বইমেলা ২০১৩

আপডেট

যারা যারা লেখা পাঠিয়েছেন সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আবার অনেকে লেখা দিবেন বলেছেন, শেষ করতে পারেন নি বলে কিছুদিন সময় চেয়ে নিয়েছেন। আশা করি একটা মানসম্মত সাহিত্যপত্রিকা সবাইকে আমরা উপহার দিতে পারব (আমি শুধু বইমেলায় একটা প্রকাশনা বের করা থেকে নিয়মিতভাবে, সম্ভব হলে ত্রৈমাসিক, নিদেনপক্ষে ষান্মাষিক বের করার পক্ষপাতী)। নূপুর ভাই আর কুমিল্লার রফিক-উম-মুনীর ভাই অনেক সাহায্য করছেন, বিশেষ একটা ধন্যবাদ উনাদের প্রাপ্য।

যাদের লেখা থাকবে তাদের নাম এখানে দেয়া হল …

কবিতা

লুৎফুল হোসেন ভাই, ফৌজদারহাট (৭৮-৮৪)
মোশতাক আহমেদ ভাই, মির্জাপুর (৭৯-৮৫)
নূপুর ভাই, ফৌজদারহাট (৮৪-৯০)
তাহমিনা শবনম হক আপু, ময়মনসিংহ (৮৪-৯০)
ওবায়েদউল্লাহ ভাই, মির্জাপুর
ওয়াজী আল হাসান রাজীব ভাই, ঝিনাইদহ

গল্প

শাহাদুজ্জামান ভাই, মির্জাপুর
মামুন হুসাইন ভাই, ঝিনাইদহ
হামীম কামরুল হক ভাই, সিলেট (৮৫-৯১)
ওয়াহিদা নূর আফজা (শান্তা’পু), ময়মনসিংহ (৮৫-৯১)
একরাম কবীর ভাই, ঝিনাইদহ (৭৮-৮৪)
আমিন শিমুল, মির্জাপুর (৯৬-০২)
রেজা শাওন, পাবনা (২০০১-০৭)

অনুবাদ

আলম খোরশেদ ভাই, ফৌজদারহাট (৬৬-৭২)
জিএইচ হাবীব ভাই, মির্জাপুর (৮০-৮৬)
রফিক-উম-মুনীর চৌধুরী ভাই, কুমিল্লা

রম্যরচনা

তায়াবুর ভাই/সিলেট

সিসিবির ইতিহাস

রায়হান আবীর, বরিশাল (৯৯-০৫)

আরো আছেন

রেজাউল করিম সুমন ভাই, ফৌজদারহাট (৮৬-৯২)
অনিক আন্দালীব, ঝিনাইদহ (৯৬-০২)
তিতাস ভাই, ফৌজদারহাট (৮০-৮৬)

*****

কয়েক বছর ধরেই মাথায় এই ব্যাপারটা ঘুরপাক খাচ্ছে, অন্য সব ব্লগ যদি বইমেলাতে নিজেদের কিছু একটা বের করতে পারে, আমরা কেন পারব না? সবাই মিলে কাজ করলে আমার মনে হয় মানসম্মত একটা প্রকাশনা বের করা খুব একটা কঠিন কিছু হবে না। গুরুজনদের কাছে সাজেশন চাই, আর সমবয়সী অথবা ছোটরা কে কে কি ভাবে সাহায্য করতে ইচ্ছুক জানান। নূপুর ভাইয়ের মত অসাধারণ কবি, তারেক ভাই, টিটো ভাইদের মত অসাধারণ ছোট গল্প লিখিয়ে, শান্তা আপা, এহসান ভাই, কামরুল ভাই, আন্দালিব, সুষমা, সামিয়া, রায়হান আবীর, মহিব, রেজা শাওন, উদাসী কবিদের মত সুলেখক যেখানে আছে সেখানে চিন্তার কিছু আছে বলে মনে হয় না। আর আমাদের প্রিন্সু স্যার আর এডজুট্যান্ট স্যার তো আছেনই।

এই পোস্ট দেয়ার উদ্দেশ্য মৌচাকে ঢিল দেয়া, এইবার সবাই মিলে ঠিক করেন কি করবেন। আর কে কে গৌরী সেন হতে চান সেটাও জানান।

৭,৩৪৯ বার দেখা হয়েছে

৭৮ টি মন্তব্য : “বইমেলা ২০১৩”

  1. রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

    ক্যাডেট কলেজ স্মৃতিচারণ নিয়ে একটা সংকলন বের করা খুবই উচিত। ই-বুক+ নতুন লেখা বাছাইয়ের জন্য পাঁচজনের একটা সম্পাদনা প্যানেল করা যায়। সম্পাদকরা লেখা বাছাই করলে প্রুফ। প্রকাশক সমস্যা হবে বলে মনে হয় না। কামরুল হাসান ভাই, সম্পাদনা প্যানেল নিয়ে আলোচনা করেন। আপনিও থাকতে পারেন। আমি আসলে পারছি না এই মুহূর্তে ডেডিকেটেড সময় দিতে। কিন্তু আগ্রহী মানুষের নিশ্চয়ই অভাব হবে না।

    জবাব দিন
  2. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)

    অতি উত্তম প্রস্তাব।
    সময় তো হাতে বেশি নেই, ভাবনা/গোছানো শুরু করে দেয়া যাক তাহলে!
    আবীর যেমন বললো, ক্যাডেট কলেজ নিয়ে স্মৃতিচারণমূলক সংকলন প্রকাশ করা যেতে পারে।
    তবে কলেবর নিয়ে সমস্যা না থাকলে সিসিবিতে প্রকাশিত পাঠক-নন্দিত কিছু নির্বাচিত পোস্টকেও বিবেচনাধীন রাখা যেতে পারে (বিশেষত সমাজ ও রাজনীতি বিষয়ক আলোচনা এবং রম্যরচনা গুলো)।
    সেক্ষেত্রে পুরো গ্রন্থটিকে দু'ভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে।

    জবাব দিন
  3. হাসান (১৯৯৬-২০০২)

    আমি আসলে ব্যক্তিগতভাবে শুধুমাত্র স্মৃতিচারণ নিয়ে সংকলন এর পক্ষে না। ক্যাডেটদের মধ্যে অনেক প্রথিতযশা অনুবাদক/গল্পকার আছেন। আমি চাই তাদের লেখার পাশাপাশি নবীনদের লেখা থাকুক। ভবিষ্যতের শাহাদুজ্জামান, জিএইচ হাবীব রা এখানে লিখে হাত পাকাক।

    তবে স্মৃতিচারণমূলক সংকলন মনে হয় রেডি আছে .... যেটাই হোক, আমি আছি 🙂

    জবাব দিন
  4. রেজা শাওন (০১-০৭)

    শুধু ক্যাডেট কলেজের স্মৃতিচারণা না রেখে আমার মনে হয় বিষয়বস্তুর আঙ্গিকে একটা পূর্ণ সংকলন হলে-সেটাই বুঝি ভাল হবে।

    বইয়ের সাথে সাথে বাড়বে পাঠক পরিসর।

    চমৎকার প্রস্তাবনা। ১০০ ভাগ সমর্থন জানায়ে গেলাম।

    জবাব দিন
  5. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    সুলেখকদের লিস্টে নিজের নাম দেখতে পেয়ে বড়ই মর্মাহত হলাম :(( :(( :((

    Jokes aside, প্রস্তাবের সাথে শতভাগ সহমত জানিয়ে গেলাম, আগে একবার একটা প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছিল মনে পড়ে, বেশ আশা বাদি হয়েছিলাম কিন্তু কি কারনে জানি শেষ পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি। এবার সবাই মিলে চেষ্টা করলে মনে হয় সম্ভব হবে। আর আমি বিষয়বস্তুতে বৈচিত্র থাকার পক্ষে, তবে শুধু স্মৃতি চারন মূলক হলেও একটা অন্তত বের হোয়া দরকার।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
  6. Abid Hasan (07-13)

    ক্যাডেট কলেজ নিয়ে কিছু প্রকাশিত হওয়াটাই Better... আমরা নাদান বাচ্চা গুলা তাহলে আপনাদের সময়কার ঘটনাগুলা পইরা একটু পুলকিত হইতে পারি......আর কবিতার কোনো সংকলন থাকলে আরো ভাল হয়.........

    জবাব দিন
  7. মাহমুদ (১৯৯০-৯৬)

    আপাততঃ আমার দাবী একটাই- সংকলনে তাইফুরের 'আর্টস ফিকশন' চাই। তা নাহলে অনশন (পড়ুন সংকলন না পড়া)।


    There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx

    জবাব দিন
  8. রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

    ডিজাইন করা বা ছাপার জন্য বি সি সি র হোসেন (১৯৯০-৯৬) এর সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
    ভালো প্রকাশনী যদি দরকার হয়)))
    না দরকার নাই প্রকাশনীর নামই হোক ক ক ব বা
    সি সি বি বা
    ccb বা
    cadet college blog বা
    ক্যাডেট কলেজ ব্লগ প্রকাশনা

    আর আমার একটা অনুরোধ আছে
    রায়হান রশীদ (এফ সি সি ৮৬-৯০) এর লেখা চাই এবং তা যুদ্ধাপরাধ বা বিচার বিষয়ে হতে হবে

    এক্স ক্যাডেট বাদ দিলাম।
    ১২ টা কলেজ। ৩০০গুণ ১২= ৩৬০০।
    হিসাবে তো এখানেই ৩০০০ বই বিক্রি হয়ে যায়। আর স্যার রা রয়েছেনই।
    স্যারদের কাছ থেকেও লেখা আসতে পারে।
    ক্যাডেট কলেজ বরাবরে একটা করে মেইল করা হোক প্রয়োজনে।

    আর বিক্রিলদ্ধ টাকার একটা অংশ দিয়ে সি সি বি ফান্ড করা হোক। যার বেশিরভাগ টাকা ব্যয় হবে ক্যাডেট বা স্যারদের বিপদে আপদে।
    অসম্ভব কোন স্বপ্ন দেখছি কি?
    আমি মনে করি না।
    এখন দেখা যাক সবার ভাবনা।

    আর গৌরি সেনের ব্যাপারটা। দেশের লাঠি, একের বোঝা।
    সবাই মিলে করে ফেলবো।


    এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

    জবাব দিন
    • হাসান (১৯৯৬-২০০২)

      রাজীব ভাই, এই সমীকরণ কাজ করে না। আমার বই যখন বের হয়, আমি ভাবছিলাম ক্যাডেটরাই কিনবে কমপক্ষে ১০০ কপি, আমার কলেজের সিনিয়র-জুনিয়র আর সিসিবির লোকজন। যেই ৩০০ কপি বিক্রি হইছে মনে হয় না তার মধ্যে ক্যাডেটরা ১৫টার বেশি কিনছে 😀

      জবাব দিন
      • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

        সেইটা বুঝছি হাসান।
        কিন্তু আমি কি বলছি সেইটাও দেখো।
        তুমি তো আর এই ক্ষেত্রে কইবা না প্লিজ একটা বই কিনুন?
        যেইটা করতে হইবো তার নাম পুশ সেল।
        আর আমি আরেকটা কথা যেটা বলছি সেইটা হইলো ফান্ড তৈরি করা ভবিষ্যতের জন্য।
        সি সি বি আর ই সি এফ এবং আরো যেসব গ্রুপ আছে ক্যাডেটদের তাদের এক সাথে কাজ করতে হবে।
        কেউ না কেউ তো অসুস্থ হচ্ছেই।
        নুরুল হক স্যার কাজ করছেন দুস্থদের নিয়ে।
        আমি আবার একটু সংকীর্ণ মনা। কাজ না হয় করলাম ক্যাডেট, এক্স ক্যাডেট স্যার, কর্মচারী নিয়ে। ভাবা উচিত এই বিষয়ে।
        দুই দিন পর পর কাহাতক সবার কাছে পয়সা চাওয়া যায় এর বিপদ, তার বিপদ,
        আর সত্যি বলতে কি অনেকের হয়তো সামর্থ আছে কিন্তু তাতক্ষণিক ভাবে অনেকেই প্রয়োজনীয় টাকা জোগাড় করতে পারে না।
        আমার বাবা মা দুই দফায় ভয়ানক অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা দুই ভাই দুই দেশে। আত্মীয় স্বজন ওই সময় টাকা খরচ করেন। আর পরে আমরা দুই ভাই সেই টাকা শোধ করে দেই।
        সো এইটাকে শুধুমাত্র বই প্রকাশনা হিসাবে না দেখে আরও বড় কিছু ভাবা হোক।
        আর এখন কলেজের যে অবস্থা শুনলাম তাতে বাবা মায়ের কিছুটা টাকা পয়সা না থাকলে ছেলে মেয়েকে ক্যাডেট কলেজে পড়ানো প্রায় অসম্ভব।
        সো একটা বই কেনার জন্য চাপ দিলে বা পুশ সেল করলে ক্যাডেটদের মাঝে সেটা নিঃসন্দেহে অন্যায় হবে না। তার উপর বিক্রিত টাকা যদি ক্যাডেট কলেজ রিলেটেড লোকদের জন্য ব্যাবহার হয় তবে তো কোন সমস্যাই হবার কথা না।


        এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

        জবাব দিন
      • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

        আরেকটা ব্যাপার
        তোমার টা কিসের বই ছিলো?
        আমি নিজে নতুন লেখকদের বই কিনতে উৎসাহী না। ইভেন পুরানো বা প্রতিষ্ঠিত অনেকের বই কেনাই আমি টাকা পয়সা নষ্ট মনে করি।


        এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

        জবাব দিন
        • নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)
          আমি নিজে নতুন লেখকদের বই কিনতে উৎসাহী না।

          কিনলে তো নতুন লেখকের বই-ই বেশি করে কেনা উচিত।নতুন লেখকের পরিচিতিটা ঘটবে কি করে তা না হলে?

          কি কও এইগুলা!

          জবাব দিন
          • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

            দাদা, আপনি মনে হয় আমার কথাকে ভুল ভাবে দেখছেন। আমি আনিসুল হক, মিলন, হুমায়ুন আহমেদের বই কেনা কেও অপচয় হিসাবে দেখি।
            আর এই দেশে টাকা হইলেই বই ছাপানো যায়। আর বই কিনা যদি লেখক তৈরি করতে হয় তবে সেই লেখক, কবির দরকার নাই।


            এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

            জবাব দিন
          • রাজীব (১৯৯০-১৯৯৬)

            দাদা আপনারেও একটা :boss: ।
            এই যে আপনি সহ আরো দুইজন; আমিন আর শাওন ভিন্নমত পোষণ করছেন তাতে ভালো লাগছে।
            হুমায়ুন আজাদ কোন এক জায়গায় বলেছেন, সবাই সহমত হলে মনে হয় মাঝারি বা নিম্ন মাঝারি হয়ে যাচ্ছি।

            ভালো লাগ লো ভেবে দাদা।
            আমিন যথারীতি মকরা। সে পরে কারণ বলবে বলেছে।

            আসলেই তো সব ক্ষেত্রেই কি সহমত হতে হবে!
            তাইলে তো মিলিটারি শাসন হইয়া গেলো।
            প্রতিনিয়তই মনে হয় শিখছি।
            মুহম্মদ হাবীবুর রহমানের কথা খেয়াল আছে? ৯৬ এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান ছিলেন।
            উনি ছাত্র জীবনে কম্যুনিস্ট ছিলেন। ডাক নাম ছিলো শেলী ভাই। উনি ফাষ্ট ক্লাস ফাষ্ট হয়েও সরকারী চাকুরীতে বসতে পারছিলেন না বলে ঢা বি তে পান, সিগারেট ফেরি করা শুরু করেন।
            কিছুদিন আগে তার কোরানের অনুবাদ হাতে আসলো, সফট কপি।
            আশা করছি আগ্রহী পাঠকরা উপকৃত হবে। সহজ ভাবে লেখা।

            আমি একটু কনফিউসজড হয়ে গেছিলাম। কম্যুনিস্ট মানুষ কিনা লিখছেন কোরানের অনুবাদ!
            একবার মনে হইল উনি বিশ্বাসী হয়ে গেছেন। আবার মনে হইলো বিশ্বাস অবিশ্বাস তার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। তিনি লিখতে চেয়েছেন, লিখেছেন।

            আমিও বেশ কিছুদিন যাবত ভাবছি কোরান নিয়া আলোচনা করবো। একেবারে প্রথম থেকে, সূরার পর সূরা ধরে। অবিশ্বাসের চোখে কোরান শিরোনামে।


            এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ

            জবাব দিন
        • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

          রাজীব ভাই, আমার দ্বিমতের জায়গাগুলো বলবার চেষ্টা করি।

          আর এই দেশে টাকা হইলেই বই ছাপানো যায়। আর বই কিনা যদি লেখক তৈরি করতে হয় তবে সেই লেখক, কবির দরকার নাই।

          এই দেশে টাকা হলে লেখক হওয়া যায় কথাটা সত্যি। তবে পরের কথাটাতে আমার আপত্তি। মানে বই কিনাই পাঠক তৈরি করতে হবে। এখন মনের আনন্দের জন্যে লিখে এমন লোক কম। কিংবা লিখে নিজের ঘরে লুকিয়ে রাখবেন মৃত্যুর পর সেগুলো প্রকাশিত হবে এমন ব্যাপার নেই। বরং যুগটাই প্রচারের যুগ। সেই জন্যই প্রচার দরকার যে কোন নতুন লেখকের জন্য। এখন প্রকাশনী যারা তাদের শিল্প সাহিত্যের প্রতি অত দায় নেই। তারা তাদের বিজনেস করবে। এখন একজন মহা প্রতিভাবান লেখকের বইও যদি দশটা বিক্রি না হয়, পরের বার তিনি যত বড় লেখকই হোন না কেন, লেখা প্রকাশের জন্য প্রকাশনী পাবেন না। কারণ, ঐ যে বললাম প্রকাশনীর শিল্পের প্রতি দায় নাই। আর আপনার কথাটায় এক ধরণের শ্লেষ পাই। কিন্তু আমি নিজেই এদিক ওদিক তাকালে অনেক সম্ভাবনাময় লেখক দেখতে পাই যারা এক্সপোজার পেলে মূল ধারার লেখখদের সাথে পাল্লা দিয়েই লেখতে পারবেন।

          আমি আনিসুল হক, মিলন, হুমায়ুন আহমেদের বই কেনা কেও অপচয় হিসাবে দেখি।

          আনিস মিলন হুমায়ুন বলে বলছি না, আরএম গুপ্ত টাইপ কিছু কেনা ছাড়া কোন বইয়ের কিনার বেলায়ই অপচয় কথাটা মানতে পারি না। বাঙালি একবেলা ফাস্টফুডে খেয়ে দুইশত টাকা নষ্ট করতে পারে, কিন্তু তাতে সে অপচয় মনে করে না, কিংবা শপিং মলে ঢুকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের বাইরেও হাজার হাজার টাকার শপিং করতে অপচয় মনে করে না, কিংবা ছেলেমেয়ের জন্মদিনে হাজার হাজার টাকা খরচ করে অনুষ্ঠানেও তাদের অপচয় ঠেকে না, অথচ বই কেনার বেলায় সাধারণ মানুষের বিরাট অনীহা। এমনকি ১০০ টাকা বইয়ের পিছে খরচ করতেও অনেক লোকের বুক ফেটে যায়।

          তবে বই কিনতে জোর করার পক্ষে না আমি। বরং আমাদের নিজেদের মাঝে বই পড়ার কালচার গড়ে তোলাটাই বেশি দরকার বলে মনে করি। বাচ্চার অনুষ্ঠানে জামা খেলনা দেয়ার চেয়ে বই দেয়ার অভ্যাস করতে পারি। এমনকি বিয়ের অনুষ্ঠানেও গিফট হিসাবে থালা বাসনে ভারাক্রান্ত না করে বইয়ের সেটও উপ হার হিসাবে দিতে পারি।

          কিন্তু মূল বয়াপার আসলে সদিচ্ছার । আশা করি আমার দ্বিমতের জায়গা গুলো স্পষ্ট করতে পেরেছি। অনলাইন ধারার থেকে বের হওয়া বইয়ের ব্যাপারে পূর্ব অভিজ্ঞতা বলে, যাদের লেখা থাকে তারা ছাড়া ইভেন ঐ ব্লগেরবা অনলাইন কমুউনিটির বাকি লোকেরাও বই কিনে না। যাহোক আশা করি সিসিবির ব্যাপারটা সেগুলো থেকে ব্যাতিক্রম হবে।

          জবাব দিন
  9. আসিফ খান (১৯৯৪-২০০০)

    আমি কবিতা অংশে নাম লেখাতে চাই! :shy: আর বিশ্লেষণ ধর্মী কিছু হলে আরো রাজী। এবং তা অবশ্যই স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়েই হবে। :shy: আপনাদের পরামর্শ জানতে পারলে বাধিত হব!!

    জবাব দিন
  10. নাজমুল (০২-০৮)

    খুব ভালো একটা প্রস্তাব, জিহাদ ভাই, রাজিব ভাই এবং রেজা শাওন ভাইকে ধন্যবাদ এধরণের প্রস্তাব রাখার জন্য।

    শুধু ক্যাডেট কলেজ নিয়ে না লিখে , গল্প, কবিতা, উপন্যাস এর মত ক্যাডেট কলেজ নামের একটা চাপটার রাখা যায় যেখানে পরানের গহীন ভেতরের থেকে কিছু গল্প বেছে দেওয়া যেতে পারে।

    যেভাবেই হোক একটা বই বের করতে হবে এই বইমেলায়, জুনিয়র ক্যাডেট তোমরা সাহায্য করতে পারবানা!!! অন্য ব্লগ পারে তোমরা পারবানা!! শাবাস!!! এইবার তোমাদের দেখানোড় সময়, আমি কথা দিলাম এই বইমেলায় বই বের না হইলে আমি কখনো আর বই মেলায় নিজের বই বের করবোনা। (জুনিয়রদের চিয়ার আপ করাই দিলাম B-) )

    জবাব দিন
  11. মুস্তাকিম (৯৪-০০)

    স্মৃতিচারণামূলক লেখার ক্ষেত্রে মনে হয় পুরনো লেখাকে বিবেচনা করা উচিত। কারন সিসিবি-র শুরুর দিকের স্মৃতিচারণামূলক লেখাগুলো অসাধারন। আনকোরা নতুন লেখা দিতে গেলে লেখাতে সেই আবেগ না-ও থাকতে পারে। পাঠক জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে স্মৃতিচারণামূলক কিছু লেখা বাছাই করে সেটার সাথে নতুন লেখাকে তুলনা করে যেগুলো ভাল হবে সেগুলোকে নির্বাচন করা যায়।

    জবাব দিন
  12. শাওন (৯৫-০১)

    সুলেখকদের নাম দেখে খুব ভালো লাগলো.........আমি পাঠক, তাও খুব নিচু মানের...লেখক বা সমালোচক নই...নতুন লেখা পাবো ওতেই খুশী...


    ধন্যবাদান্তে,
    মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান শাওন
    প্রাক্তন ক্যাডেট , সিলেট ক্যাডেট কলেজ, ১৯৯৫-২০০১

    ["যে আমারে দেখিবারে পায় অসীম ক্ষমায় ভালো মন্দ মিলায়ে সকলি"]

    জবাব দিন
  13. খায়রুল আহসান (৬৭-৭৩)

    পৌণে চার বছরের পুরনো এই পোস্ট পড়ে একটা শুভ উদ্যোগের কথা জানতে পারলাম। স্বতঃস্ফূর্ত মন্তব্যগুলোও ভালো লেগেছে।
    বইটা কি শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেছিলো?

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।