হঠাত্‍ একদিন

ঘুম থেকে উঠে দেখি বিশ মিনিট দেরী করে ফেলেছি। এখন সাড়ে আটটা বাজে। প্রতিদিন আটটায় ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস। কোন কোন দিন আটটা দশ বেজে যায়। কোন মতে ব্রাশ হাতে নিয়ে বেসিনে গেলাম। বিপদ যখন আসে সব দিক থেকেই আসে। পৃথীবির তিন ভাগ জলের হিসেবটা ঢাকা শহরের বাড়ীওয়ালাদের কাছে হয়তো অজানা। তা না হলে ভাড়াটিয়ারা পানির অভাবে মরবে কেন? ভাড়াটিয়া শব্দটার সাথে টিয়া পাখির অপূর্ব মিল রয়েছে।

বিস্তারিত»

জগতের সকল নারী সুখী হোক !!! এপিসোডঃ ২

আবার বসলাম লিখতে। যারা আগের লেখাটা পড়ছেন তারা নিচের প্যারাটা না পড়লেও হবে। ঠিক করছি ধারাবাহিক নাটকের শুরুর নাম দেখানোর মত এই সিরিজের প্রতি পর্বেই এটুকো দিয়ে দিব।

এটা আমার নিজের গল্প।[ অন্য কারো সাথে মিলে গেলে তা নিতান্তই কাকতালীয় !!]

আমার একটা গার্লফ্রেন্ড আছে। বিশ্বাস করেন একটাই। আমাদের অনেক দিনের রিলেশন। প্রায় ৭বছর হল আমরা প্রতিাদিন ঝগড়া করি। প্রতিদিনই প্রায়।

বিস্তারিত»

মন খারাপের মেয়ে

মন ভালো করা আর যুদ্ধ জয় করা সমান। মোটামুটি একটা যুদ্ধ জয়ের প্রস্তুতি নিলাম। তানির মন খারাপ। শুধু খারাপ না অনেক খারাপ। কিছু কিছু মেয়ে আছে যারা সহজে মন খারাপ করেনা। কিন্তু একবার মন খারাপ করলে মন সহজে ভালো করতে চায়না। তানি অনেকটা এরকম মেয়ে। চুপচাপ স্বভাবের। কখনো বলবেনা মন খারাপ। কিন্তু আমি বুঝতে পারি। ভালোবাসা নামক যে অদৃশ্য বস্তু প্রকৃতি আমাদের দান করেছে তার মাধ্যমে দুটি বিচ্ছিন্ন মনের অবিচ্ছিন্ন আবেগ খুব সহজেই আমরা বুঝতে পারি।

বিস্তারিত»

ক্যাঁনে ক্যাঁনে

আমাদের এক math এর স্যর ছিলেন, স্যার খালি বলতেন, “এ্যাঁ:, এঁটা করস ক্যাঁনে, ওটা করস ক্যাঁনে”

একদিন ক্লাস নাইন এ principal inspection এর আগে স্যার এসেছেন আমাদের রুমে, পাশের রুম থেকে মফিজুর এসেছিল তখন আমাদের রুমে যেন কি কারনে।

স্যার মফিজুরকে দেখেই বলে উঠলেন “মফিশ, এখানে এসেশো ক্যাঁনে, যাও নিজের রুমে যাও”।

মফিজুর চলে গেল, স্যারও চলে গেলেন।

আমাদের রুমগুলোর ছিল দুইটা দরজা,

বিস্তারিত»

তোরা…

বৃহস্পতিবার রাত।

দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের কাছে এটা “চাঁদরাত” বলে খ্যাত।আকাশে চাঁদ থাকুক আর নাই থাকুক,এটা চাঁদ রাত।সারা সপ্তাহের ক্লান্তিকর ল্যাব, ক্লাস, ক্লাসটেস্ট, অ্যাসাইনমেন্টের বোঝা থেকে দিন দুয়েকের জন্য মুক্তির সুবার্তা নিয়ে আসা মহিমান্বিত বৃহস্পতিবার রাত।ক্ষেত্রবিশেষে চাঁদরাত থেকেও আনন্দপূর্ণ।

আজ সেই বৃহস্পতিবার রাত।

রাশা আধশোয়া হয়ে আছে তার বিছানায়।অলস চোখজোড়া ল্যাপটপের স্ক্রীনের উপর বুলিয়ে যাচ্ছে।ফেসবুক ট্যাব ওপেন করা।শতশত নিউজ ফিড।তার প্রায় পাঁচশ ফেসবুক বন্ধুর কেউ না কেউ প্রতি মুহূর্তে কিছু না কিছু করছে।জাকারবার্গের সদ্য পরিবর্তিত ফেসবুক সিস্টেম সেটা তড়িৎবেগে স্ক্রীনের ডানদিকের কোনায় দেখিয়ে দিচ্ছে।ফেসবুকপাগল রাশা অন্য যে কোন দিন হলে চরম আগ্রহভরে প্রতিটা নিউজ দেখত।কিন্তু আজ সে কোন আগ্রহ পাচ্ছে না।নিতান্ত অভ্যাসবশত চোখ বুলিয়ে যাচ্ছে।কিন্তু চোখ থেকে তথ্য নিয়ে নিউরোন সেলগুলো মস্তিষ্কে বার্তা পাঠাচ্ছে না।তাই ব্রাউজার ক্লোজ করে ড্রাইভগুলোতে ঢুঁ মারতে থাকে রাশা।একটা মুভি দেখা যায়।হয়তোবা তাতে মানসিক অবস্থা একটু পরিবর্তন হবে।

বিস্তারিত»

ছবির ফ্রেম

পুরনো ডায়রিটা খুলে হঠাত্‍ করেই তিথির মন খারাপ হয়ে গেল। ডায়রির মাঝে রুদ্রের একটা ছবি। বাতাস লেগে প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে।রুদ্রের স্মৃতি বলতে তিথির কাছে এটুকুই। পনের বছর আগের ছবি।অনেক কষ্টে তিথি ডায়রিতে লুকিয়ে রেখেছে। কেউ দেখে ফেললে বিপদ। বিবাহিতা স্ত্রীর কাছে স্বামী ছাড়া অন্য যে কারো ছবি থাকাটা গুরুতর অপরাধ। তিথি জানে। তারপরেও রুদ্র বলে কথা। একটা সময় ছিল যখন তিথির প্রতিটি নিশ্বাস জুড়ে ছিল রুদ্র।

বিস্তারিত»

বেঁচে থাকার গল্প

ময়নার মা,ও ময়নার মা।কাঁপা কাঁপা কন্ঠে মন্তাজ মিয়ার ডাক।রাত প্রায় দুইটা।ঢাকা শহরের নাগরিক কোলাহল একটু আগে থেমে গিয়েছে।রাস্তার দু পাশে সোডিয়ামের বাতি গুলো ঝাপসা।সেখান থেকে যতটুকু আলো আসে তাও কুয়াশার সাথে মিশে অস্বচ্ছ এক আবহ তৈরি করেছে।পলিথিনের তৈরি অস্থায়ী ঘরের ফাঁক দিয়ে তার কিছুটা আলো ময়নার মার মুখে পরেছে।ষাটোর্ধ মন্তাজ মিয়া কাছে মনে অস্বচ্ছ এই আলোয় ময়নার মাকে আরো মায়াবী লাগছে।কল্পনায় চল্লিশ বছর আগে চলে যায় সে।ঢাকা শহরে নতুন এসেছে ।থাকার জায়গা নেই।একদিন কমলাপুর রেলস্টেশন অন্য দিন গাবতলী যাত্রী ছাউনি।মাঝেমাঝে দোতলা লন্চের ছাঁদে চড়ে সুদূর বরিশাল যাতায়াত করা হত।একসময় বুড়িগঙ্গার গন্ধযুক্ত পানিকে খুব বেশি আপন মনে হত।সবেমাত্র মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়েছে।দেশের অবস্থা বেগতিক।একবেলা খাবার আশায় তাই শহরে পাড়ি জমানো।গ্রামে মন্তাজ মিয়াদের গেরস্থলি ছিল।গোয়ালে তিন চারটা গরু।পুকুরে মাছ।ক্ষেতে সবজি।সবমিলিয়ে একটা সাজানো সংসার।দিনকাল ভালোই কাটছিল।এর মাঝে হঠাত শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ।ফরমান আলীর কমান্ডো বাহিনীতে যোগ দেয় মন্তাজ মিয়া।সুঠাম দেহ আর লম্বা চওড়া শরীর থাকায় প্রায় সব অপারেশনেই মন্তাজ মিয়া নেতৃত্ব দিত।এভাবেই কেঁটে গেল অনেক দিন।একসময় যুদ্ধ শেষ হল।গ্রামে ফিরে নিজের ঘর বাড়ি খুঁজে পেলনা।পাকিস্তানী হানাদাররা লন্ডভন্ড করে দিয়েছে সব।বাড়ির সামনে কয়েকটা নতুন কবর দেখে বুকের ভেতরটা হুহু করে উঠল।সেদিন ই শহরে পাড়ি জমাল মন্তাজ মিয়া।একরাশ বুক ভরা অভিমান নিয়ে।

বিস্তারিত»

ভাবনাপঞ্জি

ক’দিন আগেও এ ঘরটা বেশ খোলামেলা ছিল। লোকে তেমনটিই বলত । ক’দিন হল এ ঘরটাকে আমার গুমোট ঘুপচি মনে হচ্ছে। যেন চারপাশটা আমাকে ঠেসে ধরবে।শ্বাস রোধ হয়ে যাবে।ঘর নিয়ে গবেষণার পরিবর্তে এখন আমার অফিসের কাজ-কর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা ছিল। আর কথা ছিল ছ’টায় বাসায় ফেরার।ততক্ষণে বেলী – আমার স্ত্রীও অফিস থেকে ফিরবে ।ছোট মেয়ে ঝিনুক আরও আগেই স্কুল থেকে ফেরে।সারা দিনের খাটা-খাটুনির পর স্ত্রী-কন্যার সাহচর্যে সব ক্লান্তি-শ্রান্তি মুছে যা্বে।

বিস্তারিত»

স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গের গল্প

অনেকক্ষন ধরেই নির্বিকারভাবে দাঁড়িয়ে আছি । কখন এই যাত্রার শেষ হবে? বাস থেকে নামব । আজ অন্যান্য দিন থেকে ভীড় কম বলা যায় না কি না জানি না ।এত মানুষ কিভাবে জড়ো হয় ? বাসে বিন্দুমাত্র পা রাখার জায়গা নেই ।গরম খুব বেশি পড়ে নি এটাই রক্ষা । অনেকেই বাদড় ঝোলা হয়ে আছে।আজ শুভ দিন কিনা কে জানে ? রাস্তার জ্যাম কম ছিল।মীরপুর ১০ থেকে বাসে উঠেছি,

বিস্তারিত»

ইজ্জত আর মেশিন দুইটাই হুমকি তে।

কয়দিন হইল ফেসবুকে একটা তামশা শুরু হইছে। আপনার অমুক অমুক বন্ধু এই লিঙ্ক শেয়ার করছে, ওই লিস্টে কিছু বিশ্বস্ত  বন্ধুর নাম দেখলাম। দেখায় অমুকের স্ক্যান্ডাল ভিডিও, তমুকের এইডা- ঐডা দেখা যাচ্ছে এই টিভি শো তে। এগুলার ওপরে থাকে প্রায় কাপড় না না পড়া কোন একটা মেয়ের ছবি।ডানে বামে তাকাইয়া রুমে কেও নাই শিওর হইয়া দিলাম লিঙ্কটায় ক্লিক কইরা।জিগাইলো আপনি ১৮+ কিনা।লাফ দিয়া উঠলাম , কইলাম ১০০বার।

বিস্তারিত»

শিক্ষক VS ক্যাডেট এর ৬বছরের ম্যাচের কিছু ধারাবিবরনি। সিজন ২-এপিসোড-১

সবাই কয় ভদ্রলোকের এক কথা। তাই মেলা দিন হইল এই সিরিজের আর এক পর্ব লিখতে গিয়েও মনের ভিতর খচখচ করছিল। লাস্ট পর্বে কইছিলাম এইডা আর লিখুম না। কিন্তু একটু ঠাণ্ডা মাথায় ভাইবা দেখলাম হুদাই খচখচ করতেছে। ওই কথা তো আমার জন্য প্রজয্যই না । :goragori: :goragori: :goragori: তাই লিখতে বইসা গেলাম।

 

১) সৈয়দ নুরুল ইসলাম স্যার। বাংলা ডিপার্টমেন্ট। স্যার নতুন আসছেন কলেজে।

বিস্তারিত»

বিরহগাথা

মানুষের জীবনটা এমন কেন? কেন এমন তার চাওয়া-পাওয়া, তার ভালোলাগা-খারাপ লাগা, হাসি-কান্না, বেদনা-সুখগুলো, কেন তারা কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করেই ছুটে চলে লাগামহীন ঘোড়ার মত, আপন খেয়ালে, অর্থহীনভাবে। কেন চেনা মানুষগুলো হঠাৎ করে অচেনা হয়ে যায়, কাছের মানুষগুলো পথ হারিয়ে দূরের অচিন পথিকে পরিণত হয়! কিছুকাল আগের সুখস্মৃতিগুলো ব্যথার তীর হয়ে হৃদয় খুঁড়ে অশ্রু জাগায়। একি মানুষের যে কথাগুলো, স্পর্শগুলো, ভাবের আদান প্রদানের তরঙ্গগুলো খুবই আকাঙ্ক্ষিত,

বিস্তারিত»

“শুভেচ্ছা”

আজ সকালে ঘুম ভাঙ্গল ঠাডা পইরা। ঠাডা বুঝেন? বজ্রপাত রে আমাগো এলাকায় ঠাডা কয়।

 

সকালে সারে সাতটা নাগাদ বাপে ফোন দিয়া ঘুম ভাঙ্গাইল।ঘুম জড়ানো গলায় বললাম

-স্লামুয়ালাইকুম আব্বু

-নিচে আয়। আমি তোর বাসার নিচে।

ঘুম ছুইটা গেল। রুমের চারি দিকে তাকাইয়া।রুমের অবস্থা দেখে ইচ্ছা করল সিড়ি দিয়ে না নেমে সরাসরি ছয় তলা থেকে লাফ দিয়া নাইমা যাই।

বিস্তারিত»