একখানি ত্রিভুজ প্রেম উপাখ্যান

প্রেম জিনিষটা কি সেটা বোঝার বয়স হবার আগেই প্রথমবারের মত প্রেমে পড়ে যাই। প্রথম দর্শনের প্রেম ছিল কি না সেটা বলতে পারবো না কারণ প্রথম দর্শন ঠিক কবে সেটাই মনে নেই। তবে প্রেমে পড়তে খুব বেশিদিন লাগেনি এটা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি। আর সবার মত আমার প্রেমও আমাকে নিয়মিত হাসিয়েছে, কাঁদিয়েছে, আনন্দ দিয়েছে মাঝে মাঝে রাগে চুল ছেড়ার চেষ্টাও করিয়েছে। তবে ছেড়ে যায়নি কখনো, এখনো আমার প্রথম প্রেম আমার সাথে আছে,

বিস্তারিত»

ধূসর নস্টালজিয়া

২০০৬ এর কোন একটা সময়। কাঁধের ওপর ততদিনে উঠে গেছে তিন স্ট্রাইপ। গেমস টাইমে খেলা,ব্লক ক্রিকেট, আম-কাঁঠাল চুরি, স্যারদের টিজ করা আর ক্লাস বাঙ্ক মারা। জীবন যাপন মোটামুটি এ কয়টা জিনিসের মাঝেই আটকে আছে। পিঠের কাছে সদ্য গজানো পাঙ্খা নিয়ে ইকারাসের দূর সম্পর্কের চাচাত ভাই ভাবা শুরু করেছি নিজেদের।

সামনে একমাত্র বড় ইভেন্ট বলতে ফুটবল বিশ্বকাপ। হিসেব কষে দেখলাম ক্যাডেট লাইফে আর কোন বিশ্বকাপ পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। 

বিস্তারিত»

বিশ্বকাপ দেখাদেখির অভিজ্ঞতা

ভাবছি বিশ্বকাপ দেখাদেখির অভিজ্ঞতা নিয়ে একটা অনুব্লগ লিখে ফেললে কেমন হয়?

২০০৬ সালেও ফ্ল্যাট টিভি মোটামুটি আধুনিকই একটা জিনিষ। সবার নাই। গড় পড়তা মানুষের মত আমার বাসাতেও ২৫ ইঞ্চি সাধারন এক টিভি আর বেডরুমের জন্য ১৪ ইঞ্চি একটা মিনি টিভি। বিশ্বকাপ শুরুর আগের দিন সন্ধায় হাটতে বেরিয়েছি। মালিবাগ চৌরাস্তায় সনি র‍্যাংগস শো রুমে দেখি ২৯ ইঞ্চি ফ্ল্যাট টিভিতে বিশ্বকাপের প্রমো চলছে। হঠাৎ মনে হলো,

বিস্তারিত»

স্মৃতিকথন (টুকরো বিনোদন দ্বিতীয় পত্র)

১/ তখন ক্লাস এইটে। ২২৬ নাম্বার রুমে থাকি আমি,নাহিদ আর রিয়াজ। তো নাহিদ হইলো সেই লেভেলের নিশাচর প্রানী, কাজেই ওর একটা অভ্যাস আছিল বিশেষ করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘুমানো নইলে অন্যান্য দিন হলে প্রেপের পরেই এসে ঘুমানো আর লাইটস অফের পরে উঠে সারা রাত জেগে পড়া (সাথে বাকি সব কিছু ফ্রি, ওইটা না বলি)। আমার কাজ ছিল লাইটস অফের সময় ঘুমানোর আগে ওকে ডেকে দেয়া। এদিকে আমার আর রিয়াজের অভ্যাস ছিল যে আমরা মশারীর নিচে ঘুমাইতে পারতাম না কাজেই লাইটস অফের সময় শুধু কোনার বেডের জানালার পাশের মশারী ঝুলত আর আমি মশারি খুলেই ঘুমাতাম।

বিস্তারিত»

আরো কিছু স্মৃতি চারন: ১৯৮৬-৯৪

ছিয়াশির বিশ্বকাপ ছিল পুরোই ম্যারাডোনাময়।

ছিয়াশিতে ম্যারাডোনাকে পারফর্ম করতে দেখে প্রথমেই সিজার মিনোত্তির ওপর প্রচন্ড রাগ হয়েছিল। বুঝেছিলাম, এই রকম একজন ক্লাস প্লেয়ারকে তিনি ঠিকমত ব্যবহার করতে পারেন নাই। ম্যারাডোনাকে দিয়ে কেবলি মাঠ ব্যাস্ত রাখার যে স্ট্র্যাটেজিটা তিনি নিয়েছিলেন সেটা ভুল ছিল। ম্যারাডোনাকে ব্যবহারে কার্লোস বিলার্দো সেদিক থেকে অনেক বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছিলেন। দুইটা রোলই সে প্লে করতো। যখন দেখতো তাঁকে কড়া মার্কিং-এ রাখা হয়েছে,

বিস্তারিত»

“বেদনার রং নীল আর আর্জেন্টিনার জার্সির রং ও নীল”– তাই মাঝে মাঝে কাঁদায়

যে কোন দল সমর্থন করার পিছনে উপযুক্ত কারন থাকে,আমি তাই মাঝে মাঝেই মনে করার চেস্টা করতাম আসলে কি কারনে আমি আর্জেন্টিনা সাপোর্ট করি।সবুজ হাউজের ক্যাডেট হয়ে নীল রঙের প্রতি আমার এই তীব্র দুর্বলতা সম্ভবত নিজে্রও মেনে নিতে কষ্ট হয়,তাই হয়ত। 😛 (কলেজে থাকা অবস্থায় ক্রিকেটে ইন্ডিয়া ও সাপোর্ট করছি – খামু গালি এখনই, যাই হোক এখন করি না)।
যাই হোক মুল বক্তব্যতে ফিরে আসি।

বিস্তারিত»

এইবার কিছু স্মৃতিচারণ: ১৯৭৪ – ১৯৮২

চুয়াত্তরের বিশ্বকাপ ফলো করার সময়ে দুচারটা নতুন দলের নামের সাথে পরিচিত হয়েছিলাম তাদের অনেক গোল হজম করার কারনে। যেমন: জায়ার, হাইতি। পড়ে ঐ জায়ারে মোহম্মদ আলী ফোরম্যানকে হারালে সবাই কে বলতে পেরেছিলাম, “জায়ার চিনো না? ওয়ার্ড কাপে নয় গোল খাওয়া দলটা।

ফাইনালের আগ পর্যন্ত অল্প কিছু প্লেয়ারকে নামে চিনতাম বিচিত্রার কারনে। তখন বাসায় বিচিত্রা রাখা হতো তাই। এঁরা হলেন ফ্রাঞ্জ বেকেন বাওয়ার, রবার্টো রিভোলিন আর য়ুয়ান ক্রাউফ।

বিস্তারিত»

টিটোর গপ্পোঃ অর্থহীন ছড়া

[ ছোটবেলায় এবং ছোটদের কাছে শোনা অর্থহীন কিছু ছড়া ]

এক

গল্প স্বল্প তিলে পুড়কির ছা
গল্প যদি শুনতে চাস তো
মোড়ল বাড়ি যা
মোড়ল গেছে গাড়িতে
গু লাগিছে দাড়িতে
ধুতে গেছে গাঙে
মুতে দিছে ব্যাঙে
ধুস শালার ব্যাঙ
খাড়া দুইটা ঠ্যাং।

দুই

তাইরে নাইরে বন্ধুরে
কলা খাইছে এন্দুরে
কলার ভিতর দানা নাই
পয়সা আনতে মুনে নাই।

বিস্তারিত»

কোথায় পাবো এমন মানুষ!

দিনটা এমনভাবে শুরু হবে ভাবিনি। মোবাইল নিঃশব্দ করে ঘুমাই। আজ জেগে উঠেই দুঃসংবাদ নিয়ে আসা সুকান্ত গুপ্ত অলকের ক্ষুদে বার্তাটি পড়ে স্তব্ধ হয়ে গেলাম। বেনজির ভাই নেই! মুহূর্তের জন্যও কিছুতেই বাস্তবটা মাথা থেকে সরাতে পারছি না, বেনজির আহমেদ আসলেই আর নেই।

প্রথম পরিচয় কবে? মনে নেই। রাজনীতি করতেন না, কিন্তু আওয়ামী লীগ ও কমিউনিস্ট পার্টি’র (সিপিবি) সবার সঙ্গে ঘণিষ্ট ছিলেন। আশির দশকে সচিত্র সন্ধানী অথবা একতা’র সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে পরিচয় হয়েছিল।

বিস্তারিত»

জ্বরে পুড়ে ফুটবল জ্বরঃ প্রথম প্রেমে পড়িনি।

শেষ বিকেলের রোদ এসে পড়ছে চোখে। বাবার কোল থেকে নেমে দাঁড়ালাম। গাজীপুর সেনানিবাসের ডুপ্লেক্স বাড়ির সামনে বেশখানিকটা গাড়িবারান্দার শেষ প্রান্তে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ভাইয়া। লনে হাঁটছে শফিক মামা। ঘাড় ঘুড়িয়ে তাকিয়ে দেখি দোতালার বারান্দায় বসে মা হাসছে। লজ্জায় পা নড়াতে পারছি না। আমার পায়ের সামনে বলটা ছেড়ে দিল বাবা। আজকে ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনার খেলা হবে। আজকে আমি ব্রাজিল, কারণ গতকাল ভাইয়া ছিল ব্রাজিল। বল নিয়ে গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে ভাইয়ার সামনে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেললাম।

বিস্তারিত»

একটি পারিবারিক ফুটবলীয় গল্প

বিশ্বকাপ/ফুটবল প্রসঙ্গে আমার লেখাটি কতোটুকু প্রাসঙ্গিক তা জানিনা।বিশ্বকাপ এর শুরুতে প্রচণ্ড ফুটবল প্রেমিক একজন মানুষের কথা শুনতে হয়তো সবার ভালোই লাগবে

ক্যাডেট কলেজের ফুটবলের কথা আশাকরি সবারই মনে আছে। আহ!কি রোমাঞ্চকর দিনগুলি। নভিসেস ড্রিল এর আগে হাড় ভাঙা পরিশ্রমের মধ্যে মাঝে মাঝে যখন বিকেলে ড্রিলের জায়গায় গেমস করার সুযোগ পাওয়া যেত,মনে হতো “এত সুখ কি আমার কপালে সইবে?” নাহ! সুখ বেশীদিন সয়নি।

বিস্তারিত»

প্রথম প্রেমের গল্প

শুনেছি মানুষ নাকি তার প্রথম প্রেমকে ভুলতে পারেনা। আর সেখানে যদি থাকে বেদনার গল্প, তাহলে তো আরো ভুলার কথা না। আজকে প্রথম প্রেম এর গল্প বলতেই বসলাম।

না, কোন মানবীর গল্প বলছিনা। বলছিলাম “রোনাল্ডো-দ্যা ফেনোমেনন আর ব্রাজিল” এর কথা।

গল্পের শুরুটা ১৯৯৮ এর কোন এক পড়ন্ত দুপুরে। পড়ি তখন চতুর্থ শ্রেনীতে। বাড়িওয়ালাদের ছেলে রিমন এর সাথে আমাদের ভাই-বোনের খুব ভালো সম্পর্ক।

বিস্তারিত»

আন্তর্জাতিক ফুটবল অনুসরণ: শুরুর স্মৃতি

জীবনে প্রথম যে আন্তর্জাতিক ফুটবলটা ফলো করেছিলাম, সেটা বিশ্বকাপ না, মিউনিখ অলিম্পিকের ফুটবল।

৭২ সালে ক্লাশ টুতে পড়ি। একটি ক্লাশ টু-এর ছেলে অলিম্পিক ও তার ফুটবল ফলো করেছে, এখনো তা মনে করে রেখেছে, এটা অনেকেই বিশ্বাস করতে চাইবে না। কিন্তু কি করার, আমরা যে স্মৃতিধারী তরুনতম মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম। আমাদেরকে পুরনো অনেক কথা কষ্ট করে মনে রাখতে হয়েছে / হচ্ছে ভবিষ্যতে জীবন্ত ফসিল রোল প্লে করার জন্য।

বিস্তারিত»

মণ্ডল থেকে সরকার-২য় পর্ব

প্রপিতামহ

বাপুরে, তুমরাও তো মুণ্ডল আচেলে ।বাড়িউ আচিলি মুণ্ডল পাড়াত। বড়লোক হয়া সরকার হয়া গিচো। ঝুমর মুণ্ডলের ব্যাটা  হারু মুণ্ডল । তার ব্যাটা পাঁচু মণ্ডল । তার ব্যাটা ছেরফাত সরকার, তুমার বাপের দাদা।ট্যাকা কড়ি বেশি হয়া  সরকার হয়া গেলো।

ছেফাত উল্লাহ সরকার, পিতাঃ পাঁচু মণ্ডল/সরকার, গ্রামঃ মাড়িয়া, থানাঃ বাগাতিপাড়া, মহকুমাঃ নাটোর, জেলাঃ রাজশাহী। তিনি বিয়ে করেছিলেন গালিমপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে।হিন্দু জমিদারদের শাসনামলে তাদের পুকুর ,

বিস্তারিত»

মণ্ডল থেকে সরকার- ১ম পর্ব

ফিরিঙ্গী ঠেঙ্গা

ঝুন্ডুর পালের জ্বালায় আতালুত গোবরা ফকির। মাছ খাওয়ার জন্য খালি মালামু করতিচে। নিজের তো পুকুর মাটিয়াল নাই। কি করা যায়। লাইনের খাদে মাছ ধরলে হয়।সরকারী মাল দরিয়ামে ঢাল। ১৯৩২/৩৩ সালের কথা বলছি।সবে রেল লাইন চালু হয়েছে ( ১৯৩০ সালে আব্দুলপুর-আমনুরা ব্রডগেজ সেকশন চালু হয়)। পূর্ব বাংলা রেলের (EBR) জনৈক ইংরেজ সাহেব ট্রলিতে চড়ে দাপ্তরিক কাজে যাচ্ছিলেন। রেল লাইনের পাশে নিচু জায়গায় (খাদ) এক নেটিভকে মাছ ধরা দেখে চান্দি গরম হয়ে যায় তার।

বিস্তারিত»