আইডিয়াটা পেলাম এহসানের সাথে কথা বলার সময়ে।
কোন এহসান? কিসের কথা??
তখনও জানি না কোন এহসান। ওয়াপদা মাঠে XCL-এর ফাইনাল দেখছি। হঠাৎ এসে নিজ থেকে পরিচিত হতে চাইলো একজন। নাম, ক্যাডেট কলেজ ও পাসিং ইয়ার বলে এমন পরিচিত ভাবে কথা বলা শুরু করলো যে বিস্ময়ের ঘোর কাটাতে নাম ছাড়া বাকি সব ভুলে একাকার।
বিস্ময় কেন?
অতি পরিচিত অনেককেই দেখলাম সবান্ধব একই মাঠে ঘুরে বেড়াতে, সন্তপর্নে চোখাচোখি এড়িয়ে, যদি আবার “ভাইয়া কেমন আছেন” বলে বসতে হয়? সেখানে অপরিচিতরা তো আরও নিরাপদ কোন পরিচয়ের ঝুট-ঝামেলায় না জড়াতে হলে। এই যখন পরিস্থিতি, তখন নিজে থেকে এগিয়ে এসে যেচে কেউ পরিচিত হবে, এমনটা “লিস্ট অব এক্সপেক্টেশনে” অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
আর পরিচিতি কিসের?
এখানে মানে সিসিবি-তে আমার লিখালিখি পড়েছে। বললো, সে নাকি একসময় দুহাতে লিখতো। আজকাল লিখালিখিতে নাই। তবে সিসিবিতে ঢুঁ মারাটা এখনো চালিয়ে যাচ্ছে অভ্যাসবসতঃ। আর তা থেকেই নাকি আমার লিখালিখির সাথে পরিচিতি গড়ে উঠেছে। এই ব্লগ লিখার আইডিয়াটা এর পরের আলাপেই খোলাসা হতে শুরু হলো।
বললো, “আপনি যে অন্যদের লিখার / ব্লগের উপরে লিখেন, যে কমেন্টগুলো করেন, ওগুলো বেশ এনজয় করি।
ভেবে দেখলাম, নিকট অতীতে, সাবিহা জিতুর একটি গল্প নিয়ে ব্লগ লিখেছিলাম একখানা। আর হ্যাঁ, অন্য অনেকের লিখা নিয়েই বড় বড় কমেন্ট করেছি অনেকবার। তবে এগুলো যে কারো আগ্রহের কারন হতে পারে, সেটা আগে ভাবি নাই। এহসানের কথা শুনে তাই বেশ উৎসাহ পেলাম। মনে হলো, “তাই তো, এই কাজটা তো আরও একটু করাই যায়। তাছাড়া ব্লগ নিয়ে ব্লগ লিখাটা মোটামুটি নতুন একটা বিষয়ও বটে…
যেই ভাবা, সেই বসে পড়া কলম থুক্কু কী-বোর্ড নিয়ে।
তবে প্রথম সমস্যা – কাকে রেখে, কাকে নিয়ে শুরু করি?
আর দ্বিতীয় সমস্যা – কোথা থেকে শুরু করি?
মধুর সমস্যা, সন্দেহ নাই। ভাবলাম যাঁদের নিয়ে এই লিখালিখিটার সুত্রপাত, তাদের ব্লগ নিয়েই না হয় শুরু হোক ব্লগের ব্লগ। আর তা তাদের প্রথম ব্লগ দিয়েই।
সাবিহার লিখার লিঙ্ক পাওয়াটা কোন সমস্যা না। আমার ব্লগ খুজেও পাওয়া যাবে, আবার ক’দিন আগে ওর একটা ব্লগও এসেছিল। কিন্তু এহসানকে পাবো কি করে? CCB-র ব্লগার এহসান, এ ছাড়া যে আর কিছুই জানি না!!!
অগত্যা গুগলের সরনাপন্ন হলাম ঐ মাত্র দুই পিস ইনফরমেশন নিয়ে। গুগল সাহেব অত্যন্ত সজ্জন। ঐ দুটো ইনফরমেশন থেকেই জনৈক এককলিন ডাকসাইটের সিসিবি-ব্লগার এহসান-কে খুজে দিলেন। ঠিক এহসানকে না, তার দুচারটে লিখাকে।
আর সেখান থেকে তার পেইজ বের করা, পরিচিতি বের করা, প্রথম ব্লগ বের করা – ইত্যাদি সবই হয়ে পড়লো কেবলই বা হাত কি খেল, রে পাগলা…
জানলাম, কাজী এহসানুল হক হলো সিলেট ক্যাডেট কলেজের ৮৯-৯৫ ব্যাচের এক্সক্যাডেট।
২০০৮-এর নভেম্বর থেকে ব্লগ লিখছে। তবে ২০১২-র ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৪৭টি ব্লগ লিখে ক্ষান্ত দিয়েছে। গত তিন বৎসরাধিককাল আর কোন ব্লগ লিখে নাই, অন্তত সিসিবিতে।
কারন জানতে আরেকটু ভিতরে ঢুকলাম। দেখলাম, প্রথম ১২-১৩ মাসে যেখানে ৪০-এর বেশী ব্লগ লিখা হয়েছে, সেখানে পরবর্তি ২৬-২৭ মাসে লিখা ব্লগের সংখ্যা ৫-৬ টি!!!
আর এরপরে একেবারেই ফুলস্টপ।
আমার জানা বেশির ভাগ লেখকেরই এই অবস্থা। কিছুদিন ঝড়ের মত লিখালিখি, এরপরে হয় ফুলস্টপ না হলে সেমি কোলন বা কমা।
ভাবলাম, একটু অনুসন্ধান করে দেখি।
খুব গভীর কোন অনুসন্ধান না, হালকা ধরনের খোঁজাখুঁজি।
যেটা মনে হলো, দুটো জিনিষ কাজ করে থাকবে হয়তো:
১) প্রথম প্রথম লিখা, তাই বিষয়ের কোন অভাব নাই, লিখায় কোন ক্লান্তি নাই, আর ভুল না ঠিক লিখছি তা নিয়েও কোন জাজমেন্ট নাই। হানিমুনের মত। কিন্তু হানিমুন শেষে নিজেই নিজের ক্রিটিক হয়ে ভাবতে বসা: কি এসব লিখে যাচ্ছি, ঘুরে ফিরে একই জিনিষ? এত দিন ধরে লিখছি উন্নতি কি কিছু হলো? ইত্যাদি।
২) সেই সময় ভালোই জমজমাট ছিল সিসিবির ট্রাফিক। ছোট খাটো আট পৌড়ে লিখায়ও শত কমেন্ট পড়ে যেত। আর তা কয়েক ঘন্টায়। এর অনেকগুলোই আবার লিখার সাথে সম্পর্কহীন আলাপচারিতা। এবং তুলনামুলকভাবে নবিনতরদের মধ্যে। অনেকটা ই-আড্ডা জাতীয় বিষয়।
এইক্ষেত্রে হাইপোথিসিস হলো, ওরা মানে নবিনরা যখন থেকে আড্ডা দেয়ার জন্য আরও কনভিনিয়েন্ট বিকল্প প্ল্যাটফর্ম পেতে শুরু করে, প্রকৃতির নিয়মে ওখানে চলে যেতে শুরু করে। এখনকার হিসাবে সেই ধরনের বৃহত্তম প্ল্যাটফর্ম তাই ইসিএফ। যেখানে আড্ডা বেশী, আলাপ হালকা, আবার প্রথম পাতায় দুইটার বেশী দেয়া যাবে না – এমন কোন রেস্ট্রিকশনও নাই। পোস্টিং করা ও দেখা অনেক অনেক হ্যান্ডি।
এই ব্যাকড্রপে সাবিহার ব্লগ বিত্তান্ত বিশ্লেষনেও প্রবৃত্ত হলাম। যা পেলাম তা নিম্নরূপ:
১) মোট ব্লগ – ৩৩টি
২) শুরু – ১০ জুন ২০১০, শেষ পোস্ট – ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। এখনো চলছে, তবে বেশ থেমে থেমে। ৫৬ মাসে ৩৩টা হতে দেড়-দুমাস পরপর একটা হওয়া উচিৎ ছিল, কিন্তু তা হয়নি।
৩) যা হয়েছে:
– প্রথম মাসে ৫টি,
– প্রথম তিন মাসে ১২ টি,
– প্রথম ৭ মাসে ২৩টি,
– এরপর ছ’মাস বিরতি দিয়ে পরের তিন মাসে ৩টি
– আবার চার মাস বিরতি দিয়ে পরের পাঁচ মাসে ৩টি
– এরপর ২৭ মাস মহা বিরতি
– তারপরে ফিরে ছয়মাসে ৪টি
দেখা যাচ্ছে প্রথম বছরের “হানিমুনিং” হাইপোথিসিসটা এইক্ষেত্রেও ভালোই যায়। এর পাশাপাশি ট্রাফিক কমে যাওয়া, কমেন্টের সংখ্যায় ভাটা পরার পাশাপাশি অন্যত্র (যেমন ফেসবুকে) বেশী জড়িয়ে পড়াটা সময়ের টান ফেলে দিতে ভুমিকা রেখে থাকবে হয়তো।
বিরতি কালিন সময়ে সাবিহা যে সিসিবিতে ছিল না, তা না। কমেন্ট করেছে তার মানে পড়েছেও কিন্তু লিখে নাই। আর লিখা একেবারে ছেড়ে দেয়ার পর এহসান যে এখনও নিয়মিত পাঠক, সেতো আমাকে চেনে দেখেই বুঝলাম।
এইবার দুটো স্পেসিফিক প্রথম পোস্ট নিয়ে একটু আলাপচারিতা করি, কেমন?
প্রথমেই ২০০৮-এ এহসানের “পিতা হবার অনুভূতি” নিয়ে লিখা ব্লগটা নিয়ে।
এখনকার দিনে আমার মনে হয় না খুব বেশী কেউ এই বিষয়ে ব্লগ তাও প্রথম ব্লগ লিখার কথা ভাববে। বরং অনেক সহজ হলো, ফেসবুকে একটা ওয়ান লাইনার আর গুটি কতক ছবি ছেড়ে দেয়া।
কাজটা অনেক সোজা আবার সার্কুলেশন ও ইন্টারএকশন অনেক অনেক বেশী ইফেক্টিভ।
এইধরনের ডে-টু-ডে ঘটনাগুলো আজকাল ব্লগের টপিক থেকে বাদ হয়ে স্ট্যাটাসে পরিনত হয়েছে। এটা ব্লগের ডানা ছেটে দেয়ার মত একটা ব্যাপার। এরপরেও এই বিষয়ের উপর ৩৭টা কমেন্ট আসে যার ৩৫টাই প্রথম কয়েক ঘন্টায়। আজকের দিনে এটা ভাবা যায়?
তবে তারমধ্যে ৯-১০টি অবশ্য বিষয় ভিত্তিক বা অভিনন্দন জানিয়ে আর বাকি গুলো আড্ডাসুলভ।
দেখা যাচ্ছে, ব্লগ হলেও আড্ডাবাজিই ছিল পার্টিসিপেন্টদের অনেকেরই আসল উৎসাহের জায়গা। আর এরা যখন এইজন্য ক্রমান্বয়ে অন্যত্র চলে যেতে শুরু করে, লেখকের উৎসাহ হারানোটা হয়ে পড়ে সময়ের ব্যাপার।
সাবিহার প্রথম লিখাটি ছিল ছোট্ট ক্যানভাসের স্মৃতিচারনামূলক। লিখাটা মিষ্টি, কমেন্টও শতাধিক। তবে ঐ একই সমস্যা, বেশির ভাগই আড্ডাচ্ছলে।
আমি বলছি না যে ব্লগে আড্ডা দেয়াটা হারাম। তবে সমস্যা হলো ব্লগে বসে আড্ডা দেয়ার চেয়েও অন্যত্র আড্ডা দেয়ার ভাল অপশন যখন এসে যায়, তখন আড্ডার জন্য যারা ব্লগে ঢুকেছেন, তাঁদের সময়ের টানা-পোড়েনে তো পড়তেই পারে, তাই না? সেক্ষেত্রে ব্লগ ছাটাই ও আড্ডায় মনযোগ হয়ে পড়ে প্রধান প্রায়োরিটি।
লেখকেরা এইক্ষেত্রে দুটো প্রতিকুলতার মুখে পড়েন
১) ব্লগাকারে অনেক কিছু লিখে ফেলে, বিষয়ের টানে পড়া, এর পাশাপাশি
২) পাঠক কমতে দেখে নিজের লিখার ক্ষমতা আকর্ষনহীন হয়ে পড়লো কিনা, সেই সংশয়ে পড়া।
সব দেখে শুনে জানতে ইচ্ছা হচ্ছে, ঝড়ের মত জায়গা করে নেয়া বাংলা-ব্লগ কি তাহলে অপ্রয়োজনিয় হয়ে উঠছে?
প্রথম অবজার্ভেশন হলো এনগেজমেন্টের অভাব। একটা ব্লগ টপিক আর পোস্ট বের হতে বেশ অনেকটাই এফোর্ট দিতে হয় ... আর সেখানে পাঠকের সাথে এনফেজমেন্ট যদি শুধু কয়েকটা ভালো হয়েছে, বা ইমোটিকন হয় তাহলে এফোর্টের আগ্রহ কমারই কথা। যদিও সব বা অনেক বিষয় অনেকটাই 'নিশ' হওয়ার কারনে সবার পক্ষে অংশগ্রহনও সম্ভব না।
মাইক্রোব্লগিং জাতীয় একটা প্লাটফর্ম দরকার। সবসময় একটা 'ফুল' সাইজ ব্লগ লেখার বিষয়ের অভাব থাকে, বা বিষয় হয়তো এতটা ব্রড না যে সেখানে একটা ব্লগ লেখা যাবে (যেমন ধরেন আজকের বিশ্বকাপ ম্যাচে বিজয়)। মাইক্রোব্লগ জাতীয় প্লাটফর্মে অনেকে মিলে একটা মোটামুটি কমপ্লিট ব্লগ / আলোচনা করা যায়। উদহারন দেই: হয়ত আপনি ঢাকাকে দুই ভাগে ভাগ করার সংবাদ বা সমস্যা নিয়ে শুরু করলেন - অন্যরা এসে সেখানে একটু একটু করে ইনপুট দিয়ে 'এ্যাকশনেবল' সমাধান নিয়ে আলোচনা করতে পারে। এমনিতে লেখককেই এইসব নিয়ে গবেষনা করতে হতো। জাস্ট এ্যান আইডিয়া।
সিসিবিতে অনেক লেখকই আছেন, হয়ত সময়ের অভাবে, বা এনগেজমেন্টের অভাবে আগ্রহ পাচ্ছেন না।
ভাল বলেছো।
শুধু লিখতেই না, ব্লগ পড়তেও অনেক এফর্ট দিতে হয়।
তাছাড়া সব মিডিয়াতে সব ব্লগ এক্সেস করাটাও একই রকমের কনভনিয়েন্স নাই।
অন্য সহজ অপশনগুলার তাই জয়জয়কার...
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
ফেসবুক সব কিছু খেয়ে ফেলছে। এছাড়া যারা ফেবুর বড় পোষ্ট এড়াতে চান তারা বিচরণ করেন টুইটারে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় ব্লগিং এর প্রয়োজনীয়তা সহজে ফুরোবেনা। কিন্তু আপনি যেমনটি বলেছেন, হানিমুন পিরিয়ড শেষ হয়ে গেছে। একারণে আগের সেই জনপ্রিয়তা নেই। তবে ফেসবুকও অবশ্যই একটা কারণ। এখানে যারা একটিভ না, তারা কিন্তু ফেসবুকে ঠিকই তিনবেলা খাই দাই এর মত আড্ডা দিচ্ছে, বড় বড় স্ট্যাটাস আপডেট দিচ্ছে।
আমার মনে হয় মাইক্রোব্লগিং এর আইডিয়াটা ভালো। এটা কীভাবে ইমপ্লিমেন্ট করা যেতে পারে সেটা ঠিক করে সিসিবি তে একটা ট্রাই নেয়া যেতে পারে।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
রাজীব ও জিহাদের কমেন্টের উপরে একসাথেই রেসপন্স করছি।
ওয়েব-লগ অর্থে যে ব্লগিং, তার প্রয়োজনিয়তাটা তো আসলেই ফুরোবার মত কিছু নয়। সেটা টিকে থাকবেই, কেউ পড়ুক বা না পড়ুক।
কিন্তু "বাংলা-ব্লগ" অর্থে বিপুল পার্টিসিপেশন সম্বলিত একধরনের ই-আড্ডার একটা কালচার যে গড়ে উঠেছিল, সেটা যে ফেসবুকিয় কনভিনিয়েন্সের দাপটে ম্রিয়মান, সেটা বলা বোধ হয় অত্যুক্তি হবে না।
ফেসবুকে, বিশেষ করে ফেবু গ্রুপগুলোতে এই ইন্টারএকশনের ব্যাপারগুলো এতই প্রবল হয়ে ওঠে চোখের পলকে যে সেই নেশা এড়ানো কঠিন। আর তার টান এতই প্রবল যে ডিসএডভান্টেজের কথাও তখন মনে আসে না।
খুব বড় কোন ডিসএডভান্টেজও যে, তা না - তবে আছে। এই যেমন আর্কাইভিং সমস্যা, ট্র্যাকিং সমস্যা, এইসব আর কি......
আড্ডায় যেখানে বর্তমানই মুখ্য, সেখানে ঐসব ফিউচারিস্টিক ব্যাপারে কারই বা কি এসে যায়!!
তবে ব্লগ মানেই গুরু গম্ভীর ও গবেষণাধর্মি কিছু একটা হতেই যে হবে, এমন তো আর না। তাই এটা স্ট্যাটাস আর ওটা ব্লগ এমন না ভাবলেই সমস্যা চুকে যেত যদি ব্লগে ভাল (সংখ্যায়) পার্টিসিপেশন থাকতো।
ফেবু যতই ইন্টারএকটিভিটি-ফ্রেন্ডলিই হোক না কেন, আর্কাইভিং-এর জন্য ও সার্চ ফ্যাসিলিটির জন্য ব্লগের তুলনায় এটা কিছুই না।
আমি অবশ্য এ দুটোর কোন ব্লেন্ড পেলে অনেক খুশি হতাম। দেখা যাক সেরকম কিছু পাই কিনা.........
আর হ্যাঁ, ইমোটিকনের ব্যাপারে ইফতেখারকে যা বলার ছিল,
আমার কিন্তু ইমোর ব্যাপারে কোন প্রিজুডিস নাই। হাতের কাছে আর কোন রেডি অপশন না থাকলে পাঠক ইমোই দিক না, মন্দ কি?
পড়ে কিছুই না করে বসে থাকার চেয়ে নগদে ইমো দেয়াটা তো ঢেঁড় ভাল, তাই না? সময় সুযোগ মত পরে কিছু লিখে দিলেই হলো...... (সম্পাদিত)
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
🙂 🙂
বহুদিন পর ব্লগ বাড়িতে বেড়াতে আসা হলো আমার। টিমটিম করে জ্বলতে থাকা সিসিবি আবারো আলো ছড়াক আগের মতো এই প্রত্যাশা আমার নিত্যদিনের।
ফেইসবুকের আগ্রাসন থেকে মুক্তি পেতে আমাদের ব্লগের কাছেই ফিরে আসতে হবে একদিন!
ঝরঝরে চমৎকার লেখা বরাবরের মতোই!
বাহ, দারুন বলেছো তো আপু।
তোমার লিখা দেখার আশায় অপেক্ষা করছি কিন্তু।
কবে দিচ্ছো?
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
যতটুকু বুঝেছি এই সিসিবির এখনো পাঠক সংখ্যা একেবারে কম নয়। কিন্তু এদের সবাই নীরব পাঠক এবং অবাক করা ব্যাপার হলেও সত্য, এদের অধিকাংশ ক্যাডেট কলেজের নয়। আমার মত ফাঁকিবাজি দিনলিপি লেখকের ভক্ত যেহেতু পেয়েছি এই সংখ্যাটা আরো অনেক বড়। এই পাঠকেরা বেশীরভাগ সময় মন্তব্য করেন না বা করতে গিয়ে ঝামেলায় পড়েন। সে তুলনায় ফেইসবুক অপেক্ষাকৃত সহজতর। আর্কাইভিং এর সমস্যা ফেইসবুকে থাকলেও তা নগদ বিনোদনের কাছে ধোপে টিকে না। এছাড়া শাহবাগ আন্দোলনে আর যার যে লাভ কিংবা ক্ষতি হোক, ব্লগিং বিষয়টার বেশ বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে। ধর্মের দোহাই দিয়ে ব্লগের বিরুদ্ধে যেই পরিমাণ বিষোদগার করা হয়েছে সেটার ধাক্কা এখনো সামলে উঠতে পারে নাই। মাইক্রোব্লগিং এর চেষ্টা করা যেতে পারে কিন্তু সে জন্য আগ্রহী লেখকতো লাগবে।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
"যতটুকু বুঝেছি এই সিসিবির এখনো পাঠক সংখ্যা একেবারে কম নয়।"
- খুব যে বেশি তাও না। বেশির ভাগ সময়েই ২-৪ জন মেম্বার আর ১৫-২০ জন গেস্টের উপস্থিতি দেখি।
মেম্বাররা অনেকেই হয়তো লগ-ইন ছাড়াই পড়ে এবং বেরিয়ে যায়।
"আমার মত ফাঁকিবাজি দিনলিপি লেখকের ভক্ত যেহেতু পেয়েছি"
- ভক্ত পাঠক কিছু আছে, কিন্তু তাঁদের সংখ্যা কম ও প্রকাশনা আসার ব্যাপারটা জানানোর পদ্ধতিটা খুব সোজা না।
বিনোদনের ব্যাপারে ফেবু ভিত্তিক সার্ভিস অনেক এগিয়ে সেটা তো ঠিক, কিন্তু বিনোদনে একটা সময়ে ক্লান্তি যে আসবেই এই পূর্বাভাস দিয়ে রাখলাম।
সৃষ্টিশীল কাজে কখনো ক্লান্তি আসে না, আবার বিনোদনও হয়। তাই আমার মনে হয়, অনেককেই আবার ব্লগে ফিরে আসতেই হবে।
শাহবাগ আন্দোলনের সময় থেকে ব্লগার টার্মটা সাধারনের মধ্যে গালাগালির পর্যায়ে নামিয়ে আনাটা ব্লগিং নিরুতসাহিত করার অন্যতম একটা কারন হিসাবে উল্লেখ করাটা দারুন ছিল।
এই অবজারভেশনের সাথে সম্পুর্ন একমত।
মনে পরে, সেই সময়, "আমার কাছেই ব্লগার কথাটার মানেই হলো নাস্তিক" এই কথাটা তৃতীয় বার বলার পর আইবিএ থেকে পাশ করা আমার এক "উচ্চশিক্ষিত" আত্মীয়কে শুধু ব্লকই না, তার সাথে চিরজীবনের মত সম্পর্কচ্ছেদ করে ফেলেছিলাম।
আমি আশাবাদি যে ব্লগের সৃষ্টিশিল দিক আর আর্কাইভিং ইফেক্ট একটা সময় বিনোদনের উপরে প্রাধান্য পাবে।
অপেক্ষা করে দেখি, কি হয়.........
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
সালাম ভাইয়া।
লেখাটা অনেক ভালো লাগলো। বিষয়টা নিয়ে আমার নিজের কিছু অবজারভেশন আছে, আরো কিছু ব্যাপারও বলবার আছে। মনে মনে একটু গুছিয়ে নিয়ে আবার ব্যাক করবো। আপাতত ইটা রেখে গেলাম।
ধন্যবাদ আমিন।
তোমার অবজারভেশনগুলো জানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
ইটা পাহারা দিয়ে রাখলাম, কেউ সরাবে না।
গুছিয়ে ফিরে এসে জানিয়ো সব কিছু...
🙂 🙂 🙂
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
দারুন, পুরোনো আমিন ফিরে এসেছে তার স্বভাবসিদ্ধ ব্যস্ততা স্বত্বেও 😀
পারভেজ ভাই,
আমার সাথে বসে যান আমিন কবে তার অবজার্ভেশন নিয়ে আবার হাজিরা দেয় তার জন্য 🙂
চামে কই- অবজার্ভেশন আছে আমারও কয়েকটা। পরে একদিন কমুনে .........
আপাততঃ আমিনের ইটার উপরে আরেকটা ইটা
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আমিনের অবজার্ভেশন তো এসে গেছে, মাহমুদ।
তোমারটা কবে পাচ্ছি???
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
বাংলা ব্লগোস্ফিয়ারে আমার চলাফেরা মোটামুটি সাত বছর সময়কাল ধরে। মাঝে অনেক সময় খুব নিয়মিতভাবে ফলো করেছি, অনেকটা সময় সুযোগের অভাবে খুব কাছ থেকে ফলো করা হয় নি, আর এখন ইচ্ছাকৃতভাবেই ভার্চুয়াল একটিভিটি থেকে দূরে থাকি। সিসিবি প্রসঙ্গ যখন আসল এর সাথে অনেকটা সময় থাকার কারণে এক ধরণের আবেগ জড়িয়ে আছে। সিসিবির একদম জন্মলগ্নে না থাকলেও প্রায় শুরুর দিকে (মানে সিসিবির ব্লগার যখন ৩০ এর মত ছিলো) এখানে আসি আবার হারিয়েও যাই। তবে তার পরে একটা দীর্ঘ সময় এখানে খুব একটিভ থাকতাম, সেই সময়ে এই ব্লগে একটিভ লোকের সংখ্যাও কম ছিলো না। সিসিবির সেই সময়টাকে সম্ভবত সবাই মিস করে। এখন কথা হলো কেন এই ট্রাফিক শূন্যতা? এর পিছনের কারণ গুলো ব্যাখ্যা করবার আগে মূল প্রবণতাগুলোকে আমি দুটো ভাগে ভাগ করতে চাই। একটা হলো হলো, জেনারালাইজড প্রবণতা, আরেকটি হলো সিসিবির কেস স্পেসিফিক প্রবণতা।
প্রথমেই বলে নেই জেনারালাইজ প্রবণতা।এই প্রবণতা আসলে শুধু সিসিবি নয় বরং সকল বাংলা ব্লগের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। প্রথমত ব্লগে মানুষ আসলে কী লেখে? সেটা নির্ভর করে মানুষের কমফোর্ট জোনের উপর। এখানে হতে পারে বিজ্ঞান নিয়ে লেখা, হতে পারে সোশ্যাল একটিভিজম নিয়ে লেখা, হতে পারে গল্প কবিতা, হতে পারে খেলাধূলা নিয়ে আড্ডা, হতে পারে দিনলিপি টাইপ লেখা ইত্যাদি। এখন ভালো মত লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, এর সব গুলো কাজের জায়গাতেই ২০১১-১২ এর পর থেকে ফেসবুক খুব ধীরে ধীরে বেশ ভালো জায়গা করে নিয়েছে।
ধরা যাক খেলাধূলা নিয়ে আড্ডার কথাই। সিসিবিতে একসময় আমরা খেলাধূলা নিয়ে অনেক কথা বলতাম এখন সেসবের জায়গায় খেলাধূলার ফেসবুক গ্রুপে বসে সমমনা লোকদের সাথে সবাই খেলাধূলা বিষয়ক আড্ডা দিতে পারে। আর ফেসবুকের ইউজার ইন্টারফেস ব্লগের চেয়ে অনেক সহজ ফলে তা বেশি লোকের কাছে এক্সেসিসবল।
এবার গল্প কবিতা নিয়ে বলি। গল্প কবিতার জন্য ব্লগ কখনোই ভালো জায়গা না। ব্লগ যা করেছে তা হলো কিছু অ আ ক খ লেখককে (নাকি বলেখক) সেলিব্রেটির তকমা দিয়ে দিয়েছে। সিসিবির কথা বলছি না, তবে মূল ধারার ব্লগে গল্প কবিতা লেখকদের বয়াপারে আমার অবজারভেশন হলো এরা ব্লগে ইন্টার এ্যাকশন করে ভার্চুয়াল বন্ধু পাতান্তি তৈরি করে। অতঃপর ব্লগকে প্ল্যাটফর্ম করে নিজে কোন বই মেলায় ছাপিয়ে ফেলে তার প্রচার প্রসার ঘটায়। ব্যাপারটায় আমার খুব বেশি আপত্তি নেই। প্রচারের অবশ্যই দরকার আছে, কিন্তু ব্লগ আসলে সাহিত্যিক বানায় না বরং সাহিত্যের অ আ ক খ লেখা লোকদের (আমি নিজেও এই দলে পরি) ওভাররেটেড করে আত্মম্ভরিতা বাড়ায়। তবে একটা সময় পরে লেখকরা বুঝে যান একটা ব্লগ থেকে যতটুকু ট্রাফিক একট্রাক্ট করার তিনি করে ফেলেছেন তখন অন্য ব্লগে সুইচ করেন, তবে দিন শেষে নিজের বিপননের জন্য ব্লগ সুইচিং করে পরিচিতি বাড়িয়ে সবাইকে নিজের ফেসবুকের পাতায় আনাই সবচেয়ে লাভজনক। এর আরেকটা ভালো দিক হলো ব্লগীয় লেখকদের কিছু মুরীদান জুটে যায়। তাদের লেখার গঠন মূলক সমালোচনা করলেও দল বেধে হামলে পড়বে। এসব কারণেই ভার্চুয়াল বন্ধু সভা হিসাবে নেয়া লোকজন ব্লগে বেশিদিন স্থিত ধী হতে পারেন না। (তবে এই ফেনোমেনা গুলো থেকে সিসিবি মোটামুটি মুক্ত) ।
এবারে আসি দিনলিপি টাইপ লেখার কঠা। সবার লেখার হাত ভালো হয় না। তাই ব্লগে কী খাইলাম কী করলাম এইসব লেখাকেও শৈল্পিকভাবে ফুটিয়ে তুলাটা জরুরি। এই সিসিবিতেই এই কাজটি করটে পারেন এমন লোকের সংখ্যা অনেক। কিন্তু বয়াপার হলো এখনকার যোগ নার্সিজমের যুগ। আরেকজন ভালো লিখে কিন্তু আমি লিখতে পারি না বা লিখে সেই রকম রেসপন্স পাই না এটা মেনে নিতে হয়তো বেশিরভাগ লোকই প্রস্তুত নয়। ফলে তার কাছে ব্লগে দিন লিপি লিখে কমেন্ট শুন্য পোস্ট যতটা নিরুৎসাহিত করে, একই জিনিস ফেসবুকে লিকে চেনা জানা লোকের পিঠ চুলকাচুলকিতে কয়েকটা লাইক পড়লে ততটাই উৎসাহিট বোধ করে। সো ব্লগের কোন আবেদন নাই।
বিজ্ঞান বা মুক্ত চিন্তা নিয়ে ব্লগে লেখাটা কিছুটা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে আজকাল। একই কথা সোশ্যাল একটিভিজম জাতীয় লেখার আলোচনার জন্যও প্রযোজ্য। এগুলোতে সবাই তর্ক জিততে আসে শুনতে আসে না। আর তার উপর টার্গের অর্ডিয়েন্স ব্লগের চেয়ে ফেসবুকে বেশি। আর ফেসবুকের সুবিধা হলো ধ বেঁধে যতটা সহজে যুক্তি ছাড়াই যুক্তি (শব্দটা খুব অদ্ভুত কিন্তু এটাই সত্যি) দেয়া যায়, যেটা ব্লগে লিখলে ধরা খাবার চান্স বেশি। বিপরীত রাজনৈতিক মতামট যদিও বা মেনে নেয়া যায়, যেই জিনিস নিজের ধর্মবিশ্বাস (প্রকৃত নাকি অপ্রকৃত তা সংশ্লিষ্টরাই জানেন) এর উপর লাগে তাতেই অনেকে উম্মাদ হয়ে পড়ে। শাহবাগের ঘটনার সময় ব্লগার মানে নাস্তিক প্রচারিত হবার সময় অনেক ব্লগারকেই দেখেছি উৎসাহে প্রচার করতে যে ব্লগ কতটা ধর্ম বিরোধী জায়গা আর মডারেটরদের পৃষ্টপোষকতায় এখানে কত ধর্ম বিরোধী কাজ হয় ইত্যাদি। যদিও এই সব বিষয়ে প্রতিবাদ করবার সৎসাহস এদের অনেকের মাঝেই কখনো দেখি নি।
জেনারালাইজড কথা অনেক হলো এবার সিসিবির কেস স্পেসিফিক কিছু কথা বলাটাও সমানভাবে জরুরি।আমাদের প্রথমে বুঝতে হবে আমাদের সোশ্যাল ভিউতে আসলে কারা বেশি প্রশংসিত। ফার্স্ট বেঞ্চে বসে রেগুলার ক্লাস করা ছেলে আমাদের কাছে আঁতেল। আর ব্যাক বেঞ্চে বসে নিয়মের তোয়াক্কা না করে পরে আবার ভালো রেজাল্ট করা লোক আমাদের কাছে 'বস'। ইন ডিসিপ্লিনড হওয়াটা আমাদের কাছে গৌরবের (আমি নিজেও একই দলের লোক ছিলাম কলেজে)। পিম প্রপার ক্যাডেট হলো টিজের শিকার। তো এই যখন অবস্থা আমাদের ভিউ পয়েন্টের এটা খুবই স্বাভাবিক যে সিসিবি সাধারনের কাছে আণনতেলদের জায়গা আর ফেবু গ্রুপ হলো বসদের জায়গা। সাথে ধর্মীয় সূচিবায় তো আছেই। কোন এক অজ্ঞাত কারনে ক্যাডেটদের মধ্যে ছাগ-বান্ধব (ছাগু বা জামাত বলি নাই) লোকের সংখ্যা একটু বেশি। সো তাদের কাছে সিসিবিতে আসলে জাতে উঠা যাবে না এমনটাও সহজেই অনুমেয়।
সিসিবি চালু হয়েছিল ২০০৭-০৮ যখন ফেবুর আজকালের মত প্রতাপ ছিল না। আমার মনে হয় ভার্সিটির শেষের দিকে এবং জবে ঢুকে ব্যাচেলর লাইফ কাটানোর সময়টা সবার লাইফেই মোটামুটি একটা ব্রেক পয়েন্ট। অনুমিত ভাবেই সিসিবির প্রথম চালিকা শক্তি এমন লোকদের দিয়েই হয়েছিল। এর সাথে যোগ হয়, দেশের বাইরে থাকা সেনা অফিসার বা গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট যারা সময় এক ধরণের একাকীত্বতে ভুগে। আর এই এক ঝাঁক তপাগলদের সাথে মনের মিল রেখে ততোধিক তরুণ অনেক সিনিয়ররাও আমাদের প্রশ্রয় দিয়েছিলেন। এই ট্রাফিক টা আসলে নদীর ধারার মট হওয়ার কথা ছিল। কারণ ২০০৮ এর ভার্সিটির শেষ কিংবা জব শুরু করা লোকদের অনেকেই এখন জীবনের খুব গুরুত্বপুর্ণ ফেস পার করেন। আবার প্রবাসীদের কারো প্রবাস জীবন অবসান হয় কিংবা ব্যাচলর জীবন অবসান হয়। সো তারা চইলেও আগের মত থাকটে পারেন না। কিন্তু এই বেরিয়ে যাওয়ার সাথে তাল মিলিয়ে কয়াডেট কলেজ থেকে বের হওয়া জেনারেল লোকদের কাছে সিসিবি বোরিং জায়গা। মাথা খাটিয়ে ১০০০ শব্দের একটা পোস্ট পড়বার চেয়ে ১০০ শব্দের লঘু পোস্টে হা হা হি হি টাই বেশি জনপ্রিয় হবে এমনটা খুব স্বাভাবিক। এখন টি টুয়েন্টির যুগ। বিশুদ্ধবাদী হিসাবে আমি সব সময়ই ধ্রূপদী টেস্টের কথা বলো। কিন্তু, যাদের সিসিবির ট্রাফিক হয়ে আসার কথা ছিল টারা মনে করে কি?
শেষ মেষ কিছু ব্যাক্তিগত কারণ বলি। আমি আসলে ফেসবুক ব্লগ সব ধরনের ভার্চুয়াল একটিভিটি বন্ধ করেছি হতাশা থেকে। শাহবাগ আন্দোলনের প্রায় এক সপ্তাহ পর থেকে দেশে ছিলাম। সেই সময়ে দেশে মানুষের সাথে কথা বলে দারুণভাবে হতাশ হয়েছি। আমার মনে হয়েছে মানুষ জনের কতাহ বার্তা খুব বেশি মাত্রায় প্রেডিক্টেবল এবং তারা তাদের বিশ্বাসের পক্ষের যুক্তির জন্য অপেক্ষা করে থাকে। তাই কোন দিন শাহবাগেও না গিয়েও আমার আত্মীয়রা সবাই জানে সেখানে বিরিয়ানী খাওয়ানো হয়, নারী পুরুষ ঢলাঢলি হয়, ড্রিংস করা হয় ইত্যাদি। কিছু লোক আবার স্মার্ট। তারা হলো 'কিন্তু' পার্টি। সব কিছুকে ব্যালেন্স করে ফেলা টাদের কাজ। এমন আরো অনেক অনেক উদাহরণ দেয়া যাবে। আপাতত লিখতে ক্লান্ত বোধ করছি। আমি ফেবু ব্লগ কোথাও শখ করে লিখি না। কোন বিষয়ে কিছু মতামত থাকলে নিজেকে একবার শুনিয়ে গিলে ফেলি।
পরিশেষে, মাহমুদ ভাই, একান্তভাবে দুঃখিত, অভিজিত রায়ের লেখাটায় আপনার কমেন্টের মন্তব্যের রিপ্লাই না করবার জন্য। আপনার কমেন্ট টা ছাড়া অনয় কোন কমেন্টে আসলে বলবার খুব বেশি আগ্রহ পাইনি। তবে আপনার সাথে আমার ভাবনার পথের খুব বেশি দূরত্ব নেই বলেই অনুমান করি। আপনি যদি আমার ভাবনার ত্রুটি পান সানন্দের সাথে ধরিয়ে দেবেন।
[বাপ্রে কত বড় কমেন্ট লিখলাম। নিজেই নিজেরে বাহবা দিতেসি।] (সম্পাদিত)
বাপরে বাপ, একেই বলে বারো হাত কাকুড়ের তেরো হাত বিচি।
ব্লগের চেয়ে শুধু সাইজেই না, কনসেপ্টের দিক দিয়েও কমেন্টটা বড়।
অনেক নতুন নতুন ডিমেনশন জানলাম।
তবে এইভাবে ভাবলে তো ব্লগ জিনিষটাকে তাহলে বিদায় জানাতেই প্রস্তুতি নেয়া শুরু করতে হয়...
আচ্ছা, এরকম হওয়াটা কতটুকু সম্ভাব্য যে পাঠের সুখ পেতে গেস্ট সেজে সন্তপর্নে এসে সুলিখিত ব্লগগুলো পড়ে যাচ্ছে অনেকেই কিন্তু "আঁতেল" ট্যাগ খাওয়ার ভয়ে কমেন্ট তো করছেই না, লগ-ইন করেও প্রকাশ্য হচ্ছে না?
তা যদি হয়েই থাকে, তা কিন্তু দুঃখজনকই বটে।
আমি আপাততঃ ব্লগের ইউএসপি হিসাবে আর্কাইভ ভ্যালুকেই বেশী এগিয়ে রাখতে চাচ্ছি।
আইডিয়াটা কেমন???
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
:boss: :boss: :boss:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমিনের মন্তব্যের শেষ থেকে শুরু করিঃ
আমি ঐখানে তোমার রিপ্লাই আশা করিনি। কারণ, আমি সচেতনভাবে নাস্তিক(ধর্ম-বিদ্বেষী)/আস্তিক(মৌলবাদী) 'কু'তর্ক এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছি। আমি শুধু তোমার পোষ্টে আমার নামে আরেকজনকে আধা-পরিচয়ে দেখে জানতে চাইছিলাম সে কে। আফসোস, তিনি পর্দানশীন নারীদের মতো আড়ালেই থেকে গেলেন 🙂 । তবে তার কথাবার্তার ধারা ইন্টারেষ্টিং ছিল।
বাস্তব তথ্য বিশ্লেষণ করে জেনারালাইজ করতে পারার ক্ষমতা পেশাগত চর্চার কারণে মনে হয় আগের থেকে খানিকটা বেড়েছে। কিন্তু মুশকিল হলো, এই ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করার প্রয়োজনীয়তাবোধটুকুও তার থেকে দ্রুত হারে বাড়ছে। শুরুতে একটা বইয়ের রিভিউ পড়েই মনে হতো 'অনেক কিছু' বুঝে ফেলেছি, এরপর বইটা পুরো পড়ার পর মনে হতো ঠিকঠাক বুঝে ফেলেছি, আর এখন একই ধারায় বেশ কিছু বই পড়ার পরও আর্গুমেন্ট নিয়ে সংশয়ে থাকি- কি জানি, আবার কি থেকে কি বলতে গিয়ে ভুলভাল কি বলে ফেলি। তাই, জেনারালাইজেশন করতে খুব ভয় করে। এজন্য আমি সিসিবি'র বর্তমান অবস্থা নিয়ে জেনারালাইজ না-করে শুধু আমার কথা বলি।-
আমি সিসিবি'তে লিখা শুরু করি ২০০৯ এর প্রথম দিকে। সে সময় সিসিবি'র সদস্য অনেক কম ছিল, কিন্তু এটা ছিল প্রাণময়। সারাদিনের কয়েক ঘন্টা চলে যেত সিসিবি'তে অন্যের ব্লগে কমেন্ট করে (আসলে আড্ডায়)। আস্তে আস্তে পড়ার চাপ বাড়তে থাকল। কিন্তু সিসিবিতে আসা এবং সক্রিয় অংশ নেওয়ায় ভাটা পড়েনি। এমনকি বিয়ের পরেও না :shy:
গ্রামের ছেলে হিসেবে ক্যাডেট কলেজে থাকাকালীন সময়ে সমবয়সী নন-ক্যাডেটদের সাথ দূরত্ব তৈরী হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে নন-ক্যাডেটদের সাথে সেই দূরত্ব আরো বেড়ে যায় অধিকাংশ সময় ক্যাডেটদের সাথেই থাকার জন্য। ফলে বাংলাদেশী সমাজের প্রকৃতরূপ বেশ খানিকটা অচেনা থেকে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শেষে আবার প্রবাসে চলে আসায় সেই শূণ্যতা আরো বেশি অনুভব করতাম সব সময়। ভার্চুয়াল কমিউনিকেশনের মাধ্যমে- আরো সুনির্দিষ্ট করে বললে ব্লগের মাধ্যমে- এই খামতিটা পুরণ করতে চেয়েছিলাম। লিখতাম শুধুমাত্র সিসিবি'তে। কিন্তু নিয়মিত যাতায়াত করতাম সামহোয়ারইন আর সচলায়তন ব্লগ। এই ভার্চুয়াল জগতে থেকে বাংলাদেশী সমাজকে যেভাবে চিনেছি, তা'তে আমি এক কথায় ভীত!
আমি নিজেকে ভীতু মনে করি। যুদ্ধের অবস্থা তৈরী হলে ঢাল-তলোয়ার নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ার আগে কোথাও লুকানোর পথ খুঁজবো বলেই অনুমান করি। কিন্তু ভার্চুয়াল বাংলাদেশ সমাজে দেখি অধিকাংশই যুদ্ধংদেহী!? তা-ও আবার সার্বজনীন কোন মূল্যবোধের ভিত্তিতে নয়, বরং নিজনিজ দল/মত/গোষ্ঠির স্বার্থের জন্য। কেউ কেউ মতের বদল করে, দল পরিবর্তনও করে। কিন্তু কোন-না-কোন দলেই ভিড়ে যায় শেষতক। প্রকৃতপক্ষে, আমরা সকলেই যে একই অধিকার নিয়ে জন্ম নেওয়া রক্ত-মাংসের মানুষ, এইটা ভুলে গিয়ে প্রতিপলে কে কার থেকে কি কারণে ভালো বা মন্দ- সেই আলোচনা। এর অবধারিত পরিণতি যে কত অমানবিক, ভয়াবহ তা' অনুমান করেছিলাম ২০০৬/৭-এ ঢাকায় প্রকাশ্য রাজপথে আওয়ামিলীগের মিছিল থেকে 'লগি-বৈঠা' পিটিয়ে 'মানুষ' (হ্যাঁ, মানুষই) হত্যার পৈশাচিকতা দেখে। সেখান থেকে এই প্রবণতা কমার বদলে উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। সেসময় পাঁড়-দলবাজদেরকেই শুধু দেখতাম 'বিনাবিচারে' হত্যাকে জাষ্টিফাই করতে। কিন্তু ২০১৩-তে এসে দেখলাম যারা কোনদিন রাজনৈতিক দলের ধারও ধারেনি, তাদেরও অনেকে হেফাজতের মিছিলে পুলিশের গুলি করাকে হাততালি দিয়ে স্বাগতঃ জানাচ্ছে! আর এখন ত' প্রতিদিন বিরোধীদেরকে লিষ্ট করে ধরে ধরে নিয়ে হত্যা করছে, পঙ্গু করছে। আর সকলে আগে দেখে নিচ্ছে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজ দলের নাকি বিরোধী দলের; এবং সেই অনুযায়ী কষ্টে আর্তনাদ করছে, অথবা খুশিতে হাততালি দিচ্ছে। এখন উপলব্ধি করেছি যে, বাংলাদেশের সমাজ এইচ জি ওয়েলসের 'টাইম-মেশিন'এ চড়ে সহস্র বছর এগিয়ে গেছে যেখানে ইলয়রা মরলোকদের খাদ্য! উন্নত মনের এবং মানের মরলোকরা 'অনগ্রসর/পছাৎপদ' মানুষদের মাংস দিয়ে ভুড়িভোজ করে। শুধু প্রবলভাবে নিজেদেরকে মরলোক শিবিরে ধরে রাখার চেষ্টা, অথবা ইলয় শিবির থেকে বের হয়ে আসায় চেষ্টা।
অন্য কে কি ভাবছে জানি না, কিন্তু আমার অনুমান এমনই। এই উপলব্ধি থেকেই আমি নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি। ফেসবুক ডিলিট করেছি ২০১৩'র শেষ দিন। ব্লগেও আর আগের মতো লিখা/কমেণ্ট করা হয়ে ওঠেনা। কারণ, আমি জানি যে আমি ভীতু। আমি জানি যে, মনের ভুলেও কখনো হত্যাকাংখী হতে পারবো না। এইজন্য সচেতনভাবেই দূরে দাঁড়িয়ে থাকি। দেখি, শুনি, আনন্দিত হই, দুঃখ পাই। নিজের মধ্যেই। এ'ই বেশ আছি।
- আমার নিস্ক্রিয়তার মূল কারণ এটাই। এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত উপলব্ধি।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
নিস্ক্রিয়তা যখন একটা ম্যাটার অব চয়েস হয়ে দাঁড়ায়, কিসসু বলার থাকে না।
এটুকুই বলবো, সক্রিয়তার ডিগ্রি ভ্যারী করার সুযোগও কিন্তু থাকে।
যা হোক, শুভকামনা থাকলো......
আর হ্যা, এত বড় একটা কমেন্ট দেখে পুলকিত না হয়ে পারলাম না 🙂 🙂 🙂 (সম্পাদিত)
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
পারভেজ ভাই,
বড় কমেন্ট দিয়ে আপনাকে আনন্দিত করতে পেরে ভালো লাগছে। আরো ভালো লাগছে আপনার মন্তব্যে 'সম্পা আপা/ভাবী'কে দেখে 😀
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
'সম্পা আপা/ভাবী' - টা আবার কে রে ভাই?
সাবিনা চৌধুরি ছাড়া আর কাউকেই তো দেখছি না এখানে।
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
পারভেজ ভাই,
ডরায়েন না। এই 'সম্পা আপা/ভাবী' সিসিবি'তে প্রায় সবার ঘরেই (পড়ুন ব্লগ/কমেন্ট) যাতায়াত করে, বেশ অনেকদিন ধরেই 😉
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
তারপরেও তো আছেন থাকবেন। আপনারা এই কয়জন আছেন বলেই তো সুতোর উপর হলেও টিকে আছে ব্লগটা! 🙂
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
আছি কি আর ব্লগ বাচাতে?
আছি তো নিজের ধান্দায়।
সব কিছুই ফুরিয়ে যাবে, শুধু লিখাগুলোই রয়ে যাবে কোন না কোন ফর্মে।
সেটাই একমাত্র অমরত্ব, মানুষের জন্য। সবচেয়ে ইম্প্যাক্ট সম্পন্ন অমরত্ব।
তাই যখনই সময় সুযোগ হয়, অমরত্বের আশায় কিছু না কিছু লিখে রাখি।
তোমরা তা পড়, এটা তো বিরাট প্রাপ্তি, তাই না?
অনেক কৃতজ্ঞতা সবার কাছে...
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
এই বিষয়টা নিয়ে বেশ অনেকবারই চিন্তা করেছি, অনেক সিসিবিয়ানদের সাথে বিভিন্ন সময় আলোচনাও করেছি। আমার অবজার্ভেশনগুলোর বেশিরভাগই আমিন বলে দিয়েছে। তাই আপাতত বিস্তারিত আর বলছি না। পরে সময় পেলে চেষ্টা করবো 😛
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আকাশ, অপেক্ষায় থাকলাম.....
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
আরেকটা বড় কারণ হচ্ছে কমেন্ট করতে হলে অনেক তথ্য দিতে হয় বা লগ ইন করতে হয়। অনেকে এই ঝামেলায় যেতে চান না। আর তাই পড়েই খালাস।
অনেকে মোবাইল থেকে পড়েন। বাঙলা য় কমেন্ট করা অনেকের জন্য কঠিন।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এইটার একটা সমাধান হলো ইমোটিকন।
আর আমি তো লগড ইন অবস্থায় থাকি, তাই ঐ সমস্যাটা বুঝি না...
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
বাংলিশ নয় ইংলিশ কমেন্ট এর ব্যাপারে ব্লগ কতৃপক্ষ আরেকটু শিথিল হলে ভাল হত।
সেইসাথে কি করে আরেকটু ইজিলি কমেন্ট করা যায় সেই দিকে নজর দেয়া যায়।
আমি নিজে বাঙলা র পাশে ইংরেজি তেও ব্লগ দেখতে পেলে খুশি হব।
বাঙলাদেশে ত ইংরেজি পত্রিকা বের হচ্ছে তাহলে ইংরেজি ব্লগ লেখায় সমস্যা কোথায়?
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
একটা ইংলিশ সেকশন তো অবশ্যই থাকতে পারে। সেটাতে ব্যাপারটা গ্লোবালও হয়...
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
আলাদা সেকশনের প্রয়োজন দেখি না, ট্যাগ দিয়েই সম্ভব। ফ্র্যাগমেন্টেশনই বাড়বে।
কারো শুধু বাংলা বা ইংরেজী ব্লগ দেখার আগ্রহ থাকলে ট্যাগে ক্লিক করলেই চলে আসবে।
ভাল আইডিয়া।
পূর্ণ সমর্থন দিলাম...
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
সাবিনা আপার ক্ষুদে গল্পটিতে কিন্তু ইংরেজিতে চমৎকার আলোচনা চলছে। আমার কিন্তু ভালই লাগছে। রোমান হরফে বাঙলা যদি না লিখা হয় তবে সম্পূর্ণ ইংরেজীতে মন্তব্যের ক্ষেত্রে নিয়ম শিথিল করার পক্ষে আমিও মতামত দিলাম! 🙂
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
যদিও বাংলাকে প্রোমোট করার কারন আছে, তাই বলে ইংরেজীকে বাধা দেয়ার পেছনে ভালো কোনো যুক্তি দেখছি না। রোমান হরফে বাংলা লেখাকে নিরুৎসাহিত করা অবশ্যই দরকার যদিও মোবাইল বা ট্যাবলেটে (মায়াবী, রিদমিক, বিজয় থাকা সত্বেও) বাংলা লেখা এখনও অতটা সাবলীল না।