অভিজিৎ রায়ের খুনীদের ফাঁসি চাই

“আপনারা অবগত আছেন যে মুক্তমনা ওয়েবসাইটটির প্রতিষ্ঠাতা, বিজ্ঞান ও যুক্তি বিষয়ক বইয়ের জনপ্রিয় লেখক, আমাদের সহযোদ্ধা অভিজিৎ রায় ঢাকা সময় ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত নয়টার সময় মৌলবাদী দুর্বৃত্তদের চাপাতির আঘাতে নিহত হন। একই হামলায় সাথে থাকা তাঁর স্ত্রী লেখিকা রাফিদা আহমেদ বন্যা গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
বাংলা কমিউনিটি ব্লগ অ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে আমরা এই খুন ও হামলার তীব্র নিন্দা জানাই, খুনীদের ফাঁসি দাবি করি এবং এই খুনের সঙ্গে জড়িত সকল উসকানিদাতাদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই।

বিস্তারিত»

জবানবন্দি

মেয়ে তিনটির পরনে নামী ফ্যাশন হাউসের এক্সক্লুসিভ সালোয়ার-কামিজ । পায়ে ফ্যাশনেবল জুতো । হাতে বিদেশী ব্র্যান্ডের ব্যাগ । মেক আপে আঁকা নিখুঁত মুখশ্রী । ঈশ্বরপ্রদত্ত গায়ের রঙ,চোখের রঙ, চুলের ধরণ কিছুই আর বুঝবার উপায় নেই । তিনজনের পারফিউমের ককটেলে আশপাশের কয়েক গজ মাতোয়ারা ।

ওদের মুখ ফুটে বলতে হয়না নিজেদের সামাজিক অবস্থান সম্পর্কে । শেখ সাদীর সেই গল্পের মত পোশাক-পরিচ্ছদই জোরগলায় তা ঘোষণা করে ।

বিস্তারিত»

না-গল্প পাঁচ(ঘ) – তোড়ার কথা: ফেরা

প্রথম কিস্তি
না-গল্প পাঁচ(ক) – তোড়ার কথা: ফ্ল্যাশব্যাক

দ্বিতীয় কিস্তি
না-গল্প পাঁচ(খ) – তোড়ার কথা: শাওন-রিটা অধ্যায়

তৃতীয় কিস্তি
না-গল্প পাঁচ(গ) – তোড়ার কথা: নেপাল অধ্যায়

চতুর্থ ও শেষ কিস্তি
মায়ের বাসায় ফেসবুকের স্ট্যাটাস চেক করছে তোড়া। ঘুরেফিরে ইচ্ছা, রাশেদ কিছু দিল কিনা, সেটা জানার।
নাহ্‌ তেমন কোন কিছু চোখে পড়ে না।

বিস্তারিত»

শেষ ক’টি মুহূর্তের অভিজিৎ

ধুয়ে মুছে তৈরি হয়েছে তলোয়ার
সেজেগুজে গুঁজে গেছে কোমরে —
চারপায়ে তখন খুরের ধ্বনি,
মোবাইল বেজে উঠেছে
দিক আর নির্দেশ নিয়ে;
কীবোর্ডে অগুনতি ফলোয়ার
চাপাতি-কোপ দেবার জন্যে
নিয়ে নিচ্ছে দম

কেবল বইমেলার ধুলো পেয়েছিল টের
সেকেন্ড আগে ঢের
ওদের পা জড়িয়ে ছিল
ইনিয়ে বিনিয়ে
চেয়েছিল
আরেকটু দেরি হোক
কুশলাদি আর অটোগ্রাফ চেয়ে
আরো আসুক লোক
আরেকটু আটকে থাক
অভিজিৎ আর বন্যা

অথচ ধুলোর চেয়ে বেশি কে জানে
তা তো হবার না

এমন কি বইগুলো সব
পাতায় পাতায় অস্থির খসখস
বারংবার,

বিস্তারিত»

অভিজিৎ রায়ের মৃত্যু ও এইসব মানুষেরা

কাক কি কাকের মাংস খায়? কিংবা কুকুর কুকুরের? বহুদিন আগে আমার এক বন্ধুর প্রশ্নে কিছুটা চিন্তিত হয়ে গিয়েছিলাম। তাকে জানাই, বিষয়টা জেনে আমি জানাবো। জেনে বলতে বইপত্র ঘেঁটে নয়, কাক এবং কুকুর মানুষের খুব কাছাকাছি থাকায় চাইলেই এদের নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা যায়। আমার বন্ধু আলি খুব কাকপ্রিয় মানুষ। কাক সম্পর্কে আলিকে প্রশ্ন করতেই আলি জানায়, তুমি ভালো করে খেয়াল করে দেখো। কাকের মধ্যে ভালোবাসাবোধ অনেক।

বিস্তারিত»

বাংলাস্তান সম্পর্কিত আলাপ

[ধর্মনুনুভূতি আহত হতে পারে। ঢুইকেন না। সত্য কথা তিতা লাগবে।]

বাংলাদেশের গলিতে গলিতে চিপায় চাপায় মসজিদ। প্রতি ওয়াক্তের নামাজে দুইচারজন বুড়োমানুষ আর হুজুর ছাড়া লোক হয় না। তবে জুম্মার দিন ভিড় উপচায় পড়ে। এতোই উপচে পড়ে, যে রাস্তাঘাট সব বন্ধ হয়ে যায়। গাড়ি চলে না।

অথচ এই দেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন! ক্যামনে হইলো? যে দেশে এত ধার্ম্মিক, সেখানে দুর্নীতি হয় ক্যামনে?

তারপর ধরেন,

বিস্তারিত»

বিশেষ দিনে- অগোছালো কিছু অনুভূতি

রাতে বাসায় ফিরেই বললাম চলো কনসার্ট দেখে আসি। আমার সহধর্মিণী বলল, না অনেক রাত হয়েছে, তা ছাড়া রাতে কারোরই খাওয়া দাওয়া করা হয়নি। বাসায় আমার পরিবার ছাড়াও আমার সহধর্মিণীর আপন বড় বোন, বোন জামাই ও তাদের বড় কন্যা মানে ভাগ্নি রয়েছে।

ভাগ্নি সবে ভার্সিটিতে ঢুকেছে আর আমার ছেলে ডিজিটাল যুগের স্ট্যান্ডার্ড থ্রিতে। কনসার্ট শুনে দুই জনেই সুর মিলায়ে চোখের পলকের মধ্যে রেডি হয়ে আমার সামনে।

বিস্তারিত»

না-গল্প পাঁচ(গ) – তোড়ার কথা: নেপাল অধ্যায়

প্রথম কিস্তি
না-গল্প পাঁচ(ক) – তোড়ার কথা: ফ্ল্যাশব্যাক

দ্বিতীয় কিস্তি
না-গল্প পাঁচ(খ) – তোড়ার কথা: শাওন-রিটা অধ্যায়

তৃতীয় কিস্তি
নিজেকে আসলেই দারুন স্মার্ট হিসাবে প্রমান করেছে রিটা।
এক সন্ধ্যার পরিচয়কে পুঁজি করেই শুধু ইন্টার্নশিপই না, রাশেদের আন্ডারে বিজনেস ডেভেলাপমেন্ট ডিপার্টমেন্ট-এ কাজ করার সুযোগও পেয়ে গেছে সে।
সবার সামনে রাশেদকে স্যার বলে এবং পূর্ণ অফিস ডেকোরাম মেনে চলে কিন্তু একা থাকলে রাশেদ ভাই-কে কফি বানিয়ে খাওয়াতে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে।

বিস্তারিত»

জে সুইস অভিজিৎ-আমিই অভিজিৎ

গতকাল দুপুরে ভরপেট খেলাম। খেতে খেতে খাবারের কিছু ছবিও পোষ্ট করলাম। ফেসবুকে ঢুকে দেখি প্রিয় লেখক/ব্লগার অভিজিৎ রায় বিডি নিউজে তার একটা লেখা দিয়েছেন “কেনো কোন কিছু থাকার বদলে কিছু আছে” শিরোনামে। খেতে খেতেই কিছু অংশ পড়লাম। লেখাটিতে লাইক দিলাম। খেয়ে দেয়ে একটা ভাতঘুম টাইপ দিলাম (যদিও ভাত ছিলো না মেনুতে)।

আমাদের ব্যাচের ছেলেপেলে এই তো কদিন আগে হোয়াটস এপে একটা গ্রুপ খুলেছে।

বিস্তারিত»

অভিজিত রায়ের মৃত্যু পরবর্তী ফেসবুকীয় চোথা (টু হুম ইট মে কনসার্ন)–

অভিজিত রায়ের সাথে পলিটিক্যালি বা ফিলোসফিক্যালি আপনি এলাইনড না, আবার তার হত্যাকান্ডের নিয়ে নীরবও থাকতে পারছেন না। অতএব, অভিজিত রায়ের মৃত্যুর সংবাদে বেকায়দায় পড়ে গেছেন? তাহলে এই চোথা আপনার জন্য।
১) প্রথমেই ইহা ‘প্রকৃত’ ইসলাম না বলে ফেলুন। এবার আপনার কাজ সহজ। ইসলামের দৃষ্টিতে নন মুসলিমদের সাথে কীভাবে আচরণ করতে হবে তা নিয়ে আলোচনায় খুন ইত্যাদি অনেক দুরে নিয়ে এটাকে ইসলামী আলোচনা বানিয়ে ফেলুন।

বিস্তারিত»

না-গল্প পাঁচ(খ) – তোড়ার কথা: শাওন-রিটা অধ্যায়

প্রথম কিস্তি
না-গল্প পাঁচ(ক) – তোড়ার কথা: ফ্ল্যাশব্যাক

দ্বিতীয় কিস্তি
তোড়ার বিয়ের সময়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই তুখোড় ছাত্র শাওন যথারীতি ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্টই শুধু হয়নি, পাশ করার পরপরই ডিপার্টমেন্টে জয়েনও করে ফেলে শিক্ষক হিসাবে। অন্য বন্ধুদের মত ওর সাথেও তোড়ার বরাবরই যোগাযোগ ছিল। মাসখানেক আগে বিয়ে করেছে মোটামুটি নামি এক প্রাইভেট ইউনিভার্সিটতে পড়া অনিন্দ সুন্দরি মেয়ে রিটাকে। অবশ্যই এফেয়ারের বিয়ে।

বিস্তারিত»

না-গল্প পাঁচ(ক) – তোড়ার কথা: ফ্ল্যাশব্যাক

প্রথম কিস্তি
– তোকে এত করে বললাম, আজ অন্ততঃ রাশেদ ভাইকে যেমনে হোক ভুজুং-ভাজুং বুঝিয়ে নিয়ে আসবি? আজও একা এলি? এইডা কিছু হৈলো?
কপট না, শাওনের চোখে মুখে সত্যিকারের হতাশা ফুটে ওঠে।
তোড়া আগেও ব্যাখ্যা করেছে, রাশেদ কেন ওর বন্ধুদের এইসব গেট-টু-গেদারে আসতে চায় না। সেই খোঁড়া যুক্তির পুনরাবৃত্তি করতে আর ইচ্ছা হয় না তোড়ার। কেবলই একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে সে, আর তা দিয়েই জানায় “আমার কিছু করার ছিল না”।

বিস্তারিত»

তবু মনে পড়ে……।।

কষ্টগুলো, দুঃখগুলো ভুলে থাকতে চাই। সব সময়। তবু মনে পড়ে যায়।

২৫শে ফেব্রুয়ারী এলেই মনে পড়ে মেজর শাহনেওয়াজ ভাই আর মেজর আজিজুল হাকিম স্যারকে। পিলখানায় যাদেরকে বিনা অপরাধের খুন করা হয়েছে আরো পাঁচ ডজন অভাগা বীর সেনানীর সাথে।

আল্লাহর কাছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।

বিস্তারিত»

বাঁচতে হলে লিখতে হবে!

অনেক বছর হয়ে গেছে লিখিনা, আমিও যেন লেখা ভুলে গেছি! বারবারই লেখার কথা ভাবলে আমার হারানো ডায়েরী টার কথা মনে পড়ে, স্ট্যান্ডিং অ্যাট দি এজ পার্ট ২ এর কথা মনে পড়ে, এখকারশনের সাত দিনের যত গল্লপ মনে পড়ে। আমার মনেও নাই কি কি লিখেছিলাম। এগুলা ভাবলে আর লেখার ইচ্ছে হয় না। কিন্তু সত্যি বলতে কি, এক অজুহাত দিয়ে কত বছর নিজের থেকে পালানো যায়? সবাই নাহয় বিশ্বাস করছে,

বিস্তারিত»

না-গল্প চার : আড়াইখানা ব্রেক-আপ কাহিনী

গল্প নাম্বার – এক
একটি আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নবম শ্রেনীতে অধ্যায়নরত থাকাকালে সহপাঠি রুমমেট রুমার কাছ থেকে রাজুর ঠিকানা পেয়েছিল মিতু। রুমা তখন চুটিয়ে প্রেমালাপ চালাচ্ছে রনির সাথে আর মিতুর সাথে এমন একটা ভাব করছে যে, “এত সুন্দরি, সুকন্ঠি হয়ে কি লাভটা হলো রে তোর, যদি একটা বয়ফ্রেন্ডই না থাকলো জীবনে?”
প্রথম প্রথম ভালই যুক্তি দিয়ে নিজের অবস্থানকে শ্রেয়তর প্রমান করে ছাড়তো মিতু।

বিস্তারিত»