আজিজের বিয়ে

আজ ছিল আজিজের বিয়ে। সিলেটের অনেকেই আজ দেখেছে ক্যাডেটরা কত মজা করতে জানে। পুরো বিয়ের আসর মাতিয়ে রেখেছিল সিলেট, রাজশাহী, পাবনা, কুমিল্লা আর বরিশালের ৮/১০জন ক্যাডেট। ………ওহো…আমিতো এখনো বলিইনি যে আজিজ টা কে। আজিজ হচ্ছে সিলেট ক্যাডেট কলেজের ক্যাডেট। কলেজের সময়কাল ‘৯০-‘৯৬ (সম্ভবত ১৫তম ব্যাচ)। আর্মিতে আমার অত্যন্ত স্নেহভাজন একটা জুনিয়র। যশোরে থাকতে আমাদের পাশাপাশি রুম ছিল। খুবই মজার কিছু সময় আমরা কাটিয়েছি আমরা একসাথে।

বিস্তারিত»

আজ সিনেমার বড়দিন-২

ক্ষুধা ,দারিদ্র্য, শ্রেণী বিভেদ বেচে থাকার সংগ্রাম এই ব্যাপারগুলো পৃথিবীর বুকে এত বেশি বিরাজমান যে আমাদের কাছে সাধারণ ঘটনার মত মনে হয়।আজকের এই যন্ত্র দানবের যন্ত্রনাকাতর পৃথিবীতে মানুষের মধ্যকার সুকুমার গুণাবলি যখন বিলুপ্তপ্রায়, সম্পর্কের টানা পোড়নের এক কঠিন সংকটের মধ্যে যখন ব্যক্তিজীবন, রাষ্ট্রজীবন তথা গোটা বিশ্ব অস্থির উন্মাদনায় উন্মত্ত তখন বিবেকের সচেতন বোধশক্তি আর ভালবাসার আবেদন মানুষের কাছে অমূলক। একটা সিংহ কখনও আরেকটা সিংহকে বধ করে না,একটা বাঘ অন্য বাঘের মুখের খাবার কেড়ে নেয়না,

বিস্তারিত»

বাংলা গু ফে

লাইবেরিয়ার জনগনের ভাষা ইংরেজি। কবে কিভাবে এখানের ছোট বড় অনেকগুলো গোত্রের ভিতর ইংরেজি স্থান করে নিয়েছে তা জানতে হলে বিস্তর ঐতিহাসিক ঘাঁটাঘাঁটি করতে হবে। তবে সাধারণ হিসেবে যেটা বলা যায় সেটা হলো, তুলা চাষের জন্য এখান থেকে যাদেরকে দাস হিসেবে অ্যামেরিকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল দাসপ্রথা বিলুপ্তির পর তাদের পুনর্বাসনের মাধ্যমেই বোধকরি ইংরেজির আধিপত্য।

আমরা যারা বাংলাদেশ থেকে এসেছি তাদের জন্য এটা একটা আশির্বাদ।

বিস্তারিত»

তোমার কি ‘উইপনে’ সমস্যা আছে?

ক্যাডেট কলেজে শিক্ষকরা এক একজন দারুণ চরিত্র। দোষ-গুণ নিয়ে এরা আছেন, থাকবেন। বাইরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সঙ্গে পার্থক্য এটাই যে ক্যাডেটরা এদের সঙ্গে দিনের ২৪ ঘণ্টা, বছরে ৩০০ দিন এবং ছয়টা বছর কাটায়। কাছ থেকে মানুষগুলোকে দেখে। এদের কাউকে কাউকে নিয়ে রীতিমতো উপন্যাস লেখা যায়। কেউ মজার, কেউ আমুদে, কেউ ভিলেন, কেউ ক্লাউন, আবার কেউবা একেবারে বাবার মতো মানুষ।

ক্যাডেটদের বিনোদনের একটা বড় অংশ জুড়েই আছেন শিক্ষকরা।

বিস্তারিত»

দুঃখের কথা-১

অনেক দিন পর কলেজ এ গেলাম খুব খুশি মনে। সব কাগজ পত্র নিয়া আসব সে জন্য কিন্ত গিয়া শুনলাম আজ প্রিঞ্চিপাল স্যার ১০ টার মাঝে চলে যাবে কি আর করা সব কাজ তাড়াতাড়ি করলাম। তার পর প্রিঞ্চিপাল স্যার যাবার সময় সাইন করে যায়নাই বলে গেলেন যে আমি এসে সাইন করে দিব…কিন্ত তখন সাইন করে গেলেন না…সব কাজ শেষ কিন্ত প্রিঞ্চিপাল স্যার এর জন্য অপেক্ষা করতে হচ্চে এবং করতে হল ৩ টা পর্যন্ত আমরা ৯ জন না খাওয়া।এর মাঝে আমাদের ২ জন গেল adjutant স্যার এর সাইন আনতে attested করাতে হবে কিন্ত adjutant স্যার বললেন উনি কারতা attested করেননা কিন্তু তিনি কিছুদিন আগেই কলেজ prefect এরটা করে দিলেন…।।…।।কি আর করা ওদের সেদিন ফরম জমা দেয়া হলনা ঢাকায় চলে আস্লাম পরে আবার গিয়ে বরিশাল মেডিকেল জমা দিতে হল =((

বিস্তারিত»

আমার আপুসোনা ( আপুর বিয়ে )

আপুসোনা সিরিজের আগের পার্টআমার আপুসোনা-৩

তপু শোন তোর সাথে কথা আছে।
আম্মুর ডাক শুনে এসে বসলাম আম্মুর পাশে। মনে হচ্ছে সিরিয়াস কোন ব্যাপার আলোচনা হবে। বসতেই একটা প্রিন্ট করা কাগজ হাতে ধরিয়ে দিল আম্মু। আপু দেখলাম উঠে চলে গেল অন্য রুমে। ব্যাপার কি বুঝার জন্য কাগজটাতে চোখ বুলাতেই দেখলাম কোন এক সুযোগ্য পাত্রের বায়োডাটা।
-কার জন্য মা এইটা
-কার জন্য আবার তোর বোনের জন্য।

বিস্তারিত»

প্যাচাল

প্যাচাল
এইচএসসির পর কোচিং করতে আমরা যারা ফরেইনার, মানে , ঢাকার বাইরে থেকে ঢাকায় আসি, থাকার জন্যে এক টুকরো জায়গার খোঁজে আমাদের যে কি ঝককি পোহাতে হয় সে শুধু আমরাই জানি। ঐ যে বলে না, কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কীসে…., সত্যিই সে এক বিষময় যাতনা।
তো, ধন নয় মান নয় এতটুকু বাসা, … থুককু, বাসা নয় মেস। সেই মেস খোঁজার জন্যে আমি আর আমার বন্ধু চপল পুরো ফার্মগেট এলাকা চষে বেড়াচ্ছি।

বিস্তারিত»

ছাপার আগে-২

নতুন টাকার পাঁচকথা

১.
ভাই টাকাটা ভাংতি হবে?
দোকানদার রাগত দৃষ্টিতে প্রশ্নকর্তার দিকে তাকালনে। তারপর গর্জন করে উঠলেন, ইস! শখ কত? পাঁচশ টাকাই ভাংতি হয় না আবার উনি এসেছেন এক হাজার টাকা নিয়া।
আসলেই। ভাঙতির বড় আকাল। ভাংতি নিয়ে কত যে হয়রানির মধ্যে পরতে হয় তা আমাদেও প্রত্যেকেরই জানা। আপনি একটি নোটের পরিবর্তে কয়েকটি নোট নিয়ে যাবেন এটা য়েন কারোই সহ্য হয় না।

বিস্তারিত»

ক্যাট ক্যাট

ক্যাম্পে এসেই প্রথম যেই জিনিসটা চোখে পড়ল তা হলো অনেক অনেক বিড়াল। গাড়ি থেকে নেমে একটা বিড়ালকে দাবড়ানি লাগাতেই আমার এক সৈনিক হা হা করে বলে উঠল, “স্যার এগুলো তো পালা বিড়াল। ইঁদুর মাইরা সাফ কইরা রাখে”। বুঝলাম যেখানে ইঁদুর বাহিত লাসা ফিভারের প্রচন্ড ভীতি (যাতে আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির মৃতদেহ দেশে ফেরত নেয়া হয় না পর্যন্ত এবং স্টিলের কফিনে কমপক্ষে ৪০ ফুট নিচে সমাধিস্থ করা হয়) সেখানে এই বিড়াল সম্প্রদায় জামাই আদরেই আছে।

বিস্তারিত»

সত্যজিতের অনির্মীত চলচ্চিত্র: দি এলিয়েন

সেই ১৯১৩ সালে উপেন্দ্রকিশোরের হাতে “সন্দেশ” পত্রিকার পত্তন। জন্মের দু’বছরের মাথায় জনককে হারিয়ে সুকুমারের হাতে পড়ে সে। ১৯২৩-এ সুকুমারের অকাল মৃত্যুর পরও তার ছোটভাই সুবিনয়ের চেষ্টায় কোনমতে চলতে থাকে। কিন্তু ১৯৩৪-এর পর আর পারলো না, বন্ধ হয়ে গেল সন্দেশের প্রকাশনা। ১৯৬১ সালে শুরু হওয়া অভিনব যাত্রায় সন্দেশ বিশেষ পুলকিত, কারণ এবার সে সত্যজিতের হাতে পড়েছে যে কি-না রায় পরিবারের উজ্জ্বলতম বাতি। তখনকার সময়ের সেরা শিশু বিনোদন পত্রিকা সন্দেশ,

বিস্তারিত»

আজ সিনেমার বড়দিন-১

আনেকদিন পর সিসিবি তে আসার সুযোগ হল। সিসিবির সবচেয়ে বেশি ক্যাডেটপ্রিয় মুখ মানে জনপ্রিয় মুখ বন্ধু কামরুলের সাথে কথা হচ্ছিল কাল রাতে। ওর সাথে কথা বলার একটাই বিপদ…খালি গালাগালি করে ব্লগ লিখি না কেন। কিন্তু লেখা লিখতে হলে তো রচনাশৈলি থাকা চাই। এই ব্যাপারটা ওকে কে বুঝাবে । ওর কথা একটাই । লেখা দে ।
কামরুলের সাথে অনেক বিষয়েই আলোচনা হয়।সবচেয়ে বেশি হয় ফিল্ম নিয়ে।

বিস্তারিত»

রসায়নঃ বাতেন স্যার অধ্যায়

সাবজেক্ট হিসেবে রসায়নে খুব একটা ভালো না করলেও কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রায় সবার সাথেই আমার কেমন করে যেন টুকরো টুকরো অনেকগুলো স্মৃতি জমা হয়ে আছে। ক্লাস ইলেভেনের প্রথম দিকে একদিন ক্লাস করার জন্য যখন মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে বসে আছি তখন বাতেন স্যার এসে গল্প করেই পুরো ক্লাস পার করে দিলেন। সাধারণত স্যার এটা করেন না। কেন যেন স্যারের এইদিনের ব্যাপারটা আমার পছন্দ হল না। কিন্তু সমস্যা এখানে না।

বিস্তারিত»

নব্বইয়ের হ্যামলেট (পর্ব-সাজ্জাদ)

ঠিক সূর্য্য উঠার আগে আগে, যখন মসজিদ থেকে লোকজন নামাজ পরে বের হয়, সেইসময়টায় রাস্তা দিয়ে হাটতে আমার খুব ভালো লাগে। সব কিছু সুনসান, একটা কেমন নিরব পরিবেশ, প্রকৃতিতে আর একটা ব্যাস্ত দিনের প্রস্ততি, মাঠের ঘাস গুলো ভেজা ভেজা, পাখির ডাক, আমি বেশ অনুভব করি। দিনের আলো গলে গলে পরে আমার উপর, আমি যান্ত্রিক আর একটা দিনের প্রস্তুতি নেই।

কাল চলে যাব এখান থেকে,

বিস্তারিত»

দন্ত-কাহিনি

মিষ্টিপ্রীতি আছে তীব্র রকমের। জিভ সামলাতে পারি না দেখলে,হাতও না। অবশ্য সামলানোর ইচ্ছেও মনের মধ্যে তেমন একটা জোরালো নয়।দেশে থাকার সময় ইচ্ছেমতন খেতাম। কুমিল্লা গেলেই মাতৃভান্ডারের রসমালাই আর জলযোগের স্পঞ্জ নিয়ে বসে যেতাম বন্ধুরা গোল হয়ে, আয়েশ করে খেতাম। আমরা অবশ্য খাওয়া বলতাম না, বলতাম সাধনা করা।

তো যা হয়, পরবাসী হবার পরে সেই সাধনায় ব্যাঘাত ঘটলো। এখানে এসে টিন কেটে মিষ্টি খেতে জুত পাই না।

বিস্তারিত»