স্বীকারোক্তি

ঘটনা ১৯৯৭ সালের,এসএসসি পরীক্ষা প্রায় শেষের দিকে। আমাদের সাইন্স পার্টির শুধু টিউটোরিয়াল বাকী আর আর্টস পার্টির একটা শেষ পরীক্ষা। যাই হোক এই পরীক্ষা শেষে আর্টস পার্টির ভিতর বিরাট হৈ চৈ ,মহা অসন্তোষ ইতিহাসের এক স্যারকে নিয়ে।স্যার এর সঠিক নামটা ঠিক মনে নাই কিন্তু আমরা সবাই বড়ভাইদের দেয়া টিজনাম টাং টাং হিসাবেই চিনতাম। স্যার ক্যাডেটদের পিছনে খুবই লেগে থাকা টাইপএর ,অসম্ভব রোগা আর কথা বলার সময় কাপতেন,

বিস্তারিত»

বিজয়ের দিনে বিজয়ীর কথাঃ বিস্মৃত এক সুপারহিরোর গল্প

………………………রাআদ রহমান এবং মাসরুফ হোসেন

শুরুর কথাঃ

“What is it that makes these boys have no fear”???

আমি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র- ভারতীয় একটি মুভিতে এই সংলাপটি শুনে কেন জানি বিশাল একটা ধাক্কা খেয়েছিলাম। স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগৎ সিং এবং তাঁর সংগীসাথীরা যখন ফাঁসির মঞ্চে হেঁটে যাচ্ছেন-তাঁদের দৃপ্ত পদচারণা দেখে ব্রিটিশ জেলার মিস্টার ম্যাককিনলে বিড়বিড় করে নিজেকেই এ প্রশ্নটি করছিলেন ।

বিস্তারিত»

ফিরে দেখা

২০১১ সালের সেপ্টেম্বর এর মাঝামাঝি । আমরা সাত দিনের শিক্ষাসফরে । জলপাই রঙের লক্কর ঝক্কর মার্কা কলেজ বাসে করে বেরিয়েছি । দিনের অধিকাংশ সময় কাটছে বাসের ভেতর যেন । নিজেদের বোঁটকা গন্ধে নিজেদেরই নাড়ি উল্টে আসে । আমরা যারা ষড়যন্ত্র করে পেছনের সিটগুলো দখল করেছিলাম, তাদের বাইরের মানুষদের বিরক্ত করেই সময় কেটে যেত । পাশ দিয়ে একটা মোটরসাইকেল যাচ্ছে,ওমনি আমরা  “ও ভাই!

বিস্তারিত»

অণু ব্লগঃ তিন

আমাদের বাড়ীর কাছেই রুবি ফলস। এর আগেও বার কয়েক গেছি মাটির নিচের এই রূপের জলধারা দেখতে। এবারের জার্নিটা একটু অন্য রকম কারণ কানাডা থেকে ভাই-ভাবী এসেছেন, আর আমি তাদের গাইড হয়ে আমেরিকার রূপ বৈচিত্র্য দেখাতে বেরিয়েছি। হাজার উপায়ে আমাকে তো তাদের কাছে প্রমাণ করতে হবে যে রূপে গুণে কানাডার চাইতে আমার দেশটি উত্তম! আমাদের বাড়ী থেকে মাত্র দুশো কিলোমিটার দূরে এই মেঘ পাহাড়ের দেশ। সবাই মিলে গল্প করতে করতে যখন টেনেসি পৌঁছুলাম আলো ঝলমলে একটি দিনের শুরু হয়েছে সবে।

বিস্তারিত»

অণু ব্লগঃ দুই

ডুরাভিলে আমাদের বাড়ীতে একটা কাঁচের ছাদওয়ালা ঘর ছিল। আমি বলতাম আমার মেঘের বাড়ী। আবহাওয়ার খবর না শুনেও আমি সেই ঘরে বসে টের পেতাম মেঘের ডমরু অথবা মধ্য রাতের ঝুম বৃষ্টি। আকাশের রাগ, অভিমান, উল্লাস অথবা চীৎকারে বা শীৎকারে আমার আশ্রয় সেই কাঁচের ঘরটি। টিনের চালে বৃষ্টির কান্না শোনা মানুষ আমরা, আমাদের কি আর মন ভরে কাঁচের চালের বৃষ্টিতে? আমার কিন্তু মন ভরতো ঐ টুকুতেই। বৃষ্টি নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত ভাবালুতা আমার কোন কালেই ছিল না।

বিস্তারিত»

মর্মান্তিক প্যাথেটিক

সামনেই রিইউনিওন। পুরোনো অনেক কথা মনে পড়তেছে বিভিন্ন সিচ্যুয়েসনে,গল্পে গল্পে। কিছু গল্প শোনা, বেশীর ভাগই প্রত্যক্ষ করা।

১) ক্লাস সেভেনের ১ম প্যারেন্টস ডে। সবার প্যারেন্টস আসল। শুধু আমি আর মুসফিক রুমে চুপচাপ বসে আছি। আমার খুবই মন খারাপ। প্যারেন্টস আসে নাই তাতে নাকি সবার প্যারেন্টস আসল শুধু আমার আসে নাই তাতে, কোনটা তে যে বেশী খারাপ লাগতেছে ঠিক বুঝতেছি না। আর মুসফিকের প্যারেন্টস আসবে না সেটা আগেই জানানো ছিল।

বিস্তারিত»

অণু ব্লগঃ এক

আমার পড়শী শ্রীমতী ঊর্মিলা আর তার স্বামী শ্রীমান বলরাম সিং কে ছুটির দুপুরে দুটি ডাল ভাতের নিমন্ত্রন করেছিলাম। বিচিত্র কারণে এই দম্পতি আমাদের মা মেয়েকে খানিক স্নেহ করেন। উইকেন্ডে, জন্মদিনে অথবা পড়শীদের পটলাক পার্টিতে আমাদের কদাচিৎ দেখা সাক্ষাৎ ঘটে।

ওদের একমাত্র পুত্র অজয় আসে নাই সাথে, ও জর্জিয়া টেকে পড়ে। ছুটির দুপুরে ক্যাম্পাসে গেছে গ্রুপ স্টাডি করতে।

মোরগ পোলাউ, ভেড়ার রেজালা আর রায়তায় আমাদের সাদামাটা আয়োজন।

বিস্তারিত»

মিরাজ

আমার প্রেম এখনো থমকে আছে কাঁধ ছুঁই ছুঁই চুলে!

দেড়শ বছরের পুরনো এই শহরে এখনো যুবকের কাঁধ অবধি ঝাঁকড়া চুল দেখলে

চমকে উঠি।

গলার স্বর নামিয়ে বলতে ইচ্ছে করে, এই শোন!!

বিস্তারিত»

ফুটবল বিষয়ক ক্যাডেটীয় (অণু) ছোট ব্লগ

ক্যাডেট কলেজে বিভিন্ন পার্টি থাকে। এইসব পার্টি একেকটা ফ্র্যাটার্নিটির মত। স্মোকার পার্টি, কলেজ পালানো পার্টি, ডেয়ারিং পার্টি, প্রেমিক (মোবাইল ফোন)পার্টি আরো কত কি । আমাদের সময় অন্যতম বড় একটা পার্টি ছিল ফুটবল পার্টি! এই পার্টির গর্বিত মেম্বার ছিলাম কলেজে। কলেজে আমাদের কিছু কর্মকান্ডের বর্ণনা দিচ্ছি :

১) দিন রাত ফুটবল নিয়া গঠনমূলক আলোচনা করা। বিভিন্ন টিমের ফর্মেশন নিয়ে বিশ্লেষণ ধর্মী আলোচনা করে প্রেপ টাইমকে কাজে লাগানো।

বিস্তারিত»

আমার বন্ধু লুবনা

কলেজে থাকাকালীন সময়ে আমি কখনই লুবনার প্রিয় বন্ধু ছিলাম না। লুবনা বরং আমাকে মারতো সময় সুযোগ পেলে। মার্চ পাস্ট করে একাডেমিক ব্লকে যাচ্ছি তো লুবনা আমার অক্সফোরড শু খুলে দিলো লাথি মেরে। সাইডে বসে জুতো পরছি, ও এমন একটা লুক দিল যে মনে হতো দেখিস একদিন আমিও… সেই একদিন কখনোই আসে নাই ক্যাডেট কলেজে থাকাকালীন সময়ে। অনেক কারিগরী করে দুই ইঞ্চির একটা বিনুনি করলাম চুলে,

বিস্তারিত»

অপেক্ষার প্রহর

অপেক্ষার প্রহর

সময় থেমে থাকে না,
তাই কমছে চোখের জ্যোতি
কমছে শোনার ক্ষমতা,
স্মরণশক্তি।
কিন্তু তিনি ভোলেন না
মুঠোফোনে চার্জ দিতে
কিংবা কল ধরতে।
তবুও কাটেনা অপেক্ষার প্রহর।
এই তো সে দিন,
আশ্বিণ মাসের মঙ্গলবার।
কয়েক গণ্ডা কাক
আর নেড়ি কুত্তার চিৎকার
ধাপা ধরে এল কানে।
এরই মাঝে চমকে ওঠেন তিনি
মোবাইলের রিংটোনে।

বিস্তারিত»

একটি সারপ্রাইজ বার্থডে পার্টি এবং…

কাল তারিফের জন্মদিন, একটা স্পেশাল দিন। আর কারো জন্য না হলেও তারিফের জন্য অবশ্যই। তাই এই উপলক্ষ্যে প্রীতি তারিফকে একটা সারপ্রাইজ দেবে বলে ঠিক করেছে। গার্লফ্রেণ্ড হিসেবে এটা তার দায়িত্ব বলেই ধরে নিয়েছে সে।

তারিফ তার কলেজের বন্ধুদের খুব মিস করে। প্রীতির পরিকল্পনা হলো, তারিফের সেই বন্ধুগুলোকে একসাথে ডেকে নিয়ে একটা সারপ্রাইজ বার্থডে পার্টি দেবে। পরিকল্পনামত তারিফের কলেজের বন্ধু নুর-এর সাথে যোগাযোগ করলো প্রীতি।

বিস্তারিত»

অতৃপ্তি

একলোক নাকি ভুট্টা তোলায় এক্সপার্ট !!! 
তার মনিব তাকে ডেকে বলল, আমার জন্য এই ক্ষেতের সবচেয়ে ভালো ভুট্টা তুলে নিয়ে আসো । কিন্তু তুমি ভুট্টা তোলার সময় কখনো পিছনে তাকাতে পারবে না । 

লোকটি মুচকি হেসে ভুট্টা ক্ষেতে প্রবেশ করলো । প্রথমেই সে চমৎকার একটি ভুট্টা পেলো, কিন্তু তুললো না । কারন সামনে আরো ভালো কিছু দেখতে পেলো । এভাবে এগোতে গিয়ে একসময় ক্ষেতের আইল এসে পড়ল ।

বিস্তারিত»

আমার রেজাল্ট

২০০৩ সালের কথা। এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল দেবার দিন। বগুড়াতে বাসায় ছিলাম। তখনও ইন্টারনেটে ফল দেয়ার চল শুরু হয়নি। মোবাইল নেটওয়ার্কের প্রসারও তেমন হয়নি। সবাই নিজেদের রেজাল্ট জানতে তখন মাঞ্জা মেরে স্কুলের নোটিশ বোর্ডের সামনে ভিড় জমাত। আমার কলেজ রংপুরে হওয়ায় আমার সে সুযোগটা ছিল না। সবেধন নীলমণি টিএন্ডটি ফোনই ছিল যা ভরসা। কিন্তু সে সময় বাসায় ফোনটা নষ্ট। রেজাল্ট জানার একমাত্র উপায় বাবার অফিস থেকে ফোন করা।

বিস্তারিত»

মণ্ডল থেকে সরকারঃ ৪র্থ পর্ব

IMG_20150602_085252_1

নূরনগর। নদীয়া জেলার একটি গ্রাম। চুয়াডাঙ্গা রেলষ্টেশনের উত্তর দিকে অবস্থিত। সেই গ্রামের জরিপ উদ্দীন বিশ্বাসের পুত্র সুন্দর আলী বিশ্বাস। ব্রিটিশ আমলের লাখোপতি।খুব সৌখিন ছিলেন তিনি। জামাকাপড়ে সোনার বোতাম ব্যবহার করতেন। লম্বা চওড়া ভয়ংকর সুন্দর এক লোক। ভুসিমালের ব্যবসা, আড়তদারী, তেলের ব্যবসায় বেশ পসার ছিলো। প্রথম স্ত্রী সুরমা বেগম দুটি কন্যার জন্ম দিয়ে মারা যান। দুইটি কন্যা জাহানারা আর আশানারা। জাহানারা বড়।

বিস্তারিত»