আজিজের বৌ-ভাত

গত রবিবার প্রচন্ড কাজের চাপে মাঝেও বসকে বলে আমরা কয়েকজন আবার ছুটে চললাম সিলেট শহরে। উদ্দেশ্য, আজিজের বৌ-ভাত আজ। অফিস শেষ করে বের হতে হতে প্রায় আড়াইটা বেজে গেল, এবং ফলশ্রুতিতে আমরা যখন গিয়ে পৌছালাম, তখন অন্যান্য মেহমানরা অলমোষ্ট সবাই-ই চলে গেছে। সে যাই হোক, সবকিছুর পরেও আমরা আমাদের মত মজা করেছি।

আজিজকে এবং নতুন ভাবীকে আপনাদের সবার শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা পৌঁছে দিলাম।

বিস্তারিত»

মেজর ম্যাক্স : অভ্যস্ততা ও অন্যান্য

মেজর ম্যাক্স : নাম রহস্য

দিন যায়, আমরা স্যারের সাথে অভ্যস্ত হতে থাকি।

ইত্যবৎসরে স্টাফদের রুমের চারপায়ার নিচটা ভাঙ্গা গাছের ডালে ভর্তি হয়ে গেছে। ওগুলো ক্যাডেটের পশ্চাৎদেশে প্যাদানির কাজে চাহিবামাত্র সরবরাহ করা হত মাকসুদ স্যারকে। একদিন আমাদের কয়েকজন দুপুরের কড়া রোদ্রে বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে শুয়ে মাছ ভাজা হল (পরে বিএমএ’তে শুনেছি এটাকে বলে “জিসি ফ্রাই”)। ফুটবল খেলতে নেমে কিছু হলেই ফ্রন্টরোল দেয়া অভ্যাস হল।

বিস্তারিত»

আবহাওয়া খারাপ!

দ্যাশের আবহাওয়া মনে লইতাছে সত্যিই খারাপ। ব্লগএ এত পোলাপাইন/মাইয়াপাইন আগে দেহি নাই।
অনলাইনে আছেন
সদস্যঃ 15 জন অতিথিঃ 3 জন
মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)
মাহমুদুল আলম

বিস্তারিত»

গাছিওবায়োগ্রাফি!!!

দুইদিন ধরে মনটা খারাপ হয়ে আছে, আবহাওয়ার কারনে…বৃষ্টি-ঝড়। শুধু বৃষ্টি হলে সমস্যা ছিল না…যত নষ্টের গোঁড়া সাথের ওই ঝড়ো হাওয়া।
আহারে! না জানি আমার কত ছোট-বড় ভাই কষ্ট পাচ্ছে…অনেকের নিশ্চয়ই হাত-পাও (ডাল-পালা?) ভেংগে গেছে…গত বছরও এই সময়টা আমাদের জন্য খারাপ গেছিল…’সিডর’ এর কারনে…টিভিতে যখন দেখতাম নাম না জানা আমার হাজার হাজার ভাই পড়ে আছে…চোখ ফাইট্যা কান্না
আসত!!! :((
এবার তাও মন্দের ভাল…..

বিস্তারিত»

একটি বিবাহ সংক্রান্ত পুরাতন কিন্তু কম-শ্লীল ঘটনা

তখন ঢাবি-তে পড়ি, ফিজিক্সে।
আমাদের ডিপার্টমেন্টের দুই বড় ভাই- চয়ন ভাই আর মেহেদী ভাই। দুইজনেই বাদরামীতে একদম সেইরকম!
এর মধ্যে চয়ন ভাই-র মুখ আবার একটু বেশি আলগা।
একদিন শহীদুল্লাহ হলের পুকুর পাড়ে চয়ন ভাই একা একা উদাস মুখে বসা। মেহেদী ভাই পাশে বইসা কয়- কী রে, কী এত ভাবোস? বিয়া-র কথা নাকি?
চয়ন ভাই দীর্ঘশ্বাস ফেইলা কয়, আরে গরীবের আবার বিয়া!

বিস্তারিত»

মেজর ম্যাক্স : নাম রহস্য

ক্লাস টুয়েলভে আমাদের যখন এ্যাপয়েনমেন্ট দেয়া হয় তখন এ্যাক্টিং এ্যাডজুট্যান্টের দায়িত্ব পালন করছিলেন মেডিকেল অফিসার ক্যাপ্টেন মনোয়ার স্যার। তার দিন কয়েক পরেই আমাদের টার্মএন্ড লিভ শুরু হয়। ছুটি থেকে এসে হাউসের সামনে যাবতীয় ফর্মালিটিজ পুরা করার সময় দেখি স্যারদের সাথে এক অপরিচিত ভদ্রলোক বসে বসে তামাশা দেখছেন। কোন কথা বলছেন না। তাকে আলাদা করে খেয়াল করার কোন কারণই ছিল না। খালি যেটা নজর কেড়েছিল তা হলো সামনের দিকে চোখ পর্যন্ত নেমে আসা লম্বা চুল।

বিস্তারিত»

সিয়াটলের শীত – ১

ধুর হালা, শুইয়া শুইয়া থাকতে থাকতে পিঠ ব্যাথা হয়া গেল মাগার তাও বিছানা ছাড়তে ইচ্ছা করে না। কিন্তুক কিছুক্ষন আগে মনঃস্থির করিয়াছি, আইজকা কিছু একটা লিখুম ই লিখুম। পরথমে ভাবছিলাম ইকটু আতলামি কইরা টেকনিক্যাল কিছু লিখুম নাকি, পরে ভাব্লাম, ধুর কি না কি লিখুম পরে পোলাপাইন আবার ভুল ভাল ধইরা ফালাইব, শেষে ইজ্যত নিয়া টানাটানি। ব্লগে টেকি পোলাপাইনের তো অভাব নাই। জাউজ্ঞা, আপাতত অই বিষয় বাদ।

বিস্তারিত»

বৃষ্টি ও মেঘমালা (গান)

ধরি কোনো সোনারোদ বিকেলে
মেঘ করেছে তোমার পিছু ধাওয়া
পালাবার পথ খোঁজ তুমি
মেঘ পাঠালে বসন খোলা হাওয়া

বিস্তারিত»

পানিশমেন্ট-১

কলেজ আর পানিশমেন্ট দুজনে দুজনার। আমরা যখন বের হয়ে আসি তখন আমরা প্রায়ই আফসোস করতাম আহারে কলেজে সিনিয়রদের জুনিয়রদের দেওয়া পানিশমেন্টের হার কমে যাচ্ছে, পোলাপান কামনে সোজা থাকবে। তো সেই পানিশমেন্ট এর কিছু ঘটনা এখানে বলি –

ক্যাডেট কলেজের প্রথম পানিশমেন্ট খাইসিলাম বের হই হই করা ক্লাস টুয়েলভের কাছে। ব্যাপার আর কিছুই না দুই দিন আগে মাত্র কলেজে জয়েন করসি ট্রাডিশন অনুযায়ী হাউসের বিভিন্ন ক্লাস আমাদের ডাকবে,

বিস্তারিত»

এমন দিনে তারে বলা যায়

ওয়েদারের কোন তালগোল খুইজা পাইতেছিনা। ভাদ্র মাস গিয়া এখন কার্তিকের মাঝামাঝি। কোথায় জীবনান্দের কার্তিকের নবান্নের দেশ, হিমশীতল প্রকৃতি আর শিশিরের শব্দ এতো দেখি একেবারে রবীন্দ্রনাথের পাগলা হাওয়ার বাদল দিন আর বৃষ্টি নেশা ভরা সন্ধ্যা বেলা।

বৃষ্টি আমারও ভালো লাগে (‘বর্ষা’ লিখলে আবার জিহাদ মাইন্ড খাবে, সুতরাং সেফ সাইডে থাকা ভালো) 😉 । কিন্তু এইরকম বিড়-বিড়াইয়া বৃষ্টি না। আরে বেটা নামবিই যদি ঝম-ঝমাইয়া নাম।

বিস্তারিত»

আমাদের বুড়া চিকি

সায়েদ ভাইয়ের চিকি নাম্বারিং এর কাহিনী শুনে আমার একটা কথা খুব মনে পড়ে গেল।
কলেজে দেখতাম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার কয়দিন, কিছু ক্যাডেটকে নির্বাচন করা হতো ভলেন্টিয়ার ক্যাডেট হিসাবে। যারা একটু অন্যদের থেকে একটু আলাদা(!) ছিল আরকি…. ক্লাশ সেভেন আর এইটের ক্যাডেটদের এই ভাবে সিলেক্ট করা হতো। তারা বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার কয়দিন, টাই টুই পরে ফুলবাবু হয়ে ঘুরে বেড়াতো ।

আমাদের ব্যাচের শান্তশিষ্ট একজন ছিল।

বিস্তারিত»

MIRC এবং একটি ক্যাডেট সংক্রান্ত কাহিনী

তখন MIRC বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে আমাদের মাঝে। DU তে কলাভবনে class করি, দিনে দুইটার বেশি class নাই বাকি সময়ে বাসায় ফিরে IRC তে বসে থাকি। আড্ডা ও বন্ধ IRC র ঠেলায়। তো এমনি একদিন বসে আছি। দেখি একজন message দিচ্ছে main window তে “is there any ex-cadet here right now please message me”. বেশ ইন্টেরেসটিং লাগল দেখে তো মেসেজ দিলাম। প্রথমেই যথারীতি নাম ধাম বয়স জানতে চাওয়া।

বিস্তারিত»

টুশকি ৬

টুশকি [১] [২] [৩] [৪] [৫] [৭]

১. বিএমএ’তে প্রথম চার সপ্তাহ পর গেস্ট ডে’তে তানিমের গুল্লু গুল্লু চেহারা দেখে ওর আর্মি অফিসার আব্বার ঠোঁট উল্টানো মন্তব্য, “কি রে তোর গাল টাল তো একেবারেই ভাঙ্গে নাই। কি ট্রেনিং দেয় তোদের”?

২. আমাদের ক্লাসমেট অলমোস্ট সবাই বিয়ে করে ফেললেও একজন এখনও বিয়ে করছে না।

বিস্তারিত»

নব্বইয়ের হ্যামলেট (ফারজানা তাবাসসুম বলছি)

পর্ব-সাজ্জাদ

আমার দেখা পৃথিবীর সবথেকে কুতসিত কাপল হচ্ছে মিষ্টার হোদল কুঁত কুঁত আর মিসেস ডিম্পল কাপাডিয়া। মিজ কাপাডিয়া কি দেখে যে হোদলটাকে বিয়ে করেছে, এই হিসাব আমি সারা জীবনে মিলাতে পারব বলে মনে হয় না। একসংগে পড়ত এইটা জানি, হোদল খুব মেধাবি, তাও মানি, কিন্তু এই গুলোই কি সব, নাকি তাদের মধ্যে বিয়ের আগেই কোন বোঝাপড়া হয়েছিল। হতে পারে, হলেই ভালো,

বিস্তারিত»

অনেকে একসাথে…

মোবাইলটাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখি। চেঁচামেচি বড় বিরক্তিকর। মাঝেমাঝে তাই অনেক কল-ই ধরতে পারি না। ঈদের আগেরদিন মোবাইলে মেসেজঃ “ফোন করসিলাম। বিকেল সাড়ে তিনটায় রাইফেলস স্কোয়ারে থাকবি, পোলাপাইন আসবে।” ঘড়িতে সময় দেখি, দুপুর দেড়টা। তাড়াতাড়ি করে তৈরী হলাম। ধারণা ছিল রাস্তায় প্রতিদিনের মত যানজট থাকবে। হ্ল উল্টা, সব ফাঁকা। লোকাল বাসগুলোতে উঠি না কারণ বাসগুলো বানানোর সময় আমাদের কথা চিন্তা করে বানায় না, দাঁড়ালে সিজদা দিতে হয় আর বসলে এক হাঁটু উত্তর মেরু ত আরেকটা দক্ষিণ মেরুতে থাকে।

বিস্তারিত»