১৯৬৫ ইংরেজীর মার্চ মাসের শুরু, বাংলা ১৩৭১ ফাল্গুনের শেষাশেষি। ২ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত ইলেক্টোরাল কলেজ ভিত্তিক রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ফাতেমা জিন্নাহ কে পরাজিত করে পূর্ব পাকিস্তানে আইয়ুব শাহীর বেসিক ডেমোক্রেসির দোর্দণ্ড শাসন চলছে। পাক-ভারত সীমান্তে টানটান উত্তেজনা , এই যুদ্ধ লেগে গেল বলে।আব্দুল মালেকের এসব খবর নেবার জো নেই।তার ভাবনায় অন্য কিছু।
বড় দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছিল একেবারে সাধারন ঘরে। আব্দুল মালেকের অবস্হা ও তখন তাদের মতই ছিল।মেয়েরা উভয়েই প্রথম মাতৃত্বের স্বাদ গ্রহণের সময় মারা যায়।বড় ছেলে তো আর ও আগেই অকাল প্রয়াত।বাধ্য হয়ে মেধাবী মেঝ ছেলে মনু মিয়া কে কয়েক বছর পূৃর্বে প্রাইমারি স্কুলের পাট চুকিয়ে তার সাথে চাষবাসের কাজে লাগিয়ে দেন।বাপ-বেটার উদয়াস্ত পরিশ্রমে আব্দুল মালেকের অবস্হা দ্রুত উন্নতির দিকে। ফি বছর কানি কানি জমি কিনছেন। আর বছর দু’য়েক আগে পুরো এলাকায় তাক লাগানো ৪০০ টাকা দিয়ে ইলিয়টগঞ্জ থেকে সাড়ে উনত্রিশ এর বন্দকের চৌচালা টিনের ঘর কেনার আলোচনা তখন ও লোকের মুখে মুখে।পুরো পোনসাই গ্রাম এই প্রথম কোন টিনের ঘর দেখতে পেল।
মনু মিয়ার বয়স ঊনিশ পার হয়ে বিশ চলছে ।ভালো বংশের কনে পেলে বিয়েশাদী ঠিক করা যেত, আব্দুল মালেকের চিন্তায় এখন তাই ঘুরপাক খাচ্ছে। বেশিরভাগ পরিবার প্রান্তিক পর্যায়ের দরিদ্র বলে আশেপাশের লোকেরা ব্যাঙ্গ করে তাদের গ্রামটিকে হগিরা পোনাই বলে।কেউ কেউ আরেক কাঠি সরেস হয়ে ছড়া কাটে-
সকালে খাইলে বিকালে নাই,
তার নাম হইল পোনাই।
তার উপর গ্রামের মবইত্যা,আব্বাইচ্ছা আর পাইচ্চা চোর তাদের দুর্দান্ত সব চুরির ঘটনার মাধ্যমে গ্রামটিকে বিখ্যাত করে ফেলেছে।মবইত্যা চোরকে আব্দুল মালেক গ্রামের আর সবাইকে সাথে নিয়ে গ্রাম ছাড়া করে তার ভিটিতে হাল দিয়ে ধান বুনেছিল।আব্বাইচ্ছা আর পাইচ্চা কোথায় যেন চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে উত্তম মধ্যমের চোটে ইহধাম ত্যাগ করেছে।
এই ব্যাপারগুলোকে পাশ কাটিয়ে ভালো ঘরে সমন্ধ করাটা কঠিনই হবে।
আনসার আলী হাজীর ছেলে নোয়াব আলীর ঘরের প্রথম নাতনি নুরজাহান আক্তার।মাশাল্লাহ দুধে-আলতা তার গায়ের বরন।বয়স ১৩ পেরিয়েছে।মক্তবের পড়া শেষ। প্রাইমারীতে ও কিছুদিন পড়েছে।মেয়েদের এর বেশি দরকার নেই বলে ভাবছে আনসার আলী।এছাড়া তার তিনকাল এখন এককালে এসে ঠেকেছে ।বছর কয়েক আগে পায়ে হেঁটে হজ্জ করে এসেছেন।এখন নাতজামাই দেখে যেতে পারলে জীবনের পূর্ণতা হয়। একটি কর্মঠ ছেলে দেখে বিয়ে দিতে হবে।অনেক সমন্ধ আসছে বটে।কিন্ত সবকিছু মিলাতে পারছে না বলে বেশিদূর এগোচ্ছে না।
একদিন বিকেলে বগলে একটি ছাতা আর মুখে পান চিবোতে চিবোতে পোনসাই থেকে ঘটকালী করতে হাশিমপুর গেলেন আব্দুল আজিজ মিয়া।বসলেন আনসার আলী হাজীর কাছারি ঘরে, হাজী সাহেব ঘরেই ছিলেন ।ঘটক দেখে বাড়ির মহিলারা অন্দরমহল থেকে কান পেতে রয়েছেন নতুন কোন প্রস্তাব এল কি না শুনতে।একথা সেকথা বলার পর আজিজ মিয়া তার আগমনের হেতু খোলাসা করলেন।বললেন-পোনসাই এর আব্দুল মালেক তার ছেলের জন্য পাত্রী খুঁজছে, আপনার নাতনি নুরজাহান এর সাথে মানাবে বেশ ।প্রস্তাবটি আনসার আলীর বিবেচনায় ভালোই। হাটে মাঠে ছেলেটিকে তিনি এক আধবার দেখেছেন এবং যথেষ্ট পরিশ্রমী মনে হয়েছে।
অন্দরমহলে মহিলারা নিজেদের মধ্যে কানাঘুষা শুরু করে দিলেন।নুরজাহানের এক জেঠি তো বলেই ফেললেন “হগিরা পোনাই আমগো কাঁচা হলুদের লাহান মাইয়াডারে বিয়া দিতাম না, ভালা জায়গায় কি পোলা নাই না কি?”
কথায় কথায় সন্ধ্যা হয়ে এল। কনের পিতার সাথে আলাপ করে সিদ্দ্বান্ত জানানোর তাগাদা দিয়ে আজিজ মিয়া চলে গেলেন।আর ও খানিক পরে হাট সেরে নুরজাহান এর আব্বা নোয়াব আলী বাড়ি পৌঁছে সব শুনলেন।পাত্র তার পছন্দ হয়েছে, কিন্ত পাত্রের গ্রামের পরিচয় নিয়ে আপত্তি জানাতে কসুর করলেন না।
আজিজ মিয়া পোনসাই ফিরে আব্দুল মালেকের নিকট ও কনের ব্যাপারে আলাপ সেরেছিলেন। আব্দুল মালেক প্রস্তাব শুনে বললেন- “আনসার আলী হাজীর নাতনি হলে তো আর কোন কথাই নেই। জলদি পাত্রী দেখানোর ব্যবস্হা কর মিয়া।”
দু’দিন পরে ঘটক আজিজ মিয়া হাশিমপুর পাত্রীপক্ষের বাড়িতে পুনরায় হাজির । সেদিন আনসার আলী ও নোয়াব আলী উভয়ের সাথেই দেখা হল।আনসার আলী জানালেন, আমরা আগে ছেলেকে দেখি। নোয়াব আলী বলে- “ছেলে দেখে কি হবে? যে গ্রামের পরিচয় নিয়ে মানুয ব্যাঙ্গ করে এবং একটি স্কুল পর্যন্ত ও নেই, এ রকম গ্রামে মেয়ের বিয়ে দিব না।” তখন আনসার আলী বলে- ” শোন বাজান,আমাদের গ্রামকে ও অনেকে বুড়া হাশিমপুর বলে। এগুলো কোন ব্যাপার না। বরং এটাই হতে পারে ঐ গ্রামের পরিবর্তন ঘটানোর সুযোগ, যা আমার নাতনির মাধ্যমেই শুরু হতে পারে। ”
পাত্রীপক্ষ আগে ছেলে দেখবেন এই প্রস্তাবে আব্দুল মালেক রাজি।নির্দিষ্ট দিনে আনসার আলী হাজী নাতজামাই পছন্দ করতে বেশ কয়েকজন নিকট আত্মীয় ও গন্যমান্য ব্যক্তিসহ আব্দুল মালেকের বাড়ি গেলেন।খাওয়া-দাওয়া শেষে সবাই পাত্র দেখানোর তাগাদা দিতে লাগলেন।এরই মধ্যে মনু মিয়া মাত্রই ভাঁজ খোলা নতুন চেক লুঙ্গি আর নতুন চেক ফুলহাতা শার্ট পরে মেহমানদের জন্য পানদানিতে সাজানো পান নিয়ে উপস্হিত সকলের উদ্দেশ্যে লম্বা এক সালাম ঠুকে তার উপস্হিতি জানান দিলেন।
মেহমানরা প্রায় সকলেই সমস্বরে সালামের উত্তর দিয়ে পাত্রের দিকে তাকালেন।একজন নাম জানতে চাইলে নিচু কিন্তু বলিষ্ঠ কন্ঠে উত্তর এল-” মোহাম্মদ মনু মিয়া”।কুরআনের একটি আয়াত শুনতে চাইলে তা তিলাওয়াত করে শোনালেন।ধর্মীয় এবং অন্যান্য অনেক কিছুর সাথে মুরুব্বীগণ যে বিষয়ে বেশি জানতে চাইলেন তা হল সংসার ও চাষাবাদের কাজে প্রয়োজনীয় হিসাব-নিকাশ এবং পাত্র তা যথাযথভাবে বলতে পারায় উপস্হিত সবাই পাত্রকে আনন্দচিত্তে বিদায় জানিয়ে আব্দুল মালেকের কাছে তাদের পছন্দের কথা নিশ্চিত করলেন।সেইসাথে পাত্রী দেখার আমন্ত্রণ জানালেন।পাত্রপক্ষ ও আমন্ত্রণ গ্রহণের কথা সানন্দে জানিয়ে দিলেন।
দিন তিনেক পর পাত্রপক্ষ কনে দেখতে হাশিমপুর আনসার আলী হাজীর বাড়ি গেল।ঘটক আজিজ মিয়া যে কনে সম্পর্কে কিছুই বাড়িয়ে বলে নি তা কনে দেখে সবাই স্বীকার করলেন।শুভ কাজে দেরি করতে নেই,তাই সেদিনই পাকা কথা হয়ে গেল উভয় পক্ষের মধ্যে।বিয়ের দিন ধার্য করা হল ২৯ ফাল্গুন, ১৩৭১ (১৩ মার্চ ১৯৬৫ ইংরেজী, ৮ জিলকদ ১৩৮৪ হিজরী)।
সেই ২৯ ফাল্গুন ১৩৭১ বাংলায় নুরজাহান আক্তার এর নাম বদলে হয়ে গেল নুরজাহান বেগম।মোহাম্মদ মনু মিয়া-নুরজাহান বেগম দম্পতি ৫ ছেলে ২ মেয়ের জনক জননী হয়েছেন।নিজেরা অতটা পড়ালেখা করতে না পারলে ও চেষ্টা করেছিলেন সন্তান-সন্ততির পড়ালেখা যেন ঠিকঠাক মতই হয়।তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম সত্ত্বে ও গ্রামের পারিপার্শ্বিকতার কারণে কাংখিত সাফল্য অর্জন করতে পারেন নি। যা এই গ্রামের অন্যান্য পরিবারের ক্ষেত্রে ও ঘটছে।
আজ ২৯ ফাল্গুন ১৪২১ বাংলা। মোহাম্মদ মনু মিয়া- নুরজাহান বেগম দম্পতির ৫০ তম বিবাহবার্ষিকী। তাঁরা উ্রভয়েই এই বছর হজ্জব্রত পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।তাদের শারীরিক সুস্হতা যেন বজায় থাকে সবাই এই দোয়া করবেন।যাতে সহি সালামতে পবিত্র হজ্জ সম্পন্ন করতে সক্ষম হন।
আর আমি তাদের চতুর্থ সন্তান মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম গ্রামের সার্বিক পরিবর্তন সাধনের লক্ষ্যে মেধাবী দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের চলমান সহায়তা প্রকল্পের পাশাপাশি পোনসাই গ্রামকে মাথায় রেখে নতুন কিছু প্রকল্পের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। প্রকল্পসমূহ-
১.পোনসাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা
২.কর্মপুঁজির ব্যবস্হা করে ভিক্ষা, চৌর্য ও গণিকা বৃত্তি নিরোধ
৩.দরিদ্র,এতিম ও ব্রোকেন ফ্যামিলি সন্তানের শিক্ষাব্যয় নির্বাহ
৪.দরিদ্র বিবাহযোগ্যা মেয়েদের বিয়ের ব্যয় নির্বাহ
৫.দরিদ্র বয়স্ক,বিধবা,স্বামী পরিত্যক্তা,প্রতিবন্ধীদের সহায়তা
৬.কর্মমুখী আধুনিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পাঠ প্রস্তুতি কেন্দ্র, মোরালিটি এন্ড প্যাট্রিওটিজম কাউন্সেলিং সেন্টার , মসজিদ, পাঠাগার, স্বাস্হ্য ক্লিনিক কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা।
২ থেকে ৫ নম্বর প্রকল্পগুলো যাকাতের অর্থ দিয়ে অতি অল্প সময়ের মধ্যে সহজেই বাস্তবায়ন সম্ভব যদি আপনারা আপনাদের মালে নেসাবের উপর অর্পিত যাকাতের সঠিক পরিমাণ হিসাব করে তা থেকে উল্লেখযোগ্য একটা অংশ এসব প্রকল্পগুলোতে প্রতি বৎসর দান করেন।
১ এবং ৬ নম্বর প্রকল্পগুলো আপনাদের সদকায়ে জারিয়াহ হিসেবে দানের অর্থ দিয়ে ধাপে ধাপে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বাস্তবায়ন করা যাবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ইতোমধ্যে উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছি বিদ্যালয়বিহীন গ্রামটিতে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্হাপনের। কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় আগে থেকেই বিরাজমান দারিদ্র্যের পাশাপাশি শিক্ষার অত্যধিক নিম্নহারের প্রভাবে গ্রামটি বর্তমানে নানাবিধ অপরাধীর আবাসস্হল হিসেবে পরিচিত। যা আজ ও আমাদের গ্রামের পরিচয় সংকটের কারণ, সেই ৫০ বছর আগেকার মতোই।
ইতোমধ্যে ৩০ ডেসিমেল জমি সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর দানের অঙ্গীকারনামা প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে অনুমোদনের জন্য জমা দেয়া হয়েছে।জমিটির ক্রয়মূল্য, মাটি ভরাট, রেজিস্ট্রি ও বিবিধ খরচ মিলিয়ে সর্বমোট ১৭.৪ লক্ষ টাকার প্রয়োজন।তন্মধ্যে ৪ লক্ষ টাকা জমির মালিক কে এই পর্যন্ত দিতে পেরেছি। সাকুল্যে ঘাটতি ১৩.৪ লক্ষ টাকার।যার সংস্হান করতে হবে আগামী মে মাসের মধ্যে।
মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবার পর জমিটি সচিব মহোদয়ের অনুকূলে দানের প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।এরপর মাটি ভরাটের কাজ শেষ করে ভবন নির্মাণের উপযোগী করে দিতে হবে।তারপর সরকার অবকাঠামো নির্মাণ করে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করবে।
আমার একার পক্ষে প্রয়োজনীয় আরো ১৩.৪ লক্ষ টাকার ভার বহন এক কথায় অসম্ভব ব্যাপার।কিন্ত একটি গ্রামের পরিচয় সংকট উৎরানোর এই যুদ্ধে আমাকে জয়ী হতেই হবে।অন্যথায় আগামী ৫০ বছর পরে ও গ্রামটিকে অবজ্ঞার চোখেই দেখা হবে।যা কিঞ্চিৎ শিক্ষার সুযোগ পাওয়া ব্যক্তি হিসেবে আমার জন্য সত্যিই লজ্জাকর। আপনাদের সানুগ্রহ সহযোগিতাই পারে একটি গ্রামের সম্মানজনক পরিচিতি আনয়নের কার্যকরী প্রচেষ্টা হিসেবে আমার এই উদ্যোগ সফল করে তুলতে।আপনাদের এই অবদান হবে সদকায়ে জারিয়াহ।
জানেন তো? হজরত আবু হোরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত প্রিয় নবী সাঃ এরশাদ করেছেন, মানুষ যখন মৃত্যুবরণ করে তখন তার আমলের দরজা বন্ধ হয়ে যায়। শুধু তিনটি আমল জারি থাকে-
(১) সদকায়ে জারিয়াহ
(২) উপকারী জ্ঞান এবং
(৩) নেক্কার সন্তান যে দোয়া করবে।(বোখারি ও মুসলিম)
আর মৃত্যু কতদূর ? সে তো ১২ জানুয়ারি ১৯৯৫ সালে শিল্পকলার একটি গানের অনুষ্ঠানে সত্তর ও আশির দশকে দেশীয় পপ সঙ্গীতের পথিকৃত ফিরোজ সাঁই গাইবার মুহূর্তেই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রমাণ দিয়েছেন –
“এক সেকেন্ডের নাই ভরসা
বন্ধ হইবে রঙ তামাশা
চক্ষু মুদিলে –
হায়রে দম ফুরাইলে।।”
ভালো প্রচেস্টা ... অনেকেই একরম অবস্থায় লেগে যান মসজিদ, মাদ্রাসা এইসব নির্মানে, তার চাইতে স্কুল বা কর্মমূখী শিক্ষার (ভোকেশনাল ট্রেনিং) ব্যবস্থা বা ৪-৫ নম্বর প্রকল্পগুলোর ফল অনেক বেশী।
সমস্যাটা হচ্ছে দৃষ্টিভঙ্গির। আপনার দৃষ্টিটা শুধু এই পৃথিবীর দিকে, এই জীবনের দিকে নিবদ্ধ। একজন বিশ্বাসী শুধু তার ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার জীবন নিয়ে ভাবে না, তার কাছে চিরস্থায়ী পরকালটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাই মসজিদ, মাদ্রাসা ইত্যাদিতে ও কর্মমুখী শিক্ষার এবং জীবনঘনিস্ট(এই জীবন ও পরবর্তী জিবনের) শিক্ষার চিন্তা করা যায়। তাতে এই ধরনের চেষ্টাগুলো ব্যাক্তিমানুষের অনেক কল্যাণ বয়ে আনবে এই দুনিয়া ও পরকালে।
ভাল উদ্যোগ।
আশা করি সফল হবেন।
সিসিবির রেওয়াজ অনুযায়ি নাম বাঙলায় করে দিন সাথে কলেজে অবস্থান কাল টাও দিয়ে দিন।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমিও আশাবাদি "পোনসাই বদলাবেই"
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.