অনেক দিন পর কলেজ এ গেলাম খুব খুশি মনে। সব কাগজ পত্র নিয়া আসব সে জন্য কিন্ত গিয়া শুনলাম আজ প্রিঞ্চিপাল স্যার ১০ টার মাঝে চলে যাবে কি আর করা সব কাজ তাড়াতাড়ি করলাম। তার পর প্রিঞ্চিপাল স্যার যাবার সময় সাইন করে যায়নাই বলে গেলেন যে আমি এসে সাইন করে দিব…কিন্ত তখন সাইন করে গেলেন না…সব কাজ শেষ কিন্ত প্রিঞ্চিপাল স্যার এর জন্য অপেক্ষা করতে হচ্চে এবং করতে হল ৩ টা পর্যন্ত আমরা ৯ জন না খাওয়া।এর মাঝে আমাদের ২ জন গেল adjutant স্যার এর সাইন আনতে attested করাতে হবে কিন্ত adjutant স্যার বললেন উনি কারতা attested করেননা কিন্তু তিনি কিছুদিন আগেই কলেজ prefect এরটা করে দিলেন…।।…।।কি আর করা ওদের সেদিন ফরম জমা দেয়া হলনা ঢাকায় চলে আস্লাম পরে আবার গিয়ে বরিশাল মেডিকেল জমা দিতে হল =((
বিস্তারিত»আমার আপুসোনা ( আপুর বিয়ে )
আপুসোনা সিরিজের আগের পার্টআমার আপুসোনা-৩
তপু শোন তোর সাথে কথা আছে।
আম্মুর ডাক শুনে এসে বসলাম আম্মুর পাশে। মনে হচ্ছে সিরিয়াস কোন ব্যাপার আলোচনা হবে। বসতেই একটা প্রিন্ট করা কাগজ হাতে ধরিয়ে দিল আম্মু। আপু দেখলাম উঠে চলে গেল অন্য রুমে। ব্যাপার কি বুঝার জন্য কাগজটাতে চোখ বুলাতেই দেখলাম কোন এক সুযোগ্য পাত্রের বায়োডাটা।
-কার জন্য মা এইটা
-কার জন্য আবার তোর বোনের জন্য।
প্যাচাল
এইচএসসির পর কোচিং করতে আমরা যারা ফরেইনার, মানে , ঢাকার বাইরে থেকে ঢাকায় আসি, থাকার জন্যে এক টুকরো জায়গার খোঁজে আমাদের যে কি ঝককি পোহাতে হয় সে শুধু আমরাই জানি। ঐ যে বলে না, কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কীসে…., সত্যিই সে এক বিষময় যাতনা।
তো, ধন নয় মান নয় এতটুকু বাসা, … থুককু, বাসা নয় মেস। সেই মেস খোঁজার জন্যে আমি আর আমার বন্ধু চপল পুরো ফার্মগেট এলাকা চষে বেড়াচ্ছি।
ছাপার আগে-২
নতুন টাকার পাঁচকথা
১.
ভাই টাকাটা ভাংতি হবে?
দোকানদার রাগত দৃষ্টিতে প্রশ্নকর্তার দিকে তাকালনে। তারপর গর্জন করে উঠলেন, ইস! শখ কত? পাঁচশ টাকাই ভাংতি হয় না আবার উনি এসেছেন এক হাজার টাকা নিয়া।
আসলেই। ভাঙতির বড় আকাল। ভাংতি নিয়ে কত যে হয়রানির মধ্যে পরতে হয় তা আমাদেও প্রত্যেকেরই জানা। আপনি একটি নোটের পরিবর্তে কয়েকটি নোট নিয়ে যাবেন এটা য়েন কারোই সহ্য হয় না।
ক্যাট ক্যাট
ক্যাম্পে এসেই প্রথম যেই জিনিসটা চোখে পড়ল তা হলো অনেক অনেক বিড়াল। গাড়ি থেকে নেমে একটা বিড়ালকে দাবড়ানি লাগাতেই আমার এক সৈনিক হা হা করে বলে উঠল, “স্যার এগুলো তো পালা বিড়াল। ইঁদুর মাইরা সাফ কইরা রাখে”। বুঝলাম যেখানে ইঁদুর বাহিত লাসা ফিভারের প্রচন্ড ভীতি (যাতে আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির মৃতদেহ দেশে ফেরত নেয়া হয় না পর্যন্ত এবং স্টিলের কফিনে কমপক্ষে ৪০ ফুট নিচে সমাধিস্থ করা হয়) সেখানে এই বিড়াল সম্প্রদায় জামাই আদরেই আছে।
বিস্তারিত»সত্যজিতের অনির্মীত চলচ্চিত্র: দি এলিয়েন
সেই ১৯১৩ সালে উপেন্দ্রকিশোরের হাতে “সন্দেশ” পত্রিকার পত্তন। জন্মের দু’বছরের মাথায় জনককে হারিয়ে সুকুমারের হাতে পড়ে সে। ১৯২৩-এ সুকুমারের অকাল মৃত্যুর পরও তার ছোটভাই সুবিনয়ের চেষ্টায় কোনমতে চলতে থাকে। কিন্তু ১৯৩৪-এর পর আর পারলো না, বন্ধ হয়ে গেল সন্দেশের প্রকাশনা। ১৯৬১ সালে শুরু হওয়া অভিনব যাত্রায় সন্দেশ বিশেষ পুলকিত, কারণ এবার সে সত্যজিতের হাতে পড়েছে যে কি-না রায় পরিবারের উজ্জ্বলতম বাতি। তখনকার সময়ের সেরা শিশু বিনোদন পত্রিকা সন্দেশ,
বিস্তারিত»আজ সিনেমার বড়দিন-১
আনেকদিন পর সিসিবি তে আসার সুযোগ হল। সিসিবির সবচেয়ে বেশি ক্যাডেটপ্রিয় মুখ মানে জনপ্রিয় মুখ বন্ধু কামরুলের সাথে কথা হচ্ছিল কাল রাতে। ওর সাথে কথা বলার একটাই বিপদ…খালি গালাগালি করে ব্লগ লিখি না কেন। কিন্তু লেখা লিখতে হলে তো রচনাশৈলি থাকা চাই। এই ব্যাপারটা ওকে কে বুঝাবে । ওর কথা একটাই । লেখা দে ।
কামরুলের সাথে অনেক বিষয়েই আলোচনা হয়।সবচেয়ে বেশি হয় ফিল্ম নিয়ে।
রসায়নঃ বাতেন স্যার অধ্যায়
সাবজেক্ট হিসেবে রসায়নে খুব একটা ভালো না করলেও কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রায় সবার সাথেই আমার কেমন করে যেন টুকরো টুকরো অনেকগুলো স্মৃতি জমা হয়ে আছে। ক্লাস ইলেভেনের প্রথম দিকে একদিন ক্লাস করার জন্য যখন মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে বসে আছি তখন বাতেন স্যার এসে গল্প করেই পুরো ক্লাস পার করে দিলেন। সাধারণত স্যার এটা করেন না। কেন যেন স্যারের এইদিনের ব্যাপারটা আমার পছন্দ হল না। কিন্তু সমস্যা এখানে না।
বিস্তারিত»নব্বইয়ের হ্যামলেট (পর্ব-সাজ্জাদ)
ঠিক সূর্য্য উঠার আগে আগে, যখন মসজিদ থেকে লোকজন নামাজ পরে বের হয়, সেইসময়টায় রাস্তা দিয়ে হাটতে আমার খুব ভালো লাগে। সব কিছু সুনসান, একটা কেমন নিরব পরিবেশ, প্রকৃতিতে আর একটা ব্যাস্ত দিনের প্রস্ততি, মাঠের ঘাস গুলো ভেজা ভেজা, পাখির ডাক, আমি বেশ অনুভব করি। দিনের আলো গলে গলে পরে আমার উপর, আমি যান্ত্রিক আর একটা দিনের প্রস্তুতি নেই।
কাল চলে যাব এখান থেকে,
বিস্তারিত»দন্ত-কাহিনি
মিষ্টিপ্রীতি আছে তীব্র রকমের। জিভ সামলাতে পারি না দেখলে,হাতও না। অবশ্য সামলানোর ইচ্ছেও মনের মধ্যে তেমন একটা জোরালো নয়।দেশে থাকার সময় ইচ্ছেমতন খেতাম। কুমিল্লা গেলেই মাতৃভান্ডারের রসমালাই আর জলযোগের স্পঞ্জ নিয়ে বসে যেতাম বন্ধুরা গোল হয়ে, আয়েশ করে খেতাম। আমরা অবশ্য খাওয়া বলতাম না, বলতাম সাধনা করা।
তো যা হয়, পরবাসী হবার পরে সেই সাধনায় ব্যাঘাত ঘটলো। এখানে এসে টিন কেটে মিষ্টি খেতে জুত পাই না।
বিস্তারিত»টিটোর গল্প, বউ কথা কও-
‘সবচেয়ে ভালো…/ পছন্দের/ শক্তিশালী…’ এইরকম শর্ত দিয়ে কিছু বেছে নিতে বললে বিপদে পড়ে যাই। এই ব্যাপারগুলো সময়ের সাথে বারবার বদলে যায়। আজ এটা ভালো লাগলো, কাল হয়তো অন্যটা।
তবু মাঝে মাঝে অল্প কিছু লেখা মনে খুব দাগ কেটে যায়। বদলে যাবার তালিকায় ওরা আর থাকে না তখন, বরং পাহাড়ের মতন অবিচল থেকে মনের ভেতর একটা জায়গা করে নেয়।
একাত্তর নিয়ে সবচেয়ে শক্তিশালী লেখা বেছে নিতে বললে আমি তাই চোখ বুজে আহমদ ছফা-র ওঙ্কার তুলে নিবো।
বিস্তারিত»সোফির জগৎ
সোফির জগতের কথা প্রথম শুনেছিলাম ২০০৪ সালে। এক শনিবার, এসেম্বলিতে প্রিন্সিপাল তার বক্তৃতায় বলেছিলেন। নরওয়েজীয় ভাষায় মূল বইটির নাম “সোফিস ভার্ডেন”, লেখক ইয়স্তেন গার্ডার। পলেট মোলারকৃত ইংরেজি অনুবাদের নাম “সোফিস ওয়ার্ল্ড”। আর ইংরেজি থেকে বাংলা করেছেন জি এইচ হাবিব, নাম দিয়েছেন “সোফির জগৎ”। জি এইচ হাবীব আমাদের কলেজের (মির্জাপুর) প্রাক্তন ছাত্র, প্রথমে মনে হয়েছিল বিশেষভাবে এই বইয়ের নাম বলার কারণ বোধহয় এটাই। পরে কলেজ লাইব্রেরিতে বই হাতে নিয়ে দেখি,
বিস্তারিত»গাধা জহির, মাস্তান রাজিব- শেষ পর্ব
গাধা জহির, মাস্তান রাজিব-১
গাধা জহির, মাস্তান রাজিব-২
গাধা জহির, মাস্তান রাজিব-৩
গাধা জহির, মাস্তান রাজিব-৪
গাধা জহির, মাস্তান রাজিব-৫
রাজিব
আমরা পুলিশের কাছে যাব।
এসো আমিই পুলিশের লোক।
কিন্তু আমরা সত্যি সত্যি পুলিশের কাছে যেতে চাই।
আমি সত্যি সত্যিই পুলিশ।
জহির বোকার মতো জিজ্ঞেস করে,
পাবলিক এক্সজামিনেশনঃ ক্যাডেট কলেজ ভার্সান
এইচ.এস.সি.
আমাদের এইচ.এস.সি. পরীক্ষার সময় এডজুট্যান্টের শুরু হইল বিরাট তৎপরতা। চারিদিকে কড়া নজরদারি, ক্লাস টুয়েলেভের পোলাপান কই যায়, কি করে। আমাদের সিনিয়ার ব্যাচের কয়েকজন এইচ.এস.সি.-র সময় কলেজ পালাইছিলেন। চোর পালানোর পরে বুদ্ধি বাড়ে কিনা, এডজুট্যান্ট স্যারেরও বাড়ছিল। ফলাফল হইল গিয়া, আমাদের বিড়ির সাপ্লাই গেল বন্ধ হয়া। বই ছাড়া পরীক্ষা দিতে পারুম, বিড়ি ছাড়া অসম্ভব। প্রিপারেশন নিমু ক্যামতে! আল্লাহ চান নাই আমাদের পরীক্ষা খারাপ হোক,
বিস্তারিত»মন্তব্যে “জবাব দিন” অপশনটি নিস্ক্রিয় থাকা প্রসংগে
সার্ভার জটিলতার কারণে মন্তব্য সেকশনের “জবাব দিন” অপশনটি বর্তমানে অকার্যকর আছে। ।
আমরা চেষ্টা করছি খুব শিগগিরই অপশনটি সক্রিয় করার জন্য। এছাড়া সিসিবি’র সম্মানিত সদস্যরা অন্য কোন সমস্যার সম্মুখীন হলেও আমাদেরকে এখানে জানাতে পারেন।
সাময়িক এ অসুবিধার জন্য আমরা একান্তভাবে দু:খিত।
পুনশ্চঃ আরেকবার সদস্যদের নামের পাশে কলেজে অবস্থান সময়কাল উল্লেখ করার অনুরোধ করা হলো।
ধন্যবাদ।