ক্যাডেট কলেজ়ের স্যারদিগকে লইয়া লিখিতে গেলে পাতার পর পাতা লিখা যাইবে। যেই পরিমান শ্রম তাহারা আমাদের পিছনে দিয়াছেন তা বলিয়া শেষ করা যাবে না। আবার তাদেরকে নিয়া আমাদের অনেক মজার স্মৃতিও আছে। আমার জীবনের প্রথম ব্লগ তাই মির্জাপুরের আমাদের সময়কার স্যারদিগকে লইয়াই লিখিব। তবে তার আগে বলিয়া রাখি ইহা শুধুমাত্র কিছু মজার স্মৃতিচারন। অন্য কিছু নয়। শিক্ষকরা সবসময়ই শ্রদ্ধাভাজন।
চর্চার অভাবে স্মৃতির গর্ভে বিলীন হইয়া গিয়াছে অনেক স্যারের আসল নাম। নিকনেমই এখন ভরসা। যেমন “পাঁচু”, তাহার আসল নাম মনে নাই কিন্তু মনে আছে, বাংলা পরীক্ষার খাতা তিনি কখনই সময় লইয়া দেখিতেন না এবং খুবই কম নম্বর দিতেন। ৬০ অধিক নম্বর পাইতে তাই ১০০ তে ১৪০ উত্তর করিতে হইতো। খেয়াল না করিয়া তিনি একই উত্তরে দুই জায়গায় দুই বারে নম্বর দিতেন। আমাদের মঞ্জুর তো একবার মুসলিম রন্ধনশালার বর্ননা তে ইচ্ছা করিয়া “বাটনা বাটিতেছে, কুটনা কুটিতেছে” র সহিত আরও অনেক স্লীল-অস্লীল লিখিয়াও সর্বোচ্চ নম্বর পাইয়া তাহা প্রমান করিয়াছিল।
আরেকজন স্যারের নামও হারাইয়াই যাইতো, যদি না তার নিকনেমটি ” লাতু” না হইতো। নিকনেমের সহিত প্রকৃ্ত নামটি জরাইয়া থাকায় এযাত্রা তিনি বাচিয়া গেলেন। মনে পড়িয়া যায় লাতু ক্লাসে ঢুকিয়াই আমাকে আর আব্দুল (আব্দুল্লাহ সারোয়ার)-কে উদ্দেশ্য করিয়া বলিতেন “ এই তোদেরকে আমি ভয় পাই, তোরা সোজা হয়ে যা “। তাহার কথার সত্যতা সম্পর্কে সন্দেহের অবকাশ ছিল, কেননা তিনি আমাকে আর আব্দুল’কে যেই ভাবে পিটাইতেন তাহাতে ভয় পাইবার কোন লক্ষন থাকিত না।
“ফস্” স্যার বয়সের ভারে নুহ্য । এই বৃদ্ধ, হাউস এলাকাতে অতীব যত্নের সহীত ঘাড় বেকাইয়া ধীর পদে হাটিতেন, এবং সবসময় বুঝাইতে চাইতেন তিনি অসুস্থ্য, ক্লান্ত এবং সকলের দোয়া ও সহমর্মীতা তাহার প্রাপ্য। হাউস এলাকা অতীক্রম করিবা মাত্র, আবাসিক এলাকায়ে তাহার দৃঢ়চিত্ত উচ্চগতি হন্টন এবং কলেজ হাসপাতালের জন্ম নিরোধক ইস্যু তালিকাতে তাহার দীর্ঘদিনের শীর্ষস্থান তাহাকে সহমর্মীতা পাইতে বাধা দিতো।
আজ আর নয়। এই যাত্রা লিখাটি review পার হইয়া ব্লগে-এ আসিলে আবার হয়তো লিখিবো। ততোক্ষন পর্যন্ত …………
(কিছু অংশ সম্পাদিত)
তাইফুর মামা, জটিল ওপেনিং :clap: :clap:
তোগোতো কাহিনির সীমা থাকার কথানা। লাইনে লাইনে চাই কইলাম 😉
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
তোর আবযাব ১,২ পড়ার পর উৎসাহ পাইয়া শুরু করলাম।
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
দোস্ত আবজাব আক্ষরিক অর্থেই আবজাব হয়ে ইন্তেকাল করছে। তয় সেইটা পড়ছস দেইখা তোরে :salute: :))
আর শুরুটা যেইরকম জবরদস্ত হইছে, সামনে পোলাপাইন আরো দারুন কিছু পাইবো নো ডাউট :boss:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
মাকড়সার নিবন্ধন(web log or blog!) নব নব জ্যেষ্ঠ ভ্রাতাদের পদচারনায় মুখর হইতে দেখিয়া পুলক অনুভব করিতেছি...
হে ভ্রাতঃ, আপনাকে সুস্বাগতম!!! :clap:
তবে আপনার লিখনীর শেষে, প্রথম বন্ধনীতে আবদ্ধ
দেখিয়া কিঞ্চিৎ বিচলিত হইয়া গেলাম... 🙁
ভাবিতেছি, সম্পাদনার ফলে কোন নির্মল(!) হাস্যরস হইতে বঞ্চিত হইলাম না তো??? :bash:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
সম্পাদনার পরও হাসির কমতি ঘটে নাই। চালায়া যাও ভাই তাইফুর। :gulli2:
সম্পাদনার পর লিখাটা আরও সুন্দর হইছে।
সম্পাদককে ধন্যবাদ। আমিও শিখলাম। ভবিষ্যতের জন্য সোজা হই গেলাম।
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
জুনায়েদ ভাই, বিচলিত হবার তেমন কোন কারণ নাই। সম্পাদনা বলতে লেখার মূল বিষয়বস্তু সম্পাদনা বোঝানো হয়না বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। মডারেটররা যদি ভাবেন কোন ক্ষেত্রে কারো আসল নাম ব্যবহার করা উচিত হচ্ছেনা শুধু সেসব ক্ষেত্রেই মডারেশন করা হয়।
আপনি আমাদের পরিবর্তিত রেডবুক সেকশন পড়ে দেখতে পারেন মডারেশনের ধরণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
তাইফুর ভাই, জটিলস্য রচনা।
পাঁচু গোপালের আরো কিছু আদরনীয় ডাকনাম ছিল, উদাহরণস্বরুপ, জালূ, জাল্লু, জাল্লম। তাঁহার পূর্ণনাম প্রকাশ করিতে চাহিতেছি না। তথাপি বুদ্ধিমানদের উদ্দেশ্যে একখানি সূত্র রাখিতে চাই। তিনি বাংলা পাঞ্জেরী গাইডের রচয়িতা।
শিক্ষকদের নিয়া কথা বলিতে বলিতে আপনার কথাই জিজ্ঞাসা করা হইল না। আছেন কেমন? সব কুশল তো?? প্রোফাইল ছবি দেখিয়া বোধ করি কর্মস্থলে আনন্দেই আছেন।
বন্ধু তাইফুর,
সাধু ভাষায় পড়িতে যাইয়া ভালোই লাগিতেছে 😀 ।
মোটামুটি আরামও বোধ হইতেছে 😛 ।
:clap: :clap:
অপেক্ষায় থাকলাম।
Life is Mad.
তৌফিক ...... পাঁচুর নাম মনে করাই দেয়ার যন্য ধণ্যবাদ।
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
:khekz: :khekz:
taifut vai kmon asen??? apnake ekhane dekhe khubi valo laglo...apnar to kahini r ovab hobe na..so aro onek mojar blog er opekhai thaklam..prayer time e apnar kora monajat amader shobaike boroi anondo dito..akhono ki mission e asen..all the best..latu??unare to mone hoi pai nai...
আমাদের এক অঙ্ক স্যার একবার ১০০ নাম্বারের বদলে ৯৫ নাম্বারের প্রশ্ন করলেন। কিন্তু খাতা দেয়ার পর দেখা গেলো অনেকেই ৯৮ / ৯৯ পাইয়া বইসা আছে। :khekz:
ব্লগে স্বাগতম।
লেখা সুন্দর হয়েছে। সিরিজ করেছ দেখে ভাল লাগল।
আনকাট ভার্সনটা পড়তে পারলে আরো ভালো হইতো। 🙂
www.tareqnurulhasan.com
তেমন কোন চেন্জ করা হয়নি। শুধু স্যারদের আসল নামগুলো তুলে দেয়া হয়েছে। 🙂
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
লিখা বড়ই চমতকার হইয়াছে :clap: :khekz:
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
জটিল =)) =))
লাতু রে চিনলাম না।
পাচুর ক্লাস এ ডায়াস এর সামনের ডেস্ক এ কেউ বসতো না, নাক খুটাইয়া ওইটার উপর স্যার গোলাবর্ষন করতেন বলেই।
তাইফুর ভাই, আপনার ওপেনিংটা দারুণ ছিল। 😀
মাম্মা আসো কিরাম? 🙂