ছোটবেলায় আমার নাম শুনে অনেকেই যখন বলত,”বাহ,তোমার ডাকনামটা তো সুন্দর”,তখন খুব ভালো লাগত।সেইসময় তো আর বুঝতাম না যে মানুষ অনেক কিছুই বলে,যেগুলোর নাম হচ্ছে “কথার কথা।”তাই নাম নিয়ে আমার ভিতরে হাল্কা গর্ব ছিলো।আমার এই গর্ব ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায় পাবনা ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হওয়ার পরে।টিচার থেকে শুরু করে সিনিয়র,স্টাফ,হসপিটাল অ্যাটেনডেন্স,যেই নাম জিজ্ঞেস করে,আমার উত্তর শুনে কিছুক্ষন ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বলে,”হিন্দু নাকি?”সারাজীবনে আমার যে কয়জন “প্রতীক” এর সাথে দেখা হয়েছে,তাদের কেউই হিন্দু না,কিন্তু এরপরেও কেন সবাই এই কথা বলতো,সেই রহস্য আমি এখনো ভেদ করতে পারিনি।
কলেজে হিন্দু ছেলেদের অনেক মজা ছিলো,পুজায় তাদের মন্ডপে নিয়ে যাওয়া হত,আমরা যখন নামাজে যেতাম,এরা হাউজে মনের আনন্দে টিটি খেলত।আমাদের ইনডোর গেমস কম্পিটিশনগুলোতে হিন্দু ক্যাডেটদের পারফর্মেন্স ছিলো সবচেয়ে ভালো।তাই আমাকে কেউ হিন্দু মনে করলে আমি বিশেষ কষ্ট পেতাম না।অনেকসময় তাদের ভুল ভাঙ্গানোর চেষ্টাও করতাম না।এই গা-ছাড়া ভাব যে আমার জন্য একসময় যন্ত্রনার কারণ হবে,সেইটা কখনো ভাবিনি।সেই অভিজ্ঞতার পিছনে যার একমাত্র অবদান,তিনি হচ্ছেন আমাদের ২৬তম ব্যাচের ফয়সাল ভাই,আমরা বলতাম “মোল্লা/হুজুর ভাই।”
ঐতিহ্যগত ভাবেই পাবনায় প্রচুর ধার্মিক ক্যাডেট আছে।অনেকে ঢোকার সময় ধার্মিক না থাকলেও পরবর্তীতে সংস্পর্শের কারণে হয়ে যায়।যেইটা অবশ্যই একটা ভালো দিক।কিন্তু তারা যখন দ্বীনের পথে দাওয়াত দেওয়ার নামে মানসিক/শারীরিক নির্যাতন শুরু করত,তখন সেইটাকে আর ভালো বলার উপায় থাকত না।
সেভেন/এইটেই থাকা অবস্থায় বেশ কিছু ভাই,যাদের মধ্যে আবার কয়েকজন প্রিফেক্ট, প্রতি ওয়াক্তে রুমে এসে নামাজে যাওয়ার আহ্বান জানাতেন।তখন ভয়ে ভয়ে চলেও যেতাম।যাওয়ার পরে দেখতাম সেখানে শুধু নামাজ না,নামাজের পরে তালিমও দেওয়া হয়,এবং সেখান থেকে জুনিয়রদের উঠে যাওয়া স্বেচ্ছায় হাবিয়া দোজখ মেনে নেওয়ার সমান।তাই সারাদিনে পাওয়া স্বল্প রেস্ট টাইমের সদ্ববহার করতে নামাজের ওয়াক্ত আসলেই টয়লেটে পালিয়ে যেতাম,অথবা মটকা মেরে শুয়ে থেকে ঘুমেরভান করতাম।পালানোর ট্রাই করতে যেয়ে ধরা খেয়ে বহুবার পাঙ্গাও খাইছি।এইসব নিয়ে যদিও কোন আফসোস নেই।চিন্তা করলে এখন হাসি পায়।তাবলীগ নামের মেন্টাল টর্চার থেকে বাঁচার জন্য তখন কত কিছুই না করছি।
নাইনের মাঝামাঝি সময়ে তৎকালীন ইলেভেনের ফয়সাল ভাই হলেন প্রথম সেটের জুনিয়র প্রিফেক্ট।উনারা সব জেপি মিলে মাঝে মাঝেই আমাদের সাইজ করতে নিয়ে যেতেন মাঠে।মাঠে যাওয়ার পরেই উনি আমাকে আর আমাদের ব্যাচের বাকি তিনজন হিন্দুকে আলাদা করে নিয়ে যেতেন।এরপরে শুরু হত ৪(!!) হিন্দুকে শুদ্ধ করার প্রক্রিয়া।আমাদের নিয়ে তিনি অনেক আনকোরা পাঙ্গা উদ্ভাবন করতেন,যেমন সবচেয়ে চিকন(আমি) ক্যাডেটের ঘাড়ে সবচেয়ে মোটাটাকে উঠায়ে দিয়ে টাচ অ্যান্ড ব্যাক,একজনকে দিয়ে আরেকজনকে মোটামুটি ১০০ মাইল বেগে স্পিনিং করানো,ইত্যাদি।তিনি কখনোই আমাদের বলেননি আমাদের অপরাধ কি,তবে প্রতিবারই ৩জন হিন্দু আর আমাকে আলাদা করে নিয়ে পাঙ্গানোর অথবা ফল-ইন থেকে খুঁজে খুঁজে আমাদেরকেই বের করে পাঙ্গানোর কারণ হিসেবে আমি “ধর্মবিশ্বাস” ছাড়া আর কোন কিছু পাইনি।উনাদের ফেয়ারওয়েলের সময় উনি যখন আমার কাছে বিদায় নিতে এসেছিলেন,আমি উনাকে এই ঘটনাগুলো মনে করিয়ে দিয়ে কারণ জিজ্ঞেস করেছিলাম।তিনি এমন একটা ভাব দেখিয়েছিলেন,যে উনার কিছুই মনে নেই।যদিও বিকেলে ক্যান্টিন থেকে আমার কাছে কোক-আইসক্রীম চলে এসেছিলো।বাইরে হলে আমি কখনোই এইসব গ্রহণ করতাম না,কিন্তু ক্যাডেট কলেজে থাকা অবস্থায় আইসক্রিম জিনিসটা আমি কখনোই ইগ্নোর করতে পারিনি।
উনারা চলে যাওয়ার কিছুদিন পর উনাদের এইচএসসি রেজাল্ট বের হল।উনি তুখোড় ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও ফিজিক্সে ৩.৫ পেলেন।সত্যি বলতে দ্বিধা নেই,আমি শুনে খুবই খুশী হয়েছিলাম।খারাপ রেজাল্টের কারণে ওইবছর সম্ভবত উনি শেকৃবিতে ভর্তি হয়েছিলেন।পরেরবার সোহরাওয়ারদী মেডিকেলে ভর্তি হন।আমরা কলেজ থেকে বের হওয়ার পরে তিনি তার তাবলীগ-জামায়াতের দলে দাওয়াত দেওয়ার জন্য আমাদের ব্যাচের অনেককেই নিয়মিত ফোন করে দেখা করতে বলতেন।বলা-বাহুল্য সেই দাওয়াতের তালিকায় ব্যাচের সবাই থাকলেও ৪জন থাকত না।আমি আর আমার ৩ হিন্দু ব্যাচমেট।
বিঃদ্রঃ-ভাই তার বয়স ২১ বছর পূর্ণ হওয়া মাত্রই বালেগ হওয়া উদযাপনের লক্ষ্যে শাদী করে ফেলেছেন।ভাবছিলাম ভাইকে দাওয়াত না পাওয়ার অভিমান জানায়ে একটা খুদে-বার্তা পাঠাবো।কিন্তু খবর পেলাম ভাইয়ের নিজের ব্যাচমেটরাই সেখানে স্বাগত ছিলেন না।আমি কোন ছার!!!
বিঃবিঃদ্রঃ-অনুগ্রহ করে একে ইসলামবিরোধী পোস্ট হিসেবে দেখবেন না,তবে মৌলবাদবিরোধী হিসেবে দেখতে পারে।
বিঃবিঃবিঃদ্রঃ- অনেক সুইট হুজুরও ছিলো কলেজে।যেমন আমাদের ব্যাচের নাহিদ।প্রতি ওয়াক্তে রূমে এসে হাত ধরে সুন্দর একটা হাসি দিয়ে যেভাবে নামাজে যাওয়ার আহ্বান জানাতেন,সেইটা উপেক্ষা করা অনেক কঠিন ছিলো।আবার কিছু এক্সট্রিম হুজুরও ছিলো।যেমন ইমিডিয়েট জুনিয়র ইলিয়াস।ক্যাডেট কলেজের ইতিহাসে মনে হয় সেই প্রথম ক্যাডেট,যে কিনা ওয়াজ শুনতে কলেজ পালিয়েছিল এবং ভুল ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ওয়াজের হুজুরের সাথে ঝগড়াও শুরু করে দিয়েছিলো।
বিঃবিঃবিঃবিঃদ্রঃ-আমাদের কলেজের আরেকজন হুজুর,বর্তমানে ডিএমসিতে অধ্যয়নরত আইয়ুব ভাই এখনো ডিএমসির হলে তার দ্বীনের দাওয়াত চালু রেখেছেন।আমার অনেক বন্ধুই উনার ভয়ে রোজ দুপুরে হলের বাইরে থাকাটাই প্রেফার করে।
লেখা পড়ি নাই।
দেখলাম ১ম লেখায় নিয়ম কানুন মানো নাই।
সব ঠিক করো। তারপর পড়বো।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
কোন নিয়ম ভাইয়া?? 😕
যাহা বলিব,সত্য বলিব,সত্য বৈ মিথ্যা বলিব না
:frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll:
যাহা বলিব,সত্য বলিব,সত্য বৈ মিথ্যা বলিব না
:teacup:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
প্রতীক, তুই ফ্রন্ট রোল দিতে পারতি না কলেজে মনে হয়। এই জন্যই ফয়সাল তোরে পাঙ্গাইতো 😛
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
ফয়সাল ভাইরে ডাকব নাকি??? :v
আমি সিগারেটের ছাই, জানালার ধুলো। চাইলেই ফু দিতে পার। ঊড়ে যাব।
ভাই আমার ককটেল খেয়ে মরার শখ নাই x-(
যাহা বলিব,সত্য বলিব,সত্য বৈ মিথ্যা বলিব না
ভাল্লাগসে
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
এখন নামের পাশে সালটা দিয়ে দে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
সেভেন/এইটেই থাকা অবস্থায় বেশ কিছু ভাই,যাদের মধ্যে আবার কয়েকজন প্রিফেক্ট, প্রতি ওয়াক্তে রুমে এসে নামাজে যাওয়ার আহ্বান জানাতেন।তখন ভয়ে ভয়ে চলেও যেতাম।
:grr:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
তোমার ঐ সিনিওরকে :boss:
বাংলাদেশে কেনো হিন্দু থাকবে!
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আল্লাহ তোর ঐ সিনিওরকে ইনশাল্লাহ শরাবান তহুরা দিয়ে গোসল করাবেন।
আমিন।
এইরকম হালাকু খান টাইপ মুসলমান জাতির অহঙ্কার।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব ভাই, শরাবান তহুরা কি জিনিস? এই নামে আমার ক্লাশে স্টুডেন্ট ছিলো। আমি নাম ডাকার সময় প্রায়ই শ্রাবণ তহুরা বলে ফেলতাম।
গুগল করে দেখলাম বলছে বিশুদ্ধ পানীয় (pure drink), কিন্তু সেটা কি সেটা কোথাও পাইনাই। জান্নাতের চারটি নদী যথাঃ পানি, মধু, দুধ ও শারাবুন তহুরা। মেয়ের নাম শরাবুন তহুরা -- irony at its best! ;))
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
এইটা ঠিক না। কারো ভালোতে আনন্দ না পাও অন্তত কষ্টে আনন্দ পেয়ো না।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
তখন ভাই ছোট ছিলাম।এখন এইসব চিন্তা করলেও হাসি আসে।
যাহা বলিব,সত্য বলিব,সত্য বৈ মিথ্যা বলিব না
:thumbup:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এই ব্যাপারে হেড কোয়ার্টার কে জানানো উচিত।
দেখি আমি সময় করে মেইল করবো।
কিন্তু ঐখানে যদি গোলাম আজম এর পোলা তাইপ কেউ বইসা থাকে তাইলে তো কথা নাই।
ঐদিন জানতে পারলাম গোলামের পুত নাকি কোন এক জামাত নেতার ছেলেকে কলেজ আউট না করার জন্য সেই সময়ের এজি কে অনুরোধ করছিলেন।
HQ লিঙ্ক
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
🙁
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আগে পুলাপাইন সিনেমা, যাত্রা র জন্য কলেজ পালাইতো আর এখন ওয়াজ এর জন্য।
মারহাবা।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
=))
আমাদের ক্লাসে একজন ছিলো। বুয়েটে গিয়া সবসময় তারে হাউজ মসজিদে পাইতাম। (ইউনি গুলার এইসব মন্দির -মস্জিদ হইলো শয়তানের আড্ডা)
সেন্ট্রাল মসজিদ বা মন্দির থাকবে কিন্তু হলে হলে এতো মসজিদ আর মন্দির!!!
যাই হোক ঐ বন্ধুরে গিয়া মসজিদের সামনে চিল্লাইয়া ডাকাডাকি শুরু করতাম। তার ঐসব ইয়ারেরা তখন তাকে আমাদের মতো দুষ্ট ছেলেদের সাথে মিশতে নিষেধ করতো।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
সাহসী লেখা।
বিশেষ করে যেখানে সিনিওরদের নিয়ে লেখা।
ক্যাডেট কলেজকে মাদ্রাসা বানাবার এই প্রক্রিয়া বন্ধ হবে এই আশা করি।
এইসব ধর্মান্ধতা প্রাকটিস করার জন্য এবং জামাতে রিক্রুট করার জন্য অবশ্য ক্যাডেট কলেজ ভালো জায়গা।
এই জন্যই বলি ক্যাডেট কলেজ থেকে ইদানিং এতো ছাগু বের হয় কি করে।
আমাদের ১৩ তম ব্যাচ বিসিসি নিয়া বলতে পারি আমাদের ৪৯ জনের মধ্যে একটা সিঙ্গেল জামাত নাই। ইসলামপন্থী আসে। সেটা তো থাকবেই।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এইটা টার্গেটেড হইতে পারে।
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
অবশ্যই
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
Army Headquarters
GS Branch
IT Directorate
Tel: 8871234 Ext 8319
Fax: 8712388
Email : itdte@army.mil.bd
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
এইটা পুরোনো ইস্যু ভাই,আমাদের সময়েই হেডকোয়ার্টার থেকে বিশেষ আদেশে জুম্মা আর মাগরিব বাদে ক্যাডেটদের মসজিদে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো।এরপরেও এইসব থামেনি বরং বেড়ে গেছে।এই গ্রুপের ছেলেদের কলেজ থেকে বের হওয়ার পরে শ্যামলী,হাজারীবাগের বিভিন্ন মেসে কম খরচে থাকার ব্যবস্থা এবং ফোকাস-রেটিনাতে ডিস্কাউন্টে ভর্তি করে দেওয়া হত।আমাদের ব্যাচের কয়েকজন এই সুবিধা নিয়েছিলো।শিকড় অনেক গভীরে চলে গেছে।এত সহজে ওপড়ানো যাবে না।
যাহা বলিব,সত্য বলিব,সত্য বৈ মিথ্যা বলিব না
শিকড়া যত গভীরেই যাক না কেনো, বৃক্ষ যদি বিষবৃক্ষ হয় তবে তা উপড়াতে হবেই।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:thumbup:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
প্যারেন্টস ডে গুলোয় কলেজে ঢোকার ব্যাপারে একটু কড়াকড়ি করা উচিত।অনেক লিফলেট,বই,প্রচারপত্র প্যারেন্টস ডে তে ক্যাডেটদের কাছে পৌছায়ে দেওয়া হত।
যাহা বলিব,সত্য বলিব,সত্য বৈ মিথ্যা বলিব না
:hatsoff:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আরেক ক্যাডেটের কথা শুনছিলাম, সে নাকি তাবলীগে যাবার জন্য কলেজ পালাইছিলো।
রাজীব ভাইয়ের সাথে সহমত। আসলেই সাহসী লেখা। সরাসরি আঙ্গুল তুলেছিস। ওয়েলডান।
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
আমি কলেজে থাকতেই বলেছিলাম উনাকে,যে উনার এই ব্যাপার আমি কখনোই ভুলবো না।পানিশমেন্ট খাইতে আমার কোন আপত্তি নেই,আমি নিজেও প্রচুর পাঙ্গাইছি,প্রায় অর্ধশত ইডি খাইছি।কিন্তু এইসব নোংরামী ভাল্লাগেনি।
যাহা বলিব,সত্য বলিব,সত্য বৈ মিথ্যা বলিব না
:guitar:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
লেখাটা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল ভয়াবহ এক আশঙ্কায়। ক্যাডেট কলেজ থেকে পাশ করা ছাত্রগুলো মোটামুটি পর্যায়ের ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল এই ধরনের বিষয় গুলোতে। জানি না অনুমান সত্য কিনা তবে জামাত-শিবির যদি পরিকল্পনা নিয়েই এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দিকে নজর দেয় তাহলে ভবিষ্যত খুবই খারাপ। এমন একটা স্পর্শকাতর বিষয় যে কর্তৃপক্ষ চাইলেও কড়াকড়ি করতে পারবেন না। 🙁 🙁
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
কতৃপক্ষ চাইলে অবশ্যই পারবে মোকাব্বির।
কিন্তু সর্ষে তে ভূত আছে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
মনে করেন কর্তৃপক্ষ কড়াকড়ি শুরু করলো, অভিভাবকদের কাছে মেসেজ যাবে, ক্যাডেটদের ধর্মীয় অনূভুতিতে আঘাত দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। নিয়মের নামে নাস্তিকতার বিষ ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে! সেটা নিয়ে তারপরে কি তাফাল্লিংটা হবে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। আফটার অল, মহাজ্ঞানী-মহাজনের অভাব নাই সমাজে!
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
সম্ভব ভাই। কিন্তু সর্ষের মধ্যে ভূত আছে যে। রাজীব ভাই চমৎকার বলেছেন।
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
* সবুজ হাউজের এক নামাযী বড়ভাই (জামাতিও বটে) জুনিওর এক ছেলেকে, ঐ ছেলেকে নিয়ে উনি নামায পড়তে যেতেন; দরজার চিপায় (রবীন্দ্রনাথের সখি একটি চুম্বন দাও) গাওয়া রত অবস্থায় ধরা খান।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:))
যাহা বলিব,সত্য বলিব,সত্য বৈ মিথ্যা বলিব না
প্রতীক, সাহসী একটা লেখা। আমাদের সময়ে হাউস মস্ককে প্রেয়ার রুম বানানোর কথা চিন্তা করা হইছিল কয়েকবার। যদিও সেটা আলোর মুখ দেখে নাই।
বাইরের জগতের সাথে তাল মিলিয়ে ক্যাডেট কলেজে পরিবর্তন আনার সময় হয়েছে মনে হয়। পাবনার এইসব বিষয় নিয়ে আগে শুনছিলাম, কুমিল্লার অবস্থাও মনে হয় বেশী ভাল না।
হেরে যাব বলে তো স্বপ্ন দেখি নি
"এরপরে শুরু হত ৪(!!) হিন্দুকে শুদ্ধ করার প্রক্রিয়া"
আমার ৪ বছরের হিন্দু রুমমেট সব্যসাচীকে মনে করায়ে দিলা। আমরা দুজনই ধর্মে আর কর্মে ভাল প্রতিযোগী ছিলাম আছি। দুজনের মধ্যে হাল্কা রেসলিং না হলে রাতের ঘুম আর ভোরে লাথি কিল ঘুষা না হলে বিছানা ছাড়া হতো না আমাদের।
শুধু যাওয়া আসা শুধু স্রোতে ভাসা..
ওয়েল ডান প্রতীক ! :thumbup:
খুব ভালো লাগলো পড়ে.. অনেক সাহসী একটা লেখা !