আমার জীবন আমাদের জীবন : হৃদয় ভাঙ্গার কাল

আমার জীবন, আমাদের জীবন : থমকে যাওয়া মুহূর্ত

১. ক্লাস নাইনের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষার প্রায় শেষ মুহূর্তে হঠাৎই একটা শোরগোল, একটা খারাপ কিছুর গুঞ্জন টের পেলাম। পরীক্ষার ইনভিজিলেটর দুইজনের মধ্যে একজন আরেকজনকে বলে হুড়মুড় করে চলে গেলেন। কি হল জানতে না জানতেই মিনহাজ ভাই ক্লাসের দরজার সাথের তালাটা খুলে দিয়ে ফর্ম লিডারকে রিকোয়েস্ট করে গেলেন জানালা আটকে দিয়ে দরজা বন্ধ করে তবেই বের হতে।

বিস্তারিত»

গাধা জহির, মাস্তান রাজিব-৩

গাধা জহির, মাস্তান রাজিব-১
গাধা জহির, মাস্তান রাজিব-২
রাজিব

জহিরের চাচা বললেন, তোমার নাম মাস্তান রাজিব।
জি না শহিদুল আলম রাজিব।
চাচা এক নজর চেয়ে থেকে বললেন, তাই তো মাস্তান রাজিব তো কারো নাম হতে পারে না। অন্য ছাত্ররা দিয়েছে না। খুব খারাপ কথা।
আচ্ছা তোমার প্রিয় খাবার কী ?
গরুর মাংস এবং ভুনা খিচুড়ি।

বিস্তারিত»

একটি সাপ কাহিনী (ওয়েলকাম ব্যাক আফটার দ্য ব্রেক)

ডিনার করে নাইট প্রেপ এর জন্য একাডেমি যাচ্ছি দেখি হাউস মাষ্টার রুমের সামনে এডু দাড়ায় আছে। উহু, ফাড়া কাটে নাই।

-“ইউ ফয়েজ, কাম অন, কাম অন, আস্ক ইউর ফ্রেন্ড টু কাম”।
– “হুম”?
– “ইউর গেমস ফ্রেন্ড, হুম হ্যাভ ডিসকাসড লাষ্ট নুন”।
-“ওকে”।
আবার শুরু হল শান্টিং। এইবার অপরাধ, আমাদের ম্যাক্সিমাম কমপ্লেইন সঠিক নয়। তদন্তে এইটা প্রমানিত হয়েছে। অতএব শাস্তি অবধারিত।

বিস্তারিত»

একটি সাপ কাহিনী

হাইপোথিসিস নম্বর এক। শীত নিদ্রা দেবার আগে কিছু কথা লেখা দরকার, না হলে পাবলিক আমাকে ভুলে যেতে পারে।
হাইপোথিসিস নম্বর দুই। পুজার পুরা তিন দিন ছুটি, কোনো কাম নাই।

মিল্ক ব্রেক এ টের পাওয়া গেল, সেকেন্ড হাই টেবিলের ইসলাম এর সিট টা খালি। তা খালি থাকতেই পারে। প্রিফেক্ট যেহেতু নিশ্চয়ই ব্যাস্ত আছে কোথাও। আগের ক্লাসটাতেও তো প্রেজেন্ট ছিল।

মিল্ক ব্রেকের পর ব্যাবহারিক ক্লাস,

বিস্তারিত»

আজ বুঝি জিতেই যাব

কেন যেন মনে হচ্ছে নিউজিল্যান্ড এর আজকে খবরই আছে। ক্লাসের ফাঁকে খেলার খবর নিচ্ছিলাম অনেকটা কলেজে থাকতে আইসিসি সেমিফাইনালের মতই মনে হচ্ছিল। একে একে যখন উইকেট পড়ছে চিৎকার করতে পারছিনা। আস্তে আস্তে মুখটা হাসিমুখ হয়ে গেল। এক ভাইয়াকে ফোন করে বললাম ৭৯ রানে ৬ উইকেট। ভাইয়া পাত্তা দিলনা ও আচ্ছা। বললাম বাংলাদেশ ব্যাট করছে না বল করছে। আমি নিশ্চিত ওনার চোখ বড়বড় হয়ে গিয়েছিল। এরপর অনেকক্ষণ না দেখে এসে দেখি ২০০ হয়ে গেছে।

বিস্তারিত»

বাংলাদেশের ক্রিকেট এবং ১ জন আশরাফুল…

অনেক আগে থেকেই আমি খেলাধুলার প্রতি একটু বেশি মনযোগী। পত্রিকা হাতে নিয়ে প্রথমেই খুলি খেলার পাতা, টিভি তে প্রথমে দেখি খেলার চ্যানেল, ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ, স্পানিশ লীগ সব খেলা দেখি। ফ্যান্টাসী প্রিমিয়ার লীগে টীম করি। কলেজে সব খেলাই খেলেছি। ফুটবল আর আথলেটিক্স মিটে গেছি।
এই খেলা প্রীতি আরো বেড়ে গেলো ৯৭ এ। বাংলাদেশ এর আইসিসি জয়ের পর। বাংলাদেশ, বাংলাদেশ করে ক্রিকেট এর সব আমাদের মুখস্ত।

বিস্তারিত»

আমার জীবন আমাদের জীবন : থমকে যাওয়া মুহূর্ত

আমার জীবন, আমাদের জীবন : হৃদয় ভাঙ্গার কাল

১. বেলাল স্যারের (রসায়ন) উপস্থিতি আমার জন্য কখনোই আরামপ্রদ নয়। এর কারণ সম্ভবত উনার আনপ্রেডিক্টেবল আচরণ। কখন কোন কথায় মাইন্ড করেন আর কখন কোন কথার উত্তরে যে হাসি আশা করেন বুঝতে পারতাম না। একদিন কি মনে করে যেন স্যার আমাদের ক্লাসের অন্যতম ধার্মিক ক্লাসমেট জামালকে একটা সমস্যা টাইপ প্রশ্ন করে বসলেন। সিরাজগঞ্জের (অথবা পাবনা,

বিস্তারিত»

প্যাঁচালী মদন

তখন আমরা ক্লাস ১১ এ। আর তার আগে বা সেইসময়ই কোন টিভিতে যেন প্যাঁচালী মদন অনুষ্ঠান বেশ জনপ্রিয় হয়ে গেল। হিন্দী এমটিভি বাকরা টাইপের দেবাশীষ বিশ্বাস করত। রাস্তা ঘাটে যাকে তাকে মদন বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পরে সেটার নাম হয়েছিল নদু মানে নন্দদুলাল। এই জিনিস যে ক্যাডেট খাবে তা আর বলা লাগে না। কলেজে এসে শুরু হল আমাদের নানা প্ল্যান। ছোট খাট মদন তো আমরা সবসময় বানাচ্ছি।

বিস্তারিত»

ভ্যাকেশন শেষ!!!!!

দেখতে দেখতে ভ্যাকেশন শেষ হয়ে গেল,আগামীকাল কলেজে জয়েন করছি!ভাবলেই মন খারাপ হচ্ছে,আর সেটা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।
প্রতিবার এমনটা হয়,ভ্যাকেশনটা কেমন করে কেটে যায়,আর হঠাৎ করে শেষ দিনটা এসে উপস্থিত হয়।আর সাথে সাথে বুকের ভেতরটা কেমন ফাঁকা হয়ে যায়,কেমন একটা অদ্ভুত আবেগ জমে উঠে বাসার জন্যে, আব্বু আম্মুর জন্যে, অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুমোবার জন্যে!কষ্ট হয়!এতদিন ধরে ক্যাডেট কলেজে পড়ছি,অথচ এখনো বাসা ছেড়ে যাবার আগ মুহুর্তে খারাপ লাগে,আম্মুকে দোয়া করতে বলতে গিয়ে গলা ভারী হয়ে উঠে অজান্তে।জানি,এই আবেগটা সাময়িক,কলেজ়ে যাবার পর একটুও খারাপ লাগবে না!তাছাড়া বাসার চেয়ে কলেজটাই বেশী মজার মনে হবে ,সব বন্ধুরা যারা আমার অস্তিত্বের অর্ধেক,তাদের সাথে আড্ডা,দুষ্টামি সব কিছুতে আরও উচ্ছল হয়ে উঠব।তখন মনে হতে থাকবে কলেজে থাকলেই বেশী ভাল!

বিস্তারিত»

ক্যাডেট বেলা

’৮৭ থেকে ‘৯৩। অনেক আগের কথা তাই না। এখন আমরা তো সবাই ৩৫ ছুই ছুই। অনেক কিছুই ঝাপসা লাগে।

৮৭ তে যখন কলেজে ঢূকি তখন ‘ইন্টার কলেজ’ কোনো প্রোগ্রাম হতো না। কলেজ গুলো ছিল অনেকটাই বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত। অন্য কলেজ গুলো সম্পর্কে জানতাম নতুন বদলি হয়ে আসা স্যারদের কাছে, আর, ছুটিতে, একই শহর কিন্তূ অন্য কলেজের বন্ধুদের কাছে। BTV তে একটা কমন প্ল্যাটফর্ম ছিল,

বিস্তারিত»

গাধা জহির, মাস্তান রাজিব-২

গাধা জহির, মাস্তান রাজিব-১
জহির
ক্লাসের সবাই আমাকে গাধা বলে ডাকে। তা ডাকুক। আমার আপত্তি নেই।
ওরা আমাকে গাধা বলে মজা পায়। আর আমিও গাধামি করে ওদের আরেকটু মজা দিই।
এই যেমন সেদিন ক্লাসে অংক স্যার বললেন,‘গাধারা পানি ঘোলা করে খায় ?’
প্রশ্ন দেখা দিল পানি ঘোলা করলে সেটা কী রকম দাঁড়ায়। প্রশ্নটার উত্তর কেউ জানে না, আমার মাথায় কী এল আমি হুট করে বললাম,

বিস্তারিত»

পরিচয়

অনেকিদন থেকেই ব্লগিং করছি, হয় সামেহায়্যার ইন নয়তো সচলায়তনে. রায়হান আবীর জানালো এই ব্লগের কথা। শুনেই ভাল লাগল। নিজ ভূমি…….
তবে সবার আগে পরিচয়। আমি টিটো। ক্যাডেট নাম ছিল হাফিজ। ১৭ তম ব্যাচ (৯৪-০০)। বরিশাল ক্যাডেট কলেজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃ-বিজ্ঞান থেকে পাশ করেছি। এখন একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় ক্রিয়েটিভ হিসেবে কাজ করছি। ছাত্রাবস্থায় পত্রিকার সাথে যুক্ত ছিলাম। যুগান্তরের বিচ্ছুতে ফান লিখেছি বহুদিন। তারপর সাপ্তাহিক ২০০০ এ।

বিস্তারিত»

এথিনা বিষয়ক জটিলতা

বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমিতে আমরা তখন তৃতীয় টার্মে উঠেছি। শামীম, রাজু, রনিসহ কোর্সমেটরা অনেকে ল্যান্স কপোর্রাল, কপোর্রাল র‌্যাঙ্ক পড়ে ক্যাডেট ব্যাটালিয়ন পরিচালনায় অংশগ্রহণ করছে। ওদের সাথে আমরা সাধারণ জিসিরাও (জেন্টলম্যান ক্যাডেট) খানিকটা হাত মকশো করি মাঝে মধ্যে। দুই দুইটা টার্মের সিনিয়র, কম কথা নয়। এরই মাঝে একদিন একটা চিঠি এসে আমার মাথা ঘুরিয়ে দেবার অবস্থা করল।

চিঠিপত্র মোটামুটি ভালোই লিখতাম, পেতামও সমান তালে। বাবা,

বিস্তারিত»

আমার বন্ধুয়া বিহনে-২

আমার বন্ধুয়া বিহনে-১
আমার রুমমেট শোয়েবের চেহারাটাই এমন, ও জেগে থাকলেও আমরা সন্দেহ করতাম শোয়েব ঘুমিয়ে আছে। করার অনেক কারনও ছিল।
প্রেপ কিম্বা ক্লাস আওয়ারে ফর্মে অনেক হিট ফ্লপ রস হতো। মাঝে মাঝে কেউ খুব হিট কোনো রস করলে আমরা সবাই দম ফাটিয়ে হাসতাম। কেউ চেয়ার থেকে পড়ে গড়াগড়ি খেতো। অতি উৎসাহী এবং সুযোগসন্ধানী কয়েকজন, ওরে মা রে, হাসতে হাসতে মইরা গেলাম রে বলে চামে পাশের জনকে কিল,থাপ্পড় মেরে দিতো।

বিস্তারিত»

গাধা জহির, মাস্তান রাজিব-১

আমাদের ক্লাসের সবচেয়ে গাধা ছেলের নাম জহির।
গাধা জিনিসটা দেখতে ঠিক কেমন আমরা কেউই জানি না, কিন্তু জহিরের কাণ্ড-কীর্তি দেখে আমরা নিজেদের মধ্যে গাধার একটা ছবি তৈরি করে ফেলেছি। জহির যা করে অংক স্যারের মতে সেটাই গাধামি। তার মানে গাধাও এসব কাণ্ড করে থাকে। মানে এসব কীর্তি-কুকীর্তির জন্য গাধা গাধা হয়েছে।
বাংলাদেশে অনেক কিছ পাওয়া যায়। কত কিছু দেখতে মেলে। কিন্তু গাধা দেখা যায় না।

বিস্তারিত»