[ ব্লগ অ্যাডজুটেন্ট স্যারের কাছে প্রথমেই ক্ষমা চাচ্ছি ডার্ট পোস্ট করার জন্য । স্যার যদি খাতির করেন তাহলে চা খাওয়াব ]
এক সময় কাসিম হাউসের ছয় নম্বর রুমে ছিলাম। ঐ রুমে বসবাসকারীরা ঐতিহ্যগতভাবে নোংরা ছিল। নোংরামিটা বেশি ছিল মোজা নিয়ে। মোজা কাচতে ভীষন অনীহা। একজন তো মোজা খুলে কৌটায় রাখতো। জুনিয়রদের জন্য ঐ কৌটাবদ্ধ মোজার গন্ধ শোঁকা ছিল মেজর পানিশমেন্ট। আর একজন জাংগিয়া কাচতো না,
সোমেশ্বরী
নিশুতি নির্জন জোছনার রাতে আবছা আলোছায়ায়
শুয়ে রুপালি বালির বুকে যে সোমেশ্বরী বয়ে যায়
তুমিতো এখনো দেখনি কখনো সে মৃতের বিবর্ণতা
মিষ্টি ঘ্রাণে স্রোতের উজানে শালুকের নির্জনতা।
ভাদ্র মাসের আর্দ্র রোদে তাই একলা বিকেলে হেঁটে
লতাগুল্মের ঝোপে তোমার স্বপন বোনা ক্ষেতে
থেমে যাওয়া সোমেশ্বরী আর মৃত ভালবাসাটি খুঁজো
কোনদিন যদি না পাও তারে নিভৃতে দুচোখ মুছো।।
[সোমেশ্বরী নদীটি বিরিশিরি বিজিবি ক্যাম্পের পেছন দিয়ে নির্বিবাদে কাউকে কিছু না বলে চুপিচুপি বয়ে গেছে।
বিস্তারিত»মন রে, তুই মুক্ত হবি কবে? (১)
১
আমাদের বাড়ী জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার একটা গ্রামে। আপনারা অনেকেই হয়তো জেনে থাকবেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে হিন্দুদের সংখ্যাধিক্যের কথা। স্বাধীনতার আগে তারাই প্রধান ছিল, কি ব্যবসায়, কি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে, কি রাজনীতিতে। আমাদের গ্রামের পাড়াগুলোর নাম শুনলেও এটা বোঝা যাবে- ঘোষপাড়া, গোয়ালপাড়া, মালিপাড়া, দাসপাড়া, সাহাপাড়া, কৃষ্ণনগর, ইত্যাদি। বর্তমানে কোন পাড়াতে চার/পাঁচ ঘরের বেশি হিন্দু নেই, অধিকাংশই মুসলমান অধিবাসী। এখন সেসব পাড়ায় গেলে বোঝার উপায় নেই যে,
বিস্তারিত»আয় ফিরে তোর প্রাণের বারান্দায়
শীতের শুরুর দিকে দাদুবাড়িতে চলে যেতাম। সেই ছোটবেলায়। ধানকাটার মৌসুম চলতো তখন.. বাড়তি কাজের লোক নিয়োগ করা হতো সব ধান কাটা শেষ করার জন্য। স্পেশাল এই মূহুর্তে একটু বিশেষ তদারকি করতে আব্বু ,আম্মু র সাথে আমিও চলে যেতাম দাদুবাড়িতে। শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি থানার কাকরকান্দী ইউনিয়নের বরুয়াজানি গ্রাম। বাড়ির উঠানে দাড়িয়ে ইন্ডিয়ান বর্ডারের ওপাশের মাথা উচু করে থাকা বিরাট উচু তুরা পাহাড় দেখা যায়.. আর দুই তিন মাইল গেলেই আমাদের সীমান্তবর্তী পাহাড় গুলো।
বিস্তারিত»স্মৃতিরা গানের ভাঁজে
দুটি মন আর নেই দুজনার। রাত বলে আমি সাথী হবো যে। গানটি মনে পড়লো খুব উদ্ভট এক সময়ে। কমোডে বসে ছিলাম বেশ কিছুক্ষণ। হঠাৎ একরকম গলা ছেড়েই কিছুটা ভুল হলেও গেয়ে উঠলাম। চার লাইন গেয়েই থেমে গেলাম। সুর বাদে আর কিছু মনে নেই। ২৩ বছর আগেকার কোন এক সকালে প্যানাসনিক ক্যাসেট প্লেয়ারে বাজতে থাকা গানের কলি এভাবে মনে পড়ায় অনেকটাই হতহম্ভ আমি। ঘুরেফিরে চারলাইন বেশ কিছুক্ষণ গাইবার চেষ্টা করলাম।
বিস্তারিত»কবি হেলাল হাফিজ ও ব্যক্তিগত অনুভূতি
মুল লেখাঃ
কবি হেলাল হাফিজের সাথে আমার পরিচয় খুবই অদ্ভুত ভাবে। এক বিকেলে চারুকলার সামনে দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে ঢেলে সাজানো বই গুলোর দিকে চোখ বোলাতেই একটি বই চোখে লেগে যায়। যে জলে আগুন জ্বলে। চোখে লাগার মতোই বই। অদ্ভুত শিরোনাম। বই হাতে নিয়ে কয়েক পাতা ওল্টাতেই একটা কবিতা চোখে পড়ে। এক নিমিষেই পড়ে ফেলি।
“প্রেমের কষ্ট ঘৃণার কষ্ট
নদী এবং নারীর কষ্ট
অনাদর ও অবহেলার তুমুল কষ্ট
কষ্ট নেবে কষ্ট?”
শিরোনামহীন শব্দচয়ন…!!!
সুখ দুঃখ নিয়ে এই ছোট্ট জীবনে অনেক ভাবতে হয়েছে আমাকে। সেটা যে কারনেই হোক আমার চিন্তাধারা খুলে যায় ২০০৪ সালে শহীদ ক্যাডেট কোচিং এ থাকাকালীন ভবন-১ এ থাকতে। ৪ তালার হাবিব স্যার এর ফ্ল্যাট এ শুয়ে এক বিকালে বেডমেটের সাথে কথা বলতেসিলাম। রাজীব নাম ছিল ছেলেটার। খুব গরীব পরিবারের ছেলে, শুদ্ধ ভাষায় কথা বলা শিখেনি বলে কারও সাথে তেমন কথা বলত না, আর আমার ডুয়েল পারসোনালিটি ডিসঅর্ডার ছিল আই মীন খুব তাড়াতাড়ি পরিবর্তনশীল ছিলাম বলে আলাদা থাকতাম,তাই আমার বেডমেট হিসাবে স্যার ওকে ঠিক করে দিয়েছিলেন এই ভেবে যে আমিও বেশি কথা বলিনা আর রাজীব ও বলেনা,
বিস্তারিত»যখন আমি ক্যাডেট ছিলাম(পর্ব ৫)
আইসিসিএলএলএম ও কিছু গোপন দুঃখঃ
ছোট বেলা থেকেই মা আমাকে বলতেন, নিজের যা আছে তাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা উচিৎ। কম থাকার কারণে আমাকে কখনো কষ্ট পেতে হয়নি, পেতে হয়েছে বেশি থাকার কারণে। ব্যপারটা আরেকটু গুছিয়ে বলি।
মানুষ হিসেবে আমি প্রচণ্ড আবেগী। শৈশবের রঙ্গিন জীবনটা কৈশোরে মোড় নেয়ার সাথে সাথে এই আবেগটা বেশ বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গিয়েছিলো বৈকি। প্রেম- ভালোবাসা সংক্রান্ত ব্যপারগুলো নিয়ে ভাবার শুরুটা তখন।
বিস্তারিত»ফাঁকিবাজী টাইপের ছবি ব্লগ – ২
অনেকটা ঝোকের মাথায় আগের পর্বটা পোস্ট করে দিয়েছিলাম। খুব একটা চিন্তা ভাবনা না করেই সামনে যা চোখে পড়েছিল তাই নিয়ে কিছু একটা লিখে দিয়েছিলাম। আজ আরেকটা উইকেন্ড শেষ হওয়ার পথে। যথারীতি কিছুই করা হয়নি এই দুইদিনে। শনিবার সারাদিন গিয়েছে ফুটবল খেলা দেখে। মাদ্রিদ ডার্বি তে ১৪ বছর পর রিয়াল মাদ্রিদের পরাজয়ের ধাক্কা সামলাতেই আমার ঐদিন কেটে যায়। আর আজ লম্বা ঘুম দিয়ে বেলা করে উঠলাম।
বিস্তারিত»এপ্রিল ফুল
আজ যে ঘটনাটি বলব তার ঘটনকাল ২০০৯ এর ফার্স্ট টার্মে, এপ্রিলের ১ তারিখ। আমরা ক্লাস নাইনে। তখন কলেজে চলছে “১০,০০০ যুগ”। ১০,০০০ যুগ বলার কারন, তখন ১০,০০০ টাকা জরিমানা খাওয়া ইডি খাওয়ার চেয়েও সহজ। ঠিক এমনই দিনে লাঞ্চের পর মাত্র হাউসে এসেছি। ঠিক তখন তৎকালীন জুনিয়র প্রিফেক্ট মাকসুদ ভাই (ছদ্মনাম) রুমে এলেন। ভাবলাম হয়ত রুম চেকিংয়ে এসেছেন। তড়িঘড়ি করে প্লেস গোছাতে শুরু করলাম। কিন্তু উনি চেকিং না করে বললেন,
বিস্তারিত»শাকুর ভাই এবং আমি
২০০৮ সালে আমি যখন ক্লাস এইটে, তখন আমাদের কলেজের সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করা হয়। কলেজের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ২৮ এপ্রিল হলেও কোন এক কারনে সুবর্ণ জয়ন্তী পরে পালন করা হয়। দুর্ভাগ্যবশত সে সময় আমিও কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। পায়ে সমস্যা থাকায় আমাকে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হয়নি। তবুও রাতে কনসার্টে যেতে পেরেছিলাম।
যদিও তারিখটা মনে নেই, দিনটি ছিল শুক্রবার। যেহেতু অনেক এক্স-ক্যাডেট আসবেন, আগের দিন প্রিন্সিপাল ইন্সপেকশন ছিল।
বিস্তারিত»একটি ফাঁকিবাজী টাইপের ছবি ব্লগ !
ব্লগে কিছু লিখতে হলে একটু সময় নিয়ে বসতে হয়। বেশ কিছুদিন ধরেই সেরকম সময় করে বসে কিছু লেখার সুযোগ পাচ্ছিলাম না ।সময় হয়তো বের করা কঠিন কিছু ছিল না। এক্ষেত্রে মূল ভিলেন হলো আলসেমি । সপ্তাহান্তে গিয়ে সমস্ত ইচ্ছেশক্তি হারিয়ে ফেলি। ঐ সময় ধূমায়িত কফির মগ হাতে ফুটবল খেলা দেখে বা টিভি সিরিজ,মুভি দেখেই সময় পার করে দেই। তবুও এর মাঝে একটি প্রাক্তন ক্যাডেট দের ফেসবুক পেজে বেশ কিছু পোস্ট দেই।
বিস্তারিত»ক্যাপ্টেন কারেজিয়াস
স্পেশাল ওয়ান। ক্যাডেট নম্বর ওয়ান ওয়ান ওয়ান ওয়ান। রাজশাহী ক্যাডেট কলেজে ক্লাশ সেভেনে এ ফরমে আমার ঠিক পরের ক্যাডেট নম্বর ১১১১।পোরশার ছেলে মোঃ ফিরোজ কবীর। ডাক নাম সুজন । বাড়ি ২টা। একটা নিশ্চিন্তপুর আর একটা নিতপুর। আমাদের সবার চাইতে বয়স একটু বেশি আর উচ্চতাও। হয়তো সেজন্যই কাউকে কিছু মনে করতো না। গায়ের রং কালো আর সুপারী গাছের মতো লম্বা আর চিকন কিন্তু ভঙ্গুর নয়। ক্লাশে এত কাছাকাছি থেকেও ওর কাছাকাছি হয়েছিলাম অনেক পরে।
বিস্তারিত»স্মৃতিরা গানের ভাঁজে
দুটি মন আর নেই দুজনার। রাত বলে আমি পাখি হবো যে। গানটি মনে পড়লো খুব উদ্ভট এক সময়ে। কমোডে বসে ছিলাম বেশ কিছুক্ষণ। হঠাৎ একরকম গলা ছেড়েই কিছুটা ভুল হলেও গেয়ে উঠলাম। চার লাইন গেয়েই থেমে গেলাম। সুর বাদে আর কিছু মনে নেই। ২৩ বছর আগেকার কোন এক সকালে প্যানাসনিক ক্যাসেট প্লেয়ারে বাজতে থাকা গানের কলি এভাবে মনে পড়ায় অনেকটাই হতহম্ভ আমি। ঘুরেফিরে চারলাইন বেশ কিছুক্ষণ গাইবার চেষ্টা করলাম।
বিস্তারিত»লেসন ফ্রম ক্যাডেট কলেজ
১) মোজা না ধুয়ে এক সপ্তাহ পরলে বাজে গন্ধ ছড়ায়। না ধুয়ে এক মাস পরলে গন্ধ থাকে না। প্রায় প্লাস্টিক হয়ে যাওয়া সেই মোজা ব্যবহার করে খুব আরাম। এতে পোলাও এর হালকা সুবাস থাকে।
২) সাদা কাপড় থেকে সব ধরণের ময়লা দাগ দূর করা সম্ভব, শুধু সবুজ ঘাসের ঘষটে যাওয়া দাগ তুলে ফেলা সম্ভব না।
৩) ব্যাচেলর জীবনে সবচেয়ে অনাদরের জিনিসের নাম হ্যাঙ্গার।
বিস্তারিত»