অনেক দিন ধরেই সিসিবি পড়তেসি। আর চিন্তা করতেসি কিছুতো একটা লিখা দরকার। কিন্তু আমি কখনই লেখক ছিলাম না,এমনকি কলেজেও না। ছিলাম পাঠক। ইঊনিভারসিটিতে গিয়ে হয়েছিলাম কথক। আর এখন আমি হইলাম শুধু দেখক। শুধু সিনেমা আর ফুটবল দেখি। কখনই ক্লান্ত হইনা। যেহেতু এইটা লিটল ম্যাগ না…একটা অনলাইন ব্লগ; সুতরাং আমার কাঁচা লেখাটাও সাহস করে দিয়ে দিলাম।
১
এবারের ঈদটা ছিল একটু অন্য রকম। আসলে ঈদের দুইদিন আগ থেকেই হাসপাতালে ছিলাম।
আমার ক্যাডেট বেলা – ৬ (ক্লাস টেন পর্ব)
প্রথম পর্ব থেকে
ক্লাস টেনে উঠে ভাবি এইবারে পায় কে
আমি কার খাই আর আমারই বা খায় কে?
মেঘে মেঘে বেলা বেশ হয়ে গেল কলেজে
অথরিটি টের তার পায়নি কি নলেজে?
ওকে, বেশ দেখা যাক সামনেতে হয় কি
আমি কি হে ছোট আছি? আমারই বা ভয় কি?
নয়কি?
কিছু বিব্রতকর মুহুর্ত
১। ডিনার এ হেভি ভাব নিয়ে জুনিয়ার দের সামনে এসে জুনিয়ার দের মুচকি হাসি দেখে আবিস্কার করা যে প্যান্ট এর চেইন খোলা……
২। প্রিফেক্ট রা ডাইনিং এ ঢুকে ইংলিশ এ শাউট করতে গিয়ে মাঝ পথে খেই হারিয়ে ফেলা……
৩। টয়লেট এ বসে হাগু করতে গিয়ে পাশ এর টয়লেট থেকে ভেসে আসা কন্ঠঃ “আই, কে রে ভাই……গন্ধ……ইশ” পানি ঢাল ”
৪। সকালে বড় ভাই কে ডাক তে গিয়ে উনা কে উলঙ্গ অবস্থায় দেখতে পাওয়া……
টুশকি ১১
ক্যাম্পাসের রানী শম্পা
আমগোর আছিল শম্পা ম্যাডাম। পুরা কলেজের রানী। আন্ডা-আব্বা হুদা না সিনিয়র-জুনিয়রেরও বালাই নাই। পোলাপাইন খালি তসবি নিয়া জপে শম্পা, শম্পা। কেউ কেউ গভীর রাইতে উদাস হইয়া দরাজ গলায় হিন্দি সুরে গান ধরে “শম্পা শম্পা, ও মাই ডারলিং…..”। হাহ…
এইরকম একদিন সকাল ১০টা-১১টা অইবো। কুনু কারণে নির্ধারিত শিক্ষক ক্লাস নিতে আসে নাই। পোলাপাইন গ্যাজাইতাছে। কেউ কেউ আবার ব্ল্যাকবোর্ডে নানা সৃজনশীল আঁকাঝুকিতে ব্যস্ত। কে হইতে পারে এইডা,
বিস্তারিত»কেনিয়াতে ওবামা জ্বর
কেনিয়ার প্রত্যন্ত গ্রাম কোগোলোতে লোকজন ভোট দিচ্ছে বারাক ওবামাকে । না চমকানোর কিছু নেই এটা সত্যিকারের ভোট নয়, প্রতিকী ভোট মাত্র। কিন্তু সারা কেনিয়া জুড়ে উৎসাহ উদ্দীপনা কোন অংশেই যুক্তরাস্ষ্ট্রের চেয়ে কম নয়। এখানে অলরেডী ওবামার জয়ের খবর পৌঁছে গেছে। সারা কেনিয়া জুড়ে আনন্দের ঢেউ। রাস্তায় রাস্তায় মিষ্টি, পানীয় বিতরন চলছে। যেন ঘরের ছেলেই নির্বাচনে জিতেছে। আজ টিভিতে শুনলাম কেনিয়ার অনেক শিশুর নাম নাকি ওবামা রাখা হচ্ছে ।
বিস্তারিত»টুশকি ১০
আমি কবি নই তবু কাক ভালবাসি
কাককে বলা হয় ‘স্মার্ট’ পাখি। সে নগরীতে বসবাসের জন্য নাকি তার ভাবগাম্ভীর্যের জন্য, তা আমার ঠিক জানা নেই।তবে সে যখন ঝট করে ঘাড় নাড়ায় তখন মাল্টিন্যাশনালগুলির তুখোড় এক্সিকিউটিভও হাত তালি দিতে বাধ্য হবেন।বাহ! জোশ একটা মোশন দিল তো!
বৃষ্টি দিনে কেউ ভিজে চুপসে হয়ে আছেন।সাথে সাথে সবার মন্তব্য- কাকভেজা ভিজছেন দেখছি। ভেজা কাককে কিন্তু মানুষের মত এমন চুপসে যেতে কোনদিনই দেখিনি। তবু কাকভেজা কেন বলে,
বিস্তারিত»খেরোখাতা- বৃষ্টির ঘ্রানে
(এখানে বৃষ্টি হচ্ছে, তোমার ওখানেও কি তাই?)
বৃষ্টির আলাদা একটা ঘ্রান আছে, প্রথম যখন বৃষ্টির ফোটা পড়ে, তখন এক ধরনের ঘ্রান, একটু ধুলো ধুলো সেটা, যদি বছরের প্রথম বৃষ্টি হয় তাহলে তো কথাই নেই। একটু বেশি সময় নিয়ে পড়লে ঘ্রানটা বদলে যায়, মাটি মাটি ঘ্রানটা নাকে আসে তখন। আর যখন টানা বৃষ্টি তখন একটা সোদা সোদা গন্ধ পাই আমি। আর সবগুলো গন্ধই,
বিস্তারিত»আমার প্রথম প্রেম
আমরা সেভেন-এ জয়েন করার কিছুদিন পর এক ম্যাডাম জয়েন করলেন। দেখতে শুনতে আল-হামদুলিল্লাহ। আমি কিছু বুঝে না বুঝেই তার প্রেমে পরে গেলাম। সেই রকম প্রেম, রাতে ঘুম হয় না টাইপ, আমার প্রথম প্রেম। তখনকার টুয়েল্ভ-এর এক ভাইয়ের বড় ভাই যিনি নিজেও আমাদের কলেজেরই এক্স-ক্যাডেট, উনার সাথে পরে তিনার বিয়ে হয়ে যায়। দুঃখ পাইলেও কষ্ট পাইনাই এই ভেবে যে ‘যাক, ফ্যামিলিতেই তো রইল’।(এই ম্যাডামকে লইয়া আমার অনেক অম্ল মধুর গল্প আছে।
বিস্তারিত»আজকের সিসিবি
বাংলালিংক যতই দিন বদলের কথা বলুক, কিছু মানুষের দিন বদলায় না। এই যেমন আমি-
সেই আজো পরীক্ষা থাকা সত্বেও করবীর হাতে বানানো ব্রেকফাস্ট ত্যাজ্য করে অফিসে এসেছি…..সেই আজও হাজিরা খাতায় লালকালি। সেই আজও একটি সিগারেট ধরিয়ে পিসি ওপেন করেই ক্যাডেট কলেজ ব্লগ।
কিন্তু আজ ব্লগে ঢুকেই মাথা নষ্ট। সযতনে কাল সন্ধ্যায় প্রথম পাতায় কয়েকটি পোস্ট রেখেগিয়েছিলাম। আগের দিনগুলোর মতই সেগুলি তৃতীয় কিংবা চতুর্থ নম্বরে থাকার কথা।
বিস্তারিত»আচার০০৪ : কি করুম আপনারাই কন…
খাওয়া নাই, ঘুম নাই, খালি মাথা গুঁজিয়া কাজ করিয়া যাওয়া। লক্ষ্য একখানা মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন। এতোই ব্যস্ততা যে ইদানীং সিসিবিতেও আসিতে পারি না। আজকাল যাহা করিতেছি তাহা হইল সরঞ্জামীকরণ পরিকল্পনা, উহাই করিতেছিলাম খানিক আগে পর্যন্ত। কাজের মাঝে অকস্নাৎ টিং শব্দ করিল আমার বজ্রপাখি, তড়িৎডাক আসিয়াছে। পড়লাম সেই তড়িৎ ডাক, হাসিব নাকি গলা ছাড়িয়া কাঁদিব বুঝিতে পারিতেছি না। আপনাদের সহৃদয় বিবেচনার জন্য নিম্নে তড়িৎডাকখানি হুবুহু তুলিয়া দিলাম।
বিস্তারিত»সি সি বি জরীপ নাম্বার টুঃ আপনি হলে কি করতেন??
“প” নাকি “ফ”
১।
মিলন ষ্টাফ ক্যাডেট পার্খ কে বলতেন, আই ফার্থ……এদিক আয়
আর ক্যাডেট ফাত্তাহ কে বলতেন, আই পাত্তাহ… এদিক আয়
তো এই কথা শুনে ফাত্তাহ ভাই উনা কে জিজ্ঞাশা করলেন যে , ” ষ্টাফ,আপনি সবসময় প কে ফ বলেন কেন?”
মিলন ষ্টাফ এর সহজ উত্তর, “আমি তো “ফ” কে “ফ” ই বলি কিনতু সবাই “ফ” বুঝে…”
২।
পিকনিক এ যাবার সময় বাস এর ব্যাক বেঞ্চে বসে সবাই গান ধরলাম,
কে বলে দুষ্ট আমি
আমাদের কলেজে একজন হিট ম্যাডাম ছিলেন।
বাংলার সেই ম্যাডাম যিনি পরীক্ষার সময় সেলফ স্টাডি দিয়ে আমার পাশের ডেস্কে বসে ঘুমাচ্ছিলেন। তার সেই ঘুমের ভঙ্গি পুরো ক্লাসের সবার ঘুম হারাম করে দিলো। আমাদের পরীক্ষার বারোটা বাজলো।
আমাদের বন্ধু জিনিয়াস জিন্নাত ম্যাডামকে যেখানেই দেখতো সেখানেই কেমন যেন অস্থির হয়ে যেতো। ম্যাডাম হাউসে আসছে শুনলেই জিন্নাত ওর লং টাওয়েল কে গলায় ঝুলিয়ে শর্ট টাওয়েল কোমরে বেঁধে,