অনেকিদন থেকেই ব্লগিং করছি, হয় সামেহায়্যার ইন নয়তো সচলায়তনে. রায়হান আবীর জানালো এই ব্লগের কথা। শুনেই ভাল লাগল। নিজ ভূমি…….
তবে সবার আগে পরিচয়। আমি টিটো। ক্যাডেট নাম ছিল হাফিজ। ১৭ তম ব্যাচ (৯৪-০০)। বরিশাল ক্যাডেট কলেজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃ-বিজ্ঞান থেকে পাশ করেছি। এখন একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় ক্রিয়েটিভ হিসেবে কাজ করছি। ছাত্রাবস্থায় পত্রিকার সাথে যুক্ত ছিলাম। যুগান্তরের বিচ্ছুতে ফান লিখেছি বহুদিন। তারপর সাপ্তাহিক ২০০০ এ।
এথিনা বিষয়ক জটিলতা
বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমিতে আমরা তখন তৃতীয় টার্মে উঠেছি। শামীম, রাজু, রনিসহ কোর্সমেটরা অনেকে ল্যান্স কপোর্রাল, কপোর্রাল র্যাঙ্ক পড়ে ক্যাডেট ব্যাটালিয়ন পরিচালনায় অংশগ্রহণ করছে। ওদের সাথে আমরা সাধারণ জিসিরাও (জেন্টলম্যান ক্যাডেট) খানিকটা হাত মকশো করি মাঝে মধ্যে। দুই দুইটা টার্মের সিনিয়র, কম কথা নয়। এরই মাঝে একদিন একটা চিঠি এসে আমার মাথা ঘুরিয়ে দেবার অবস্থা করল।
চিঠিপত্র মোটামুটি ভালোই লিখতাম, পেতামও সমান তালে। বাবা,
বিস্তারিত»আমার বন্ধুয়া বিহনে-২
আমার বন্ধুয়া বিহনে-১
আমার রুমমেট শোয়েবের চেহারাটাই এমন, ও জেগে থাকলেও আমরা সন্দেহ করতাম শোয়েব ঘুমিয়ে আছে। করার অনেক কারনও ছিল।
প্রেপ কিম্বা ক্লাস আওয়ারে ফর্মে অনেক হিট ফ্লপ রস হতো। মাঝে মাঝে কেউ খুব হিট কোনো রস করলে আমরা সবাই দম ফাটিয়ে হাসতাম। কেউ চেয়ার থেকে পড়ে গড়াগড়ি খেতো। অতি উৎসাহী এবং সুযোগসন্ধানী কয়েকজন, ওরে মা রে, হাসতে হাসতে মইরা গেলাম রে বলে চামে পাশের জনকে কিল,থাপ্পড় মেরে দিতো।
গাধা জহির, মাস্তান রাজিব-১
আমাদের ক্লাসের সবচেয়ে গাধা ছেলের নাম জহির।
গাধা জিনিসটা দেখতে ঠিক কেমন আমরা কেউই জানি না, কিন্তু জহিরের কাণ্ড-কীর্তি দেখে আমরা নিজেদের মধ্যে গাধার একটা ছবি তৈরি করে ফেলেছি। জহির যা করে অংক স্যারের মতে সেটাই গাধামি। তার মানে গাধাও এসব কাণ্ড করে থাকে। মানে এসব কীর্তি-কুকীর্তির জন্য গাধা গাধা হয়েছে।
বাংলাদেশে অনেক কিছ পাওয়া যায়। কত কিছু দেখতে মেলে। কিন্তু গাধা দেখা যায় না।
ফেরিওয়ালা…
কিছু কিছু মুহুর্ত এমন আচমকা হৃদয়কে স্পন্দিত করে যায় যে তখন মনে হয় এ অনুরনন বুঝি কখনো থামার নয় । বাস্তবিক তাই হয় , আমার অন্তত তাই ধারনা । মনে হয় চাক্ষুস দৃস্টিতে পুকুরের ঢেউএর মত তা একসময় থেমে গেলেও শক্তির অবিনশ্যতাবাদ হিসেবে তা এই মহাশুন্যে সাইন কার্ভের এর উপর ভর করে ঠিকই ভেসে বেরাছ্ছে । সময়ের দুরত্ত আর নতুন নতুন তরঙ্গের কারনে তা শুধু নিজের কম্পাঙ্ক পরিবর্তন করে ।
বিস্তারিত»আমার আপুসোনা – ৩ ( দেশে ফেরা )
ডিসক্লেমার
আমার পুরান একটা সিরিজ আছে এই নামে। সেটার একটা পার্ট লিখলাম। আজ সারাদিন শুয়ে শুয়ে মন ভাল করার জন্য দেশে প্রথম যাওয়ার কথাটা চিন্তা করলাম । সেটার সাথে যোগ করে দিলাম আমার সেই ছোট্ট বেলা থেকে বয়ে আনা আপুসোনার কল্পনা। এর আগের দুটা পর্ব হল
আমার আপুসোনা – ১
আমার আপুসোনা – ২
তখন যখন লিখেছিলাম অনেকে বলেছিল বেশি ন্যাকামি হয়ে যাচ্ছে।
অচিনপুর (ছড়া ভার্সন)
সুমন ভাইয়ের অচিনপুর পোস্টটা দেখে কলেজে লেখা একটা কবিতা (কোবতে বলা better) মনে পরে গেল। হঠাৎ খায়েশ হইসে একটা পোস্ট দেই, :shy: কিন্তু বহু দিন ধরে লিখি না, লেখাও তাই অভিমান করে আমাকে ছেড়ে ভাগসে। তাই কলেজে লেখা ওই কোবতেটাই দিলাম। এটা সেই আমলে লেখা, যখন ওয়াল ম্যাগাজিনের জন্য তাড়া খেতে খেতে কাগজ কলম নিয়ে সবাই কবি হয়ে যেত। আগে একটা ব্লগে দিয়েছিলাম, সেই ব্লগ আর নাই,
বিস্তারিত»কল্প-গল্পঃবিকল্প প্রোটিন
(হঠাত সামহোয়ার ইন ব্লগে নিচের গল্পটা পড়লাম। অনেকেই হয়তো দেখেছেন। যারা দেখেননি তাদের জন্য।oঅনেকের ভালো নাও লাগতে পারে। অন্যরকম, তাই ভাবলাম শেয়ার করি)
আমাকে দেখেই ভদ্রমহিলা উঠে দাঁড়ালেন। তারপর হ্যাণ্ডশেক করে খুব কায়দা করে টেনে টেনে বলতে লাগলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের কাছে আপনার মতো নবীন উদ্যোগতারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ; আপনাদের যেকোন প্রশ্ন বা পরামর্শকে আমরা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করি। আমাদের শ্লোগানই হচ্ছে-। আমি মহিলাটিকে বেরসিকের মতো থামিয়ে দিয়ে জিজ্ঞাসা করি,
কি যে লেখি
বহুদিন পরে সিসিবিতে আসলাম। দেশে গিয়েছিলাম একটু বেড়াতে। এরই মধ্যে সিসিবি জমজমাট , প্রচুর নতুন লেখা। বাসায় থাকতেই দেখেছি কিন্তু একটাও পড়িনি। কারণ আমি জানি দেশ থেকে এসে আমার মনের অবস্থা ঠিক করার জন্য এর চেয়ে ভাল অষুধ আর হবে না। ঈদের আগেরদিন দেশ থেকে রওনা দিয়েছি । কিছু ঝামেলার জন্য মা টাকে কাঁদিয়ে আরো অনেক আত্মীয়কে আফসোসে ফেলে প্লেনে উঠলাম। নিজের অবস্থা নাই বা বলি।
বিস্তারিত»ডায়েরীর পাতা থেকে
কলেজ ছেড়েছি বহু বছর হয়ে গেল । অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে, শুধু আমার ডাইরীটা আছে । ডাইরীতে আমার সব বন্ধু কিছু না কিছু লিখেছে । প্রবাসের সদা ব্যস্ত জীবনে যখন কিছু ভাল লাগেনা, ডাইরীর পাতা উল্টাই । আমার আত্মার ছোট ছোট অংশ গুলো ছুঁয়ে দেখি । আমি কবিতা তেমন বুঝিনা । তবে এই কবিতাটা আমার অনেকবার পড়া । কামরুল তুই কি এখনো কবিতা লিখিস??
এই কবিতার কোন নাম নেই,
বিস্তারিত»“অনার্স”
ক্যাডেট কলেজ আমার কতটা?
এই প্রশ্নটা আমার নিজেকে মাঝে মাঝেই করতে হয়। কারন, জীবনে যখন যে মুহুর্তেই ক্যাডেট কলেজ নিয়ে কিছু দেখি কোথাও ফার্স্ট টাইম এই যেটা হয় তা হলো, আমার চোখে পানি চলে আসে। বুকের ভেতর দ্রিম দ্রিম করতে থাকে। মাথাটা পুরা আউলা-ঝাউলা হয়ে যায় :chup: ।
বছর বছর এস.এস.সি. , এইচ.এস.সি. এর রেজাল্ট হয় আর আমি আয়েশ করে ক্যাডেট কলেজের নিউজ দেখতে বসে চোখের পানি মুছি 🙁 ।
অচিনপুর
আজকাল প্রায় প্রতি রাতেই স্বপ্ন দেখি। ভোর রাতের কাচা ঘুমটা ভাংঙ্গে স্বপ্ন দেখে। কখনও দুঃস্বপ্ন দেখে মনটা খারাপ হয়, আবার কখনও একটা ভালোলাগার স্বপ্ন দেখে মনটা ভালো হয়ে যায়। যার রেশটা থেকে যায় সারাটা সকাল। আর কেন জানি আমার প্রতিটি স্বপ্নতে ঘুরে ফিরে আসে এক অচিনপুর। যেখানের প্রতিটি ইট কাঠ পাথর কেও আজও অনেক অনেক মিস করি। মিস করি বন্ধুদের, স্যারদের, সব কিছু , বার বার ফিরে জেতে ইচ্ছে করে সেই অচিনপুরে।
বিস্তারিত»শিরোনামহীন____
ভোর পাচটা । আচমকাই ঘুম ভেঙ্গে গেল । প্লাস্টিক এক্সপ্লোসিভে ডেটোনেট করার মত দুপ করে রাজ্যের সব ফ্রাস্ট্রেশন যেন একবারে জলে উঠলো । ইছ্ছে হছ্ছিল একদৌড়ে নিচে নেমে গাড়িটা নিয়ে ফুল স্পিডে কোথাও বেরিয়ে পরি । বিপদজনক চিন্তাটা বাদ দিয়ে একটা সিগারেট ধরালাম । তারপর আর কিছু না পেয়ে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় এই ব্লগের সামনে…।
অথচ কালই ভাবছিলাম আমার মন খারাপ হছ্ছেনা কেন ,
বিস্তারিত»ঈদ নাই কারও?
সাতরঙ্গা ভালোবাসা……
অনেক সময় ছোটো একটা ইংরেজি শব্দ এত বেশি অর্থ নিয়ে সামনে দাঁড়ায় যে তার প্রযোজ্য বাংলা প্রতিশব্দ বের করা রীতিমত দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে । ঠিক এই মুহুর্তে টিনএজার এর প্রতিশব্দ যেমন খুজে পাছ্ছিনা । এত সবুজ আবেগ , সীমাহীন স্বপ্ন আর শুভ্র কল্পনার সংমিশ্রনকে আর যাই হোক কৈশোর নামক শব্দ গ্লাসে পুরোটা আটকে রাখা যায়না , মনে হয় কিছুটা যেন ঠিকই ছলকে পড়ে । শুরুটা বোধহয় বেশি সাহিত্যিক হয়ে গেল ।
বিস্তারিত»