বন্ধু দিবসের ফেসবুক স্ট্যাটাস

[এটি আমার ফেসবুক স্ট্যাটাস। শ্রদ্ধেয় বড়ভাই রাজীব আহমেদ (‘৯০-‘৯৬, বিসিসি) ভাইয়ের অনুরোধক্রমে লেখাটি সিসিবিতে পোস্ট করা হল…]

বন্ধু দিবস 🙁  WTF! মনে হচ্ছে বন্ধু একটি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি। বিশ্বব্যাপী বন্ধুত্বের মাহাত্ব্য ছড়িয়ে দেবার উদ্দেশ্যে বন্ধু দিবসের উৎপত্তি। বন্ধু দিবস পালনের মাধ্যমে আমরা বন্ধুত্বের মর্যাদা অনুধাবন করতে পারি। সে যাই হোক, বন্ধু দিবসে বন্ধুত্বের কথা বলি। এই ছোট্ট জীবনে আমি অনেক বন্ধুর সাহচর্য পেয়েছি।

বিস্তারিত»

কন্যা-জায়া-জননীঃ আই অ্যাম সরি টু ইউ অল – এ প্রাইভেট কনফেশন

কন্যা-জায়া-জননীঃ আই অ্যাম সরি টু ইউ অল – এ প্রাইভেট কনফেশন

[আই অ্যাম নেভার সরি ফর হোয়াট আই ডিড, বাট অফেন অ্যাশেইমড অফ দ্যা ওয়ে আই ডিড]

এটা কোন গল্প নয়। কোন অনুধাবনও নয়; আবার হতেও পারে। আসলে এই লেখাটাকে আমার সামান্য কিছু স্মৃতির দিনলিপি বলা যেতে পারে। লেখাটার টাইটেলের সাথে পুরো লেখাটার মিল নাও থাকতে পারে।

বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০১৪,

বিস্তারিত»

French Revolution এক ধরণের গ্যাস?!

তখন দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ি। প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষা চলছিল। পরদিন ছিল ইংরেজি পরীক্ষা। আর ইংরেজি পরীক্ষার ক্ষেত্রে যা হয়, আমরা ইংরেজি না পড়ে রসায়ন পড়ছিলাম। কারণ ইংরেজির পরদিন ছিল রসায়ন পরীক্ষা। এ কাজটা আমরা পুরো ক্যাডেট life ই করে গেছি। ইংরেজি পরীক্ষার আগের দিন তার পরের পড়া পড়তাম। এ নিয়ে লতিফা ম্যাডামের প্রচুর কথা শুনতে হয়েছে। যদিও তিনি ছিলেন বাংলার শিক্ষিকা।তো আমরা যারা বিজ্ঞান বিভাগে ছিলাম তারা রসায়ন আর মানবিক বিভাগে যারা ছিল তারা ইতিহাস পড়ছিল।

বিস্তারিত»

উৎসর্গঃপ্যালেস্টাইন বন্ধুদের

ছেলেগুলোর সাথে প্রথম দেখা একটা প্রাচীর ঘেড়া জায়গায়। ছয় ফিট উঁচু প্রাচীরের এক পাশে ট্রেন লাইন এগিয়ে গেছে বহু দূর।আরেক পাশে সবুজ রংগা পাহাড় আকাশের কোল ঘেঁষে দাড়িয়ে আছে। জায়গাটা বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমী। জানুয়ারী মাসের এক রাতে ওদের একজনের সাথে প্রথম পরিচয়।ওরা ফিলিস্তিনি। খবরের কাগজ বা টিভী পর্দার বাইরে এই প্রথম ওদের দেখলাম। দেশ ছেড়ে,পরিবার ছেড়ে আমাদের দেশে এসেছে সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে।। বয়স আঠার পেরোইনি কারো।তবে এ বয়সেই বেশ সুপুরুষ।

বিস্তারিত»

টিটোর গপ্পোঃ পিঠার গাছ

এক ছিল রাখাল। সে তার মামার গরু চরাত।একদিন মামী অনেক পিঠা তৈরী করল । রাখাল তো খুব খুশী। মজা করে পিঠা খাবে। কিন্তু মামী তাকে একটাও পিঠা দিল না। রাখালের খুব মন খারাপ হল। সে তখন একটা বুদ্ধি করল। মামার গরুটাকে মাঠে নিয়ে গেল। আচ্ছা রকম করে পাকা ধান খাওয়াল । এত্ত খাওয়ালো ,এত্ত খাওয়ালো যে গরুটা ধান লাদা শুরু করল। রাখাল তখন গরুর পাছায় পোয়ালের সিপি দিল।

বিস্তারিত»

ওরা আমাকে এত মারে কেন

আশি, নব্বই আর হালের দশকে এ দেশের কিশোর -তরুণ সমাজের কাছে কিছু ডায়ালগ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। জনমত জরিপ হয়েছে কিনা জানিনা, তবে তিনটা ডায়ালগ আমি বলব টপ চার্টে থাকবে। এক হচ্ছে, “তুই রাজাকার”, আরেকটা হচ্ছে, “ছিল্লা কাইটটা লবণ লাগাইয়া দিমু” আর “ওরা আমাকে এত মারে কেন”? হুমায়ূন আহমেদ এর জনপ্রিয় নাটক “বহুব্রীহি” তে প্রথম “তুই রাজাকার” ডায়ালগ টি ব্যবহার করা হয়। বিটিভি এর জনপ্রিয় অনুষ্ঠান “ইত্যাদি” এর কোন এক পর্বে “ছিল্লা কাইটটা লবণ লাগাইয়া দিমু” ডায়ালগটিকে,

বিস্তারিত»

বইপোকার আত্মকথা

মনিষী বলেছিলেন -‘জীবনে শুধু তিনটি জিনিষের প্রয়োজন। আর তা হল বই,বই এবং বই’।

কথাগুলার মর্মার্থ বুঝতে আমারও বেশী দিন লাগে নি ।আগে টুকটাক বই পড়লেও ,বইয়ের নেশা মূলত চেপে ধরে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হবার পর । কলেজ এর সুবিশাল পাঠাগার দেখে নিজেকেই হারিয়ে ফেলতাম । বই,বই আর বই । সব ধরনের বই সুন্দর করে সাজানো । সপ্তম শ্রেণীর এই পুচকে তখনি একটা নিয়ত করে ফেলে,

বিস্তারিত»

ইলিশ মাছের তিরিশ কাঁটা

সময়ের ব্যাপ্তি টা ১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ সাল। আমার ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণীর সময়ের কথা। ঢাকা শহরের এ.জি.বি. কলোনীতে তখন থাকি। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার কথা এই বিশ্বকাপের সময় মনে পড়ে যাচ্ছে। সময়টা তখন অনেক ধীর গতিতে যেত বলে মনে হত। ঠেলা দিয়েও মনে হয় সময়কে পার করা যেত না। একটা দিন কিভাবে শেষ হবে এই চিন্তা। বাবা সরকারী চাকরী করত। অবশ্য কলোনীতে আমরা যারা থাকতাম সবার বাবাই সরকারী চাকরী করত।

বিস্তারিত»

ব্রাজিল জিতলে আমার কী লাভ ?

প্রত্যেক সফল পুরুষের নেপথ্যে থাকে একজন নারী। এই যেমন আমি। সাধারণ দেখোয়াড় থেকে বিশ্বকাপ দেখোয়াড় হয়েছি। শ্রেষ্ঠতর অর্ধাংশের অনবদ্য অনুপ্রেরণায় পদোন্নতি ঘটতে চলেছে। এবার হব রাজ দেখোয়াড়। বিশ্বকাপ ফাইনাল ছাড়া ফুটবল খেলা দেখবনা।পদোন্নতি ঘটলেই যে পরমানন্দ লাভ করা যায় তা কিন্তু নয়। আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতি কিন্তু তাঁর আগের জীবনকে ঈর্ষা করেন।আমিও করছি। এলোমেলো অনেক কথাই মনে হচ্ছে তাই।

ব্রাজিলের সমর্থকরা নিজেদের ফুটবল বোদ্ধা মনে করে আর অন্যদের আঁতেল ।

বিস্তারিত»

১৭ই জুন ২০১৪তে অকৃতজ্ঞ আমি।

ভাল, আমরা(ইনক্লুডিং মি) এখন বড় হয়ে গেছি। আমরা এখন জীবনের অনেক বড় বড় বিষয় নিয়ে ব্যাস্ত। এসব ছোটবেলার ফালতু বিষয়ে নষ্ট করার মত সময় আমাদের হাতে নাই। আমরা এখন প্রাগমেটিক। আমরা এখন জীবনের বড় বড় কঠিন সব ভারী বোঝা টানার জন্য নিজেদের জীবনের ছোট ছোট ভাল লাগাগুলোকে ত্যাগ করতে শিখেছি।

১৬বছর আগে এই দিনের এমন সময় মন খারাপ করে বাপের চৌদ্দ গুষ্টী মনে মনে উদ্ধার করতে করতে পাবনা ক্যাডেট কলেজের দিকে যাচ্ছিলাম।

বিস্তারিত»

একটি ক্যাডেটিয় প্যাচালঃ ডেট লাইন ১৭ জুন

ক্যাডেট কলেজে পড়ার ইচ্ছার সূত্রপাত কি কারনে তার অনেক গবেষণা করি মাঝে মাঝে। আব্বু-আম্মু’র ইচ্ছা ছিল কোন সন্দেহ নেই।এর প্রথম কারন নিঃসন্দেহে ক্যাডেট কলেজে চান্স পেলে অন্তত ভাল রেজাল্ট করতে পারব এবং দ্বিতীয়ত তারা বেশ ভাল করেই বুঝতে পারছিল আমি যদি বাইরে থাকি তাহলে আমার নষ্ট হয়ে যাওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র।কাজেই যে কোন মূল্যে আমাকে যদি ক্যাডেট কলেজে ভর্তি করাতে পারে তাহলেই নিশ্চিন্ত। এ জন্য আব্বু অবশ্য আমার পিছনে কম লাঠি খরচ করে নি।

বিস্তারিত»

অপ্রকাশিত ভালবাসা

শৈশবে যে মানুষটাকে সবচেয়ে ভয় পেতাম, সাথে সাথে ঘৃণাও করতাম সে আর কেউ নয়, আমার পরম শত্ত্রু; আমার বাবা!!! এই লোকটার চোখ একবার ফাঁকি দিতে পারলে আমার সারা দেহ-মনে এক অনন্য তৃপ্তির ছোঁয়া লাগত। মনে মনে কতবার যে তার অকাল মৃত্যু কামনা করেছি সে কথা ভাবলে এখন সত্যিই খুব হাসি পায়; শিশুমনে কতনা ভাবের উদয় হয়!!!!

ছোটবেলায় সবসময় তোমাকে মূর্তিমান আতঙ্ক হিসেবে দেখেছি,যাকে দেখে আমাদের বাড়ির সব ছেলে-মেয়ে সবসময় ভয়ে কাঁপে।পড়ার সময় তোমার ছায়া টের পেলে তাদের মুখদিয়ে ফেনা উঠে যায়,

বিস্তারিত»

ধুলোজমা সেই জীর্ণ ডায়েরী : ৬ জুন, ২০১৩ এর প্রহরান্তে

কঠোর ‘শৃঙ্খলা’ আর ‘নিয়মানুবর্তিতায়’ পরিচালিত ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে সেদিন স্বাভাবিক আর সাতটা দিনের মতই সকালটা শুরু হল ক্যাডেটদের পিটি, স্টাফদের চিৎকার আর বাঁশির কর্কশ ধ্বনিতে। সবই স্বাভাবিক। শুধু ৪৭টা প্রাণ সেদিন সুদীর্ঘ নিঃশ্বাস বুকে এই নিত্য নৈমিত্তিক আনুষ্ঠানিকতার দর্শক মাত্র। ৪৪ তম ইনটেকের ৪৭ জোড়া ভেজা চোখ সেদিন শুধু সময়চোরা সূর্যের দিকে তাকিয়ে ব্যর্থ হাহাকাররত।

তারপর থেকেই দিনটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। সেদিন ব্রেকফাস্টের জন্য কোন তাড়া ছিল না।

বিস্তারিত»

ক্যাডেটীয় বিশ্বকাপ: বিশ্বকাপ সময়ের কিছু মজার ঘটনা

এক
আমাদের একজন জনৈক সিনিয়র ভাই ছিলেন যিনি পৃথিবীর কোন কিছু সম্পর্কেই খোঁজ খবর রাখতেন না। আমরা তাকে বলতাম, সংযোগ বিছিন্ন মানুষ। যেমন ডাইনিং হলে খাবার খাওয়ার সময় প্রায়ই তার পোষাকে তরকারির ঝোল লেগে থাকতো। তার সহপাঠীরা অনেকেই মজা করে বলতো, কি রে তুই খেয়েছিস না তোর শার্ট খেয়েছে?
বেচারা অসহায় ভঙ্গিতে উত্তর দিত, দুটোই। হাতে ঘড়ি পড়লেও তিনি অন্যদের কাছে সময় জিজ্ঞেস করতেন।

বিস্তারিত»

সেই সময়

তখন প্রেমগুলো ডিজিটাল হয়ে উঠেনি। ক্লাশ সিক্সের ঐ এনালগ সময়ে বন্ধুর সাইকেলের পিছে চড়ে তার সাথে তার প্রেয়সীকে উপহার বা কার্ড দিতে ছুটে গিয়েছিলাম। “পাড়ায় ঢুকলে ঠ্যাং গুঁড়ো করে দেব” গানের মতো এলাকার বড় ভাই এর হাতে ঝাড়ি খেয়ে আমাদের ফিরে আসা। 

এক বান্ধবীকেই ভালোবেসে ফেলেছিলো দুই কাছের ক্যাডেট বন্ধু। দুইজন এসে দুঃখের কথা বলেছিলো আমাকেই। ক্যাডেট কলেজ এর ছুটিতে গিয়ে এক বন্ধুর হয়ে ওকালতি করলাম,

বিস্তারিত»