হুমায়ুন আজাদ – একজন অলৌকিক স্রষ্টা

Humayun-azad

হুমায়ুন আজাদকে কি আমি কখনো স্পর্শ করেছি?
মানে হ্যান্ডশেক বা পা বা সেই অর্থে?
মনে পড়ে না।
ফুলার রোডে, কলা ভবনে, ভার্সিটির পথে, বই মেলায় তাকে অনেক অনেক দেখেছি। সালাম দিয়েছি। মুগ্ধ চোখে চেয়ে দেখেছি।
হেঁটে যায় এক মহাজীবন।
সালামের উত্তর তিনি কোনদিন দিয়েছেন মনে পড়ে না। তবে চোখ তুলে কখনো তাকাতেন, কখনো না।
হেঁটে যায় এক অহঙ্কারি পুরুষ।

বিস্তারিত»

স্যালুট তোমাদের! তোমরা জানো তোমরা কারা

এক.
২৫ ফেব্রুয়ারী ২০০৯। অন্ধকার সে অধ্যায়ের পর চার বছর পেরোলো। তদন্ত হল, বহু মানুষের বিচার হল, শাস্তি হল। আমরা কি এখনো জানি পর্দার আড়ালের মূল অপরাধীদের শাস্তি হয়েছে কি না?

দুই.
পিলখানা থেকে গোলাগুলির আওয়াজের খবর ব্লগে এসে আছড়ে পড়েছে ততক্ষণে। আকিরা কুরোসাওয়ার রশোমনের মতো একেক জন একেক দৃষ্টিকোণ থেকে বয়ান দিচ্ছে ঘটনার। খবর মানে বিচ্ছিন্ন তথ্য, ছুটন্ত মানুষের অস্ফুট উক্তি,

বিস্তারিত»

আবারো ফিরে আসা – ০১

শেষ কবে লিখেছিলাম মনে নেই, তাই ভাবলাম চেক করি। কিন্তু চেক করে আর কি? এসেছি ই যখন আবার কিছু লিখি, তাই যা ভাবা তা কাজে করার জন্য বসলাম। এর আগে যখন লিখেছিলাম তখনকার থেকে এখনের সময়ের দুরত্ব যেমন আছে, তেমন আছে ভৌগোলিক দুরত্ব ও। কিসের জন্য যেন মনে হয়, মন যখন অশান্ত থাকে, তখন শান্তকরন কর্মসূচীতে এ ধরনের মনের কথা গুলো বলে ফেলা ভালো কাজে দেয়।

বিস্তারিত»

পুবের মানুষ যখন পশ্চিমে – ৮

দেশপ্রেমের সংজ্ঞা কী জানিনা তাই ছেলেকে কখনও এই ব্যাপারে শিক্ষা দিতে যাইনি। আর তাছাড়া ছেলের তো আমেরিকান দেশপ্রেম, এই প্রেম আমি শেখাব কেমন করে? একদিন পার্কে বেড়াতে গেলাম। মাঠের একপাশে একটা খালি প্যাকেট পরে ছিল। হয়তো কেউ চিপস খেয়ে ফেলে গেছে। ছেলেকে দেখলাম সে প্যাকেটটা তুলল। ‘ময়লা ধরো না’, আমাকে একথা বলার সুযোগ না দিয়েই ডাস্টবিনের কাছে চলে গেল। তারপর প্যাকেট সেখানে ফেলে দিয়ে হাত ধুয়ে আমার কাছে আসল।

বিস্তারিত»

আমার ক্যাডেট লাইফ- পর্ব ১

ঠিক তারিখ টা মনে নাই। ১৯৯৮ সালের জুন মাসে শুরুর দিকের ঘটনা মনে হয়। আমার প্রয়াত মেজ মামা আমাদের উল্লাপাড়ার বাসায় আসল। জিজ্ঞেস করল কি খবর ক্যাডেটে চান্স পাইসি কিনা? আমি বললাম রেজাল্ট দেয় নাই।মামা বলল দিসে তো, আমি পেপারে দেখলাম, তাও অনেক দিন আগে। মামা বাইরে গেল, সেই পেপার সংগ্রহ করে আনল। আমার তো #### শুকাইয়া কাঠবাদাম। কি হয়। কোথাও ভর্তিও হই নাই তখন পর্যন্ত।

বিস্তারিত»

আমার আকাশবেলা

লেখালেখি জিনিসটা অনেক প্রতিভা দাবি করে। সেই প্রতিভার অনুপস্থিতির কারণে ব্লগে আমার আগমন এলিয়েনসম। কতো মানুষ কতো ডায়নামিক চিন্তা অদ্ভুত সুন্দরভাবে তুলে ধরে। মস্তিষ্কের অধিকাংশ অংশ জুড়ে শুকনা গোবর থাকায় সেইসব চিন্তা করতে আমি অপারগ। লিখতে গেলেই শুধু রাজ্যের স্মৃতিকথা এসে পড়ে। সেই স্মৃতিগুলোও একটা নির্দিষ্ট আকাশের। আমার খুব স্বার্থপর একটা আকাশের। সে আকাশও ২০০৮ এর কোনও এক সকালে হারিয়ে গেছে।

 

বালকবেলা হতেই হীনমন্যতা আমার সঙ্গী।

বিস্তারিত»

পুবের মানুষ যখন পশ্চিমে – ৭


পূবের মানুষ যখন পশ্চিমে এমনিতেই একটি সিরিজ লেখা। তবে আজকের পর্বটি গত পর্বের ধারাবাহিকতা। গল্প একবার শুরু করলে শেষ হতে চায় না। লেখা শুরু করবার আগে আমি নিজেও জানি না যে আমার মধ্যে এতো গল্প জমে আছে। কেন আছে এর পেছনের কারণটি খুঁজে পেতে লক্ষ্য করলাম এই জীবন আমাকে অনেক রকম বৈচিত্র্যের মধ্যে দিয়ে ভ্রমণ করিয়েছে। জ্ঞান হবার পর থেকেই নানান রকম মানুষ আর ঘটনা এবং দুর্ঘটনা দেখে চলছি।

বিস্তারিত»

ডেসপিকেবল মি!

এই দুনিয়ায় যত জাতি আছে, তন্মধ্যে ক্যাডেট জাতি সর্বাপেক্ষা নিষ্পাপ (হাসেন কেন? ঠিকই তো বললাম)। তবে, সব কিছুরই কিন্ত আছে। কিন্ত থাকবে না কেন বলুন, চাঁদ ও সূর্যের গায়ে যদি কলঙ্ক থাকতে পারে, তবে ক্যাডেটের চরিত্রে দুই-একটা কিন্ত থাকলে কোন সমস্যা নেই। যা বলছিলাম, এই নিষ্পাপ একঘেয়ে জীবনে অফুরন্ত আনন্দ নিয়ে আসে কিছু নিয়ম বহির্ভূত কর্ম। বলা নিষ্প্রয়োজন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেগুলো কারোর না কারোর বিরক্তির কারণ হত।

বিস্তারিত»

রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ (পরিশিষ্ট)

স্বয়ং প্রিন্সিপাল স্যার ফ্রগ জাম্প দিচ্ছেন ! বিশ্বাস হচ্ছে না ? একেবারে গাছপাকা কথারে ভাই ( এবং আপু), গুল মারছি না । ফটোশপের ক্যারামতি নয়। আসল ছবিই দেখাব । কি মনে করছেন ? কিভাবে ফ্রগ জাম্প দিতে হয় তাই দেখাচ্ছেন স্যার ? মোটেও তা নয় ! তিনি পানিশমেন্ট খাচ্ছেন । রাজশাহী ক্যাডেট কলেজে এই ঐতিহাসিক ঘটনাটি ঘটে ২০১২ সালের রিইউনিয়নে, রিভার্স অর্ডারে। তখনকার প্রিন্সিপাল স্যার যে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজেরই এক্স ক্যাডেট।

বিস্তারিত»

এইচএসসি’র পরেঃপর্ব ১

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃএকান্তই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে লেখা।

কলেজ থেকে বের হওয়ার পরে সবচেয়ে কঠিন সময় হচ্ছে তার পরের কয়েক মাস।এই সময়েই নির্ধারিত হয়ে যায়,কার ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাচ্ছে।অনেকে সাবলীল্ভাবে পার করে দেয় এই সময়টা,অনেকে পিছিয়ে পড়ে।এই লেখায়,আমি আমার এই সময়টার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই।

বেশিরভাগ বন্ধুই কলেজ থেকে বের হওয়ার পরে ঢাকায় তাদের সাময়িক নিবাস নিয়ে ব্যস্ত,আমার বাসা ঢাকায় হওয়ায়,আমার সেই চিন্তা ছিলো না।ওদের ছিলো খাওয়ার কষ্ট,পানির কষ্ট,যাতায়াতের কষ্ট,টিপে টিপে খরচ করার কষ্ট।আর আমার ছিলো একা থাকার কষ্ট।থাকতাম বারিধারা ডিওএইচএসে।আশেপাশে ব্যাচমেট তো দূর কি বাত,পরিচিত কেউই ছিলো না।উদ্ভাস থেকে দেওয়া লেকচার শীট পড়তে বসলে মনে হত,না বুঝলে বুঝায়ে দেওয়ার মত কেউ আশে-পাশে নেই,পড়ে লাভ কি???কম্পিউটারে বসলে ঘুরে-ফিরে চলে যেতাম সেই ফোল্ডারে,যেখানে আছে আমার কলেজ লাইফের সব স্মৃতি।সেই ছবিগুলো দেখে বুকে মোচড় দিত।অদ্ভুত একটা ফিলিংস।একই ফিলিংস হয়েছিলো সেইসব দিনের অনেকদিন পরে।১৫ জানুয়ারী ২০১২ তে।ডিপার্টমেন্টে প্রথম ক্লাস করতে যেয়ে একটা মেয়েকে দেখেছিলাম।ক্লাস শেষের পরে তাকে তার বয়ফ্রেন্ডের হাত ধরে চলে যেতে দেখে।আজব না???দুইটা সম্পূর্ণ আলাদা ঘটনা,অথচ কষ্টটা এক।

বিস্তারিত»

গন টু ডগ

“আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ
র্স্পধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি,
আঠারো বছর বয়সেই অহরহ
বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি।”

কবি সুকান্ত আঠারো বছর বয়সীদের নিয়ে এই কবিতা লিখলেও ক্যাডেট কলেজ পার্সপেক্টিভ থেকে চিন্তা করলে বলতে হবে “ক্যাণ্ডিডেট টাইমেই অহরহ বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি”। সবচেয়ে ভদ্র সভ্য ক্যাডেটদের মনেও গড়ে ওঠে ডিসিপ্লিন ভঙ্গের নানারকম নীলনকশা।

আমার কলেজ FGCC’র কথায় আসি।

বিস্তারিত»

প্রত্যয়ঃ একটি পত্রিকার জন্ম মৃত্যুর গল্প

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য বেকারের খাতায় নাম লিখিয়েছি। স্বগোত্রিয় আরও কয়েকজনের সমবায় সমিতিতে শুরু হল পন্ডিতি। বিকাল বেলা লোকমানপুর স্কুল মাঠে  কখনও ক্রিকেট আবার কখনও বাদাম টুয়েন্টি নাইনে বুদ্ধিজীবির ভূমিকা। মাস্টারী করি তাই ছা পোষাদের সাথেও মেলা মেশা শুরু।এমন একজন ছিলেন দলিল চাচা।পেশায় হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার। মাদার টিংচার থেকে বিভিন্ন মাত্রার ওষুধ তৈরী বেশ ভাল একটা বিনোদন। শিশিটাকে উঁচু করে দ্রুত হাত নামিয়ে আস্তে করে অন্য হাতে ঠেকান।

বিস্তারিত»

আমার বড়চাচার চোখে ১৯৭১

ক’দিন আগেই বিজয় দিবস চলে গেল। দেশের এই পরিস্হিতিতে ঠিকভাবে বিজয় দিবসটা পালনও করতে পারলাম না। হরতাল-অবরোধের মাঝের এই ছুটির দিনটায় প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত কাজগুলোই প্রাধান্য পেল। যাইহোক এবার মূল বিষয়ে আসি। এর আগে আমি একটা লেখা দিয়েছিলাম আমার বাবার চোখে ১৯৭১। যারা লেখাটা পড়েছেন তারা সবাই এই লেখাটা আসা করেছিলেন। কিন্তু বরাবরের মতোই মকরা খ্যাতি পাওয়া আমি সময়ের অভাবে ও পেটের তাড়নায় নিজের সুনাম রাখতে সফল হয়েছি।

বিস্তারিত»

স্বপ্নের মাঝে খুঁজে ফিরি

স্বপ্নের মাঝে খুঁজে ফিরি

এক সাদা শ্মশ্রুমণ্ডিত ব্যক্তি আমার স্বপ্নের মাঝে কদাচিৎ আসত আবার কখনও আসত না। ইদানীং আমার স্বপ্নের মাঝে শুভ্র দাড়িওয়ালা মানুষটি প্রায় আশা যাওয়া করে। যখনি তিনি আসেন আমি বই,খাতা, কাগজ, কলম নিয়ে ভদ্রলোকের সামনে নতজানু হয়ে অত্যন্ত মনোযোগের সাথে জ্ঞান অর্জন করতে থাকি। হটাত স্বপ্ন ভেঙ্গে যাই। তখন আমি পার্থিব আর অপার্থিব জগতের তুলনা করতে পারি না।

বিস্তারিত»

রাজহাঁসের চিঠি

প্রিয় পানকৌড়ি,
বেসামরিক ভালোবাসা নিও। কথা ছিল আর কয়েকটা দিন পরেই পুরো ঝকঝকে তকতকে ইউনিফর্মের সামরিক পোশাক পরার। কাঁধের ওপর তারা চকচক করবে। সূর্যের প্রতিফলিত রশ্নি সে তারার ওপর অপূর্ব কারুকার্য এঁকে দেবে। অথচ আমি দেখবো না। কথা ছিল আর কিছুদিন পরেই পাসিং আউট প্যারেড হয়ে গেলে তোমাকে সশস্ত্র স্যালুট দিয়ে ব্যস্ত জনস্রোতে বলবো,ভালোবাসি। হয় নি। এক জীবনে মানুষ যা চায় তা হয় না।

বিস্তারিত»