প-তে পযুক্তি (র-ফলা নাই)
আমি যদি বলি গত তিন বছর ধরে আমি একটি প্রযুক্তির উপর বসে আছি তাহলে আপনি কি ভাববেন? “এ আর এমন কি? সবাই কোন না কোন ধরনের প্রযুক্তির উপর বসে আছে।” কিন্তু আমি আপনাকে বলবো আমার কথাটি আক্ষরিক অর্থে নিতে। কারণ প্রযুক্তিটির নাম কর্নিং গরিলা টেকনোলজি। বর্তমান যুগের সিংহভাগ স্মার্টফোন কিংবা ট্যাবলেটগুলোর স্ক্রীণ যেই প্রযুক্তির কাঁচ দিয়ে বানানো হয় সেই প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তি দিয়ে বানানো স্ক্রীণগুলোর বিশেষত্ব হলো এরা খুব শক্ত, চাপ সহিষ্ণু। কিভাবে এই প্রযুক্তির উপর বসলাম? আশা করি এখন আর খুব একটা বেশি চিন্তা করার দরকার নেই। জিনসের প্যান্টের পেছনের পকেট নিয়ে আমার আদিখ্যেতার শেষ নেই। সেই আদিখ্যেতার খেসারত দিলাম আজকে সকালে। তিনটি বছর এই কর্নিং গরিলা গ্লাসের তৈরী মুঠোফোন দিনের পর দিন পিষ্ট হয়েছে নিতম্বের চাপে (কোথাও বসতে গেলে পেছনের পকেট থেকে মুঠোফোন বের করে আনার কোন চেষ্টাই আমি করতাম না।) আজকে হাল ছেড়ে দিল। রক্তদিতে গিয়েছিলাম ধানমন্ডিতে। এলাকায় গিয়ে কামরুল ভাইকে (ফকক ৯৬-০২) ফোন দেয়ার জন্য মুঠোফোন হাতে নিতেই দেখি গোটা স্ক্রীণ জুড়ে মাকড়সার কালো জাল। কেউ চলে যাবার আগ পর্যন্ত নাকি তার জন্য ভালবাসার টান অনুভব করা যায় না। নোকিয়া ৩৩১০ যুগের নির্যাতন চালানোর পর আজ যখন ও আমাকে ছেড়ে চলে গেল তখন খারাপ লাগা শুরু হল। ভাল থেকো মটোরোলা। ভাল থেক কর্নিং গরিলা প্রযুক্তি।
যা পড়ছি
গত দুই সপ্তাহ আগে অবশেষে শেষ করলাম All The President’s Men. ইনভেস্টিগেটিভ সাংবাদিকতার উপর এই বইটি শেষ করতে প্রায় মাস সাতেক সময় নিলাম। সাধারণত এত ধীরে বই পড়ি না। সে সময় যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে আসার প্রস্তুতি চলছে। তারপর দেশে এসে থিতু হতেই আরো মাস দুয়েক। অথচ চমৎকার এই বইটির পেছনে চুম্বকের মত লেগে থাকার কথা। সে যাই হোক। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সেটার অনুশীলন, ব্যতিক্রম, ভুল, ব্যক্তিগত আক্রমণ ইত্যাদি সবকিছুর চমৎকার উদাহরণ রয়েছে এই বইটিতে। ওয়াটারগেট স্ক্যান্ডাল এবং এর ফলশ্রুতিতে দ্বিতীয়বারের মত নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের পদত্যাগ ইত্যাদি ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে সাজানো এই বইটি। ওয়াশিংটন পোস্টের দুই তরুণ সাংবাদিক কার্ল বার্নস্টিইন ও বব উডওয়ার্ড ছিলেন এই রহস্য উদঘাটনের নায়ক। ১৯৭২ সালের ১৭ জুন ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটির সদরদপ্তরে একটি ডাকাতির ঘটনা থেকে এর সূচনা যা কোন সাধারণ ডাকাতি ছিল না। চিন্তা করছিলাম ১৭ জুন, কি চমৎকার স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ি আমরা ১৯৯৮ ইনটেক, কিন্তু ওদিকে হয়ত লজ্জায় মুখ ঢাকে আমেরিকার দ্য রিপাবলিকান পার্টি। অথবা নাও ঢাকতে পারে। ওরা নির্লজ্জ ও নির্বোধ। ডাস্টিন হফম্যান ও রবার্ট রেডফোর্ড অভিনিত এই বইয়ের নামে নাম চলচিত্রটি শীঘ্রই দেখে ফেলতে হবে।
গানের কথা
সবসময় ঘটনা ঘটে না। যেগুলো ঘটে সেগুলো এতটাই মামুলী যে লিখা হয় না। বাসায় যেহেতু বসেই আছি তাই গত দুই-তিন মাস ধরে খুব গীটার বাজাতে ইচ্ছে করছে। বিদেশ যাবার আগে নিজের বাদ্যযন্ত্র ও আনুষাঙ্গিক সবকিছুই হয় বিক্রি না হয় কারো জিম্মায় দিয়ে গিয়েছিলাম। জিম্মায় রাখা বাদ্যযন্ত্র কেন জানি ফিরে এসে আর ফেরত চাইতে ইচ্ছে করছে না। বয়সে বড় দেখে কি ইগো-সমস্যা? কি জানি। কিন্তু অলস মাথায় সুর ঘুরছে। অথচ দু-তিন মাস পরে যখন চাকুরীর যাঁতাকলে ঢুকে যাব তখন আর এসব মনে থাকবে না। গত দুই সপ্তাহের প্রচেষ্টায় তাই দুই-চার লাইন করে জোড়া দিয়ে একটি গান লিখার চেষ্টা করলাম। এটা কি গান হলো না কি সেটাও বুঝতে পারছি না।
খাপ খোলা তলোয়ারের মৃদু স্পন্দন।
কবিতার খাতায় প্রিয় পার্কারের ক্রন্দন।
বিকট অমবস্যায় নাইটভিশন চোখে,
তর্জনীতলে সিলেক্টর বলে, ‘ক্লিক।’
‘সেইফ’ থেকে ‘অটোম্যাটিক।’
কি শুনতে চাও তুমি?সত্য, সম্পূর্ণ সত্য, নাকি শুধুমাত্র সত্য।
ফেইসবুকে ছেড়ে দেয়া রগরগে তথ্য।
ভরা পূর্ণিমায় ভরা জেরিকেন হাতে,
দ্রুত পদক্ষেপে ওরা হেঁটে চলে।
দেয়াশলাই কাঠি তেড়েফুঁড়ে জ্বলে।
কি জানতে চাও তুমি?
আঞ্চলিকতা
বাসাবাড়ি, পথেঘাটে চোখকান একটু খোলা রাখলেই একটি বিষয় খুব চোখে পড়বে। সেটা হলো এই যে, বাঙলাদেশ আকারে ছোট একটি দেশ হলেও এই দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এলাকাভিত্তিক শ্রেণীবাদী চিন্তাভাবনা ছড়িয়ে আছে। পৃথিবীর আর কোথাও যে এমনটা নাই এটা অবশ্য বলা যাবে না। যুক্তরাষ্ট্রে টেক্সাস রাজ্য নিয়ে সবাই হাসাহাসি করে। মিসিসিপি, মিসৌরি, এ্যালাবামা নিয়ে কথা উঠলে আমেরিকার উদারপন্থী সাদা জনগণ শিউরে উঠে। ম্যানচেষ্টার শহর, কিংবা ইয়র্কশায়ার অঞ্চলের যেকোন শহর নিয়ে মানহানিকর মন্তব্য করা মোটর-সাংবাদিক জেরেমি ক্লার্কসনের নিত্যদিনের কাজ। কিভাবে এসবের শুরু, সেই রেটোরিকে যেতে চাইছি না। এই বিষয়টি তুলে আনলাম সাম্প্রতিক আরেকটি অভিজ্ঞতার কারণে। খালাতো বোনের বিয়ের প্রস্তুতি চলছে। সম্পর্ক তৈরী হচ্ছে আশেপাশেই। নাবিকদের ভাষায় বলতে গেলে, বেশ খানিকটা রোলিং, পিচিং এর পর শান্ত হয়ে এসেছে সমূদ্র। যেটা জানতাম না সেটা হলোঃ নদীর পাড়ের জনবসতির ক্ষেত্রে উজানের লোকজন, নদীর অপর পাড়ের নিকটবর্তী তথা ভাটির লোকজনদের গালমন্দ করে। আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকার মানুষজন দেখলাম মেঘনার অপরপাড়ের ভাটির লোকজন অর্থাৎ নদীর নিকটবর্তী কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী জেলার গ্রামের মানুষদের “টান্নার দ্যাশের মানুষ” বলে তাচ্ছিল্য করে। আলোচনা করে বুঝলাম, ‘টান্না’ শব্দটি সম্ভবত ‘টান’ বা নদীর স্রোতের টান থেকে এসেছে। জিজ্ঞাসা করলাম, “এই অঞ্চলের মানুষ কেন খারাপ?” উত্তরের সারমর্ম হলো এই যে, “এরা নদীভাঙনের শিকার, এবং একই কারণে সাধারণত গরীব। অর্থ সংগতি নাই দেখে এরা কৃপণ এবং এদের আচার-ব্যবহার সমাজ বিবর্জিত।”
নতুন তথ্য জানলাম। ইতমধ্যেই যেসব ভয়াবহ চিন্তাভাবনা কিংবা বিশ্বাসের কথা জানতাম তার মাঝে ছিলঃ (ক) কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবের মেয়েদের সাধারণত “চিফা বুদ্ধিওয়ালা। খুব চাল্লু” হিসেবে ধরা হয়। যে কারণে বাড়িতে ভৈরবের বউ না আনাই ভাল; (খ) ময়মনসিংহ জেলার মানুষদের বড় দাগে ‘মুমিসিংগা মুনী’ বলে তাচ্ছিল্য করা হয়। ‘মুনী’ অর্থ শ্রমিক। মাইগ্রেশান প্যাটার্নটা আসলে কি বা কবে থেকে শুরু হয়েছে সেটা জানা দরকার তবে যা বুঝতে পারলাম, সম্ভবত ময়মনসিংহ ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চল হতে একটা সময় প্রচুর মানুষ জীবিকার তাগিদে কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নদীবন্দর অঞ্চলে সরে এসেছিল। এলাকার সম্ভ্রান্ত পরিবারের কর্ণধার ও বিশিষ্ট ধান, পাট ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত আমার নানার ব্যবসাতেই ৬০-৭০ শ্রমিক কাজ করতো যাদের সিংহভাগ ছিল ময়মনসিংহ অঞ্চলের। ঠিক একই কারণে আমার ৪র্থ মামার প্রেমের বিয়েতে রাজি হতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে কারণ মামি আশুগঞ্জ বাসিন্দা হলেও মূল বাড়ি নেত্রকোণা।
বই পত্রে পড়েছি সামাজিক পরিবর্তন খুব কঠিন একটি বিষয়। শিখিয়ে পড়িয়ে, জোর করে মানুষকে পরিবর্তন করা যায় না। তবে ঠিক মত ঠেলা-গুঁতা দিতে পারলে নাকি এক প্রজন্ম পরে নাকি সামাজিক পরিবর্তন আসে। এই কথাগুলো থমাস হেবারলেইনের লিখা সোস্যাল সাইকোলজির একটি বইয়ে পেয়েছি। উনার উপর ভরসা করতে চাই। আমি চাই আমাদের প্রজন্ম যাতে ‘টান্নার দ্যাশ’ না বাছে, ‘মুমিসিংগা মুনী’ না বলে। খালাতো, মামাতো, চাচাতো, ফুপাতো ভাই বোন যাদের যতটুকু চিনি আমার মনে হয় কিছুটা পরিবর্তন ওদের মাঝে এসেছে। বাকিটা সময় বলে দিবে।
ফ্রস্ট নিক্সন মুভিটা দেখতে পারো ... http://en.wikipedia.org/wiki/Frost/Nixon_%28film%29
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বার বার
বিবরণ পড়ে আগ্রহ পাচ্ছি। তালিকায় রাখলাম।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
বাংলাদেশের মানুষ, তা সে প্রবাসেই হোক আর নিজদেশে, অচেনা লোকের সাথে আলাপ শুরুই হয় সেই মৌলিক প্রশ্ন দিয়েঃ বাড়ী/দ্যাশ কই? কুন ডিস্টক?
যেন জিয়োলজিকাল টাইমেই জেলাগুলির সৃষ্টি হয়েছিল!
"কুন ডিস্টিক" তো সারাজীবন শুনে আসছি, দেশে বিদেশে। কিন্তু খালাতো বোনের বিয়ে উপলক্ষ্যে ব্যাপারটা নোংরামির পর্যায়ে চলে গেল। আমি হা করে বসে দেখলাম। মজার ব্যাপার হল যাদেরকে টান্নার দ্যাশের মানুষ বলে গালমন্দ করা হল উনারা নিজেরাও যেই পারফরমেন্স দেখালেন। এ্যারেঞ্জ করা বিয়ে, অথচ এসে মেয়ের শাড়ি উচিয়ে পা, পায়ের নখ দেখে। মনে হইসিলো হাতের ক্যামেরাটা দিয়া মাথায় বসায় দেই পরের টা পরে দেখা যাবে। 😕
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
দিতেন বসাইয়া :chup: x-(
ধইরা দিতে পারি নাই কিন্তু আত্মীয়-স্বজনদের বইলা দিয়া আসছি। এতক্ষণ গালমন্দ করতেসিল এইটা শুইনা বলে, "ছি ছি এসব বলে না।" এই হইলো অবস্থা। 🙁
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
এতো সময় পাও ক্যামনে?
রীতিমত ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়লাম।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
বেকার বসে আছি ভাই এবং এই সুযোগটা কাজে লাগাচ্ছি। এখন পড়ছি Alice Munro - Best Short Stories কানাডিয়ান এই মহিলার লিখা অন্যরকমের মজা।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
শুনানি শুনতে(পড়তে) সবসময়ের মতই ভাল লাগলো।
ভাগ্য ভাল পযুক্তির উপরে বসার অভ্যাসটা কখনো তৈরী হয়নি। (কামরুল বকক'র না, ফকক এর কামরুলের কথা বলছো নাকি?)
All The President’s Men মুভির রেকমেন্ডেশন অনেক আগেই পেয়েছি, সময় করে দেখে ফেলতে হবে, আপাতত বই পড়ার সময় নেই।
মুখ্য সুখ্য মানুষ, গান কবিতার পার্থক্য বুঝি না। কথায় সুর লাগিয়ে একটা অডিও/ভিডিও ব্লগ আপলোড করে দাও, তারপর বলি কেমন হয়েছে 😉
আঞ্চলিকতার মত বর্ণবাদ আমাদের মাঝে এখনো ভাল ভাবেই টিকে আছে, কতদিনে দূর হয় এখন সেটারই অপেক্ষা।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
আরে কামরুল ভাই দেখি ফকক। আমি এতদিন বকক ভাবতাম কেন? 😕
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
মুকা, তুমি আমরার জাত মাইরাইলছ! কুনহানে যে পলাই অহন!
বরাবর শুনে এসেছি মুমিসিংগা ভূত শব্দটি, জানো। কোনোকিছু পারিনা বা জানিনা বললে অপরপক্ষে কেউ একজন হয়তো বলতেন, জানবা কেমনে তুমি তো মুমিসিংগা ভূত! কী অপমান, কী অপমান!
বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে এসে দেখলাম ওদের তিনজন বুয়াই আমাদের মুমিসিং এর। সাত ভাই সাত বোনের বিশাল একান্নবতর্ী পরিবারে আমি ছিলাম একমাত্র বিদেশি বউ, বাকী সবাই ঢাকার। পারিবারিক গিট্টুরাশির সাথে পরিচয় হয়নি কলেজে। একমাস পর রতনও ফিরে গেছে কমর্ক্ষেত্রে; তখন দ্যাশের আপনজন বলতে বুয়ারাই ছিলেন।
এই ব্যাপারগুলো আগে খেয়াল করা হয়নি। আগে ছোট ছিলাম এই অজুহাত দিব না। বয়স ৩০ ছুঁইছুঁই করছে। কিন্তু পরিবর্তন যেটা হয়েছে সেটা হল এখন কথা গুলো কানে ঠেকে। অস্বস্তি লাগে। হয়তো এখনো প্রতিবাদ করি না। মুমিসিংগা ভূত এই কথাটাও এখন মনে হচ্ছে শুনেছি। চিন্তা করে দেখেন কি ভয়াবহ!
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
মাধ্যমিক উত্তীর্ণ একজন ঢাকার বন্ধু একবার আমাদের আড্ডায় বলেছিলেন যে, মফস্বলের মেয়েরা কোনদিনও তাদের গা থেকে মফস্বলীয় গন্ধ মুছে ফেলতে পারেনা। বলেছিলাম, তুমি কি পেরেছো ঘুগনি আর বাখরখানির গন্ধ মুছে ফেলতে? অথবা জরি চুম্কির আবতর্ থেকে বেরুতে? কোন উত্তর পাইনি। শিক্ষা অথবা সৌজন্যসূচক ব্যাপারগুলোর প্রসংগ তুলতে মন চায়নি আর তার কাছে।
মফস্বল তার উপর মেয়ে। কি বলবো বুঝে পাচ্ছি না। বাঙলাদেশের মত দেশগুলোতে খুব সহজে আঙ্গুল তোলা হয় মেয়েদের দিকে। এটার সাথে সেই সোশ্যাল কনস্ট্রাকশন এসে যায়। এদিকে মিছরির ছুরি, "আমার মা বলছে, ইমুর (আমার খালাতো বোন যার বিয়ের কথা বললাম) এরকম খাটাশ টাইপের পরিবারকে শক্ত হাতে সামাল দিতে হলে বিয়ের পরেই চাকুরী নিয়ে নিতে হবে। বাসায় বসে থাকলেই এরা ১০০টা কথা বলবে।" কি বলবেন? 🙂
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
দুঃখের ব্যাপারটা হলো আঙুলখানি অধিকাংশে আমরা মেয়েরাই তুলি, মোকা। নিস্তরঙ্গ, বিনোদনবিহীন বাঙালী জীবনে পরষ্পরকে চুলকানি ব্যতীত নারীকুলের আর কীবা করার আছে বলো!
নিজেদের ইনসিকিউরিটি থেকেই মূলত এসবের উদ্ভব বলে আমার মনেহয়।
মূল কারণগুলোর একটি। সাথে বাকি কারণগুলো মিলে একদম বাজে অবস্থা।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
:thumbup: :thumbup: :thumbup:
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বার বার
"তুমি আমরার জাত মাইরাইলছ! কুনহানে যে পলাই অহন!" - ওয়েল সেইড!
আরও একটা নতুন এবং অদ্ভুত ধরনের ভিন্নতাময় বিষয় তুলে এনেছো।
এসব নিয়েই আলাপ হওয়াটা জরুরী।
ভাল লেগেছে.........
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই। কতটুকু সফল জানি না তবে ইদানিং ভাল লাগে একটি বিষয় চিন্তা করে যে আমি খেয়াল করছি, এবং নিজের নিচুমনের চিন্তাগুলো পরিবর্তন করার চেষ্টা করছি। ১০ বছর আগেও এসব এভাবে চিন্তা করতাম না। অবশ্যই বয়স এখানে একটি ভূমিকা পালন করে। তারপরেও যেটা বললেন, এসব বিষয় নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা প্রচুর হতে হবে।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
কেউ চলে যাবার আগ পর্যন্ত নাকি তার জন্য ভালবাসার টান অনুভব করা যায় না।- কথা সত্য =(( তয় গরিলা কাচের জন্য এতো ভালবাসা আগে দেখি নাই :dreamy: তিন বছর তো সার্ভিস দিলো, আর কত? 😛
"প্রিয় পার্কারের ক্রন্দন" গান খুব সুন্দর হইসে :clap:
থমাস হেবারলেইনের ওপর আমিও ভরসা রাখি। ঠিক মতন ঠেলা-গুঁতা দিলে সামাজিক পরিবর্তন আসবেই। এন- শা -আল্লাহ।(খালেদা ইসটাইলে হপে ;;) )
🙂 🙂
এ এস পি সাহেব হাসে কেন? 🙂
তোমার কমেন্টগুলা ভালই পছন্দ হয়েছে।
বেশ হুইটি।
লিখে ফেলো দিকিনি কিছু একখানা?
নিশ্চয়ই একই রকমের হুইটি হবে।
একটু সুখ করে পড়ি।
শুধু কমেন্ট পড়ে কি আর মন ভরে???
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
আমি পুরান জিনিস ব্যবহার করে আনন্দ পাই। আমি এখনো আমার বাপের রেজর ব্যবহার করি। এই রেজর আর আমি সমবয়সী। 😛
গান সুন্দর হইসে? মিসা কথা। আমার এখন নিজেরই এইটারে একটা ফালতু লিখা মনে হইতেসে! 😕
পরিবর্তন আসবে এইটা নিয়া আশাবাদী আমিও হইতে চাই কিন্তু মানুষ আবার যেই কেরামতি দেখায়, সাথে সাথে সব ভুলে যাই। 🙁
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
আমি মিসা কথা বলি না :no: আসলেই ভাল্লাগসে :thumbup: কিন্তু সেই বৈশাখী আর ক্ষণিকা্রটা আরও একটু বেশীই ভাল্লাগসিল 😉 😛
মিসা কথা না? তাইলে ঠিক আছে। 😛 ফেইসবুকের On This Day ফিচার দিয়ে চেক করে দেখি জীবনের যেই সব সময় চরম বেকার কাটাইসি সেই সময়গুলায় প্রচুর ছড়া-কবিতা আর ভালবাসার কথা বাইর হইসে। ইদানিং বইসা থাকি আর মানুষজনরে আমার বেকার কাব্যিক জীবনের ভিক্টিম বানাই! :grr:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
মানুষকে খালি মানুষের কাব্যের ভিকটিম (আকা নাইয়িকা) হতেই দেখলাম
কেও আমারে নিয়ে জীবনে একটা ছড়াও লেখলো না :((
কি পেলাম এ গেবনে? :bash:
যাই হোক, সেনাকুঞ্জ থেকে এক লোক ফুন দিলো একটু আগে, বলল বুকিং নাকি ক্যানসেল করে দিবে আর দেরি করলে 😉 😛 তাড়াতাড়ি কাম সারেন মিয়া, শুভ কাজে দেরি করতে নাই B-)
বাংলাদেশের যত সমস্যা আছে ঘুরে-ফিরে সব কিছুর মূলে আছে অশিক্ষা-কুশিক্ষা!
আমি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি আমাদের অধিকাংশ মানুষ যখন শিক্ষিত হয়ে উঠবে তখন আমাদের কেউই দাবায়ে রাখতে পারবে না।
এর সাথে জীবিকার প্রয়োজনে এখান থেকে ওখানে ছুটে চলা এবং যাতায়াতে নষ্ট হওয়া সময়- এ দুটো যোগ করলে দেখা যাবে আগামী ১৫-২০ বছরের মধ্যে আমাদের জেলাভিত্তিক সাম্প্রদায়িকতা শূণ্য না হলেও বহুলাংশে হ্রাস পাবে।
আমি আশাবাদী! 😀
১। আমিও মটোম্যান! মাঝে বছর কয়েক সিমেন্স ব্যবহার করেছিলাম। বর্তমানেরটা এট্রিক্স। ডায়াবেটিস, প্রেসার, আলসার...সব ধরছে! যে কোন সময় চিরবিদায় নিতে পারে... 🙁
২। গানটা সুর করে আপলোড করিস। পড়ে কোন ফিলিংস হইল না... 😛 😉
৩। মুভিটা দেখে নিস। দারুণ! 😀
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
জুনাদা আমারটা এট্রিক্স এইচডি ছিল আমরিখা গিয়া পরথম এবং শেষ এনড্রয়েড সেট। চিন্তা করসি মটোতেই থাকুম। ওরা অনেক ভাল। 🙂
জীবিকার সন্ধানে জেলান্তরের কারণে এসব কমে আসবে এটা একটা আশা জাগানিয়া কথা বলেছেন। মাইগ্রেশান প্যাটার্নই এসে যাচ্ছে। চমৎকার একটি রিসার্চ হতে পারে। 😀
সুর বসাতে চেষ্টা করসিলাম। সব কিছুই পেকটিস। কিছুক্ষণ কাক, পেঁচা, দাঁড়কাক হবার পরে হাল ছেড়ে দিলাম। দেখি সুরেলা মনের কাউকে দিতে হবে। 😛
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
আমরা ময়মনসিং এর লুক। উস্তাদি আলাফ আংগর লগে করবাইননা :gulli2: :gulli2: :gulli2: (সম্পাদিত)
ফেরিঘাট আইস, আছাড় দিয়া পেডা গাইল্যালাম। 😡
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
নাফিস তুমি কি জানো, নাইল্যাকাডা মানে কি? বলতে পারলে মুমিসিং এর সিটিজেনশীপ পাক্কা!
এই যে আপা মজার ব্যাপার হল এই পুরো বেল্টে এই কথাগুলো একই রকম। উচ্চারণে একটু ভিন্ন! নাইল্যাকাডা! :)) :))
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
নাইল্যাকাডার উল্লেখে যে হাসি দিলে হে, তোমায় দেখি ডুয়েল নাগরিকত্ব দিতে হবে, মোকা!
উগার মানে জানো তুমি? গতকাল এই উগার নিয়ে কী হাসাহাসিই না করলাম, জানো!
'উগার' কি জানি না আপা। তবে আমি নিশ্চিত ভেঙ্গে বললে কাছাকাছি উচ্চারণেই কিছু একটা হবে।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
মোকা,
এক লেখায় কত কিছু কাভার করো! হিংসা।
বাংলাদশের মানুষের আঞ্চলিকতা বা রেসিজম নিয়ে কিছু বলবো না। যখন নিজগ্রামে চলে আসে ব্যাপারটা তখন এ-পাড়া ও-পাড়ার তুলনা এভাবে চলে।
যতক্ষণ না গানে সুর বসছে, ততক্ষণ আমিও অন্ধ এবং কালা --- কিচ্ছু বুঝতে পারিনা। সুর দিয়ে একবার শোনাও এখানে। একটা জব্বর অডিও ব্লগ নামাও
ভাই দিনলিপির তো এটাই মজা। যা ঘটে তাই নিয়ে লিখি। 😛 চিন্তা করতে হয় না, কারণ জীবন উপন্যাসের চাইতেও বৈচিত্র্যময় ও কখনো ভয়ংকর।
সুরের ব্যাপারে কিছু একটা করা দরকার। আসলে এখন লিরিকটাকেও ঠিক যুতসই মনে হচ্ছে না। প্রচুর ইংরেজী শব্দ যেগুলোকে সুরে উচ্চারণ করতে গেলে কেমন জানি হয়ে যাবে। দেখি কি করা যায়। গীটার হাতে নেই নইলে অন্য কিছু নিয়ে অডিওব্লগ নামিয়ে ফেলতাম আরো আগেই।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
নূপুর ভাইয়া ফেবু তে আপনার আর ভাবির নতুন ছবি টা দেখে আমার চার- পাচ বছর আগে শোনা আরতি মুখোপাধ্যায়. "তখন তোমার একুশ বছর বোধহয় " গানটার কথা মনে হইসে :shy: ভাবীকে সেই গানের অষ্টাদশী বালিকার মতন আর আপনাকে একুশ বছরের বালকের মতন লাগতেসে 😡
সবার সামনে ভয়ে আর বলি নাই ওখানে 🙁 (সম্পাদিত)
যতক্ষণ আঞ্চলিকতার বিষয়টা সোমালিয়ার মত না হয় ততক্ষণ কোন সমস্যা দেখিনা, সোমালৗদের নিয়ে যেটা চালু আছে অনুবাদে সেটা ভাল লাগবেনা, তবু দিলাম:
আমি আর আমার দেশ, সারা বিশ্বের বিরুদ্ধে
আমি আর আমার গোত্র আমর দেশের বিপক্ষে
আমি আর আমার পরিবার আমাদের গোত্রের বিপক্ষে
আমি আর আমার ভাই, আমাদের পরিবারের বিপক্ষ
আমি আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে
তোমার লেখা ভাল, এটিও ভাল হয়েছে
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
পড়ার জন্য ধন্যবাদ সাইদুল ভাই। ওদের মত এতটা খারাপ হয়তো হয় নি। কোনদিন হবেও না। 🙂
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
ভাই আমার খালা হচ্ছে সাত জন। তাঁদের বিয়ের সময় এ জাতীয় কী তুলনাহীন নকশা হয়েছে, সেটা বলতে গেলে সারাদিন চলে যাবে! বস্তুত বাংলাদেশ একটি নকশাবান্ধব দেশ। কেয়ার না করাটাই- এখন সমাধান বলে মনে হয়। যত কেয়ার তত আগে মানসিক মৃত্যু। কি দরকার?
খুব আগ্রহ নিয়ে পরিবারের মেয়েদের কারো বিয়েতে অংশগ্রহণ করলাম, কারণ করার সুযোগ হয়েছিল। ভুলেই গিয়েছিলাম নকশাবান্ধব দেশের কথা। শিক্ষা হয়ে গিয়েছে!
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
এক লেখায় এতগুলো বিষয়ের অবতারণা, সবগুলোই চমৎকার হয়েছে। থমাস হেবারলেইনের তত্ত্বটা মনঃপুত হয়েছে।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই। থমাস হেবারলেইন মূলত কথাগুলো বলেছেন পরিবেশ সচেতনতা নিয়ে। কিন্তু তিনি উদাহরণগুলো দেখিয়েছেন সাধারণ জীবনের। একটু চেষ্টা, একটু ঘষামাজা করলেই....কথাগুলো ভাল লেগেছিল।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
লেপালী কেলাইতাম কেমতে ! বল তুইয়া দেহি টেংগো মারে ...
ভাই এইটা কোন অঞ্চলের ভাষা? একদম ধরতে পারতেসিনা! 😕
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\