নব্বইয়ের হ্যামলেট (লেখকের টুকিটাকি কথা)

পর্ব-সাজ্জাদ
ফারজানা তাবাসসুম বলছি
যোবায়ের-কথন

সচেতন পাঠক হিসেবে তো বটেই, এই সিরিজে লেখক হিসেবেও আমি মনে করি, এইখানে সিরিজ শেষ করাটা ঠিক হচ্ছে না। আরও কয়েকটা পর্ব আসা উচিত। শম্পার কথা যদি নাও গুনি, তবুও মিনহাজ আর জিসান কে নিয়ে অন্ততঃ আরও দুটো পর্ব আসলে ব্যাপারটা একটা কিছু হলেও দাড়াতে পারত।

উলটো পিঠের যুক্তিও আছে, একেবারে ফেলনা না সেগুলোও। সিরিজের নাম নব্বইয়ের হ্যামলেট, অর্থটা পরিষ্কার, নব্বই দশকের এমন কিছু চরিত্র, যারা নিজেকে বার বার খুজছে বা বদলাচ্ছে। সিদ্ধান্তহীনতার আক্ষেপ, সিদ্ধান্ত নিতে না পারার হতাশা, ভুল সিদ্ধান্তের জন্য অনুশোচনা, বা সিদ্ধান্ত বদলানো এবং এর পিছনের কারন হিসেবে নিজের মনকে বুঝানো এইসব ফুটিয়ে তোলা। মিনহাজ, জিসান শম্পারা এই দলে ঠিক পরে না। কারন এরা সহজে সিদ্ধান্ত বদলায়নি, অন্ততঃ আমার জানা মতে। আর দ্বিতীয় কারনটা, শম্পা ছাড়া বাকি দুজনের সংগে আমার তেমন ভালো চেনাজানা নেই, তাই তাদের মানসিকতার ব্যাপারটা আমি ফুটিয়ে তুলতে চাইলে, হয়ত, ভুল জিনিস উঠে আসত। ভুলটা এড়াতে চাইলাম। তবে মিনহাজ, জিসানকে নিয়ে নষ্ট প্রজন্ম বা এইরকম কিছু নাম দিয়ে কিছু একটা লেখার চিন্তাটা মাথায় রাখলাম।

আমার পরিচয়টা এই ফাকে দিয়ে নেই, পাঠক বুঝতে পারবেন আমি কিভাবে জড়ালাম নিজেকে। সাজ্জাদ আর আমি ছেলেবেলার বন্ধু। একই স্কুলে পড়তাম, আমার এবং সাজ্জাদের বাবা সেই স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। ভাল ছেলে বলতে যা বুঝায় আমরা ছিলাম তাই। প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থান আমাদের জন্য নির্ধারিতই ছিল একরকম, অন্যরা পরীক্ষা দিত তার পরের স্থান গুলোর জন্য। এইসব ভালোছেলে টাইপ গুনাবলী দিয়ে ভর্তি ছিলাম আমরা, যেমন থাকে আরকি ভালোছেলেদের, কথা ওদিকে না গেলেই মনে হয় ভালো হবে।

বায়োকেমিষ্ট্রি ছিল আমার সাবজেক্ট, সাজ্জাদের আ্যপ্লাইড ফিজিক্স, ওর রুমে আমিও ছিলাম, যোবায়ের ভাই আমাকেও খুব আদর করতেন, হল থেকে আমিও বিতারিত হয়েছিলাম এই অপরাধে, ইউনিতে মিল বলতে ছিল এইগুলা। আর একটা মিল ছিল, আমরা ওইখানেও খুব ভালো বন্ধুও ছিলাম।

বাকি সব অমিল আর অমিল।

প্রথম অমিল শুরু হয় ঘটনার মুল্যায়ন দিয়ে, সাজ্জাদ প্রতিবাদী হয়ে উঠে, আর আমি আরও ভালো ছেলে হয়ে উঠি। ওর রেজাল্ট খারাপ হতে থাকে, আর আমার ভালো থেকে ভালো হতে থাকে। সাজ্জাদের পরিচিত বাড়তে থাকে, আর আমি পরিচিতি পাই গুটি কয়েকজনের কাছে, অন্যরা আমাকে আতেল নামে ডাকে। সাজ্জাদের লাইফ ষ্টাইল অনেকের কাছে অনুকরনীয় হয়ে পরে, রোল মডেলের মত, আর আমি, ঘরকুনো ইদুর কিংবা তেলাপোকার জীবন (সাজ্জাদের ভাষায়), ক্লাস, ক্যান্টিন, হল, লাইব্রেরী এই…

’৯০ এর পট পরিবর্তন সাজ্জাদকে আরও বেপরোয়া করে তোলে, প্রমোশনের জন্য শিক্ষকরা তার কাছে তদবীর নিয়ে যায়, ভাইস চ্যান্সেলর হবার জন্য একজন ডিনের সংগে সাজ্জাদের মিটিং ক্যাম্পাসে তোলপাড় তোলে। আমি তখন মাষ্টার্স নিয়ে খুব ব্যস্ত।

মাষ্টার্স এর পর স্বাভাবিক ভাবেই, ভালো চাকুরি, GRE, বাইরে পড়তে যাওয়া, বাইরে নিজেকে তৈরী করা, বাবার মৃত্যু, আরও অনেক কিছু নিয়ে বেশ ব্যস্ত। অনেকদিন পড়ে যখন মনে হবার মত করে মনে হল প্রিয় বন্ধুটির কথা তখন আমি বেশ প্রতিষ্ঠিত, তরুন গবেষক হিসেবে কিছু নাম ডাক, সেমিনার গুলোয় ডাক পরে, ওদের খরচে নিয়ে যায় এখানে ওখানে। জীবন সহজ থেকে সহজ হতে থাকে।

জাকসন হাইটে মাঝে মাঝে বাংগালী আড্ডায় যাই, অন্য কিছু না এমনি বেড়ানো। সেইখানে হঠাত একদিন দেখি আমার বন্ধু সেই ছোটবেলার সাজ্জাদ ঘুরে বেড়াচ্ছে।

আমি আক্ষরিক অর্থেই অবাক হয়ে যাই, সাজ্জাদ এখানে, এত কম বয়স!!, ঠিক যেন আমার ১২ বছরের বন্ধুটি ব্লু জিন্স আর টি শার্ট পড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি তাকে ডাকি কথা বলার জন্য। তার সংগে কথা বার্তা আমেরিকান ইংলিশে যা হল তা মোটামুটি এইরকমঃ
-হাই
-ও, হাই,
-আমি কি তোমার সংগে একটু কথা বলতে পারি।
-নিশ্চয়ই।
-তোমার গেটাপ খুব সুন্দর, তুমি কোথায় থাক?
(১২ বছরের সাজ্জাদ বলে কোথায় থাকে ও)
-কিছু মনে কর না, তুমি কি ইন্ডিয়ান?
-না আমি বাই বর্ন আমেরিকান, কিন্ত মা বাংলাদেশী।
-বাবা? (আমি কি একটু উত্তেজিত)
-আমি এখন ষ্টেপ বাবার সংগে থাকি, উনি আমেরিকান।
-তুমি কি প্রায়ই আস এখানে?
-প্রায় না, মাঝে মাঝে আসি, তবে মা আসেন প্রায়ই।
-আমার খুব ভালো লাগত যদি তোমার মায়ের সংগে পরিচিত হতে পারতাম।
-ওই তো মা, শপিং করছে, যাও না কথা বল, আমি ডেকে আনব?

আমি দেখি, যদিও বেশ খানিকটা দূরে দাঁড়িয়ে, অনেক দিন আগে শেষ দেখেছি, কিন্ত ফারজানাকে চেনা যায়।

লেখকদের নাকি ঘৃনা থাকতে নেই, কিন্ত ফারজানাকে যখন প্রথম দেখি, তখন থেকে ওর জন্য আমার হূদয়ে ঘৃ্না ছাড়া আর কিছু নেই, আর এখন ফারজানাকে দেখে সেটা গলা পর্যন্ত পাকিয়ে আসে, আমার বমি বমি ভাব আসে, বাতাস হারিয়ে যায়, মাথাটা বনন করে ঘুরে উঠে। আমার উচিত এখান থেকে দ্রুত কেটে পড়া, এবং জাকসন হাইটে আর না আসা।

কিন্তু ষ্টুপিড পা আমার কথা শুনে না, একমিনিট পড়ে আমি দেখি আমি ফারজানার পিছনে দাঁড়িয়ে ওকে ডাকছি।

ফারজানার মুখের দিকে তাকিয়ে খুব অল্প সময়ের মাঝেই আমি অনেক গুলো পরিবর্তন দেখতে পাই, প্রথমে কাউকে চিনতে না পারা, এরপর একটু একটু করে চিনতে পারা, এরপর পুরোপুরি চিনে ফেলার আনন্দ এরপর নিজেকে লুকিয়ে রাখার আপ্রান চেষ্টা করে ফারজানা, অল্প পরেই বুঝতে পারে না চেনার ভান করে লাভ হবে না, একটা হতাশা কাজ করে ওর মধ্যে, এরপর ইতিউতি তাকায়।
-তোমার ছেলে কফি খাচ্ছে, ওর সংগে অলরেডী পরিচয় সেরে ফেলেছি, এরপর বল কেমন আছ?
-আছি মোটামুটি, আপনি?
-আছি, আরকি। তুমি অনেক বদলে গ্যাছো।
-হুমমম, একা এসেছেন, ভাবী নেই? (ফারজানা কথা ঘুরায়)
-তোমার ছেলেকে দেখলাম, সাজ্জাদের ছেলে নাকি ও?
এত সরাসরি প্রশ্নটা মনে হয় আশা করেনি ফারজানা, একটু হকচকিয়ে যায় তবে সামলে নিতে বেশি সময় নেয়না।
-সাজ্জাদ জানে?
দুদিকে মাথা নাড়ায়, “যোগাযোগ নেই তো জানবে কিভাবে” উত্তর দেয়।
-কেন করলে এরকম?
ফারজানা পূরোটাই বদলে গ্যাছে, এখন অনেক ধীর, উগ্রতা নেই একদম, কথা বলে গুছিয়ে, পোশাক অনেক মার্জিত। উত্তর দেয় অনেক সময় নিয়ে,
-সাজ্জাদ তো আমার কাছে সারাজীবন থাকবে না, আপনিও বুঝেন সেটা, তাই ওকে চুরি করে আনলাম।
আমি কিন্তু এই ফারজানাকে একদমই চিনিনা।
-তোমার হাজবেন্ড?
– সে অনেক কথা, বিয়ের আগেই ফোনে আসিফকে জানিয়েছিলাম, কনসিভ করেছি এইটা ছাড়া সব জানতো, পাশ করার দুইমাসের মধ্যে আমি এখানে চলে আসি, পরের মাসে আসিফ জানতে পারে ঘটনাটা, এরপর সেপারেশন হয়ে যায় আমাদের।
-ভালই খেলেছো তুমি দেখি।
-প্রথম হাফটা খেলেছি অনেক আনন্দে, যেহেতু মাঠে নেমেই পড়েছি, দ্বিতীয় হাফ না খেলে উপায় ছিল না। অনেক কষ্ট হয়েছে, কিন্ত টিকে গেছি।
-এখন কি করছ?
-জীবনটাকে বয়ে নিয়ে যাচ্ছি, খেলা ছেড়েছি সেই কবে, এখন খেলা শেষের ঘর্মাক্তদেহের দুর্গন্ধ মুছছি।
হঠাত হেসে ফেলে ফারজানা, আবার সেই পুরনো ঝলক দেখি।
-একটা সাদা চামড়া আমেরিকান বেকুবকে বিয়ে করেছি, বেটার বেশ পয়সা, আমিও জব করি। আমেরিকান বেকুব গুলার একটা জিনিস মোটামুটি ভালো, আগের জীবন নিয়ে কোন প্রশ্ন করে না।
এইই আমার চেনা ফারজানা আর তার কন্ঠ।
খুব করে বলেছিল ওদের বাসায় যাবার জন্য। আমি যাইনি, আমার ভয় করছিল, ফারজানার আরও নতুন কোন চমক দেখতে চাইনি।

গল্পটা এখানে শেষ হতে পারত। কিন্ত হয়নি।

যোবায়ের ভাই এলাকার এমপি হয়েছেন এই খবর পেয়েছি। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের হাওয়ায় চার বছর পরেই যোবায়ের ভাই দেশে চলে আসেন। সাজ্জাদরা যাকে নামানোর জন্য এত কিছু করলো, আর যাকে বাচানোর জন্য যোবায়ের ভাইয়ের এই বেপরোয়া গুলি, গনতন্ত্রের হাওয়ায় তিনি মহা শক্তিশালী তৃ্তীয় পক্ষ হিসেবে আসলেন, যোবায়ের ভাই তার দল থেকে নমিনেশন পেলেন, এবং বিপুল ভোটে জিতলেন। ………।হায়রে রাজনীতি।

সবার খবর পাচ্ছিলাম, কিন্তু খবর পাচ্ছিলাম না প্রিয় বন্ধু সাজ্জাদের। তাই ছুটিতে বাংলাদেশে এসে গ্রামে গেলাম, বাবা- মা কেউ বেচে নেই, চৌদ্দ পুরুষ গ্রাম ছেড়েছে, তবুও গ্রামে গেলাম সাজ্জাদকে খুজতে, যদি কেউ বলে দেয় কই আছে সে। যদি মেলে তার দেখা।

গ্রামে গেলাম এবং কি আশ্চর্য্য, সাজ্জাদকে পেলাম।

সাজ্জাদ এক অল্পবয়সী বিধবাকে বিয়ে করেছে, স্কুলে শিক্ষকতা করে, মজা পুকুরে মাছ চাষ করে, রাস্তা বানায়, জনসচেনতার ক্যাম্প করে, আর নিয়ম করে মসজিদে যায়, পাচ ওয়াক্ত নামাজ পরে জামাতে।

এই সাজ্জাদকে কি এখন ফারজানার কথা বলা যায়, নাকি উচিত, আপনি বলুন?

এইসব বাদ দিয়ে আসুন আমরা বরং কিছু কল্পনার রঙ চড়াই।

ফারজানা প্রতিভাবান এবং তার সমস্ত মেধা দিয়ে সে গড়ে তুললো লিটল সাজ্জাদকে, কতদুর যেতে পারে লিটল সাজ্জাদ, বারাক ওবামার মত হতে পারে কি? পারে মনে হয়। কি বলেন।

আটপৌর শম্পার মেধাবী ছেলে (টিউমারের কথা মনে হয় মনে আছে) যার নাম সাজ্জাদ হলে ব্যাপারটা জমে, মোটামুটি ভাবে জমিয়ে নিল কোন একটা দিকে, ধরুন রাজনীতিতে সবচেয়ে তরুন রাজনীতিক, ধরুন এমপি। অসম্ভব কিছু নেই, হতে পারে।

সাজ্জাদের বৈধ ঘরের সন্তান, সাজ্জাদ যেহেতু ঈদানীং সাদা মনের মানুষ, বুদ্ধিমান এবং পরিশ্রমী, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সে নিশ্চয় নিষ্কলুষ নামী দামি কেউ হবেন, রাজনীতিক নন কিন্ত, আর তার সন্তান ভালো কিছু হবে নিশ্চয়।

কোন এক জায়গায় এক হয়ে গেল এই তিন জন নতুন প্রজন্মের ধারক, কি হবে তখন? প্রোবাব্লিলিটির জটিল গানিতিক সুত্র কিন্তু দেখা হবার ব্যাপারটা উড়িয়ে দিচ্ছে না।

আচ্ছা, এবার আরেকটু রং চড়াই। সব মিলে কতজন ফারজানা, শম্পা আর সাজ্জাদ আছে এইরকম, খুব বেশি নেই, তবে কিছু তো আছেই। মনে করুন এইরকম এক ফারাজানা, শম্পার ছেলের সংগে, এইরকম এক সাজ্জাদের সাদা মনের ছেলের দেখা হল। সুত্র অনুযায়ী সম্ভাবনাটা কিন্ত বাড়ছে।

“পৃথিবীটা আসলেই রংগো শালা”।

২,৮৩৪ বার দেখা হয়েছে

২৩ টি মন্তব্য : “নব্বইয়ের হ্যামলেট (লেখকের টুকিটাকি কথা)”

  1. সায়েদ (১৯৯২-১৯৯৮)
    ফারজানার মুখের দিকে তাকিয়ে খুব অল্প সময়ের মাঝেই আমি অনেক গুলো পরিবর্তন দেখতে পাই, প্রথমে কাউকে চিনতে না পারা, এরপর একটু একটু করে চিনতে পারা, এরপর পুরোপুরি চিনে ফেলার আনন্দ এরপর নিজেকে লুকিয়ে রাখার আপ্রান চেষ্টা করে ফারজানা, অল্প পরেই বুঝতে পারে না চেনার ভান করে লাভ হবে না, একটা হতাশা কাজ করে ওর মধ্যে, এরপর ইতিউতি তাকায়।

    ফয়েজ ভাই,
    এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম। গল্প চলার ভিতর লেখকের কি কথা থাকতে পারে ভেবেই পাচ্ছিলাম না। তারপরও এভাবে ফিনিশিং হবে বুঝিনি। ভালো লেগেছে, অসম্ভব ভালো লেগেছে :clap: :clap: । বিশেষ করে ফারজানার চেহারায় ক্ষণিকে অনেক পরিবর্তনের ব্যাপারটা খুব মনে ধরেছে।

    যেই সম্ভাবনার কথা বলেছেন সেগুলোর ব্যাপারে আমি কি মনে করি জানেন? "হিস্টরি রিপিটস"। আর তার সাথে যদি অন্তঃকরণে কেউ একজন (মানে লেখক আর কি 😛 ) চায় তাহলে তো কথাই নেই।

    “পৃথিবীটা আসলেই রংগো শালা”

    একদম শতভাগ খাঁটি কথা।


    Life is Mad.

    জবাব দিন
  2. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    ফয়েজ ভাই, আশা করব(ন্‌না,দাবী!) আপনি সকাল বিকাল ব্লগে আইসা বমি কইরা ভাসাইয়া দিবেন... 😀
    শুরু থেকেই জিসানরে জানার জন্য অনেক চাপাচাপি করছিলাম...পরে কোন এক সময়ে ওরে আনবেন শুইনা ভাল লাগল... 😀
    'নব্বইয়ের হ্যামলেট' এর জন্য আপনারে হ্যামলেটওয়ালা :salute:


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  3. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    বস্, আপনার স্টাইলটা জটিল... এইভাবে যে শেষ করবেন এক্কেবারে শেষে আইসাও বুঝিনাই.

    কোন এক জায়গায় এক হয়ে গেল এই তিন জন নতুন প্রজন্মের ধারক, কি হবে তখন? প্রোবাব্লিলিটির জটিল গানিতিক সুত্র কিন্তু দেখা হবার ব্যাপারটা উড়িয়ে দিচ্ছে না।

    শেষমেষ দুনিয়াডা আসলেই রংগো শালা, বস্ জটিল :salute:

    আর এইরম লেখার লাইগা শুধু বমি না, দরকার পড়লে আপনারে সিসিবি হাসপাতালে অ্যাডমিট করায়া রাখন লাগবো :grr: :grr:


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  4. আমি যখন লেখাটা শুরু করি, তখন এই রকম শেষ হবে এইটা মাথায় ছিল না। এক পর্বে সারতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তোমাদের চাপাচাপিতে আরও কিছু পর্ব দিতে হয়েছে।

    সেই অর্থে লিখার সময় তোমারাও আমার সংগে ছিলে। এটা আসলে তোমাদের লেখা।

    🙂

    জবাব দিন
  5. তাইফুর (৯২-৯৮)

    পরে জয়েন করার কারনে গরম গরম পড়তে পারি নাই।
    মন্দের ভাল ... পুরা সিরিজ একসাথে পড়তে পারলাম। খুব খুব খুব ভাল্লাগসে।
    এই সিরিজ আবার শুরু হইলে খুশী হইতাম।


    পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
    মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥

    জবাব দিন
  6. দিহান আহসান

    আয় হায়, এত্ত দেরী করে ফেললাম 🙁

    ফজু ভাই তাড়াতাড়ি লিখা দ্যান। লেখা দেন না ক্যান???
    যদিও অনেক দেরী করে ফেললাম, ভালো হইসে একসাথে পড়তে পারলাম। 🙂
    একদম শেষ না করে বুঝতেই পারিনি, গল্প কোন দিকে যাচ্ছে।
    কেউ রেটিং করেনাই ক্যান??? 😕

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।