প্রিয় ছোট ভাই মাশরুফ এবং কবীর এর পাম পট্টি খাইয়া প্রথম লিখা …ভুল ত্রুটি মার্জনীয় :
সময়কাল ১৯৯৭
এক বার আমি হাই টেবিলে বসেই সদ্য হাউস গারডেন থেকে তুলে আনা কাঁচা মরিচ এবং পেয়াজ সহযোগে হাত দিয়েই ডিনার শুরু করলাম | তো এলিয়াস স্যার আমার দিকে এগিয়ে আসছে দেখেও আমি না দেখার ভান করে গপ গপ করে গিলতে লাগলাম …… স্যার আমাকে বাপক গালিগালায করলেন এইভাবে
“ইয়াজীইইইইজ তুউউউমিইইইই কিইই আবার নতুন এইডাআআ কুন ধরনের বিদায়াতী শুরু করিলা …আল্লাহ দিলি তুমার হায়া লযযা শরম কি কুন দিন হবি নাআআ…হাই টেবিলি বসিয়া নিরলজ্জের মুতো হাত দিয়ে গিলতিসাও…… ”
যাই হউক ততক্ষনে আমার প্রিয় সঙ্গী সাথিরা পেছন থেকে কুকুর, বেড়াল, শিয়াল এর ডাক শুরু করে দিয়েছে……
কিন্তু আমার মেজাজ তখন গরম কারন হাই টেবিলের কাছা কাছি বসা জুনিওর রা তো সব শুনে ফেলল…।। এলিয়াস সাহেব ত আমার ইযযাতটা-রে ফালুদা বানাইয়া দিয়া গেল……
দুই দিন পরে স্যার এর সাথে হাউসে দেখা …আমি যথারিতি লম্বা নাকি সুরে স্যার -এর আনুকরনে সালাম দিয়া ভদ্রতার প্রতিমুরতি সাজিয়া জিগাইলাম :
আমি- স্যার আফনার শরিলডাআআ বালোওওও আছেএএ নিইইই ?
স্যার – আমার শরিল নিয়ে তুউউমার প্যারেশানি হওয়া লাগত না
আমি- স্যার আফনার বাইছ্ছারা কিইরাম আছেএএ? কইডা জানি আফনের ? চাইর ডের কথা না একবার বলিছিলেন
স্যার – বেহায়াডার কথার ছিরিই কি …।।বিয়ে করলাম না দুই দিন আর কয় চাইর ডে ফুলা মাইয়া…
আমি- স্যার আইচ্চা ঠিক আছে চাচীরে আমার সালাম দিয়েন
(আমি আসলে ভাল মতই জানতাম জে স্যার এর ওয়াইফ কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী )
স্যার – শয়তান বিয়াদদফ কুথাকার আমার বউ তুমার ছাছি হতি জাবি কুন দুঃখে …ভাবী কতি ফারো না …দুই দিন ফরে ত আমারেও ছাছা মিয়া ডাকফা…
**********************************************
আজিজ ভাই, জটিল!!!
লিখতেই থাকেন, লিখতেই থাকেন-বুইজছএএএন???
নাইলে কিন্তু 'এক্কেরে জবো করি ফালাইবওওওওও'!!!
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
খাইছে আমারে ফাইসা গেলাম নাকি :((
=)) =)) =)) =)) =))
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
'…দুই দিন ফরে ত আমারেও ছাছা মিয়া ডাকফা…'
--আজিজ ভাই, আপনি যদি হ্যারে চাচাও ডাকতেন-অবাক হইতাম না...
আপনারা ভাই পারেনও... =))
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
হ্যারে অন্য আরও নাম-এ ডাকছিলাম কিন্তুক হেইডা তুমাগরে কইতাম না ...(যদিও এখন মনে মনে বিরাট শরমিন্দা হই অই সব চিন্তা করিয়া) 🙁
জটীলস হইছে, খিকয্
ভাইয়ার কি হেচকি উঠছে? পানি খাইয়া লন। আর ভাবিরে কন পিডে হালকা থাবড় দিতে। 😉 😉
ইলিয়াছ স্যার(উনি বানান এমনেই লিখতেন)এখন কি কইরতিছ্যাআআআআএ?ইনি কি আপনেদেরও "বিয়াদব কঊথাকার,ডজ দিতে দিতে ফতুর হয়্যা গেছ্যাআআও" কইয়া ডায়ালগ দিতো?
অফ টপিক-ক্লাস সেভেনে উনাকে আমাদের শাহেদ স্যারের বদলে "হুজুর" বলে ডেকে বেদম প্রহার খেয়েছিল 😛
কঠিন দোস্ত কঠিন...
আজীজ ভাই, লেখাটা পইড়া মজা পাইছি। আপনাগো এই এলিয়াস স্যাররে দেখতে খুব ইচ্ছা করতাছে [কে জানে, এতোদিনে হয়তো চাইর ডে ফুলা মাইয়া আছে উনার 😉 ]
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
কাইয়ুম ভাই, কলেজ থেকে আসার সময় স্যারের ৩ মেয়ে ছিল দেখে আসছি এতদিনে এক হালি পুরা হয়া যাওনের কথা,সো আজিজ ভাইয়ের ভবিষ্যদ্বানী সইত্য হইবার পারে 😛
এক হালি?? ৪ হালি হয়ে যাবার কথা!!! =))
আজীজ ভাই,
আপনি তো ইলিয়াস স্যারকে একেবারে জলজ্যান্ত তুলে নিয়ে আসছেন।
জম্পেশ হচ্ছে :clap: :clap: ।
Life is Mad.
ঠিকই তো কইসে স্যার, ভাবি কতি পারেন না? 😉
মুননা, পরে খুব হাসলাম। আরো লিখো।
আরিফ ভাই
:pira: :pira: :pira: :pira: :pira:...দোস্ত,ভালা কতা মনে কইরা দিছস...
মুন্না ভাইয়া,জটিল হইছে... :clap: :clap: :clap: :clap:
পণ্টিং রে নিয়া নেক্সট পর্ব :just: লিখা ফালান
` =)) :khekz: