জেগে আছি ভেবে
পাখিরাও বসেছিলো কাঁধে,
প্রজাপতি
আঙ্গুলের আনাচে কানাচে।
অগোছালো পাতাদের
নিরন্তর আহলাদে
শালিখেরা খেয়েছে
করতল খুঁটে খুঁটে।
বাবুই আর চড়ুইয়ের দল
কথার কোমল বিষাদে
এঁকেছিলো শব্দের আলপনা
কন্ঠার জেগে ওঠা তল্লাটে।
পায়ের পাতার কাছে
অপেক্ষামগ্নতার
লতানো টেরাসে
অচেনা ফোটা ফুল
পাঁপড়ির বিভাজিকা
মেলে ধরা উৎসবে
চেয়েছিলো উঠবে বেড়ে
স্থবির চোখের কাছে
ঠিক চিবুকের সমান।
লঘু চন্দ্রালোকে
শিলা স্থাপত্যের মতো
ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা
এলো চুল ক্ষ্যাপাটে।
মানুষ বাসিনা ভালো
তাই ওরকম কথাহীন
কাটাচ্ছি একটা জীবন
গাছ ফুল লতা আর
পাখিদের সাথে
সখ্যতার মৌতাতে।
বাতাসে মৃদু উড়ছিলো
বোকা চুলগুলো।
যেনো বলছিলো
আছি বেঁচে !
ভাবছিলো বুঝি
ঠায় দাঁড়িয়ে থাকার
একটা জীবন আমার
এখনো আছে।
১১ অক্টোবর ২০১৫
চমৎকার ভাইয়া ! সকালবেলা মনটা ভালো করে দিলেন :clap:
প্রীত হলাম মন্তব্যে।
ঋদ্ধ উদ্ধৃতিতে।
অনেক ধন্যবাদ কৌশিক।
🙂
শুভ সকাল ভাইয়া।
আপনার কবিতাটা সকাল সকাল পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। আগ্রহের ঘোরেই কিছু জিজ্ঞেস করতে চাচ্ছিলাম ভাইয়া। যেমন প্রথম তিন স্তবকের তারুণ্যের গান কি পরের স্তবকগুলোতে বয়সের ভারে হারিয়ে গেলো ভাইয়া? সেক্ষেত্রে চমৎকার শেষ লাইনগুলো
"ভাবছিলো বুঝি/ঠায় দাঁড়িয়ে থাকার/একটা জীবন আমার/এখনো আছে।" কি একটু নৈরাশ্য এনে দিল? শেষ বেলার হতাশা কি অনিবার্য্য? আমার জ্ঞ্যান এর পরিধি অত্যন্ত ছোট বিধায় প্রশ্নগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃস্টিতে দেখবেন ভাইয়া।।
কবিতাটা অত্যন্ত ভালো লেগেছে ভাইয়া। 🙂
বিষাদ আর জীবনের প্রতি অভিমানই কিন্তু কবিতাটার প্রতিপাদ্য। স্থবির জীবনে পাখী যেনো বাসা বাঁধে আমার শরীরে, ঠুকরে খায়। প্রজাপতি ঘোরে আংগুলের আনাচে কানাচে। প্রকৃতি তাকে তার অংশ করে নিয়েছে ঠিকই কিন্তু প্রকৃতি আর তার অনুসংগ তাকে গোনেনা অমন। আর যার জন্যে অপেক্ষা তার কারনেই শেকড় গজানোর মতোন এমন স্থবিরতা। এমন এক প্রবহমানতায় তাকে জীবিত ভাবাটাই যে ভুল সেটাই শেষ কথা।
এটাকে ঠিক নৈরাশ্য বলা যাবে না। হতাশা ও অভিমান। হেঁয়ালীর ঢং এক অর্থে বলা যায়। ঢংটি জীবনের সাথে।
বিষাদের কথা সম্ভবত বেশী ভর করে থাকে আমার ভিতর।
:boss: :boss: :boss:
ঠায় দাঁড়িয়ে থাকার
একটা জীবন আমার
এখনো আছে।
:boss: :boss: :boss: জটিল
... আঙ্গুলের আনাচে কানাচে প্রজাপতি, লঘু চন্দ্রালোক, অসাধারন। মুগ্ধ। মুগ্ধ। মুগ্ধ।
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বার বার
একখান জীবন দাঁড়াইয়া হেলায় যদি কাটাইলাম, তারে কি কই। নড়ন নাই চড়ন নাই, সামনে পিছে যাওন নাই। মাইনষে আর কীইবা ভাববার পারবো !
তবু প্রজাপতি, চাঁদ এইসবের সাথে একখান জোর সখ্যের দাবীর দলিল।
অভিমানী যতোই হোক জীবনের সাথে, পাখিদের ডানায় কিবা প্রজাপতি পাখনায় এখনো তবু কিছু জীবন অবশিষ্ট যেনো রয়ে গেছে...
অপার ধন্যবাদ অরূপ।
কবিতার জ্ঞান আমার নিতান্তই সীমিত, লিখি ভিতরের এক তাগিদে। ব্যকরনহীন জীবনই পছন্দ তবে প্রশান্তি এবং ছন্দের দোল চাই, চাই অপার ভালবাসা। তাই মানি বিচারিক মন্তব্য করার কোন যোগ্যতা আমার নেই।
ভালো লেগেছে খুব, বিষাদে ভরে দিয়েছে শেষাংশ । কিছুটা গভীর প্রেমে ডুবে যেতেই ব্যাথা দিল সময় অথবা নিয়তি।
প্রথম কোন লেখার মন্তব্য করছি এই ব্লগে, আমি জানি অনেকেই হয়তো অতীতের নিরবতায় একটু বিষ্মিত হয়েছে। শুধু বলবো নিজেকে চিনতে ও তো সময় লাগে , তবে আমি বিশ্বাস করি স্তব্ধতাও কথা বলে।
দারুন বলেছেন ভাই।
ভীষণ !
স্তব্ধতাও কথা বলে...
অনবদ্য
:boss:
দারুণ!! :thumbup:
এমন মানব জনম, আর কি হবে? মন যা কর, ত্বরায় কর এ ভবে...
পাতাদের ভালবাসা মেখে গায়
শেকড়ের সাথে সন্ধি হয়ে যায়
ওভাবেই তো আফিমডোবা চিত্তে
অবাক আঁটকা পড়া জীবনের বৃত্তে
স্বেচ্ছাবন্দী !
সে আমারই নির্দোষ ফন্দি ।
আকর্ষণীয় হেঁয়ালীমাখা কবিতা। পড়ে ভাবাক্রান্ত ও ভারাক্রান্ত, দুটোই হ'লাম। প্রথম স্তবকটাই তো ভিত গড়ে দিয়েছে, পরের সুন্দর কথাগুলো অবলীলায় চলে এসেছে। কিছু কিছু কথা অনবদ্য, স্পর্শ করে যায়ঃ
১। বাবুই আর চড়ুইয়ের দল
কথার কোমল বিষাদে
এঁকেছিলো শব্দের আলপনা
কন্ঠার জেগে ওঠা তল্লাটে
২। ভাবছিলো বুঝি
ঠায় দাঁড়িয়ে থাকার
একটা জীবন আমার
এখনো আছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ খায়রুল ভাই। আপনার পাঠের প্রতিক্রিয়া আর মন্তব্যে অনন্য অনুপ্রেরণার জন্য।
:boss: :boss: