বারি কোথায়?

আমি মোটামুটি নিশ্চিত যে হেডিং দেখেই আপনারা মনে করবেন, ছেলেটা একদম ট্রাস। সামান্য বাড়ি লিখতেও বাড়াবাড়ি রকম বানান ভুল করে।কিন্তু বিশ্বাস করুন হে প্রিয় ব্লগারগণ- আমি বানান বিশারদ নই, তবু আজও বাড়িকে বাড়ি বলে চিনতে পারি। এই বারি সেই বাড়ি নয়। এ এক অন্য বারি, যার অনেক গল্প বলার আছে।

বারি আমার বন্ধুর নাম। ভাল নাম মোহাম্মদ আব্দুল বারি। আমার কলেজ জীবনের প্রথম রুমমেট।

বিস্তারিত»

অণুগল্পঃ বনসাঁই

থোকা থোকা আগুন ভর্তি গাছটার নিচে মুখ অন্ধকার করে দাঁড়িয়ে আছে সজীব। ছটফটে একটা ভঙ্গি ওর সারা দেহে, ঘড়ি দেখছে বারবার। শিলা আজ খুব বেশি দেরি করে ফেলছে- টিউশানীতে ঠিক সময়ে পৌঁছতে হলে সজীবের এক্ষুনি উচিৎ বাস ধরতে ছোটা। কিন্তু সে উপায় নেই। ক্লাস শেষ হবার পরে এইটুকুই যা সময়, এখন চলে গেলে আজ আর দেখা হবে না।

শুরুতে অবশ্য এত ঝামেলা পোহাতে হতো না।

বিস্তারিত»

ই-বুকঃ- সিসিবি সংকলন..(মহা-আপডেট)

আগামী আটই ডিসেম্বর সিসিবি এর জন্মদিন…
সেই উপলক্ষে আমরা চীন-মৈত্রী সন্মেলন কেন্দ্র কিনে ফেলবো, তারপর সেইখানে বাড্ডে কেক কাটবো। সারা দুনিয়ার সকলের জন্য একটা করে সিসিবি গেঞ্জী বানাবো…
কিন্তু তার আগে একটা ই-বুক। সারা দুনিয়ার সকল ওয়েব সাইটে টাঙ্গানোর জন্য…

বিস্তারিত»

দ্বিতীয় জন্ম

[এই লেখাটি লিখেছিলাম ৪ঠা জুন। ১৯৯৬-এ যারা ক্যাডেটে ঢুকেছে তাদের ইনটেক-বার্থডে। তবে অনুভূতি মনে হয় সবার ক্ষেত্রেই সমান। সেখানে সবাই সমানভাবে তাড়িত হয় ইনটেক-বার্থডে নিয়ে। এখনও যে শহরে থাকি, সেখানে এই দিনে আমরা চেষ্টা করি একত্রিত হবার। দেখা করে একটু স্মৃতিচারণ, একটু নস্টালজিক হওয়া।….. এই বছর আমি সেটা করতে পারি নাই। ইচ্ছা থাকা সত্বেও জীবন আর বাস্তবতা আমাদের অনেককিছুই করতে দেয় না। সেসময় নিজের কথাগুলো ব্লগোস্ফিয়ারে লিখে রেখেছিলাম।

বিস্তারিত»

শিরোনামের ফুটনোট

খেয়াল করলাম গত অগাস্টে এখানে রেজিস্ট্রেশন করেছি। কিন্তু লেখা হয়নি একটুও। সেটা বেশ অবাক করা কারণ এ কয়মাসে আমার জীবনে একটা উজ্জ্বল অংশ এই লেখালেখি করাটাই। এই সময়ে অনেকটা সিরিয়াস হয়ে গেছি নিজের লেখা নিয়ে, চিন্তা নিয়ে, ভাবনা নিয়ে। সেগুলো এখানে কেন শেয়ার করিনি জানি না। অনেক সময় নজরের আড়ালে থাকলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিশই খুঁজে পাওয়া যায় না। এখন হঠাৎ করেই মনে হলো ক্যাডেট কলেজ ব্লগেও লেখাগুলো ধীরে ধীরে দিবো।

বিস্তারিত»

রেজা, ইকবাল ও আমি

ইকবাল ও রেজা। নাম দুইটা সবসময় একি ব্র্যাকেটে চলে আসে। তার সাথে আসে ১১ই নভেম্বর। প্রতি বছর যখন এই দিনটা আসে আমি রাতে আকাশের তারা দেখি। আকাশের দিকে তাকিয়ে কিছু উত্তর খুজি।

রেজা, ইকবাল আর আমি একি ফরমে ছিলাম। আমাদের প্রথম টেস্টে রেজা হল ৪র্থ আর ইকবাল হল ৯ম। আমার অবস্থা বরাবরের মতই খারাপ।

ফরম মাষ্টার আমার সীট বসাল ইকবালের সামনে।

বিস্তারিত»

সহজ ভাষায় ইংরেজ়ী- পর্ব দুই!!

[গতকাল থেকেই মনটা খারাপ…কিছুতেই ভাল হচ্ছে না। আমি জানি আমার মতন বাকি সবারই একই অবস্থা…কি করা যায়-ভাবতে ভাবতে মনে হল, আরে তাই তো ইরফানকে স্মরন করা যায়…ওর কথা মনে পড়লে মেজাজ খারাপ হতে পারে, তবে মন খারাপ ভাবটা যে কেটে যাবে তাতে কোন সন্দেহ্‌ নেই…!!!]

-‘হ্যালো, ইরফান, কই তুই?’- মোবাইলে জিজ্ঞাসা করলাম আমি।
-‘আনরাইপ মার্কেট-কাঁচা বাজারে!!’
-‘কাঁচা বাজারে?? তুই ওখানে কি করিস?’

বিস্তারিত»

পরানের গহীন ভিতর

এই লেখাটা লেখার আমার কোন ইচ্ছে ছিলো না। কিন্তু আমি জানি আমি না লিখলেও আজ আরো অনেকে এই নিয়ে লিখতে চাইবে। এবং তাদের যে কারোটাই আমার চেয়ে অনেক বেশি মন খারাপ করা লেখা হবে। আর মন খারাপ করে থাকতে আমার একদম ভালো লাগে না। অন্যরা মন খারাপ করুক এটাও আমি চাইনা।
এর আগে কামরুল (কামরুলতপু) এই নিয়ে লিখেছে। ওর লেখাটা আমি কোনদিন একবারে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারিনি।

বিস্তারিত»

মাতু রোগ

হোসেন ভাইয়ের এই ব্লগটা দেখে এক কাহিনী মনে পড়ে গেল। তাঁর ব্লগেই কমেন্ট দেয়াটা যুক্তিযুক্ত ছিল, কিন্তু বেশী প্রচারের লোভ মৃত্তিকার তৈরী আমি সামলাইতে পারলাম না।

গ্রোয়েন স্ক্র্যাচিং ডিজিজ (ভালো নাম জানি না 😛 ) ক্যাডেট কলেজে অল্পবিস্তর সবারই হয়। কিন্তু আমাদের ব্যাচে সবার প্রথম হইছিল যার, তার নাম ধরা যাক মধু। ঢুলুঢুলু চোখে জড়িয়ে জড়িয়ে কথা বলত বলে তার নিকনেম ছিল মাতাল।

বিস্তারিত»

আচার ০০৫: পরবাসীর রোজনামচা

ল্যাপটপের কোনার ঘড়িতে সময় দেখাচ্ছে সকাল ৭ টা বেজে ০৪ মিনিট। গতরাত ঘুমাইনি। একটা ছোট ডাইনামোমিটার ডিজাইন করেছি, এখন কাজ হচ্ছে বিভিন্ন কম্পোনেন্ট জোড়া লাগানো। কিছু কিনে এনেছি আর কিছু বানাতে হচ্ছে মেশিন শপে আর র‌্যাপিড প্রোটোটাইপিং মেশিনে। রাতে দুটো জিনিস বানাতে দিয়েছিলাম র‌্যাপিড প্রোটোটাইপিং মেশিনে এবং আরও কিছু কাজ ছিল। কখন সকাল হয়ে গেছে টের পাইনি। র‌্যাপিড প্রোটোটাইপিং মেশিনটাকে আমার চমৎকার লাগে। মেশিনের কম্পুটারে আপনি যে জিনিস বানাতে চান তার ক্যাড মডেল দিতে হবে,

বিস্তারিত»

শিমুল মুস্তাফার আবৃত্তিঃ মকবুল সমুদ্রে যাবে-

শিমুল মুস্তাফার প্রসঙ্গে কে যেন একবার বলেছিলেন, সম্ভবত লুৎফর রহমান রিটন, নাকি অন্য কেউ ভুলে গেছি, যে, এত ছোট্ট একটা শরীর থেকে এত জোরালো শব্দ কেমন করে বের হয় ভাবতেই অবাক লাগে!

গানের মতই আবৃত্তি বিষয়ক কোন জ্ঞান নাই আমার। শুনে শুনেই যতটুকু বুঝি সেটুকুই, মানে হলো, শোনার জন্যে তৈরি দু’খান কানের কল্যাণে বুঝবার জন্যে তৈরি একটা প্রাণ পেয়ে গেছি আমি, সেটাই ভরসা!

বিস্তারিত»

ইংরেজির গোড়াপত্তন (প্লাস একটা সুসংবাদ)

আমার বাবা সবসময় আফসোস করতেন, আমরা নাকি ভাল ইংলিশ শিখি নাই। তাঁদের সময় (ব্রিটিশ+পাকিস্তান পিরিয়ডে) মানুষ বেশ ভাল ইংরেজি চর্চা করতো, স্বাধীনতার পরে এই চর্চাটা দারুণরকম কমে গেছে। কথা সত্য, তবে আমি যে ইংরেজিতে একদম খারাপ না, সেটা আমার বাবার মুখে কখনো স্বীকার করাতে পারিনি। :((

আমার এবং এই ব্লগের সবার ইংরেজির মান ভাল বলে আমার বিশ্বাস। এর কারণটা ক্যাডেট কলেজ।
ক্যাডেট কলেজে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় আমরা ইংরেজির একটা দৃঢ় প্রশিক্ষন পেয়ে এসেছি।

বিস্তারিত»

ছোট ছোট ঘটনা – দুই

এক.
এবারো সময় ক্লাশ সেভেন, স্হান ফজলুল হক হাউস । যান বাঁচানো ফরজ তাই সংগত কারণে ঘটনার নায়কের নাম উল্লেখ করা থেকে বিরত থাকলাম । ক্লাশ সেভেন থেকেই আমাদের জনৈক বন্ধু স্ক্র্যাচিং এ পারদর্শী্ ছিল । আর মাঝে মাঝে স্হান কাল পাত্র ভুলে মনের আনন্দে গীটার বাজাতো । একদিন তখনকার কলেজ গেমস প্রিফেক্টের রুমে তার ডাক পরল । খেলাধূলার কোন একটা ব্যাপারে তাকে নসিহত করা হচ্ছে ।

বিস্তারিত»

কিছু ঘটনা – ২

অনেকদিন আগে এমজিসিসি নিয়া কিছু ঘটনা লিখেছিলাম।কালকে হঠাত আরেকটা মনে পড়ে গেলো।
(যারা পড়েন নাই, তাদের জন্য আগের লিঙ্ক)
হঠাত কালকে আমাদের যুবায়েদ ফোন করে বল্লো “ওই ২৬ তারিখে ফ্রি থাকিস”
আমিঃ কেন?
যুবায়েদঃ “আমার বিয়ের রিসেপশন। সেনা কুঞ্জে।“
আমিঃ “ঠিক আছে। চলে আসবো। নো প্রব্লেম।“

বিস্তারিত»

সহজ ভাষায় ইংরেজী!

-‘দোস্ত, কাল যে আইলানা?? কি হইছিল??’
-‘আই ওয়েন্ট টু ইট আ ম্যারেজ ইয়াস্টার্ডে!!’

ইট আ ম্যারেজ! আমি চট্‌ করে বুঝে ফেললাম ইরফান কি বলতে চাইল। ব্যাটা ক্র্যাক!! বছর খানেক আগে ওর হঠাৎ করে মনে হল ইংরেজী ভাষাটা ইচ্ছা করে বেশী কঠিন করা হয়েছে…! সাদা পশ্চাৎধারীরা বানিয়েছে বলেই কি ওদের মতন করে বলতে হবে?? ভাষা হচ্ছে মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য এবং তা ব্যাকরণের দোহাই দিয়ে কঠিন করার কোন মানে হয় না…অকাট্য যুক্তি!

বিস্তারিত»