রাধাকথন-৩

তোয়ালে নিয়ে বসে আছি
সর্বনাশের আশায়

গ্রিলের কোণে কোণে
গর্ভিণী মেঘ জমে আছে কিছু।
হাওয়ায় চুল মেলে
দুলে দুলে
ওঠে নারকেল গাছ
বর্ষার আসন্নতায়
কেঁপে যায়
শার্সি,জানলার নরোম কাঁচ

‘মিঁয়া কি মল্লার’ ধরেছেন
রশিদ খাঁ
বিদ্যুতের ঘায়
প্রতীক্ষার সুতো
ছিঁড়ে যায়…
এমন ঘোর রাত্রিতে হায়
হেঁটেই আসছো সখা!

বিস্তারিত»

রাধাকথন-২

জুলাইয়ের এই শেষ দুপুরে
হাতে হাত ছোঁয়াবার
তুচ্ছতম দ্বিধাটুকু
পুড়ে পুড়ে
ঝরে যায়
সিগারেটের মতো,
শপাং চাবুকের চেয়েও
নির্দয় লাগে
তোর ফেস,বুক আইফোনে
অগণণ গোপিনীর ছাপ..

আমাদের কোন কদমতলা নেই আর
যমুনা কবে মজে হেজে গেছে!
গাড়িতেই চল কানাই
বারী সিদ্দিকির বাঁশিতে
ভেসে যাই
ক্রন্দসী যমুনার এপার ওপার

বিস্তারিত»

এবার তুমি ফেরাও আমায়

এখন তুমি কোথায় আছো?কেমন আছো?আমায় ছাড়া দিনগুলো সব কাটছে কেমন?বৃষ্টি দিনে জানলা খুলে দাঁড়িয়ে তুমি সবুজ দেখো?মধ্যরাতে একলা হাটো উঠোন জুড়ে?হঠাৎ যদি একলা লাগে,আলতো আঙুল ছুঁইয়ে দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়ো শুকতারাটা।আকাশ বাড়ির উঠোনজুড়ে মেঘ বিছানা মুছিয়ে দিয়ো হাতের নাড়ায়।তাতেও যদি আধাঁর থাকে,পুকুর পাড়ে যেসব জোনাক সোহাগ করে,তাদের ডেকো।তাদের সবুজ নরম মদে ভিজিয়ে নিও তোমার দুহাত।তোমার চুলে,কুসুম কোলে হাত ও বুকে এসব সবুজ জ্বলতে থাকুক।হঠাৎ ডাকুক একলা পাখি তারস্বরে।তোমার ঘরে প্রদীপ শিখায় চৈতী হাওয়া জলসা বসাক।নৃত্যরত অগ্নিশিখা দুলিয়ে কোমর বাহবা নিবে।চতুর্দশীর একঘেয়ে চাঁদ নতুন সাজে সাজবে না হয়।আর না হলে হঠাৎ পতন-নদীর জলে আচমকা ডুব।স্বচ্ছ চোখের মাছেরা সব ছুটবে তখন আলোর পিছে।যেমন আমি ছুটছি আজো।ছুটতে ছুটতে পৌছে যাচ্ছি গড়ের মাঠে,রাবার বনে।যেখান থেকে কেউ কোন দিন ফেরে না আর।তুমি আমায় ডাক না দিলে ফিরবো না আর।হাটতে হাটতে চলে যাবো শেষের খেলায়,জুয়ার আসর।তাই তোমাকে আজ অনুরোধ,এবার তুমি ফেরাও আমায়।

বিস্তারিত»

পোট্রেইট

।১।
তার মানে তুই আমাকে পোট্রেইট এঁকে দিচ্ছিস না? পিউ এর কথাটা বেশ ভারী শোনাল। কথক বলল, আর কিছু দিন সময় দে,ঠিক একেঁ দেব। সেমিস্টার ফাইনাল নিয়ে একটু ব্যস্ত। কথকের কথা শুনে পিউ এর মেজাজ খারাপ হল। কোন মতে বিরক্তি ঢেকে বলল,দেখ ভালো ছবি আঁকিস বলে তোকে আমার পোট্রেইট আঁকতে বলেছি। সেই পাঁচ মাস ধরে ঘুরাচ্ছিস। আজ কাল করতে করতে এতটা দিন কেটে গেল।

বিস্তারিত»

রাধাকথন-১

হৃষ্টপুষ্ট দিনের কংকাল পড়ে পাশে,
মেঘেরা মেতে
আদল ভাঙার স্বেচ্ছাচারিতায় –
বেলা যায়
উনুনে ফূঁ-দেয়া লাল চোখে,
বাঁশির আশে
প্রাণ সঁপে দিয়ে
পোড়াভাতের ফেনও কেমন
যমুনাপানে ঝোঁকে,
কানু রে
কান্দন চেপে আছি
সেই কবে থেকে
এবারে আমার দিনরাতের
গতর ফিরায়ে দে!

বিস্তারিত»

মা

অদ্ভুত সুন্দর এক গোধুলীর রং-এ মাখা পড়ন্ত বিকেল। পার্কের রাস্তায় একাকী হাঁটছি। দূরের মানজানো পাহাড়ের উপর পড়ন্ত বিকেলের শেষ রোদ্দুরের আলো এসে পড়েছে। আকাশে একই সাথে সাদা, কালো এবং কমলা মেঘের আনাগোনা। বিস্তীর্ন দিগন্ত একই সাথে দেখতে পাচ্ছি। পশ্চিমের দিগন্তে যেখানে সূর্য অস্ত যাবে সেদিকেই আমার ফেলে আসা প্রিয় জন্মভূমি। হাতের ঘড়িতে দেখলাম বুধবার, ১ আগষ্ট। তার মানে বাংলাদেশে এখন ২ আগষ্ট। বিশ বছর আগের ঠিক এই দিনে মন ছুটে গেল।

বিস্তারিত»

একটু শুধু ঘেঁষতে দিও কাছে

তুমি একটু শুধু ঘেঁষতে দিও কাছে
তোমার কাছে অনেক কিছু বলার আমার আছে
একটু হবে ফিসফিসানি একটু হবে কথা
একটু হবে কোলাহলে ঘেরা নীরবতা
একটি কথায় হাসবে তুমি একটি কথায় কাঁদবে
একটি কথায় তোমার মনে রহস্য দানা বাঁধবে
এক পৃথিবীর কথা জমা এক আকাশের মেঘ
এক সাগরের জলরাশি জমানো আবেগ
তোমার জন্যে কথার ঝুড়ি গোপন প্রেমের কাব্যে
বলবো আমি এখন থেকে আমায় আবার ভাববে
আবার তুমি সুর সাজাবে দূর পাহাড়ের ঝরনা ধারা
তোমার গানের উচ্ছাসে আজ বায়ুস্তর বাঁধন হারা
একটি কথা কানে কানে একটি কথা জোড়ে
একটি কথা বলে ফেলা ভালোবাসার ঘোরে
একটু কাছে আসতে দিও একটু দিও ঠাঁই
আমিতো এক পাগল প্রেমিক ঠিক ঠিকানা নাই
আবার কবে তোমার কাছে ফিরে আসার ভাগ্য হবে
আবার কবে তোমার চোখে অপেক্ষার ই কান্না রবে
আবার কবে আকাশ হয়ে মেঘ জড়াবো তোমার গায়ে
আবার কবে ছায়া হয়ে থাকবো তোমার পায়ে পায়ে
এখন অনেক দুঃসময় এক কাব্য লিখে পেট ভরেনা
এখন বুঝি বিলাসিতাও তোমার মনে দাগ কাটেনা
কবিতা নয় বাস্তবতার দু এক কথা বলবো তাই
একান্তে আজ এই প্রহরে তোমার কাছে ঘেঁষতে চাই.

বিস্তারিত»

হাবুল হোসেনের সাথে হুমায়ুন আহমেদের একান্ত আড্ডা (অপ্রকাশিত সাক্ষাতকার)

রিকশাওয়ালার ভাড়া মিটিয়ে নিজের ঘরে পা দেয়ার পরে ছোট ভাইবোনদের হুমায়ুন বিষয়ক জল্পনা কল্পনা, মুখরোচক আলোচনায় এতক্ষণ ভুলে ব্যথাটা নতুন করে জেগে উঠে হাবুলের। হুমায়ুনের মৃত্যুতে যেখানে সবাই হুমায়ুনের সাথে স্মৃতিচারণ নিয়ে মেতে রয়েছে, তখন তার ভাণ্ডার একদম খালি। তার সহকর্মীদের কেউ হুমায়ুনের সাথে এক বিকালে চা খাওয়ার গল্প লিখছে, কেউ হুমায়ুনের বাসায় বসে দেওয়া আড্ডার কথা লিখছে, সাহিত্যিক কাম সাংবাদিকরা যেখানে হুমায়ুনের মুখ থেকে বুলি বের করে নিজের কৌতুককে জাতে উঠাচ্ছে,

বিস্তারিত»

তিন তিতলী

“মেঘ বলেছে যাবো যাবো” বইটি দ্বিতীয় বারের মত পড়া শেষ করেছি। আমি তখন নবম শ্রেনীতে। ফাইনাল পরীক্ষা শেষ। ছুটি আর কয়েক দিন পর। আমাদের ক্যাডেট কলেজে অনেক নিয়ম কানুন। গল্পের বই পড়ার সময় ও সুযোগ সব সময় মেলে না। তবে এই সময়টা সবাই গল্পের বই পড়ে কাটায়। শিক্ষকরাও আমাদের মনের অবস্থা বুঝতে পেরে তেমন কিছু বলেন না। হাতে পড়ার মত কোন বই না থাকায় বন্ধু তৌফিকের কাছ থেকে নিয়ে এই বইটিই আবার পড়লাম।

বিস্তারিত»

একটি ভালবাসার গল্প

১.

এস.এস.সি পরীক্ষা শেষ করে টানা চার মাস পর ক্যাডেট কলেজ থেকে বাসায় আসলাম। ছুটিতে অনেক কিছু করার পরিকল্পনা করলাম। কিন্তু বাসায় এসে আমার মাথায় হাত। আমি কলেজে থাকা অবস্থায় আমাদের বাসা চেঞ্জ হয়েছে। নতুন বাসায় এসে কিছুটা অস্বস্তিতে পরলাম। কাউকে চিনিনা। বাসায় এসে কিছুক্ষন ধাতস্ত হওয়ার চেষ্টা করছি, এমন সময় কেউ একজন ডেকে উঠল-

–      আন্টি……………

একটা মেয়ে দৌড়ে ঘরে এসে ঢুকল।

বিস্তারিত»

এই বৃষ্টিতে আমি কোনদিকে যাবো?

এই বৃষ্টিতে আমি কোনদিকে যাবো?
কার কাছে যাবো?
ঝাপসা উত্তর,পূর্বের কুয়াশা
পশ্চিম দৃষ্টি সীমানায় খরস্রোতা
দক্ষিণে ঘিরে আসে বিক্ষুব্ধ হাওয়া
অজগরের তুমুল হা
বিদ্যুতের চাবুক,বারবার কেঁপে উঠে
পৃথিবীর সব ভয়ার্ত হরিণেরা
এই অন্ধকারে আমি
কোন দিকে যাবো
কার কাছে যাবো তোমাকে ছাড়া?
আমাদের যূথবদ্ধতার কথা জেনে সহসা বৈরী যারা
আমাদের বিচ্ছেদে তাদের উল্লাস
অবিশ্বাস ছড়ানো চন্দ্রড্রাগনেরা
এই দুর্যোগে আমি
কার হাত ছোঁবো
কার ওম নেবো তোমাকে ছাড়া?

বিস্তারিত»

আমাদের বাদশাহ নামদার হুমায়ুন আহমেদ

অকালেই চলে গেলেন হুমায়ুন আহমেদ। দেশের সব স্তরের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হলেও সব চেয়ে নন্দিত ছিলেন মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর কাছে। ছিলেন মধ্যবিত্তের অন্যতম প্রতিনিধি। আমাদের একটি বিখ্যাত সামাজিক বচন- উত্তম নিশ্চিন্তে চলে অধমের সাথে, তিনিই মধ্যম যিনি চলেন তফাতে। মধ্যবিত্তের এই তফাতে চলা কথাটা এক ধরণের বক্রোক্তি হলেও, বাস্তব সত্য হচ্ছে মধ্যবিত্তের তফাতে চলা ছাড়া উপায় নেই। কারণ মধ্যবিত্তকে হিসাব করে চলতে হয়। সেই হিসেবে সামান্যতম ভুল হবার জো নেই,

বিস্তারিত»

ধন্যবাদ হুমায়ুন আহমেদ ও তার মৃত্যুকে

হুমায়ুন আহমেদ মানুষ হিসেবে কেমন ছিলো সেটা নির্ণয় করার আমি কেউ না । অথবা অন্যভাবে বলতে গেলে এই মুহূর্তে আমি তাকে নিয়ে ভাবার প্রয়োজন বোধ করছি না । তবে গত ৫ দিনে যা ঘটলো সেটা থেকে মোটামুটি নিশ্চিতভাবেই বলা যায় তিনি একজন শক্তিধারী লেখক ছিলেন – হতে পারে সেটা সস্তা সাহিত্য, হতে পারে সেটা শ্রেষ্ঠ পর্যায়ের কথাসাহিত্যের রূপকার হিসেবে । কিন্তু সেটাও মাথা ঘামানোর মত তেমন কিছু না ।

বিস্তারিত»

জীবনের টুকরো – দেশবিদেশে (পুবের মানুষ যখন পশ্চিমে – ৪)

সংবিধাণ সতর্কিকরণ বিজ্ঞপ্তীঃ ইহা একটি দীর্ঘ এবং বোরিং পোস্ট। পাঠক নিজ দায়িত্বে পড়বেন। আর না পড়লেও একবারে শেষ অনুচ্ছেদ (২০) চলে যেতে পারেন।
১৪
এখন কথা হলো ‘পশ্চিম ফ্রি-সেক্সের দেশ’ বহুশ্রুত এই বাক্যটির সঠিক এবং যথার্থ দৃশ্য কিভাবে ফুটিয়ে তোলা যায়? পশ্চিমে পাবলিক ন্যুইসেন্সকে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়। এখানকার উন্মুক্ত পরিবেশে এমন কিছু করা যাবে না যা অন্যের মনে বিরক্তির উদ্রেগ সৃষ্টি করবে।

বিস্তারিত»

স্বপ্ন এবং নিজস্ব অভিব্যক্তি…।

স্বপ্ন।। আসলেই একটা বিচিত্র জিনিস। রাত হোক দিন হোক ঘুম এর মধ্যে কখন কি স্বপ্ন দেখি তার ঠিক ঠিকানা থাকে না। কিছু কিছু স্বপ্ন থাকে যা মানুষ দেখতে চায় বার বার। আবার এমন ও আছে যে সে চায় স্বপ্নটা কোন ভাবে সত্যি হয়ে যাক। কিন্তু এই সত্যি হয়ে যাক বেপারে কিন্তু মারটীন লুথারকিং এর “I have a dream” তত্ত্ব খাটে না। কেননা সাধারনত মানুষ এই সব স্বপ্ন পুরনের আশাই করে,

বিস্তারিত»