এক.
সময় ক্লাস সেভেন 2য় টার্ম । সোহরাওয়ার্দী হাউসের দোতলার তের নম্বর রুমে নাদান আমরা সবাই থাকি । আমাদের পাশের রুমেই অল্টারনেট সিনিয়রদের রুম । নেমপ্লেট দিয়ে দেয়ালে বারি দিলেই ছুটে যেতে হয় ফাই ফরমাস খাটার জন্য । বন্ধু মাহমুদ হোসেন, আর সবার মত কলেজে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করছে । ঘটনার শুরু একদিন রাতে আফটার লাইটস আউট সে রুমে এসে দেখে বন্ধু জান্নাতুল ওর বেডে ঘুমিয়ে আছে ।
নতুন বন্ড
ক্যাসিনো রয়াল দেখা শুরু করার সময় চোখ মুখ শক্ত করে বসেছিলাম।
ব্রসন্যানকে রিপ্লেস করছে যেই ব্যাটা, তাকে কিছুতেই ভাল লাগা চলবে না, মোটামুটি এইরকম মারদাঙ্গা টাইপ ছিলো আমার মনোভাব। পিয়ার্স ব্রসন্যানের পরে অনেকেই শ্যন কনারিকে সবচেয়ে মানানসই বন্ড বলে থাকেন। আমার কিন্তু বুড়া কনারিকেই বেশি স্মার্ট লাগে, বন্ড কনারির চেয়ে। তার চেয়ে বরং রজার মুর অনেক বেশি ‘ঠিকাছে’।
তো, সিনেমা শুরুর পর থেকে দেখি আমার মন খানিকটা গলতে শুরু করেছে।
বিস্তারিত»উদ্ভট ফ্যান্টাসী-২
আগের পর্ব
৪/
আজকের সিসিবি সমাবেশ টা একটু অন্যরকম হল। অন্যান্য বারের চেয়ে পরিবেশটা একটু ভারী। কারন- গ্যালাক্সীর সিনেটের নতুন বিল। যেটাতে ক্যাডেট কলেজকে ভার্চুয়াল করে দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। যাতে ক্যাডেটরা কলেজ লাইফ এর টেষ্ট নিবে শীতল ঘরে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে।
বন্যঃ “ফাজলামো পাইছে? সবগুলা কাউন্সিলররে গ্রিশিন গ্রহে বন্দী করে রাখা উচিত।“
মাশরুফঃ “দাড়ান, এইবার এমন কিছু করতে হবে,
বন্ড… জেমস বন্ড!!!
কালকে একটা সিনেমা দেখলাম। ভাবলাম একটা রিভিউ দিয়ে দেই সিসিবিতে। কিন্তু এইখানে তো দেখি ফ্লিম মেকার অর সিনেমা বোদ্ধাদের আড্ডাখানা। যাই হোক শুরুতেই বলে রাখি এই রিভিউটা আমি লিখতেসি একজন আম পাব্লিকের চোখে। অনেকদিন পর সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখলাম। Torrent আর Rapidshare এর এই যুগে সব ডাউনলোড করেই দেখা হয়ে যায়।
সিনেমার নাম Quantam of Solace. লেটেস্ট জেমস বন্ড সিনেমা। জেমস বন্ডের সিনেমা সব সময়ই অনেক আশা ও প্রত্যাশা নিয়ে রিলিজ হয়।
বিস্তারিত»আর্টসফিকশন
বিকেলের প্রেপ।
কোয়াইট আওয়ারের ঘুমটা আসতে আসতে বড় দেরী করেছিল বলেই হয়ত মেজাজটা চড়েই ছিল। হাউজ বেয়ারা আউয়াল ভাইয়ের উপর দিয়ে তাই ছোট্ট একটা ঝড়ও বইয়ে দিয়ে এসেছি। আজ বই নিয়ে বসার প্রশ্নই ওঠে না। একরাশ বিরক্তি নিয়ে একাডেমিক ব্লকের বারান্দায় দাঁড়িয়েই মনটা ভাল হয়ে গেল। বাসন্তি শাড়ী পরে একাডেমিক ব্লকের সামনের বাগানে হাঁটতে হাঁটতে একটা গাঁদা ফুল ছিড়ে খোঁপায় গুজলেন তিনি। শুরু হল আমার বুক ধড়ফড় আর শূণ্যতা’র অনুভূতি।
বিস্তারিত»শুভ জন্মদিন হাসনাইন :-)
এই জায়গাটায় প্রথম শুরু হয়েছিল ক্যাডেট কলেজ ব্লগ। উইকি ভিত্তিক সাইট। ব্লগিয়ের ঠিক স্বাদ পাওয়া যায় না। তবে যেহেতু আমরা তিন চার মানুষ ছিলাম তাই কোন ঝামেলা ছিলনা। নিজেরা পিঠ চাপড়া-চাপড়ি করে ভালোই কেটে যাচ্ছিল দিন। কিন্তু আমাদের এডজুটেন্ট সাহেব আমাদের জন্য ওয়ার্ডপ্রেসে নতুন একটা বাড়ির ব্যাবস্থা করে ফেললেন। করতেই পারেন। তিনি এডজুটেন্ট মানুষ। কত কিছু মাথায় রাখতে হয়।।
আমার মেইল একাউন্টে সেই ব্লগে যোগদান করার আমন্ত্রণ পড়ে থাকলো।
বিস্তারিত»ঢাকা ১১০০০ কিমি
গত ডিসেম্বর মাসে মিশনে আসার জন্য যেদিন নাম বের হল তারপর দিনই ইন্টারনেট থেকে লাইবেরিয়ার উপর বেশ কয়েক পৃষ্ঠা প্রিন্ট আউট নিয়ে নিলাম। ফেলুদাকে দেখেছিলাম তদন্তের বা পর্যটনের জন্য কোথাও গেলে সেই জায়গা সম্পর্কে বিশদ লেখাপড়া করে নিতেন। এমনও হয়েছে যে যাবার পথে প্লেনে বা ট্রেনে বসেও পড়ছেন। তো আমি ঠিক ফেলুদা না বরং কোথায় যেয়ে নাজিল হতে যাচ্ছি সেই জায়গাটা/দেশটা সম্পর্কে খানিকটা জানাই ছিল উদ্দেশ্য।
বিস্তারিত»আমার ইমিগ্রেশন অভিজ্ঞটা (২)
বিভিন্ন দেশ ঘুরে ইমিগ্রেশনের ও এয়ারপোর্টের কিছু মজার মজার অভিজ্ঞতা হয়েছে । এগুলো শেয়ার করার জন্যই লিখছি :
আগের পর্ব এখানে :
ইন্ডিয়া ইমিগ্রেশন :
সম্ভবত: চেকিং এর সবচাইতে বেশি বাড়াবাড়ি দিল্লী এয়ারপোর্টে। দিল্লী এয়ারপোর্টে চেকিং এর এতস্তর যে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে যায়। কমসে কম চার/পাঁচবার চেকপয়েন্ট পার হতে হয়। জামা,জুতা, বেল্ট সব খুলতে হয়। দিল্লী ইমিগ্রেশনে এক বাচাল অফিসারের পাল্লায় পড়েছিলাম।
ম্যাডাম ভাল ……… করে
লেখার প্রথমেই বলে নিচ্ছি ভাইরা আমি সিসিবিতে একেবারে নতুন। মাত্র গত ১৫ জুলাই কলেজ থেকে বের হইছি। সিসিবির মোস্ট জুনিইয়র মেম্বার। আর এটাই আমার প্রথম লেখা। কোনরকম ভুল হলে দয়া করে ক্ষমা করবেন। এবার আসল কথায় আসা যাক।
মাত্র ক্লাস নাইন উঠেছি। ক্লাস সেভেন ও এইটে পরাশুনা না করে বাদরামি করার ফলে এইটে বার্ষিক পরীক্ষার পর যখন নিজের নাম মানবিক শাখার একজন যোগ্য সদস্য হিসেবে শুনলাম তখন অবাক হইনি।
বিস্তারিত»নিরুদ্দেশ
১.
অনেকক্ষণ ধরে পজিশন নিয়ে আছে অপু। জানালার ফাঁক গলে এয়ারগানের নলটা বাড়ির পাশেরই এক গাছে তাক করা। গাছে চড়ুই পাখির বাসা আর জানালার এপাশে বিছানার উপর অপু। নতুন বাঁচ্চা ফুটেছে চড়ুইটার, দুটো ছানা। মা চড়ুইটা বাসায় আসলেই বাচচাগুলো কিচির মিচির করে মায়ের মুখ থেকে খাবার কেড়ে খায়, অপুর দেখতে ভাল লাগে। মা-টা আশেপাশেই আছে হয়ত, খাবার খুঁজতে ব্যস্ত। কিন্তু আজ মা চড়ুইটার নিস্তার নেই অপুর হাত থেকে,
দশ বছরের ক্যাডেট জীবনঃ বিদায়বেলার কথা
আইইউটি-তে ‘০৫ ব্যাচে আমরা মির্জাপুরের ৬ জন আছি। কলেজে ছয় বছর কাটিয়ে আসার পর কখনও ভাবিনি আবার একই প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পাবো। অন্তত আমি ভাবিনি। প্রথম আইইউটি-তে এসে যখন ইমন আর তুহিনকে দেখলাম তখন কেমন অনুভূতি হয়েছিলো বলে বোঝাতে পারবো না। তিনজনে মিলে এক রুম নিয়ে নিলাম। পরে দেখলাম আমাদের কলেজের আরও তিনজন আছে: শামীম, জিহাদ আর মামুন। এ বিষয়ে কারও কোন সন্দেহ ছিল না যে,
বিস্তারিত»স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট
মিশন এলাকায় একই স্থানে আবদ্ধ থাকতে থাকতে এবং একই কাজ করতে করতে একঘেয়েমি চলে আসে। এটা কাটানোর জন্য যৎকিঞ্চিত বিনোদনের যা ব্যবস্থা আছে তাও অপ্রতুল মনে হয়। তারউপর আছে পরিবার পরিজন থেকে দূরে থাকার কষ্ট। এই সবকিছু মিলিয়ে একটা মানসিক ক্লান্তি আমাদের সবার উপর ভর করে বসে যেটাকে সহজভাবে “স্ট্রেস” বলে আখ্যায়িত করা হয়। আর এটাকে কমানোর জন্য গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপই “স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট”।
আমরা যে স্থানে থাকি সেটা “কারী কমপ্লেক্স”
বিস্তারিত»ইংরেজি খাতা
১। টার্ম এন্ড এর খাতা দিতে এসে ‘খান’ সার বললেন, “আই ইয়ে কতা হছছি গিয়ে কতা তা না,তোরা সবাই পাশ করেছিস একজন ছাড়া,আর উনি হলেন…।।”থাক নাম টা বললাম না। এরপর খান সার ওর খাতা থেকে একটি ট্রান্সলেশন আমাদের পড়ে শুনালেন।
মানুষ সৃষিঠর সেরা জীব
ম্যান ইজ দি কিং অফ এনিম্যাল
২। আমাদের এই বন্ধু যখনি আমাদের ডর্মে আসতো,সে বলতো, “ম্যা আই কমিন প্লিজ ছার”
উদ্ভট ফ্যান্টাসী
অনেকদিন ধরে কিছু একটা লিখবো চিন্তা করতেছিলাম। এখন সিসিবি এর যেই লেখার স্রোত চলতেছে, ভাবলাম, উদ্ভট কিছু দেয়ার এইতো সময়।
১।
জিহাদ এর ফোনে হঠাৎ ঘুম ভাংলো।
“রবিন ভাই, নেক্সট উইকে যে সিসিবি গেট টুগেদার আছে, মনে আছে?”
ওহ, তাইতো, ভুলেই গেসিলাম।
“না ভাই, ভুলবো কেন?” খুব ভাব নিয়ে বললাম।
“তুমি আমাকে প্রোগ্রাম ডিটেইলস টা আমার কমিউনিকেশন মডিঊলে সেন্ড করে দিও।“
চিন্তা করতে লাগলাম,
বিস্তারিত»রং বেরংয়ের ভুল
গোলাম মুরশিদ এইবার প্রথম আলোর ঈদ সংখ্যায় একটা প্রবন্ধ লিখেছেন, শিরোনাম – (অ) শিক্ষার ইতিকথা। আত্নজীবনী ধাচের এই লেখায় তিনি নিজেকে অকাট মূর্খ প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন। যাইহোক জ্ঞানী গুনীরা বিনয় দেখিয়ে অনেক কিছুই বলে কিন্তু তার সবই ধর্তব্য নয়। নিজের মূর্খতার প্রমাণ স্বরূপ তিনি লিখেছেন- এম, এ ক্লাসে যখন রবীন্দ্রনাথের ‘বিসর্জন’ পড়ানো হচ্ছিল তখন তিনি অবলীলায় লিখে গেছেন “বিষর্জন” । আবার তিনি বহু বছর পর সুদূর লন্ডনে গিয়ে বিবিসিতে নিজের একজন প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়ে স্বান্তনা পেয়েছিলেন।
বিস্তারিত»