(আমার লেখা ‘টার্মেন্ড সুইট’ এ আজিজ ভাইএর মন্তব্য দেখে আমি চরম শরমিন্দা হয়ে গেলাম… :shy: আমি আসলে ‘টার্মেন্ড সুইট’ বিষয়টাকে আনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আবার পড়ে দেখলাম আমার লেখার মাধ্যমে কেমন করে জানি আমাদের তৎকালীন ইলেভেন ভাইদেরকে অবমূল্যায়ন করা হয়ে গেছে…প্রথম প্রথম ব্লগিং করছি তো, তাই লেখা ও ভাবনার মধ্যে কেমন গ্যাঁপ পড়ে গেছে…ভাষাগত মার্জনা এবং সর্বপরি তা প্রকাশের ত্রুটির কারনে আমি ব্লগের সবার কাছে এবং বিশেষ করে আমাদের ২৮তম ইনটেকের সকল ভাইএর কাছে ক্ষমা চাইছি…আমার এই লেখাটা ওনাদের সকলকে উদ্দেশ্য করে লেখা। তবে যেহেতু আজিজ ভাই প্রথম আমার ভুলটা ধরেছেন, তাই আমি ওনাকে সম্বোধন করে লিখেছি…)
আজিজ ভাই, আমার আসলে মাথায়ই ছিল না, যে লেখাটা আমার দৃষ্টি ভংগিতে হলেও এটা যাদেরকে ভেবে লেখা তারাও পড়তে পারেন…
এমেচার ব্লগার তো… :shy: (জানি এটা কোন যুক্তি হতে পারে না…তবুও!)
আমি কিন্তু আপনাদের উপর কোন ক্ষোভ বা রাগ থেকে কিছু বলিনি…
আমার এখনও মনে আছে, যেদিন আপনারা এপয়েনমেন্ট পেলেন-সেদিনের কথা,
সেদিন আপনাদের যে আত্মবিশ্বাসী মনোভাব ও প্রত্যয় দেখেছিলাম তা ছিল আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার…
ঐ সময় ক্যাডেটদের ক্ষমতা খর্ব করার যে চক্রান্ত অথরিটি করেছিল আপনারা তা নস্যাৎ করে ছিলেন…
আমরা পেয়েছিলাম গর্ব করে বলার মতন একজন কলেজ প্রিফেক্ট; বিপদে-আপদে, প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে সবসময় মাথার উপর ছায়ার মতন থাকা একজন হাউজ প্রিফেক্ট…সর্বপরি মুখ বড় করে বলার মতন পুরো এক ব্যাচ। (অবশ্যই আপনাদের মন্দ দিক গুলো বাদ দিয়ে!)
কিন্তু আপনাদের যাবার পর কলেজ অথরিটি আমাদের উপর পুরো চেপে বসেছিল। কথায় কথায় আপনাদের প্রসংগ এনে বলত, ‘ওদের মতন করার চেষ্টা কর না, ফল ভাল হবে না…’ ইত্যাদি ইত্যাদি…
তবে, আমরা সব সময় চেয়েছিলাম আপনাদের মতন হতে…সুতরাং বুঝতেই পারছেন কলেজ অথরিটির কাছে আপনারা যাই হোন না কেন- আমাদের কাছে ছিলেন রোল মডেল!
একটা ব্যাপারে আপনি নিশ্চয়ই একমত হবেন যে, আপনাদের আত্মবিশ্বাসের পাল্লাটা শেষের দিকে একটু স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী হয়ে গিয়েছিল…যার ফলাফল হয়েছিল মারাত্মক! আপনাদের জন্য কিছুটা তো বটেই, আমাদের জন্য অনেক বেশি…!!!
কিন্তু, সব কিছুর পরও আপনাদের ইনটেক ছিল (এবং এখনও আছে) আমাদের জন্য একজন আত্মবিশ্বাসী ক্যাডেট হয়ে বেড়ে ওঠার প্রেরণার উৎস।
সুতরাং বুঝতেই পারছেন, আপনাদের উপর আমার বা আমাদের ব্যাচের কোন রাগ নেই বরং আপনাদেরকে আমরা সব সময়ই স্যালুট করে এসেছি…
২৮তম ইনটেক,জেসিসি (মন্দ দিকগুলোকে সরিয়ে রেখে)-কে আমার ও আমাদের :salute:
(লেখা পড়ে আঁতলামি ভেবে আবার যদি হাসাহাসি করেন, তাইলেও আমি খুশি। আপনার মন্তব্য পড়ার পর থেকে যে পাথরটা বুকের উপর চেপে ছিল, তা সরিয়ে দেয়াই ছিল আমার উদ্দেশ্য। আপনারা যাই ভাবুন- আমার এখন অনেক হাল্কা লাগছে…আহ্, শান্তি!)
ভালো লাগছে।
:clap: :clap: :clap:
Life is Mad.
কিন্তু আমার একটা কথা আছে,
ভাইয়া আমি আপনাদের সবার চেয়ে জুনিয়র, বেয়াদবী নেবেন না আশা করি। আমার যা মনে হয়েছে তা লিখেছি।
আমরা যাই লিখি না কেন, সিনিয়র, টিচারস এমনকি জুনিয়রদের জন্যও একরাশ ভালোবাসা নিয়ে লিখি। হয়ত এক সিনিয়রের পাঙ্গানোর কথাই লিখতেসি, অথবা টিচারের ভয়ঙ্কর গালিগালাজের কথাই লিখতেসি,অথবা জুনিয়র কি বেয়াদবী করসে তা। মনের মধ্যে কিন্তু তাদের জন্য আকাশ সমান ভালোবাসা নিয়ে তারপরেই লিখি।
আজকে এক ডক্টরের কাছে গেলাম, কথায় কথায় জেনে গেলাম উনি ক্যাডেট। আমার হাসি দেখে কে। এক প্রসঙ্গে উনি বলতেসিলেন, একজন যাই হোক, খারাপ কিংবা ভাল, হি ইজ মায় এডজুটেন্ট দ্যাট ইজ এনাফ। আমি মাথা পেতে নেব।
আপনার ব্লগেও একটা কথা আছে,
আপনিও কিন্তু ওনাদের প্রতি অপমান কিংবা ক্ষোভ থেকে লেখেননি, লেখাটা নিছক একটা পানিশমেন্টের গল্প...যেটা আমাদের কাছে মজার হিসেবেই এসেছে।
আমার মনে হয় যাঁদের নিয়ে লিখেছেন, তারাও মাইন্ড তো করেনই নি, বরঞ্চ মজাই পেয়েছেন।
যাই হোক, পুচকা ক্যাডেট হসেবে অনেক কিছু বলে ফেলসি, ভাইয়া বেয়াদবী নেবেননা প্লীজ। 🙂
একদম মনের কথা।
:clap: :clap:
Life is Mad.
কবির =))
তুমি এত লযযা পাইয়াও না ...আমরা ২৮ বিশেষ করে খায়বার হাউস এর পোলাপাইন খুব মজা পেয়েছি তোমার চমৎকার লেখা পড়ে......
keep writing please...
মজার বাপার হল আমরা ২৮ এর ক্যাডেট রা কিন্তু আগের মতই আছি...
সামিয়া তোমাকেও অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য
আজিজ ভাই, জানি ভুল করলেও আপনারা আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন...কিন্তু আমি নিজের কাছেই ছোট হয়ে গেছিলাম। :chup:
এরপর থেকে লেখার সময় আমি আরও বেশি যত্নবান হব... O:-)
আর, আশা করব আপনারা সারা জীবন একই রকম থাকবেন...
সামিয়া আপু, তোমার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
এতা দেখি পুরা বিদায়ের মানপত্র.... :boss:
সামিয়াপুর কমেন্টা অনেক বেয়াদব ধরনের.. x-(
:duel:
বন্য তোর তো কোন গুরুজন মানচিন নাই...তুই এসব বুঝবি না... 😛 😛
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
বন্য তোর তো কোন গুরুজন মানচিন নাই-এই চিরন্তন সইত্য কথাডা কওনের জুন্য কবীর ভাইরে নোবেল পিস পেরাইজ দেওন দরকার বুইড়া আতিসারিরে না দিয়া
হাছানি? সত্যিই গুরুজন নাকি আরেকটা সুইট খাওনের ভয়ে? 😀
আসলেই ভাই সবথেইক্কা শিক্ষা নিছি, নিতাছি।