কি নিয়ে লিখব, কি নিয়ে লেখা যায়, এই সেই আজেবাজে চিন্তায় দিন পেরিয়ে যায়। রাত্রি ভোর হয়। আবার দিন আসে। দিন যায়। কিন্তু লেখা আর হয় না। অলস সময় আলস্যেই পার হয়ে যায়। তাই এই ছন্নছাড়া লেখার খাতা। যা মনে আসে, যাচ্ছেতাই, সব লিখে ফেলা। মনের অবিন্যস্ত চিন্তাগুলোকে শব্দের আকারে লেখার খাতায় তুলে আনা। যোগসূত্র-হীন সব বিচ্ছিন্ন চিন্তা-রাশি। মনের আনাচে-কানাচে ঘুপটি মেরে থাকা কল্পনারা যদিবা এই সুযোগে বাস্তবের দেখা পায়।
বিস্তারিত»একটু কঠিন ধর্ম বটে
পেয়ে হারানোর বেদনা কি একটু বেশী !
না পাওয়ার চাইতে !
হয়তোবা।
আবার নাও হতে পারে!
মনে মনে চেয়েছ অনেক
কিন্তু
পাওয়ার কোন চেষ্টাই করোনি হয়তো
তাই
হারানোর পর আজ এমন মনে হচ্ছে !
অথবা
এমনোতো হতে পারে
পাওয়ার পরে পায়ে ঠেলে ফেলে দিলে !
দূরে ঠেলে দিয়ে তুমি পালিয়ে বাঁচলে !
আজ-
চলে গিয়ে সে তোমাকে পীড়া দিচ্ছে!
পশ্চিমের আধুনিক নারীদের আধুনিক সমস্যা
(এই লেখাটি আগে অন্য একটি ব্লগে ছাপা হয়েছিলো। নীতিমালা বিরুদ্ধ হলে মডআরেটর লেখাটি সরিয়ে দিতে পারেন।)
১
প্রথম যখন আমেরিকায় আসি, সেই ১৯৯৮ সালের অক্টোবর মাসের কথা, মনে হচ্ছিল চারপাশের সবকিছু দেখে খুব বিস্ময়াভূত হবো। কিন্তু না, তেমন কিছু ঘটছিলো না। দেশ আর বিদেশের পার্থক্য তো আছেই। যানজটহীন মসৃণ আর প্রশস্ত রাস্তায় তরতর করে সব ফিটফাট গাড়ি ছুটছিল। এ আর নতুন কি?
স্বপ্ন সন্ত্রাস – ১
খুব মৃদু ভাবে ঘন্টা বেজে যাচ্ছে যেটা একদম ভালো লাগে না। আজকে একদম উঠতে ইচ্ছা করছে না। বন্ধ চোখ এক চিলতে খুলে দেখলাম বাইরে আলো ফুটেনি কিংবা কুয়াশা। যেটাই হোক এখন উঠবার প্রশ্নই আসে না। চোখ আবার বুজে ঘুমের রাজ্যে একটু ডুব দেবার আগেই স্টাফের তীক্ষ্ণ হুইসেল বেজে উঠলো। নাহ আজকে ঘুমাতেই দিবে না। কোনমতে উঠে বসলাম বিছানায়। ফয়সাল, মঞ্জুর, হাবীব, শাকেরীন, মোটামুটি সবাই উঠে পড়ছে।
বিস্তারিত»প্রচলিত লোকাচার
আমি নষ্ট
তুমি নষ্ট
সে নষ্ট
তারা নষ্ট
এরা নষ্ট
ওরা নষ্ট
দেবী নষ্ট
কবি নষ্ট
দিকভ্রষ্ট
পদভ্রষ্ট
অনষ্ট,
তাও নষ্ট
যে পষ্ট
সেও নষ্ট
দিকভ্রষ্ট
পদভ্রষ্ট
নষ্টে অর্থ
নষ্টে সামন্ত
নষ্টে রতি
নষ্টে আনন্দ
নষ্টে ভক্তি
নষ্টে পূণ্য
নষ্টে পূজা
নষ্টে স্বর্গ
নষ্ট জগত
জগত নষ্ট
আমরা নষ্ট
তোমরা নষ্ট
সবাই নষ্ট
সব নষ্ট
হা
হা
হা
হা
নষ্টের দুনিয়া
দুনিয়ার নষ্টামি
নষ্ট বিধাতারা
করেছে নষ্ট নিয়ম !
অতঃপর আজ
রক্ত বদলে কিনেছিলাম সূর্য
অথচ আজ দেখি যত্রতত্র
ক্ষমতালোভী বৃদ্ধ কিছু পুষ্টিহীন বীর্য
অশিক্ষায় কুশিক্ষায় কুসংস্কার
অথচ আজ দেখি যত্রতত্র
বটগাছও চায় নোবেল কিংবা অস্কার ।
সূর্যের দিকে তাকিয়ে সূর্যমুখী,
কয়,
হায়রে সোনার দেশ
আর কতকাল থাকবি পোড়া মুখী ।।
দেশে চলেছে আত্মহনন
ছিল নয়মাস গর্ভেধারন
লজ্জায় ঘৃণায় অভাব অনটন
চল্লিশ বছর পরেও
আজো
দুর্ভাগা জাতি নির্দ্বিধায় করছে কারাবরন।।
পলাশবাড়ী কলেজ কেজি
ছোট বেলায় কলেজ কেজির মাঠে একবার কিসের যেন মেলা হল,
মনে নাই।
বিক্যাল বেলা সেই মেলায় গেছি।
হাটতে হাটতে পুরো মেলা ঘুরতেই পায়ে ব্যথা উঠে গেছে।
কানমুচরি-বাতাসা খাইছি,
তবে চিনির ছাঁচের হাতী-ঘোড়াগুলার জন্যই মনটা টানতেছিল বেশী।
তেল দিয়া পিঠা ভাজা দেখছি,
জিল্যাপি ভাজা!
আহা!
হাওয়াই মিটাই! বড় বড় বেলুন, মিনি এয়ারগান,
দশ টাকা দামের স্টিল কালার পিস্তল,
বিলাইয়ের একদিন
সকাল আট।
গ্রীলের ওপাশে
নাগাল-বাইরে
নির্ভয়ে গ্যাঁট
হয়ে
চোখেমুখে গোঁফে
নবাবী আমেজ
মিটিমিটি হাসে
বাংলার রাজকীয় ক্যাট
সাড়ে বারো, দুপুর।
জুতোর শব্দে
যেনো বা পাথর
চোখে তার
চাবির গোছার
ঝনঝন
বেজে উঠে
গোঁফে লোমে ঢেউ
বিলাই শেষে
দু’তিন লাফে’
আমার সকল প্রেমগাথাঃ২ (দ্বিতীয় প্রেম)
আমার দ্বিতীয় প্রেমের কাহিনীটা লেখা শুরু করে ছিলাম অনেক আগেই, কিন্তু আমার ল্যাপটপের মকরামির কারনে লেখাটি হারিয়ে যায় তারপর আর মনের দুঃখে আর লেখা শুরুও করিনাই । আর লেখা কয়েকবার শুরু করলেও প্রথম বার যেমন হয়েছিল তেমন টি আর হয় না যার ফলে দ্বিতীয় পর্ব আসায় এতো দীর্ঘ সময় নিল। যা হোক, আসল কথায় আসি এবার, সেই প্রথম প্রেমে ছেকা খাবার পর চলে গেলাম ক্যাডেট কলেজে।
বিস্তারিত»আয়নাবাসী

কী আশ্চর্য,প্রতিদিন একই ভাবে তোমার ঘুম ভাঙে
মুখে লেগে থেকে গত পর্বের প্রেম ভাঙা দাগ
আরো কিছু “রয়ে যাওয়া” অনুরাগ
আয়নায় মুখ দেখবার আগ পর্যন্ত কী নিষ্পাপ তুমি!
যেন আমাদের ইতিহাস নেই কোনো,
আমাদের বিচ্ছেদ ছিল না কোনদিন
তোমার বাগানে প্রজাপতি,
আমার উঠোনে জল-জোৎস্ন্যা ,
তোমার বাড়ির পেছনে নদী,
আমার বৈঠা হাতে নৌকায় বসে প্রতীক্ষা ,
বৃষ্টি-৮
কংকাবতী তোমার ফোনে আজ
অবিরল বৃষ্টির শব্দ লেগে ছিলো
এক ফালি বিদ্যুত!
ক্বড় ক্বড় করে
ভেঙে গেলো আকাশ –
তারপর কলকল
বিষ্টির পাল এসে
আমাদের কথোপকথনে
উঁকি দিয়ে গেলে
এলোমেলো কথার সুযোগে
লাল-সবুজ ট্রাফিক বাতি
নেমে গেছে টলমল পায়,
যেদিকে দুচোখ যায়
এঁকেবেঁকে চলেছে
শহর দাপাবে বলে
অনিয়মের
হুড়োহুড়ি লেগে গিয়ে
সোনা-রূপোর কাঠি
জায়গাবদল ভুলে গেলে
কি ক্ষতি
তোমার শিয়রে
না হয় আজ
বর্ষা বয়ে আনা
এই ফোন জেগে থাক!
ইস্তানবুল,কিছু অভিজ্ঞতা এবং আমি (১)
আজকে আবারও হটাৎ করেই লিখতে বসা। আসলে গণহারে এক্সামগুলোতে কাঁচা কাঁচা সব বাঁশ খেতে খেতে লেখতে বসার সময়ই হয় না। সেই সাত সকালে উঠে কাঁধে এক ঝোলা নিয়ে সাত সমুদ্র তের নদী পার হয়ে যেতে হয় ইউনিভার্সিটিতে। সারাটা দিন কানের পাশে তুর্কী ভাষায় প্যাঁচাল শুনতে শুনতে যখন দেখি কানটা প্রায় ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছে তখন ঘড়ির কাঁটায় প্রায় ৬ টা বাজে। এটা হল আমার নিত্ত নৈমিক ব্যাপার।
বিস্তারিত»নিজের খেয়াল রেখো…
জামান স্যারের সঙ্গে আমার পরিচয় ক্যাডেট কলেজে। সেনাবাহিনীর কঠোর নিয়মতান্ত্রিক এ প্রতিষ্ঠানে যখন প্রথম ভর্তি হই, তখন থেকেই বাবা-মাকে ছাড়া থাকার কষ্ট অনুভব করতাম। সেই কষ্ট কিছুটা হলেও কমে গেল, যখন জামান স্যারকে কাছে পেলাম। ক্যাডেট কলেজে আবাসিক থাকতে হয়। এক রাতে মায়ের চিঠি পড়ে কাঁদতেই পেছন থেকে মাথার ওপর একটা হাত অনুভব করি। তাকিয়ে দেখি জামান স্যার। আমার দিকে তাকিয়ে মমতামাখা কণ্ঠে বলেন, ‘ক্যাডেট কলেজে সবাইকেই বাবা-মা ছাড়া থাকতে হয়।
বিস্তারিত»রেডবুক সংক্রান্ত এবং কিছু বিষয়
কয়েকটি বিষয়ে সিসিবির সম্মানিত সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। কিছু নির্দেশনা আমরা সিসিবি রেডবুকে যোগ করতে যাচ্ছি।
১. সিসিবির হোম পেইজে একই লেখকের একইসাথে অনেক লেখা প্রকাশিত হয়ে থাকলে প্রথম পাতার বৈচিত্র্য কিছুটা নষ্ট হয়। আবার দুঃখজনক হলেও সত্য ইদানিং কালে সিসিবিতে নিয়মিত লেখক কিংবা নতুন লিখছেন এরকম লেখকদের লেখার হারও বেশ হতাশাজনক। এই দুটি বিষয়ই মাথায় রেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রথম পাতায় একই লেখকের তিনটির বেশি লেখা প্রকাশ না করার।
বিস্তারিত»