চড়ুই আমার
নিলয় অলিন্দ নিলয় করো
ঘুলঘুলিতে কুটো,
সারিয়ে দেবে
কিসে বলো
হৃৎপিন্ডের ফুটো…
স্বপ্নপাঠ
শিয়রে এসে
সবুজ প্রহর
দাঁড়ালে
মধ্যযামে,
স্বপ্নেরা
ঝরে যায়
পাপড়ির
ছদ্মনামে
ছোঁবার
আকুলতায়
পাখিটি
ঘুমকাতুরে
ঠোঁটে
জোটাতে
পেরেছে
কিছু
একপেয়ে
অবকাশ
মোটে….
______________________________________________________________________
রুম্মানের এই ছবি নিয়ে লিখতে গেলে টের পেলাম, কি অসীম রোমান্টিকতাই না ওকে ভর করেছিলো আঁকার সময়।
বিস্তারিত»ভালবাসার আহবান
শেষ বিকেলের আলোয় রাঙা, মধ্য গগন জুড়ে,
সূর্য ডোবে সূর্য ওঠে, আকাশখানি ফুঁড়ে ।
সেই বিকেলের আবছা আলোয় ,আঁধারখানাই বাড়ে,
সূর্য-দেবু! হাসোনা ভাই! একটু দেখি তারে?
তারে দেখে দিন কাটে মোর, তার চোখেতেই রাত,
তারে বিনে হয় নাকো ভোর, হয় নাকো প্রভাত।
আমি জানি । আমি বাসি! সেও কি তা জানে?
বিস্তারিত»জন্মদিনের লেখা
তোমরা চাও আমার হাত বন্ধ হোক?
আমার লেখার খাতা কাগজ জব্দ হোক?
আমার মুখ বন্ধ হোক,চুপ থাকুক নীল ফড়িং
রূপকথার মৃত্যু হোক-এই তো চাও
মেঘলা দিন ভোর না হোক-এই তো চাও?
ঠিক আছে ,আমিও তবে বিষ নিলাম নীল শিরায়
হাত পোড়াই,মুখ পোড়াই-শান্তি পাও তোমরা সব?
নইলে কি আর তিন জুলাই,ঠোঁট পোড়াই,ঠোঁট পোড়াই
ভুল করি,রাত জেগে ভুল করি
ভুল বুকে প্রেম রেখে ভুল করি,ভুল ঘড়ি
ভুল সময় নষ্ট হয়,প্রেমবিহীন প্রেমবিহীন
অঘ্রাণের শেষ বেলায় আজ হোক আমার মৃত্যুদিন!
আমাদের কাব্য
ব্যস্ত সকলি, বাঁচিবে যেন,যদি দিতে পারে ছাড়ি,
নাড়ীর বাঁধন কাটিব কে্মনে বুঝিবার নাহি পারি।
সকলেই বলে যাও,যাও,যাও,এই তল্লাট ছাড়ো,
খুঁটিটা তুলে এ আঙ্গিনা থেকে অন্য কথাও গাড়ো।
ছয়টি বছর! কেমন করিয়া নিঃশেষ হল প্রায়,
সায়াহ্নে এই জীবনবেলার,কতো কথা ছিলো হায়!
সপ্তমে সেই ভীরু ভীরু পায়ে এই আঙ্গিনায় আসা,
তখন কি হায় বুঝেছিনু হায়!
বিস্তারিত»কথা ছিলো
কথা ছিল তোমায় নিয়ে আকাশ দেখবো,
তোমার হৃদয়ের মতো সুবিশাল,
আকাশ; শরতের আকাশ।
পেজা তুলোর মতো সাদা মেঘগুলো দেখে,
তোমারও উড়তে ইচ্ছে হবে,
আমার হাত ধরে বলবে-চলোনা উড়ে যাই ওই দূর দিগন্তে;
কথা ছিল তোমায় নিয়ে উঠবো ওই পর্বতের চূড়ায়,
যেখানে শব্দহীন-কোলাহল আন্দোলিত করবে মন-প্রান!
ঠিক আকাশের কাছাকাছি-
সেখানকার নিষ্ঠুর নিস্তব্ধতা তোমার ভাঙতে ইচ্ছে হবে,
বিস্তারিত»শুধু ভালবাসি বলেই
দুঃখ পেয়ে তোমার দুচোখ অস্রুসিক্ত হলে,
পাশে গিয়ে আমি দাঁড়াতে পারিনা শুধু ভালবাসি বলে।
তোমার চোখে রাখতে পারিনা আমারও সজল চোখ
বলতে পারিনা কেঁদোনা বন্ধু যতই কষ্ট হোক
বিস্তারিত»মামা সমাচার
ছোট্ট বেলার কাব্য গাঁথা মামার বাড়ি যাই,
এত সাধের আম কুড়ানো মামাটি আজ নাই;
ক’জন চেনে মামা কে আজ,ক’জনই তার ঘর,
স্বার্থ যখন, মামা তখন, নেই ত কেটে পর।
নতুন করে দেশে এল নতুন সে হাঙ্গামা,
বিস্তারিত»ফড়িঙের ডানা এবং দুই মিনিটের কবিতা
দরোজা ধরে দাঁড়ায় বিষাদ
তুমি ও নিষাদ,তুমি ও নিষাদ
কূপের থেকে কে জানতে চায়
একটি খুনের দৈব উপায়
রাত বিরহে নেই কোন পাপ
এই বালকের গোপন স্বভাব
সন্ধ্যা হতেই চন্দন কাঠ
আগুন পোড়ায় শবের পাঠ
মানুষ পোড়া ধূসর ছাই
লোকটা যে তালপাতার সেপাই
মরার পরে তার বিধবা স্ত্রী
প্রেমিক পেল এক মিস্তিরি
রাত বাড়তেই অন্ধকারে
দরজা টোকার অভিসারে
দরোজা ধরে দাঁড়ায় বিষাদ
তুমি ও নিষাদ,তুমি ও নিষাদ
সে ভিখু আর সেই পাঁচী
বললো থুথু-বিচ্ছিরি ছি
[মূল লেখাটার ছায়া]
বিস্তারিত»প্রলাপঃ১১ শূন্যতা ও নির্ভার
তুমি নেই তাই আমি ভালো আছি
আরো কাছাকাছি তুলো মেঘেদের ঘেষাঘেষি গা
ঘাম মেখে নেওয়া ফিরিয়ে দিতে কেউ নেই আর
তুমি নেই তাই করি চিৎকার
ভীষণ খুশিতে তিনফুট লাফ,বৃষ্টির দলে এলোমেলো নাচ
শহরের সব সাদা মেয়েদের চেয়ে চেয়ে দেখি ইচ্ছেমতন
সুযোগ পেলেই রিক্সা আরোহী বড় আপুদের চোখ টিপে দেই
বুক টিপে দেই লোকাল বাসের ব্যস্ত সুযোগে
যা ইচ্ছে তাই লিখতে পারি-বিবেচনাহীন অর্থছাড়া
শ্রাবণের শেষ বাদল ধারায়
ভিজি না এখন;ঘরের ভেতরে কাঁথামুড়ি দিয়ে
প্রবল অলস,ল্যাপটপ খুলে সাদা রমণীর অঙ্ক দেখি
শিল্পের কলঙ্ক দেখি
তুমি নেই তাই রাত হলে কোন ব্যস্ততা নেই
সুযোগ পেলেই
নেটে চ্যাটে বসি খুব সুইট সুইট ছোট আপিদের
সুযোগ পেলেই
খাতা খুলে গুনি দুই তিন তিন-চার দুই এক
তুমি নেই তাই জুতোর ভেতরে জেগেছে পেরেক
দুপুর রোদের এলোমেলো হেটে,কাগজ অফিস
প্রেসের দোকান,সম্পাদকের রাগী ফ্যন্টাসি-মরে গেছে সব।
গ্লোবালাইজড গোলামী
বিবেকঃ
স্বাগতম হে বন্ধু তোমায়,
গোলামীর এই ধরায়,
গোলাম তোমায় হতেই হবে,
নো ওয়ে,
টু এভয়েড। নো ওয়ে।
ভাবছো বকছি প্রলাপ,
কিংবা কাব্যচ্ছলে দাওয়াত।
ভাবতে পারো যা ইচ্ছা হয়,
কেননা-
তোমার ভাবনার নিয়ন্ত্রন
একান্তই তোমার।
আমি এতটুকুই শুধু পারি,
জানাতে সত্য, তাও দাবী।
আমার কাছে যা সত্য,
তোমার বেলায় তা,
টস্ বৃত্তান্ত !!
হেডঃ
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে…
বটবৃক্ষের ছায়ায় পা ছড়িয়ে বসে থাকি।
নিজের মনন কে ছুটি দিয়ে
একেবারে নির্বিকার অপেক্ষমান আমি।
তারপর চলে সময়ের সাথে
ক্লান্ত সাপ লুডু খেলা।
থেকে থেকে মান অভিমানে
আকাশ পানে চেয়ে থাকা; আর
কেবল অদৃষ্টকে দোষারোপ !!
:thumbdown:
টেইলঃ
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে…
মুঠো ফোনে যোগাযোগ করেছি চকিতে
পোড়া হৃদয়ের ব্যস্ত সাঁজোয়া ব্রিগেডে।
প্রথম ডেটের গল্পটা,সিঁড়িঘরে চুমু অথবা এ জার্নি বাই লোকাল বাস!
আচ্ছা,কাল কী হয়েছিল বজ্জাত ঘড়িটার?কাল দুপুরে
অমন ছুটছিল,যেন রেসের ঘোড়া,আমার সাথে শত্রুতা
ফাঁস পরাবোই,কিন্তু এখানে অনেক রোদ ভেঙে আসি
জানালার কাঁচে ধূলোতে তর্জনী ছুঁইয়ে নাম লিখি
একবারও ভাবে নি,মুখ তুলে চায় নি আমাদের দিকে!
ওভারব্রীজটা পার হতে যেন উড়ে যাই,ধীর সয় না
তিনতলাতে ছয়তলাতে লিফটটা থামে,অলস একটা
বিশ্রী গরম-এই শেষ শ্রাবনে-এত ঘামি,রেণু নাকে মুখে
তাসমিয়া-রাকিব ওরা নেমে গেল কেন?
অসমাপ্ত আর্তনাদ
অদ্ভুত নিস্তব্ধতা
কিছুই যেন বলার নেই কারো
নিরবাক তাকিয়ে থাকা কিছুক্ষণ
কিসের যেন ব্যাকুলতা
যা বাড়তে থাকে আরও
কারো নিষ্প্রাণ দীর্ঘশ্বাস
বিস্তারিত»দ্বিতীয় পর্ব
তুমি আমার বুকের কাছে
দুখের কাছে
ওম রেখেছো
ক্লান্তি পেতেই ঘুম রেখেছো
মেঘলা দিনে হাত বাড়াতেই বৃষ্টি দিলে
চৈত্র দিনে ফুল দিয়েছো দু’হাত ভরে
শেষ বিকেলে গান শোনালো বুলবুলিতে
স্বপ্নে বিভোর দিনগুলিতে
আকাশ এসে রঙ ঢেলেছে সারাবেলা
বারান্দাতে এক চিলতে রোদের খেলা
তুমি আমার দুঃসময়ে সঙ্গী ছিলে
আমায় তুমি নিয়ে যেতে কাজলবিলে
সারা আকাশ উপুর হয়ে দেখতো মোদের পদ্মচুরি
মেঘের ঘুড়ি
ঘুরে ঘুরে ছায়া দিতো চিলের সাথে
জোৎস্না রাতে
চুপটি পায়ে আসতে তুমি আমার চোখে স্বপ্ন নিয়ে
স্বপ্নে মোরা দেখতে পেলাম বিজন বনের সবুজ টিয়ে
চিত্রা হরিন,রঙিন চিতা
ভালোবাসার লাল কবিতা
তাদের সাথে রঙধনুরা ঘুরতে এলো এই পাড়াতে
এসব কিছু ঘটলো কেবল তোমার হাতের ইশারাতে।
