(১)
সকাল থেকেই মেজাজ বিগড়ে আছে জামানের। টাকা নাই বলে বাপ স্কুলে যেতে মানা করে দিয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে ভোর সকালে উঠে ধান লাগানোর জন্য চকে আসে বাপ-বেটা। “আর যহন ফড়াইলাম না ত্যা কাইলহা থেইকা সবারে উইঠ্যা আমার লগে লইবি ক্ষ্যাত লাগাইতে।” সপ্তাহখানেক আগের এক রাতের বাপের বলা কথা গুলো চিন্তা করেই রাগে এলোপাতাড়ি ধানের চারা লাগানো শুরু করলো। নিজের কাজের ফাঁকে ফায়েজুল ইসলাম ছেলের বেজার মুখে ধান লাগানো নিয়মিত বিরতিতে খেয়াল করছিলেন।
তুর্কী জাতিকে নিয়ে কিছু কথা…
শুনেছি স্বপ্ন নিয়ে মানুষ নাকি বেঁচে থাকে। জীবনের চলার পথে স্বপ্ন নাকি মানুষের এক অপরিহার্য সহযোগী।যুগে যুগে মানুষ স্বপ্নের রকমফের করেছে। পরিবর্তন করেছে স্বপ্নের সংজ্ঞাকে। শুনেছি কেউ কেউ নাকি স্বপ্নকে আশা বলে ব্যক্ত করতেই পছন্দ করেন। তো সেই রকম কত স্বপ্নই না আমরা দেখে থাকি জীবনে। বিশেষত একজন বাঙ্গালীর স্বপ্ন দেখার সংজ্ঞাটা এবং পরিধিটা বেশ বড়। কথায় বলে বাঙ্গালী নাকি স্বপ্ন দেখতে ভালবাসে। আর ১৮ বছর বয়সের এক যুবক তরুণের ক্ষেত্রে সেই স্বপ্নটা অনেকটাই অতিমাত্রায় রঙ্গিন।
বিস্তারিত»বঙ্কিম ও ব্যাকরণ
রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ। রিইউনিয়ন ২০১২। আব্দুল হান্নান স্যারকে দেখেই মনে পড়লো -বঙ্কিম, রেন এন্ড মার্টিন, শাকলিন,ব্যকরণ ।এভাবে ফিরে যাই অনেক দিন আগে।
২৮ মে ১৯৮৩ সাল। রাজশাহী ক্যাডেট কলেজে ২০তম ব্যাচের জন্মদিন।একাডেমিক ব্লকের সামনে বিশেষ কায়দায় আমাদের বরণ করে নেয়া হচ্ছে।দক্ষিণ দিকের বটল ব্রাশ গাছ গুলোর প্রত্যেকটির চারপাশে কয়েকজন নতুন ক্যাডেট- আমি বাদুড়, আমি বাদুড় বলে চিল্লাচ্ছে।
বিস্তারিত»১৫ই আগস্টে ঘটে যাওয়া কতিপয় ব্যক্তিগত ক্ষতি
৭২ এর শুরু থেকে ৭৫-এর শেষ, এই চার বছর আমি ইউনিভার্সিটি ল্যাব-এ পড়েছি। ঐ সময়কালে শেখ রাসেলও ছিল ঐ স্কুলের ছাত্র। আমরা এক ক্লাসে না পড়লেও বিরল এক কারনে তারসাথে আমার কিছুটা সখ্যতা গড়ে ওঠে।
আমার বড়ভাই ছিল গভঃ ল্যাবের ছাত্র। ওর ক্লাশ শুরু হত দশটার আশেপাশে। আমারটা সোয়া এগারোটায়। দুইজন একসাথে রিকশায় আসতাম। আমাকে স্কুলগেইটে নামিয়ে দিয়ে ভাইয়া যখন চলে যেত, তখনও ক্লাশ শুরুর ঘন্টাখানেক বাকি।
পাঠকের ডায়েরিঃ স্মৃতি উসকে দেওয়া বই- খাকি চত্বরের খোয়ারি
ফেসবুকে বইপড়ুয়া বলে একটা গ্রুপ আছে। শাহাদুজ্জামানের বইয়ের খবরটা সেখান থেকেই পাই। লেখক হিসেবে শাহাদুজ্জামান এমনিতেই পছন্দের তালিকায় আছেন তার উপরে বইটা যখন ক্যাডেট কলেজ নিয়ে লেখা তখন আর তার উপর নজর না দিয়ে পারি নাই। ক্যাডেট কলেজ নিয়ে যেখানে যা পাই পড়ি, নিজের অভিজ্ঞতার সাথে অন্যদেরটা মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করি। তাই আজিজে বইটা চোখে পড়তেই কিনে ফেললাম। এরপর শুধু চুপচাপ পাতা উলটে যাওয়া।
শুরু টা একটু জড়সড়।
বিস্তারিত»একাত্তরে দুইটি “নেয়ার ডেথ” অভিজ্ঞতা ও এর সাথে সংস্লিষ্টগণ
একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলা কালে অন্তত দুইবার আমার আব্বা নিশ্চত মৃত্যুর খুব কাছ থেকে বের হয়ে এসেছিলেন।
প্রথম ঘটনাটা এইরকমঃ
সানাউল্লাহ নামে নড়াইল তুলারামপুরের বাসিন্দা এক রাজাকার কমান্ডার ছিলেন নড়াইল সদরের দায়িত্বে। তাঁর কিছু প্রতিনিধি তৎকালীন নড়াইল বাসস্ট্যান্ডে থেকে তাঁর আইজ এন্ড এয়ার হিসাবে লক্ষ রাখতেন যারা আসা যাওয়া করছেন তাঁদের মধ্যে পাকিস্তানবিরোধি বলে সন্দেহভাজন কেউ আছেন কিনা।
জুন মাসের প্রথম দিকে আমাদেরকে মায়ের মাতুলালয় লোহাগড়া থানাধীন পাচুরিয়া গ্রামে নিরাপদ আশ্রয়ে রেখে আব্বা জীবিকার সন্ধানে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন।
যদ্যপি আমার গুরু…
জীবনে প্রথম কোন বই পড়েছিলাম মনে নেই। ঠাকুরমা’র ঝুলি হবে হয়তো। তবে সবচেয়ে বেশী পড়েছি হুমায়ুন আহমেদ স্যারের বই। এটা নিশ্চিত।
আজ অনেকে বলছে স্যারের মৃত্যুদিবস!!! আমার প্রশ্ন স্যার মারা গেলেন কিভাবে??
তাঁর কি মৃত্যু আছে? একজন হুমায়ূন আহমেদ কি মরনশীল কেউ? এই নষ্ট পৃথিবী কে স্যারের দেহ ত্যাগ করেছে…কিন্তু স্যার তো আমাদের মাঝেই আছেন! পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অগুনিত হিমু-মিসির আলী-শুভ্র-রুপা-মাজেদা খালা-মহাজ্ঞানী ফিহা-মজিদ-রমনা থানার ওসি-পাংখাপুলার রশীদ-তিতলী-কংকা-মুনা-বাকের ভাই-সৈয়দ বংশের পোলা-বদি-ধনু শেখ-মুহিব-বাদল-আতাহারদের মাঝেই স্যার চিরকাল থাকবেন!
বিস্তারিত»রেট্রো টু রামাদান – ১
ক) “নামায পারলো, সাহরী খালো। ভাইয়ো – নামায পারলো, সাহরী খালো।”
আমার কানে এখনো বেজে ওঠে সেই ভাঙ্গাচোরা বিহারী দারোয়ানটার কন্ঠ। সারা লালখানবাজার এলাকায় হয়ত একাই ডেকে ডেকে সবাইকে ওঠাতো। আমি তাকে কখনও দেখিনি। আমি শুধু তাকে শুনেছি। শুনেছি তার হাতের ঝুনঝুন লাঠির আওয়াজ – দুমদাম করে গেইটে বারি দিত। আর সবাইকে চেঁচিয়ে বলত –
“নামায পারলো, সাহরী খালো।
বিস্তারিত»ক্যাডেট কলেজ কড়চা-১
২০০২ থেকে ২০০৮।আমার ক্যাডেট লাইফ।ভালোয় মন্দে মিশিয়ে কেটেছে জীবনের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর এই ছয়টি বছর।যেকোন ক্যাডেটের এই ছয়টি বছর কাটে অনেক ঘটনাবহুল।আমিও ব্যাতিক্রম না,মাঝে মাঝে মনে হয় আমার ক্যাডেট লাইফ একটু বেশিই উরা-ধুরা।কলেজের গল্প করতে কার না ভালো লাগে?ছয় বছরের ছোট ছোট ঘটনা নিয়ে আমার এই সিরিজ ‘ক্যাডেট কলেজ কড়চা’।আগেই বলে নেই ঘটনাগুলো ক্রমানুসারে সাজানো নয়।যেটা আগে মনে আসবে সেটাই লিখবো আগে।
আমাদের (২০০২-০৮) ছয়টি বছর কেটেছে আফসোস করতে করতে।আমরা কলেজে গিয়েই শুনেছি বের হয়ে যাওয়া ব্যাচগুলোর দুর্ধর্ষ কাজকর্মের কথা,শুনেছি কলেজ পালিয়ে মরডান মোড়ে গিয়ে শাবনুরের সিনেমা দেখে পুষ্টির মিষ্টি নিয়ে কলেজে ফেরার কথা,শুনেছি আগের এক্স ক্যাডেটদের বীরের মতো জুনিয়র পিটানোর কথা।তারা নাকি জাম্বুরা,কাঁঠাল,পেয়ারা এমন কোন ডাল নেই যা দিয়ে জুনিয়র পিটায় নাই।আমরা না পারছিলাম আগের ক্যাডেটদের মতো দুঃসাহসী হালাকু খাঁ হতে,
বিস্তারিত»আমার মন কেমন করে……
একটা গান শুনছি বেশ কয়েকদিন ধরে। রবীন্দ্রনাথ এর “আমার মন কেমন করে……”। ঘুরে ফিরে বারবার শুনছিলাম গানটা। শুনতে শুনতে আমারও মন কেমন করে উঠছিলো। জানিনা গানটি লেখার সময় রবিঠাকুরের মন তার প্রেমিকা কিংবা কোন আপনজনের জন্য কেমন করছিল কিনা। কিন্তু আমার ‘মন কেমন’ করে উঠছিলো কিছু তুচ্ছ, ক্ষুদ্র জিনিসের জন্য। আমাদের সবারই এই রকম অসংখ্য মন কেমন করা স্মৃতি আছে। এই জিনিসগুলো আমরা নিজেরা ছাড়া আর কেউ বোঝেনা;
বিস্তারিত»বৃষ্টি বন্দনা
এক
মাঝ রাতের বৃষ্টির পাড় ভাঙ্গা ক্ষমতা নাকি অসাধারণ। জানা নেই। এই হিসেবি জীবনের বৃষ্টি মানেই এক পশলা নাগরিক ভোগান্তি। দৌড়ে গিয়ে জানালার স্লাইড বন্ধ করার তাড়াহুড়া। কাদা ছিটকে জামা নষ্ট হবার একরাশ বিরক্তি। ঘরের ছাদে বৃষ্টির স্বরবৃত্ত তাল কল্পনা করার ব্যর্থ প্রচেষ্টা। তারপরও, কোন কোন মাঝরাতে বৃষ্টি নামে। কল্পলোকের কল্পনাতে বাস্তবতা দৌড়ে পালায়। স্মৃতির পাড় বেয়ে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে সোমেশ্বরী। অবিরল বৃষ্টিতে দুধ সাদা বিরিশিরি।
বিস্তারিত»আধাসামরিক প্রেমের গল্প
আধাসামরিক ক্যাডেট কলেজে বেসামরিক প্রেমিকা থাকা শুধু কষ্টের নয়, ভয়াবহ কষ্টের।প্রতিবার ছুটির শেষে প্রিয়
মানুষটিকে ফেলে কলেজে যেতে অনেক কষ্ট হয়।ক্যাডেট কলেজ, সে এমন এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ, যেখান থেকে মুক্ত পৃথিবীর খোঁজ নেয়া অসম্ভব প্রায় । আর্মি হেড কোয়ার্টারের স্বেচ্ছাচারিতায় মুঠোফোনের বেতার তরঙ্গ তখনো জায়গা করে নিতে পারেনি ক্যাডেট কলেজের সেই চৌহদ্দিতে। তবুও সমস্ত কলেজ প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে কখনো আন্ডারগার্মেন্টস এর নিচে,কখনো মোজার ভেতর,মোটা বইয়ের পৃষ্ঠা কেটে,ব্যাগের কোনায়,এংলেটের মধ্যে,
আত্মহত্যা বা জীবন যেরকম
হাতে ব্লেড নিয়েও চামড়ায় বসায় আর কয়জন! আমরা আসলে ভাবিই এভাবে… কিন্তু বসায়,অনেকেই বসায়। প্রতি স্কুলে, প্রতি কলেজে, প্রতি ভার্সিটির কোন না কোন ক্লাসে দুই একটা ছেলে বা মেয়ে থাকবেই যারা এই জিনিস নিজেদের কোমল হাতে এপ্লাই করে ফেলেছে, যারা বন্ধুরা “মুড়ি খা” বললে মুড়ি খাবার বদলে ঘুমের ওষুধ গিলেছে। বোকা বাচ্চাগুলো বোঝেনা বন্ধুরা বা মা বাবা মুড়ি খা” বললে মুড়িই খেতে হয়, “দূরে গিয়ে মর”
বিস্তারিত»অসমাপ্ত চিঠি…!!!
মাঝে মাঝে মনে হয় ভালবাসার মত জিনিসগুলো অপরাধের পর্যায়ে পড়ে যার শাস্তি অপরাধীকে ব্রাশ ফায়ার করে মেরে ফেলা । ব্রাশ ফায়ার করার কেউ ছিলনা তো ভেতরেই কাজ যা হওয়ার শেষ !
কি অদ্ভুতই না ছিল আবেগ গুলো। জানো তো আবেগপ্রবণ মানুষ গুলোকে নিয়েই বিপদ। পাওয়ার তালিকাটা হিসাবেই আনেনা কখনো । ভাল থাকে দেয়ালের উপর একসাথে বসে থাকায়,শেয়ার করা ফুচকায় ,আড্ডায় ,কবিতায় , ডিফারেন্সিয়েশন এর ম্যাথ বুঝানোর আড়ালে বাসায় গিয়ে বসে থাকায়,কাঁটাবন এ মাছ না খরগোশ কে কোনটা নিবে সেই ঝগড়ায়,কিংবা ওই যে মনে পড়ে কি শাহবাগ মোড়ের ফুলের দোকান গুলোর কথা…সেদিন গিয়েছিলাম জানো?
বিস্তারিত»২৭ জুন, ২০১৩, রোজ বৃহস্পতিবার, বেলা বারোটা বিশ মিনিট
একটু দেরিতে ঘুমালেও সকাল সাতটায় ঘুম ভেঙে গেল আজকে। বেশ খানিকটা বিয়ার পান করলে এরকম হয় দেখেছি। গতকাল রাতটা ঘুমানোর আগে স্থানীয় বিয়ার প্রস্তুতকারক/পানশালা কিউইনা ব্রিউইং কোম্পানির বিয়ার পান করে কাটিয়েছি। সবাইকে এটাকে কেবিসি বলেই জানে। কমদামে উন্নত মানের বিয়ার প্রস্তুতকারক হিসেবে খুব দ্রুত নাম কামিয়েছে এই কম্পানিটি। যাক মাথা ব্যথা চলে গিয়েছে। গতকাল বৃষ্টিতে ভেজার কারণে বেশ মাথা ধরেছিল। প্রায় দেড় বছর পরে বৃষ্টিতে ভিজলাম।
বিস্তারিত»