যাদের জন্য লাল গোলাপ

গতকাল সারাদিন সারারাত কম্পিউটার এর সামনে বসে কিছুক্ষন পর পর এক্টাই কাজ করেছি আর সেটা হোল সিসিবি ব্রাউজ করে দেখা, অনলাইন হয়েছে কিনা এখনো। সারাদিনে বার পঞ্চাশেক করার পর উপলব্ধি করলাম সিসিবি কতটা নেশায় পরিণত হয়েছে আমার। কিছুক্ষন পর পর চেক না করলে মনে হয় কি যেন একটা করা হয়নি। প্রথম প্রথম যখন ইন্টারনেট ব্যাবহার করতাম তখন কত কিছু যে ব্রাউজ করতাম তার হিসেব নেই। শ্লীল-অশ্লীল কোন বাধাধরা কিছু ছিল না। কিন্তু এখন আর ওসব ভাল লাগে না। ঘুরে ফিরে সেই ইমেইল চেক করি, নইলে পেপার পড়ি, আর নয়ত সিসিবি।

দুই দিন আগে কামরুল যখন আমাকে ইমেইল করল সাহায্য করার ব্যাপারে তখন আমি সত্যি বলতে কিছুটা আনন্দে লাফিয়ে উঠেছিলাম। এ আনন্দ ছিল সিসিবির অগ্রযাত্রায় নিজেকে ক্ষুদ্র অংশীদার করার আনন্দ। আমি প্রথমেই বিনয়ের সাথে অন্যদের স্মরন করিয়ে দিতে চাই যারা ভাবছেন আমি সামান্য কিছু আর্থিক সহায়তা করে বিশাল কিছু একটা করে ফেলেছি তাদের কাছে আমি ক্ষমা চাইছি। এইটুকু আর্থিক সাহায্য করার ক্ষমতা আমাদের অনেকেরই আছে এবং আমি নিশ্চিত তাদের কাছে চাওয়া হলে তারা বিনা দ্বিধায় তারা তা করবেন। কিন্তু কি ভাবে কপালের ফেরে আমার কাছে সুযোগটা এসেছে কারণটা সবাই জানেন। ক্রেডিট কার্ডের ঝামেলাটা না থাকলে ব্যাপারটা যে কামরুলের পেট থেকে বেরুত না সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত। ও যে পুরো ব্যাপারটা নিজে হজম করে ফেলত তাতে আমার কোন সন্দেহ নেই।

কিন্তু আমি মনে করি সিসিবির এই অগ্রযাত্রায় সবচেয়ে বেশি ধন্যবাদ পাবার যোগ্য ব্যাক্তিরা হচ্ছেন যারা পর্দার আড়ালে টেকনিকাল সাহায্য করে যাচ্ছেন এবং সর্বোতপরি যারা সম্পাদনা, উৎসাহ আর শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। একজন ক্ষুদ্র টেকি নাদান হয়ে এটূকু আমি বলতে পারি একটা ওয়েব সাইট মেইন্টেয়িন করা খুব সহজ কাজ নয়। সিসিবির সদস্য সংখা নিতান্ত কম নয়। এত বিশাল পরিসরের একটা কাজ আমাদের পর্দার আড়ালের ভাইরা শুধুমাত্র ভালোবাসার খাতিরে নিরলস ভাবে এতদিন ধরে করে যাচ্ছেন তার জন্য এই লাল গোলাপ আমার প্রাপ্য নয়, তাদেরই প্রাপ্য। জিহাদ, রায়হান আবীর, মইন এ গোলাপ তাদের প্রাপ্য। ছাত্র অবস্থায় পড়াশোনা বাদ দিয়ে সিসিবির পিছনে তাদের নিরলস শ্রমের ফল আমরা ভোগ করছি। আমি তোমাদের স্যালুট জানাই। ইমোক্টিন এর স্যালুট নয়, সত্যিকারের ডাইনে তাকিয়ে স্যালুট।

আর সামনে তাকিয়ে স্যালুট জানাই কামরুলকে, যার উৎসাহ উদ্দীপনা ছাড়া মনে হয় সিসিবির অগ্রযাত্রা অনেকটা থমকে যেত। পর্দার আড়ালে শুধুমাত্র কলাকুশলীরা থাকলেই চলে না, সার্থক উপস্থাপনার জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত নির্দেশনা। তার জন্য আমি কামরুলকে আমার অভিবাদন জানাই। (যদিও কথা দিয়া কথা রাখে নাই বইলা পোলাডা আমার কাছে নিচ্চিত একদিন প্যাদানি খাইব)। আর সর্বশেষে যাদের কথা বললেই নয় তারা হোল সিসিবির সকল পাঠক এবং লেখকবৃন্দ। আপনাদের অংশগ্রহনের মাধ্যমেই সিসিবির আজকের এই অগ্রযাত্রা। সবাইকে আমার সালাম। সবাইকে আমার লাল গোলাপের সুভেচ্ছা।

৪,৩৬৮ বার দেখা হয়েছে

৪১ টি মন্তব্য : “যাদের জন্য লাল গোলাপ”

  1. মরতুজা (৯১-৯৭)

    "ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুর ফেলে রেখে রাত জেগে কাজ করেছে জিহাদ। সঙ্গী হয়ে ছিলো মুহাম্মদ। ভাবি অসুস্থ, তারপরও অনেক সময় দিয়ে সাহায্য করেছে মইন। বসে বসে আমিও অনেকগুলি সিগারেট টেনেছি।"

    মুহাম্মদের নামটা বাদ পড়ে গিয়েছিল। তোমাকেও আমার সালাম। বাকিদের কথা আর নাইবা বললাম।

    জবাব দিন
  2. সায়েদ (১৯৯২-১৯৯৮)
    গতকাল সারাদিন সারারাত কম্পিউটার এর সামনে বসে কিছুক্ষন পর পর এক্টাই কাজ করেছি আর সেটা হোল সিসিবি ব্রাউজ করে দেখা, অনলাইন হয়েছে কিনা এখনো। সারাদিনে বার পঞ্চাশেক করার পর উপলব্ধি করলাম সিসিবি কতটা নেশায় পরিণত হয়েছে আমার। কিছুক্ষন পর পর চেক না করলে মনে হয় কি যেন একটা করা হয়নি।

    মরতুজা ভাই,
    এই একই অসুখে আমিও খুব ভুগতেছি 😛 😀 😀 😛 ।
    মজার অসুখ।
    থ্যাংকস মরতুজা ভাই।


    Life is Mad.

    জবাব দিন
  3. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)
    যদিও কথা দিয়া কথা রাখে নাই বইলা পোলাডা আমার কাছে নিচ্চিত একদিন প্যাদানি খাইব

    মরতুজা ভাই,পিলিজ কামরুল ভাইরে ভালোমত প্যাদানি দেন।
    জানেন,সিসিবি হইলো আমার স্যাংচুয়ারি-বাবা মায়ের ঝাড়ী,বান্ধবীগো "সীল",বন্ধুগো লগে ফাইট,ফ্যাকাল্টির বকা-সব কিছু ভুলতে এই সিসিবি আমার একমাত্র আশ্রয়স্থল।

    এই আশ্রয়স্থলে আমার আবাস বজায় রাখতে চুপে চুপে যারা এত কিছু করল,তাদের ভালবাসা জানানোর সঠিক শব্দ যদি জানতাম!

    জবাব দিন
  4. তারেক (৯৪ - ০০)

    আশেপাশের সুন্দরীদের লাল গোলাপ দিয়া বেড়াইতে আমার কখনৈ ক্লান্তি ছিলো না। 😡 এই বুড়া বয়সে আইসা মনে হচ্ছে অভ্যাস বদলাইতে হইবেক! 😛
    যাউকগা, সবাইরে শাহবাগে দাওয়াত, ভোর পাঁচটায় ফলইন, শার্প।
    ফুলের দোকান খুললেই প্রত্যেকেরে এক বস্তা করিয়া ফুল কিনিয়া দেয়া হইবেক! 😀


    www.tareqnurulhasan.com

    জবাব দিন
  5. বউয়ের সংগে বিরাট ঝামেলায় পড়েছিলাম, কি একটা হলুদ খয়েরী উইনডো সারা সন্ধ্যা অপেন করে রাখি, অফিসে প্রথম চা এর সংগে সবাই মেইল চেক করি,
    আমি চেক করি সিসিবি, কি এক নেশা। একটু পর পর খুজি নতুন আপডেট, কি কমেন্ট, কি পোষ্ট।

    আমি সবাই কে সালাম দিতে চাই, সবাই, মরতুজা, জিহাদ, কামরুল, রায়হান, মুহাম্মদ, ......সেই বুড়া সানাউল্লাহ ভাই থেকে শুরু করে শাহরিয়ার, সবাইকে। সত্যি সত্যি স্যালুট।

    জবাব দিন
    • ভাই আপনার বউয়ের লগে ঝামেলা বাজবোনাতো কি?
      আপনার কথার সাথে তো কাজের কোন মিল নাই
      আপনি দিতে চাইলেন সালাম, আর দিলেন স্যালুট !
      তয় ঝামেলা মাগার আপনারে না পাইয়াকি আমারে পাইবো ?

      জবাব দিন
  6. শোয়েব (৯৪ - ০০)

    সবাইকে লাল গোলাপের শুভেচছা। শাহবাগ এর মোড়ে গোলাপ শর্ট পইড়া গেছিল, তাই লেট ওইয়া গেল।

    গোলাপের ইমোটিকন থাকলে সয়লাব কইরা দিতাম

    আজকের এই দিনে গোলাপের ইমোটিকন খুবই দরকার ছিল।

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।