মা তোমাকে খুব মিস করি

মা এর সাথে খুব বেশী সময় কাটাতে পারি নি। এক কি দেড় বছর। এ সময়ের মাঝেই মা আমার মা হয়ে উঠেন। আমার মা আমাদের তাহমিদের আম্মু আমাদের রকিমুন্নেসা ম্যাডাম।

ক্লাস ইলেভেনে হঠাৎই একদিন শুনলাম মা আসছেন আমাদের কলেজে। মা ভূগোলের শিক্ষিকা। আমিও ছিলাম হিউম্যানিটিজ গ্রুপে সেই সুবাদে কলেজে মার প্রথম দিনেই তার সাথে আমার সাক্ষাৎ। ডিপার্টমেন্টে গিয়ে মা কে সালাম দিলাম। বললাম “এতোদিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম।

বিস্তারিত»

শবে বরাত আর নস্টালজিক আমি

১) তখন আমার বয়স হবে ৩ কি ৪ – স্পষ্ট মনে আছে হালুয়াতে ছাঁচ ফেলা হত। মাছের ছাঁচ, ফুলের ছাঁচ, কি জানি লেখা ছাঁচ – আরো হরেক রকম। আমাকেও দেয়া হত করতে। আমি করেছিলাম – ছাঁচের গায়ে হালকা তেল মেখে তারপর বুটের ডালের হালুয়া লেপে দিতে হয়। তারপর আস্তে আস্তে আলতো করে টিপে দিতে হয়। আর তারপর ছাঁচ থেকে সাবধানে আলাদা করলে কি সুন্দর ডিজাইন।

বিস্তারিত»

ব্যান্ড সঙ্গীত ও আন্ত ক্যাডেট কলেজ সঙ্গীত প্রতিযোগিতা

ইদানিং কেন জানি আইসিসিএলএম  গুলোর কথা ভাবছিলাম। এমনিতেই, কোন কারন ছাড়াই। ভাবতে গিয়ে একটা জিনিস খেয়াল করে বেশ অবাক হলাম। আমি আসলে আমার ক্যাডেট লাইফের ৬ টি আন্ত ক্যাডেট কলেজ সাহিত্য ও সঙ্গীত প্রতিযোগিতা  মনে রেখেছি ঐ ৬ টি বছরে গাওয়া ব্যান্ডের গানের মাধ্যমে। এক একটা বছরের মিট এর কথা মনে করতে গেলে শুধু দেখি ঐ বছরের লিডিং ব্যাচের গাওয়া ব্যান্ডের গানটির কথা মনে পড়ে যায়।

বিস্তারিত»

প্রিয় সিসিবি, আমি ভালো নেই!


অনেকদিন পর সিসিবি’তে লিখছি। কিন্তু এরমানে এই না যে, সিসিবি ছেড়ে গেছিলাম- প্রতিদিন নিয়ম করে একবার সিসিবি’তে ঢু না মারলে মনে হয় দিনটাই অপূর্ণ রয়ে গেল!

কয়েকদিন ধরে সিসিবিও বেশ জমজমাট হয়ে উঠছে। ফেসবুকে ফয়েজভাই একটা ষ্ট্যাটাস দিলেন, অনেকেই কমেন্টও করলো সেখানে। তারপর দিবসও একটা ষ্ট্যাটসে নতুন নতুন ব্লগগুলোতে কমেন্ট করার মাধ্যমে সিসিবিকে জমিয়ে তোলার জন্য বলেছিল। সব মিলিয়ে, বেশ একটা আবহ তৈরী হয়েছে মনে হল।

বিস্তারিত»

মেমোরি কার্ড

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর সবাই একাডেমির ওয়াশরুমকেই নিজেদের আড্ডাখানা মনে করতো। বোরিং মফিজ স্যারের ক্লাস কিংবা জহির স্যারের গাইড দেখে দেখে ম্যাথ করানোর টাইমটাতে ওয়াশরুমে আড্ডা কিংবা ফোনে গান শুনাটা সিনিয়র ক্যাডেটদের নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার ছিলো। তাছাড়া ল্যাব পিরিয়ডে এবং প্রেপ টাইমেও ক্যাডেটদের বিনোদোন খুঁজে নেওয়ার একমাত্র স্থান ওই ওয়াশরুম। ফোনে গান শোনা কিংবা ফেসবুক গুতানোর জন্যে ওই জায়গাটা তুলনামূলকভাবে অনেক নিরাপদ। আমাদের একাডেমিতে সিনিয়র ব্লকে চার টা টয়লেটের মাঝে চার নাম্বার টয়লেটে কেউ কাজ সারতো না।

বিস্তারিত»

সাভারনামা…

সাভারের ভবনধসের ঘটনা এখন পুরোনো হয়ে গেছে। আজ সেই সময় তোলা কিছু ছবি ফেবু’তে আপলোড করলাম। ছবি দেখে রাজীব ভাই/১৩তম বিসিসি; বললেন “সাভারের উদ্ধারকাজের উপরে একটা লেখা দে”! সাথে সাথে ফেবু বন্ধ করে সেই সময়কার কিছু স্মৃতি নিয়ে আজ লিখলাম। এক বসায় লিখেছি। ভুলভাল হতে পারে।

ভবন ধসে পড়ার পরপরই শাহবাগ গিয়ে রক্ত দিয়ে এসেছি। তবু কেমন যেন ছটফট করছিলাম। আরো কিছু করতে ইচ্ছা হচ্ছিলো।

বিস্তারিত»

পাঙ্গালিস্ট

একাদশ শ্রেণীর মাঝামাঝি। উনত্রিশ তম ব্যাচের জুনিয়র প্রিফেক্টদের তখন জুনিয়র পাঙ্গানোর মসরুম চলিতেছে।
প্রেপ টাইমে জনৈক জুনিয়র প্রিফেক্টকে দেখিলাম কাগজ কলম নিয়ে একাগ্রচিত্তে কি-জানি লিখিতেছে। কৌতূহলবশতঃ কাছে গিয়া দেখিলাম সে লিখিতেছে—

পুশআপ————– ৫০ টি
লং আপ————– ১০ মিনিট
ফ্রন্টরোল—————২৫ টি
লকার স্টিকের বাড়ি—- ১২ টি
ইত্যাদি ইত্যাদি………

কারন জিজ্ঞাসা করিলাম।
উত্তরে সে বলিলো, ” জুনিয়র পাঙ্গাইতে গিয়ে ভুলিয়া যাই কি কি পানিশমেন্ট দিবো,

বিস্তারিত»

দৌড়…

১৭ জুন ছিল ৩৬ মির্জাপুরের তথা ইনটেক ১৯৯৮ এর জন্মদিন। ফেইসবুকে আড্ডার মাঝে অনেক স্মৃতিচারণ করা হয়েছে গতকাল। মাহমুদের (১৯২১) অনেক স্মৃতি খুব বিশদ ভাবে মনে থাকে। হয়তো বাকিদেরও মনে থাকে কিন্তু সবাই সব সময় মুখ খুলে না। মাহমুদ সুযোগ পেলেই পুরনো স্মৃতি নিয়ে ঘেঁটে বেড়ায়। কিছু স্মৃতি রোমন্থনের আশায় সবার পোস্ট ও স্ট্যাটাস ঘেঁটে দেখছিলাম। শাহরিয়ারের স্ট্যাটাসটা পড়ে ভালো লাগলো। অনেক কথা অনেক সময় গুছিয়ে বলা হয় না।

বিস্তারিত»

প্লিজ ফিরে এস

আজ অনেক গুলো দিন পার হয়ে গেল তোমাকে দেখিনা। সময় এর হিসেবটা ঠিক বলতে পারছিনা। কখনও মনে হয় কয়েক বছর , কখনও কয়েক যুগ। আগে তোমার ছবি দেখে দেখে দিন কাটাতাম এখন তাও করা হয়না। তোমার সাথে আমার এত এত ছবি , সেগুলা দেখি আর খারাপ লাগে। ছবিগুলা দেখে যেভাবে আমি কষ্ট পাই তুমি কি পাও? মনে হয়না।

আমি জানি তুমি এখন অন্য কারও সাথে আছ,

বিস্তারিত»

আমার ব্যাচমেট দের জানাই ঈদ মোবারক

নতুন জুতা (সাদা ও কালো), নতুন স্যান্ডেল(চামড়ার ও স্পঞ্জ), জুতার কালি(সাদা ও কালো), জুতার ব্রাশ…। লিস্টে এগুলা দেখে আমি ভাবতেছিলাম পড়তে যাচ্ছি নাকি জুতা পালিশ করা শিখতে আল্লাহই জানে। সুঁই থেকে শুরু করে আন্ডারওয়ার সব কিছু নতুন নিয়ে ২০ইঞ্চি ট্রাভেলীং ব্যাগের ওজন প্রায় এক মণের কিছু বেশী বানিয়ে ১৯৯৮ সালের এই দিনে বিকেল বেলা স্বেচ্ছায় গিয়ে জেল খানায় ঢুকলাম। ঐ দিন এই সময়ে (দুপুর বেলা) পাবনা শহরে বসে বিরীয়ানী খাচ্ছিলাম আর বাপের দিকে তাকাইয়া তাকাইয়া ভাবতেছিলাম একটা লোক কতখানি হারামী হলে নিজের এতটুকুন নিস্পাপ ছেলেকে এরকম করে বাসা থেকে দূরে পাঠিয়ে দিতে পারে।

বিস্তারিত»

একটি কান্না, অতঃপর আমার জয়……

ছোটবেলা থেকেই কেঁদে জিতে যাওয়া ব্যাপারটার সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। যখন তখন চোখের জল ফেলাটাকে আমরা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। আমরা হার না মানা জাতি। কখনো কারো সাথে কোন কিছুতেই হেরে যেতে আমরা নারাজ। আমাদের মূলমন্ত্র যেন- “কর্মে যদিও হয় পরাজয়, কান্নায় জয় হবে নিশ্চয়”।

শৈশবে হয়তো মারামারিতে কারো কাছে হেরে গিয়েছি, কান্নায় কিন্তু ঠিকই জিত হয়ে গেছে। কিংবা বাবা-মায়ের কাছে আবদার করে কিছু পাইনি,

বিস্তারিত»

“অবশ অনুভূতির চিঠি”

জানালার বাইরে ছিল অতি সাধারণ সবকিছু। একটি সবুজ ধানক্ষেত, আমের বাগান কনক্রিট রোড, ধুপি শপ, রেশন স্টোর, পানির ট্যাংক। প্রথম দিন যেমন নতুনত্ব ছিল সেদিনটাও কোন পার্থক্য ছিল না অনুভবের। জানালায় একবার দাড়িয়ে শেষবারের মত দেখলাম আমার ছবির ফ্রেমটা। জীর্ণ অথবা রংয়ের যত্নে লুকিয়ে থাকা রডগুলো ছুঁয়ে মনে হল ক্ষুদ্র অথচ প্রাণের কিছু অংশ রেখে যাচ্ছি। গতকাল রাত থেকে আমার অনুভুতিগুলো অনেকটা্ নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কলেজ প্রাচীর

১) একবার দুইজন ক্যাডেট রাতের অন্ধকারে কলেজের প্রাচীর টপকে গেল সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে। হাউসে ফিরে আসার সময় তাঁরা হাউসের পেছনে এসে উঁকি মেরে দেখলো যে হাউসের সামনে হাউস বেয়ারা আর একজন স্টাফ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গল্প করছেন। ক্যাডেট দুইজন ভাবলো যে, চোরের মন পুলিশ পুলিশ না করে স্বাভাবিকভাবে হাউসে প্রবেশ করলে তাদেরকে কেউ কিছুই বলবে না। এই ভেবে তাঁরা হাউসের পেছন থেকে বেরিয়ে এসে হাউসে ডুকতে যাচ্ছিলো।

বিস্তারিত»

একটি কোটা আর বাংলালিংক

এইতো গত বছর-

রাজশাহী ভার্সিটি বি বি এ পরীক্ষা, আই বি এর কোচিং করে স্বভাবতই ধারণা জন্মেছিল, ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু সেই ভুল পরীক্ষার হলে গিয়ে ভাঙল যখন দেখি পাশের ছেলেটি মহানন্দে দুইটি ক্যালকুলেটর একের পর এক ব্যবহার করে যাচ্ছে। ম্যাথ করতে যেয়েই যত বিপত্তি, এত বড় বড় ম্যাথ কিভাবে করবো? পাশের ছেলেটির ক্যালকুলেটর এর দিকে তাকাতেই সে বুঝতে পারল এবং মহানন্দে দুইটি ক্যালকুলেটর ই অন্যপাশে সরিয়ে রাখল।

বিস্তারিত»

কিছু কৈশোর… (৩য় খন্ড)

(শিরোনামটি আমার সবচেয়ে প্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদ’র একটি আত্মজৈবনিক গন্থ হতে অনুপ্রাণিত)

 

ক্যাডেট কলেজের শিক্ষা বা পুরো ব্যাবস্থাটা বাইরে থেকে অনেক আলাদা। কোন সন্দেহ নাই। একটা স্কুল বা কলেজের যে সকল কর্মকান্ড বাইরেও হয় সেগুলোও ক্যাডেট কলেজে একটু অন্যভাবে হয়। তবে কিছু আছে যেগুলো খালি ক্যাডেট কলেজেই সম্ভব। এমন একটা জিনিস ছিলো কারেন্ট এফেয়ার্স ডিসপ্লে বা চলতি ঘটনা প্রদর্শনী। সব কলেজেই এই প্রতিযোগীতাটা হতো।

বিস্তারিত»