প্রসংগ ক্যাডেট কলেজঃপ্রত্যাশা ও বাস্তবতা

(লেখাটি মেহেদী ভাইয়ের পোস্টের মন্তব্য হিসেবে দিতে গিয়ে দেখলাম বড় হয়ে যাচ্ছে,তাই আলাদা করে দিলাম।এখানে আমার কিছু ব্যক্তিগত অভিমত তুলে ধরছি।একে শ্রদ্ধেয় মেহেদী ভাইয়ের লেখার পাল্টা জবাব বা এ জাতীয় কিছু হিসেবে না নেবার অনুরোধ করছি সবাইকে,বরং উনার সুপাঠ্য লেখাটি পড়ে আমার ব্যক্তিগত মতামতের প্রকাশ ঘটেছে এখানে।যে কোন ধরণের সমালোচনা সাদরে আমন্ত্রিত।)

ক্যাডেট কলেজ এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে কিছু মেধাবী সন্তানকে সঠিক পরিচর্যা প্রদান করতে আমাদের দরিদ্র মাতৃভূমি তার কষ্টার্জিত অর্থ অকাতরে ব্যয করে ।মনে পড়ে, সারাদেশ যখন ১৯৯৮ সালের বন্যায় প্লাবিত অথবা রংপুরের মানুষ যখন মঙ্গায় পীড়িত হয়ে পথের কুকুরের সাথে খাবার নিয়ে কাড়াকাড়ি করছে,ডাইনিং হলে আমাদের তখন ভাত তো দূরের কথা,পুডিংটাও কম পড়েনি।তাই দেশের মানুষ যদি ক্যাডেটদের প্রতি প্রত্যাশা আর বাস্তবতার মধ্যে ফারাক নিয়ে প্রশ্ন করে,তার জবাব দেবার নৈতিক দায় অবশ্যই আমাদের ওপর বর্তায়।মেহেদী ভাই তাঁর লেখায় অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি বিষয় তুলে ধরেছেন যা অবশ্যই প্রশংসার দাবীদার।তবে এ বিষয় নিয়ে কথা বলার সময় কেউ যদি বলে-“এত খরচ করে তোমাদের পড়ানো হচ্ছে,কিন্তু কই, তোমাদের কাউকে তো খুব একটা নামকরা হতে দেখিনা” তখন বেশ কিছু বিষয়ের অবতারণা প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে।তবে তা অবতারণা করার সময় আমাদের যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে সেটি হচ্ছে-ক্যাডেট কলেজ কিন্তু শুধুমাত্র “সেলিব্রিটি” তৈরির উদ্দেশ্য নিয়ে আসেনি।ক্যাডেট কলেজের মূল উদ্দেশ্য সুযোগ্য নাগরিক তৈরি করা, যারা যে কোন পরিস্থিতিতে নেতৃত্ব দানে সক্ষম এবং দেশপ্রেমে যাঁদের অন্তর উজ্জীবিত।আর বর্তমান বাংলাদেশে এরকম মানুষের সংখ্যা ক্যাডেট কলেজের চাইতে বেশি আর কোন প্রতিষ্ঠান দিয়েছে সে বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে বৈকি।দেশের খ্যাতনামা কলেজগুলোর প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে বলছি,সেখানেও কিন্তু দেশের সেরা মেধাগুলোই যায়।কিন্তু আমাদের প্রতি বছর একটি ক্যাডেট কলেজ থেকে মাত্র ৫০ জন ছাত্র পাস করে,আর মাত্র এই কজন ছাত্রকেই এমন ভাবে তৈরি করা হয় যাতে তারা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে উজ্জ্বল সাফল্য অর্জন করে।অপর অন্যান্য নামকরা কলেজে ছাত্রসংখ্যা অনেক বেশি হওয়া সত্ত্বেও তাদের সাফল্যের হার কিন্তু আমাদের চেয়ে অনুপাতগতভাবে কম(আমার এ লেখার উদ্দেশ্য তাদেরকে খাটো করা বা জাতি গঠনে তাদের অসামান্য অবদানকে অস্বীকার করা নয়,বরং একটি তথ্য তুলে ধরা)।লক্ষ্য করলে দেখা যাবে,এই যে নেতৃত্বদানে সক্ষম সুনাগরিক তৈরি করার যে ব্যাপারটি,এখানে ক্যাডেট কলেজের সাথে তুলনায় আসার মত প্রতিষ্ঠানও কিন্তু খুব বেশি নেই।আমি আমার অতি ক্ষুদ্র জ্ঞানের পরিধি থেকে দুটি উদাহরণ দেব।

১।নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ ডিপার্টমেন্টের প্রধান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দুজনই এক্স ক্যাডেট।আর সেখানে কতজন শিক্ষক রয়েছেন তার সঠিক পরিসংখ্যান এ মুহূর্তে আমার কাছে না থাকলেও এ দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদ যে ক্যাডেটদের দ্বারা অলংকৃত,এটি আমি ক্যাডেটদের সাফল্যের হিমশীলার উপরের দৃশ্যমান ক্ষুদ্র অংশমাত্র বলেই মনে করি।গত পরশু ঢাকা ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভগের সামনে দিয়ে হেঁটে যাবার সময় ৩ জন শিক্ষকের সাথে দেখা হল যাঁরা ক্যাডেট কলেজের ছাত্র ছিলেন-রুশাদ ফরিদি স্যার(এমসিসি),আশিকুজ্জামান স্যার(জেসিসি) আর আরেকজন স্যার যাঁর নাম মনে নেই কিন্তু ওখানের বন্ধুরা বলেছিল তিনি এমসিসির।হ্যাঁ, তাঁরা জাফর ইকবাল স্যারের মত সেলিব্রিটি কেউ নন, কিন্তু এরকম অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ মানুষ যে ক্যাডেট কলেজ তৈরি করেছে-এ কথা একমাত্র অন্ধের পক্ষেই অস্বীকার করা সম্ভব(মেহেদী ভাই,ভুল বুঝবেন না,আমি তাদেরকেই এ কথাটি বলেছি যারা ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের সাফল্যকে খাটো করে দেখে)।

২।বর্তমানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব জনাব তৌহিদ হোসেন রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেট(আমি এটা জানি কেননা তাঁর মেয়ে আমার সহপাঠী)।সিভিল সার্ভিসের সবচেয়ে কঠিন ক্যাডার(যোগদানের প্রেক্ষিতে,যেখানে দেড় লাখ পরীক্ষার্থী থেকে মাত্র ১৫ জনকে বেছে নেয়া হয়) ফরেন সার্ভিসে আমার জানামতে (জেক্সকা বুলেটিনের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী) শুধু জেসিসি থেকেই বাংলাদেশের সর্বমোট প্রায় ৬০ টি কূটনৈতিক মিশনের ৩ টি দেশে (ইন্দোনেশিয়া,চায়না এবং তুরস্ক) সর্বোচ্চ পদ রাষ্ট্রদূত হিসেবে প্রাক্তন ক্যাডেটরা কর্মরত আছেন। এছাড়া অন্যান্য পদ যেমন ফার্স্ট সেক্রেটারি হিসেমে কতজন কর্মরত আছেন সেটা তুলে ধরতে হলে দীর্ঘ সময় ও স্থানের প্রয়োজন-যা আপাতত বাদ দিচ্ছি।সর্বশেষ ২৭ তম বিসিএস পরীক্ষাতেও সারা দেশে যিনি প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তিনি জেসিসির ২৮ তম ব্যাচের ক্যাডেট কামরুজ্জামান ভাই।আমার সীমিত জ্ঞাণের কারণে অন্যান্য কলেজের সাফল্যের সব খবর এখানে দিতে পারছিনা(স্থান সংকুলানও হবে না তাহলে),এক্ষেত্রে পাঠকদের জানা এরকম আরো উদাহরণ আশা করছি।

উপরের উদাহরণদুটি কিন্তু কোন ভাবেই বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা নয়,বরং আশে পাশে যদি তাকাই এরকম শত শত দৃষ্টান্ত আমরা দেখতে পাব।তাই “তাই “বিশেষ করে বেসামরিক এলিট দের মাঝে ক্যাডেট দের অবস্থান তেমন বেশী নয়”-এ কথাটির সাথে দ্বিমত প্রকাশের ধৃষ্টতা দেখাচ্ছি।আমরা আরো বলতে পারছি-ক্যাডেট কলেজের যে মূল উদ্দেশ্য বা জাতির যে প্রত্যাশা(নেতৃত্ব দানে সক্ষম সুনাগরিক তৈরি করা),তার সাথে বাস্তবতার যে খুব বেশি ফারাক আছে এমনটি বোধহয় কট্টর ক্যাডেটবিদ্বেষী মানুষও বলতে পারবেন না।আর যদি সেলিব্রিটি তৈরির কথা বলি(এখানে বলে নেয়া যেতে পারে,উপরের যাঁদের কথা আমি বলেছি তাঁরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ অঙ্গনে সেলিব্রিটি বা বিখ্যাত ব্যক্তি।শেষোক্ত সেলিব্রিটি বলতে আমি মিডিয়া অঙ্গনের কথা বলেছি)- এ ব্যাপারে “ক্যাডেটস” নাটকের সহকারী পরিচালক কামরুল ভাই আমার চাইতে অনেক ভাল তথ্য দিতে পারবেন।এই মুহুর্তে শুধু এটুকু মনে পড়ছে,বিখ্যাত অভিনেতা তৌকির আহমেদ জেসিসির আমার হাউসের(হুনাইন) একজন প্রাক্তন ক্যাডেট।আর “অস্তিত্বে আমার দেশ” নামে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের জীবনী নিয়ে যে সিনেমা, সেটার পরিচালক খিজির হায়ত খানও ক্যাডেট পরিবারের সদস্য।

পরিশেষে একটি কথা বলা যেতে পারে,আমি কোনভাবেই আত্মতুষ্টিতে ভোগার কথা হৃদয়ে স্থান দিচ্ছিনা।দেশের মানুষ আমাদের লালন পালন করার জন্যে তাঁদের কষ্টার্জিত যে অর্থ প্রদান করেন, তার বিনিময়ে আমাদের কাছে আরো অনেক বেশি প্রত্যাশা করার অধিকার নিঃসন্দেহে তাঁদের আছে।তবে যে সাফল্য আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে ভুলে গেলে কিন্তু আমরা ামাদের অগ্রজদের দেখানো আলোকবর্তৃকা থেকে বঞ্চিত হব।তাঁদের সাফল্যকে অতিক্রম করে তাঁদের মুখ উজ্জ্বল করে তুলব আমরা, দেশকে তাঁরা যেভাবে সেবা করেছেন তার চেয়ে আরো ভালভাবে আমরা সেবা করব-তাঁদের কাতারে অন্তর্ভূক্ত না হয়েও আমি দ্বার্থহীন কণ্ঠে বলতে পারি-এটি আমাদের অগ্রজদের মনের কথা।

৮,৩৪৯ বার দেখা হয়েছে

৫৭ টি মন্তব্য : “প্রসংগ ক্যাডেট কলেজঃপ্রত্যাশা ও বাস্তবতা”

  1. বাহলুল (৯৩-৯৯)

    আমি তো সব জায়গাতেই ক্যাডেটদের সাফল্য দেখি। আর্মিতে তো মনে হয় ৫০ পার্সেন্ট ক্যাডেট, সব ইউনিভার্সিটিতে ভালো সাবজেক্টে অনেক ক্যাডেট আছে। জাপানে মনবুশো স্কলার্সিপের মনে হয় ৫০ ভাগেরো বেশি ক্যাডেট। বাংলাদেশে প্রতি বছর এইচ,এস,সি, পরীক্ষা দেয় প্রায় ৫-৬ লাখ ছাত্র। তার মধ্যে মাত্র ৫০০ জন ক্যাডেট, যার ২০০-২৫০ জন যায় আর্মিতে। বাকি থাকে ২৫০ জন। তারপরো সব ভালো জায়গায় এই ২৫০ জন ক্যাডেটের উপস্থিতি নজরে পরার মত। অন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমন সাফল্য আমার চোখে পরেনি।

    জবাব দিন
  2. এই মুহুর্তে আমার যা মনে পড়ছে মিডিয়া অঙ্গনের সেলিব্রিটিদের মধ্যে ক্যাডেট যারা আছে-

    তৌকির আহমেদ-অভিনেতা,চলচ্চিত্র পরিচালক
    শাকুর মজিদ-নাট্যকার
    মোস্তফা মামুন-নাট্যকার,লেখক,সাংবাদিক
    এনামুল করিম নির্ঝর-চলচ্চিত্র পরিচালক(আহা!)
    খিজির হায়াত খান-চলচ্চিত্র পরিচালক

    মাসরুফ-ফৌজিয়ান ভাইয়ের আগামী ছবির নায়ক(আসিতেছে)

    জবাব দিন
  3. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

    বাই দা ওয়ে, এইখানে না আমাগো নভিসেস প্যারেড নিয়া আলোচনা করার কথা?এইগুলা কি হইতাছে?দুইজন আছে আমারে লইয়া ফিলিম বানানোর তালে আর বাকি দুইজন আছে আমি একটা সিরিয়াস টাইপ উদাহরণ দিছি সেইটা থিকা রসালো তথ্য বাইর করতে...পররাষ্ট্র সচিবের মাইয়া কেমন দেখতে সেইটা কি দরকার? x-( আমাদের উচিত সচিব মহোদয়ের ক্যাডেট স্মৃতি নিয়ে আলোচনা,তাঁর বর্তমান সাফল্যে ক্যাডেট জীবনের অবদান, কি করলে উনার মত হইতে পারবো ইত্যাদি জ্ঞানগর্ভ বিষয় নিয়া ব্যাপক দৃষ্টিপাত ও পর্যালোচনা... 😛

    জবাব দিন
  4. সাব্বির (৯৫-০১)

    লেখা পইড়া কমেন্ট দিমু না কমেন্ট পইড়া কমেন্ট দিমু বুঝতাছি না 😕
    পোষ্ট আর কমেন্ট পুরা বিপরীত দিকে দৌড়াইতাছে :grr: :grr:
    অফটপিকঃ ফৌজি ভাই ফিল্মে আমি ভিলেনের পার্ট টা করতে চাই 😀 😀
    মনালিসা বইলা কথা 😡 :dreamy: O:-) :hug:

    জবাব দিন
  5. * I wrote this in another post as a reply to a comment by Muhammad. I am reposting it here with a minor changes so a few more people reads this. Its about distinction between 'important(gunijan)' and 'famous(namkora)' people. I argue that cadet college produces many important people whether they are famous or not.

    ***********************

    Muhammad,

    Your writings are really good especially your science fiction and the one on ‘atiur rahman’.

    I agree with a lot of your points in your comments here. But your perceptions about ‘gunijans’ and ‘famous’ - I have things to say about that - please think about it. You have to remember that only about ‘1 in 1000′ students are cadets. Also 85% cadets are under 45 years. So, even if 1% of ‘gunijans’ in Bangladesh came out of cadet college, that’s very good. But I think it’s more than that - somewhere around 2% - 5% and growing. No cadets from BCC, CCR, PCC, MGCC, SCC, CCC have yet reached 45. Do you think there’s no gunijans there? 🙁 Many among them will be considered ‘gunijans’ in their fifties and sixties when people’s accomplishments are usually known.

    Also, ‘gunijans’ and being ‘famous’ are not the same. Intellectuals are ‘gunijans’ and very important people for society, but they rarely become famous. If I ask you to name an important living Bangladeshi scientist, you may name Muhammad Zafar Iqbal. But, you are wrong - I can name 40 Bangladeshi scientists in Bangladesh and abroad, who made more important contributions to science than him, and therefore more important scientists. Has Zafar Iqbal published a good research paper in last 15 years? - I don’t think so. Scientists are rated by their original research and discovery. Zafar Iqbal writes popular science fiction and columns - and thus he can be a professor famous for a popular reason. On the other hand, very few people know - Dr. Harun Ar Rashid (#1 physicist in Bangladesh, Dhaka U), Dr. Zahid Hasan (physicist, Princeton), Dr. Maqsudul Alam (Top researcher in Molecular Biology, USA), Dr. Abed Chowdhury (Genetics, Australia), (they may not be cadets) and many like them who are far more important scientists. Scientists rarely get known outside their field unless they get a Nobel Prize or something. So a very accomplished intellectual may not be ‘famous’. And a less accomplished scientist may be famous for a popular reason.

    Many cadets do well in intellectual area, and become important professors, researchers, engineers, doctors although they may not be ‘famous’ with that popular appeal. At this point I should also say that I did not know about ‘Atiur Rahman(Mirzapur)’ until I read your blog, but knew of ‘Debapriya Bhattacharya’ and many other economists who usually crave popular attention. But surely ‘Atiur Rahman’ is an exemplary ‘gunijan’, although a bit less famous - but that does not matter. The same way, I did not know about Dr. Tamim of BUET (Mirzapur) until I read your blog. I am sure there are many more like this who are 'gunijans', but were not known as famous in our country. Dr Fakhruddin Ahmed must have been an important person before being the chief adviser (he is not a cadet, I am just giving an example). But how many of us knew his name? On the other hand, hundreds of less important persons on TV and etc are known for being famous. In our country, you either appear on TV or write for the masses - to generate the perception of being famous. How many of you know the #1 environmentalist of our country? I think he is one of the most important person in our country - has done a lot to raise awareness and helped in critical policy making in our environmentally disaster prone country. He is Dr. Atiq Rahman (Faujdarhat)- executive Director of the Bangladesh Centre for Advanced Studies (BCAS)- I only knew his name after he won the recent UN "champion of the earth" award. But did not know he was a cadet until I was reading news about the book release of Shakur majid.

    My point is, cadets are supposed to do well in intellectual atmosphere - and they do, they become important persons. They do well in the corporate world as well. If a cadet wants to be famous/celebrity as a player or actor, he can - but may be with less success than others. Now in our culture, usually writers, lawyers, politicians, journalists, and media people get a lot of name recognition and popular attention and considered famous/celebrity. And if you tell me there are not that many cadets in that profession being famous- I would agree. As you point out, to be famous that way, you do not have to have stellar academic results, but have to have some good creative idea - it does not matter whether you got an excellent cadet college education or not. But I would also say that certainly cadets are doing better than the ratio ‘1 in 1000' - there are many cadets in those professions too - but they are still very young. Whatever field/job someone is working on - being an important person in that is the most important task whether you cater to popular appeal or not. You can be a creative programmer - you are a very important ‘gunijan’ - you don’t have to be famous catering to the masses or writing about your own accomplishments.

    I would also add that there are not that many published writers among ex-cadets? I think it’s because we are so few in numbers. Hopefully this CCB encourages some to start a writing career. Really - you can be an engineer/programmer - and still have a writing career. Please consider this.

    You should wait at least 10/20 years until a good number of cadets are in their 50s before evaluating accomplishments of ex-cadets and also keeping in mind their ratio among the educated population. Within this time period, I am positive that you will see many ex-cadets at the top of their field.

    জবাব দিন
    • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

      সোহেল ভাই,আপনার কমেন্টের প্রতিটি লাইন আমি পড়ি আর তা থেকে আপনার সম্পর্কে আরো জানতে ইচ্ছা করে।ক্যাডেট কলেজ আপনার মত আমার জীবনকেও বদলে দিয়েছে।জানি আপনি প্রচারবিমুখ,তবুও এমন একজন মানুষের ব্যাপারে কৌতুহল থেকেই যায়। আমাদের এই ঘুনে ধরা সমাজে নিবেদিতপ্রাণ একজন গবেষকের চাইতে তথাকথিত সুদর্শন,অতি সাধারণ মানের মিডিয়া "ব্যক্তিত্বদের"(আমি সত্যিকারের নিবেদিতপ্রাণ মিডিয়া ব্যক্তিত্বদেরকে খাটো করছিনা,কিন্তু জগাখিচুড়ি ভাষায় বিকৃত উচ্চারণে কথা বলা আর বাইরের সুর চুরি করা গায়ক এবং তাদের সমগোত্রীয়দের কথা বলছি)আর্থিক ও সামাজিক দিক দিয়ে উঁচু করে দেখা হয় যা অত্যন্ত হাস্যকর এবং সমাজের ভাঙ্গন নির্দেশ করে।বিখ্যাত আর গুনীজন দুটি ভিন্ন জিনিস-আপনার এই মত শতভাগ সমর্থন করি।প্রথমটিকে পপ গায়িকা ম্যাডোনা আর দ্বিতীয়টিকে মাদার তেরেসার সাথে মিলিয়ে নেয়া যেতে পারে,আর এদের দুজনকে এক কাতারে ফেলা(কোন কোন ক্ষেত্রে প্রথম জনকে অনেক উচ্চে(??!) স্থান দেয়া) বালখিল্যতার পর্যায়ে পড়ে, যা আমরা প্রায়শঃই করে থাকি। ঠিক একই ভাবে "স্মার্ট" বলতে আমরা একাডেমিক বা পেশাগত দক্ষতা না বুঝে কে কতটা "সুদর্শন" ও "বাকপটু" তা দিয়ে বিচার করি।এ ধরনের ভুল ধারণা থেকেই সম্ভবত ক্যাডেটদের সাফল্যকে খাটো করে দেখার চেষ্টা করা হয়ে থাকে।আর সঙ্গে ঈর্ষার মিশ্রণের কথা না হয় উহ্যই থাকুক।

      আশা করি আপনার সম্পর্কে আরো জানাবেন-ইমেইল ঠিকানা দিলে হয়তো যোগাযোগ করতে পারি যদি আপনি ব্যস্ত না থাকেন।

      ভাল থাকবেন ভাইয়া।

      জবাব দিন
    • মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

      সোহেল ভাই, আপনার কথাগুলোর সাথে আমি একমত।
      এর আগে বিখ্যাত ব্যক্তিদের সম্বন্ধে আমি যা বলেছিলাম তাতে কিছুটা পরিবর্তন আনতে রাজি আছি। আমি অবশ্যই মনে করি, ভবিষ্যতে ক্যাডেটদের মধ্যে থেকে অনেক গুণীজন বেরিয়ে আসবে।
      গুণীজন ও বিখ্যাতদের মধ্যে পার্থক্যটাও খুব স্পষ্ট। আসলে গুণীজনেরাই দেশ নির্মাণ করেন এবং তাদের অধিকাংশই বিখ্যাত হন না। আপনাকে ধন্যবাদ।

      জবাব দিন
  6. মিল্টন (৯৩-৯৯)

    BCC এর দুই জনের নাম বলা যেতে পারে তরুণ মিডিয়া সেলিব্রেটি হিসেবে

    ১.তপু(রাশেদ) ইয়াত্রি বান্ড এর ভোকাল হিসেবে বেশ হিট(সিরাজ দের batch এর ৯৪-০০)

    ২.আমার batch এর আলভী আহমেদ বেশ কিছু নাটক পরিচালনা করেছে। Recently, RTV তে ওর একটা মেগা সিরিয়াল এসেছে " আড্ডা" নামে।

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।