ভেবেছিলাম আর কোনোদিন লিখব না। কিন্তু আমার লেখায় কামরুল এর মন্তব্য বাধ্য করলো। কামরুল এর কিছু লাইন এর উত্তর দেয়া খুব জরুরী মনে করছি। নাহলে হয়তো কিছু ব্যাপার এর মানে অন্যরকম হয়ে যেতে পারে। প্রথমেই বলে রাখি, আমার বন্ধু এবং বিশ্বাস লেখাটা আমি কিন্তু কারো প্রতি অভিযোগ বা কাউকে খারাপ দেখানোর জন্য লেখি নাই। শুধু মনের কিছু কথা জানাতে চেয়েছিলাম। এইবার কামরুল এর কিছু প্রশ্নের উত্তর দেয়া মনে হয় দরকার।
“আপনার সাথে হয়তো ওদের কারো কারো ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। হতেই পারে। তার মানে এই না যে ওদের সম্পর্কে আপনি অন্যদের বিরুপ ধারনা দিয়ে দিবেন।“
ভাই, আমি কারো ব্যাপারে বিরুপ কোনো ধারনা দেবার উদ্দেশে লেখা টা লিখি নাই। তাহলে তো আমি নামই বলে দিতাম।বলতে পারো, তাহলে এখানে লেখাটা কেন দিলাম? আমাদের গ্রুপ এ কেন দিলাম না? এর উত্তর , আমাকে আমাদের গ্রুপ এ সদস্য করা হয়নি। আর আমি এই ব্লগকেই এখন সবচেয়ে আপন মনে করি।
“আমার কাছে মনে হয়েছে আপনার নিজেরও কিছু করার ছিলো।“
এতো ক্ষ্ট পাবার পর আমার ধারনা, অন্য যে কেঊ আমার জায়গায় হলে জীবনেও আর ব্যাচের সাথে যোগাযোগ করতো না। আমি তো এতো গুলা বছর ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছি। এমন কি এখনো আমি আশাবাদী।
“আপনি কখনো গিয়ে দেখেছেন তাদের আড্ডা নষ্ট হয় কিনা? তাদের মজা খারাপ হয় কিনা? করে দেখতেন। একবার নিজের কথা গুলি বলে দেখতেন তারা কি বলে। আমার ধারনা তারা বুঝতে পারতো।“
হ্যা। বের হবার পরে কিছু প্রোগাম এ গিয়েছিলাম। কিন্তু, আমি গেলেই যে আবহাওয়া বদলে যেতো এটা টের পেতাম। আমি তো এতো বোকা না যে, কোথায় আমাকে পসিটিভলী নেয়া হচ্ছে আর কোথায় হচ্ছে না এটা বূজবোনা।
“যেহেতু আপনার বন্ধুদের কেউ এখানে নাই তাই তাদের পক্ষ হয়ে তাদের কথাগুলি বলারও কেউ নাই। মিছেমিছি কেন আপনি এক তরফা ভাবে সব দোষ তাদের উপরে দিয়ে দিচ্ছেন।“
আছে। আমার বন্ধুরা এখানে আছে। আর ভাই, আমি কিন্তু কারো উপর দোষ দেই নাই। হয়তো আমি ওই খানে থাকলে হয়তো একি কাজ করতাম।
“আমরা তো আপনাকে কোনদিন দেখিনি। চিনিনা। তারপরো আমরা যেহেতু বুঝতে পেরেছি । আর যারা আপনাকে এতো বছর ধরে চিনে, যাদের সাথে আপনি ছোট থেকে বড় হয়েছেন তারা আপনাকে বুঝতো না বলে আপনার ধারনা? মনে হয় না।“
এটার উত্তর হলো, আমি কয়েক বছর আগে আমাদের গ্রুপ এ জয়েন করতে চেয়েছিলাম। আমাদের ১ জন গ্রুপ এ এই নিয়ে মেইল করেছিলো। কিন্তু, ২/৩ জনের আপত্তিতে আমাকে জয়েন করতে দেয়া হয় নাই। কয়েকদ্দিন আগেও আমি কয়েক জনের সাথে আলাপ করেছি। কিন্তু, ওই যে, কয়েকজনের জন্য বাকিদের পরিবেশ নষ্ট করতে চায় না। আর আমার ধারনা, এইখানে আমার যেই বন্ধুরা আছে তারা লেখাটা পড়ে বুঝতে পারবে। কারন, ঘটনাগুলো তো অন্তত আমরা ভাল করেই জানি।
“ভাইয়া , এখন কি খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসা যায়না? আমার মনে হয় তাতে লাভ হতেও পারে।“
ভাই জিহাদ, এতো কিছুর পর আমি আর কি করবো????
“তারপর আপনার নাম, পরিচয়, কলেজ গোপন করাটাও আমার কাছে রহস্যময় লেগেছে। কেন? “
আগেই বলেছি, চাই না, বন্ধুরা ভাবুক, আমি ওদের নাম এ বাইরে কথা বলছি। আমি জাষ্ট শেয়ার করলাম আমার কষ্ট। আরেক টা কারন,ভাই, আমি চাই না, অন্তত এখানে যে কয়েক জন বড় ভাই, ছোট ভাই পেয়েছি, তারাও আমাকে বলুক, “ও আপনাকেই স্পাই বলতো।“ কিংবা আমাকে অন্যভাবে দেখুক।
ধন্যবাদ সবাইকে।
কমল ভাই, আর কে কি ভাবে তা জানিনা কিন্তু অন্তত আমার কাছে আপনি স্পাই নন।একজন স্পাই কখনো এতদিন পরেও অব্যক্ত কষ্ট লালন করবে না, তার কাছে ক্যাডেট জীবন কলেজ থেকে বের হবার সাথে সাথেই শেষ হয়ে যাবার কথা।আপনার সব কষ্ট এক নিমেষে দূর হয়ে যাক-এই কামনা করি।
সিসিবি'র আমরা সবাই আশা করছি আপনার বন্ধুরা আপনার লেখা পড়েছেন।
আমরা সবাই চাই সব ভুল বুঝাবুঝির অবসান হবে এবং কমল ভাই তার বন্ধুদের কাছে ফিরে যাবেন।
@কমল ভাইয়ের বন্ধুরা
ভাইয়ারা একটু ভাববেন, প্লীজ।
কমল ভাই,
আমাদের কাছে আপনি আমাদের সিসিবি'র কমল ভাই। এক্স-ক্যাডেট। এইটুকুই যথেষ্ট। শুধু কলেজে অবস্থান সময়কালটা যদি জানান আমার মনে হয় পারস্পরিক সম্বোধণ অনেক সহজ হবে। ভেবে দেখবেন।
কামরুলের কমেন্টের প্রতিটি শব্দকে আমি জোড়ালোভাবে সমর্থন করি।
থাক না কমল ভাইয়ের পরিচয় অজানা। একদিন সব ঠিক হবে আশা করি।
তাও কমল ভাই আপনাকে অনুভব করতে পারছি নিজেদের একজন হিসেবে। প্লিজ নিয়মিত লিখুন।