ছোটবেলা থেকেই কেঁদে জিতে যাওয়া ব্যাপারটার সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। যখন তখন চোখের জল ফেলাটাকে আমরা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। আমরা হার না মানা জাতি। কখনো কারো সাথে কোন কিছুতেই হেরে যেতে আমরা নারাজ। আমাদের মূলমন্ত্র যেন- “কর্মে যদিও হয় পরাজয়, কান্নায় জয় হবে নিশ্চয়”।
শৈশবে হয়তো মারামারিতে কারো কাছে হেরে গিয়েছি, কান্নায় কিন্তু ঠিকই জিত হয়ে গেছে। কিংবা বাবা-মায়ের কাছে আবদার করে কিছু পাইনি, শুরু হয়ে গেছে অসহযোগ কান্দোলন(কান্না দ্বারা কৃত আন্দোলন)। আবার বড় ভাইবোন কেউ বকেছে, মায়ের কাছে নাকি-কান্নায় মিলেছে আশ্রয়।
এই কেঁদে কেঁদে জিতে যাওয়ার অধিকারটা আমরা উত্তরাধিকার সূত্রেই পেয়ে থাকি। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই কান্নার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হতে থাকে। কোন কারনে কাঁদলেই আশে-পাশের গুরুজনেরা বলতে থাকেন, “তুমি তো ব্যাটাছেলে, তুমি তো পুরুষ মানুষ, তুমি কাঁদবে কেন? কাঁদবে তো মেয়েরা”।
তখন থেকেই কান্না-কাটি নামক বস্তুটাকে মেয়েদের একচেটিয়া ভোগ্যপণ্য বলে মেনে নেই। এর ফলশ্রুতিতে ধীরে ধীরে নিজের পৌরুষ(!) বিকশিত হবার সাথে সাথে কান্না-কাটি থেকে অনেক দূরে চলে আসতে থাকি।
প্রথম এই ব্যাপারটা লক্ষ্য করি যখন আমার বয়স ১০/১১ বছর। আমার পাশের বাড়ির এক বৃদ্ধ অনেকদিন অসুস্থ থেকে মারা যান। গ্রামে কারো বিপদে-আপদে সবাই এগিয়ে আসে। তার মৃত্যু শিয়রে আমি সহ আমার পরিবারের সবাই উপস্থিত ছিলাম। তার জীবনের শেষ ঘন্টা খানেক আমি সামনে দাড়িয়ে দেখেছি। দেখেছি কীভাবে একটি প্রাণের স্পন্দন থেমে যায়, দেখেছি একটি উষ্ণ দেহ কীভাবে মৃত্যুর হিমশীতল অন্ধকারে হারিয়ে যায়।
তার মৃত্যুর পর দেখলাম সবাই কাঁদছিল। তার পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশী সবার চোখে পানি। আমার মায়ের মনটা বেশি নরম; দেখলাম খুব ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিল। এমনকি পাড়ার সেই ঝগড়াটে মহিলা, সারাদিনই যে ঝগড়া করতো সবার সাথে, আমি ভাবতাম তার মনে বুঝি কোন মায়া-দয়া নেই; তার চোখেও দেখেছি অশ্রুবন্যা। অথচ আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম আমার চোখে কোন পানি নেই। আমি মোটেও কাঁদছি না। এমন নয় যে আমার মনে কষ্ট লাগছিল না। কষ্টে বুকের ভিতরটা মোচড় দিয়ে উঠছিল ঠিকই, শুধু চোখে জল ছিল না।
এই প্রথমবার নিজের সম্পর্কে একটা ধারণা স্পষ্ট হয়ে গেল। তাহল, আমি কাঁদতে পারিনা। তবে আমার মনে যে মায়া-দয়া নেই, তা নয়। যে কোন কষ্টের ঘটনা দেখলে খুব খারাপ লাগে, কাউকে মারা যেতে দেখলে খুব কষ্ট হয়। কেমন যেন বুকের ভিতর শূন্য হয়ে যায়, মাথাটা হালকা হয়ে যায়। এগুলো নিশ্চয়ই কষ্টের অনুভূতি। এগুলো আমি ঠিকই অনুভব করি, শুধু কান্না আসেনা আমার।
তবে একবার কেঁদেছিলাম একদিন। সেই গল্পটা আজ বলতে চাই। তার আগে অবশ্য একটু ভূমিকা আছে-
ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হলাম ২০০৪ সালে। বের হয়েছি ২০১০ এ। ছয়টি বছর অনেক দীর্ঘ সময়। অনেক কিছু ঘটে যাওয়া সম্ভব এর মাঝে। ঘটেছেও বটে অনেক কিছুই।
ভর্তির প্রথম দিন বাবা-মা চলে যাওয়ার পর আমার নতুন বন্ধুদের অনেককেই দেখেছি প্রচণ্ড কান্না-কাটি করতে। আমার কিন্তু কোন দিনই কান্না আসেনি।
ক্লাস সেভেনে আমার পাশের রুমে থাকতো ইফতেখার, কাঁদার জন্য বিখ্যাত ছিল সে। বাবা-মায়ের জন্য খারাপ লাগতো বলে সে প্রায় সারাদিনই কাঁদত। সিনিয়র ভাইয়ারা কিংবা শিক্ষকরা মাঝে মাঝেই তার রুমে এসে তাকে সান্ত্বনা দিয়ে যেতেন। কিছুতেই সে কান্না থামাতো না। ফর্সা চেহারা তার, কাঁদতে কাঁদতে দুই চোখের নিচে কালো কালি ফেলে দিয়েছিল সে। প্রতিদিনই সে বাড়ি চলে যেতে চাইতো।
তার পরের কাহিনী সব সহজ সরল। ইংরেজিতে একটা কথা আছে, Time is the best healer. মানে- সময় সব কিছু ঠিক করে দেয়। আস্তে আস্তে ইফতেখার বন্ধুদের মাঝে, কলেজের মাঝে খুব মজা পেয়ে গেল। আর কাঁদে নাই সে কোনদিন বাবা-মায়ের জন্য।
আমার মনে আছে ক্লাস টেনে একজন আমাকে বলেছিল, “দোস্ত, বাসায় গেলে খালি কলেজের কথা মনে পড়ে, ছুটিতে বাসায় যেতে ইচ্ছে করেনা, মনে হয় কলেজেই থেকে যাই”।
সত্যি কথা, আমারও একই রকম মনে হত। ভাবতাম, শালার কলেজ কী চিজ! বাপ-মা, ভাইবোন সবাইরে ভুলাইয়া দিল। আর আপন হয়ে গেল কিছু অপরিচিত ছেলে।
এই অপরিচিত ছেলের দল কীভাবে যেন হয়ে গেল আমার জীবনের সবচেয়ে পরিচিত লোকজন। একসাথে খাই, একসাথে খেলি, একসাথে ঘুমাই। বিপদে আপদে ৪৯টি মুখ সর্বদা সাহায্যে এগিয়ে আসে। একসাথে সবাই পশ্চাৎদেশে সিনিয়রের হ্যাঙ্গার স্টিক কিংবা ক্রসবেল্টের বাড়ি হজম করি, আবার একসাথেই কলেজের গাছের আম পেড়ে খাই। বন্ধুতা কী জিনিস ওরাই আমাকে বুঝিয়েছে।
এস এস সি কিংবা এইচ এস সির মত পরীক্ষায় নিজের লেখা বাকি থাকা সত্ত্বেও পাশের বন্ধুকে খাতা দেখানো একমাত্র ক্যাডেট কলেজের বন্ধুর দ্বারাই সম্ভব। ওদের এত ভালবাসায় ছয়টি বছর যে কীভাবে এত তাড়াতাড়ি কেটে গেছে টেরই পাইনি। এত বন্ধুত্বের মাঝে থেকে ছয় বছরে কোনদিন চোখে একফোঁটা জল আসেনি।
কেটে যায় দিন খুব দ্রুত। ২০১০ সালের মে মাস। এইচ এস সি পরীক্ষা শেষ হয়ে গেল। একদিন বিরতি দিয়ে মাত্র দুই দিনে আমাদের ৮টি প্র্যাক্টিকাল পরীক্ষা শেষ করে দেয়া হল। হাতে আর মাত্র ১ দিন আছে। এর পরদিন আমরা কলেজ থেকে চলে আসবো। শুরু হয়ে গেছে ফেয়ারওয়েল (বিদায়) নেয়ার পালা। প্রথমে বিদায় নিলাম প্রিন্সিপাল স্যার এর বাসা থেকে, যাকে বলে গার্ডেন পার্টি। সেখান থেকে ফেরার পথে কান্নার লহর ছুটে গেল। বন্ধুদের প্রায় সবাই কাঁদছে। কেউ হাউমাউ করে, কেউবা ফুঁপিয়ে। সবার রুমাল চোখের পানিতে ভিজে চুপচুপ করছে। ভাগ্যিস, তখন আমরা রঙিন রুমাল ব্যবহার করতাম। সাদা রুমাল হলে খবর ছিল। ওই সময় একেকজন যত কেঁদেছে, তাতে একঘণ্টায়ই যে কারো সাদা রুমাল কালো হয়ে যেত।
এরপর হাউজ থেকে বিদায় নেয়ার পালা। আবার সেই আগের মত কান্না উৎসব। আমার বন্ধু ইকবাল, জুনিয়র প্রিফেক্ট থাকার সময় যার এক ধমকে ক্লাস সেভেন-এইটের কাপড় নষ্ট হয়ে যেত। সেই ইকবালকেও দেখলাম এক জুনিয়রকে জড়িয়ে ধরে সেকি কান্না। আমি কিন্তু মোটেও কাঁদছিলাম না। বুকের ভিতর কেমন জানি ফাঁকা ফাঁকা লাগছিল। শুধু মনে হচ্ছিল, এই চিরচেনা মুখ গুলোকে একদিন পর আর একসাথে কখনো দেখবো না। হয়তো বা কারো কারো সাথে জীবনেও আর কোনদিন দেখা হবে না। আমি বেঁচে থাকব কী করে তা’ই বুঝতে পারছিলাম না।
পরদিন অডিটোরিয়াম এ ছিল পুরো কলেজ থেকে বিদায় নেয়ার অনুষ্ঠান। এইবার হল কান্নার মহা উৎসব। বন্ধুদের চোখে জল, জুনিয়রদের চোখে জল। চোখে জল স্যার-ম্যাডামদের ও। আমি কেন জানি তখনো নির্বিকার। মাথাটা শূন্য লাগছিল। হঠাৎ সাব্বির আসলো কোথা থেকে যেন কাঁদতে কাঁদতে। আমাকে বলে, “সবাই কাঁদে তুই কাঁদিস না ক্যান?”
আমি বললাম, “দোস্ত, আমার কান্না আসেনা, আমি কী করমু?”
সাব্বির- “তোর কি খারাপ লাগে না?”
আমি-“খারাপ তো লাগে, কিন্তু চোখে পানি আসে না”।
সাব্বির-“এখন হয়তো আসছে না, কালকে কিন্তু ঠিকই আসবে। যখন সবাই চলে যাব আমরা, তখন দেখবি ঠিক কেঁদে ফেলবি”।
আমি-“না রে, আমি মন হয় না কাঁদবো, আমার দয়া-মায়া কম। চোখে কখনো পানি আসেনা”।
সাব্বির-“আমার চ্যালেঞ্জ, তুই কালকে কাঁদবি, আমি বাজি রেখে বলতে পারি”।
আমি—“আমি তো বাজি টাজি ধরি না, তবে আমি যদি কালকে কেঁদে ফেলি তাহলেই তো তুই জিতে যাবি, তাইতো?”
সাব্বির- “হ্যাঁ, আমি সিওর আমি জিতে যাবো”।
আমি- “ঠিক আছে, কালকে দেখা যাবে”।
আমি জানতাম যে আমি জিতে যাব, কারণ কান্না যে আমার জন্য নয়, আমার চোখের জল যে অনেক আগেই শুকিয়ে গেছে।
পরদিন সকাল বেলা। বিদায় ক্ষণ চলে এল খুব দ্রুত। আগের রাতেই ব্যাগ গুছিয়ে রাখা ছিল। কোন মতে ব্রেকফাস্ট শেষ করে ব্যাগ নিয়ে বের হলাম সবাই। হাউস থেকে একাডেমিক ভবনে যাওয়ার পথে সবাই দাড়িয়ে ছিল। সমস্ত কলেজ। সব স্যার-ম্যাডাম আর জুনিয়রেরা।
একে একে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে এলাম বাস্কেট বল গ্রাউন্ডে। এটাই সবচেয়ে কঠিন সময়। কারণ এখন আমাদের নিজেদের মধ্যে বিদায় নেয়ার পালা। কাঁদছে সবাই। কাঁদতে কাঁদতে একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরছে; চোখের জলে ভিজে যাচ্ছে সবার হাতের রুমাল, শার্টের হাতা। আমি একপাশে দাড়িয়ে আছি। যেন কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। এমন সময় আমার হাউজের বন্ধু ‘হক’ (ইসলামুল হক) এসে কাঁদতে কাঁদতে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। সেই দৃশ্যটা এখনো আমার চোখে ভাসে। সে জড়িয়ে ধরার পর আমার মধ্যে কী যেন হয়ে গেল।
ওকে ছেড়ে দেয়ার পর দেখি আমার গাল পানিতে ভেজা। নিজের অজান্তেই আমি কখন যে কেঁদে ফেলেছি টের পাইনি। এত কষ্টের মাঝেও তখন আমার যে কি খুশি লাগছিল তা কাউকে বলে বোঝানো যাবে না।
এরপর কেটে গেছে ৩টি বছর। সাব্বিরের সাথে আরও অনেকবার দেখা হয়েছে, অনেক কথাও হয়েছে। সে বলেছে যে সে আমাকে কাঁদতে দেখেছিল সেদিন; তাই তার জিত হয়েছে। আমি পরাজয় মেনে নিয়েছি হাসিমুখে।
ওকে বলিনি যে ওর কাছে হয়তো আমি হেরে গেছি, কিন্তু নিজের কাছে আমি ঠিকই জিতে গেছি। নিজেকে চিনতে পেরেছি। নিজের কাছে জিতে যাওয়াটাই কী বড় জয় নয়? এরকম জিতে যাওয়ার জন্য আমি আরও অনেকবার কাঁদতে রাজি আছি।
:clap:
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
😀 thanx vaia.......
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
চমৎকার সামি।
খুব আবেগময় একটা লেখা।
ভাইটি - একেবারে কলেজের দিন গুলোতে চলে গিয়েছিলাম।
তবে জানো, আমরা (৮৮ ইনটেক মির্জাপুর) ফরমাল বিদায় পাইনি।
সে কে বিরাট ইতিহাস - "ঘরে তে ছিল না কেরসিন টাইপ ...আর কি !"
তবে কান্নাকাটি হয়েছিল ব্যাপক। মনে পড়ে গেল সেই সব দিনের কথা।
ভাল থেকো প্রিয়।
🙂 🙂
সৈয়দ সাফী
কান্না কাটি তো ভাই আজীবন থাকবে, যতদিন কলেজ আছে আর কি............ এখনো পোলাপান কাঁদে। সেদিন ফেসবুকে এক জুনিয়র এর কিছু ছবি দেখলাম কান্নার.. আমারও পুরনো কথা মনে পড়ে গেল।
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
সামি তুমি সুন্দর লেখ।
সিদ্দিক ভাই, ধন্যবাদ। আপনার উৎসাহ পাইলেই মনে হয় লেখাটা সার্থক হইলো......... 😛
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
আমার আম্মা ফাইজলামী করে বলত, কলেজে ঢুকার দিন সবাই খাম্বা ধরে কাঁদে না ঢোকার জন্য, (আমাদের কলেজে ঢোকার জায়গায় কিছু পিলার ছিল :p) আর বের হওয়ার দিন খাম্বা জড়ায় কাঁদে না বের হওয়ার জন্য।
আমারও তেমন কান্না আসেনাই, বন্ধু বান্ধবেরা কাঁদসিল প্রচুর। হয়ত আমিও একটু একটু কাঁদসিলাম, মনে নাই এখন আর। তবে বের হওয়ার পর একা একা দিনগুলা, বড় একা লাগত। তখন কান্না পেত।
সত্যি কথা বলতে আমি ছয় বছরে মাত্র ওই এক দিনই কাঁদছিলাম............। এখনও মাঝে মাঝে রাতে একা থাকলে কলেজের কথা, পোলাপানদের কথা মনে পড়লে চোখ ভারী হয়ে আসে......।
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
তোমার কান্নাকাটি ব্লগ পড়ে ছোটবেলার কান্নাকাটির কথা মনে পড়ে গেলো। ব্যাপক জোরে জোরে গলা ফাটায়া কানতাম একটা সময় পর্যন্ত। তবে বড় হবার সাথে সাথে সেটা চলে গেছে। মনে আছে বড় হয়ে খুব একটা কাঁদিনি। কাঁদলেও সবার অগোচরে, লুকিয়ে লুকিয়ে। কলেজে যাওয়ার পর প্রচন্ড মন খারাপ থাকতো। কিন্তু কাদিনি। কলেজ থেকে বেরোনর দিনও না। 🙂
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
ভাই আপনার মন তো মেলা শক্ত, বেরনোর দিন ও কাঁদেন নাই??? হেরে গেলাম আপনার কাছেও...।। 😛
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
দিলিতো মনটা খারাপ করে......
😛 কেঁদে ফেল আরেকবার......... :((
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
ভালো লিখতে পার তুমি। চালিয়ে যাও। :thumbup: :thumbup: :thumbup: তবে আসলেই বের হয়ে আসার দিনের মতো হাউমাউ কান্না আমি কখনো কাঁদিনি। কাঁদতে দেখিও নাই। মনে পড়ে গেল।
Prisoner of Own Mind
ধন্যবাদ ভাইয়া............
চেস্টা করবো চালিয়ে যাওয়ার, দোয়া করবেন।
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!