ধরি কোনো সোনারোদ বিকেলে
মেঘ করেছে তোমার পিছু ধাওয়া
পালাবার পথ খোঁজ তুমি
মেঘ পাঠালে বসন খোলা হাওয়া
পানিশমেন্ট-১
কলেজ আর পানিশমেন্ট দুজনে দুজনার। আমরা যখন বের হয়ে আসি তখন আমরা প্রায়ই আফসোস করতাম আহারে কলেজে সিনিয়রদের জুনিয়রদের দেওয়া পানিশমেন্টের হার কমে যাচ্ছে, পোলাপান কামনে সোজা থাকবে। তো সেই পানিশমেন্ট এর কিছু ঘটনা এখানে বলি –
ক্যাডেট কলেজের প্রথম পানিশমেন্ট খাইসিলাম বের হই হই করা ক্লাস টুয়েলভের কাছে। ব্যাপার আর কিছুই না দুই দিন আগে মাত্র কলেজে জয়েন করসি ট্রাডিশন অনুযায়ী হাউসের বিভিন্ন ক্লাস আমাদের ডাকবে,
বিস্তারিত»এমন দিনে তারে বলা যায়
ওয়েদারের কোন তালগোল খুইজা পাইতেছিনা। ভাদ্র মাস গিয়া এখন কার্তিকের মাঝামাঝি। কোথায় জীবনান্দের কার্তিকের নবান্নের দেশ, হিমশীতল প্রকৃতি আর শিশিরের শব্দ এতো দেখি একেবারে রবীন্দ্রনাথের পাগলা হাওয়ার বাদল দিন আর বৃষ্টি নেশা ভরা সন্ধ্যা বেলা।
বৃষ্টি আমারও ভালো লাগে (‘বর্ষা’ লিখলে আবার জিহাদ মাইন্ড খাবে, সুতরাং সেফ সাইডে থাকা ভালো) 😉 । কিন্তু এইরকম বিড়-বিড়াইয়া বৃষ্টি না। আরে বেটা নামবিই যদি ঝম-ঝমাইয়া নাম।
বিস্তারিত»আমাদের বুড়া চিকি
সায়েদ ভাইয়ের চিকি নাম্বারিং এর কাহিনী শুনে আমার একটা কথা খুব মনে পড়ে গেল।
কলেজে দেখতাম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার কয়দিন, কিছু ক্যাডেটকে নির্বাচন করা হতো ভলেন্টিয়ার ক্যাডেট হিসাবে। যারা একটু অন্যদের থেকে একটু আলাদা(!) ছিল আরকি…. ক্লাশ সেভেন আর এইটের ক্যাডেটদের এই ভাবে সিলেক্ট করা হতো। তারা বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার কয়দিন, টাই টুই পরে ফুলবাবু হয়ে ঘুরে বেড়াতো ।
আমাদের ব্যাচের শান্তশিষ্ট একজন ছিল।
বিস্তারিত»MIRC এবং একটি ক্যাডেট সংক্রান্ত কাহিনী
তখন MIRC বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে আমাদের মাঝে। DU তে কলাভবনে class করি, দিনে দুইটার বেশি class নাই বাকি সময়ে বাসায় ফিরে IRC তে বসে থাকি। আড্ডা ও বন্ধ IRC র ঠেলায়। তো এমনি একদিন বসে আছি। দেখি একজন message দিচ্ছে main window তে “is there any ex-cadet here right now please message me”. বেশ ইন্টেরেসটিং লাগল দেখে তো মেসেজ দিলাম। প্রথমেই যথারীতি নাম ধাম বয়স জানতে চাওয়া।
বিস্তারিত»টুশকি ৬
১. বিএমএ’তে প্রথম চার সপ্তাহ পর গেস্ট ডে’তে তানিমের গুল্লু গুল্লু চেহারা দেখে ওর আর্মি অফিসার আব্বার ঠোঁট উল্টানো মন্তব্য, “কি রে তোর গাল টাল তো একেবারেই ভাঙ্গে নাই। কি ট্রেনিং দেয় তোদের”?
২. আমাদের ক্লাসমেট অলমোস্ট সবাই বিয়ে করে ফেললেও একজন এখনও বিয়ে করছে না।
বিস্তারিত»নব্বইয়ের হ্যামলেট (ফারজানা তাবাসসুম বলছি)
আমার দেখা পৃথিবীর সবথেকে কুতসিত কাপল হচ্ছে মিষ্টার হোদল কুঁত কুঁত আর মিসেস ডিম্পল কাপাডিয়া। মিজ কাপাডিয়া কি দেখে যে হোদলটাকে বিয়ে করেছে, এই হিসাব আমি সারা জীবনে মিলাতে পারব বলে মনে হয় না। একসংগে পড়ত এইটা জানি, হোদল খুব মেধাবি, তাও মানি, কিন্তু এই গুলোই কি সব, নাকি তাদের মধ্যে বিয়ের আগেই কোন বোঝাপড়া হয়েছিল। হতে পারে, হলেই ভালো,
বিস্তারিত»অনেকে একসাথে…
মোবাইলটাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখি। চেঁচামেচি বড় বিরক্তিকর। মাঝেমাঝে তাই অনেক কল-ই ধরতে পারি না। ঈদের আগেরদিন মোবাইলে মেসেজঃ “ফোন করসিলাম। বিকেল সাড়ে তিনটায় রাইফেলস স্কোয়ারে থাকবি, পোলাপাইন আসবে।” ঘড়িতে সময় দেখি, দুপুর দেড়টা। তাড়াতাড়ি করে তৈরী হলাম। ধারণা ছিল রাস্তায় প্রতিদিনের মত যানজট থাকবে। হ্ল উল্টা, সব ফাঁকা। লোকাল বাসগুলোতে উঠি না কারণ বাসগুলো বানানোর সময় আমাদের কথা চিন্তা করে বানায় না, দাঁড়ালে সিজদা দিতে হয় আর বসলে এক হাঁটু উত্তর মেরু ত আরেকটা দক্ষিণ মেরুতে থাকে।
বিস্তারিত»কবিতাঃ তোমার কোন ছুটি নাই…!!!
আমি কবিতা মোটেই হজম করতে পারি না, হয়ত আমার জীবন ছন্দহীন-অন্তমিলহীন তাই…কারও কবিতা পড়ে তাই যখনই কমেন্ট করেছি- বেশীরভাগ করেছি না বুঝে, কিংবা তার সাথে সম্পর্কের পয়েন্ট আপ করার জন্য… 😉
কবি বলে গেছেন, ‘…কবিতা তোমায় দিলেম আজ ছুটি…পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসান রুটি…’ কিন্তু আমার কাছে পূর্ণিমার চাঁদকে কখনও ঝলসান রুটির মত মনে হয় নি…আর যদি কল্পনাই করব, তাহলে ঝলসান রুটি কেন? এর চেয়ে বরং পোচ করা ডিমের কুসুম কল্পনা করা ভাল…অনেক বেশি ক্যালরি!!
বিস্তারিত»সাম্প্রতিক চলচ্চিত্র ভাবনা
১.
মাত্র দু’বছর আগেও এদেশের তরুণ প্রজন্মেরর একজন কবি লিটল ম্যাগ কিংবা দৈনিকে তার কবিতা ছাপা হবে কিনা এই চিন্তা নিয়ে ঘুমাতে যেতেন। এবং মোটামুটি একটা স্বপ্নমিশেল কাব্যবন্দী ঘুম হতো। এদেশের তরুণ প্রজম্ন এখনও ঘুমাতে যান। তবে আবহটা একটু ভিন্ন। এখন তাদের চোখের স্বপ্ন রূপালী, এখন তাদের ফ্রেমবন্দী ঘুম। দেশে একটি নিরব বিপ্লব ঘটে গেছে। সেলুলয়েড বিপ্লব।
যিনি গান লিখছেন, যিনি সুর দিচ্ছেন,
বিস্তারিত»আজিজের বিয়ে
আজ ছিল আজিজের বিয়ে। সিলেটের অনেকেই আজ দেখেছে ক্যাডেটরা কত মজা করতে জানে। পুরো বিয়ের আসর মাতিয়ে রেখেছিল সিলেট, রাজশাহী, পাবনা, কুমিল্লা আর বরিশালের ৮/১০জন ক্যাডেট। ………ওহো…আমিতো এখনো বলিইনি যে আজিজ টা কে। আজিজ হচ্ছে সিলেট ক্যাডেট কলেজের ক্যাডেট। কলেজের সময়কাল ‘৯০-‘৯৬ (সম্ভবত ১৫তম ব্যাচ)। আর্মিতে আমার অত্যন্ত স্নেহভাজন একটা জুনিয়র। যশোরে থাকতে আমাদের পাশাপাশি রুম ছিল। খুবই মজার কিছু সময় আমরা কাটিয়েছি আমরা একসাথে।
বিস্তারিত»আজ সিনেমার বড়দিন-২
ক্ষুধা ,দারিদ্র্য, শ্রেণী বিভেদ বেচে থাকার সংগ্রাম এই ব্যাপারগুলো পৃথিবীর বুকে এত বেশি বিরাজমান যে আমাদের কাছে সাধারণ ঘটনার মত মনে হয়।আজকের এই যন্ত্র দানবের যন্ত্রনাকাতর পৃথিবীতে মানুষের মধ্যকার সুকুমার গুণাবলি যখন বিলুপ্তপ্রায়, সম্পর্কের টানা পোড়নের এক কঠিন সংকটের মধ্যে যখন ব্যক্তিজীবন, রাষ্ট্রজীবন তথা গোটা বিশ্ব অস্থির উন্মাদনায় উন্মত্ত তখন বিবেকের সচেতন বোধশক্তি আর ভালবাসার আবেদন মানুষের কাছে অমূলক। একটা সিংহ কখনও আরেকটা সিংহকে বধ করে না,একটা বাঘ অন্য বাঘের মুখের খাবার কেড়ে নেয়না,
বিস্তারিত»আবোল এবং তাবোল……
লাল নীল সবুজ…।
বিস্তারিত»বাংলা গু ফে
লাইবেরিয়ার জনগনের ভাষা ইংরেজি। কবে কিভাবে এখানের ছোট বড় অনেকগুলো গোত্রের ভিতর ইংরেজি স্থান করে নিয়েছে তা জানতে হলে বিস্তর ঐতিহাসিক ঘাঁটাঘাঁটি করতে হবে। তবে সাধারণ হিসেবে যেটা বলা যায় সেটা হলো, তুলা চাষের জন্য এখান থেকে যাদেরকে দাস হিসেবে অ্যামেরিকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল দাসপ্রথা বিলুপ্তির পর তাদের পুনর্বাসনের মাধ্যমেই বোধকরি ইংরেজির আধিপত্য।
আমরা যারা বাংলাদেশ থেকে এসেছি তাদের জন্য এটা একটা আশির্বাদ।
বিস্তারিত»তোমার কি ‘উইপনে’ সমস্যা আছে?
ক্যাডেট কলেজে শিক্ষকরা এক একজন দারুণ চরিত্র। দোষ-গুণ নিয়ে এরা আছেন, থাকবেন। বাইরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সঙ্গে পার্থক্য এটাই যে ক্যাডেটরা এদের সঙ্গে দিনের ২৪ ঘণ্টা, বছরে ৩০০ দিন এবং ছয়টা বছর কাটায়। কাছ থেকে মানুষগুলোকে দেখে। এদের কাউকে কাউকে নিয়ে রীতিমতো উপন্যাস লেখা যায়। কেউ মজার, কেউ আমুদে, কেউ ভিলেন, কেউ ক্লাউন, আবার কেউবা একেবারে বাবার মতো মানুষ।
ক্যাডেটদের বিনোদনের একটা বড় অংশ জুড়েই আছেন শিক্ষকরা।
বিস্তারিত»