মকবুল স্যার বাঁচবেন, আবার ফিরবেন আমাদের মাঝে

ফেসবুকে Reza Shawon ভাইয়ের লেখা পড়ে আমারো একটা ঘটনা মনে পরে গেল।

ক্লাস ৯ অথবা ১০ এর কথা। আমাদের B ফর্মে সেদিন ছিল ভূগোল ক্লাস। আমরা মোটামুটি সবাই বিরক্ত এই ক্লাস নিয়ে। কারণ, ভূগোল অনেক মুখস্ত টাইপের পড়া। কোন দেশ কোথায়, কোন অঞ্চলে আম গাছ, আর কোথায় বাঁশ গাছ বেশি পাওয়া যায়, এসবের বিস্তারিত বর্ণনা। আফ্রিকাতে “রকি” মাউন্টেন, নাকি “কিলিমাঞ্জারো” এই নিয়ে আমাদের কেন এত মাথাব্যথা করতে হবে তা বুঝতাম না।

বিস্তারিত»

অণু ব্লগঃ ফার্স্ট সাইট

রুমি’স কিচেনে দু’জনের একটি টেবিলের রিজারভেশন দিয়ে রেখেছিল অভিজিৎ। পার্সিয়ান এই রেস্তোরাঁটি তার সবিশেষ পছন্দ। জিভে জল আনা সব কাবাব বানায় ওরা। রাবেয়ার সাথে আজ প্রথমবারের মতো
দেখা হবে জর্জিয়া টেকের ক্যাম্পাসে। সেখান থেকে দু’জনে মিলে দুপুরবেলা ভেড়ার কাবাব আর জাফরানী ভাত খেতে যাবে রুমি’স কিচেনে। আজকের দিনের প্ল্যান বলতে আপাততঃ এটুকুই। রাবেয়া সদয় হলে অবশ্য ঘুরতে ঘুরতে ইন্ডিয়ান পাড়ায় মাসালা টি খাওয়া যেতে পারে বিকেলে।

বিস্তারিত»

সুখেই আছি

বলতেই হবে,সুখে আছি,
গুঁজে আছি মাথা বেশ,
রাজা হল কে? ধুর মশাই,
ভাববো কেন অতশত?
ভাববার আছে, আরও যে ঢের!
কাজের ছেলে রেখেছি একটা,
বাজার করে সেই,
যেমন রেখেছি নেতা-পাতিনেতা,
চিন্তা করুক সেই।
বরং আমি মজে থাকি নিজে,
দেয়াল একটা তুলে।
বলতেই হবে, এই বেশ আছি,
সুখে আছি, এইতো বেশ ।।

বিস্তারিত»

আন্সারুল্লা বাংলা টিমের জন্য সহানুভূতি

( আমার জীবনের সবচেয়ে অশ্লীল লেখা। নিজ দায়িত্বে পড়বেন। গালাগালি যত খুশি দিবেন দেন, আর কোপাইতে মঞ্চাইলে ডাইরেক্ট হালাহ পন্থায় জবাই দিয়া দিয়েন, কোপাকুপি এখন ব্যাকডেটেড হয়ে গেছে। শুঞ্ছি হালাহ পন্থায় জবাই করা প্রানী সুজা বেস্তে যায়! আমার আবার হুর নিয়া মাস্তি করনের অনেক শখ! আর কিছু বানান ভুল ইচ্ছাকৃত)

অভিজিৎদাকে যখন কোপানো হচ্ছে, ঘটনাস্থল থেকে আমি খুব বেশী দুরে না, যদিও তার কিছুই আমি তখনো জানিনা।

বিস্তারিত»

এগারো থেকে পনেরো


ওলগা সেগান্সকাইয়া’র প্রেমে আমি পরি গত ২২ শে এপ্রিল সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায়।

ডেন্টিস্ট্রি’র ছাত্রী সেগান্সকাইয়া সেখানে ভায়োলিন বাজাচ্ছিল, বরং বলা উচিত ভায়োলিনের ছড়ে ছড়ে আমাকে মিশিয়ে কয়েক মিনিট ধরে ছুঁড়ে ফেলেছে জর্জিয়ার কোন গ্রামে, কোন রেল স্টেশনের পিচ গাছের তলায়, ধোয়া ওঠা এক রসুনের স্যুপের বাটিতে।

সেগান্সকাইয়া’র নীল রঙের নেইল পলিশ আর লাল রঙের ভায়োলিন আমাকে হ্যালুসিনেশন দেখিয়েছে কয়েক দফা,

বিস্তারিত»

পোনসাই বদলাবেই

১৯৬৫ ইংরেজীর মার্চ মাসের শুরু, বাংলা ১৩৭১ ফাল্গুনের শেষাশেষি। ২ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত ইলেক্টোরাল কলেজ ভিত্তিক রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ফাতেমা জিন্নাহ কে পরাজিত করে পূর্ব পাকিস্তানে আইয়ুব শাহীর বেসিক ডেমোক্রেসির দোর্দণ্ড শাসন চলছে। পাক-ভারত সীমান্তে টানটান উত্তেজনা , এই যুদ্ধ লেগে গেল বলে।আব্দুল মালেকের এসব খবর নেবার জো নেই।তার ভাবনায় অন্য কিছু।

বড় দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছিল একেবারে সাধারন ঘরে। আব্দুল মালেকের অবস্হা ও তখন তাদের মতই ছিল।মেয়েরা উভয়েই প্রথম মাতৃত্বের স্বাদ গ্রহণের সময় মারা যায়।বড় ছেলে তো আর ও আগেই অকাল প্রয়াত।বাধ্য হয়ে মেধাবী মেঝ ছেলে মনু মিয়া কে কয়েক বছর পূৃর্বে প্রাইমারি স্কুলের পাট চুকিয়ে তার সাথে চাষবাসের কাজে লাগিয়ে দেন।বাপ-বেটার উদয়াস্ত পরিশ্রমে আব্দুল মালেকের অবস্হা দ্রুত উন্নতির দিকে।

বিস্তারিত»

সুপ্রভাত, অতঃপর…

আলোর ক্ষণ টুকু আলোময় হয়েই থাকুক-
নাই বা করলে আড়াল কলঙ্কের নীচতায়!

সূর্য আমাদের মরে গেছে বহুকাল আগে।
সকালগুলোকে তুলে রেখেছি সিন্দুকে ভরে-
অস্থিরতার মধ্যাহ্ন-
আলিঙ্গণের তীব্র নেশায় শেষবেলায় ছুটে যাওয়া-
সব-
তোমার আলমারিতে পুরনো ডাইরির পাতায়-
আয়নায় রাখা আমার সবুজ টিপে-
ব্রাশ হোল্ডারে-
চাবির রিঙে-
আর,
গা এলিয়ে বিছানায় পড়ে থাকা তোমার পাশবালিশটাতে-
তন্ন তন্ন করে এতটুকু অধিকার খোঁজা।

বিস্তারিত»

ঢাকার শুনানি, ঢাকায় শুনানি (ক)

একজন মানুষ যখন বিদেশ যায়, পড়তে কিংবা কাজ করতে, তখন সেই বিশেষ দেশটির প্রতি মায়া না জন্মালেও যেই এলাকায় থাকা হয় সেই এলাকাটির প্রতি হয়তো মায়া হয়তো ঠিকই জন্মায়। এই মায়ার গাঁথুনি তৈরী হয় অভ্যাসে ও সুরক্ষিত থাকে আবেগে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ছোট এক শহর ছেড়ে দেশে পাড়ি জমিয়েছি প্রায় সপ্তাহ দুয়েক। দেশে আসার আগে ঘুরে বেড়িয়েছি শিকাগো, ক্যানসাস সিটি, সল্ট লেক সিটি, ও লাস ভেগাস।

বিস্তারিত»

রাফিদা আহমেদ বন্যার বক্তব্য এবং সাক্ষাৎকার

সেন্টার ফর ইনকুয়েরি-তে প্রকাশিত বন্যার আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মুক্তমনা কর্তৃক বাংলা অনুবাদ এখানে।

রাফিদা আহমেদ বন্যা লিখেছেন:

আমার স্বামী অভিজিৎ রায় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদ নিয়ে লেখালেখি করতেন, তিনি ধর্মীয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনামূখর ছিলেন। শুধুমাত্র এই কারণেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। গত ছাব্বিশে ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনাকীর্ণ ক্যাম্পাসে আমরা দুজনে হামলার শিকার হই। অভিজিৎকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

বিস্তারিত»

এক মূহুর্ত

ভি.সি.আর-এ হিন্দি ছবি চলছে, বিধিমত নাচ-গান, মারপিট ও প্রেমের বন্যা। বাজে প্রিন্ট, তবুও সবাই বেশ মনোযোগ দিয়ে দেখছে। এই মূহুর্তে একটি বিশেষ দৃশ্য- নির্যাতিত নায়িকা রুখে উঠেছে, এবং প্রেমের শক্তি নিয়ে দীর্ঘ ডায়লগ বলছে। আবহ সংগীতে ভারতীয় ছবির চিরন্তন বিদ্রোহ বাদন- রফিকের কানে “চিড় বিড় চিড় বিড় ঘট্টাং…চিড় বিড় চিড় বিড় ঘট্টাং…”- এরকমই শোনায়। চোখমুখ কুঁচকে হাই তুলে চারদিকে জরিপ করে সে- কারো সাথে যদি দু-একটা কথা বলা যেতো!

বিস্তারিত»

নিমন্ত্রণ

ওয়ানডে ম্যাচে একটা ভালো পার্টনারশিপ ছাড়া যেমন বড় স্কোর করা যায় না, তেমনি স্বামী-স্ত্রীর ভালো পার্টনারশিপ ছাড়া দুর্দান্ত রান্নাও করা যায় না। কুঁচো চিংড়ি দিয়ে বাগানের টাটকা লাল শাক ভাজি করাই হোক কিংবা একটু বেশি ঝোল আর ঝাল রেখে চালের রুটি দিয়ে খাবার জন্য রান্না করা দেশি গরুর মাংসই হোক, আমার মা কখনোই একা পুরোটা কৃতিত্ব নিতে পারেন নাই। ঘরে আর বাইরের যারা খেয়েছে, যারা মুগ্ধ হয়েছে,

বিস্তারিত»

জার্ণাল মালয়েশিয়া- পুনশ্চঃ

১১। রেলগাড়ী ঝমাঝম

ঝমাঝম- এই ব্যাঞ্জনাময় শব্দজুটির বহুল ব্যাবহার দুটি প্রসঙ্গে। বৃষ্টি আর রেলগাড়ী। দুইই আমার অতি প্রিয়। রেলের সাথে আজন্ম মিতালী, সেই শৈশবকালে, দেশের যোগাযোগ ব্যাবস্থারও শৈশবকাল তখন, বছরে বার দুই পিতামহ-মাতামহ সন্দর্শনে যাওয়া হত। পূরাকালে যেমন পূন্যাত্মাদের মাঝেমধ্যে স্বর্গ দর্শনের রেওয়াজ ছিল। আর কে না জানে, শৈশব-কৈশরে অন্তত আমার প্রজন্ম  অবধি ওই দুটি স্থানই ছিল স্বর্গের সবচেয়ে কাছাকাছি। সেখানে যাবার একমাত্র উপায় যখন রেলগাড়ী- তাকে ভাল না বেসে পারা যায়!

বিস্তারিত»

অণু গল্পঃ শনিবারের দুপুর

প্যাটেল প্লাজায় শনিবারের উৎসবমুখর মধ্যাহ্ন। কুমড়োর ছক্কা রাঁধবেন বলে বাতের ব্যাথা শিকেয় তুলে প্রতিবেশীর সাথে বাজারে এসেছেন চাটুয্যে গিন্নী। কুমড়ো কেনার বাহানায় এলেও নারকোল, মামড়া, মেথি শাক আর বাসমতী চাল কিনলেন তিনি। মেয়েটা ইডলি খেতে বড় ভালবাসে তাই একটা ইডলি মেকারও নিলেন মনে করে। মিশিগান থেকে মেয়ে জামাই আর টোপলা গালের নাতনীটা আসছে যে কাল রাতের ফ্লাইটে।

মায়ের পাশে কুলফি হাতে কিশোরীটির কানে হেডফোন।

বিস্তারিত»

সিসিবি-তে ব্লগিং নিয়ে একটি ব্লগ

আইডিয়াটা পেলাম এহসানের সাথে কথা বলার সময়ে।
কোন এহসান? কিসের কথা??
তখনও জানি না কোন এহসান। ওয়াপদা মাঠে XCL-এর ফাইনাল দেখছি। হঠাৎ এসে নিজ থেকে পরিচিত হতে চাইলো একজন। নাম, ক্যাডেট কলেজ ও পাসিং ইয়ার বলে এমন পরিচিত ভাবে কথা বলা শুরু করলো যে বিস্ময়ের ঘোর কাটাতে নাম ছাড়া বাকি সব ভুলে একাকার।
বিস্ময় কেন?
অতি পরিচিত অনেককেই দেখলাম সবান্ধব একই মাঠে ঘুরে বেড়াতে,

বিস্তারিত»

মেয়েটি হৃদয়বতী ছিল না (চার পর্বের ধারাবাহিক গল্পঃ পর্ব-এক )

অফিসের কাজে শাহবাগে আসতে হয়েছিল।
কাজ শেষে কি মনে করে বই মেলার ভিড়ে নিজেকে হারাতে ইচ্ছে হল রেজার। তাই বাংলা একাডেমীর ভিতরে এখন সে। কত মানুষ। নানা রঙের মানুষ। উচ্ছল প্রানবন্ত এক একজনের আনন্দিত মুখগুলোকে দেখছে। নিজেও ভালোলাগার আবেশে ভেসে যাচ্ছে।
কয়েকজন বন্ধুর সাথে দেখা হল।
এরা নবীন লেখক। এদের সবার বই বের হয়েছে। ওদের থেকে একটি করে বই কিনলো। খুশী মনেই।

বিস্তারিত»