যেহেতু কবির-এর টার্ম এন্ড সুইট সংক্রান্ত লেখা পড়েই এই ব্লগে আমার বাংলা লেখার হাতে খড়ি সুতরাং এই মজার (জুনিয়রদের জন্য সর্বনাশের) ব্যাপারে একটু কিছু না লিখলেই যে নয় |
১৯৯১ সালের কোন একদিন তৎকালীন ক্লাস ইলেভেনের কাছে আমরাও এমনটা খেয়েছিলুম আমাদের প্রথম সুইট – বলাইবাহুল্য মোটেও সুখকর ছিলনা সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা | জেসিসির পাঙ্গার ডিটেইলসে আর গেলাম না কোমল মতি ভাই বোনেরা কষ্ট পাইতে পারে | পাঙ্গা খাইতে খাইতে এক পর্যায়ে আমরা সকল ব্যাথা বেদনার উর্ধে চলে গেলাম ফ্রন্ট রোল বা ব্যাক রোল যেটাই দেই না কেন একবার দেয়া শুরু করলে অটোমেটিক হইতেই থাকে নিজের কিছুই করা লাগে না, সি্নিয়ররাই বিরক্ত হয়ে নতুন আইটেম ধরাইয়া দেন | ২/৩ রাউন্ড করে বমি প্রায় সবারই হয়ে গেছে | বাপক চড় কিল থাপ্পড় বেল্ট হাঙ্গ্যার ভাঙ্গা শেষে সি্নিয়ররাও ক্লান্ত , কিন্তু রগড়ানি চলতেই আছে অনেকটা রুটিন মাফিক| গ্রীষ্মের তপ্ত রোদে আরো উতপ্ত খায়বার হাউস আর ডায়নিং হলের সামনের পীচের উপর ক্রলিং করতে করতে হঠাৎ শুনলাম কানের কাছে ফিরোজের ফিশফিশানি ” দোস্ত এইটা কিন্তু কমান্ডো ট্রেইনিং , সামনে শত্রু পক্ষ, আ্যটাক-এর জন্য তুই রেডী ? এমুনিশনের কি অবস্থা ?? ” …… তেষ্ঠায় প্রাণ উষ্ঠাগত সারা শরীর ব্যাথায় অবশ অথচ এই চরম দুঃখের মাঝেও সি্নিয়রদের চোখ ফাকিঁ দিয় ফিক করে হেসে ফেললাম ! হঠাৎ করেই উপলব্ধি করলাম আরে মজা তো …পাঙ্গা যখন খাবই তখন চাঙ্গা মনেই খাই না কেন…ব্যস মুহুর্তেই সব কিছু হাল্কা হয়ে গেল | ঐ সেইদিন থেকে শুরু …… জুনিয়র অবস্থায় জীবনে যত হাজার বার পাঙ্গা খেয়েছি প্রতিবারই মনে মনে ভেবেছি এইটা হেল কমান্ডোর মেজর আনোয়ারের মত কমান্ডো ট্রেইনিং 😀 অপরাধ প্রবনতার ধরন অনেকটা একই রকম হওয়ার কারনে প্লাস সকল পাপ কাজে সাথী হওয়ার কারনে আমি আর ফিরোজ অধিকাংশ সময়ে একই সাথে কমান্ডো ট্রেইনিং নিয়েছি |
কবির, তোমাদের হয়ত জানার কথা না আমরা যখন সিনিয়র ছিলাম তখন তোমাদের ধোলাই করার যে নিত্য নতুন ভ্যারিয়েশন আমরা আপ্ল্যাই করতাম তা ছিল মুলত আমার আর ফিরোজের মষ্তিষ্ক প্রসুত :)) এই কারনেই তোমাদের সেদিনের সুইট খাওয়ানো অনুষ্ঠানে আমরা একটু বেশি এ্যাকটিভ ছিলাম …হা হা হা
যাই হউক লেখা বেশী বড় হয়ে যাচ্ছে আবার ফিরে আসি কবিরের প্রসঙ্গে | ১৯৯৫ সালে আমাদের ক্লাস ইলেভেনের সময়কালটা ছিল চরম সুখের | আগ্রহী পাঠকদের জন্য আমার ফেসবুক প্রোফাইলে আপলোড করা কবিরদের টার্ম এন্ড সুইট প্রদানকারী সেইদিনের সেই নিষ্ঠুর কিছু সি্নিয়রদের শইতানির একটা ছবির লিঙ্ক দিলাম ! এইখানে।
আজীজ ভাই, বহুদ্দিনেকো বাদ আবার কলেজ লাইফের পাংগা কাহিনিগুলা মনে পইড়া গেলো। এর উপর আপনাদের পি এম ডি'র ছুডু বেলাকার ছবি দেইখা ক্যান জানি মনে হইলো নিজেদের ছবিই য্যান দ্যাখতাছি !! [বস্, কাওয়ালি দলের আপনে কুনডা এইটা যদি কয়া দিতেন 😕 😕 ]
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ফৌজিয়ান ভাই, গানের প্রতি যার ডেডিকেশন সবচেয়ে বেশি- অইডাই আজীজ ভাই... 😉
(সর্ববামে, সান ক্লাস, কানে হাত দিয়ে রেওয়াজের ভঙ্গিমায়... 😀 )
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আমিও এইডাই সন্দ করছিলাম 😉
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
হা হা হা মাঝ রাতে sun glass পরে এই জাতীয় কাজ কারা করতে পারে বুঝতাস না? lead vocal Me and Firoj
vaia picta pura pankha :gulti:
চাং্গা খেকে পাংগা :)) :))
ভাইয়া রিভিশন চলছে। 🙂