ডন আলীমের ১৪ টি কবিতা

(১)

তুমিও হেরে যাবে-
আমাকে হারিয়ে দিলে,

(২)

জানি,
একদিন ফিরে আসতে চাইবে

কিন্তু-
সে সুযোগ তোমাকে দেয়া হবে না

(৩)

প্রেম মানে স্নায়ুযুদ্ধ শেষে
একটি জয় অথবা দুটি পরাজয়

(৪)

স্বপ্নে এসে ডেকেছিল লায়লা ,
চোখ খুলে পেয়েছি
বিষাদের দমকা হাওয়া,
বাকিটা রাত
কেটেছে আমার অনিদ্রা।

(৫)

ভালই যদি বাসতে,
তবে-ফিরিয়ে দিলে কেন?

(৬)

আজ
ভালোবেসে কাছে টেনে না নিলে
কাল
যদি ফিরে আসো,
দুর দুর করে তাড়িয়ে দেব।।

(৭)…………

(৮)

কি দিয়ে মুছবে? হৃদয়ের ক্ষত-
যখন আর পারবে না-
বাইতে, মিথ্যার ভারী চাদর

সেদিন
আমি  দূর থেকে দেখব,
তোমার করুণ পরাজয়
নিজেকে বিজয়ী মনে হবে হয়ত।

(৯)…..

….
(১০)

সামনের দরজা থেকে,
কৌশলে বের করে দিয়েছ অধ্যাপক-
মেধা তো উল্টো পথে হাঁটবেই..

তোমাদের পতন দরজার ওপারেই
বেল বেজে উঠবে ক্ষণিক বাদেই..

(11)
সড়ক দুর্ঘটনা-
প্রাত্যহিক ঘটনা,

নিত্য কিছু জীবন গেলে
গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে

কারোই কিছু আসে যায় না,

ভাইরাসের নতুন নাম
সড়ক দূর্ঘটনা ;

(12)
এখন আর আমি পত্রিকা খুলি না

পত্রিকা খুলো না
লাশের গন্ধ পাবে

প্রতিদিন কতগুলো মৃত্যুর খবর ছাড়া
ওটা আর কিছুই নিয়ে আসে না

(13)
লালনের সুর ধরে
চলে গেল ধ্রুবদা
লায়লার চোখে ছিল
জ্বলন্ত বাসনা

(14)
যে, চোখে চোখ রেখে
ততক্ষণাত ফিরিয়ে নেয়

যে ঠোটের আড়ষ্ট স্বাদ
এখনো আমাকে ভাবায়

যার চঞ্চল চাহনি
আমাকে উদ্বেল করত

আজ শুধুই পুড়িয়ে যায়
-পুড়িয়ে যায় ;

২,৬১৭ বার দেখা হয়েছে

২৭ টি মন্তব্য : “ডন আলীমের ১৪ টি কবিতা”

  1. রকিব (০১-০৭)

    শিরোনামটা বোধহয় পদ্য-কবিতার বদলে অণুকাব্য দিলে ভালো হতো। ২ আর ৬ টা কেন জানি বেশি ভালো লাগছে।

    অফটপিকঃ পাগলা, ডন নামের মাহাত্ম্য কী?


    আমি তবু বলি:
    এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..

    জবাব দিন
  2. নূপুর কান্তি দাশ (৮৪-৯০)
    মাঝে মাঝে দেখা পাই
    তবে কেন
    চিরতরে পাই না!

    কেমন যেন পরিচিত পরিচিত লাগে লাইনগুলো!

    আমার সবথেকে ভালো লেগেছে শেষেরটা।১১ নম্বরটাও ভালো।
    বানান: আড়ষ্ট, 'ঠ' নয়।
    দূর্ঘটনা নয়, দুর্ঘটনা। একটা সূত্র: দ-দীর্ঘ উ-কার হবে শুধু 'দূরত্ব' অর্থে।আর
    নেতিবাচক অর্থে দ-হ্রস্ব উ-কার সবসময়। যেমন: দুর্গতি, দুর্গম, দুরভিসন্ধি।

    জবাব দিন
    • আলীম (২০০১-২০০৭)

      রিসেপশন ঠিক আছে... কোন না কোন কিছুর মতো তো হবেই.... সিনেমার মতো হোক না... হেলাল হাফিজের একটা বিখ্যাত কবিতা হলো-
      "নিউট্রন বোম চেন
      মানুষ চেন না"..
      হ্যা হ্যা ...কবিতা হলো কবির মনের ভনিতা...আজ যা লিখবে , কাল শত চেষ্টা করেও আর তা লিখতে পারবে না...


      -আলীম হায়দার.1312.

      জবাব দিন
    • আলীম (২০০১-২০০৭)

      সবগুলোই তো আলাদা আলাদা কবিতা... একটার সাথে আরেকটার কোন সম্পর্ক নাই.. সম্পর্ক বানাইতে গেলে তো অনুচ্ছেদ মনে হবেই... যারা গল্প পড়তে চায় তারা গল্প পড়ুক..যারা অনুচ্ছেদ চায় তারা তাই পড়ুক... পাঠক জিন্দাবাদ..


      -আলীম হায়দার.1312.

      জবাব দিন
  3. সাবিহা জিতু (১৯৯৩-১৯৯৯)

    কবিতা হচ্ছে ছবি আঁকার মতন। কবির মনের ভাব আর আঁকিয়ের ভাব বোঝা বড়ই মুস্কিল। আর তাই তৃতীয় পক্ষ হয়ে কবি আর কবিতার মাঝের ভাবের অমিল বের করার পক্ষপাতি আমিও না।
    কিন্তু,

    প্রেম মানে স্নায়ুযুদ্ধ শেষে
    একজনার জয়, আর একটি পরাজয়

    এটা কেন যেন মানতে পারছি না, অথবা বুঝতে পারছি না। হয় দুইজনেরই জয় অথবা দুইজনেরই পরাজয় হবার কথা নয় কি?
    ইদানীং মাথা টাথা বেশী কাজ করছে না। (বয়স বেড়ে যাচ্ছে মনে হয় 🙁 )


    You cannot hangout with negative people and expect a positive life.

    জবাব দিন
    • আলীম (২০০১-২০০৭)

      সবাই ফুল গ্লাসের পিছনে দৌড়াইলে..এমটি টা কে নেবে..?? আমি এমটি টা ফুল করে নেব...তাই গ্লাস হাফ ফুল থেইকা গ্লাস হাফ এমটি টাই আমার চাই... লোভনীয় ভাবে ভরা গ্লাসের দিকে ডাকার জন্য দণ্যবাদ..বাট আমি যাইতাম না ওই দাওয়াত এ... এই আছি এই বেশ..


      -আলীম হায়দার.1312.

      জবাব দিন
  4. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    পড়লাম। এমনিতেই কবিতা বুঝি না তার মাঝে অণু কবিতা আরো না। আমি বরং একটা ঘটনা শেয়ার করি। আমাদের এক বন্ধু আছে বুয়েটের "স্বপ্নপোকা" তার কাব্যিক নাম। স্বপ্ন পোকার রোজনামচা নামে একটা বই সে বইমেলায় বের করলো। ৪০ পৃষ্ঠার বইয়ে সবমিলিয়ে ১৫০ টার চেয়ে কম লাইন ছিলো।
    তার একটা কবিতা ছিলো ...
    "হৃদয়পুরে
    হৃদয় পোড়ে "
    এতটুকুর ভাবোদ্ধার আমরা করতে পারি নি। আমাদের এক বন্ধু নোবেল তাই দেখে কবিতা লিখলো
    "গাজীপুরে
    গাজী পোড়ে"
    নোবেল অবশ্য পরের লাইনের গাজী বলতে গাজী প্লাস্টিক ট্যাংক বুঝাইছে। নোবেলের এই কবিতায় আমাদের মত অকবিরাও কিছু কবিতা লিখেছিলাম,
    " ফরিদপুরে
    ফরিদ পোড়ে" ( ফরিদ আমাদের এক বন্ধুর নাম)
    "সৈয়দপুরে
    সৈয়দ পোড়ে" ( সৈয়দ বংশের কোন ছেলে ছ্যাকা খাইয়া প্রেমের আগুনে পুরে)
    "জামালপুরে
    জামাল পোড়ে " ( এখানে আরবী জামাল শব্দের বাংলা অর্থ উট।জামালপুরে উটের মাংস বার্বি কিউ করা হয়)
    "পাহাড়পুরে
    পাহাড় পোড়ে" ( শাব্দিক অর্থে কেউ কনফিউস হয়ে যেতে পারেন।পরের পাহাড় বলতে আসলে কষ্টের পাহাড় বুঝানো হয়েছে)
    "মিরপুরে
    মীর পোড়ে " (ব্যাখ্যা সৈয়দপুর দ্রষ্টব্য)
    "শেরপুরে
    শের পোড়ে " ( এই কবিতা শুনতে জামাল পুরের অনুরূপ মনে হলেও গুণ গত পার্থক্য আছে । শের বা বাঘ পোড়ানোর সাথে সম্মান জড়িত আর জামাল বা উট পোড়ানোর সাথে জড়িত উদরপূর্তি।)

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।