~ বেভুল বিটোভেনে এখন ~

জীবনকে ক্ষ্যাপা ষাঁড়ের শিঙে
আমূল বিদ্ধ করে
দেখতে চেয়েছিলাম
কতোটা রক্তপাত ধারন করে
তার লৌকিক শরীর !

কোষের ভিতর
নুনের পরিমান মাপতে মাপতে
ক্লান্ত জিভের চামড়া খুঁইয়েছি ।
বুঝিনি –
কতোটুকু ছিলো তার ঘাম,
কতোটা রক্তস্নান !

বোধের মরফিনে
ডুবে থাকা অনুভূতির ঢল
তখনো অবাক
ঝরায় অশ্রুজল !

চামড়ার পোষাক খোয়ানো
নাংগা জিভখানা অকস্মাৎ
বুঝে ফেলে অশ্রুতে
জল ও নুনের মিশ্রণ অনুপাত ।

বিস্তারিত»

ববি ডারিন – “ভুল সময়” যাকে “কিংবদন্তি” হতে দেয়নি

“কাম সেপ্টেম্বর” ছবিটা তরুণ্যের কালে বিটিভিতে দেখেছিলাম।
কিন্তু তখন রক হাডসন আর জিনা লোলা ব্রিজিডাকে দেখায় এতটাই মশগুল হয়ে ছিলাম যে এ ছবির তরুণ সাপোর্টিং একটর-একট্রেসদের কে লক্ষ করা হয়নি সেভাবে।
তাছাড়া তখনতো আর তথ্য-প্রযুক্তির কাল আসে নাই, তাই পরে তাঁরা এছবি থেকে কি কি স্বীকৃতি অর্জন করেছিলেন, তার কোন কিছুও জানা হয়নি আর।

কিছুদিন আগে অনেকটা হঠাৎ করেই এক বন্ধুর কাছে জানলাম,

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ২৩

আমার শিক্ষকেরাঃ
জনাব আব্দুল্লাহ আল আমিন
জনাব আব্দুল্লাহ আল আমিন আমাদের বাংলার শিক্ষক ছিলেন, তবে ইংরেজীতেও তাঁর বেশ ভালো দখল ছিলো। একইসাথে তিনি নজরুল হাউসের হাউস মাস্টারও ছিলেন। প্রতিদিন সিরিয়াসলী পড়াতেন না, কিন্তু যেদিন তাঁর পড়ানোর মুড আসতো, সেদিন তিনি পিন পতন নিস্তব্ধতার মাঝে গড়গড় করে লেকচার দিয়ে যেতেন। আমরা হয়ে থাকতাম তাঁর বিমুগ্ধ শ্রোতা। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, দ্বিজেন্দ্রলাল, গোলাম মোস্তফা, জসিম উদ্দিন প্রমুখ কবিদের লেখা থেকে তিনি প্রচুর রেফারেন্স টানতেন।

বিস্তারিত»

তারপর…

একদিন ঝড়ো রাতে তুমি এসেছিলে,
চুপচাপ কাছে এসে পাশে বসেছিলে।
বোশেখের আমগুলো ঝরে পড়েছিলো,
প্রদীপের শিখাটুকু নিভে গিয়েছিলো।

তারপর…
মনে পড়ে?

তারপর আর তেমন কিছু নয়…

আঁধার মাঝেই উঠে তুমি রসুইঘরে গেলে,
উনুন ফুঁকে পাটখড়িতে আগুন ধরালে।
সেই আগুনে নিভে যাওয়া সলতে জ্বালালে,
আবার পাশাপাশি আলোয় বসে গল্প শোনালে…

ঢাকা
০৪ নভেম্বর ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

বিস্তারিত»

নিউরনে আলাপনঃ তেরো

: কোথাও কোন লেখা পড়লে বুঝি তুমি আসলেই কত সুন্দর লেখো …
: কী যে বল না তুমি? আমারগুলো এমনি এমনি লেখা, তাতে এমন কী যায় আসে?
মূল্যের দিক থেকে তো সমুদ্রের তীরের বালুকণাও না …
: সে তুমি বুঝবে না … শুধু আমার মন জানে … তোমার মুগ্ধ পাঠকেরাও তো বলে …
তুমি কত ভালো লিখছো সত্যি বুঝতে পাচ্ছো তো?

বিস্তারিত»

কেমন হতো যদি এমন হতো ????

কিছু কিছু দেখা না হলেই বুঝি ভাল হতো ……………
কিছু কিছু কথা না বললেই বুঝি ভাল হতো ………………
কিছু কিছু স্পর্শও না ছুঁলেই বুঝি বেশি ভাল হত…………

সেসব এর অভাব কি তবে এতটা মরমে মরমে মারতো ????

কিছু কিছু দিন না আসলেই বুঝি ভাল হতো ……………
কিছু কিছু ঘটনা না ঘটলেই বুঝি ভাল হতো ……………
কিছু কিছু অ্যাডভেঞ্চার না করলেই বুঝি বেশি ভাল হতো ……

বিস্তারিত»

অদ্ভুত এক মানসিক অবস্থা, নাম তার “বাই পোলার ডিজঅর্ডার” – (শেষ পর্ব)

অদ্ভুত এক মানসিক অবস্থা, নাম তার “বাই পোলার ডিজঅর্ডার” – (প্রথম পর্ব)
অদ্ভুত এক মানসিক অবস্থা, নাম তার “বাই পোলার ডিজঅর্ডার” – (দ্বিতীয় পর্ব)

দ্বিতীয় পর্বে বলেছিলাম, শেষ পর্বে চিকিতসা নিয়ে আরও কিছু কথা বলবো।
তবে জানিয়ে রাখা দরকার যে। “চিকিৎসা” কথাটা বললেই যেমন তা অসুস্থ্যকে সুস্থ্য করে তোলার একটা প্রক্রিয়া কথা মাথায় ঢোকায়, বাইপোলার ডিসঅর্ডারের চিকিৎসা কিন্তু আক্ষরিক অর্থে ব্যাপারটাকে সেই ভাবে কাজ করায় না।

বিস্তারিত»

টু হুম ইট মে কনসার্ন – চল্লিশের আত্মকথন

টু হুম ইট মে কনসার্ন – চল্লিশের আত্মকথন

এটা কেবলমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য একটা জনসচেতনতামূলক লেখা। নিজদায়িত্বে পড়তে হবে এবং লেখার কোন অংশের জন্য লেখককে কোনভাবেই দায়ী করা যাবে না। লেখাটা কিছুটা পুরুষ মানষ থেকে লেখা; নিজের জেণ্ডার এবং বয়সের উপলব্ধির রিফ্লেকশনস মাত্র। এখানে লেখককে জেণ্ডারবিদ্বেষী না ভাবাই স্বস্তিকর, কারন এটা এই লেখাটার একটা বড় দূর্বলতা, আর নিজের দূর্বলতা কেই বা আলোচনায় আনতে চায়?

বিস্তারিত»

রুবাইয়াত-ই-মোস্তাফিজ

এক

কি হবে সব ঠিক করেছ

অনেক  অনেক আগে

তবু প্রভু সাজা দেবে

ন্যায় বিচার কি হবে?

 

দুই

দেখছি ভেবে ভেবে

শুরুর থেকে এবে

বদলোকে  সব জিতে

ভালোয় ডুবে দুখে।

তিন

তালা দিলি কেন ওরে

বিবেকের জালামুখে

এভাবে কি নিরাপদে

ধনে মানে রবি সুখে?

বিস্তারিত»

গোলকিপার আলিমুজ্জামান

গোলকিপার আলিমুজ্জামান

“নবীন কিশোর
তোমাকে দিলাম ভুবনডাঙ্গার মেঘলা আকাশ
তোমাকে দিলাম বোতামবিহীন ছেঁড়া শার্ট
আর ফুসফুস ভরা হাসি
দুপুর রৌদ্রে পায়ে পায়ে ঘোরা
রাত্রীর মাঠে চিৎ হয়ে শুয়ে থাকা।
…………………..
তোমাকে আমার তোমার বয়সী
সবকিছু দিতে বড় সাধ হয়” ।- (সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়)
আমার অনেক দিনের ইচ্ছা নিজের সম্পর্কে লিখি। কোন অটোবায়গ্রাফি নয়, এমনিতেই নিজের সম্পর্কে প্যাচাল পারা!অথচ লিখতে গেলে প্রতিবারেই একটা অভাবনীয় ব্যাপার ঘটে।

বিস্তারিত»

হংসধ্বনি — পণ্ডিত রনু মজুমদার

পায়ে পায়ে উঠে আসে জল;
যদিও মৌন সমতল
ছিল আদিতে।
কিসের ঈষৎ স্পর্শে অত:পর
বৃত্তাকার বিক্ষেপ —
বিকেন্দ্র বিচ্ছুরণ!

আলতো চুম্বন ছুয়ে গেলে পাড়
সে কোন পাহাড় হয়ে
নেমে আসে সুর,
ধেয়ে আসে প্রশান্ত গড়ানে
বাঁশরীর হাত ধরে

পায় পায় জল উঠে আসে —
স্পর্ধায় লাফিয়ে লাফিয়ে
পাকিয়ে ওঠে
হাওয়ার প্রবল আহবানে,

বিস্তারিত»

সমান্তরালের জীবনগুলো

সমান্তরালের জীবনগুলো

১৯৮৫ সাল।আমি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট। অপারেশনাল ডিভিশন হবার কারনে ২৪ পদাতিক ডিভিশনে বাৎসরিক শীতকালীন যৌথ অনুশীলন অনুষ্ঠিত হয়না। তারপরেও আমাদের ইউনিটের উপ অধিনায়ক মেজর মুহিব! প্রচণ্ড রকমের প্রফেশনাল অফিসার । সেনাবাহিনীর ‘স্টাফ ডিউটিস ইন দ্য ফিল্ড’ বইটা শুনেছি তিনি নিজ হাতে লিখেছেন। তার ভয়ে শুধু আমরা জুনিয়ররা নই, আমার ইউনিটের অধিনায়ক, এমনকি ডিভিশন সদর দপ্তরের এবং অন্যান্য ইউনিটের তারচেয়ে সিনিয়র অফিসারগন পর্যন্ত তটস্থ থাকেন।

বিস্তারিত»

পাহাড়ের দিনলিপি-২

DSC_0529
Good Morning Sunday…সকাল থেকে আকাশ মেঘলা…এই মধ্য কার্তিকে, এই হেমন্তে বৃষ্টি হওয়ার কথা না…কাল দুপুর পর্যন্ত আঝোর বৃষ্টি হয়েছে…ঠিক ভাবে বললে মন্ত্রী আসার আগ পর্যন্ত…অথবা মন্ত্রী বৃষ্টি থামতেই এসেছেন…রেইনকোট পড়ে বৃষ্টিতে হাটতে হাটতে ভেবেছি এই কার্তিকের বৃষ্টি নিয়ে কেউ কবিতা লিখেছেন কিনা…ভেবে পাইনি…রাতে ঘরে ফিরে নেটে ঘেটেছি…পেয়েছিলামও…এখন মনে নেই…তাই অফিসে বসেই খোঁজ করছি…পাচ্ছি না…অস্থির লাগছে…
কাল রাতে কোন কোন পেজ গুলো ব্রাউজ করেছি?

বিস্তারিত»

অভিশাপ….

শক্তিমান লেখক হুমায়ুন আজাদের ওপর নির্মম আক্রমণের পরপরই লেখা এই কবিতাটি। আমার হাতে তখন  “আমরা কি এই বাঙলাদেশ চেয়েছিলাম”? ‘আজকের কাগজ’ পত্রিকার সাহিত্য পাতায় প্রকাশিত হয়েছিলো এই কবিতাটি, তখনও তিনি মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিলেন। সেই হত্যাকান্ডের মডেলেই সাম্প্রতিক আর সব চাপাতি হত্যাকান্ডগুলি বাংলাদেশে এখনো জারি হয়ে আছে। কাপুরুষোচিত এই কর্মকান্ডগুলির বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে শক্ত অবস্থান নেয়ার সময় এখনিই।

অভিশাপ

হুমায়ুন আজাদ, আমি আপনার দিকে আর তাকাতে পারিনা;

বিস্তারিত»