শিরোনামহীন____

ভোর পাচটা । আচমকাই ঘুম ভেঙ্গে গেল । প্লাস্টিক এক্সপ্লোসিভে ডেটোনেট করার মত দুপ করে রাজ্যের সব ফ্রাস্ট্রেশন যেন একবারে জলে উঠলো । ইছ্ছে হছ্ছিল একদৌড়ে নিচে নেমে গাড়িটা নিয়ে ফুল স্পিডে কোথাও বেরিয়ে পরি । বিপদজনক চিন্তাটা বাদ দিয়ে একটা সিগারেট ধরালাম । তারপর আর কিছু না পেয়ে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় এই ব্লগের সামনে…।

অথচ কালই ভাবছিলাম আমার মন খারাপ হছ্ছেনা কেন ,

বিস্তারিত»

সাতরঙ্গা ভালোবাসা……

অনেক সময় ছোটো একটা ইংরেজি শব্দ এত বেশি অর্থ নিয়ে সামনে দাঁড়ায় যে তার প্রযোজ্য বাংলা প্রতিশব্দ বের করা রীতিমত দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে । ঠিক এই মুহুর্তে টিনএজার এর প্রতিশব্দ যেমন খুজে পাছ্ছিনা । এত সবুজ আবেগ , সীমাহীন স্বপ্ন আর শুভ্র কল্পনার সংমিশ্রনকে আর যাই হোক কৈশোর নামক শব্দ গ্লাসে পুরোটা আটকে রাখা যায়না , মনে হয় কিছুটা যেন ঠিকই ছলকে পড়ে । শুরুটা বোধহয় বেশি সাহিত্যিক হয়ে গেল ।

বিস্তারিত»

আবেগ !!!!!!

কলেজে আমাদের ব্যাচে বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতির জন্য নির্ধারিত কিছু ডায়লগ ছিল । ডায়লগ গুলির নাম আবেগ হয়ে যায় বাক্যগুলোর উচ্চারনে ক্যাডেটিয় ঢং এবং নাটকীয় সুরের জন্য । পুরো বিষয়টি আমদের অসীম হাস্যোজ্জল বিক্রিয়ায় উচুমানের প্রভাবক হিসেবে কাজ করত । কিছু পরিস্থিতি ও আবেগ নিচে উল্লেখ করছি , আমি নিশ্চিত পাঠকগন নিজ অন্তর্নিহিত ক্ষমতা বলে যথাযথ সুর ও ঢং সংযোগ করে নিতে পারবেন ।

০১।

বিস্তারিত»

বৃহস্পতিবার ও স্পেশাল ডিনার নিয়ে কিছু কথা

” Q :- Gentlemen do you know what is the best recreation?

Ans:- Food”

– Maj Anwar (15 intake CCR)

উক্তিটা আর্টিলারী সেন্টার এ বেসিক কোর্স করার সময় শুনেছিলাম । পরে ভেবে দেখলাম স্যার মন্দ বলেন নি । কথাটা সামরিক জীবনের সাথে মিলে যায় । এবার ক্যাডেট জীবনের সাথে একটু মিলিয়ে দেখি । আমাদের ক্যাডেটদের ৬ বছরের জীবনের সেই ছোট গন্ডির ভিতরে আমাদের বিনোদনের জন্য অনেক ব্যাবস্হাই ছিল ।

বিস্তারিত»

আমার আধা ক্যাডেট হয়ে ওঠার কাহিনী। (পর্ব-১)

বলা নেই কওয়া নেই অল্প দিনের নোটিশে দুম করে বিয়ে করে ফেল্লাম এক ক্যাডেট রে। সে প্রথমে আমারে যেই বাড়িতে নিয়া তুল্লো- সেই বাড়িওয়ালা খালাম্মার – ভয়াবহ ক্যাডেট প্রীতি। তার এক পোলা একটু আউলা টাইপের কিন্তু জিনিয়াস সেও একজন ক্যাডেট। বড় মেয়ের জামাই মাশাল্লা সেও একজন ক্যাডেট।
আমি দোতালায় থাকি। নীচে খালাম্মা। তার পাশের ঘরটা খালি। দেখি কয়টা ভাঙ্গাচোরা ফার্ণিচার, আলমীরা, গাদা গাদা কাগজ।

বিস্তারিত»

কামরুল ভাইয়ের ইফতারি আমার জিলাপি ভক্ষণ ও হাবিজাবি :মূল বৃত্তান্ত

সেদিন আকাশে শ্রাবণের মেঘ ছিল,ছিলনা চাঁদ(সাদী মহম্মদের গান থেকে না বলে ধার করলাম)।ধানমন্ডি ১১ নাম্বার রোডের লি বিউটি পার্লারের পাশে যে ফ্ল্যাটটা(না,প্রিয় পাঠক,আমার রুম থেকে সৌন্দর্যবর্ধন কেন্দ্রে আগত তন্বীদের তনুর লেশমাত্র দৃশ্যমান হয়না), সেটার কোনার রুমে রোজা-ক্লিষ্ট অবস্থায় আমি “পড়িয়া পড়িয়া ঘুমাইতেছিলাম”। দুচোখ জুড়ে আনাগোনা করছিল আসন্ন ইফতারের খানাদানার অবয়ব।ইফতারির সময় ছিল ৬ টা আর আমার ঘড়িতে তখন বাজে ৫ টা ৫০ । হঠাৎ মুঠোফোন বেজে উঠল-দেখি কামরুল ভাই।ঘুম জড়ানো অবস্থাতে বসকে সালাম দিলাম।আমি ভেবেছিলাম ইনি বাসাবোবাসী কামরুল ভাই,জাপান থেকে দেশে এসেছেন যিনি।

বিস্তারিত»

সাব্বির তোর জন্য

তারিখ ৩০শে এপ্রিল,১৯৯৫ বিকাল বেলা, আমি ডাইনিং হল থেকে বাবা-মার সাথে বের হল একটি ছেলে,চারপাশে তাকাচ্ছে, আর দেখছে বেশীর ভাগ অপরিচিত কতগুলো মুখ, তারমতো । ডাইনিং এর সামনের বাস্কেটবল গ্রাউন্ডের পাশের রাস্তায়, একজন খাকি ড্রেস পরা একজন ক্যাডেট দাড়িয়ে বাশি দিচ্ছে, তার আর্মড ব্যান্ডে লেখা ডিউটি ক্যাডেট, নেম প্লেটে লেখা, নাম লেখা “নজরানা” নাম দেখে ছেলেটা ভাবছে, আরে এ আবার কেমন নাম? নজরানা মানেতো “উপহার সামগ্রী”।

বিস্তারিত»

টুশকি ৪

টুশকি [১] [২] [৩] [৫]

১. কোন একদিন গেমস টাইমে ভালো একদফা ঘষামাজা দেবার পর পুরো কলেজকে এ্যাডজুট্যান্ট এর জিজ্ঞাসা, “হাউ ইজ ইওর মোরাল”? আমরা আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে বললাম, “হাই স্যার”। রাশভারী এ্যাডজুট্যান্ট এর মুখে তখন মজা পাওয়া চিকন হাসি, “কোন হাই? ম্যাথমেটিক্স এর মিস্টার হাই”?

২. আইসিসি ১৯৯৮এ বাস্কেটবল কম্পিটিশনে খেলা হচ্ছে বরিশাল ও সিলেটের মধ্যে।

বিস্তারিত»

ল্যাখতাম চাই মাগার ল্যাখতাম পারি না

ঘটনা সইত্য। ল্যাখতাম চাই মাগার আমার গনক মহাশয় মৃত্যু পথযাত্রী। তাই ল্যাখতাম পারি না। বাসার ল্যাপ্টপ খানা বছর খানেক আগে এক চিঙ্কু পোলার কাছ থিকা সস্তায় দুইশত টাকা খরচ করিয়া খরিদ করিয়াছিলাম। উহার এখন শেষ দশা। হার্ডডিস্ক খানা পড়ার সময় মনে লয় হাতুড়ি দিয়া খোদাই করিয়া পড়ে। তারউপর চার্জার খানা কয়েকদিন আগে প্রায় ইন্তেকাল ফরমাইয়াছেন। মাঝে মাঝেই কানেকশন ছুটিয়া যায়, তখন পিছনে আঙ্গুল দিয়া (বেয়াদবি নিবেন না ভাই সাবেরা) চাপিয়া ধরিতে হয় বৈদ্যুতিক সংযোগ ঘটাইবার জইন্য।

বিস্তারিত»

ছন্নছাড়া

১. রিইউনিয়নের দ্বিতীয় দিন সকালে ব্রেকফাস্টের জন্য রেডি হচ্ছি। একজন মুখটা করুণ করে বলল,”দোস্ত ব্রেকফাস্ট করে আমার জন্য
একটা ফ্লাজিল নিয়ে আসবি”। লুকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে বন্ধু ঊদ্ধারে রওয়ানা দিলাম।

বিস্তারিত»

কামরুল ভাইয়ের ইফতারি,আমার জিলাপি ভক্ষন ও হাবিজাবিঃ পর্ব ১(গল্প শুরুরও আগের গল্প)

এই লিখা শুরু করার আগে ব্লগের নামকরণ নিয়া ইয়াহু মেসেঞ্জারে কামরুল ভাইয়ের সাথে এক দফা হয়া গেল।ভাবছিলাম ডজ দিবো,কিন্তু পরশু দিনের ইফতারি নিয়া যে আমার ব্লগ লিখার কথা সেইটা কামরুল ভাই ভুলেন নাই। উনি আমারে বলসিলেন ব্লগ লিখতে, আমিও চিরায়ত নিয়ম অনুসারে সেইটা অল্টারনেট জুনিয়র রায়হানকে পাস করে দিছিলাম। কিন্তু কেমনে কি,যুগের সাথে সাথে ডজ মারার উপায় গুলাও যে এডভান্স হইসে সেইটা তো আর আমি হিসাবে নেই নাই।

বিস্তারিত»

ক্যাডেটলাউঞ্জ !!

ষ্টাফ লাউঞ্জের প্রতিশব্দ আর কি…

০১ দি ক্যানন অব টীপু সুলতান

তখন টীপু সুলতান জনপ্রিয়তার তুঙ্গে । এর প্রভাবে প্রায় ই সুযোগ পেলে ক্লাস রুম কে রনক্ষেত্র বানিয়ে একজন মুখ দিয়ে হুঙ্কার দিত তোপ চালাও” ( এই আদেশ টা ডেস্ক এর উপর দাড়িয়ে ডান হাত তুলে দিতে হত, সেইরকম ই নিয়ম ছিল), আর কাল্পনিক ফিরিঙ্গিদের উদ্দ্দেশ্যে আরেকটা মানব কামান গর্জে উঠত “ভো…কি…ইয়া…”

বিস্তারিত»

ক্ষমা করবেন সবাই………………

আরিফ, কোথায় আছিস-কেমন আছিস কিছুই জানিনা। দোষটা অবশ্যই আমার যে তোকে একবার ঠিকানাটা জানিয়েও চিঠি লিখিনি। অকৃতজ্ঞতার মাত্রাটা বোধহয় একটু বেশী-ই হয়ে গেছে।
তোর শেষ চিঠি পেয়েছি ১৫ ডিসেম্বর, দিন তারিখ এখনো মনে আছে, রোজার ঈদের আগে, আর আজ ২৬শে মার্চ, আজকে তার উত্তর লিখছি। মাঝে যে চেষ্টা করিনি তা নয় তবে নানা কারনে তা অসম্পূর্ন থেকে গেছে। আর ঢাকা থেকেও কয়েকবার ফোন করে তোকে ধরার চেষ্টা করেছি,

বিস্তারিত»

বড় কঠিন কাজ

লেখালেখি ব্যাপারটা কোনোদিন ও আমাকে দিয়ে হযনি । তবে একবার কোন এক অখ্যাত (আমার জন্য বিখ্যাত) লেখক এর বই এর মেষ পাতা থেকে একটা  কবিতা কপি করে কলেজ বার্ষিকিতে ছাপিয়েছিলাম।  আমি লেখা জমা দিতে হয় তাই জমা দিয়েছিলাম । ছাপা হয়ে যাবে তা ভাবিনি । বাংলার এক স্যার ডেকে আমাকে বলেছিলেন কবিতাটা খুব ভাল হয়েছে এবং তিনি ভবিষ্যতে আমাকে আরও সুন্দর কবিতা উপহার দিতে বলেছিলেন ।

বিস্তারিত»