তারিখ ৩০শে এপ্রিল,১৯৯৫ বিকাল বেলা, আমি ডাইনিং হল থেকে বাবা-মার সাথে বের হল একটি ছেলে,চারপাশে তাকাচ্ছে, আর দেখছে বেশীর ভাগ অপরিচিত কতগুলো মুখ, তারমতো । ডাইনিং এর সামনের বাস্কেটবল গ্রাউন্ডের পাশের রাস্তায়, একজন খাকি ড্রেস পরা একজন ক্যাডেট দাড়িয়ে বাশি দিচ্ছে, তার আর্মড ব্যান্ডে লেখা ডিউটি ক্যাডেট, নেম প্লেটে লেখা, নাম লেখা “নজরানা” নাম দেখে ছেলেটা ভাবছে, আরে এ আবার কেমন নাম? নজরানা মানেতো “উপহার সামগ্রী”।
বিস্তারিত»টুশকি ৪
১. কোন একদিন গেমস টাইমে ভালো একদফা ঘষামাজা দেবার পর পুরো কলেজকে এ্যাডজুট্যান্ট এর জিজ্ঞাসা, “হাউ ইজ ইওর মোরাল”? আমরা আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে বললাম, “হাই স্যার”। রাশভারী এ্যাডজুট্যান্ট এর মুখে তখন মজা পাওয়া চিকন হাসি, “কোন হাই? ম্যাথমেটিক্স এর মিস্টার হাই”?
২. আইসিসি ১৯৯৮এ বাস্কেটবল কম্পিটিশনে খেলা হচ্ছে বরিশাল ও সিলেটের মধ্যে।
বিস্তারিত»ল্যাখতাম চাই মাগার ল্যাখতাম পারি না
ঘটনা সইত্য। ল্যাখতাম চাই মাগার আমার গনক মহাশয় মৃত্যু পথযাত্রী। তাই ল্যাখতাম পারি না। বাসার ল্যাপ্টপ খানা বছর খানেক আগে এক চিঙ্কু পোলার কাছ থিকা সস্তায় দুইশত টাকা খরচ করিয়া খরিদ করিয়াছিলাম। উহার এখন শেষ দশা। হার্ডডিস্ক খানা পড়ার সময় মনে লয় হাতুড়ি দিয়া খোদাই করিয়া পড়ে। তারউপর চার্জার খানা কয়েকদিন আগে প্রায় ইন্তেকাল ফরমাইয়াছেন। মাঝে মাঝেই কানেকশন ছুটিয়া যায়, তখন পিছনে আঙ্গুল দিয়া (বেয়াদবি নিবেন না ভাই সাবেরা) চাপিয়া ধরিতে হয় বৈদ্যুতিক সংযোগ ঘটাইবার জইন্য।
বিস্তারিত»ছন্নছাড়া
১. রিইউনিয়নের দ্বিতীয় দিন সকালে ব্রেকফাস্টের জন্য রেডি হচ্ছি। একজন মুখটা করুণ করে বলল,”দোস্ত ব্রেকফাস্ট করে আমার জন্য
একটা ফ্লাজিল নিয়ে আসবি”। লুকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে বন্ধু ঊদ্ধারে রওয়ানা দিলাম।
কামরুল ভাইয়ের ইফতারি,আমার জিলাপি ভক্ষন ও হাবিজাবিঃ পর্ব ১(গল্প শুরুরও আগের গল্প)
এই লিখা শুরু করার আগে ব্লগের নামকরণ নিয়া ইয়াহু মেসেঞ্জারে কামরুল ভাইয়ের সাথে এক দফা হয়া গেল।ভাবছিলাম ডজ দিবো,কিন্তু পরশু দিনের ইফতারি নিয়া যে আমার ব্লগ লিখার কথা সেইটা কামরুল ভাই ভুলেন নাই। উনি আমারে বলসিলেন ব্লগ লিখতে, আমিও চিরায়ত নিয়ম অনুসারে সেইটা অল্টারনেট জুনিয়র রায়হানকে পাস করে দিছিলাম। কিন্তু কেমনে কি,যুগের সাথে সাথে ডজ মারার উপায় গুলাও যে এডভান্স হইসে সেইটা তো আর আমি হিসাবে নেই নাই।
বিস্তারিত»ক্যাডেটলাউঞ্জ !!
ষ্টাফ লাউঞ্জের প্রতিশব্দ আর কি…
০১ দি ক্যানন অব টীপু সুলতান
তখন টীপু সুলতান জনপ্রিয়তার তুঙ্গে । এর প্রভাবে প্রায় ই সুযোগ পেলে ক্লাস রুম কে রনক্ষেত্র বানিয়ে একজন মুখ দিয়ে হুঙ্কার দিত “তোপ চালাও” ( এই আদেশ টা ডেস্ক এর উপর দাড়িয়ে ডান হাত তুলে দিতে হত, সেইরকম ই নিয়ম ছিল), আর কাল্পনিক ফিরিঙ্গিদের উদ্দ্দেশ্যে আরেকটা মানব কামান গর্জে উঠত “ভো…কি…ইয়া…”
বিস্তারিত»ক্ষমা করবেন সবাই………………
আরিফ, কোথায় আছিস-কেমন আছিস কিছুই জানিনা। দোষটা অবশ্যই আমার যে তোকে একবার ঠিকানাটা জানিয়েও চিঠি লিখিনি। অকৃতজ্ঞতার মাত্রাটা বোধহয় একটু বেশী-ই হয়ে গেছে।
তোর শেষ চিঠি পেয়েছি ১৫ ডিসেম্বর, দিন তারিখ এখনো মনে আছে, রোজার ঈদের আগে, আর আজ ২৬শে মার্চ, আজকে তার উত্তর লিখছি। মাঝে যে চেষ্টা করিনি তা নয় তবে নানা কারনে তা অসম্পূর্ন থেকে গেছে। আর ঢাকা থেকেও কয়েকবার ফোন করে তোকে ধরার চেষ্টা করেছি,
বড় কঠিন কাজ
লেখালেখি ব্যাপারটা কোনোদিন ও আমাকে দিয়ে হযনি । তবে একবার কোন এক অখ্যাত (আমার জন্য বিখ্যাত) লেখক এর বই এর মেষ পাতা থেকে একটা কবিতা কপি করে কলেজ বার্ষিকিতে ছাপিয়েছিলাম। আমি লেখা জমা দিতে হয় তাই জমা দিয়েছিলাম । ছাপা হয়ে যাবে তা ভাবিনি । বাংলার এক স্যার ডেকে আমাকে বলেছিলেন কবিতাটা খুব ভাল হয়েছে এবং তিনি ভবিষ্যতে আমাকে আরও সুন্দর কবিতা উপহার দিতে বলেছিলেন ।
বিস্তারিত»RHTDM
তখন ক্লাস ইলেভেনে পড়ি। একবার দিনের বেলা রকিবুল হাসান স্যার(বাংলা) ডিউটিমাষ্টার ছিলেন,ঐদিন ১ম পিরিয়ডে ছিল
উনার ক্লাস। ফর্মলিডার বোর্ডে স্যারে নাম সংক্ষেপে লিখল RH। আমার এক ক্লাসমেট পাশে add করল TDM, হয়ে গেল RHTDM
(ঐ সময় একটা হিন্দী সিনেমা ছিল Rehna Hay Tere Dil Mey(RHTDM))। স্যার ক্লাসে আসলেন, এসে দেখলেন তার নাম RHTDM
ফর্মলিডারকে ঝাড়ি দিয়ে বললেন এসবের মানে কি? ছেলেটার জটিল উত্তর ”
বিস্তারিত»ছবির ধাধা (উইথ সলুসন)
সবার জন্য একটা ছবির ধাধা দিলাম। নিছের ২টা ছবির মধ্যে একটা মেসেজ আছে। মেসেজটা খুজে বের করতে হবে। সি,সি,আর, ১৯তম ইনটেকের ক্যাডেটদের এই ধাধা সল্ভ করা থেকে বিরত খাকার জন্য অনুরোধ করছি।
প্রথম ছবিঃ
দ্বিতীয় ছবিঃ
হিন্টঃ ছবির ভিউ অবশ্যই ১০০% হতে হবে মেসেজটা পড়ার জন্যে।
১৫ জন সারেন্ডার করলে সলুসন দেয়া হবে।
বিস্তারিত»পথের প্যাচালী
প্যাচালী ১
আমাদের এস এস সি রেজিস্ট্রেশনের সময় একজন ভুল করে বাবার নামের জায়গায় নিজের নাম লিখে ফেলে। ভিপি স্যার অনেক ঝাড়ি দেয় এবং সব শেষে মজা করে বলে “এই রেজিস্ট্রেশনের কাগজটা যত্ন করে রেখে দাও, তোমার ছেলের রেজিস্ট্রেশনের সময় কাজে লাগবে।”
প্যাচালী ২
এডজুটেন্টে মেজর আজিজের বাচ্চা হওয়া উপলক্ষ্যে ডাইনিং হলে টি ব্রেকের সময় স্যারের তরফ থেকে মিষ্টির ব্যবস্থা করা হয় ক্যাডেটদের জন্যে।
বিস্তারিত»আমার ঘুমবেলা -২
কমেনট গুলো পড়ে মনে হলো নিদ্রাদেবীর সাথে বৃন্দাবনলী্লা সব কলেজেই একি ছিল । সাধে কি আর বলে সব রসুনেরই গোড়া এক ।
ঢেকির ধান ভাংগার গুনাবলির মতো আমিও বেশ গরবের সাথেই আমার ঘুম প্রীতি সভাব সাফল্যের সাথেই সামনে নিয়ে যেতে পেরেছিলাম । মনে আছে কলেজে প্রায়ই প্রেপ শেষে বেয়ারার ডাকে ঘুম ভাংতো, কখন যে প্রেপ শেষ আর কিভাবে যে বাকিরা ঘুমের ঘোরে একজন আহত সেনানিকে যুধ্যের ময়দানে ফেলে আসতো তা আজো আমার কাছে রহস্য্ময় ।
বিস্তারিত»আমাদের বাপ-বেটায় মরতুজা ভাইয়ের মন্তব্যের জবাব..
তোমাদের ব্যাচটাকে খুব ভাল মত মনে আছে শুধুমাত্র এই কারনে। তবে আমার জানা ছিলনা এত কিছু। ওই স্যাররা তাদের পুত্রদেরকে নিজ রুমে নিয়ে প্রাইভেট পড়াতেন সেটা জানতাম, কিন্তু এতটা সুবিধা দিতেন তা জানতাম না। তবে আমি অনুরোধ করব এই বিষয়টা নিয়ে না লেখার জন্য। ক্যাডেটদের সম্পর্কে বাইরের লোকদের অনেক খারাপ ধারনা আছে সেটা আমরা সবাই কম বেশি জানি। পরীক্ষায় অন্যায় সুবিধা নেয়া তার মধ্যে অন্যতম।
বিস্তারিত»ছোট ছোট ঘটনা…
আনেক দিন পর আজ লিখতে বসলাম…কি আর করা…দেখি কি লেখা যায়……
ছোট ছোট ঘটনা……। ভাল লাগা বা না লাগা সকলের …………
১. তখন ভিপি ছিলেন মাহাবুবুর রহমান স্যর… তিনি খুবই মজার মানুষ ছিলেন। তার আদেশ হলো কোন ক্যাডেট পাক্ষিক পরীক্ষার সময় করিডোরের উপর কোনো ব্ই রাখা যাবে না। ভুল করে বা তাড়াহুড়া করে কয়েকজন বায়োলজি বই রেখেছিল………গাজী আজমল এর বই……পরীক্ষা চলছে. ভিপি ক্লাসের মাঝে এসে জানতে চাইলেন এই বইয়ের মালিক কে……পিছন থেকে একজন বলে বসল “স্যার গাজী আজমল এর বই ।
বিস্তারিত»গত বর্ষার স্মৃতি
ইলেভেনে উঠে যেবার আমরা কক্সবাজারে যাই এক্সকারশানে, সে বারে বর্ষা ছিলো না মোটেই, কনকনে ঠান্ডা মাখা শীতকাল ছিলো সেটা। তবু এত দিন পরে যতবার সেই ট্যুরটার কথা ভাবি, আমার ঝম ঝম বর্ষার কথা মনে পড়ে সবার আগে।
আমি মনে হয় সারা জীবনই বর্ষায় বেঁচেছি। বসন্তও ভাল লাগে, বসন্তের পাখি, গান বা রঙ, সব ভাল লাগে, তবু বাঁচতে ভাল লাগে বর্ষাতেই। যেন বা টুপুর টাপুর বৃষ্টির মাঝে দিঘীর পানিতে পা ডুবিয়ে ওপাড়ে টগবগে আগুনে জ্বলতে থাকা কৃষ্ণচূড়া ভালবেসে যাওয়া আজীবন।