কারণ থাকতে পারে…
১ বাইরে অনেক ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে, যেখানে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ছেলেমেয়েদের আর-ও ভালভাবে তৈরি করার সুযোগ আছে।
২ তারা যে জীবন যাত্রায় অভ্যস্ত, বর্তমানে ক্যাডেট কলেজগুলো তার চেয়ে নিম্নমানের জীবন যাত্রা প্রভাইড করছে, যার কারণে অভিভাবকরা চিন্তিত যে, তাদের ছেলেমেয়েরা ক্যাডেট কলেজে গিয়ে ভাল থাকবে কিনা?
এই যদি হয় আমাদের প্রাক্তন ক্যাডেটদের ধারণা তাদের নিজেদের আলমা ম্যাটার সম্পর্কে, তাহলে ক্যাডেট কলেজ গুলো শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হবে কিভাবে? যদিও ২০০০ সালের পর আবার ইংরেজি মাধ্যম চালু করার কারণে মধ্যবিত্ত সমাজে এর জনপ্রিয়তা কিছুটা হলেও পুনর্জাগরণী। ১৯৮৩ থেকে ২০০২/২০০৩ (বাংলা মাধ্যম পর্যায়) এর মাঝে যারা ক্যাডেট কলেজে পড়েছে তারা হয়ত অতীতের সুখ স্মৃতি স্মরণ করেই ক্যাডেট বেলা পার করেছে।
প্রতিষ্ঠানের মান প্রসঙ্গে বাঙ্গালীর চিরচেনা চরিত্রটি ফুটে উঠেছে ক্যাডেট কলেজের ব্যাপারে তীব্রভাবে। বাংলার মাটিতে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বয়স যত পুরানো, তার তত বেহাল দশা। অথচ বহির্বিশ্বে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যত পুরানো হয়, তত তার কদর বাড়ে। বাংলাদেশের জন্য উদাহরণ স্বরূপ, দেশের রংপুর কারমাইকেল কলেজ কিংবা ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজের কথা বলি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুটোর শতবর্ষের পুরানো সত্ত্বেও আগের সেই ঐতিহ্য নেই। এমনকি প্রতিষ্ঠানদুটো বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হলেও সেই আবেদন আর রাখতে পারছে না। সরকারী অনেক পুরনো স্কুলেরও একই অবস্থা। ঢাকার কলেজিয়েট স্কুল এর অন্যতম। অনেক উদাহরণ হয়তো আরও আছে। সমাজ থেকে সঠিক পরিচর্যা এবং সময়ের সাথে সাথে আধুনিকীকরণ হয়নি বলেই প্রতিষ্ঠানগুলো আগের অবস্থায় নেই। আরও নির্দিষ্ট করে বললে বলা যায়, সমাজের সবাই তো আর এইসব প্রতিষ্ঠান নিয়ে চিন্তাভাবনা করবে না। যারা এসব প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছিল কিংবা কোন না কোন ভাবে জড়িত ছিল তারাই পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সঠিক পথ দেখাতে পারতো। আমাদের দুর্ভাগ্য বাঙালি সমাজে তা হয়নি, আফসোস! ক্যাডেট কলেজগুলোও হয়তো সেসব প্রতিষ্ঠানের মতন অবস্থায় পড়বে না তবুও আমরা যারা এক্স ক্যাডেট আছি তাদের অবশ্যই চিন্তা ভাবনা করা উচিত কিভাবে আমাদের সবারই ভালোবাসার জায়গা ক্যাডেট কলেজগুলোর মান একবিংশ শতাব্দীর উপযোগী করে তোলা যায়, কিভাবে আপ টু ডেট থাকা যায়। হাজার হোক, নিজেদের কৈশোরের ভালোবাসার প্রতিষ্ঠানটির ভালো আমরা সবাইই সবসময় চাই।
আমাদের প্রিয় ক্যাডেট কলেজগুলো যদি পশ্চিমা বিশ্বের কোন প্রতিষ্ঠান হতো তাহলে এতদিনে তা সারা বিশ্বেরই সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হত। জাপানে থাকলে হয়তো এশিয়ার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হতো, কিংবা ভারতে থাকলে এই উপমহাদেশের বেস্ট স্কুল এ পরিণত হত। কিন্তু বিধি বাম, ক্যাডেট কলেজগুলো পড়েছে বাঙ্গালির হাতে। তাই ক্যাডেট কলেজ নিয়ে সুখস্মৃতি রোমন্থন পর্যন্তই কলেজের প্রতি বেশির ভাগ প্রাক্তন ক্যাডেটের অবদান সীমাবদ্ধ রয়ে যায় (আমার মতে)। দুঃখ লাগে যখন দেশে প্রায় বছর দশেক ধরে গণিত অলিম্পিয়াড হলেও আমি সেখানে ক্যাডেটদের উপস্থিতি দেখিনা। স্কুল পর্যায়ের অনেক জাতীয় প্রতিযোগিতায় ক্যাডেট কলেজগুলোর উপস্থিতির তেমন কোন খবর শোনা যায় না। খারাপ লাগে যখন অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (উদাহরণ: কুষ্টিয়া জেলা স্কুল) ছেলেরা গণিত অলিম্পিয়াডের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশ নিয়ে দেশের জন্য পদক নিয়ে আসে, পরবর্তীতে হার্ভার্ড, এম আই টি’তে যাচ্ছে উচ্চ শিক্ষার জন্য সেটি কাজে লাগিয়ে; আর আমরা ক্যাডেটরা প্রায় সবাইই নিজেদের চৌহদ্দিতে ক্যাডেট জীবন পার করে দিচ্ছি। পাঠক অনেকে হয়তো অনেক যুক্তি দেখাবেন। কিন্তু সত্যি বলতে আজকের দুনিয়ায় এগুলোই বেঞ্চমার্ক। যদি বলা হয় ক্যাডেটরা এসবে অংশ নিতে পারেনা বা নেয়না তা কিছুটা হাস্যকর হবে। ৯ম-১০ম শ্রেণীর একজন ক্যাডেট নিশ্চয়ই ক্যাডেট কলেজ গভর্নিং বডির কাছে অনুমতি নিতে যাবে না, কলেজগুলোকেইতো এই দায়িত্ব নিতে হবে।
আমরা আমাদের লিডারশীপ এটিচিউড নিয়ে গর্ব করি। আমি দুটো স্পেসিফিক উদাহরণ দিতে চাই, কাউকে আঘাত করার জন্য বলছিনা। আমাদের মধ্যে থেকেই আর্মির চীফ হয়েছেন, কিন্তু ক্ষমতার লোভে তাকে চাকুরী থেকে ইস্তফা দেয়া লেগেছে, বুয়েট এর ভিসি হয়েছেন কিন্তু তিন বছরেও একটি কনভোকেশন করতে পারেননি বা করার চেষ্টাই করেননি, এগুলো নিশ্চয়ই ভালো লিডারশীপ এটিচিউডের উদাহরণ নয়! পদ অলংকরণ সার্থকতা নয়, পদে থেকে কি করা হয়েছে ভাল, তাই উপজীব্য। আমাদের এত এত সুযোগ সুবিধা থাকার পরেও আজ পর্যন্ত জাতীয় পর্যায়ের ফুটবল ক্রিকেট বা অন্য স্পোর্টস ডিসিপ্লিনগুলোতে ক্যাডেট প্রতিনিধি পাইনি। এখনও পর্যন্ত কোন নোবেল লরিয়েট কিংবা বিশ্বমানের কোন কবি সাহিত্যিক, চলচ্চিত্রকার অথবা কোন আইকন দিতে পারিনি। রেপ্টাইল ফার্মের মুশতাক ভাই (এফসিসি/২৮ তম ব্যাচ) এর মতন কেন প্রতি ব্যাচেই অন্ততঃ একজন হলেও এক্সেপশনাল উদ্যোক্তা তৈরি হলোনা? এখন কি মুশতাক ভাইকেই ব্যতিক্রম ধরে নিবো? নাকি দেশের প্রতি ক্যাডেট কলেজের একমাত্র উপহার? আমার খটকা লাগে। আমাদের রাজনীতিবিদ আছে, কিন্তু তা সাকা চৌধুরীর মতো! আমরা এখনো দেশ পরিচালনা করার মতো রাজনীতিবিদ তৈরি করতে পারিনি।
আমাদের ক্যাডেট কলেজগুলোর দিকে আমরাই যদি যথাযথ মনোযোগ দিতাম তবে সেগুলো সার্বজনীনভাবেই সবার স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান হতো। আমার মনে হয় সমাজের একটা অংশে তা আর নেই। একটা স্কুলের উদাহরণ দিচ্ছি। আমার জানামতে এটি এখন বাংলাদেশের সেরা স্কুল, ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা [আই এস ডি, www.isbd.org]। আমাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন, কিসের ভিত্তিতে একে সেরা বলছি। এরাতো জিপিএ ৫.০০ পায়না। পায়না সত্যি, কিন্তু অল্পদিনেই তারা তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের এমন সাপোর্ট দিতে পারছে, যে বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তাদের প্লেসমেন্ট হচ্ছে। আমরা যদি ঠিকঠাক আমাদের গর্বের ক্যাডেট কলেজগুলোর পরিচর্যা করে যেতাম তাহলে এখন বাংলাদেশে ১২ টা আই এস ডি’র চেয়েও ভালো প্রতিষ্ঠান থাকতো যেখানে ধনীর দুলালরা নয়, মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্তের ছেলে-মেয়েরাও সমান ভাবে পড়ার সুযোগ পেত। বাইরের দেশের কূটনীতিকদের ছেলে মেয়েদেরকে ঐসব স্কুলে না দিয়ে হয়তো ক্যাডেট কলেজে পাঠাতো। মিশ্র সংস্কৃতির আবহাওয়াতে আমাদের ছেলেমেয়েরাই বেশি উপকৃত হতো। এমনকি আশে পাশের দেশগুলো থেকেও অনেক চৌকস ছেলে মেয়ে আসতো এখানে পড়ালেখা করতে। স্কুলিং এর রোল মডেল হতে পারতো ক্যাডেট কলেজগুলো। তখন হয়তো আর্থিক দৈন্যটাও থাকতো না। আমাদের সেই ভাগ্য হলোনা। ঠেলা না দিলে আমরা চলতে চাইনা। বাইরের কেউ [বিদেশি] না দেখালে আমরা দেখিনা। আমাদের ক্যাডেট কলেজগুলোর এমনকি কোন ওয়েবসাইটই নেই এখন পর্যন্ত!
আমার মনে হয় সময় এখনো যথেষ্ট আছে ক্যাডেট কলেজ শিক্ষা ব্যবস্থা রিভাইভ করানোর। একটা কথা তো অবশ্যই ঠিক যে, আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি আমাদের কলেজগুলো সেরা। কিন্তু সেটা প্রমাণ দিতে পারবোনা। জিপিএ ৫.০০ এর ভিত্তিতে সেরা যদি বলি তাহলে তো বাংলাদেশে আরও অনেক স্কুল আছে, ক্যাডেট কলেজের আলাদা ভাবে কি দরকার?
আমার নিজের কিছু অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিভিন্ন খাতে আমার কিছু সাজেশন এখানে তুলে ধরছি। আমরাতো সবাই “এক সিদ্ধি, এক ধ্যানের মৃণাল ধরে বিকশিত হতে চাই”, তাই না? আমার মনে হয় পাঠক অনেক বিষয়েই একমত হবেন, আবার তাদের নিজ নিজ দ্বিমতও প্রকাশ করবেন এ ব্যাপারে।
খাতওয়ারি বিশ্লেষণ:
কেন্দ্রীয় কমিটি: ১২টি কলেজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ২০-৩০ জনের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি থাকা উচিত ছিল। সব বয়সের প্রতিনিধি এবং কোন পেশার একজনের বেশি প্রতিনিধি সেখানে থাকতে পারবেন না। কোন ধরনের ব্যবসায়িক বা ব্যক্তিগত স্বার্থে সেটা ব্যবহার হবে না। যদিও আমার মতে এক্স ক্যাডেট এসোসিয়েশনগুলো এখন অনেকের রুটি রোজগার কিংবা ব্যক্তিগত ব্যবসাকে উপরে তুলবার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। অনলাইন ভোটিং এর মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচন করা যেতে পারে। প্রতি তিন বছরের মেয়াদ হতে পারে একেকটি কমিটির সদস্যদের।
কমিটির ভিতরে একটি রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট গ্রুপ থাকতে পারে, যারা বিশ্বে সমসাময়িক ভালো স্কুলগুলোর এক্টিভিটি পর্যবেক্ষণ করে বিভিন্ন ধরণের পরামর্শ দিতে পারেন।
এই কমিটি প্রতিবছর ক্যাডেট কলেজ গভর্নিং বডির সাথে ২/৩ বার আনুষ্ঠানিক মিটিং করতে পারে। দেশের বাজেট এর আগে যেরকম অর্থমন্ত্রীর সাথে যেমন এফবিসিসিআই বা বিভিন্ন সংস্থা মিটিং করে নিজেদের সুযোগ-সুবিধা আদায়ের লক্ষ্যে, কোন প্রতিষ্ঠানের সিইও যেমন তার অধস্তনদের সাথে কথা বলে নতুন নতুন মডিফিকেশন নিয়ে। অনেকটা সেরকম। এতে করে গভর্নিং বডি ক্যাডেট কলেজগুলোর ব্যাপারে একধরণের ডাইনামিক এটিচিউড নিতে পারবে। ‘ভিশন ২০২০-২০২৫’ নামে এক্স ক্যাডেটরা নিজেরাই একটি সমন্বিত স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করতে পারেন ক্যাডেট কলেজগুলোর শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন হবে যুগের সাথে সাথে এটি নিয়ে। ঠিকঠাক পরিচালনা করতে পারলে আশা করা যায় কমিটি খুব ভালোমতো তা বাস্তবায়ন করতে পারবে।
নেতৃত্ব: আমার শোনামতে এবং হয়তো অনেকেই একমত হবেন, লেঃ কর্নেল মরিস ব্রাউন এর মতন ক্যারিশমাটিক লিডারশীপ আর কারো ছিলোনা। চিন্তা করে দুঃখ লাগে তার সংস্পর্শে অনেক বাঙালি শিক্ষক ছিলেন কিন্তু তারা সেরকম কোন দৃষ্টান্ত আর তৈরি করতে পারেননি। এতে আমার দৃষ্টিতে দুটো জিনিস প্রতীয়মান হয়,
১. বিদেশিরাই আসলে আমাদের খুব ভালোভাবে গাইড করতে পারে, দেশিদের কোন বেইল নাই।
২. ৬০ বছরেও আমরা কর্নেল ব্রাউনের মতন বা তার কাছাকাছি মানের কোন ক্যারিশমাটিক লিডার/প্রিন্সিপাল তৈরি করতে পারিনি।
শিক্ষকদের সুযোগসুবিধা: আমার মনে হয় এখন আর ভালো কোন ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে ক্যাডেট কলেজের শিক্ষক হতে চায়না। কিছু কারণ থাকতে পারে,
১. অল্প বেতন-সুযোগসুবিধা
২. না আর্মি না সিভিল ভাব
৩. প্রাইভেট টিউশনির সুযোগ নেই
৪. ক্যারিয়ারে তেমন ডাইনামিজম নেই
৫. উপযুক্ত মূল্যায়ন না হওয়া
৬. অন্যান্য সরকারি স্কুলের মতন বাইরের ট্রেনিং না পাওয়া।
অথচ সামান্য কিছু পলিসি ইমপ্লিমেন্ট করেই অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব। কিছু সাজেশন দিলামঃ
১. শিক্ষকদের বেতন ও সুযোগসুবিধা বাড়ানো।
২. শিক্ষকদের বিসিএস ক্যাডারভুক্ত করা বা আর্মি এডুকেশন কোরের অন্তর্ভুক্ত করা।
৩. সামরিক অফিসারদের মতন পূর্ণ সুযোগসুবিধা প্রদান
৪. বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
৫. চাকুরীত্তোর সুযোগসুবিধা প্রদান।
ট্রাডিশনঃ এটি নিয়ে লিখতে গিয়েও দুঃখটাই বেশি হলো। শেষবার রি-ইউনিয়নে গিয়ে দেখি (এফসিসি, ডিসেম্বর ২০০৯) আগের অনেক ট্র্যাডিশন আর নেই। ক্যাডেটরা আর গার্ডেনিং করেনা, দেয়ালিকার মান আগের চেয়েও নেমে গেছে। রিডিং রুম রিক্রিয়েশন রুমগুলোর যাচ্ছেতাই অবস্থা। এটার একটা কারণ আগে কলেজের বিভিন্ন ট্র্যাডিশনের সাথে পরিচিত এমন কেউ কন্টিনিউয়াস কলেজ পরিচালনার সাথে যুক্ত ছিলোনা। এজন্য সবচে ভালো হয় এডজুট্যান্ট যদি সেই কলেজটিরই এক্স ক্যাডেট হয় তবে সম্ভাব্য পুরানো ট্র্যাডিশনগুলো ধরে রাখা সম্ভব। তাদের পক্ষেই জানা সম্ভব কলেজ এর আগের ক্যাডেটরা কি করতো না করতো। সবেধন নীলমণি ট্র্যাডিশনগুলো আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হয়ে গেলে মাদ্রাসা আর রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের সাথে ক্যাডেট কলেজ গুলোর আর কোন পার্থক্য থাকেনা।
পরীক্ষা পদ্ধতিঃ আমি যখন ১৯৯২-১৯৯৮ সালে ক্যাডেট কলেজে ছিলাম তখন ছেলেরা টার্ম শেষে যে পরীক্ষা হত, তা নিয়ে তেমন সিরিয়াস ছিল না। অনেকটা গা ছাড়া ভাবে পড়া-শোনা করত সারা টার্ম জুড়ে। প্রথম দিকের ৭-৮ জন হয়ত সিরিয়াস-ভাবেই পড়ত। বাকিরা বলবনা যে পড়ত না। প্রেপ টাইমে পড়াশোনার চেয়ে আড্ডা টাই বেশী হত। এখনকার কি অবস্থা আমার জানা নেই। বেশীরভাগ ছেলেরাই টার্ম এর ছুটিতে বাইরের ভাল শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তো ভালভাবে বিষয়টা আয়ত্ত করার জন্য। যাদের সে সুযোগ ছিল না, নোট বইয়ের উপর অনেক বেশী নির্ভরশীল ছিল। তবে মাধ্যমিক আর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ৪ এবং ৬ মাস আগে ছেলেরা খুবই সিরিয়াসলি পড়াশোনা করত। সবাই হয়ত সেই ৪/৬ মাস পড়ায় উপকার পেত না। আমাদের সমসাময়িক কিছু সিনিয়র ব্যাচে তাই উচ্চ মাধ্যমিকে ফেল করার মত ঘটনাও ঘটেছিল। এটা ছিল লজ্জাজনক একটা ব্যাপার। আমার মনে হয় দীর্ঘদিন ধরে এরকম একটা প্র্যাকটিস চলে আসছিল। যেটার আধুনিকায়ন দরকার ছিল যাতে করে সারা বছরই প্রতিটি ছেলে পড়াশোনা করে অন্তত এক ঘণ্টা করে হলেও।
আমার কিছু প্রস্তাব আছে ক্যাডেট কলেজের পরীক্ষা পদ্ধতির ব্যাপারে। ছেলেমেয়েরা যে টার্ম সমাপনী পরীক্ষা দেয়, সেগুলো সকল ক্যাডেট কলেজের একই প্রশ্নে হলে ভাল হত। আর তাদের খাতা কাটবে অন্য ক্যাডেট কলেজের শিক্ষকেরা। সব টার্মে এটা না করা গেলেও অন্তত তৃতীয় পর্ব সমাপনী পরীক্ষাটা এ নিয়মে করলে ছেলেমেয়েরা ৫০ জনের বদলে ৬০০ জনের সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারত। এতে নিজের সার্বিক মান বাড়ার পাশাপাশি পরের বছরের জন্য আরও বেশী মনোযোগী হত। এতে করে যেমন একটা ক্যাডেট কলেজ আরেকটা ক্যাডেট কলেজের সাথে পড়াশোনার প্রতিযোগিতার সুযোগ পাবে, তেমনি সংশ্লিষ্ট কলেজের শিক্ষকেরা তাদের কলজের ছাত্রদের ব্যাপারে আরও বেশী সচেতন হবে আশা করা যায়। এ পদ্ধতির সবচেয়ে বড় সাফল্য আমি মনে করি, ১২টা ক্যাডেট কলেজের শিক্ষায় রাঙ্কিং এর মত একটা লিস্ট আমরা দেখতে পারব। আবার সপ্তম শ্রেণী তে, যে ছেলে বা মেয়েটা ভর্তি হতে ইচ্ছুক, সেও দেখতে পারবে কোন ক্যাডেট কলেজটা গত ৬/৭ বছর ধরে সাফল্য ধরে রাখতে পারছে অথবা কারা (কোন ক্যাডেট কলেজ) বেশী ভাল করছে, আর তাই হবে তার প্রথম পছন্দ। সামগ্রিক ভাবে ১২টা ক্যাডেট কলেজ এ ধরনের কমন পরীক্ষা পদ্ধতির ফলে লাভবান হবে আশা করা যায়।
উপসংহারঃ এরকম আরও অনেক বিষয় আছে যেগুলো নিয়ে অনেক চিন্তা-ভাবনার সুযোগ আছে। ক্যাডেট কলেজের খাওয়া-দাওয়ার মান, থাকার পরিবেশ, মানসিক বিকাশের সুযোগ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণের সুযোগ, লিডারশীপ ভাবনা…প্রভূত বিষয় আছে যেগুলো নিয়ে অনেক গবেষণা, আলোচনা ও সেসব বিষয়ের মান উন্নয়নের সুযোগ আছে। আশা আছে, সেগুলো নিয়ে কোন এক সময় আবার লিখব, ইনশাল্লাহ।
আবার সেই শুরুতে চলে যাচ্ছি। জিপিএ ৫.০০ নিয়ে আমাদের, ক্যাডেটদের মান ও ক্যাডেট কলেজের সার্বিক মান ও সমাজে এর গুরুত্ব যাচাই করা ঠিক হবেনা। আমার মতে এতে লেভেল প্লেয়িং গ্রাউন্ড এ নিজেকে রাখা হয়না। অজপাঁড়ার অনেক স্কুল থেকেও জিপিএ ৫.০০ পাচ্ছে, তা নিয়ে গর্ব করতে গেলে লজ্জাই পাওয়া উচিৎ।
আর কয়েকদিন পরেই ২১শ মে। ১৯৯২ সালের এই দিনে আমরা (১৯৯২-১৯৯৮) ১০ ক্যাডেট কলেজে একসাথে যোগ দিয়েছিলাম। আমরা ৫৫ জন ফৌজদারহাটে দুরু দুরু বুকে বৃষ্টি ভেজা বিকেলে বাবা-মা, ভাই-বোন কে রেখে, চোখের জল এক করে জয়েন করেছিলাম। কবি গুরুর গানের কথার মত, “পুরানো সেই দিনের কথা বলবি কিরে আয় ও সেই… …”।
কবি গুরর কথা যেমন অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ যেকোনো সময়ের উপযোগী, আমার ক্যাডেট হওয়ার জন্মদিনে আশা, বাংলাদেশের ক্যাডেট কলেজ গুলো তাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় সর্বকালের উপযোগী ভূমিকা রাখবে।
৯২ ইনটেকের বন্ধুদের ২১-শে মে’র শুভেচ্ছা। যেখানেই থাকিস বন্ধুরা ভালো থাকিস…সুখে থাকিস…
পুনশ্চঃ ১ আমার বন্ধু কাইয়ূম কে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার এই লেখার অর্ধেকের বেশী লেখা বাংলায় টাইপ করে দেবার জন্য। আমি প্রথম দিন টাইপ করার পর ঠিক মত সেইভ করতে না পারায়, সব ডিলিট হয়ে যায়। কাইয়ূম মোটিভেট না করলে আর হয়ত লেখায় হত না। ওই আমাকে বলল, লিখাটা আমাকে পাঠিয়ে দে, আমি টাইপ করে দিব। তাই শেষ পর্যন্ত লেখাটা ব্লগে দিতে পারলাম।
পুনশ্চঃ ২ অন্য ক্যাডেট কলেজের ভাই ও বোনেরা, আমার লেখার পুরুটাই ফৌজদারহাটের অভিজ্ঞতা থেকে লেখা। সো মাইন্ড খাইয়েন না প্লীজ। আশা করি আপনারাও আমার লেখার অনেক ব্যাপারে একমত হবেন।
সাইফুল
ফৌজিয়ান
গ্রীন্সবোরো, নর্থ ক্যারোলিনা, ইউএসএ
🙂 আমি কি ১ম নাকি?
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
চিন্তাধারাটা ভাল লাগলো।প্রাক্তন ক্যাডেটদের আরো দায়িত্ব নেয়া উচিত এ ব্যাপারগুলোয় ।খালি মেজবান করে আর রি-ইউনিয়ন করেই তাদের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না।
বি.দ্র> ক্যাডেট কলেজ গভর্ণিং বডি আসলেই অপদার্থ। এটা কলেজে থাকতেই টের পেয়েছি। x-(
আলোর দিকে তাকাও, ভোগ করো এর রূপ। চক্ষু বোজো এবং আবার দ্যাখো। প্রথমেই তুমি যা দেখেছিলে তা আর নেই,এর পর তুমি যা দেখবে, তা এখনও হয়ে ওঠেনি।
ধন্যবাদ নাফিজ!
ব্লগে স্বাগতম সাইফুল ভাই, অনেক দিন এরকম একটা লেখার অপেক্ষায় ছিলাম। বেশ কিছুদিন আগে ব্লগে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছিল লাবলু ভাইয়ের এই লেখাটিতে।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আহসান,
ধন্যবাদ তোমাকে আমার লেখাটা পড়ার জন্য। আশা করি, ব্লগে নিয়মিত হতে পারব। লাবলু ভাইয়ের লেখাটা পড়েছি। আমাদের আসলে কিছু করা দরকার ক্যাডেট কলেজ গুলোকে আরো ভাল অবস্থায় নিয়ে যাবার জন্য, কি বল?
সাইফুল,
ব্লগে স্বাগতম।
তোমার লেখাটি অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে। তোমার নির্দেশনাগুলোও বেশিরভাগই চমৎকার।
এখনি সময় আমাদের এগিয়ে আসার। জিপিএ ৫ যে সেরা হবার একমাত্র মাপকাঠি নয় তা বলাই বাহুল্য।
কিসে যে আমরা ব্যক্তিগত সাফল্য-ব্যর্থতা নিরূপণ করি সেটাও একটা প্রশ্ন, তবে দেশের থেকে যখন এত কিছু নিয়েছি তখন দেশকে আমরা সামগ্রিকভাবে কি কি দিয়েছি তার হিসেব-নিকেশ করতে বসলে সত্যিই একটু লজ্জা লাগে।
সময়ের থেকে এগিয়ে থাকাটা যেখানে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার গোপন কথা, সেখানে ক্যাডেট কলেজ কত বছর পিছিয়ে গেছে কে জানে। তোমার হাহাকার আমি নিজের মধ্যেও টের পাই।
আমি মনে করি, ইদানিং সিসিবিও বর্তমান ক্যাডেটদের (এবং ক্যাডেট কলেজগুলোরও) পুনর্জাগরণে ভূমিকা রাখতে পারে।আমাদের স্মৃতিচারণমূলক লেখাগুলোতে উঠে আসুক পরীক্ষাকালীন বা ক্যাডেট কলেজ পরবর্তী সময়ের কঠিন মুহূর্তগুলো পার করার কথা।কি ভাবে ও কেন একেকজন প্রতিকূল অবস্থার মধ্য থেকে বেরিয়ে এসেছি। এক্ষেত্রে আমরা প্রতিষ্ঠিত ক্যাডেটদের আমন্ত্রণ জানাতে পারি সিসিবিতে তাঁদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্যে।
আবারো, তোমার লেখার বিষয়বস্তু খুবই প্রসংগিক। আরো যা মাথায় আসছে লিখতে থাকো।
অনেক ধন্যবাদসহ। (সম্পাদিত)
নূপুর ভাই,
আমার লেখাটা পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনি আমার হাহাকার টা টের পেয়েছেন এবং আপনার মধ্যেও একি রকম ফিলিংস হয়, সেটা ভেবে ভাল লাগছে। আমরা হয়ত অনেকেই একই রকম ফীল করছি আমাদের কলেজ গুলোকে নিয়ে। হয়ত এক সময় এর আউটপুট দেখতে পারব, ভাই।
আশা করি ব্লগে নিয়মিত হতে পারব। ::salute::
অসাধারন লিখেছেন ভাই। তবে আপনার লেখনীকে উদ্দেশ্য করে যতটা তার চাইতে বেশী বিষয়বস্তু আর উন্নয়নের যে পদ্ধতির আলোচনা করেছেন তার অপরিহার্যতাকে উদ্দেশ্য করে বলছি।
সত্যি বলতে এখনই সময় পদক্ষেপ নেয়ার, না হলে জিপিএর যে জোয়ার চলছে দেশে তাতে করে ক্যাডেট কলেজকে সত্যিই আলাদা করে চেনার কোনো চেহারা থাকবে বলে মনে হয় না।
শিশির,
তোমাকে ধন্যবাদ, আমার লেখাটা পড়ার জন্য। আমার লেখার হাত আসলেই ভাল না। ধরিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ। আশা করি, আস্তে আস্তে আরো সুন্দর করে, ভাল ভাবে গুছিয়ে, ভবিষ্যতে লিখতে পারব।
কি বিনয় !!!!! কি বিনয় !!!!!! ভাই সত্যি বলছি লেখাটাও অসাধারন হয়েছে।
ভাইয়া লেখা খুব ভালো হয়েছে এবং ভালো কিছু করার একটা পদক্ষেপ এই লেখা থেকে পাওয়া যাবে 🙂
ধন্যবাদ নাজমুল!
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার চমৎকার লেখার জন্য। আপনি সাহস করে সত্য স্বীকার করেছেন।
আমরা সবাই ক্যাডেট কলেজ এর প্রশংসাই করি অন্ধের মত, কিন্তু আমাদের সীমাবদ্ধতাগুলিও মেনে নিতে হবে সাহসিকতার সাথে। আমাদের এক্স ক্যাডেট অ্যাসোসিয়েশান গুলির উচিৎ হবে গভর্ণিং বডির সাথে যোগাযোগ করে কিছু ভালো বুদ্ধি দেয়া যাতে করে ক্যাডেটরা কলেজ এ থাকা অবস্থায়ই বাইরের জগৎ সম্পর্কে ভালো আইডিয়া লাভ করে এবং মানসম্মত শিক্ষা অর্জন করতে পারে।
তানভীর,
আমার লেখাটা পড়ার আর সহমত প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ।
তোমার পরিচয়টা কিন্তু আমার কাছে ক্লীয়ার হয়নি। রেজিস্ট্রেশন করনি বুঝি?
ভাল থেকো...
বেশ শ্রমসাদ্ধ লেখা নিঃসন্দেহে। বেশ কিছু ভালো পরামর্শও দিয়েছো। সমস্যা হলো যে বাস্তবায়ন কে করবে? উপরে একজন গর্ভনিং বডি সম্পর্কে যা বললো তাতে কি ভালো কিছু প্রত্যাশা করা সম্ভব?
তোমার লেখার স্টাইলটা ভালো। আশা করি নিয়মিত লিখে যাবে।
মোস্তফা ভাই,
অনেক দিন পর। ধন্যবাদ আমার লেখাটা পড়ার জন্য। আমার লেখাতে একটা "কেন্দ্রীয় কমিটি" এর কথা বলেছি। সেটা যদি আমরা করতে পারি, তবে প্রাথমিক কাজটা হয়ত হবে। আর এখন, আইটি এর যুগে আমরা সবাই কত কাছাকাছি চলে আসছি, ব্লগ বা ইন্টারনেট ফোরামের কারণে। ইন্টারনেটে আমরা এক্স ক্যাডেটরা, এসব বিষয় নিয়ে লেখা-লিখি করলে, আশা করি আমাদের মাঝেই অনেকই এ ব্যাপারটা নিয়ে এগিয়ে যাবে।
::salute:: (সম্পাদিত)
তোমার পরামর্শগুলো অনেকটাই আমার নিজের কথাও। কিন্তু উপরে ওই যে বললাম বেড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে? কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের জন্যে গভর্নিং বডির অনুমোদন লাগবে। এখন গভর্নিং বডি যদি মনে না করেন যে তাদের সাহয্যের জন্যে কোন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রয়োজন রয়েছে সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় কমিটি কিভাবে আসবে? যে কোন কেন্দ্রীয় কমিটি মানে তো আসলে গভর্নিং বডির জন্যে এক ধরণের ব্যর্থতা স্বীকার করা। গভর্নিং বডিই তো আসলে এক ধরণের কেন্দ্রীয় কমিটি। এখন সেটার বিকল্প আরেকটি কেন্দ্রীয় কমিটি হতে কেন তারা দিবে? এই খানে বিশাল একটি কিন্তু রয়ে যায়। হ্যা, যদি এক্স ক্যাডেট এসোসিয়াশান স্ট্রং হতো, সেক্ষেত্রে তারা দাবী তুলতে পারতো। পরিবর্তনের জন্যে চাপ দিতে পারতো। আমি আজ পর্যন্ত শুনিনি এক্স ক্যাডেট এসোসিয়েশান কখনো সেরকম করেছে। তাই এক হিসেবে ব্যর্থতা আমাদের এক্স ক্যাডেটদেরই। আমাদের একেক কলেজের একেক এক্সে ক্যাডেট এসোসিয়াশান আছে, কিন্তু কোন সম্মিলিত ক্যাডেট এসোসিয়েশান আছে কিনা জানা নেই। আছে কি?
মোস্তফা ভাই,
আপনার সাথে আমারও একই রকম আশঙ্কা আছে।
এফসিসি সম্বন্ধে শুনেছেন মনে হয়, এখন আর গার্ডেনিং হয়না। আমি এই রিইউনিয়নে গিয়ে দেখলাম। বাগানগুলো দেখে খারাপ লেগেছিল। জানতে পারলাম, ক্যাডেটদের কষ্ট হয় দেখে, নাকি কতৃপক্ষ ক্যাডেটদের গার্ডেনিং বন্ধ করে দিয়েছে। ক্যাডেটদের প্যারেন্টসদের ক্রমাগত ক্মপ্লেন এর কারণে নাকি এই সিদ্ধান্ত। আমার মনে হয়, আমরাও যদি ক্রমাগত ঘ্যাঁনর ঘ্যাঁনর করে, কতৃপক্ষ এর মাথা ধরায় দিতে পারি, তবে মনে হয়, কাজ হইলেও হইতে পারে।
না ভাই , আমদের সম্মিলিত এক্স ক্যাডেট এসোসিয়েশন নেই। "ক্যাডেট কলেজ ক্লাব" আছে। আমার মতে ঐটা মামদো বাজি করার জায়গা হয়ে গেছে। মেম্বারশিপ ফি শুনলে মাথায় হাত দিবেন। ঐটা বড়লোক ক্যাডেটদের জায়গা হয়ে গেছে ভাই। আফসোস এক্স ক্যাডেটদের জন্য।
::salute::
“ক্যাডেট কলেজ ক্লাব” আছে। আমার মতে ঐটা মামদো বাজি করার জায়গা হয়ে গেছে। মেম্বারশিপ ফি শুনলে মাথায় হাত দিবেন। ঐটা বড়লোক ক্যাডেটদের জায়গা হয়ে গেছে ভাই। আফসোস এক্স ক্যাডেটদের জন্য।
you are right
শুধুমাত্র আপনার পোস্টটাতে কমেন্ট করার জন্যে দীর্ঘদিন পরে সাইন ইন করলাম।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এরকম সময় উপযোগী একটা লেখা দেয়ার জন্যে। আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে এখন ক্যাডেট কলেজকে ঢেলে সাজানোটা খুবই জরুরী। এ প্রসঙ্গে অনেক কথা বলেছিলাম প্রিন্সিপাল স্যারের এই পোস্টে। আর খুব মনে ধরেছিল এই পোস্টে করা আপুর উক্তিটি :
পরিবর্তন সময়ের দাবী। কিন্তু ক্যাডেট কলেজ সিস্টেমে পরিবর্তনে সবচেয়ে বড় বাঁধা আমরাই। অর্থাত "ক্যাডেট কলেজ" প্রসঙ্গে আমরা এক্স-ক্যাডেটরা অধিকাংশই এতটা 'গোড়া' যে আমরা এই পরিবর্তন মেনে নিতে চাই না। মুখে অনেক বড় বড় কথা বললেও নিজেদের সত্যিকার সিদ্ধান্তটা বোঝা যায়, নিজের সন্তানকে ক্যাডেট কলেজে দেয়া প্রসঙ্গে। আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে, দেশের প্রয়োজন বিবেচনা করে "ক্যাডেট কলেজ" সিস্টেমে ব্যাপক পরিবর্তন আনাটা জরুরী। এই নিয়ে উপরিউক্ত পোস্ট দুটোতে অনেক মন্তব্য করেছিলাম। সময়ের অভাবে সেগুলো্ আর repeat করলাম না, ভাইয়া চাইলে সানা ভাই আর শান্তাপুর পোস্ট দুটোতে একটু ঘুরে আসতে পারেন, আপনার পোস্টের theme আর ওগুলোর theme অনেকটা একই ।
তারিক,
তোমাকে ধন্যবাদ। তোমার কমেন্ট গুলো আমি পড়ি মাঝে মাঝে। তুমি যে পোস্ট গুলোর কথা বলেছ, আমি সেগুলো দেখেছি।
তোমার সাথে আমি একমত। তবে আমাদের কাউকেই এটা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা এক্স ক্যাডেটরা, ক্যাডেট কলেজ নিয়ে চিল্লা-চিল্লি না করলে, আর কেউ ক্যাডেট কলেজ নিয়ে, এর আধুনিকায়ন নিয়ে কথা বলবেনা।
পূর্বের ঐ পোস্টগুলোতে ক্যাডেট কলেজ সিস্টেমে পরিবর্তন প্রসঙ্গ সাইফ ভাইয়ের এই কমেন্টাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ মনে করি:
শান্তা
সানাউল্লাহ লাভলুর পাঠানো রজত জয়ন্তির স্মরণীকাটি হিউস্টান পর্যন্ত এসে গেছে, আশা করছি সামনের সপ্তাহে আমার হাতে এসে যাবে। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম তোমার ও অন্যদের সেখানে প্রকাশিত লেখা পড়ার জন্যে। এর মধ্যে সিসিবিতে তোমার লেখাটি পড়তে পেরে খুশী হলাম। আমি মনে করি খুবই সুন্দর করে এবং বিভিন্ন তথ্য সম্বলিত তোমার এই লেখাটি সবার বিশেষ মনযোগ আকর্ষন করবে।
আমার বাবা চিরকাল শিক্ষার প্রসারে তার জীবন অতিবাহিত করেছেন। আমার ৬ বোন – সবাইকে মুক্ত পরিবেশে শিক্ষা লাভের ব্যাপারে তিনি বিশেষ উৎসাহ যুগিয়েছেন। তিনি বলতেন যে কোন জাতির উন্নয়নে মুক্ত নারী শিক্ষা বিশেয ভূমিকা রাখে।
মহিলা ক্যাডেট কলেজ এবং একই মডেলের অন্যান্য মহিলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেশের এবং জাতীর সামগ্রীক উন্নতিতে বিশেষ ভুমিকা রাখতে সক্ষম। এই প্রসংগে আমি কুমুদিনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা উল্লেখ করতে চাই। স্বর্গীয় আর, পি, সাহা একক বাক্তিগত প্রচেষ্টায় যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন তা আজও স্বনামধন্য। আমার স্ত্রীও কুমুদিনী কলেজের ছাত্রী ছিলেন এবং তার ফলে তার মধ্যে যে সাহস ও আত্ববিশ্বাস দেখি তাতে আমার মাঝে মাঝে মনে হয় আসলে দেশে ছেলেদের চাইতে মেয়েদের ক্যাডেট কলেজের সংখ্যা বরং বেশী হওয়াই উচিত ছিলো।
বুদ্ধিমত্বা ও প্রতিভা জন-মানুষের মাঝে স্টাটিসটিকালি প্রায় সমান ভাবে ছড়িয়ে থাকে। এটা কোন বিশেষ শ্রেণী বা প্রজাতীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এটা শুধু আমার কথা না, বর্তমান যুগের বিশেজ্ঞদের অভিমত এটি। সমস্যা হচ্ছে সুযোগের অভাবে এমন অনেক প্রতিভা অকালে বিনষ্ট হয়ে যায় আমরা তার খবরও রাখিনা। ১৫ কোটির দেশে সুযোগ করে দিতে পারলে অচিরেই অনেক সুপ্ত প্রতিভা প্রস্ফুটিত হয়ে বেরিয়ে আসবে – তারাই হবে আমাদের ভবিষৎ।
আমি মনে করি প্রতিটি জেলাতে অন্তত একটি করে মেয়েদের ক্যাডেট কলেজ স্থাপন করতে পারলে তার অনুকরনণে হয়তো প্রতিটি ইউনিয়ন কাউন্সিলে গড়ে উঠবে আরও অনুরূপ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যে বিপুল পরিমান বাংলাদেশী এখন দেশের বাইরে থেকে অর্জন করে প্রতি বছর হাজার কোটি টাকা দেশে পাঠাচ্ছে, নিজের এলাকায় এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সস্থাপনে তারাও এগিয়ে আসবে – যদি সঠিক পরিবেশ সৃষ্টি করা যায়।
পাকিস্তানী আমলের চিন্তা-ভাবনা থেকে আমাদের বেড়িয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশকে ভারত, চীন বা মায়ানমার, তাদের নিজেদের স্বার্থেই অদূর ভবিষ্যতে কখনো দখল করতে আসবে না। সুজারল্যান্ডের মতো দেশেও কোন স্থায়ী মিলিটারী রাখা হয়না। প্রতিটি নাগরিক শিক্ষা শেষে একটি বিশেষ বয়সে দুই বছরের জন্যে মিলিটারী ট্রেনিং গ্রহণ করে যাতে প্রয়োজনে তারা দেশ রক্ষার কাজে এগিয়ে আসতে পারে।
জাপান ও জার্মানীর উন্নতির মূলে রয়েছে প্রতিরক্ষার বিপুল ব্যায়ভারের বদলে তারা তাদের সম্পদ দেশের অন্য উন্নতিতে ব্যায় করতে সক্ষম হয়েছে। আমাকে ভুল বুঝোনা, আমি সামরিক ব্যয়ের সংকুচনের কথা বলছিনা, আমি আমাদের সম্পদকে কি করে আরও বেশী কার্যকর করা যায় তার কথা ভাবছি। এমনকি বর্তমানে আমেরিকায় পেন্টাগনও নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করছে পরিবর্তীত নতুন এই বিশ্বে কি ভাবে তারা বেশী কার্যক্ষম হতে পারবে।
বাংলাদেশের সামনে ভবিষ্যতে যে সমস্যা প্রকট হয়ে দেখা দেবে তা হচেছ – প্রাকৃতিক দূর্যোগ, নতুন ধরনের মহামারী, জনসংখ্যা বিস্ফোরণ, দারিদ্রতা, দূর্ভিক্ষ, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য চালিকা শক্তির স্বল্পতা, অব্যবস্থাপনা ও দূর্নীতি, সামাজিক সমস্যা ও সর্বপরি আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট সমস্যাদি। এসব সমস্যা সমাধানে নতুন ধ্যান-ধারনায় দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে সক্ষম এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেশী প্রয়োজন আমাদের।
শান্তা, তোমাকে আবার ধন্যবাদ এই সুন্দর লেখাটির জন্যে।
দেখেছি সেটা। মনে করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ।
Saiful,
It's a good writing. But we also need to concentrate on out side society. We raised in a place out side the society so when we comes out we face problem, isn't it?
May be it is important to make cadet college more flexible and allow cadets to interact with outside world,
By the way this is my first comment. I wrote it in Bangla , but can't edit it in bangla :(, so has to chang the language.
Sabbir(92-1998)
(সম্পাদিত) (সম্পাদিত)
Praise Almighty
সাব্বির দোস্ত,
ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য। তোর সাথে আমি একমত। বাইরের লোকজন ( আমি মনে করি ছাত্রদের সাথে মেলামেশাটা) জরুরী। বিশেষ করে,ভাল স্কুলের ছাত্রদের সাথে। এতে করে ক্যাডেটরা আপ-টু-ডেট থাকতে পারবে। ফ্লেক্সিবিলিটি -র ব্যাপারে আমি একমত না। ক্যাডেটদের কোয়ালিটি ভাল করার ব্যপারে যা যা করা দরকার তার সাথে আমি একমত।
ভাল থাকিস...
আমার মনে আছে, আমাদের খুলনার ফ্রেন্ডরা ছুটিতে একদিন হটাৎ করে জেলা স্কুলে গিয়ে দেখে গণিত অলিম্পিয়াড হচ্ছে। ওরা ঐ অবস্থাতেই কলেজের পক্ষ থেকে অংশগ্রহণ করে এবং বিভাগীয় রানার্স আপ হয়ে জাতীয় অলিম্পিয়াডে যাওয়ার সুযোগ পায়। কিন্তু জাতীয় অলিম্পিয়াড টার্মের মধ্যে হওয়ায় কলেজে এসে স্যারদের সাথে আলাপ করে। কিন্তু এটাকে কোন গুরুত্বই দেয়া হয়নি।
কথা তো আগেও অনেক হয়েছে। আমার নিজেরও অনেক কিছু বলার আছে। কিন্তু আসল কথা হল, কথাগুলো জায়গামত যাওয়ার উপায় কী? যারা এখন আর্মিতে আছেন, তাদের চিন্তা-ভাবনাটাও জানা দরকার। কারণ অন্যরা যতই বলুক, দায়িত্ব কিন্তু উনাদের হাতেই। একজন তরুণ অ্যাডজুটেন্ট কলেজে যা করতে পারেন, অনেক বয়স্ক শিক্ষকও তা পারেন না। আর আর্মি থেকেই তো নির্ধারিত হয় ক্যাডেট কলেজের রূপরেখা। আমরা শুধু আমাদের মতামত উনাদের পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারি।
গুলশান,
তোমার পয়েন্টটা আমি ধরতে পেরেছি। আমি এখানে একটা "কেন্দ্রীয় কমিটি" করার কথা বলেছি। তারা গভর্নিং বডি-তে যেসব কর্মকর্তা আছে, তাদের কে লিখিত ভাবে অনুরোধ করতে পারে ক্যাডেটদেরকে জাতীয় পর্যায়-এর অনেক প্রতিযোগিতায় (বিভিন্ন অলিম্পিয়াড সহ আরো যেখানে অংশগ্রহণের সুযোগ আছে) অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেবার জন্য, এবং এর সুদূর প্রসারী লাভের ব্যাপারটা তুলে ধরেতে পারবেন। এছাড়া "ভীষণ ২০২০-২০২৫" বলে একটা ব্যাপারও উল্লেখ করেছি। এখন বেশীরভাগ এক্স ক্যাডেট অনলাইনে রেগুলার থাকে, অনলাইনেই এটা নিয়ে আমরা কাজ করতে পারি, কিভাবে কি করলে ক্যাডেটরা আরো ভালভাবে বাইরের জগতের সাথে প্রতিযোগিতার জন্য তৈরী হতে পারে। আমরা যদি আসলেই একটা "কেন্দ্রীয় কমিটি" গঠন করতে পারি তবে আমি বিশ্বাস করি এটা সম্ভব। গভর্নিং বডি-তে আশা করি কেউ না কেউ ক্যাডেট আছে। ঠিকমত উপস্থাপন করতে পারলে আশা করি সেটা সম্ভব। "ক্যাডেট কলেজ ক্লাব"-এ অনেক সিনিয়র- ভাইরা আসেন, তারা যদি ইনেশিয়েটিভ নেন, তখন কিন্তু এসব ব্যাপার ইমপ্লিমেন্ট করা অনেক সহজ হবে।
কলেজের স্যার-রা আমার মনে হয় নিজে থেকে ঝামেলায় জড়াতে চায় না। অ্যাডজুটেন্ট এর পক্ষেও অনেক কাজ ইমপ্লিমেন্ট করা সহজ কিন্তু সেটা তখন ব্যক্তি কেন্দ্রিক হয়ে যাবে। তখন দেখা যাবে এক ক্যাডেট কলেজে হচ্ছে তো আরেক কলেজে হচ্ছে না। সব ক্যাডেট কলেজের ছেলে-মেয়েরা লাভবান হলে তবেই সার্থকতা আসবে।
আমার লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। (সম্পাদিত)
পোস্ট টা পড়েছি সকালেই। সারাদিন ধরে এটা নিয়ে ভেবেছি।
পোস্ট টা আসলেই সময়োপযোগী।
তবে এ বিষয়ে আলোচনার আগে আমার মনে হয় আমাদের কয়েকটা ব্যাপারে মতৈক্যে আসাটা জরুরী।
প্রথমত আমি মনে করি আগে ক্যাডেট কলেজের উদ্দেশ্য দেশের জন্য সুশিক্ষিত অফিসার তৈরির পাইপলাইন হলেও এ যুগে এসে সেটা আর থাকছে। তাই ক্যাডেট কলেজের উদ্দেশ্য আর লক্ষ্য ঠিক কী হওয়া উচিত সেই ব্যাপারে ধোঁয়াশা পরিষ্কার করা। আপনার লেখার মাঝে একাডেমিক দিক নিয়ে খুব ভালো প্রস্তাবনা উঠে এষেছে। একাডেমিক দিকটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ তবে আমি ক্যাডেট কলেজের গন্ডিকে শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঝে বেঁধে ফেলতে রাজি না। আমার এই ভাবনার মূলে রয়েছে আসলে ক্যাডেট কলেজের পিছে সরকারের ব্যয়িত অর্থ। তাই একাডেমিক ক্ষেত্রেতো বটেই ক্যাডেট কলেজ গুলো এমন হওয়া উচিত যাতে এই সুবিধাগুলোর পূর্ণ সদ্ব্যভার ক্যাডেটরা করতে পারে। মননে চিন্তায় বিকাশের রাস্তাটা যাতে আরো প্রশস্ত হয়।
আরো অনেক ব্যাপারেই কথা বলতে হবে। আপাতত বলে যাই আপনার কেন্দ্রীয় কমিটির আইডিয়াটা আসলেই খুবই চমৎকার । এ জাতীয় বিভিন্ন প্রস্তাবনা আমি শুনতে আগ্রহী। তবে একটা ব্যাপার অস্বীকার করবার উপায় নেই সেটা হলো আমাদের এই দরিদ্র দেশের বিশাল জংোষ্ঠীর চেয়ে আমরা ক্যাডেটরা আসলেই অনেক বেশি প্রিভিলাইজড। সেই প্রিভিলেজ গুলোকে আমরা কিভাবে কাজে লাগাচ্ছি তার আত্মমূল্যায়নও জরুরী। একারণেই জিপিএ ফাইভ জাতীয় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে শ্রেষ্ঠত্বের তর্কগুলোকে আমার কাছে খুবই ঠুনকো মনে হয়।
আরো সবার মতামত শোনার অপেক্ষায় রইলাম। আমার প্রস্তাবনাগুলোও গুছিয়ে বলে যাবো সময় করে।
আর হ্যা ব্লগে স্বাগতম ভাইয়া। আপনার লেখা নিয়মিত পড়তে চাই এই ব্লগে।
আমিন,
ধন্যবাদ আমার লেখটা পড়ার জন্য। আমি কিন্তু খেলাধূলার ব্যাপারটাও বলেছি, তবে তুমি ঠিক ধরেছ লেখা-পড়ার ব্যাপারটা ই আমি বেশী বলেছি। একবিংশ শতাব্দীতে তুমি যে প্রফেশন এই যাও না কেন, তোমার ইন্টেলেকচুয়াল ক্যাপাবিলিটি ভাল হওয়া কিন্তু অনেক জরুরী। তাই চৌকস অল রাউন্ডার হবার পূর্ব শর্ত কিন্তু ভাল ছাত্র হওয়া। আমাদের ক্লাস সেভেন এ ভর্তি পরীক্ষায় কিন্তু তাই শুধু পড়া-শোনার উপর বেইস করে ছাত্র ভর্তি করা হয়।
তোমার সাথে আমিও একমত। আমাদের প্রিভিলাইজ গুলো আমরা কিভাবে কাজে লাগাচ্ছি তাও ভাব্বার বিষয়। আরো আলোচনার দরকার আছে। যত আলোচনা হবে, তত ভাল ভাল প্রস্তাব আসবে। সবাই মিলে কাজ করলে কিন্তু ক্যাডেট কলেজ গুলো হয়ত একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে পারবে। আর এই ব্যাপারে আমরা যারা এক্স ক্যাডেট আছি, তাদেরকেই অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে।
আশা করি মাঝে মাঝে লিখতে পারব। (সম্পাদিত)
তোমার লেখাটি খুব সুলিখিত এবং সুচিন্তিত। লাইন বাই লাইন আমি অবশ্য আবার পড়বো।
ক্যাডেট কলেজের ফলাফলের থেকে কতজন সত্যিকার সমাজের জন্য প্রডাক্টিভ হতে পেরেছে আমাদের সেই পরিসংখ্যাণটা দরকার।
আসলে আমাদের আর বেশি সময় নষ্ট করা ঠিক হবে না। সংগঠিত হয়ে ছোট ছোট কাজ শুরু করতে পারি।
পরে আরো কিছু লেখার ইচ্ছে রইলো।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আপু,
আমার লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আমি আপনার সাথে একমত। আমাদের এখনি টুক-টাক করে কাজ করা দরকার। বাইরের অনেক স্কুল-কলেজ অনেক অনেক ভাল করছে ক্যাডেট কলেজের তুলনায় তাদের ছেলে-মেয়েদের ভাল জায়গায় প্লেসমেন্ট ( মানে ভর্তি পরীক্ষা কিংবা উচ্চ শিক্ষার জন্য বাইরে যাবার ব্যাপারে প্রস্তুত করতে)করে। আশা করি আবার গাড়ী ট্র্যাকে উঠবে।
তখন জাতিকে(বাংলাদেশকে) আমরা বলতে পারব, "We will, we will rock you"।
::salute::
সময় করে ভালো মত পড়তে হবে.....ধন্যবাদ লেখাটির জন্য 🙂
ব্লগে স্বাগতম ভাইয়া
🙂
আমার জানামতে এটি এখন বাংলাদেশের সেরা স্কুল, ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা উচ্চবিত্তদের সন্তানদের জন্য তৈরি ভয়াবহ রকমের অবিশ্বাস্য টিউশন ফির অধিকারী এই স্কুলটির সাথে বাংলাদেশের একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের ছেলেমেয়েদের,যাদের মেধার জোরটাই প্রধান-তাদের জন্য সৃষ্ট ক্যাডেট কলেজের তুলনাটা ঠিক ভালো লাগলোনা।আইএসডির কিছু বালক-বালিকাদের সাথে পরিচয়ের সুবাদে বলতে পারি, বিশাল বিত্তের সাপোর্ট নিয়ে এরা যেমন হার্ভার্ড-এমআইটি যাচ্ছে,আমাদের সীমিত সামর্থের ক্যাডেট কলেজ থেকেও তেমনটি যে যাচ্ছেনা তা বলা যাবেনা।সাফল্যের তুলনায় আমি ক্যাডেট কলেজকে শতগুণ এগিয়ে রাখব।
তবে ভুল বুঝবেননা আমাকে,আপনার লেখার মূল সুরের সাথে শতভাগ সহমত।আত্মতৃপ্তির সময় নেই আর,উন্নতি খুব বেশি প্রয়োজন।
মাসরুফ,
তোমার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। কিছু ব্যাপার তোমাকে ব্যাখ্যা করি, আশা করি তুমি বুঝতে পারবেঃ
১। আমি জাস্ট একটা বেঞ্চমার্ক এর জন্য আইএসডি এর নাম উল্লেখ করেছি। তুমি যদি তাদের ওয়েবসাইট এ যাও তবে দেখতে পারবে, তারা সারা বছর যেসব এ্যাক্টিভিটিস করে, ক্যাডেটরাও একই রকম এ্যাক্টিভিটিস করে, কিন্তু তাদেরটা অনেক বেশী হাইলাইটেড এবং ফোকাসড। যেটা ক্যাডেট কলেজের হওয়া উচিৎ ছিল।
২। তুমি আইএসডি-এর টিউশনের কথা বলেছ, তুমি যদি ক্যাডেট কলেজের একজন ক্যাডেট এর পিছনে সরকার প্লাস তার প্যারেন্টস প্লাস ইনেশিয়াল ইনভেস্টমেন্ট (এসটাবলীশমেন্ট খরচ) হিসেব কর, তবে কিন্তু ক্যাডেট কলেজ আইএসডি এর চেয়ে খুব বেশী পিছিয়ে নেই।
৩। আমরা আমাদেরকে সেরা বলছি, যারা আমাদের চেয়ে কম সুবিধা পায় তাদের সাথে কম্পেয়ার করে, মানে যারা সাধারণ স্কুলে পড়াশোনা করেছে তাদের সাথে। আমাদের কম্পেয়ার করা উচিত ছিল, যারা আমাদের চেয়ে বেশী সুবিধা পায় তাদের সাথে।
৪। ভাই, হার্ভার্ড-এমআইটি তে যেতে শুধু টাকা লাগে কে বলল? স্কলারশিপ নিয়েও সেখানে যাওয়া যায়। আমি কুষ্টিয়া জেলা স্কুলের কথাও বলেছি, সেখান থেকেও হার্ভার্ড-এমআইটি তে যাচ্ছে (আণ্ডারগ্রেডে)। তুমি কি মনে কর কুষ্টিয়া জেলা স্কুলের ছেলেরা ক্যাডেটদের চেয়ে বেশী সুবিধা পাচ্ছে?
৫। আমি মধ্যবিত্ত- নিম্নবিত্ত দের কথা বলেছি, যাদের তাদের ছেলেমেয়েকে আইএসডি তে পড়ানোর সামর্থ্য নেই, সাধ থাকলেও। তাদের কিন্তু সবে ধন নীলমণি ওই ক্যাডেট কলেজ। এখন কি তারা আশা করতে পারেনা ক্যাডেট কলেজ গুলো তে সেই স্ট্যান্ডার্ড এর পড়া-শোনা র মান থাকবে? আর যদি আশা না করতে পারে ,তাহলে তো কোন কথাই নেই। বড় লোকদের জন্যই সব সুযোগ-সুবিধা। মধ্যবিত্ত- নিম্নবিত্ত দের কোন আশা নেই ভাল সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার।
৬। শেষে ভাই, আমিও তোমার সাথে একমত। ক্যাডেট কলেজ শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি চাই, অনেক,অনেক, চোখে পড়ার মত। (সম্পাদিত) (সম্পাদিত) (সম্পাদিত)
হার্ভার্ড-এমআইটিতে যেতে শুধু টাকা লাগে তা কিন্তু আমি একবারও বলিনি।আমি যেটা বলেছি সেটা অনেকটা এরকম-বিলাওয়াল ভুট্টো পাকিস্তানের ফার্স্ট বয় না হয়েও বিত্তের জোরে কিন্তু অক্সফোর্ডে পড়েছে।এন এস ইউতে টিচিং এসিস্টেন্ট থাকাকালে আমার সরাসরি ছাত্র অতি সাধারণ মান নিয়েও ওই বিত্তের জোরে ভর্তি হয়েছে হোয়ার্টন স্কুল অফ বিজনেসে।হার্ভার্ড-এমআইটি এরা বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয় নিঃসন্দেহে কিন্তু বিত্তের সাপোর্টে ওখানে যারা ভর্তি হয় তাদের আর আমাদের এনএসইউতে ভর্তি হওয়ার মধ্যে খুব একটা পার্থক্য দেখিনা।আইএসডি এবং এই জাতীয় স্কুলগুলোতে অসাধারণ মেধাবী একটা অংশ থাকে যারা বিশ্বের যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ যোগ্যতায় ঢুকতে পারে এবং ঢোকে।সেরকমটি কিন্তু আমাদের ক্যাডেট কলেজেও রয়েছে।বরং আইএসডি ইত্যাদির চেয়ে অতি কম সুযোগ সুবিধা,টিচিং স্টাফ নিয়ে আমাদের ক্যাডেট কলেজগুলো যা করছে সেটি যে একটি সাকসেস স্টোরি-আমি এ কথাটিই বোঝাতে চেয়েছি।
যাআ-ই হোক,আপনার লেখাটি অত্যন্ত চমৎকার এবং আপনার-আমার মতামতের মধ্যে মৌলিক কোন ব্যবধান নেই।বিশেষ করে আমাদের চাইতে যারা বেশি যুযোগ পায় তাদের সাথে তুলনা করার আইডিয়াটা অত্যন্ত চমৎকার এবং এমনটিই হওয়া উচিত।অনেকটা বারমুডার সাথে জিতে উল্লাস করার চাইতে অস্ট্রেলিয়ার সাথে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্স কেমন সেদিকে নজর দেয়ার মত।
ক্যাডেট কলেজ নিয়ে এরকম সুচিন্তিত লেখা বেশ কিছুদিন চোখে পড়েনি।আমার খুঁটিনাটি ছিদ্রান্বেষণ দয়া করে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
মাসরুফ,
ভাই তোমার সাথে আমিও একমত। আমি হয়ত একটু বেশী খুঁত খুঁতে। আসলে ভাই দুনিয়া এত এগিয়ে গিয়েছে, আর সে তুলনায় আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এত পিছনে, এজন্য দুঃখটাই লাগে বেশী। আর সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তো ক্যাডেট কলেজ গুলোই সবচেয়ে আগে, তাই না। কিন্তু গ্লোবাল এই কম্পিটিশনের যুগে আমরা কি আসলে বাংলাদেশে এই গ্লোবাল সিটিজেন তৈরি করতে পেরেছি, আমার মনে হয় পারেনি। আমার তো আর কোথাও বলার জায়গা নেই এই নিয়ে, ক্যাডেট কলেজ ব্লগই ভরসা।
আমার কোন মন্তব্যে দুঃখ পেলে আমি সরি। ভাল থেকো। (সম্পাদিত) (সম্পাদিত)
আত্মতৃপ্তির চাইতে সাফল্যের ক্ষুধাকে আমি উপরে স্থান দেব,আর আপনার লেখাটা এই কারণেই অতি গুরুত্বপূর্ণ।এইখানেই তো বলবেন ভাইয়া,আমরা আমরাই তো...!
অফ টপিক-ইয়ে আমার হিংসা হচ্ছে...ভাইয়া প্রথম লেখাতেই বাজ়ীমাৎ :boss:
মাসরুফ,
তোমার সাথে আমি সহমত। আমাদের ক্যাডেটদের অনেক পথ পাড়ি দেবার বাকি...
আরে, কি যে বল? :shy:
ভাল থেকো...
সাইফুল ভাই
আপনার লেখা খুব ভালো লাগলো, আপনাকে ধানাবাদ
মোক্তার, অরকা
মোক্তার, লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 🙂
আই এস ডি কি বোডিং স্কুল? আমেরিকা থেকে ফিরে গিয়ে অনেকেই তাদের বাচ্চাদের এইই স্কুলটাতে ভর্তি করিয়েছে। বেশ প্রশংসা শুনেছি স্কুলটার।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
না আপু,
আইএসডি বোর্ডিং স্কুল না।
আপনি ঠিক শুনেছেন। সবাই এখন তাদের ছেলে-মেয়েদের আইএসডি তে দিতে চায়, মানে যাদের সামর্থ্য আছে।
আইএসডি স্কুলের ছেলে-মেয়েরা আসলেই অনেক স্মার্ট, আর দারুণ এ্যাডভান্স... দেশের বাইরেও অনেক নাম করেছে, অল্প দিনেই।
::salute::
well written undoubtedly. Although, I am not fully agree with you in few points. Every system has some prose and cons. Moreover, Cadet college was established with a definite goal of preparing people for the military (army/navy/air) force. But now, cadet college is more comprehensive in nature in terms of servicing people or country by the cadets. However, I completely agree with we have to evaluate ourselves as well as our system. Because, now we are not for the military only. We have no reason for self satisfaction. I would say or rather evaluate wrt FCC, we, including few senior batches and few Junior batches, went to the college when cadet colleges were not up to the standard as they should be. Because my evaluation, even you slightly mentioned, our seniors, our ancestors were more competent then us, apparently.
Jai hok bhai, mul kotha holo, you did a good job, nice writing with nice analysis. 6 years ekjon ke complete manush korte pare na ba parbe na. cadet college se rokom system o na. but ekta platform dear chesta kore. jodio ami personally mone kori, cadet college education e onek reform kora jai ba jabe. once again congratulations for your nice writing.
Faisal/37th/FCC
ফয়সাল ভাই,
ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য। আপনার কমেন্টের সাথে আমি একমত। ভাল থাকবেন।
::salute::
অসাধারণ লেখা সাইফুল ভাই। প্রিয় তে যোগ করলাম এবং অরকা গ্রুপ মেইল এ শেয়ার করলাম। আশা করি আপনার এই চিন্তাধারা যথাযথ কতৃপক্ষের কাছে পৌছবে এবং তার প্রতিফলন ও দেখতে পাবো।
একদিন এক্স ক্যাডেটরা তাদের সন্তানদের ক্যাডেট কলেজে দিতেই বেশী আগ্রহী হবে- এই কামনা করি
শহীদ,
ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য আর অরকা গ্রুপ এ শেয়ার করার জন্য। লজ্জা লাগছে শুনে তুমি এটা প্রিয় তে যোগ করেছ যেনে।
আসলে আমরা সবাই একই রকম ফীল করি। একটা প্ল্যাট ফর্ম পেয়েছি বলে লিখেছি।
আমারও বিশ্বাস একদিন তোমার কথা সত্যি হবে। (সম্পাদিত)
ইয়ে,লেখাটা আমিও প্রিয়তে যোগ করেছি :shy:
ধন্যবাদ...
১) বর্তমানের গ্রেডিং পদ্ধতি ভুল। সবার ছেলেমেয়েরা ভাল গ্রেড পাচ্ছে বলে কেউ (কোন অভিভাবক) এটা নিয়ে কথা বলছে না। ক্লাসের ১ আর ১০০ সবাই এক ক্যালিবারের নয়। সবাইকে এক কাতারে ফেলে এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মেধা নষ্ট করে ফেলা হচ্ছে।
২) "আমেরিকার পদ্ধতি" বলে এটাকে গ্রহনযোগ্য ও সবাই অন্ধভাবে মেনে নিলেও এরকম কোনো পদ্ধতি আমেরিকাতে নেই। কোনো মেধা যাচাইয়ের পাবলিক টেস্ট "জি পি এ" দিয়ে হতে পারে না। হাইস্কুলে ১০ বছর বা ক্লাস ৮ থেকে ১২ চার বছর ক্লাস করার পর সব ক্লাসের গ্রেড এভারেজ হিসেবে তারা একটা জি পি এ পায়। প্রায় ৫০-১০০ এর মত ক্লাস থাকে। হাইস্কুল গ্রাজুয়েশনের সময়ে সব এতগুলো কোর্স নিয়ে জি পি এ 4.0 থাকলে নির্ঘাত হার্ভার্ডে চ্যান্স পায়। বাংলারদেশেও ইউনিভার্সিটিতেও তো চার বছর ক্লাস করার পরে জি পি এ দিয়ে মেধার যাচাই করা যায়, কারন এতগুলো ক্লাস নেয়ার পরে "এভারেজ" দিয়ে মেধার মুল্যায়ন হয়। কিন্তু শুধু একটা টেস্টে (৮/১০ কোর্স কে) জি পি এ দিয়ে মুল্যায়ন করে সবাইকে এক কাতারে ফেলে দেয়া হচ্ছে - ৮/১০ টা কোর্স দিয়ে কখনো "এভারেজ" হয় না। আমেরিকাতে কাউকে তুলানামুলক মুল্যায়ন করার জন্য যে SAT হয় ১২ এর পরে, সেটা কিন্তু নাম্বারের ভিত্তিতে হয়। বর্তমানের আমাদের পদ্ধতি ভাল ছাত্রদের প্রতি বা পড়ালেখায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য সহায়ক নয়।
৩) আশাকরি এ পদ্ধতির পরিবর্তন হবে। "জি পি এ" থাকুক, কিন্তু এটাকে আরেকটু ফাইন টিউন করা যাতে ৬০ হাজার "জি পি এ" না হয়ে কয়েক হাজার হয়, কেউ ৪.৯ পেলে সেটাও যেন ভাল হিশেবে গন্য হয়।
৪) বর্তমানের বাংলাদেশে এডুকেশন নিয়ে যারা ভাবে বা ইমপর্ট্যান্ট মানুষদের ছেলেমেয়েরা নাকি সব A level, O level পড়ে। তাদের ছেলেমেয়েরা এস এস সি, এইস এস সি দেয় কম। তাদের ছেলেমেয়েরা অন্যভাবে ডিস্টিংগুইসড হচ্ছে বলে, গ্রেডিং নিয়ে ব্যাক্তিগত কোনো চিন্তা তাদের নেই। এ ধরনের ভুল গ্রেডিং এক্সপেরিমেন্ট দিয়ে দেশের সেকন্ডারি লেভেলের জেনারেল এডুকেশনকে অনেক কম ধারালো করে ফেলা হয়েছে, যেটা খুবই দু:খজনক। কেউ কি এটা পরিবর্তন বা রিফাইন করা নিয়ে লেখালেখি করবেন? অ্যাবসলুট "নম্বর" পদ্ধতি থেকে পিছু সরতে গিয়ে ওভাররিয়্যাকশন হয়ে এটাকে মুল্যহিন করে দেয়া হয়েছে। ২০০২/০৩ সালে গ্রেডিং চালু হওয়ার বছর ২০০ ছেলেমেয়ে ৫ পেয়েছিল, তারপর থেকে বেড়ে বেড়ে কয়েক বছরের মধ্যে প্রতি বছর "লাখ" খানেক হবে। যে দেশে মেধার অপমুল্যায়ন হয়, সে দেশে মেধার বিকাশ হয় না। এ কথাগুলো আমি ক্যাডেট কলেজে পড়েছি বলে লিখছিনা, আমি জিলা স্কুলেও পড়েছি। ১ ও ১০০ যদি একই মুল্য হয় আমি পড়াশুনা ছেড়ে দিতাম, অথবা খুবই অল্প করতাম।
৫) ক্যাডেট কলেজ থেকে যারা বের হয়েছে, তাদের ৮০-৮৫% এর বয়সই ৪৫ এর নিচে, তার কারন নতুন কলেজগুলো। সব ক্যাডেটদেরই ভাল ব্যাকগ্রাউন্ড আছে। এরা সবাই ৬০ এর বেশি হওয়ার আগ পর্যন্ত এদের সাকসেসকে মুল্যায়ন করা যায় না। শুধুমাত্র প্রথম চার কলেজের কিছু ক্যাডেটই সেই বয়স পর্যন্ত যেতে পেরেছে।
সোহেল ভাই,
আপনার সব পয়েন্ট এর সাথে আমি একমত, ৫ নম্বর পয়েন্ট ছাড়া। ৬০ বছর হলে মানুষের সাকসেস বুঝা যাবে, এটা আমি মনে করি না। ৩০-৬০ বছর এই সময়ের যে কোন সময় মানুষ তার সাকসেস বুঝাতে সক্ষম হতে পারে। বয়সের সাথে সাকসেস এর কোন রিলেশন আছে এটা আমি বিশ্বাস করি না।
আমার লেখার মূল ভাবনা ছিল, যাতে ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার মান আরো ভাল হয়। জিপিএ থাকুক, কিংবা অন্য যে সিস্টেম রাজনৈতিক দলগুলো আনুক, সব সিস্টেমএই যাতে ক্যাডেটরা ভাল করে।
আর একটা শ্যাডো ভাবনা ছিল, এই প্রজন্মের ক্যাডেটরা যাতে শুধু দেশের সেরা হবার জন্য প্রস্তুতি না নিয়ে, সারা বিশ্বের যে কোন জায়গার সাথে উপযোগী করে নিজেদের তৈরী করে, বা কলেজ গুলো সেই সুযোগ সষ্টি করে দেয়।
ধন্যবাদ আপনাকে।
::salute:: (সম্পাদিত) (সম্পাদিত)
সাইফুল তোমার লিখাটা পড়লাম। ভাল লাগলো তোমাদর চিন্তা ভাবনার জন্য।্োমি আমার অবস্থানকালে সব সময় বলেএসেছি শিক্সা পদ্বতির আধুনিকায়নের কথা। আগে প্রত্যেক ক্যাডেট করেজের নিজস্ব পরিচালনাপর্ষদ ছিল। আর গভর্নিং বডি অব ক্যডেট কলেজ সমুহের চেয়ারম্যান ছিলেন এ্যডজুটেন্ট জেনারেল। প্রিন্সিপারে সাথে তার সরাসরি সম্পর্কছিল। যে কোন সমস্যা হলে তিনি সমাদান দিতেন সরাসরি।আর অধ্যক্ষ গন ও স্বাধীন ছিলেন অনেকটা। এখন তো যে কোন সিদ্দান্ত নিতে হলে হেডকোয়ার্টারের অনুমতি লাগে। সেই কোন যুঘে অধ্যক্সদের ৫ হাজার টাকার বেশী হলেই গভর্নিং বডির অনুমোদন লাগে। একন শ্কিা উপকরনের অনেক গুরির ই মূল্য ৫ হাজার টাকার উপরে। এখন ডি এ জি,এ এ জি হয়ে সভাপতি পর্য়ন্ত যেতে হয়। কোন কোন সভাপতি তার তিন বছরের সময় কালে অধ্যক্ষধের সাতে কোন মিটিং ই করেন নি,শুধু বিদায়ে কিছিুদিন আগে সব প্রাক্তন অধ্যক্স( তাও সবাইকে পাওয়া যায়নি) এবং এক্স ক্যাডেট এসাসিয়েমন এর সভাপতি,সম্পাদক দের “ ডেবেলপ মেন্ট অফ ক্যাডেট কলেজ)শিরো নামে নিমন্ত্রন পত্র দিয়ে নিয়ে আসেন। সময় মাত্র ২ ঘন্টা্ আবার বসবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে,কানাপিনার সাথে সভা শেষ,কোন গঠন মূলক আরোচনাই হতে পারে॥ি্োমি যে ব্যাপার টা বলে আসছিলাম,মেকার সেক্রটারী তেমন একটা প্রস্তাব দেন” ক্যাডেট করেজ ফাউন্ডেমন” করার জন্য। কোন সিদ্দানত ছাড়াই সবা শেষ। এর কয়েক দিন পরে সভাপতি বদল।
খ্রাডেট কলেজে বাংলা ভাসায় পাঠদান শুরু হয়েছিল৭৮ এর আগেই মনে হয়। কারন আমি ৭৯ তে যারা দশম ম্রেণীতে পরতো তাদের কে বাংরা মাধ্যমেই পড়তে দেখেছি। জিয়াউর রহমান রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল গুলিকে খ্যাডেট কলেজে রুপান্তর করায় ক্যাডেট করেজের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়,শিক্সকরা বিভিন্ন কলেজে বদলি হয়ে যান। ফলে প্রত্রে কলেজ তার এতিয্র হারায়। ক্যাডেট কলেজে যে দিন তে ক্যাডেটদের মধ্য তেকে এ্যডজুটেন্ট নিয়োগ মুরু হয় তখন ই দেখা দেয় আরেক বিপত্তি। প্রত্রেকে তার করেজের অনুসরনে ক্যডেটদের পরিচারনা করতে চাইত,ফরে ক্যাডেটদের মধ্যে অসন্তোস প্রকাশ পেত। আবার শিক্ষকরাও যে কলেজ তেকে বদলী হয়ে আসতেন তার নিয়ম কানু চারু করতে চাইতেন,যা অনেক সময়ই সমস্যা সৃস্টি করতো।
সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল মিক্ষকদের মিক্ষা বহিঃভূত কাজে নিয়োগ এবং অনেক ক্সেত্রে এসমস্ত কার্যক্রম ই তার চাকুরীতে পদন্নোতির নিয়ামক হয়ে দাঁড়াতো। ১৯৯১ সনে সিলেট ক্যাটে করে গভর্নিবডির চেয়ার ম্যন এর চেলেকে মার র,ফল শ্রুতি মিক্সকদের নাইট ডিউটি মাষাটার। এটাকে আমি অত্যন্ত অপমান যনক মনে করি,আমরা এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বলেছিৗ। জেনারের আমিন আহমেদ চৌধুর এটাক একেবারে রহিত না করে, বাসা তেকে দুই তেকে তিবার ঘুরে যাওয়ার অনুমোদন দেন। ৯৮ সনে আবার এটা বাতিল করে নাইট ্িুটি মাষ্টারের কলেজে অবস্তান বাধ্যতা মূলক করা হয়্ এতে একাডেমিকস ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়্। মিক্সকদের গরুর খামার,মুরগীরকামার,কৃসিকামার,স্থিানীয় ভাবে ক্রয় কমিটির দায়িত্ব দেযা হয়। এগুলি এক জন স্টে অফিসার রাকলেই সমস্যা সমাধান য়ে যায়্ আর টেন্ডারে র মাধ্যমে সব কিছু কিনলে মিক্ষককে ক্রাম বা তার ব্যক্কি জীবন বাদ দিয়ে বাজারে দৌড়াতে হয়ন॥ সোটর এর ভার প্রাপ্ত অফিসার হিসাবে এ্যডজুটেন্ট রাই এটা তার লোক দিয়ে করাতে পারে। যে সময়টা তারা পাবে সেটা পড়া মোনায়ব্যয় করতে পারেন। কিন্তু হাউস ডিউটি,খেলার মাঠে উপস্খথতি ইত্যদি করে তার নিজস্ব পাট প্রসাতুতির সময় কোথায়? হাউসে একজ সুপার নিয়োগ কররে টিচারদের ভার অনেকটা কমে। ্েকনতো আবার টেলিফোন ডিউটি চালু হয়েছে,ছেলেরা মোবাইলে কথা বলবে সেখেনে এক জন শিক্ষককে থাকতে বে,তিনি সময় এবং টাকার হিসাব লিকে রাখবেন। আমার প্রস্তাব ছিল গেমস টাইমে ছেলেরা ক্য্যন্টিনে গিয়ে কথা বলবে,তিন বা চার হাউজের জন্য চারটি মোবাইল তাকবে,এন সি ও রা এর হিসাব রাখবে। তাদের তো সেখনে থাকতেই হয়।
আমিযখন মির্যাপুরে ছিলাম আমি শিক্সক দের একমাস ব্যাপি ইংরেজী তে কথা বলা ও লেকার প্রমিক্ষন দিয়ে ছিলাম। সবাইকে কম্পিউটার প্রমিক্সন দিয়েছিলাম। ক্যাডেট দের৭ থেকে কম্পিউটার ও ল্যাংগুয়েজ ল্যাব ক্লাম বরাদ্ধ করেছিলাম। ছেলেরাও আনন্দের সাথে এই ক্লশ গুলি করত।
শিক্সকদের ও মন আছে তাদের ইচ্চার বিরুদ্ধে শিক্ষা বহির্ভূত কাজে নিয়োগ কোন সুফল বয়ে আনছে,এটা আমি মনে করিনা। আর মিক্সা উপরেনের আদুনিকায়ন দরকার।সেটা আবার ইচ্ছা করলেই পারা যায়না সরকারী অনুমোদন দরকার। তাই প্রাকতন ক্যাডেটরা যে সমস্ত জিনিস উপহার দেয় সেগুলি কাজে লাগে। মির্জাপুরে আমেরিকা ্্রবাসী একজন একস ক্যচডট ১৬ টা কম্পিউটার দেয়,এব সেটা দিয়ে মির্জাপুরের কম্পিউটার ল্যাব এর যাত্রা মুরু। আর এক জন ক্যাটে দুটো মোবাইল দেয মোডেম হিসেবে ব্যবহার করার জন্য। এরমাধ্যমে ইন্টার নেট স্রোতে প্রবেম করি। মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের শাহাদাত মোশারপ ইন্টারনেট এর জন্য ৪ লক্স টাকা দেয,মেজর রিয়াজ তখন ডি এ এজি, সে এটাকে আটকে দেয়। টাকাটা এখন ও পড়ে আছ।
আজ কার ানেক আদুনি শিক্ষা মাধ্যম বেড়িয়েচে,যার মাধ্যমে শিক্ষকরা আনন্দ ময় পরিবেশে মিক্ষা দিতে পারবে।
এখন আ র ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা আসতে চায়না। যারা আসে তারা ন্যশণার ইউনিভার্সিটির,যেকানে ক্লাশ বলতে গেলে হয়ইনা,ছাত্র বা ছাত্রিরা শিক্ষকের বাসায় গিয়ে প্রািভেট পড়ে পরীক্সা দেয়। তাহলে তারা কিবাবে উন্নত শিক্ষা দিবে। ক্যাডেট কলেজ ভাতা সেই কবে থেকে শুনে আসছি, এখন পর্য়ন্ত তার কোন খোঁজ নেই্ সার্ভিস রুলতৈরী করে দেয়া য়েছেসেই কবে,মেজর রিয়াজ ডি এ এ জি তাকা কারে এটাকে বলত গেলে আটকেই দেয্ শিক্সকদের দীর্গদিনের কামনা এই চাকুরী বিদি এটা হলনা আজ পর্যন্ত। অতচ স্যান্ডিং অর্ডার আব ক্যাডেট কলেজ ঠিকই সংশোধিত হয়েছ্ সেখানে বিধান াকা হয়েছে,অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে এ্যডজুটেন্ট অধ্যক্ষহবেন। এখন দেখা যাবে তার শিক্ষক ই তাকে স্যার বরতে হচ্ছে,আর যিনি চাইহদা দেন স্টোর অফিসার হিসাবে,তিনি কি করে সেটাতে অনুমোদন দিবেন। তাহলে নিজেই চাহিদা কারী আবার অনুমোদন কারী। এই অপকর্মটা করে গিয়েছে আমার ই ছাত্র রবিউল এফ সি সি এর এডজুটেন্ট থাকা কাল্ প্রশাসনের ধারাবাহিকতার অবাবে টিচার,কডেট সবারই পত বদর করতে ঞয়। আমাদের পরামর্শ ছিল ক্যাডেট কলেঝ ডাইরেক্টরেটএর। যেখনে একজন প্রাক্তন অধ্য ও অন্যান্র কর্মকর্তা কর্মচারি নিয়ে স্থায়ী একটি কাঠামো গঠিত হব্ ্েখনে তিন বছর পর পর পালা বদল হবেনা।
সইফুল অনেক কথা লিখলাম,ানেক প্রম্নের উত্তর দেয়া সম্ভব হয়নি।তোমাদের ব্রগে লিখার ইচ্চা ছিল কিন্তু সদস্য ছাড়াতো লেখা যায়না। মিক্ষক রাওতো ক্যাডেট কলেজ পরিবারের অংম। তাই তাদের ওব্রগের সদস্য হিসেবে রেজিস্ট্রেমন পাওয়াউচিত।
আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত স্যার। ভার্সিটিতে পড়ার সময় যারা ভাল ছাত্র ছিল, তারা সবাই-ই ঐ ভার্সিটির শিক্ষক হিসেবে যোগ দিতে চায়। চেষ্টা করে। কিন্তু ক্যাডেট কলেজে পড়ে আমাদের কয়জনের ইচ্ছা হয়েছে যে, আমরা ক্যাডেট কলেজের শিক্ষক হব? ক্যাডেট কলেজের শিক্ষকদের আরও সুবিধা দেওয়া উচিত এবং পেশা হিসেবে একে আরও আকর্ষনীয় করে তোলা উচিত।
ব্লগের অনেকেই হয়ত আমার সাথেক দ্বিমত পোষণ করবেন। কিন্তু আমি মনে-প্রাণে চাই, আমাদের শিক্ষকরা সিসিবিতে থাকুন, সিসিবিতে লিখুন। উনারা অনেক দিন ক্যাডেটদের সাথে কাটিয়েছেন। আমার মতে, ক্যাডেটদের পরিবারবর্গের চেয়েও সিসিবিতে উনাদের থাকার অধিকার বেশি।
ধন্যবাদ, তোমার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য। (সম্পাদিত)
গুলশান,
"ভার্সিটিতে পড়ার সময় যারা ভাল ছাত্র ছিল, তারা সবাই-ই ঐ ভার্সিটির শিক্ষক হিসেবে যোগ দিতে চায়। চেষ্টা করে। কিন্তু ক্যাডেট কলেজে পড়ে আমাদের কয়জনের ইচ্ছা হয়েছে যে, আমরা ক্যাডেট কলেজের শিক্ষক হব?"
চমৎকার লিখেছ! চিন্তার অবকাশ রাখে...
সহমত প্রকাশ করলাম, স্যারদের ব্লগে থাকার ব্যাপারে। এতে করে অনেক ব্যাপার/ ঘটনা আমরা স্যারদের দৃষ্টিতে জানতে পারব। জানাটা পূর্ণতা পেতে পারে তখন।
নুরুল হক স্যারকে অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে। স্যারের বয়সী অনেকেই অভ্র শিখে বাংলায় টাইপ করার চেষ্টা করবেন না। তাই স্যারকে আরো একবার ধন্যবাদ জানাই।
সিসিবি ব্লগে কারা সদস্য হবে এটা নির্ধারণ করবে সিসিবির সদস্যরাই। একজন সদস্য হিসেবে আমি বলবো স্যারদেরকেও সদস্য পদ দেওয়া যায়, অন্তত অতিথি হিসেবে যেভাবে ভাবীদেরকে দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি স্যারদের উপস্থিতি সিসিবিকে আরো কার্যকর করবে।
আমি জানিনা এই ব্লগ কারা মেইন্টেইন করে। কিন্তু লাভলু ভাইকে এই ব্লগের প্রিন্সিপাল মানা হয়। তাই বিষয়টি আমি লাভলু ভাইয়ের উপর ছেড়ে দিতে চাই। আশা করি লাভলু ভাই একটি সিদ্ধান্ত জানাবেন। অথবা স্যারদেরকে সদস্যপদ দেওয়া হবে কি হবে না এই বিষয়ে অধিকাংশ সিসিবি সদস্যদের কি অভিমত সেটা জানার একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
মোস্তফা ভাই ও অন্য সবার সাথে আমিও স্যারদের সদস্য করার পক্ষে আমার মতামত জানায়ে গেলাম।
আর অভ্র শিখে আমাদের সাথে আলোচনায় অংশ নেয়ার কারণে নুরুল হক স্যারকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ::salute::
শ্রদ্ধেয় স্যার,
আপনি আমার লেখাটা পড়েছেন। আমি এজন্য কৃতজ্ঞ। আপনার মন্তব্য পড়ে আরো অনেক কিছু জানলাম, যা আমার জানা ছিল না। আপনি ব্যক্তিগত ভাবে ক্যাডেট দের সুযোগ-সুবিধার (যা সার্বিক ভাবে মঙ্গলজনক ছিল) ব্যবস্থা করে দিতেন, তা আপনার সান্নিধ্যে থেকেই বুঝতে পেরেছিলাম। এখন আপনি যা (সিসিপি) করছেন, এর কিন্তু তুলনা হয়না।
আমিও আপনার সাথে একমত। অনেক ভাল ভাল প্ল্যান হয়ত হয়েছিল, কিন্তু তা বাস্তবায়ন হইনি। এখন সবাই একটু একটি করে কথা বলছে। আশা করি, আরো এক্স ক্যাডেটরা এতে যোগ দিবে, তখন হয়ত আমাদের কণ্ঠ আরো জোরালো হবে।
কলেজগুলো তে, স্যারদের যেভাবে অন্য কাজে নিয়োজিত থাকতে হয়, তা আসলেই অনেক বেশী রকম বেশী। এগুলো নিয়েও কাজ করা দরকার, যাতে স্যাররা শুধু পড়া-শোনা আর ছেলে-মেয়েদের মানবিক বিকাশের ব্যাপার গুলোতে মনযোগ দিতে পারে।
হয়ত স্যার একসময় কাজ হবে, কিন্তু যত আগে হবে, ততই মঙ্গল।
ক্যাডেট কলেজ ব্লগের ব্যাপারে, আমি আপনার সাথে একমত। কিন্তু স্যার আমিও এখানে নতুন। তাই জানিনা এডমিন কারা, বা এ ব্যাপারটা কারা দেখে? মোস্তাফা ভাই, নূপুর ভাইরা আছে, তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলাম। জানিনা কাজ হবে কিনা?
ভাল থাকবেন।
আস সালামু আলাইকুম স্যার। আপনার সাথে আমি সম্পুর্ণ একমত। আমি ক্যাডেট কলেজে মূল্যবোধের শিক্ষা যাদের কাছে পেয়েছি তারা আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষকবৃন্দ। সবার কাছে পাইনি, তবে যে কজনের কাছে পেয়েছি তা কম নয় এবং আমি সে জন্য তাদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ এবং আল্লাহর কাছে তাদের জন্য দোয়া করি।
কোনই সন্দেহ নেই যে শিক্ষকদের এমন কিছু কাজে ক্যাডেট কলেজে জড়িত করা হয় যে, তাতে উনাদের ব্যক্তিগত জীবন যথেষ্টই বিঘ্নিত হয় যা পাঠক্রমে বিরূপ প্রভাব ফেলে। আমি এমনও দেখেছি যে, সিস্টেমে পড়ে অনেক শিক্ষক এতই মানসিক যন্ত্রনায় পড়েছেন যে তারা শেষতক চাকরী ছেড়ে দেয়াকেই বাঞ্ছনীয় মনে করেছেন। এটা ঠিক যে, পাঠদানের বাইরে তাদের এত কাজে ব্যস্ত থাকতে হয় যে ফ্যামিলিকে সময় দিবেন না লেসন প্রিপেয়ার করবেন তারও হিসাব করা মুশকিল হয়ে যায়। এজন্য শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও অধিক মনযোগ দেয়া প্রয়োজন। কারণ যারা শিখাবেন, তাদেরকেও তো যোগ্য হয়ে গড়ে উঠার সু্যোগ ও পরিবেশ দিতে হবে।
আর স্যারকে উদ্দেশ্য করে বলছি, স্যার ক্যাডেট কলেজের ছেলেমেয়েগুলো সত্যিই ভালোভাবে বোঝার বয়সের চাইতে অনেক ছোট, ক্যাডেট কলেজের পরিবেশ এবং কর্মকান্ডের জন্য তাদের আচরন যদিও অনেকটা বড়দের মত। এই বয়সেই তাদের ফ্যামিলি থেকে আলাদা থাকতে হয় এবং বাস্তবতা হচ্ছে বেশীর ভাগকেই বাকী জীবন বাবা-মার থেকে আলাদাই থাকাই নিয়তি। একজন ক্যাডেটের জীবনে তার বাবার আদর্শ যতটা তার চাইতে অনেক বেশী তার শিক্ষকের আদর্শ। তাই তাদেরকে পিতৃস্নেহের দৃষ্টিতে দেখবেন এবং শাসন করবেন। তাদের থেকে আসা যন্ত্রনাকে পিতার মতই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, তাদের অসহায় মুহূর্তগুলোতে তাদের পাশে থাকবেন। দেখবেন ক্যাডেটদের চাইতে বেশী ভালোবাসা কোথা থেকেও পাবেন না।
স্যারের উদ্দেশ্যে করা শিশির ভাই এর কমেন্ট কে শতভাগ সমর্থন জানাই
কি অবস্থা??? জবে আছো নাকি??? যোগাযোগ রেখো। ফেসবুকতো আছেই।
জব??!!! সে বহু দূরে বস। এখনও বি.এস.সি পাস ই করতে পারলাম না। ফেব্রুয়ারীতে গ্রাজুয়েশন শেষ করার কথা। এখন ব্যাচের ১৮জন জব করে। আর যত ভালো ছাত্র ছিল সবাই এখনও পড়াশুনা করে। বাবা বলেছিলেন, শিক্ষাজীবনের সাথে চাকরিজীবনের বিশাল ফারাক। এতদিনে ফারাক বুঝতেছি বস ।
:bash: না ঠুকিয়ে ধৈর্য্য ধরো। কোন কিছুই বৃথা যায় না। (সম্পাদিত)
সুচিন্তিত ব্লগ খানার জন্য ভাই কে সাধুবাদ জানাই।
আশা করি গঠনমূলক আলোচনা থেকে আমরা কল্যাণকর সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারব। এমন কেউ কি এই ব্লগে নেই যিনি ক্যাডেট কলেজ পরিচালনা পরিষদের সাথে সরাসরি যুক্ত??
আছিব,
তোমাকে ধন্যবাদ, আমার লেখাটা পড়ার জন্য। তোমার সাথে আমি একমত। আমি জানিনা, ব্লগে এরকম কেউ আছে কিনা?
সাইফুল,
তোমার লেখাটা বেশ ভাবাচ্ছে। একটু সময় নিয়ে মন্তব্য করবো। কিন্তু তোমার বা অন্যদের মন্তব্যগুলো কি সবাইকে ভাবাচ্ছে? বিশেষ করে নীতিনির্ধারকদের? আমাদের মতো হয়তো তারাও আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন। ভালো থেকো।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
লাবলু ভাই,
আপনি আমার লেখাটা পড়েছেন এজন্য আমি খুব খুশী।
আশা করি, আমরা সবাই কাজ করতে পারলে দেশের ১২টা ক্যাডেট কলেজকে একবিংশ শতাব্দীর উপযোগী করে গড়ে তুলতে পারব।
হ্যাঁ ভাই। আমার মতে আত্নতুষ্টির চেয়ে, আত্নসমালোচনাই আলোর পথ দেখাতে সাহায্য করবে।
ভাল থাকবেন ভাই। (সম্পাদিত)
' পদ অলংকরণ সার্থকতা নয়, পদে থেকে কি করা হয়েছে ভাল, তাই উপজীব্য। ' - এ লাইনটা যথার্থ বলেছেন। আমার মনে হয় ক্যাডেট কলেজগুলো বিভিন্ন ক্ষেত্রে/সেক্টরে competent নাগরিক তৈরি করতে পারলেও সৎ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরি করতে ব্যর্থ হচ্ছে। আপনার উদাহরণের সাথে আমি আরো ক'টি দৃষ্টান্ত তুলে ধরবো,-- দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার অন্যতম আসামি তৎকালীন NSI চীফ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম এফসিসির ছাত্র ছিলেন। কিছুদিন আগে উইকিলিকসে ফাঁস হওয়া নথিতে (প্রথম আলোতে প্রকাশিত) জানা গেছে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা রোডস্ স্কলার গওহর রিজভীর সাথে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের গোপন বৈঠকের কথা, ইনিও এফসিসির প্রথম দিককার ছাত্র। এটা কি ক্যাডেট কলেজ শিক্ষার ত্রুটি নাকি মধ্যবিত্ত/নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসার কারণে ক্ষমতার অপব্যবহারের এ ঝোঁক বলা কঠিন। তবে এ কথা অনস্বীকার্য যে এফসিসি এবং অন্য আরো ক'টি কলেজ এর ছাত্ররা মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছে।
বেশিরভাগ প্রাক্তন ক্যাডেটের ক্ষেত্রে এ প্রবণতা লক্ষ করা যায় যে তারা তাদের স্মৃতি রোমন্থন করতেই বেশি ভালোবাসে এবং এতেই আত্মতৃপ্তি লাভ করে। কিন্তু বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণী(অবশ্যই যোগ্যতাবলে) হিসেবে এই গরীব দেশের মানুষের যে তাদের ওপর বিশেষ অধিকার আছে এ কথাটা তাঁরা ভূলে যায়। ৯৯% ক্ষেত্রে তাদের সাফল্য পারিবারিক গন্ডি কিংবা সংশ্লিষ্ট সামাজিক পরিমন্ডলেই সীমাবদ্ধ থেকে যায়। সমাজ তাদের অত্যন্ত সফল হিসেবে সম্মানের চোখে দেখে, সমীহ করে (যেমন-- অমুকের ছেলে জেনারেল হইছে, ফার্স্ট স্ট্যান্ড করছে, এফসিপিএস ডাক্তার হইছে, প্রফেসর হইছে, এই এলাকার সেরা ছেলে........ ইত্যাদি ইত্যাদি)। কিন্তু এই গরীব দেশটার দরিদ্র জনগণকে এই সাফল্য স্পর্শও করতে পারে না, তাদের জীবনমান যেরকম ছিলো সেরকমই রয়ে যায়।
শুধু ব্যক্তিগত সাফল্যে আবদ্ধ না থেকে ক্যাডেটদের উচিত হবে বাংলাদেশকে কি করে সফল দেশগুলোর কাতারে নিয়ে যাওয়া যায় সে চিন্তা করা (যে যেভাবে পারে, যতটুকু পারে)। নোবেলের আশায় কাজ করার দরকার নেই, দেশের মানুষের জন্য কাজ করলে নোবেল এবং অন্যান্য সম্মান এমনিতেই ধরা দেবে।
ক্যাডেটদের ব্যক্তিগত অর্জনের ভিত্তিতে কিছুতেই ক্যাডেট কলেজ শিক্ষাকে সফল বলা যাবে না, তাহলে তা হবে মস্ত ভূল। ক্যাডেটদের সাফল্য যেদিন জাতীয় সাফল্যে রুপান্তরিত হবে, বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষ যেদিন এর সুফল লাভ করবে-- কেবলমাত্র তখনই বলা যাবে ক্যাডেটরা সফল, ক্যাডেট কলেজগুলো সফল।
লেখককে এই গুরুত্বপূর্ণ পোস্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
ভাই রহমাহ,
আপনার নামটা আমি ঠিকমত লিখতে পেরেছি কিনা, আমি জানিনা। ভুল হলে সরি।
তবে আপনার পরিচয়টা ক্লীয়ার হলে আরো ভাল লাগত। আমি জানিনা, আপনি ক্যাডেট কিনা? দয়া করে, পরিচয়টা জানালে খুশী হব।
আর হ্যাঁ, আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন। (সম্পাদিত)
রাহমাহ লিখতে পারেন। আমি ক্যাডেট নই তবে অনেক ক্যাডেটের সাথে ভালো পরিচয় আছে, জানাশোনা আছে। সিসিবিতে মাঝে মাঝে কমেন্ট করি। তবে আমার আলোচনা/সমালোচনা সবসময় ক্যাডেটদের ভালোর জন্যে, বাংলাদেশের ভালোর জন্যে।ধন্যবাদ।
রাহমাহ ভাই,
ধন্যবাদ আপনার উত্তরের (পরিচয় দেবার) জন্য। আপনি ক্যাডেটদের এবং সর্বোপরি দেশের ভালর জন্য চিন্তা করেন তা জেনে ভাল লাগলো। আমার মতে আমাদের সবার এরকমি চিন্তা করা উচিৎ।
ভাল থাকবেন।
রহমাহ ভাইয়ের সাথে সহমত। আমাদের জাতীয় স্বার্থের জন্য ক্যাডেটদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত এবং সুযোগ্য নেতৃতের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে অগ্রনী ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন। তবে একটা ব্যাপারে আমাদের উদার হওয়া উচিত, যেমন মতের মিল না হলেই সে স্বাধীনতা বিরোধী এই মনোভাব পরিহার করতে হবে।
thanks for nice thinking and writing. last two years ex cadet association leaders are thinking to initiate an effort for upgradation of cadet college education. Cadet College Day has been started to celebrate from 2010 and this year it was organized in a big way. Please read the artical published in the supplement of Cadet College Day 2011. Formation of Cadet College Foundation in under process. Hope you will see some effective initiative with in next year.
নায়িম ভাই,
আমার ব্লগ পড়ার জন্য এবং আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার কমেন্টটা বেশ আশাবাদী।
একটা ওয়েবসাইট থাকলে আসলে কি হচ্ছে বা কি কি ইনেশিয়েটিভ নেয়া হচ্ছে বা কারো কোন ফিডব্যাক থাকলে, সেখানে তা জানাতে পারত।
আমরা সবাই আশায় বুক বাঁধলাম, ভাল কিছুর আশায়...
আর হ্যাঁ কোনভাবে যদি কাজে আসতে পারি জানাবেন।
ভাল থাকবেন ভাই।
::salute::
সময় করে পড়ার জন্য লেখাটা রেখে দিয়েছিলাম। আপনার দেয়া ডাউটগুলো নিয়ে কলেজ থেকে বের হওয়ার পর থেকেই ভেতরে ভেতরে গিলটি অনুভব করতাম, এখনও তা থামেনি। এখনও আমি ঠিক জানিনা আমি কি করতে পারি আমার দেশটার জন্য।
আর ম্যাথ অলিম্পিয়াডের কথা তুলেছিলাম একবার গভর্ণিং বডির সামনে, তাঁরা তেমন পাত্তা দেননি। ভাল করে বুঝিয়ে বললে নিশ্চুই বুঝবেন। তবে আমরা একটা কাজ করতে পারি, এই লেখায় হওয়া আলোচনা আরও সম্প্রসারণ করে নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে গভর্ণিং বডির সাথে বসতে পারি।
ব্যক্তিগত ভাবে আমার ধারণা, ক্যাডেট কলেজের ছেলে মেয়েদের একটা বড় অংশ একটু ফাঁকিবাজ টাইপের হয়। ফাঁকিবাজ হলে অসুবিধা নাই, যদি সে আউটপুটটা ঠিক মতন দিতে পারে, কিন্তু ক্যাডেট কলেজের ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রে আউটপুটটা একটু কম আসে।
তবে কথা হচ্ছে মানদন্ডটা আমাদের কাছে কেমন। হার্ভার্ড এমআইটিতে পড়াটা, নাকি পড়ে দেশে ফিরে, বা না ফিরেই দেশের জন্য কিছু করাটা।
যদি বিখ্যাত হওয়াটাকে মানদন্ড না ধরি, তাহলে ক্যাডেট কলেজের ছেলে মেয়েরা কিন্তু বসে থাকেনা। সবাই কোন না কোন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। এবং নিজের জায়গায় নিজের কাজটা যদি ঠিকমত করা যায় তাহলে সেটাও একটা বড় কাজ। অন্য অনেক স্কুল কলেজের ছেলেমেয়েদের সাথে এই পার্থক্যটুকু এখনও আমরা ধরে রেখেছি। ভিকারুন্নেসার অনেক মেয়েদেরই অযথা কাজ না করে বসে থাকতে দেখেছি, নটরডেমের ছেলেদের দেখেছি শুধু কথায় বিশ্ব উল্টায় দিতে। আমাদের ক্লাসেই একজন আছে যার পলিটিক্সে বাঁচা যায় না। তবে লিডারশীপের ব্যপারে আমাদের দক্ষতা অনেক ক্ষেত্রেই আমাকে হতাশ করে।
আর মানদন্ড যদি আরেকটু ওপরে তুলতে চান, তাহলে সেইরকম জায়গায় আসলে আমরা আসিই নাই এখনও। মানুষ তার জীবনের ভাল কাজগুলো শুরুই করে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ বছর বয়সে। জুনিয়র কলেজের সিনিয়রেরা সেই মাইলস্টোনটা ছুয়েছে মাত্র। দেখা যাক তাঁরা কতটুকু কি করেন। ফৌজিয়ানদের থেকে অলরেডী একজন আতিউর রহমান, শাকুর মজিদ কিন্তু বেরিয়ে গেছেন, যদিও তাঁদেরও সমালোচনা আছে।
আড্ডা আর আত্মগর্বটা আমাদের খাবে, যদি না আমরা নিজেদের ওপর নিয়ন্ত্রন রাখতে পারি।
বলতে ভুলে গেছিলাম, আপনার লেখাটা অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে। নিজেদের অতীত সুখস্মৃতি রোমন্থন কমিয়ে কাজের দিকে মনোযোগ আনতে এই লেখাটা অত্যন্ত কাজে দেবে।
সামিয়া,
তোমার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। তুমিও যে আমাদের অনেকের মত গিল্টি ফিলিংস এ ভুগতে বা এখনও ভুগো, এটা একদিক দিয়ে আশার কথা। হয়ত একদিন এটাই তোমাকে বড় কিছু করার অনুপ্রেরণা দিবে। তখন হয়ত, দেশের জন্য, এই মাটির জন্য অনেক কিছু করে ফেলবে।
তোমার সাথে আমিও একমত। আমরা ক্যাডেটরা একটু ফাঁকিবাজ টাইপের। ঠেলায় না পরলে কাজ করিনা। সবাই হয়ত সেরকম নয়। এটার একটা কারণ থাকতে পারে। আমরা যখন ক্লাস সেভেন এ ভর্তি হয়েছিলাম, তখন সবাই কিন্তু কোন না কোন স্কুলের সেরা ছাত্র ছিল। সবাই অনেক বড় বড় আশা নিয়ে ক্যাডেট কলেজে এসেছিলাম। কিন্তু কলেজে এসে সবাই আর সেরকম থাকেনি, বা পরিবেশটা তাকে আর বড় কিছু হওয়ার বা করার ব্যাপারে স্বপ্ন দেখায়নি। আমাদের স্বপ্ন হয়ে গিয়েছিল তখন ডাক্তার হবার, ইঞ্জিনিয়ার, কিংবা বিবিএ করে করপোরেট ভোগে নিজেকে উজাড় করার মধ্যে। কেউ আর, সত্যজিত রায়, সত্যেন বোস, জয়নুল আবেদীন, এফ আর খান, ডাক্তার ইব্রাহীম ,ক্ষুদিরাম, অমর্ত্য সেন বা রোকেয়া সাখাওয়াত হতে চায় না। আমরা এখন আর সেই ত্যাগ করতে স্বীকার করতে চাইনা। তুমি বল ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হবার জন্য আর কতটুকু কষ্ট করতে হয় বাংলাদেশে? আর ক্যাডেট দের জন্য এটা তো অনেক সহজ তাই,না?
তোমার সাথে আমি সহমত, ক্যাডেট দের আউটপুট টা চোখে পড়ার মত না।
আমি আপু, হার্ভাড, এম, আই, টি এর কথা উল্লেখ করেছি, জাস্ট ঐখানে জ্ঞানের সবচেয়ে ভাল জিনিসটা তুমি আহরণ করতে পারবে, এই জন্য। আবশ্যই জ্ঞান আহরণ করে দেশে ফিরে এসে কাজে লাগানোটাই বড় ব্যাপার। বাইরে থেকে যাওয়াটা নয়।
আপু , ক্যাডেট কলেজে যেসব ছেলে-মেয়েকে নেওয়া হয়, তারা যদি বসে বসে দিন কাটায়, তাও কিছু, কিছু না কিছু করে খেতে পারবে। অনেকটা বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার মত। সব ভাল ছাত্র ধরে ঢোকায়, কি পড়ায় তুমি তো তা ভাল করেই বুঝতেছ? ঐসব পোলাপাইন (বুয়েটের) যেমন কিছু না কিছু করে খেতে পারবে, ক্যাডেট দের ব্যাপারটাও তাই।
লিডারশীপ এর ব্যাপারে আমি তোমার সাথে একমত। খুব খারাপ অবস্থা এই খানে আমাদের।
আমাদের ঠিক করতে হবে আমরা ক্যাডেট রা নিজেদের কে, ভিকারুন্নিসা কিংবা নটরডেম এর সাথে তুলনা করব, নাকি মুম্বাই, কিংবা বেইজিং বা নিউইয়র্ক এর ছেলে-মেয়েদের সাথে তুলনা করব। ভিকারুন্নিসা কিংবা নটরডেম দুটোই প্রাইভেট কলেজ, সরকার কোন সাহায্য সেখানে দেয় না। আমরা প্রিভিলাইজড হয়ে, ভিকারুন্নিসা কিংবা নটরডেম এর সাথে তুলনা করাটা আমার মনে হয় বোকামি।
আপু , তুমি যদি আমাদের বাংলাদেশের সেইসব বিখ্যাত লোককে দেখ কিংবা পৃথিবীর যে কোন দেশের, সবাই কিন্তু অল্প বয়সেই তার স্বাক্ষর রাখতে পেরছিল। আমাদের দেশে বয়সের ব্যাপারটা চলে আসে। ব্যক্তিগত ভাবে আমি কারো সমালোচনা করার জন্য বলছি না, আমি সেটা পছন্দ করি না, তুমি উল্লেখ করেছ তাই বলছি। তুমি যে দুজন ফৌজিয়ানের নাম বললে, আমি বলব না যে তারা খুব খুব ভাল করে ফেলেছে। ক্যাডেট কলেজে এ পড়ে নাই, এরকম অনেকই উনাদের মত অবস্থানে গিয়েছেন।
তোমার শেষ লাইনের সাথে আমি ১০০% একমত। ভাল থেকো। (সম্পাদিত) (সম্পাদিত)
১) তোমার মুল মেসেজের সাথে একমত যে ক্যাডেট কলেজগুলো অনেক কিছুই করতে পারে ভালো আউটপুট পাবার জন্য। যেমন, টিচারদের কথা এসেছে - এক সময় ইউনিভার্সিটির ভাল ভাল ছাত্ররা ক্যাডেট কলেজে যোগ দিত, এখন সেটা নাকি হয় না। এটা খুবই এলার্মিং ব্যাপার।
২) এখানে হার্ভার্ড, এম আই টির কথা এসেছে। এ প্রজন্মের বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা কেউ কেউ ওখানে পড়ছে - আগের প্রজন্মের চেয়ে বেশি। আমার জানামতে বাংলাদেশের খুব কমই কেউ এসব ইউনিভার্সিটিতে ফাক্যাল্টি পজিশনে আসতে পেরেছে। যে দুজনের নাম আমি জানি তারা দুজন ই এক্স-ক্যাডেট, এবং তারা ওখানের দুটি নামি ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর -
ক) ইকবাল কাদির, ডিরেক্টর ও ফাউন্ডার, লিগাটাম সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট, এম আই টি,
এক্স-ঝিনাইদহ, গ্রামীনফোনের প্রতিষ্ঠাতা
খ) গওহর রিজভি, ডিরেক্টর, ASH institute of democratic governance .., Harvard Kennedy School of Government, এক্স-ফৌজিয়ান,
ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়াতে ভাইস প্রভোস্ট হওয়ার আগে উনি ওখানে ছিলেন।
প্রাইম মিনস্টারের এডভাইজার হয়ে সাধারনের মাঝে পরিচিতি পেলেও পলিটিক্যাল সায়েন্টিস্ট হিসেবেই তিনি আন্তর্জাতিক ভাবে বেশি পরিচিত।
৩) "কেউ আর, সত্যজিত রায়, সত্যেন বোস, জয়নুল আবেদীন, এফ আর খান, ডাক্তার ইব্রাহীম ,ক্ষুদিরাম, অমর্ত্য সেন বা রোকেয়া সাখাওয়াত হতে চায় না।" - একথাগুলো এক সময়ে পত্রিকার সম্পাদকরা লিখতেন এস এস সি বা এইস এস সির পরে ভাল ছাত্রদের উদ্দেশ্য করে। এখানে ক্যাডেট কলেজের কথা বাদ দাও। আমাদের দেশে সব ভাল ছাত্ররা কে কি হতে চায়? যারা বুয়েটে, ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়ে তারা কি কেউ এ রকম হয়েছে? এখানে ক্রিয়েটিভ কাজ করে স্বনামধন্য হয়েছেন এ রকম মানুষদের উল্লেখ করেছো। বুয়েট থেকে পাশ করে, বা ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়ে ক্যাডেট কলেজের চেয়ে ১০০০ গুন বেশী ছেলেমেয়ে এ পর্যন্ত বের হয়েছে। তাদের মধ্যে দু চার জন তাদের মত হয়েছেন, যেটা 'ল অব এভারেজ' এর মধ্যে পরে, ইনস্টিটিউশনের অবদানের মধ্যে ততটা নয়। যেমন - এফ আর খান। বুয়েট থেকে পাশ করেছে আর কোনো প্রসিদ্ধ ইন্জিনিয়ারের নাম আমি বলতে পারব না। কিন্তু এখন যুগ বদলেছে - ইন্জিনিয়াররা আসলে বিখ্যাত হয় না - ইম্পর্ট্যান্ট হয়। আমরা নাম জানি বা না জানি, বুয়েট থেকে অনেক ভাল ভাল ইন্জিনিয়ার বের হয়েছে - প্রচলিত অর্থে তাদের নাম বই খাতায় বা সংবাদপত্রে লেখা থাকে না, যে রকম টা থাকে তাদের নাম যারা সরাসরি সামাজিক কাজ করে খ্যাত হন। সত্যেন বোসের নাম করেছ। দু বাংলা মিলেও জগদীশ চন্দ্র, মেঘনাদ সাহা আর সত্যেন বোসের মত সায়েন্টিস্ট গত একশ বছরে বের করতে পারেনি। আমাদের মধ্যে অনেক ক্যাডেটই এখন ক্রিয়েটিভ কাজ বেছে নিচ্ছে - ফিল্মমেকিং, পিওর সায়েন্স, সাহিত্য চর্চা, ইত্যাদি। কিন্তু ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার, সফটওয়ার ইন্জিনিয়ার হলেও সেখানেও খুব ডেডিকেটেড হলে সেটাও সমাজের জন্য ভাল, সবাই তার নাম জানুক বা না জানুক - কিন্তু তুমি এখানে মনে হয় প্রচলিত ভাল ছাত্রদের এই ট্রেন্ড টাকে নিয়ে হতাশ। এটা শুধু ক্যাডেট কলেজে পড়েছে এমন টা নয়, আমাদের আর্থসামাজিক অবস্থানের সাথে জড়িত। ক্যাডেট কলেজে যারা পড়ে অধিকাংশই মধ্যবিত্ত পরিবারের (অন্যদিকে ঢাকাতে ইংলিশ মিডিয়ামে যারা পড়ে তারা উচ্চবিত্ত) - তারা অনেকেই আর্মিতে বা ভাল ছাত্র হয়ে বুয়েট, মেডিকেলে পড়ে খুব তাড়াতাড়ি বাবা-মায়ের অশান্তি দুর করতে চায়। এটাকে সহজতর পথ তুমি মনে করলেও, এখানেও ক্রিয়েটিভ বা পরিশ্রমী হয়ে যে কেউ, ক্যাডেট হোক বা না হোক, ভাল কনট্রিবিউট করতে পারে। আর একটা কথা আমি আবারো বলছি, ক্যাডেট কলেজে পড়েছে এরকম অনেকেই স্বনামধন্য হিসেবে উদাহরন হতে পারবে - এরকম অনেককেই আমি চিনি। তবে এটা সময়ের ব্যাপার, মানুয ৫০ পেরোনোর আগে খুব কমই নিজস্ব গন্ডির বাইরে পরিচিতি লাভ করে।
৪) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট John Adams এর একটা কথা আছে - "I must study politics and war that my sons may have liberty to study mathematics and philosophy. My sons ought to study mathematics and philosophy, geography, natural history, naval architecture, navigation, commerce, and agriculture, in order to give their children a right to study painting, poetry, music, architecture, statuary, tapestry, and porcelain." - আমরা সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভাবে এখনো শুরুর দিকটায় আটকে আছি। আমাদের মধ্য সবচেয়ে মেধাবী ছেলেমেয়েটিও হয়তো অর্থনৈতিক ভাবে টিকে থাকার জন্যই জীবনের অধিকাংশ সময় ও চিন্তা ব্যায় করে। এর মধ্যেও অনেক চিন্তাবিদ, গবেষক, সমাজ সংস্কারক, আর্টিস্ট বা ভাল ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার, সামরিক অফিসার বেরিয়ে আসবে। এখানে উল্লেখ করার মত, তবে অনেকে শুনতে পছন্দ করে না - প্রিন্স দ্বারকাণাথ ঠাকুর প্রথম জেনারেশনে সব কিছু গুছিয়ে না রেখে গেলে, থার্ড জেনারেশনে এসে নিশ্চিন্তমনে ও গভীর ভাবে সাহিত্য চর্চা করা রবীন্দ্রনাথ বা তার কোনো ভাইবোনদের দ্বারা সম্ভব হত না - তাদেরকে সে রকম পরিবেশে বড় করার সামর্থ্যই দেবেন্দ্রনাথের থাকত না।
৫) আবারো বলছি, তোমার মুল মেসেজের সাথে আমি একমত যে ক্যাডেট কলেজ যেহেতু কিছু ছেলেমেয়েদের ভাল সুযোগ দিচ্ছে, একই খরচে সেটাকে যেন অপটিমাইজ করে বিশ্বমানের করা হয় যুগের সাথে তাল মিলিয়ে।
সোহেল ভাই,
আপনার মন্তব্যের জন্য আবারো ধন্যবাদ!
আপনার সাথে আমিও একমত ( ৪ নম্বর পয়েন্ট ছাড়া) এবং একই সুরে বলছি যে, আমাদের বিশ্বমানের কিছু প্রতিষ্ঠান দরকার, স্কুল লেভেলেই হোক আর বিশ্ববিদ্যালয় লেভেল এই হোক।
ক্যাডেট কলেজগুলোতে যেহেতু অলরেডি এক্সিস্টিং ফ্যাসিলিটিস আছে, তাই পলিসি ইমপ্লিমেন্ট করে তার আধুনিকায়ন করা যায়। আমাদের এটাও চিন্তা করতে হবে, দেশের প্রয়োজনে আমরা ক্যাডেটরা কার সাথে ক্মপিট করব? দেশের স্কুলের সাথে, নাকি মুম্বাই, বেইজিং কিংবা নিউ ইয়র্ক এর ছেলে-মেয়েদের সাথে, যাতে করে ভবিষ্যতে বিশ্বে বাংলাদেশকে আরো ভালভাবে উপস্থাপন করতে পারি।
আপনার ৪ নম্বর পয়েন্ট এর ব্যাপারে আমি ঠিক একমত হতে পারলাম না। আমাদের যে ফার্স্ট জেনারেশন এর কথা বলছেন, সবাই বেশীরভাগ ক্ষেত্রে বাইরে চলে যাচ্ছে, উন্নত জীবনের জন্য। তারা তাদের নেক্সট জেনারেশন কে অর্থনৈতিক স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দিচ্ছে ঠিকি, কিন্তু তারা তো আর দেশে ফিরে আসছে না, বা সেকেন্ড জেনারেশন কে তো আর বাংলাদেশের ক্যাডেট কলেজ গুলো তে পাঠাচ্ছে না। বা যারা বাংলাদেশে রয়ে যাচ্ছে তারাও কত % তার ছেলে-মেয়েকে ক্যাডেট কলেজে দিচ্ছে? তাহলে আমাদের দেশের কি লাভ হচ্ছে?
৩০০ বছরের জমিদারী শাসন ব্যবস্থায়, রবীন্দ্রনাথ একমাত্র এক্সেপসনাল। তার মত অনেক জমিদারের ছেলে-মেয়ে ছিল, সবাই কিন্তু বাবার টাকা থাকা স্বত্তেও রবীন্দ্রনাথ হতে পারেনি।
আমি যাদের উদাহরণ দিয়েছি তারা সবাই মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। হতে পারে তারা এক্সেপ্সনাল, কিন্তু বাবার বৈভবের (অর্থনৈতিক স্বাধীনতার)কারণে তারা সেই পর্যায় গিয়েছে, আমি সেটা বিশ্বাস করি না। তাদের চিন্তা-ভাবনাটা এক্সেপ্সনাল ছিল বলেই তারা মহীয়ান হয়েছেন। আমি সেই মধ্যবিত্ত সমাজের চিন্তা-ভাবনাটাকেই চেঞ্জ করার কথা বলেছি। আর ক্যাডেট কলেজ গুলো তে মধ্যবিত্ত- আর নিম্ন মধ্যবিত্তের ছেলে-মেয়েরা পড়ছে, তাই তাদের কে স্বপ্ন দেখানোটা আরো সহজ। আপনি যেসব ক্যাডেট এর উদাহরণ দিলেন, তারা বাইরে থাকলেও একই পজিশনে যেত। তাদের যে মেধা ছিল, সে মেধা নিয়ে তারা যেখানেই থাকত সেইখানে থেকেই আজকের ঐ জায়গা তে যেতে পারত। আমি ৫০ জনের একটা ব্যাচ থেকে একজন-দুজন আলাদা ভাবে ভাল করছে সেটা কে
কখনই ভাল চোখে দেখিনা। এটা তো বাইরের স্কুলগুলোতেও হচ্ছে, তাহলে ক্যাডেট কলেজ আলাদা হল কিভাবে?
ভাই, আপনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এর একটা কথা উল্লেখ করেছেন। আমেরিকার ইতিহাস ৩০০-৩৫০ বছরের। আর দু-বাংলা এক করে ধরি, আমাদের ইতিহাস প্রায় ১০০০ বছরের। আমাদের যেসব রথী-মহারথী ছিল শিল্প-সংস্কৃতিতে কিংবা বিজ্ঞানে তারা সবাই তো গত হয়ে গেছে। তখন আমাদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থা আরো খারাপ ছিল, তারপরও তারা বের হয়েছে। আর এখন কি সমস্যা? এখন তো আর সেটা দেখিনা। আমাদের এখন আর কোন আইকন নেই ফলো
করার জন্য।
আমরা কি ২য়-৩য় জেনারেশনের জন্য বসে থাকব ( যাদের বেশীর ভাগ বাইরে থাকে, বাংলা ঠিকমত বলতে পারেনা, বাংলাদেশে যেতে চায়না, জ্যাম আর মশা কামড় দিবে বলে) অপেক্ষা করতে থাকব? তারা একদিন আমাদের জাতিকে পথ দেখাবে?
যাই হোক আমার জ্ঞান জিজ্ঞাসা থেকে এই প্রশ্নগুলো আসলো। আশা করি কিছু মনে করেননি।
ভাল থাকবেন ভাই...
::salute::
সাইফুল,
তোর লেখাটিতে কমেন্ট করার জন্যই এই ক্যাডেট কলেজ ব্লগে এবং পি সি তে আমার আজ প্রথম বাংলায় লেখা। পুরা খবর হয়ে যাচ্ছে টাইপ করতে।
তোর point অফ view গুলো সঠিক এবং যুগপুযোগী। কিন্তূ কিছু তথ্য শুধরিয়ে দেয়া উচিত বলে মনে হয়েছে।
এক. ISD (যেটা বসুন্ধরাতে অবস্থিত) মোটেও পদের স্কুল নয়। আমার আত্মীয়দের সন্তানেরা এই স্কুলের ছাত্র/ছাত্রী এবং তারাই বলে যে স্কুল এ তেমন পডাশুনা হয় না, বিভিন্ন extra কারিকুলার activity বেশি হয়। অন্য স্কুল এ admission test এ পাস করতে খবর হবে এখানকার স্টুডেন্টদের। It's more like a social standard for the parents to send their kids to ISD as the monthly tution grosses post BDT 40k. আর বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তাদের প্লেসমেন্ট কি খুবই কঠিন বাপার? একটা decent aptitude টেস্ট স্কোর এবং ভালো bank statement থাকলেই admission পাওয়া সম্ভব।
দুই. তোর কথায় মনে হলো যে English is the only acceptable medium of attaining Education. আমরা যারা বাংলায় পড়েছি, তারা কি খুব বিপদ এ আছি? আমি নিজে এই মাধমে পড়ে আমেরিকা থেকে একটি Undergrad ও একটি Grad ডিগ্রী শেষ করে স্বদেশে চাকুরিরত আছি। তুই নিজেও কিন্তূ বহাল তবিয়াতে গ্রীন্সবোরোতে বাস করছিস এই বাংলাতে শিক্ষা লাভ করেই, তবে কেন এত অনীহা বাংলার প্রতি?
তিন. ফকক তে কি tradition জানি না, কিন্তূ কুমিল্লাতে প্রেপ এ চুটিয়ে আড্ডা দেয়ার option ছিল না এবং এখনো নাই বলেই জানি। আমরা সারা বছরই কমবেশি পড়েছি।
চার. যে সেনাপ্রধানের উদাহরণ দিলি, সে কিন্তূ একমাত্র এক্সকাডেট না। বর্তমান সেনাপ্রধানসহ আরো অনেক senior মিলিটারী অফিসার্স আছে যারা সুনামের সাথে চাকুরী করেছেন বা করছেন। তোর example এর পরিনামের পেছনে সুগভীর পলিটিক্স আছে whcih was injected into the Defense Forces since Independence.
পাঁচ. কাডেট কলেজ গণিত অলিম্পিয়াডের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে (Asian Region) অংশগ্রহন করছে ২০০৯ থেকে। ২০০৯ এ ককক বাংকক এ গিয়ে মেডেল জয় করেছিল। ২০১০ এ সব কাডেট কলেজ গুলো থেকে একটি সমন্বিত দল অংশগ্রহন করছে।
আত্নসমালোচনা অবশ্যই সাদর সম্ভাষণ যোগ্য কিন্তূ তা হতে হবে নিজেকে পুরোপুরি জেনে ও বুঝে।
তুই চালিয়ে যা ..... :clap:
মাশফিক ভাইয়ের কমেন্টে আমি যা বলতে চেয়েছিলাম তা আরো সুস্পষ্টভাবে উঠে এসেছে।অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অসাধারণ! জেনে খুবই ভাল লাগল।
সাবাশ, এটা জানতাম না।
মুছে যাক গ্লানি/ঘুচে যাক জরা
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা
মাশফিক,
দোস্ত তোকে অনেক ধন্যবাদ আমার লেখাটা পড়ার জন্য। এটা শুনেও ভাল লাগতেছে যে তুই কমেন্ট করার জন্য সিসিবি তে এই প্রথম আসলি। আশা করি, তোর লেখা নিয়মিত পড়তে পারব। বাংলা টাইপ করা আসলে অনেক ঝামেলা, তবে আস্তে আস্তে দেখবি ঠিক হয়ে যাবে।
তুই যে পয়েন্ট গুলো বললি অনেক ফ্যাক্ট জানা গেল, যেটা জানতাম না। আমারো কিছু ব্যাখ্যা আছে তোর পয়েন্টের ব্যাপারে।
১। দোস্ত, মানুষ যেমন পারফেক্ট না, তেমনি ইন্সটিটিউটগুলোও না কেননা এগুলোও মানুষের তৈরি। আই এস ডি প্রসঙ্গে তুই যা বললি, তা কিছুটা হয়ত ঠিক,পুরাপুরি ঠিক না। ইন্সটিটিউট এর কাজ হচ্ছে ফ্যাসিলিটিস প্রভাইড করা। এখন কে কিভাবে ফ্যাসিলিটিস গুলো ব্যবহার করল, সেটা ব্যক্তির উপর নির্ভর করে। আমি আই এস ডি এর কথা উল্লেখ করেছি একটা রেফারেন্স দেবার জন্য, যে ছাত্রদের কে সব ধরনের আধুনিক ও যুগোপযোগী পরিবেশ তৈরি করে দিচ্ছে, গ্লোবালি ক্মপিট করার জন্য, ক্যাডেট কলেজগুলো কি সেটা দিচ্ছে? ঐটা ক্মপেয়ার করার জন্য। আমরাও ক্যাডেট কলেজে কিন্তু প্রচুর এক্সর্টা কারিকুলার এ্যাক্টিভিটস-ও করতাম, ওরাও করে; তোর লেখাতে সেটা পরিষ্কার।
২। দোস্ত, "টিকিয়া থাকাই চরম সার্থকতা না"। আমি তুই হয়ত ভাল আছি, জাতির থেকে এত এত কিছু নিয়ে আমার আর তোর ভাল থাকার মধ্যে ক্যাডেটদের বা ক্যাডেট কলেজ গুলোর সার্থকতা যাচাই করা ঠিক না। "আমরা যাহা বলি তাহা বিশ্বাস করি না"। ইংরেজি ছাড়া যে আজকের দুনিয়ায় টিকে থাকা দায়, এটা তো তুইও জানিস। বাংলার ব্যাপারে অনীহা হবে কেন, তবে তো বাংলায় ব্লগ লিখতাম না। আমরা কি সবাই তা করি? ইন্টারনেটে যে মেইলগুলো লিখি তাও তো ইংরেজিতে তাই না। বাংলাদেশে এমন কোন অফিস আছে কি, যারা তাদের সব কমিউনিকেশন বাংলায় করে?
৩। এফসিসির যে উদাহরণ দিলাম, সেটার মানে দোস্ত এই না যে, আমরা সবাই প্রতিদিন প্ল্যান করে আড্ডা মারতাম। কিন্তু প্রায় এমন সব ফাজলামি হত, তাতেই আমাদের ইন্টারেস্টটা বেশী থাকত। লেখা বাহুল্য, আমাদের ব্যাচ এর এফসিসি'র রেজাল্ট কিন্তু ১০ ক্যাডেট কলেজের মধ্যে বেশ ভালই ছিল। এসএসসিতে ১৫ জন প্রথম স্থান সহ আর এইচএসসি তে ১২ জন মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিল। আবার বলছি, এটা কিন্তু সাকসেস এর মাপদন্ড না, বা হতেও পারেনা।
৪। সেনা প্রধানের কথা বললি, বুয়েটের ভিসির কথা বললি না। উনি কেন কনভোকেশন বা সেশন জট কমাতে পারল না তিন বছরের মধ্যে? যাই হোক উদাহরণ গুলো দিয়েছিলাম , জাস্ট আমাদের কিছু ফেইলর তুলে ধরার জন্য।আমি আবারো বলছি, কাউকে আঘাত করার জন্য বা হেয় করার জন্য বলিনি। সাকসেস দেখলে তো ফেইলইরটাও দেখা উচিৎ তাই না? আমাদের ক্যাডেট কলেজেরও তো অনেক ফেইলেইর আছে তাই না?
৫। আমার এটা জানা ছিল না। জেনে খুব ভাল লাগছে। আশা করি ১২ ক্যাডেট কলেজের সব ক্লাসের ছেলেমেয়েরা এতে অংশগ্রহণ করবে।
আবার দোস্ত, "রহমাহ" নামে একজন কমেন্ট করেছেন, সেটা পড়ে নিস সময় পেলে, আর "সামিয়ার (৯৯-০৫)" কমেন্ট এর উত্তরটা।
পরিশেষে, আমার জানার মধ্যে হয়ত কিছু ভুল ছিল এবং তার জন্য আমি দুঃখিত। ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ।
তোর লেখা চাই...
ভাল থাকিস দোস্ত... (সম্পাদিত) (সম্পাদিত) (সম্পাদিত)
দোস্ত, তোর মন্তব্য completely makes sense. আমি তোর বিশ্লেষণ এর সাথে একমত পোষণ করছি। আমার কয়েকটা টিকা টিপ্পনি দেয়ার ইচ্ছা হয়েছিল বিধায় মন্তব্য করেছি। তোর লেখায় যে পরিমান মন্তব্য পরেছে তা এটাই প্রমান করে এর প্রয়োজনীয়তা কতটুকু :thumbup:
আমি চেষ্টা করব ভবিসত্তে লেখার। মাগার লেখার জুইস এর বড়ই অভাব আমার মাঝে।
আমার মন্তবের উত্তর দেবার জন্য ধন্যবাদ তোকে।
শুভ কামানান্তে।
দোস্ত,
ঢাকা শহরে ঘুরলেই তো মাথায় লাখ লাখ জিনিস চলে আসে। একটা কিছু নিয়ে বসে পর। দেখবি খই এর মত লেখা বের হবে।
ভাল থাকিস...
সাইফুল ভাই , আমি দুঃখিত আপনাদের কথার মাঝে ঢুকে পড়ার জন্য। আমি বুয়েটের ভিসির ব্যাপারে দু তিন কথা বলার জন্য ঢুকলাম।
প্রথমত একজন ভিসির সাফল্যের মুল্যায়ন কিভাবে করা যায়?? কনভোকেশন আয়োজনের মাঝেই কি চরম সার্থকতা। সেটা যদি হয় শফিউল্লাহ স্যারকে ব্যর্থ বলতেই হবে। তবে একটা ব্যাপার হলো আমি যতদূর শুনেছি (এই কথার অথেনটিসিটি প্রুভ করতে পারবো না) , কনভোকেশন এর ব্যাপারে কথা উঠলেই আসলে তার সাথে জড়িয়ে ছিলো তত্বাবধায়ক সরকারের অনিচ্ছা। সেটা ঠিক কী কারণে বলতে পারবো না। কিন্তু বুয়েটের ছেলেবুড়ো সবাই জানতো নির্বাচিত সরকার আসলে তারপরেই কনভোকেশন হবে। তাই সদিচ্ছা থাকলেও হয়তো উঁনার করার কিছু ছিলো না।
আমি বুয়েটের ছাত্র হিসাবে আলী মর্তুজাকে চার বছর দেখেছি। তার পর শফিউল্লাহ স্যারকে দেখেছি দেড় বছর। এখনকার নজরুলের গল্পও শুনি বুয়েটের ছেলেদের মুখে। এই তিনজনকে মূল্যায়ন করলে প্রথমেই যে ব্যাপারটি আসবে সেটা হলো শফিউল্লাহ স্যার কোন রাজনৈতিক দলের কাছে মাথা বেঁচা নন। তিনি কোন রাজনৈতিক ছাত্রসংঘটনকে গুন্ডা বাহিনী বানানোতে মদদ দেননি। যেটা অন্যন্য ভিসিরা প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে করেছেন।
এবার সেশন জটের কথায় আসি। শফিউল্লাহ স্যারের আমলে একবার ছাড়া( তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কারফিউ) কখনৈ পড়ালেখার অগ্রযাত্রা থামেনি। খুব দ্রুত সময়ে কয়েকটি ব্যাচ বের করে দিতে ওপেরেছেন। যার মূল কারন ছিলো তাঁর গুন্ডাবাহিনী পৃষ্ঠপোষকতা না করা।
এছাড়াও বিভিন্ন ক্রীড়া সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা যা আগে দেখা যেত দুই বছরে একবার হয় সেগুলোকে তিনি রেগুলার করেছেন এরকম আরো অনেক কিছু। ক্যাডেট বলে পক্ষপাত নয় আমি উনাকে সফল ভিসি বলেই মনে করি। আপনি যেভাবে কনভোকেশনের ঢোল বাজিয়ে উঁনার ব্যর্থতার কথা বলে যাচ্ছেন সেটা আমার কাছে মোটা দাগে সরলীকরণ মনে হচ্ছে।
আমার কথায় কষ্ট পেলে মাফ করে দিবেন।
আর পোস্টের ব্যাপারে আমার আরো কিছু কথা আছে । সেগুলো সময় করে বলে যাবো।
আমিন,
না না তুমি ভাল করেছ ঢুকে। তোমার কথা গুলো ভাল ছিল। আমি আমার ব্যাখ্যা এখানে দেবার চেষ্টা করছি। আশা করি তুমি বুঝতে পারবে।
১. আমি আমার মূল লেখায় এটা কে ফেইলর হিসেবে উল্লেখ করিনি একবারো। বলেছিলাম "এগুলো ভাল লীডারশীপ এ্যাটিটিউড কিনা"? পরে বন্ধু মাশফিকের কমেন্ট এর উত্তর দিতে গিয়ে ফেইলর বলেছি। যেটা আসলে এক কথায় বলা যায় না এবং আমার সেই শব্দ চয়ন ঠিক হইনি।
২. তোমার সাথে আমিও একমত শুধু মাত্র কনভোকেশন আয়োজন করার মধ্যেই একজন ভিসি-র সাকসেস কিংবা ফেইলর তুলে ধরা যায় না। আমি মোটা দাগে কনভোকেশনের ব্যাপারটা উল্লেখ করেছি, যাতে সবার জন্য ব্যাপারটা বুঝতে সহজ হয়। আমি স্পেসিফিক অন্য কিছু বলি নাই, যেমন বুয়েটে আমাদের কি কি জার্নাল এর এ্যাক্সেস ছিল, বা আমাদের রিসার্চ ফ্যাসিলিটিস কি ছিল? অন্য দেশের সাথে কম্পেয়ার করে বুয়েট কত বছর পিছিয়ে আছে? সেগুলো উল্লেখ করলে একটা স্পেসিফিক গ্রুপ (ইঞ্জিনিয়ার আর আর্কিটেক্ট)এর জন্য লেখাটা হয়ে যেত। এখন তুমি বল, বুয়েট এ কি এ ধরনের কোন মৌলিক বিষয়ে আমাদের প্রাক্তন ভিসি, এক্স ক্যাডেট ভাই কোন অবদান রেখেছিলেন? আমার সেটা জানা নেই। তুমি জানলে, আশা করি জানাবে। তবে, আমার মতে বুয়েট ৭০-৮০ এর দশকে যে রকম ছিল, এখনো সে রকম আছে। অথচ আশে-পাশের দেশের অনেক ইন্সটিটিউট অনেক এগিয়ে গেছে। আমি, ক্যাডেট কলেজের লীডারশীপ এ্যাটিটিউড থেকে আমরা আসলে কি ডেলিভারি করছি, নাকি গতানুগতিক "বাংলাদেশী লীডারশীপ" এর মতই প্র্যাক্টিস করে যাচ্ছি তা বুঝানোর চেষ্টা করেছিলাম। আমি দুঃখিত যে, আমি হয়ত সেটা বুঝাতে পারিনি।
৩। তুমি স্বীকার কর আর না কর, বাংলাদেশের সকল ভিসি যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের হোক, তাঁর রাজনৈতিক অ্যাফিলিএশন থাকে। আমাদের প্রাক্তন ক্যাডেট ভাই, যেহেতু বিগত তত্ত্ববধায়ক সরকারের আমলে ভিসি হয়েছিলেন, তাই উনার এরকম (রাজনৈতিক অ্যাফিলিএশন) কিছু দরকার ছিল না। আর সেই সরকারে অনেকে এক্স ক্যাডেট ছিলেন। আমি আবার তার যোগ্যতা নিয়ে কথা বলছি না। বাংলাদেশে ভিসি হবার যোগ্যতা কি কি, তা আমরা সবাই জানি।
৪। ক্যাডেট কলেজে যেহেতু রাজনীতি করার সুগোগ নাই, তাই এর প্র্যাক্টিস আমাদের প্রাক্তন ক্যাডেটদের মধ্যে থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। যদি এর ব্যতিক্রম থাকে, তা দুঃখজনক। দেশপ্রেমটাই আমাদের জন্য মুখ্য বিষয়, কোন রাজনৈতিক দল নয়। আর আমাদের এক্স ক্যাডেট ভাই সেটা খুব ভালভাবেই ধরে রাখতে পেরেছিলেন, সেজন্য ক্যাডেট কলেজ শিক্ষা ব্যবস্থা এবং ব্যক্তিগত ভাবে উনি প্রশংসার দাবি রাখে।
৫। তুমি যে ৩ জনের তুলনা দিলে আমিও তোমার সাথে একমত। তাদের সাথে তুলনা করলে শফি উল্লাহ ( নাম উল্লেখ করতে চাই নাই কখনো) স্যার কেই সেরা বলব। ভাই এখন আমি যদি আমাদের ক্যাডেটদের কে বাইরের স্কুলের ছেলে-মেয়েদের সাথে তুলনা করি, তাহলে তো তারা নিঃসন্দেহে সেরা। আমরা কি তাদের কে জামায়াত ইসলাম আর আওয়ামী লীগের ভিসি দের সাথে তুলনা করব, নাকি পাশের দেশের আইআইটি, কিংবা উন্নত বিশ্বের ভিসি দের সাথে তুলনা করব, এবং সেখানে থেকে ইন্সটিটিউট কে কি ভাল ডেলিভারি দিল,কত দূর এগিয়ে নিয়ে গেল তা নিয়ে ভাব্ব, তোমার কাছে প্রশ্ন রইল।
৬। তত্ত্ববধায়ক সরকারের সময় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ভাল চলে। কারণ কি তুমি ভাল করে জান। তাই শফি উল্লাহ স্যার সে সুযোগ টা পেয়েছিলেন। কিন্তু তার পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগ ছিল নিঃসন্দেহে। খেলা-ধূলা কিংবা সাংস্কৃতিক কর্ম কান্ড নিয়মিত হওয়া একটা এ্যাডমেনিস্ট্রিটিভ ফাংশন। এখানে ভিসির খুব একটা বড় ভূমিকা থাকে বলব না আমি। তারপর ও আমার এই ইনফরমেশনটা জানা ছিল না।
৭। যাই হোক বুয়েট নিয়ে কথা আরেকদিন বলব বলে ঠিক করে রেখেছিলাম, কিন্তু অনেক কথা বলে ফেলেছি।
৮। "ঢোল বাজানো" শব্দটা হাল্কা নেগেটিভ ছিল । তবে এজন্য আমি কিছু মনে করিনি।
৯। শেষে ভাই, আমি আবারও বলছি, কাউকে ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ বা ছোট করার জন্য আমি কিছু লিখিনি বা আমার অবচেতন মনে তা ছিল না। কারো নামও আমি উল্লেখ করিনি সেজন্য। তারপরও কমেন্ট এ অনেকের নাম চলে আসছে, যেটা আমি চাই নাই। আমি সামগ্রিক ভাবে ক্যাডেট কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি হোক তার জন্য ব্লগটা লিখেছিলাম। আমার লেখায় কেউ আঘাত পেয়ে থাকলে আমি তার জন্য দুঃখিত।
ভাল থেকো আমিন... (সম্পাদিত) (সম্পাদিত)
সাইফুল ভাই ,
ঢোল বাজানো শব্দটা ব্যভারের জন্য সরি বলে শুরু করে। আসলে আমার শব্দ চয়ন ঠিক হয়নি। আমার কথা দ্বারা কেউ আহত হোক তা আমি কখনৈ চাই নি। ছোট ভাই হিসাবে মাফ চেয়ে নিলাম।
আপনার পয়েন্ট টু থেকে আসল পয়েন্ট টা ধরতে পারলাম। আমি আসলেই বুঝতে পারিনি আপনার বক্তব্যটা আঘে। আপনি যে বিষয়গুলোর অবতারণা করেছেন হালকাভাবে সেগুলো আসলেই খুব গুরুত্বপূর্ণ আর এ বিষয়ে আপনার সাথে একমত।
আসলে বুয়েটের সাম্প্রতিক কর্মকান্ড কিছু ছোট ভাইদের মুখে শুনে এত ফ্রাস্টেটেড নিজেদের অজ্ঞাতেই বুয়েট ঢুকে পরে। আপনার বুয়েট বিষয়ক লেখার অপেক্ষায় রইলাম। সেখানেই না হয় এসব নিয়ে আলোচনা হবে।
আপনার লেখার স্পিরিট টা আমি ধরতে পেরেছি। এবং আপনার উদ্দেশ্যের প্রতি সালাম আগেই জানিয়েছি। এই আলোচনার মূল ফোকাসটা দূরে সরাতে চাই না। আমি আবারও দুঃখিত আপনাকে আহত করে থাকলে।
ভালো থাকবেন ভাইয়া।
আমিন,
কি বলছ তুমি এইসব? আমি মাইন্ডও করি নাই, আহতও হয়নি। জাস্ট বড় ভাইয়ের মত একটু বলেছি, বলতে পার, এই যা...
হ্যাঁ, বুয়েটের ব্যাপারটা আরো ফ্রাস্টেটিং। কোন এক সময় আলোচনা করা যাবে ।
ভাল থেকো...
আমি ক্যাডেট কলেজ এর ছাত্র নই, তবু আমার কাছে ব্লগ টা ভালো লেগেছে. আমি sabbir (92-98) ভাই এর মন্তব্য এর সাথে ও এক মত. মো. খুরশিদ আলম
খুরশিদ ভাই,
আপনাকে ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য। ভাল থাকবেন।
তালগাছ আমার।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব ভাই,
আরেকটু যদি ঝাইরা কাঁশতেন। উপর দিয়ে গেছে ভাই...
::salute::
সাইফুল
একটা ব্লগই লিখে ফেলবো। উত্তর অনেক লম্বা হয়ে যাবে।
তোর কোনো কোনো বক্তব্যের সাথে দ্বিমত নাই আবার কোনোটার সাথে আছে।
যাই হোক লেখাটা বেশ ভালো হইছে।
আরও লিখতে থাক।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব ভাই,
কেন জানি, মনে হইতেছে, ফার্স্ট কমেন্টে হাল্কা বাঁশ খাইছিলাম 😕 , তবে টের পাইনাই পরথমে।
তবে পরে যেহেতু কইছেন ভাল হইছে, তায় খুশী... 😀
ভাল থাইকেন ভাই।
::salute::
আমার বাবা এফসিসির ১০ম ব্যাচের ছাত্র। এক সময় এএজি ক্যাডেট কলেজ ছিলেন। ওফা, সিসিসিএল এর সাথে খুব ঘনিষ্ট ভাবে জড়িত। আমাকে খুব সাধ করে ক্যাডেট কলেজে পড়িয়েছেন। কিন্তু আমার ছোট ভাইটিকে পড়াননি কারণ ওকে ইংরেজী মিডিয়াম থেকে বাংলাতে চেঞ্জ করাতে চায়নি তখন। কিন্তু পরে ঠিকই ওকে ও লেভেলের পর নটরডাম কলেজে ভর্তি করানো হল দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর জন্য...আর তখন অনেকই আফসোস করেছেন ক্যাডেট কলেজে না পড়ানোর জন্য। কিন্তু বাবাকে প্রায়শই প্রচন্ড আক্ষেপ নিয়ে বলতে শুনি, "বাংলাদেশ থেকে ক্যাডেট কলেজ উঠিয়ে দেয়া দরকার। একেকটা ক্যাডেটের পিছনে এতো এতো টাকা খরচ করছে বিদেশে গিয়ে নাম কামানোর জন্য।"
আসলে সাইফ ভাই, ক্যাডেট কলেজের পড়ালেখার মানের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে কিছুই বলতে পারব না, কিন্তু আমার একটা জিনিস আসলেই অনেক খারাপ লাগে যে এ ক্যাডেট গুলোর মধ্যে দেশকে কিছু ফেরত দেবার আকাঙ্কখাটা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশী হওয়া উচিত ছিল যার অভাব খুব বেশি করে লক্ষনীয়।
আর আপনি যে স্বপ্ন দেখালেন ক্যাডেট কলেজ নিয়ে, যেমন ইমেজ তৈরী করে রেখেছে দার্জিলীং এর বোডিং স্কুলগুলো... এটা নিয়ে আসলেই ব্যাবস্থাপনা কমিটির ভাবা উচিত। যদিও রাতারাতী কোন কিছুই পালটে দেয়া সম্ভবপর নয়, তারপরও পদক্ষেপ এখনি নেয়া উছিত এবং আমার মনে হয় এফসিসি, এমসিসি, জেসিসি, আরসিসি সহ পুরাতন কলেজের এক্সক্যাডেটরা যারা সমাজে অনেক বড় বড় জায়গায় প্রতিষ্ঠিত এই নিয়ে কাজ করতে পারেন। আসলে তাদেরই কাজ করা উচিত। অবশ্য আমার সীমিত গ্যানে আমি জানি না কতটুকু কি সুযোগ আছে, তা না হলে চট্টগ্রামে নাসিরাবাদে ৫০ জন অল্ড ফৌজিয়ান মিলে "স্যার কর্নেল মরিস ব্রাউন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল"( http://www.facebook.com/pages/Sir-Maurice-Brown-International-School-Chittagong-Bangladesh/158265664310?sk=wall) নামের এক বিগ বাজেটের স্কুল প্রতিষ্ঠা করত না। (সম্পাদিত)
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
জিতু,
আমার লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
তোমার বাবা ফৌজিয়ান ছিলেন এটা জেনে খুব ভাল লাগছে এবং তোমাকে ক্যাডেট কলেজে দিয়ে ভুল করেনি, তা তো দেখতেই পারছি। আমরা তোমার লেখা ব্লগ পড়তে পারছি। অন্তত আমাদের বঞ্চিত করেন নি। আংকেল বলব নাকি ভাই বলব বুঝতে পারছি না। যাই হোক আঙ্কেল-ই বলি। সামনা-সামনি দেখা হলে ভাই বলব।
আঙ্কেল, ওফা এবং সিসিসিএল এর সাথে জড়িত আছে, জেনে খুবি ভাল লাগছে। আশা করি,তোমার মাধ্যমে আঙ্কেল লেখটা পড়তে পারবে। আঙ্কেল-এর মত আরো অনেকেই আছে, যারা আমাদের এই চিন্তা-ভাবনা টা কে বাস্তবরূপ দিতে অনেক বেশী রকম সাহায্য করতে পারে। আমরা সবাই এটা নিয়ে টুক-টাক কাজও শুরু করতে পারি আস্তে আস্তে।
আঙ্কেল এর অভিযোগ টা ঠিক। অনেক টাকা খরচ করে আমাদের পড়ানো হয়েছে, দেশের জন্য কিছু করতে, বাইরের দেশে গিয়ে সার্ভিস দিতে নয়। হ্যাঁ, আমি মনে করি বাইরে কিছুদিন থেকে আসা উচিৎ। এতে জ্ঞানটাও যেমন বাড়ে, তাদের অনেক ভাল কিছু নিজের দেশে ইমপ্লিমেন্ট করা যায়। পারমানেন্ট ভাবে থেকে যাওয়া দেশের জন্য যেমন ভাল না, ব্যক্তির জন্যও না।
হ্যাঁ, আমাদের ক্যাডেট দের দেশের প্রতি যতটুকু দায়িত্ব আছে, আমার মনে হয় আমরা তা ঠিক মত করতে পারছি না, বা করার চেষ্টাও করছি কিনা, আবার আমাদের ভাবা উচিৎ।
তোমার সাথে আমিও একমত। পুরানো ৪ ক্যাডেট কলেজ গুলোর ভাইদেরই দায়িত্ব নেয়া উচিৎ। আমরা সবাই তো একটা পরিবার, বড় ভাই হিসেবে তো আমরা (পুরানো ৪ ক্যাডেট কলেজ ), আমাদের দায়িত্ব আর কর্তব্য এড়াতে পারিনা। আর তাদের অনেকেই অনেক ইনফ্লুয়েনশিয়াল জায়গা আছে বা কাজ করছে। সো, যদি আমরা সবাই চাই আমদের ক্যাডেট কলেজ গুলোর আধুনিকায়ন হোক, তাহলে "ভিশন ২০২০-২০২৫" এর মত কিছু আমরা করতে পারলে, তা ইমপ্লিমেন্ট করা অনেক সহজ হবে।
“স্যার কর্নেল মরিস ব্রাউন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল” এর কন্সেপ্টা আমি জানি। আমার বাক্তিগত মতামত হচ্ছে, ক্যাডেট কলেজের মত একটা সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান এর কোন অংশ বা কারো নাম ব্যবহার করে, ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার না করটাই শ্রেয়। উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন? এগুলো আসলে ভাল কোন উদাহরণ নয়।
আমি জানি, তুমি বুঝাতে চেয়েছ যে, প্রচুর লোকের (এক্স ক্যাডেটদের) সামর্থ্য আছে কলেজ গুলোর আধুনিকায়নে সাহায্য করার। হ্যাঁ এটা আমিও বিশ্বাস করি। পাশ্চাত্যে এই কালচার আছে, সবাই কোন না কোনভাবে তাদের স্কুল, কলেজ কিংবা ভার্সিটি-কে আর্থিক ভাবে সাহায্য করে। কেন জানি, আমরা বাঙ্গালীরা, তাদের (পাশ্চাত্যে কালচারের) ভাল অংশ ওভারলুক করে খারাপ যা কিছু মাথা পেতে নি।
আশা করি, এক্স ক্যাডেটরা, এর থেকে বের হয়ে আসার পথ দেখাবে জাতিকে।
ভাল থেকো... (সম্পাদিত)
আমি যতটুকু জানি স্যার মরিস ব্রাউন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল আর দশটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের মতই সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত। ৫০ জনের যে গ্রুপ এটা শুরু করেছেন তাঁদের লক্ষ্য ভবিষ্যতে এটা থেকে অন্যান্য বিজনেস এক্সপান্ড করা। সবাই এ উদ্যোগের কথা জানতো না বা তাদের জানানো হয়নি (যদিও সকল ফৌজিয়ানের ডেটা ওফা অফিসে সংরক্ষিত আছে), পরে অনেকেই অন্তর্ভুক্ত হতে চাইলে জানানো হলো অন্তর্ভুক্তির সময় শেষ।
"আমার বাক্তিগত মতামত হচ্ছে, ক্যাডেট কলেজের মত একটা সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান এর কোন অংশ বা কারো নাম ব্যবহার করে, ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার না করটাই শ্রেয়।"-- আপনার সাথে একমত।
শহীদুল,
"স্যার মরিস ব্রাউন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল" নিয়ে আরেকটু ব্যাখ্যার জন্য ধন্যবাদ।
কমেন্টগুলোর ধারাবাহিকতায় আর একটা জিনিস যোগ করতে চাই, সেটা হচ্ছে অনেকেই সাইফুল ভাইয়ের ইংরেজী মিডিয়ামের উপর জোড় দেয়ার ক্ষেত্রে দ্বিমত পোষন করেছেন। কিন্তু আমার মনে হয় (আমি ভুলও হতে পারি,) সাইফুল ভাই যেই উদ্দেশ্য নিয়ে লেখাটি লিখেছেন, একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য ক্যাডেটীয় শিক্ষাপদ্ধতি যুগপোযোগী কি না সেটা একটা বড় বিবেচ্য বিষয়। মাশফিক ভাই যেটা বললেন,
না, আমরা বিপদে নেই খুব একটা কারণ বাইরের অন্যান্য স্কুল কলেজগুলার তুলনায় ক্যাডেট কলেজে অনেক বেশি ইংরেজীর চর্চার সুযোগ থাকে। তবে ইংরেজী জানা এবং কনফিডেন্টলি ইংরেজী বলাটা অনেক জরুরী। আমাদের প্রচলিত বাংলা মিডিউয়ামের শিক্ষাপদ্ধতিতে বাংলা থেকে ইংরেজী ট্রান্সলেশনের মাধ্যমে ইংরেজী ভাষা শিক্ষা দেয়া হয়। যা একেবারেই ভুল একটা পদ্ধতি। আর একটা জরুরী বিষয় এখানে বিবেচ্য, তা হচ্ছে কারিকুলাম। কেবলমাত্র আই এস ডি (যেখানে আমার কিছুদিন কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছিল বলে বলছি) এবং আগাখান স্কুল বাংলাদেশে আই বি (International Baccalaureate) কারিকুলাম ফলো করে যাটা বিশ্বের যেকোন হাইস্কুল বা কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় গ্রাজুয়েশনে ভর্তি অনেক সহজ করে দেয়, এরা অনেক বেশী প্রায়রিটি পাবে। যারা এই কাইকুলাম নিয়ে কাজ করেছেন তারা জানেন, আপাতদৃষ্টিতে "স্কুল এ তেমন পডাশুনা হয় না, বিভিন্ন extra কারিকুলার activity বেশি হয়" কিন্তু এর পদ্ধতিটাই অনেক বেশি প্র্যাকটিকেল নির্ভর। আর বাদ বাকি ইংরেজী মিডিয়াম স্কুল গুলোতে ফলো করছে ক্যাম্ব্রিজ কারিকুলাম যা কিনা "জি সি এস ই" (GCSE) বা অক্সফোর্ড কারিকুলাম যা কিনা "জি সি ই" (GCE) নামে পরিচিত। এই কারিকুলাম গুলো যেহেতু বহির্বিশ্বে অনেক বেশি সমাদ্রিত ও প্রচলিত তাই অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য অনেকেই আজকাল এগুলোর প্রতি ঝুকছে। আমাদের দেশে ইংরেজী ভার্সন বলে যে ইংরেজী মিডিয়াম পরিচিত তা মূলতঃ ন্যাশনাল কারিকুলাম বা সহজ কথায় বাংলা মিডিয়ামের বই গুলো ইংরেজীতে ট্রান্সলেট করে পড়ানো মাত্র। এবং বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীরা প্রচন্ড বিপাকে পরে কারণ বইগুলো যথেষ্ট মানসম্মত নয়, তখন তারা নীলক্ষেতে ছুটে ইন্ডিয়ান বই কিনতে। আমাদের বাংলাদেশে বর্তমানে "সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি" কিছুটা উল্লেখিত কেম্ব্রিজ বা অক্সফোর্ড ধারা অনুসরণ করছে। কিন্তু কারিকুলাম যাই হোক না কেন শিক্ষাদান পদ্ধতি এবং শিক্ষকদের মান এখানে একটা বিশাল ভূমিকা রাখে। ক্যাডেট কলেজের মত একটা (বেশ বড়সড় বাজেটের) জায়গাতে শিক্ষকদের ট্রাইনিং এর তেমন কি সুযোগ সুবিধা আছে আমার জানা নেই।
You cannot hangout with negative people and expect a positive life.
জিতু,
আবারো ধন্যবাদ। ইংরেজি শিক্ষার ব্যাপারে, তার যে অপপ্রয়োগ হচ্ছে আমদের দেশে সো কলডঃ ইংরেজি মাধ্যমে তা নিয়ে তোমার ব্যাখ্যা এবং আমাকে এই ব্যাপারে সাপোর্ট এর জন্য :hatsoff:
তুমি যেমন খুব কাছ থেকে আইএসডি বা আরো কিছু ভাল কারিকুলামের স্কুল দেখেছ, তোমার এক্সপিরিয়েন্সটা আমরা খুব ভালভাবে কাজে লাগাতে পারব, আমাদের ক্যাডেট কলেজ গুলোর আধুনিকায়নে আমরা এই আশা নিশ্চয় করতে পারি, কি বল?
গুড এ্যানালাইসিস বাই দা ওয়ে। ভাল থেকো (সম্পাদিত)
উপরে সবার চমৎকার প্রাণবন্ত আলোচনা উপভোগ করলাম। এবার আমার নিজের কিছু বক্তব্য গুছিয়ে বলার চেষ্টা করি।
প্রথমত আমি আগের মন্তব্যে শুধু একাডেমিক বলাটা কিছুটা মিসলিডিং মনে হয়েছে। এবং স্বভাবতই খেলাধূলার ব্যাপারটা চলে এসেছে। খেলাধূলা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড এবং অন্যান্য ট্রেইনিং এর মূল উদ্দেশ্য আসলে আই কিউ লেভেলের বিকাশ। তাই ক্যাডেট কলেজ থেকে দেশের জন্য ভালো খেলোয়ার প্রডিউস হবে এমন আশা করা বাতুলতা। কারণ ক্যাডেট কলেজের মূল স্পিরিট বিকেএসপির মত নয়। তবে বর্তমান সময়ে বিশেষ করে ঢাকা শহরের শিশুদের শৈশব বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই করুণ। তার মূলে রয়েছে খেলাধূলার পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার অভাব। এর ফলে মূলত দুই রকমের ধারা আসছে। বহির্মুখী আর ঘরমুখী। বর্তমান সামাজিক কারণেই অভিভাবক রা তাদের ছেলেমেয়েদের ঘরমুখী বুকিশ নার্ড হিসাবে দেখতে চান। ক্যাডেট কলেজের সাফল্য এখানে আমি দিবো। অন্তত এখান থেকে সোস্যালি এবং মেন্টালি চ্যালেঞ্জড ফার্মের মুরগি বের হয় না। আমার আগের কথার স্পিরিট ছিলো মূলত পড়ালেখা পড়ালেখা করে আমরা যেনো খেলাধূলা ও হাওয়া বাতাস লাগানোর ব্যাপারটাকে ছুড়ে না ফেলি।
অনেক আলোচনার পরেও আমি মূল্যায়ন করতে পারলাম না সাফল্যের মাপকাঠি হিসাবে আমরা ঠিক কী ধরবো?? ব্যাক্তিগত পর্যায়ে সফল, সামাজিক পর্যায়ে সফল নাকি সুস্থ মানসিকতায় বেড়ে উঠা একজন চিন্তাশীল মানুষ। সর্বনিম্ন স্তর হিসাবে আমি শেষেরটাকেই ধরবো। তাই আমার কাছে কারিকুলামগত উন্নতির পাশাপাশি মূল সুরটা আসলে জ্ঞানের বিকাশ অথবা জ্ঞাননেত্রের জাগরণ। বিদেশে পড়ালেখা করতে আসা মানুষদের মাঝে আমি মাঝে মাঝে এমন সব প্রবণতা লক্ষ্য করেছি যার মাঝে থেকে আমি নিশ্চিত হই একাডেমিক এক্সিলেন্স কখনো একজন মানুষের মনুষ্যত্বের মাপকাঠি হতে পারে না। সামষ্টিক চিন্তা এবং নিজের দর্শন হীন ওয়ার্থলেস লাইফ ও খুব কম না যারা একাডেমিক্যালি খুবই হাই প্রোফাইল। এইদিক দিয়ে আমার মতে সবচেয়ে মূল্যবান হলো ক্যাডেট কলেজে লাইব্রেরির পূর্ণ ব্যবহার। আমাদের সময় লাইব্রেরি ছিলো সাপ্তাহিক গল্পের বই ইস্যু করার জায়গা। এই ব্লগেই ছোট ভাইদের লেখা থেকে জানতে পারি পরবর্তীতে ভালো কিছু উদ্যোগের মাধ্যমে তার বিকাশ ঘটেছিলো।
আর শিক্ষক সম্পর্কে বলি , আমার মনে হয় ক্যাডেটদের শিক্ষক হিসাবে টেকনিক্যালি সলিড হওয়াটা যত গুরুত্বপূর্ণ তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মোটিভেশন ক্ষমতা। কারণ এদেশের বর্তমান পাঠ্যক্রমে এসএসসি ইন্টারে যা পড়ানো হয় তা ক্যাডেটরা নিজেরাই পড়ে শিখার জন্য ক্যাপেবল। শিক্ষকদের কাজ শুধু পথ দেখিয়ে দেয়া। আর আরেকটা ব্যাপার এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো শিক্ষকদেরকে সকল প্রকার প্রসাশনিক কাজ থেকে রেহাই দেয়া এবং শিক্ষক ছাত্র সম্পর্কের উন্নতি ঘটানো।
নলেজ লাভ হলে রেজাল্ট আসবে অটোমেটিক্যালি। আর আরেকটি ব্যাপার গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো ক্যাডেটদের এথিকস বিল্ড আপ করা। দেশের মানুষের যে ত্যাগের বিনিময়ে তারা অতিরিক্ত সুবিধা ভোগ করছে সেই বোধ তৈরি করা আর সেই অনুযায়ী নিজেকে বিল্ড আপ করা। আমার কাছে মনে হয় সেলফ মোটিভেশন বেস্ট মোটিভেশন।
গুছিয়ে লিখতে চাইলেও লেখাটা বেশ অগোছালো হয়ে গেছে। আরো কিছু পয়েন্ট মনে হয় রয়ে গেলো। পরে আবার সময় করে বলে যাবো।
আমিন,
আবার ও ধন্যবাদ। চমৎকার লিখেছ। তোমার এই কমেন্ট থেকে অনেক গুলো বিষয় স্পষ্ট হয়েছে। যেমনঃ মোটিভেশন, ছাত্র- শিক্ষক সর্ম্পক, ইথিক্স বিল্ড আপ, দেশপ্রেম আর নিজে যে প্রিভিলাইজড শ্রেণী ভুক্ত এই আত্ত্বপলোব্ধির ব্যাপার গুলো। আলোচনার অবকাশ রাখে...
প্রতি বছর ৫০০ জন (এখন ৬০০ জন) থেকে একজন দু-জন খেলোয়াড় ( অন্তত দাবা আরা টিটি-তে হলেও) যদি আমরা পেতাম, তবে কি তা খুব খারাপ হত দেশের জন্য? অনেক ভাল ভাল খেলোয়াড় ছিল, কিন্তু মোটিভেশন আর সেই "ভিশণ" হয়ত দেয়া হইনি বা ভাল খেলোয়াড়রাও হয়ত চাই নি।
ভাল থেকো... (সম্পাদিত)
ভাইয়া,
ক্যাডেট কলেজ অথরিটি এবং সিস্টেম এর বাগ এবং সম্ভাব্য মডিফিকেশন নিয়ে আমার আগের একটা পোস্ট ছিলো। সেখানে সুন্দর কিছু পয়েন্ট উঠে এসেছিলো আলোচনার মাধ্যমে। প্রসঙ্গিক মনে করে লেখাটার লিংক শেয়ার করছি।
//cadetcollegeblog.com/amin1861/19728
শিক্ষকদের ব্যাপারে বলবো, আমাদের অথরিটির মূল কাজ হবে শিক্ষকদের পদটিকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলা। আর শিক্ষকদের প্রশাসনিক কাজ থেকে রেহাই দেয়াটা খুবই জরুরি। কারণ একদিকে তা শিক্ষকদের ব্যাক্তিগত জীবন বলে কিছু দিবে (যা একজন ক্যাডেট কলেজ শিক্ষকের নেই বললেই চলে) , সেই সাথে ক্যাডেট কলেজের ছাত্র শিক্ষক সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাবে।
এথিকস বিল্ড আপের বিষয়টা আসলেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা কলেজে থাকতে নিজের ব্যাচমেটের মুখেই শুনেছি, ক্যাডেট কলেজে পাওয়া সুবিধাগুলো তার যোগ্যতা এবং এর জন্য তার কোন দায়বদ্ধতা বা কৃতজ্ঞতাবোধ নেই। এ ধরণের উপলব্ধি আসলেই দুঃখজনক। একইভাবে কলেজ থেকে বের হয়ে দু তিনটা কাজ করেই যাতে আমাদের মাঝে মহাপুরুষ সিনড্রোম তৈরি না হয়ে যায় সেটাও জরুরি।
আরেকটা ব্যাপার হলো ক্যাডেট কলেজের ছাত্র শিক্ষক সর্বোপরি সবাইকেই প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার সাথে তাল মেলাতে শিখতে হবে। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা বলতে আমি ক্যাডেট কলেজে কম্পিউটার ল্যাব , শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যভার এই বিষয়গুলোকে বুঝাচ্ছি। সেই সাথে মোটিভেশনের জন্য শিক্ষা সাহিত্য বিজ্ঞান নিয়ে কর্মশালার নিয়মিত আয়োজন ঘটানো যেতে পারে। দুনিয়া যখন এগিয়ে যায় সেই পরিবর্তিত হাওয়া ক্যাডেট কলেজে প্রবেশ করতে দিতে হবে।
আপাতত এটুকুই। পরে আবার বলবো সময় করে।
আমিন,
তোমার লিঙ্ক এর ব্লগ আর তার কমেন্টগুলো থেকে অনেক কিছু উপলব্ধি করার আছে। বেশ ভাল লেগেছে সেটা, আবারো বলছি।
শিক্ষক দের ব্যাপারে তুমি যেটা বলেছ সেটা খুবি ঠিক। কিন্তু ঐসব কাজ করবে কে? আমার একটা সাজেশন হচ্ছে, প্রতি ক্যাডেট কলেজে ৩/৪ জন করে ( ৩/৪ হাউসের জন্য) সেকেন্ড ল্যেফটেনেন্ট বা ল্যেফটেনেন্ট নিয়োগ দেয়া, যারা এ্যাডজুটেন্ট এর আন্ডারে কাজ করবে। এবং ঐসব ইয়াং আর্মি অফিসার রেস্পক্টেড ক্যাডেট কলেজ থেকে নিয়োগ দিলে আরো ভাল হয়। কেননা আমার মতে কলেজ থেকে পাস করার ৪-৫ বছর পর্যন্ত কলেজ স্পিরিট তুঙ্গে থাকে। ধীরে ধীরে তা ফিকে হয়ে আসে অনেক ঝামেলার কারণে। যারা , স্যারদের এখন যেসব এ্যাডমিনের কাজ করতে হয়, সেগুলো দেখা শোনা করবে। স্যাররা শুধু ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা, আর মানবিক বিকাশ, সুকুমার গুণের বিকাশ নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। আর একজন সাইকোলজিস্ট নিয়োগ দেয়া দরকার, এটা খুব দরকার।
বাকি ব্যাপার গুলোর সাথে সহমত প্রকাশ করলাম। তবে এগুলো নিয়ে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য উল্লেখ করা হলে বা কারও কোন সাজেশন থাকলে, আশা করি এগিয়ে আসবে।
ভাল থেকো।
বিদেশে পড়ালেখা করতে আসা মানুষদের মাঝে আমি মাঝে মাঝে এমন সব প্রবণতা লক্ষ্য করেছি যার মাঝে থেকে আমি নিশ্চিত হই একাডেমিক এক্সিলেন্স কখনো একজন মানুষের মনুষ্যত্বের মাপকাঠি হতে পারে না।
একমত দোস্ত। মনুষ্যত্বের বিকাশটাই সর্বাগ্রে থাকা উচিত। আর সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে মোরা পরের তরে (ভুল হইলে সরি) এই দীক্ষাও দেয়া উচিত।
এখানেও একমত। সুস্থ মেধাসম্পন্ন ছাত্রের জন্য সুস্থ মানসিকতার শিক্ষক অত্যন্ত জরুরী আর তার জন্য প্রয়োজন শিক্ষকদের সুস্থ পরিবেশ প্রদান।
তবে এখানে আমি একটা কথা সকলকে বলতে চাই। আমরা ক্যাডেট কলেজের উন্নতির জন্য সবকিছু করতে চাই। তবে শুধু ক্যাডেটদের জন্যই না, আমার বিশ্বাস পুরো জাতি যে দুর্যোগে রয়েছে, তার থেকে উত্তরনের জন্য ক্যাডেটদের চেয়ে বড় ভুমিকা কেউ রাখতে পারবে না। আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, সমাজতন্ত্রী আর জামায়াতে ইসলামী যার সাপোর্টারই হোন না কেন, একটু নিরপেক্ষভাবে চিন্তা করে দেখেন তো ভাইবোনেরা, আমরা কি ভালো আছি??? আমরা বিশেষত ক্যাডেটরা ভালো আছি, ভালো থাকবো, কিন্তু আমরাতো এই জাতিরই অন্তর্গত। পুরো জাতি কি ভালো আছে? আমরা কিন্তু এই জাতির অবদানেই ক্যাডেট। হয়তো অনেক ক্যাডেটই তার পারিবারিক স্বচ্ছলতার জন্য অনেক উন্নততর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়তে পারতেন। কিন্তু সেটা ভিন্ন কথা। আমরা যারা ক্যাডেট, তারা কি শুধুই সুযোগ্য আর্মি অফিসার হওয়ার জন্য? একসময় হয়তো সেই উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু সময়ের দাবী অনুযায়ী তা হওয়া উচিত, সুযোগ্য নাগরিক তৈরী, যার দ্বারা জাতির সফল নেত্বৃত্ব দেয়া সম্ভব।
যে অসুস্থ রাজনৈতিক চর্চা, অর্থনৈতিক চর্চা, সামাজিক বিশৃংখলা চলছে হয়তো তা আমাদের ওভাবে স্পর্শ করতে পারে না, কিন্তু তা থেকে আমরা বাচঁতেও পারি না। যে কোন একটা বড় কাজ করার জন্য দরকার কমন সেন্টিমেন্ট পুরো দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য, দলের প্রতি আন্তরিকতার জন্য। ক্যাডেটদের চাইতে বড় এবং যোগ্য শক্তি আমার মনে হয় না বাংলাদেশে সম্ভব। ক্যাডেটদের চাইতে বড় বাফার শ্রেনী আর কেউ হতে পারে না জাতিকে সামনে এগিয়ে নেয়ার জন্য। সমাজ ও দেশে-বিদেশে কোন অবস্থানে ক্যাডেটরা নেই??? সময় এসেছে কিছু দেয়ার। ঋন শোধ করার।
সেজন্য আমি বলছি না রাজনীতি বা বিক্ষোভ করার কথা। নিজের অবস্থানে থেকেও অনেক কিছু করা সম্ভব যদি যথার্থ কমিটমেন্ট ও ডেডিকেশন থাকে। আর দলগতভাবেও অনেক কিছু করা সম্ভব। দেশের স্বার্থে নতুন করে কিছু ভাবা ও করা উচিত। আশা করি ক্যাডেটসমাজ এই ব্যাপারে যথার্থ অবদান রাখতে আগ্রহী।
শিশির,
খুব ভাল ভাবে আরো কিছু ব্যাপার তুলে ধরেছ। বিশেষ করে
তোমার প্রতিটি কথার সাথে সহমত প্রকাশ করছি।
ভাল থেকো। (সম্পাদিত)
::salute::
জয় হোক ক্যাডেট কলেজের, জয় হোক বাংলাদেশের, জয় হোক মানবতার। ধন্যবাদ ভাই, আপনার লেখনীর জন্য। এখন প্রয়োজন পদক্ষেপের, আর তার আগে সুনির্দিষ্ট ও বিজ্ঞ পরিকল্পনা। আপনার কাছে থেকেই আশা করবো সিক্যুয়েল আরেকটি লেখা, যা উন্মুক্ত থাকবে সবার পরিকল্পনা উপস্থাপন করার জন্য। খুব দ্রুতই দেখতে চাচ্ছি। ভালো থাকবেন।
আমিন চমৎকার একটি মন্তব্য করেছো। তোমার প্রতিটি বক্তব্যের সাথেই সহমত পোষণ করতে হয়।
ভাইয়া,
এইটা পরথম কাজ
এ কথা সত্য যে ক্যাডেট কলেজগুলো জাতীয় ক্ষেত্রে ততোটা অবদান রাখতে পারেনি, তবে এই হতাশার মাঝেও আশার আলো দেখতে পাই যখন আমাদের ক্যাডেট পরিবারেরই একজন তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দেশের সংকটে এগিয়ে আসেন। এফসিসির এক্স-ক্যাডেট হোসেন জিল্লুর রহমান বিগত তত্বাবধায়ক সরকারের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আশা করি ভবিষ্যতে আরো অনেককেই পাবো যারা বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্যে কাজ করবে।
অতি গুরুত্বপূর্ণ একটা টপিক নিয়ে লেখার জন্য সাইফুল ভাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
হ্যাঁ, ডঃ হোসেন জিল্লুর রহমান সে সময় গুরূত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন দেশের রাজনীতিতে গনতান্ত্রিক চর্চাকে অব্যাহত রাখতে। কিন্তু বাংগালী মনে হয় এমনই। যেই লাউ সেই কদু। পরিবর্তন কতটা হয়েছে ভালোই বুঝতে পারছেন।
ভাই, অবদান অনেকে এক্স-ক্যাডেটই রাখছেন। রাজশাহীর এক্স-ক্যাডেট ডঃ মিজানুর রহমান এখন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান। উনার নামটা বললাম কারন নিউজে সচরাচরই এই নামটা শুনা যায়। এরকম অনেক গুরূত্বপূর্ণ স্থানে অনেক এক্স-ক্যাডেটরা আছেন।
কিন্তু আমি বলতে চেয়েছিলাম সম্মিলিত প্রয়াসের কথা। আমি নিজেও বলেছি যার যার পরিসরে কাজ করার কথা, আশেপাশের মানুষদের মোটিভেট করার কথা। এটা চলছে, অনেকেই করে যাচ্ছেন। কারোটা শুনা যায়, কারোটা না। তবে সবাই মিলে হয়তো কোন পদক্ষেপ নেয়ার এই সময়।
শহীদুল আর শিশির,
দুজনকেই ধন্যবাদ মতামতের জন্য। হ্যাঁ, আমাদের ব্যক্তিগত সফলতা অনেক, তবে আমাদের সামষ্টিক ভাবে জাতির জন্য অনেক কাজ করার রয়ে গিয়েছে। আর আমার মতে, আমরা সেটা শুরু করতে পারি "ক্যাডেট কলেজ শিক্ষা ব্যবস্থা আধুনিকায়ন" এর মাধ্যমে। এটায় সফল হতে পারলে আরো বড় কিছু করার অনুপ্রেরণা আমরা পাব, আমি বিশ্বাস করি।
ভাল থেকো...
(cheshta korechi kintu banglai likha ashchena bole dukhito....... montobbo deya theke lov shamlate parlamna)
So well put Saiful Bhai. Coudn't agree more! I had something to share with you all.
1. Our teachers and adjutants should acquire the basic knowledge about developmental psychology, so that they can help cadets to cope with socioemotional pressures during adolescence. A counseling psychologist also can help students stay motivated.
2.There should be an anti-bullying program for cadets. But I'm not against punishment as I personally believe that a cadet should know the consequence of behavior. Punishment and negetive reinforcement are the required tools to keep our cadets "in line". But programs like, "anti-bully" can raise awareness when it comes to "Abuses" of punishment. It can be carefully designed by a cognitive behaviorist or a psychologist.
3. There also could be a program to improve cadets' memory with mnemonics.
My father studied mechanical engineering @ Buet.He often tells me about his dreams about MIT but he never took any real attempt(maybe he didn't know the path) to make it true. What I see now, buetians usually are done with their GRE and other stuffs even before graduating. They learned it by observing their senior buet bhai and also internet made the admission process so easy since one can access information through internet very easily. I was just wondering if the cadets get chance to access internet from college!....I believe they do! Lastly I would say, the definition of success is ambiguous to me. I really hope cadets will develop internal locus of control and will be able to be "Happy" in life. (সম্পাদিত)
সাইকোলজিস্ট এবং অন্যান্য ব্যাপারে সহমত আপু। গতবছর আমি একই ধরণের একটা কমেন্ট করেছিলাম-
//cadetcollegeblog.com/chinta-shilpy/27307#comment-169900
আয়েশা,
তোমার প্রতিটি পয়েন্টে আরো অনেক কিছু ফুটে উঠেছে, বিশেষ করে কৈশোরের ঐ বয়সে ছেলে-মেয়েদের আবেগ আর চিন্তাভাবনা গুলো কলেজ কতৃপক্ষ যে মোটেও কেয়ার করেনা, এটা সবাই একবাক্যে স্বীকার করবে। এটা যে অনেক সময় সারা জীবন বয়ে বেড়ানোর কষ্ট হয়ে যায়, তাও মনে হয় কেউ কখনো চিন্তা করেছে কিনা, কে জানে?
আর হ্যাঁ, কলেজগুলোতে ইন্টারনেট এর কি ফ্যাসিলিটিস আছে, বা থাকলেও ক্যাডেটরা তা পূর্ণ মাত্রায় ব্যবহার করতে পারছে কিনা, অবশ্যই এটা আমাদের কতৃপক্ষের খোঁজ রাখা উচিৎ। বাইরের স্কুল-কলেজের ছেলে-মেয়েরা কম্পিউটার- ইন্টারনেট ব্যবহার করে কত লাভবান হচ্ছে, নিজের জ্ঞানকে বাড়িয়ে নিচ্ছে, আর আজকের ক্যাডেটরা সেই সুযোগ পাচ্ছে কিনা, কে জানে?
পরিশেষে, তোমার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থেকো...
ভাই আপনার এই লেখাটার মত লেখা সত্তিই দরকার ছিল ব্লগে...। ১টা information সবার সাথে শেয়ার কর তে চাই। আমাদের ক্যডেটদের মধ্যে অনেক পটেনসিয়াল আছে । আমাদের JCCর সৌমিত্র বাংলাদেশে BIOLOGY অলিম্পয়ারড শুরু করার উদ্যোগ নিয়েছে। ইনসাল্লাহ ১ বছরের মধ্যে শুরু হয়ে যাবে। তবে এটা বলা উদ্দেশ্য নয় উদ্দেশ্য হল এটা বলা যে যেই ক্যাডেটরা অলিম্পয়ারড Arrange করতে পারে তারা অবশ্যই অলিম্পয়ারড এ অংশ গ্রহনও কররার যোগ্যতা রাখে...তাই আমার মনে হয় প্রত্যেক এক্সক্যাডেট এসোসিইয়েশন থেকে কলেজ অথরিটিকে এই ব্যাপারে চাপ দেয়া উচিত।
আর ১টা জিনিস যে হয়তো সব ক্যাডেটদের ছেলে তার বাবার মত ব্রিলিয়ন্ট এবং লাকি নয় তাই হয়তো তারা এডমিসন টেস্টে চান্স পায় না...এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত।
তানভীর,
সৌমিত্রের ইনেশিয়েটিভ-এর কথা শুনে খুব খুব ভাল লাগছে। আশা করি সে সফল হবে।
তোমার সাথে একমত। আসলে বর্তমানে ক্যাডেটরা সব ধরনের প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে কিনা, তা অবশ্যই যাচাই করা উচিৎ।
ভাল থেকো...
আরেকটা বাপার মাথায় আসল যে আমরা বাক্তিগত পর্যায়ে কলেজ অথরিটিকে এগুলো বলতে পারব না কিন্তু আমাদের যারা এক্সক্যাডেট এখন কলেজে অ্যাডজুট্যন্ট বা প্রিন্সিপাল হিসেবে আছে উনাদেরকে এইব্লগে এড করার জন্য উনাদের ব্যাচমেটরা বলতে পারে। এতে ২টা কাজ হবে প্রথমত তারা আমাদের এই আইডিয়া থেকে ইনফ্লুয়েন্স হবে ২য়ত আমরা তাদের ব্লগ থেকে নিজেদের কলেজ এর নিয়মিত খবর পাব। আমি অন্যদের কথা বলতে পারবনা কিন্তু মাঝে মাঝে সেই জাযগাটার কথা জানতে ইচ্ছা করে যেখানে জীবনের ১টা প্রিয় অংশ ফেলে এসেছি, যে জায়গাটা আমার অনুভুতির বড় ১টা টুকরোকে বন্দি করে রেখেছে, জানতে ইচ্ছে করে কেমন আছে এখন কলেজটা ? জানতে ইচ্ছা করে কেমন আছে লাল রঙের হাউজটা ? ওটা কি বছর শেষে সবার উপরে থাকে(চ্যাম্পিয়ন হয়) ? নাকি থাকে না ? তবে আমার মনে হয় আমাদের সবারই ইচ্ছা হয় আমাদের ছোটবেলার সেই প্রিয় জায়গাটার কথা জানতে।
তোমার মত আমারও একই অনুভূতি হয়।
সৌমিত্রদার জন্য- :thumbup:
Dear brother Saiful,
Excellent writing. It was quite an eye opener. I liked your ideas. They are worth pondering. The govt. should rethink its objectives with cadet colleges. Is it just to bring out 50 boys with GPA-5 from each one? Before 1971, the objective was clear & focused but today it's totally unclear. Probably it does not want to annoy the defense force authorities. So the lead has to be taken by the CC governing body. There are plenty of top ranking officers of defense forces who are from CC. They should be in the governing body & they along with more top educationists of the country can be used to create a vision for the cadet colleges so that CC becomes a jumping board for a student to join not only the defense forces but also the elite universities around the world. The whole academic curriculum has to be upgraded so that cadets are taught & trained beyond their subjects of board syllabuses. There has to be a big difference between CC & normal colleges else no ex-cadet will send their off springs to CC nor any elite will do the same. Please keep up your good work. Maybe one day people will heed to your wake up call.
regards,
Ex-cadet Alamgir Islam
Cadet no.640
11th batch
Rajshahi cadet College
ধন্যবাদ আলমগীর ভাই আপনার মন্তব্য এবং আমাকে অনুপ্রাণিত করার জন্য। আশা করি, একদিন অবশ্যই সব ঠিক হয়ে যাবে, তবে সময়টা যত তাড়াতাড়ি আসবে ততই আমাদের জাতির জন্য ভাল হবে...
ক্যাডেটে পড়ার জন্য কোন মাধ্যমটি উত্তম- ইংরেজী ভার্সন না কি বাংলা ভার্সন? প্লিজ আমাকে বলবেন?