ক্লাস নাইন বা টেনের কাহিনী।
আমাদের এ্যাডজ়ুটেন্ট তখন মেজর মইনুদ্দিন মাহমুদ স্যার, কমান্ডো। আমাদের মোস্তফা শীতকালে গেইমস টাইমে হাফ শার্ট পড়লে ভিতরে অনেক কিছু পরিস্কার করতে হয় না,এই ডাউটের সুযোগে অনেক যত্নে সে অনেক কিছু চাষবাষ করেছে কয়েক মাস ধরে। হঠাৎ একদিন কি কারনে এ্যাডজ়ুটেন্ট এর সন্দেহ হল সবার শার্ট খুলে ভিতরকার হাইজিন চেক করতে আরম্ভ করল। মোস্তফাকে যখন চেক করল, তখন দেখা গেল ৪ /৫ ইঞ্চি লম্বা কালো ঘাসে আর্মপিট ভর্তি।
বসাক স্যারের খোঁজে
সুরেশ রন্জন বসাক স্যার আমাদের কলেজে ইংরেজি পড়াতেন। পরে বদলী হয়ে সিলেটে চলে গেলেন।
কামরুল আমাকে ঐদিন বললো উনি নাকি বেশ কিছু অনুবাদ করেছেন। করেছেন সেটা জানতাম, কিন্তু সেসব যে বই আকারে পাওয়া যাচ্ছে এটা জানতাম না।
আমার বিশেষ করে, মার্কেজের অনুবাদগুলো দরকার। কেউ কি জানাতে পারবেন বসাক স্যারের অনুবাদগুলো কোন প্রকাশনী থেকে বের হয়েছে, বা কোথায় পাওয়া যাবে?
অথবা, কেউ যদি স্যারের সাথে যোগাযোগের কোন উপায় বাতলে দেন,
আমার ইমিগ্রেশন অভিজ্ঞতা -১
বিভিন্ন দেশ ঘুরে ইমিগ্রেশনের ও এয়ারপোর্টের কিছু মজার মজার অভিজ্ঞতা হয়েছে । এগুলো শেয়ার করার জন্যই লিখছি আজকে :
সিংগপুর ইমিগ্রেশন :
সিংগাপুরের চাংগী এয়ারপোর্ট আমার প্রিয় এয়ারপোর্টগুলোর একটা। অতি আধুনিক এই এয়ারপোর্টে সময় পাস করা কোন ব্যাপারই না। শপিং করে, ঘুরে, মানুষের ব্যস্ততা দেখে সময় কাটিয়ে দেয়া যায় অনায়াসেই। সিংগাপুর ইমিগ্রেশও খুব আধুনিক। স্মার্ট অফিসাররা খুব দ্রুততার সাথে সবকিছু শেষ করে।
বিস্তারিত»তুমি রোজ বিকেলে আমার বাগানে
১। মাইয়ার নাম মম। বাবার নাম প্রিন্সিপাল স্যার। দেখতে ক্যামন ছিল মনে নাই। অবশ্য ওই সময় মন অতো সুন্দরীও খুজতো না …… ‘অতেই চলবে’ টাইপ ছিলাম। আমাদের গেমস শেষ হবার পর টারজান স্যুইং এর রোপের নীচের মোটা গিট্টুটার উপর বইসা মম দোলা দোলা খেলতো। গিট্টুটার উপর ক্যামনে যে বসতো, আহারে। কত পোলাপাইনরে দেখছি ক্যান্টিনে যাওয়ার পথে অথবা ছুটির দিনে ওই গিট্টু নিয়া তফসরা (গবেষণা) করতেছে।
বিস্তারিত»নুঁগা (নঁওগা)পার্টি……
আমাদের ক্লাসে নঁওগা জেলার পো্লাপান প্রায়ই তাদের উচ্চারনের বিশেষনের কারনে আমাদের অসীম মজার খো্রাক এবং টিজ নামক আক্রমনের শিকার হত । তার কিছু উদাহরন মনে পরল…
০১ ক্লাস সেভেনে এক নুঁগা দুপুরে কারি ও ডাল একসাথে খাওয়া দেখে অবাক হয়ে, ভ্যাই (ভাই), ড্যাল দিয়ে কি ম্যাংশ দিয়ে খ্যায় ।
০২ সেভেনের ২য় টার্মের পর ছুটি পেয়ে খুশিতে আত্নহারা হয়ে, এবার ন্যাচতে ন্যাচতে গ্যাইতে গ্যাইতে বাড়ি যাবো ।
বিস্তারিত»আমার শহর- ছবিতে পুরোনো ঢাকা
ক’দিন আগে ই-ডাকে আমার এক সহকর্মী আমাকে বেশ কিছু ছবি পাঠালেন। ঢাকা শহরের। এখনকার ঢাকা নয়। সেই পুরোনো দিনের ঢাকা। গল্প উপন্যাসে আমরা যে পুরোনো ঢাকাকে দেখি একেবারে সেই রকম। ছবিগুলি আমার কাছে দারুন লেগেছে। তাই ভাবলাম বাকি সবার সাথেও শেয়ার করি।
অনেক ছবি। একসাথে সব দেয়া ঠিক হবে না। প্রথমে কিছু শেয়ার করলাম। দেখি সবার কেমন লাগে।
যাদের সাথে বসবাস
লাইবেরিয়াতে আসার আগে বৌ’কে নিয়ে মুশফিকের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। সাথে ছিল শামীম। ও বছরখানেক আগে পার্শ্ববর্তী দেশ আইভরী কোস্টে শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করে গেছে। গাড়ীতে বসে শামীম নানান পরামর্শের সাথে সাথে পশ্চিম আফ্রিকার বিপদজনক রোগবালাইয়ের কথা বলছিল। ম্যালেরিয়া, ইয়েলো ফিভার, টাইফয়েডের সাথে ছিল লাসা ফিভারের কথা। লাসা ফিভারে আক্রান্ত হয়ে একজন সৈনিক মারা গেলে স্টিলের কফিনে ৪০ ফুট মাটির নিচে লাইবেরিয়াতেই সমাহিত করা হয়।
বিস্তারিত»একটি কাল্পনিক গল্প!!!
‘নিজের বাড়ির আলাদা একটা ঘ্রান আছে’-মনে মনে ভাবলেন আমানুল্লাহ্ চৌধুরী। কই,থাইল্যান্ডএ গত দুবছর যে এক বাসায় থাকলেন একবারও তো এই ঘ্রানটা পেলেন না…অবশ্য পাবেনই বা কি করে? ছিলেন পুরো দৌড়ের উপর। দেশে দূর্নীতি দমনের নামে যে ধর-পাঁকড় শুরু হল তা থেকে বাঁচার জন্য প্রথমে ঢাকা-দুবাই, এরপর দুবাই-লন্ডন সবার শেষে লন্ডন-ব্যাঙ্কক! থাইল্যান্ড গিয়েও কি শান্তি ছিল? দলীয় কোন্দল, বেইমানির ভয়, স্থানীয় পুলিশের ভয়- আরও কত কি!!!
বিস্তারিত»বাবা হবার গল্প…
অনেক দিন ধরেই সিসিবি পড়তেসি। আর চিন্তা করতেসি কিছুতো একটা লিখা দরকার। কিন্তু আমি কখনই লেখক ছিলাম না,এমনকি কলেজেও না। ছিলাম পাঠক। ইঊনিভারসিটিতে গিয়ে হয়েছিলাম কথক। আর এখন আমি হইলাম শুধু দেখক। শুধু সিনেমা আর ফুটবল দেখি। কখনই ক্লান্ত হইনা। যেহেতু এইটা লিটল ম্যাগ না…একটা অনলাইন ব্লগ; সুতরাং আমার কাঁচা লেখাটাও সাহস করে দিয়ে দিলাম।
১
এবারের ঈদটা ছিল একটু অন্য রকম। আসলে ঈদের দুইদিন আগ থেকেই হাসপাতালে ছিলাম।
আমার ক্যাডেট বেলা – ৬ (ক্লাস টেন পর্ব)
প্রথম পর্ব থেকে
ক্লাস টেনে উঠে ভাবি এইবারে পায় কে
আমি কার খাই আর আমারই বা খায় কে?
মেঘে মেঘে বেলা বেশ হয়ে গেল কলেজে
অথরিটি টের তার পায়নি কি নলেজে?
ওকে, বেশ দেখা যাক সামনেতে হয় কি
আমি কি হে ছোট আছি? আমারই বা ভয় কি?
নয়কি?
কিছু বিব্রতকর মুহুর্ত
১। ডিনার এ হেভি ভাব নিয়ে জুনিয়ার দের সামনে এসে জুনিয়ার দের মুচকি হাসি দেখে আবিস্কার করা যে প্যান্ট এর চেইন খোলা……
২। প্রিফেক্ট রা ডাইনিং এ ঢুকে ইংলিশ এ শাউট করতে গিয়ে মাঝ পথে খেই হারিয়ে ফেলা……
৩। টয়লেট এ বসে হাগু করতে গিয়ে পাশ এর টয়লেট থেকে ভেসে আসা কন্ঠঃ “আই, কে রে ভাই……গন্ধ……ইশ” পানি ঢাল ”
৪। সকালে বড় ভাই কে ডাক তে গিয়ে উনা কে উলঙ্গ অবস্থায় দেখতে পাওয়া……
টুশকি ১১
ক্যাম্পাসের রানী শম্পা
আমগোর আছিল শম্পা ম্যাডাম। পুরা কলেজের রানী। আন্ডা-আব্বা হুদা না সিনিয়র-জুনিয়রেরও বালাই নাই। পোলাপাইন খালি তসবি নিয়া জপে শম্পা, শম্পা। কেউ কেউ গভীর রাইতে উদাস হইয়া দরাজ গলায় হিন্দি সুরে গান ধরে “শম্পা শম্পা, ও মাই ডারলিং…..”। হাহ…
এইরকম একদিন সকাল ১০টা-১১টা অইবো। কুনু কারণে নির্ধারিত শিক্ষক ক্লাস নিতে আসে নাই। পোলাপাইন গ্যাজাইতাছে। কেউ কেউ আবার ব্ল্যাকবোর্ডে নানা সৃজনশীল আঁকাঝুকিতে ব্যস্ত। কে হইতে পারে এইডা,
বিস্তারিত»কেনিয়াতে ওবামা জ্বর
কেনিয়ার প্রত্যন্ত গ্রাম কোগোলোতে লোকজন ভোট দিচ্ছে বারাক ওবামাকে । না চমকানোর কিছু নেই এটা সত্যিকারের ভোট নয়, প্রতিকী ভোট মাত্র। কিন্তু সারা কেনিয়া জুড়ে উৎসাহ উদ্দীপনা কোন অংশেই যুক্তরাস্ষ্ট্রের চেয়ে কম নয়। এখানে অলরেডী ওবামার জয়ের খবর পৌঁছে গেছে। সারা কেনিয়া জুড়ে আনন্দের ঢেউ। রাস্তায় রাস্তায় মিষ্টি, পানীয় বিতরন চলছে। যেন ঘরের ছেলেই নির্বাচনে জিতেছে। আজ টিভিতে শুনলাম কেনিয়ার অনেক শিশুর নাম নাকি ওবামা রাখা হচ্ছে ।
বিস্তারিত»