ক
ক্লান্ত সন্ধ্যাবেলা ঘরে ফিরে শার্ট খুলে দেখি
পিঠে বড়ো বড়ো করে “বেকুব” লেখা
সারাদিন ঠারে ঠুরে চাপা হাসি আর হাহাহিহি
পিঠে ও মুখে আছড়ে পড়েছে নির্বিকার
শার্ট খুলতেই দু’কাঁধ ভেঙে এলো অশ্রু
ঘামে ভিজে পিঠের ওপর লেখাগুলো অক্ষয়
খুব চাপা স্বরে জ্বলজ্বল করছে!
প
প্রতিদিন একটু একটু করে ময়লা হই
ভিতরে ও বাইরে ময়লা জমে যায়
অবলীলায় অনায়াসে, দিনে রাতে
ময়লাগুলো অযথা অমায়িক অতিথি
রাত একটার পরে ভালো লাগতে থাকে
ময়লা ঘুমিয়ে পড়ে ভিতরে ও বাইরে।
ত
তোমাকে চেনার চেষ্টা চলেছে চারদিন
চারদিন ঘড়ির কাঁটা স্থবির ছিলো, হরতালে
হরতালে জমাট হয়েছে তার সূক্ষ্ণ চাকা
চারদিনে ঘোলা জল স্থির হয়ে ক্রমশ
সুন্দরী স্বচ্ছ সৌম্য হয়ে উঠেছে
মিউজিয়ামের লোকেরা এসে হিসেব করছে
এই জলটুকু আগামিকালকেই প্রদর্শনী যাবে!
চারদিনে তুমি নাগরিক হয়ে গেছো, কর্দমের ফুল…
আমিও ক্লান্ত, বেকুব শুনতে শুনতে, আমার জন্য লাইনগুলা হবে বোধহয়, ' ক্লান্ত সারাদিন ঘুরে বেড়াই বেকুব লেখা কামিজ পড়ে, লোকের ফিকফিক হাসি নজর কাড়ে... 🙁
বলতে ভুলে গেসলাম, লেখা যথ্রীতি... :boss: ত নাম্নী কোবতেটা বুঝি নাই যদিও, আর আদ্যক্ষর দিয়ে নামকরণে মজা পেয়েছি। 🙂
বেকুব হইলে কেমন জানি ছোট ছোট লাগে। খারাপ লাগে। এইটা ছোটবেলায় শিখায় দিছে সবাই মিলে, "বেকুব হওয়া খারাপ! আর যাই করো, যাই হও, বেকুব হইও না!"
এখন সেই শিক্ষাটারে মুছে ফেলার চেষ্টা করছি। এজন্যে বেকুব হয়ে যাচ্ছি দিন দিন। 🙂
আদ্যক্ষর দিয়ে কবিতাগুলোর নাম দিলাম কারণ আলাদাভাবে নাম খুঁজতে আলসেমি লাগছিলো। পরে দেখলাম - কপত>কপোত হয়ে গেছে। কপোত তো বেশ শান্তি শান্তি জিনিস, তাই ভাল্লাগলো। 😀
প টা বেশ ভাল লেগেছে।
বেকুব হয়ে হয়ে আমার বেশ মজা লাগছে। এখন ঠিক করেছি সবসময় বেকুব থাকব। চালাক হবার চেষ্টা করতে করতে প কবিতা মানে মনে ময়লা জমছে। বেকুব হয়ে যদি তার কিছু কাটে।
অফটপিক। আমাদের ৩ ভাই এর নামের অদ্যাক্ষর কপত (কনক, পান্থ, তপু )। সেখান থেকে নিয়ে নিজেদের বাসার নাম রেখেছি কপোত। মিলি গেল...
এইটা খুব ভাল বলেছিস। আমি এইভাবে ভাবি নাই। চালাক হইতে গেলে মনে ময়লা জমে। এখন থেকে তাইলে বেকুব হওনই ভালা!
=======
নামের মিল এতো সরাসরি মিলে যাবে এইটা স্বপ্নেও ভাবি নাই! 😮 😮
তপুর এই কথাগুলো আমারো ভাল লাগলো।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
আমার ভাল লেগেছে 'ত' ...
আমার বন্ধুয়া বিহনে
থ্যাঙ্কিউ রাব্বী ভাই! :hatsoff:
দুর্দান্ত কোবতে হয়ছে।
অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক,
জ্যোস্নায় পাক সামান্য ঠাঁই,
কিছুটাতো চাই, কিছুটাতো চাই।
ধন্যবাদ সাজিদ ভাই!
ভাল লাগল মানে বুঝতে পারছি। বেকুব শব্দটারে জয়প্রিয় করার জন্য ::salute:: (ক্যাডেটীয় কালচারে স্যালুট, ইমোতে ফুল টুল খুঁজে পেলাম না)। অল্পবয়সে যখন ্কেউ বোকামেয়ে বলত তখন খুব খারাপ লাগত। তারপর যেদিন থেকে বোকামেয়ে শুনতে ভাল লাগতে শুরু করলো সেদিন থেকে এক অন্যরকম ভালো লাগার সন্ধান পেলাম।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
এই ভালো লাগার যে কী কারণ, সেটাই এখন মূল রহস্য। কেন 'বেকুব' শুনে আমার ভালো লাগছে, এটাই বুঝতেছি না (তবে ভালো লাগতেছে এইটা ভালোভাবেই বুঝতেছি 😀 )
ক, প ভাল লাগল। প একটু বেশি, তবে ত বুঝি নাই।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ত-এর ভাষাটা একটু পুরান স্টাইলের হয়ে গেছে। আগে যেমন ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে লিখতাম, তেমন। এখন তো চেষ্টা করছি আরো সহজ করে তুলতে কবিতাকে।
তিনটার মধ্যে দুইটা ভাল্লাগছে এই খুশিতে দুই কাপ চা নে। :teacup: :teacup:
ভালো হইছে দোস্ত... স্বাদটা একটু অন্যরকম...। তয় ভালো। বেশ ভালো। চালিয়ে যা।
এই পোস্টে কমে্ট মিস করছি কেমনে??
খুবই ভালো লাগছে "প"। বাকি দইটা মোটামুটি লাগছে।
নাহ্। আমার তেমন নতুন মনে হলোনা।
তোমার কাছে প্রত্যাশাটা এমন বেয়াড়াগোছের বেড়ে গেছে কি বলবো।
:boss:
দারুণ ভাই, দারুণ ।