ঈশপের গল্প

ক্লাশ নাইনে আমাদের ব্যাচের একজন ছুটিতে বাসায় গেছে, যথারীতি পরদিন তার মা, তার খাকি ড্রেস নিয়ে ধুতে গেল, তার মা শার্টের পকেটে হাত দিয়ে একটা ভাঁজ করা কাগজ পেল, কাগজটা খুলে তার মা চোখ কপালে তুলে ” কি রে …… এটা তোর পকেটে আসলো কিভাবে?”
ও: ভাজা মাছ না খেতে পারার ভান করে” মামনি, ছুটিতে আসার সময় আব…… এটা আমার পকেটে ঢুকিয়ে দিল। আসি পড়ার সময় পায়নি, কি এটা?”
মামনি: ঠিক আছে তোমার দেখার দরকার নাই, আর ওর সাথে কম মিশবে।
(উল্লেখ্য আব….. আমাদের ব্যাচের দুষ্টু টাইপের পোলা ছিল, এটা ওর প্যারেন্টস ও জানতো)

পরের টার্মে, কলেজে এসে। ও আবার সেই কাগজের আর একখানা কপি খোজার জন্য….কাগজের প্রাপ্তি স্থান “হাসপাতালের” আশপাশে খোজা শুরু করে দিল……

অবশেষে সে একদিন সফলতার মুখ দেখতে পেল। এবং কপি খানা যত্ন সহকারে গোপন স্হানে সংরক্ষন করে রেখে দিল। আবার সে ছুটিতে বাসায় গেছে, যথারীতি পরদিন তার মা, খাকি ড্রেস নিয়ে ধুতে গেল, তার মা শার্টের পকেটে হাত দিয়ে একটা ভাঁজ করা কাগজ পেল। এবং বের করে দেখে same copy আরেক খানা….
এবার তার মা, ছেলেকে টিভির রুমে একা পেয়ে, কষে একখানা থাবা লাগিয়ে দিল…হতবাক সন্তান….প্রশ্নবোধক চিহ্ন নিয়ে মার দিকে তাকাতেই…..কাগজ খানা হাতে নিয়ে ” প্রত্যেকবার আব…. তোকেই শুধু এই “রাজার(মানুষের নাম নয়) নিয়মাবলী দেয়? আর কাউকে পায়না?”

গল্পের উপদেশ: আমরা সবাই বড় হইছি, তাই নিজেরাই একটা করে উপদেশ দেয়……….. ওর জন্য।

১,০১৩ বার দেখা হয়েছে

৩ টি মন্তব্য : “ঈশপের গল্প”

  1. তানভীর (৯৪-০০)

    আরিফ...এইটা তো খুবই সন্দেহজনক ব্যাপার! ক্লাসের বাকি পোলাপাইন বাদ দিয়া খালি তোমারেই নিয়মাবলী দেয়! অবশ্য তুমি খুব মাসুমও হইতে পারো, তোমাকে শিখানোর জন্যই হয়ত এই কাজ করেছিলো! 😛

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।