ছোটবেলায় আমার নাম শুনে অনেকেই যখন বলত,”বাহ,তোমার ডাকনামটা তো সুন্দর”,তখন খুব ভালো লাগত।সেইসময় তো আর বুঝতাম না যে মানুষ অনেক কিছুই বলে,যেগুলোর নাম হচ্ছে “কথার কথা।”তাই নাম নিয়ে আমার ভিতরে হাল্কা গর্ব ছিলো।আমার এই গর্ব ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায় পাবনা ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হওয়ার পরে।টিচার থেকে শুরু করে সিনিয়র,স্টাফ,হসপিটাল অ্যাটেনডেন্স,যেই নাম জিজ্ঞেস করে,আমার উত্তর শুনে কিছুক্ষন ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বলে,”হিন্দু নাকি?”সারাজীবনে আমার যে কয়জন “প্রতীক”
বিস্তারিত»থ্রি কমরেডস
আমরা তখন ক্লাস সেভেনে।একাডেমিক ব্লকের উত্তর পশ্চিমের তিনটা গাছের কামরাঙা হাতছানি দিয়ে ডাকে।মনে মনে বলি আর একটু বড় হ, তারপর খাব। কামরাঙা বড় হল।এক দিন মিল্ক ব্রেকের পর মাহফুজ ,শরিফ , হাবিব ছুটল লবন নিয়ে ।কামরাঙা খাবে। আমিও ছুটেছি।ওরা তো পটাপট বেশ কয়েকটা ছিড়ে নিল। সবার আগে মাহফুজ কামড় দিল। আরে! টকও না আবার কোন স্বাদ ও নাই।আবার রস কম। কামরাঙা না অন্যকিছু ! পরে জানা গেল ওগুলো অর্জুন ফল।ক্যাডেট কলেজের ভিতরে বলে ভাল আছে।
বিস্তারিত»বাবার কাছে লেখা চিঠি…
[সরকারি কর্তব্যে আমি দেশ হতে হাজার মাইল দূরে। এক যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশে শান্তিরক্ষার কাজে নিয়োজিত। দেশ হতে একটা ফোন আমার সব চিন্তা-ভাবনাকে এলোমেলো করে দিল। এক সপ্তাহ আগে দেশ হতে ঘুরে এসেছি। তারিখটা ছিল ২৫ ডিসেম্বর ২০০৯। যেতে চাইলেও যাওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। একটু পর পর ফোনে কথা বলে মনকে ঠাণ্ডা রাখা। শেষবারের মত বাবার মুখটা দেখতে বড় ইচ্ছা জাগে কিন্তু নিয়তির হাতে তখন আমি বন্ধী।
বিস্তারিত»টাই – আমার গলার মালা + ২ টা ফাও জ্ঞান
ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হবার পর আমাদের অনেকেই জীবনে প্রথম টাই পড়েছে। এরপর ৬ বছরে টাই হয়ে হয়ে যায় ক্যাডেটদের প্রতিদিনের সঙ্গী। সেভেন এইটে আমরা যারা সাইজে তত বড়সড় ছিলাম না তারা টাইএর ছোট অংশ যাতে লম্বা না হয়ে যায় বা লম্বা কমানোর ব্যাপারে বেশ কসরৎ করতাম। আর ছিলো টাইয়ে যাতে মাখন না লাগে সেই চেষ্টা। মনে পরে গেলো নভিসেস প্যারেডের আগে ভোরের প্যারেড, একাডেমী আর রাতের প্রেপে পড়তে হতো সাদা শার্ট,
বিস্তারিত»ডেড পোয়েটস সোসাইটি! ওহ ক্যাপ্টেন, মাই ক্যাপ্টেন !
ফাইনাল এক্সাম চলছে। তাই মোটামুটি বিজি ছিলাম বেশ কয়েকদিন ধরে… নেক্সট পরীক্ষার আগে ৫ দিন গ্যাপ। এত দিন গ্যাপ থাকলে আর যাই হোক, পড়াশুনা জিনিসটা করা হয় না ! সেইটা সেই ক্লাস সেভেনেই বুঝে গেছি। তাই সময় কাটাতে একটা মুভি দেখতে বসলাম। Dead Poets Society … রবিন উইলিয়াম আছেন মুভিতে। বোধহয় ইথান হকের ব্রেক থ্রু মুভি ছিল এটা । মুভি দেখা শেষ করেছি অনেকক্ষণ হলো..
বিস্তারিত»সম্রাট বাবর ও তার সাঙ্গপাঙ্গ……
ক্লাস ৭ থেকে আমাদের ইতিহাস ক্লাস নিতেন জহির স্যার। জহির স্যার সম্রাট বাবরের বিশাল ফ্যান। তিনি মুঘল আমলকে পড়াতেই সবচে বেশি পছন্দ করতেন। তাই আমরা তার নাম দিয়েছিলাম সম্রাট বাবর।
স্যার ক্লাস এ আসলে ফর্ম সাবধান না বলে আমরা মোঘল আমলের মত সুর করে বলতাম (ফর্ম লিডার বলতো)……মুঘল-ই-আজম……মুঘল-ই- শাহেনশা………… সম্রাট বাবর……এইসব…
স্যারের একমাত্র পানিশমেন্ট সিল ব্যান্ড পজিশন করায়ে পশ্চাৎদেশে কাঠের স্কেল দিয়ে মাইর।
বিস্তারিত»হারানো বন্ধুটির কাছে আমার খোলা চিঠি :(
প্রাণপ্রিয় বান্ধবী ____,
না তোর নামটা বলব না, কারণ আমার অনেক গুরুত্বপূর্ণ আইডির password এ তোর নাম একটি অংশ হয়ে আছে।
তোর কাছে লিখতে অনেক দেরি হয়ে গেল তাই প্রথমেই তোর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি । তোর পক্ষে হয়ত এই চিঠিটি পড়া সম্ভব হয়, তবুও লিখছি।
তোর সাথে আমার এমন এক সময় পরিচয়, যখন বন্ধুত্বর সংজ্ঞা তো দূরের কথা মায়ের কোল থেকেই বের হতে পারিনি।
বিস্তারিত»কিঞ্চিৎ রস
ঘোষনাঃ সত্যিকার ঘটনার চরিত্রের সাথে নামের কোন মিল নেই।
ক্লাস সেভেন। মামুন আর দিনার রুমে টেবিল টেনিস খেলে ধরা খেল প্রচন্ড কড়া টিচার আনিস ফিরোজা ম্যাডামের কাছে। ম্যাডামের আবার একটু গুন্ডামী করার মানে পিঠে দুই চারটা দেবার অভ্যাস আছে। মামুন দেখলো কপালে মার নিশ্চিত। তো একা খাবে কেন? সাথে সাথে করুণ সুরে বলল, ম্যাডাম, আমাদের কোন দোষ নাই, আসিফ আমাদের শিখিয়ে দিয়ে রুমে খেলতে বলেছে।
বিস্তারিত»টুকরো বিনোদন
ক্যাডেট কলেজে অনেক ঘটনাই হটাত হটাত ঘটে যায় যা পরে মনে করে অনেক হাসি পায়। তেমন কিছু টুকরো ঘটনা এবং কিছু বোরিং জোক্স নিয়ে হাজির হলাম। এর মধ্যে কিছু কিছু ঘটনা নিজের অভিজ্ঞতা আর কিছু অন্যের কাছে শোনা।
১/ ইসলাম শিক্ষা খাতায় সব সময়ই সবার মুল লক্ষ্য থাকে কিভাবে পৃষ্ঠা সংখ্যা বাড়ানো যায়। এর বাইরে মুল লক্ষ্য হল নীল কালিতে আলাদা কোটেশনে হাদিস/ কোরানের আয়াত লেখা যার অধিকাংশই ছিল নিজের মন গড়া।
বিস্তারিত»ইডি সমাচার
ইডি খাওয়া ক্যাডেটদের প্রাত্যহিক জীবনের একটি অংশ। তবে কারো কারো জন্য তা হয়ে ওঠে অতি-প্রাত্যহিক। ক্যাডেটদেরকে নিয়মিত ইডি লাগানোর মত কষ্টসাধ্য কাজটি সাধারণত স্টাফরাই করে থাকেন (ক্ষেত্রবিশেষে অতি-কর্তব্যপরায়ণ শিক্ষক ও ক্বচিৎ অ্যাডজুটেন্ট-প্রিন্সিপ্যাল)। ইডি লাগানোও যে একটি শিল্প হতে পারে মাঝে মাঝে আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী স্টাফ ও স্যারেরা তা দেখিয়ে দেন। এবারে থাকছে চমকপ্রদ কিছু ইডির বৃত্তান্ত। (* চিহ্ন সংবলিত ইডিগুলো বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণের যোগ্যতা রাখে।)
এক্ষেত্রে হাউস মাস্টার অফিস থেকে ইডির নোটিস সময়মত হাওয়া করা এবং আমাকে তা ব্যবহারের অনুমতি দেয়ায় তাশরীফ মাহমুদ (ফকক,
বিস্তারিত»একটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন
বি.দ্র. এই পোস্টের লেখক “সত্য কোন দিন চাপা থাকে না” টাইপের ফালতু তত্ত্বে বিশ্বাসী। অতএব কাহিনীটি একটি সত্য ঘটনা থেকে প্রণোদিত। যতটুকু প্রকাশ করলে শুধু স্যারদের উপর দোষ চাপানো যায় ততটুকুই দেয়া হল। নামগুলো কাল্পনিক। কারোর সাথে মিলে গেলে লেখক দায়ী নয়।
সন্ধ্যা ৭টা। ইভনিং প্রেপ চলছে। এখন আবার থার্ড টার্মের টার্ম-এন্ড পরীক্ষা। আমি পড়ি ক্লাস এইটে। আগের দুই টার্মে মাশাল্লাহ(!) রেজাল্ট করায় সায়েন্স পাওয়ার জন্য একটু সিরিয়াসলি পড়ছিলাম।
বিস্তারিত»দিন যায় কথা থাকে-২
ততদিনে আমাদের সুদিন চলে আসছে। কোন জায়গায় চান্স না পাওয়ার সামাজিক,মানসিক গ্লানি কাটিয়ে ততদিনে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্বিত ছাত্র হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছি। “ক্যাডেট কলেজে পড়লেই কি সবাই ভাল জায়গায় চান্স পায়” বলা নিন্দুকের মুখে তখন “জানতাম এই ছেলেই একদিন…” বানী শোভা পায়।
শীতের কোন কোন কোন সকালে সিরাজগঞ্জ থেকে চলে আসে নাসিম। আমরা সারাদিন সারা টাঙ্গাইল চষে বেড়াই। শহর পেড়িয়ে,নদী পাড় হয়ে চলে যাই কোন এক চরের গ্রামে।
বিস্তারিত»বৃষ্টি
বৃষ্টি হচ্ছে লস আঞ্জেলেসে ।
আকাশ মেঘে ঢাকা। দূর পাহারগুলোকে ও মেঘ ঢেকে দিয়েছে ।জানালা দিয়ে দেখলে বোঝা যাবে না যে বৃষ্টি ।
বাংলাদেশের সাথে তুলনা করলে এটা ইলশে গুড়ি। না ইলশে গুড়ি বল্লে ভুল হবে। আর ও কম।
বৃষ্টি ভেজা পিচঢালা রাস্তায় গাড়ি চলাতে এক ভেজা আওয়াজের হচ্ছে । এই আওয়াজ ও জানালার পাশ দিয়ে পানি পড়ার আওয়াজ।
মাহমুদ ভাইয়ের সাথে কয়েকদিন
এই ব্লগটা লিখছি কারন হাসান মাহমুদ ভাইকে (ককর) কথা দিয়েছিলাম।
উনি সবসময় আমাকে ব্লগ লিখতে বলতেন। উনার লস আঞ্জেলেস থেকে জাপান যাওয়ার আগে আমি বললাম
“ভাই,আমি ব্লগের মাধ্যমে আপনার সাথে যোগাযোগ রাখবো, আপডেট জানাবো।”
আমার মতো অলসের ঐ কথাতেই শেষ। চেয়েছিলাম ফোন করবো কিংবা স্কাইপে কথা বলবো,প্রবাস জীবনের নানা বাস্তততার কারনে ওইগুলোও হচ্ছে না। এদিকে বাঁচাল এ ছোটভাই প্রিয় ভাই-ভাবির সাথে কথা না বলতে পেরে পেট ফেটে যেন মরেই যাচ্ছে।
ডার্টি সিক্স
[ ব্লগ অ্যাডজুটেন্ট স্যারের কাছে প্রথমেই ক্ষমা চাচ্ছি ডার্ট পোস্ট করার জন্য । স্যার যদি খাতির করেন তাহলে চা খাওয়াব ]
এক সময় কাসিম হাউসের ছয় নম্বর রুমে ছিলাম। ঐ রুমে বসবাসকারীরা ঐতিহ্যগতভাবে নোংরা ছিল। নোংরামিটা বেশি ছিল মোজা নিয়ে। মোজা কাচতে ভীষন অনীহা। একজন তো মোজা খুলে কৌটায় রাখতো। জুনিয়রদের জন্য ঐ কৌটাবদ্ধ মোজার গন্ধ শোঁকা ছিল মেজর পানিশমেন্ট। আর একজন জাংগিয়া কাচতো না,