আমাদের কাব্য

ব্যস্ত সকলি, বাঁচিবে যেন,যদি দিতে পারে ছাড়ি,

নাড়ীর বাঁধন কাটিব কে্মনে বুঝিবার নাহি পারি।

সকলেই বলে যাও,যাও,যাও,এই তল্লাট ছাড়ো,

খুঁটিটা তুলে এ আঙ্গিনা থেকে অন্য কথাও গাড়ো।

ছয়টি বছর! কেমন করিয়া নিঃশেষ হল প্রায়,

সায়াহ্নে এই জীবনবেলার,কতো কথা ছিলো হায়!

 

সপ্তমে সেই ভীরু ভীরু পায়ে এই আঙ্গিনায় আসা,

তখন কি হায় বুঝেছিনু হায়!

বিস্তারিত»

কথা ছিলো

কথা ছিল তোমায় নিয়ে আকাশ দেখবো,

তোমার হৃদয়ের মতো সুবিশাল,

আকাশ; শরতের আকাশ।

পেজা তুলোর মতো সাদা মেঘগুলো দেখে,

তোমারও উড়তে ইচ্ছে হবে,

আমার হাত ধরে বলবে-চলোনা উড়ে যাই ওই দূর দিগন্তে;

 

কথা ছিল তোমায় নিয়ে উঠবো ওই পর্বতের চূড়ায়,

যেখানে শব্দহীন-কোলাহল আন্দোলিত করবে মন-প্রান!

ঠিক আকাশের কাছাকাছি-

সেখানকার নিষ্ঠুর নিস্তব্ধতা তোমার ভাঙতে ইচ্ছে হবে,

বিস্তারিত»

শুধু ভালবাসি বলেই

দুঃখ পেয়ে তোমার দুচোখ অস্রুসিক্ত হলে,

পাশে গিয়ে আমি দাঁড়াতে পারিনা শুধু ভালবাসি বলে।

তোমার চোখে রাখতে পারিনা আমারও সজল চোখ

বলতে পারিনা কেঁদোনা বন্ধু যতই কষ্ট হোক

বিস্তারিত»

মামা সমাচার

ছোট্ট বেলার কাব্য গাঁথা মামার বাড়ি যাই,

এত সাধের আম কুড়ানো মামাটি আজ নাই;

ক’জন চেনে মামা কে আজ,ক’জনই তার ঘর,

স্বার্থ যখন, মামা তখন, নেই ত কেটে পর।

নতুন করে দেশে এল নতুন সে হাঙ্গামা,

বিস্তারিত»

ফড়িঙের ডানা এবং দুই মিনিটের কবিতা

দরোজা ধরে দাঁড়ায় বিষাদ
তুমি ও নিষাদ,তুমি ও নিষাদ
কূপের থেকে কে জানতে চায়
একটি খুনের দৈব উপায়
রাত বিরহে নেই কোন পাপ
এই বালকের গোপন স্বভাব
সন্ধ্যা হতেই চন্দন কাঠ
আগুন পোড়ায় শবের পাঠ
মানুষ পোড়া ধূসর ছাই
লোকটা যে তালপাতার সেপাই
মরার পরে তার বিধবা স্ত্রী
প্রেমিক পেল এক মিস্তিরি
রাত বাড়তেই অন্ধকারে
দরজা টোকার অভিসারে

দরোজা ধরে দাঁড়ায় বিষাদ
তুমি ও নিষাদ,তুমি ও নিষাদ

সে ভিখু আর সেই পাঁচী
বললো থুথু-বিচ্ছিরি ছি

[মূল লেখাটার ছায়া]

বিস্তারিত»

প্রলাপঃ১১ শূন্যতা ও নির্ভার

তুমি নেই তাই আমি ভালো আছি
আরো কাছাকাছি তুলো মেঘেদের ঘেষাঘেষি গা
ঘাম মেখে নেওয়া ফিরিয়ে দিতে কেউ নেই আর
তুমি নেই তাই করি চিৎকার
ভীষণ খুশিতে তিনফুট লাফ,বৃষ্টির দলে এলোমেলো নাচ
শহরের সব সাদা মেয়েদের চেয়ে চেয়ে দেখি ইচ্ছেমতন
সুযোগ পেলেই রিক্সা আরোহী বড় আপুদের চোখ টিপে দেই
বুক টিপে দেই লোকাল বাসের ব্যস্ত সুযোগে
যা ইচ্ছে তাই লিখতে পারি-বিবেচনাহীন অর্থছাড়া
শ্রাবণের শেষ বাদল ধারায়
ভিজি না এখন;ঘরের ভেতরে কাঁথামুড়ি দিয়ে
প্রবল অলস,ল্যাপটপ খুলে সাদা রমণীর অঙ্ক দেখি
শিল্পের কলঙ্ক দেখি

তুমি নেই তাই রাত হলে কোন ব্যস্ততা নেই
সুযোগ পেলেই
নেটে চ্যাটে বসি খুব সুইট সুইট ছোট আপিদের
সুযোগ পেলেই
খাতা খুলে গুনি দুই তিন তিন-চার দুই এক
তুমি নেই তাই জুতোর ভেতরে জেগেছে পেরেক
দুপুর রোদের এলোমেলো হেটে,কাগজ অফিস
প্রেসের দোকান,সম্পাদকের রাগী ফ্যন্টাসি-মরে গেছে সব।

বিস্তারিত»

গ্লোবালাইজড গোলামী

বিবেকঃ

স্বাগতম হে বন্ধু তোমায়,
গোলামীর এই ধরায়,
গোলাম তোমায় হতেই হবে,
নো ওয়ে,
টু এভয়েড। নো ওয়ে।
ভাবছো বকছি প্রলাপ,
কিংবা কাব্যচ্ছলে দাওয়াত।
ভাবতে পারো যা ইচ্ছা হয়,
কেননা-
তোমার ভাবনার নিয়ন্ত্রন
একান্তই তোমার।
আমি এতটুকুই শুধু পারি,
জানাতে সত্য, তাও দাবী।
আমার কাছে যা সত্য,
তোমার বেলায় তা,

বিস্তারিত»

টস্‌ বৃত্তান্ত !!

হেডঃ

দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে…
বটবৃক্ষের ছায়ায় পা ছড়িয়ে বসে থাকি।
নিজের মনন কে ছুটি দিয়ে
একেবারে নির্বিকার অপেক্ষমান আমি।

তারপর চলে সময়ের সাথে
ক্লান্ত সাপ লুডু খেলা।
থেকে থেকে মান অভিমানে
আকাশ পানে চেয়ে থাকা; আর
কেবল অদৃষ্টকে দোষারোপ !!
:thumbdown:

টেইলঃ

দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে…
মুঠো ফোনে যোগাযোগ করেছি চকিতে
পোড়া হৃদয়ের ব্যস্ত সাঁজোয়া ব্রিগেডে।

বিস্তারিত»

প্রথম ডেটের গল্পটা,সিঁড়িঘরে চুমু অথবা এ জার্নি বাই লোকাল বাস!

আচ্ছা,কাল কী হয়েছিল বজ্জাত ঘড়িটার?কাল দুপুরে
অমন ছুটছিল,যেন রেসের ঘোড়া,আমার সাথে শত্রুতা
ফাঁস পরাবোই,কিন্তু এখানে অনেক রোদ ভেঙে আসি
জানালার কাঁচে ধূলোতে তর্জনী ছুঁইয়ে নাম লিখি
একবারও ভাবে নি,মুখ তুলে চায় নি আমাদের দিকে!
ওভারব্রীজটা পার হতে যেন উড়ে যাই,ধীর সয় না
তিনতলাতে ছয়তলাতে লিফটটা থামে,অলস একটা
বিশ্রী গরম-এই শেষ শ্রাবনে-এত ঘামি,রেণু নাকে মুখে
তাসমিয়া-রাকিব ওরা নেমে গেল কেন?

বিস্তারিত»

অসমাপ্ত আর্তনাদ

অদ্ভুত নিস্তব্ধতা

কিছুই যেন বলার নেই কারো

নিরবাক তাকিয়ে থাকা কিছুক্ষণ

কিসের যেন ব্যাকুলতা

যা বাড়তে থাকে আরও

কারো নিষ্প্রাণ দীর্ঘশ্বাস

বিস্তারিত»

দ্বিতীয় পর্ব

তুমি আমার বুকের কাছে
দুখের কাছে
ওম রেখেছো
ক্লান্তি পেতেই ঘুম রেখেছো
মেঘলা দিনে হাত বাড়াতেই বৃষ্টি দিলে
চৈত্র দিনে ফুল দিয়েছো দু’হাত ভরে
শেষ বিকেলে গান শোনালো বুলবুলিতে
স্বপ্নে বিভোর দিনগুলিতে
আকাশ এসে রঙ ঢেলেছে সারাবেলা
বারান্দাতে এক চিলতে রোদের খেলা

তুমি আমার দুঃসময়ে সঙ্গী ছিলে
আমায় তুমি নিয়ে যেতে কাজলবিলে
সারা আকাশ উপুর হয়ে দেখতো মোদের পদ্মচুরি
মেঘের ঘুড়ি
ঘুরে ঘুরে ছায়া দিতো চিলের সাথে
জোৎস্না রাতে
চুপটি পায়ে আসতে তুমি আমার চোখে স্বপ্ন নিয়ে
স্বপ্নে মোরা দেখতে পেলাম বিজন বনের সবুজ টিয়ে
চিত্রা হরিন,রঙিন চিতা
ভালোবাসার লাল কবিতা
তাদের সাথে রঙধনুরা ঘুরতে এলো এই পাড়াতে
এসব কিছু ঘটলো কেবল তোমার হাতের ইশারাতে।

বিস্তারিত»

প্রেম : ৬ দশক পর

প্রেম : ৬ দশক পর

ভেবে নাও ।
আজ থেকে প্রায় ৬ দশক পর – আয়নায় তুমি ।
সাদা শাড়ি , সাদা চুল , চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা ,
কুঁচকানো চামড়া , ঘোলাটে দৃষ্টি –

আজ থেকে প্রায় ৬ দশক পরে , কোন এক বিকেলে –
দাঁড়িয়ে আছো তুমি ব্যালকনির রেলিং ধরে ,
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে তখনও ।

বিস্তারিত»

মায়াবিনী সপ্তস্বরা

মাঝে মাঝে বড্ড একা মনে হয় নিজেকে
আর সেই সাথে অনুভূত হয় তোমার শুন্যতা
বুকটাকে ঘিরে এক অদৃশ্য তীব্র যন্ত্রণা
এ যন্ত্রণা বেদনার, পেয়ে হারানোর অব্যক্ত বেদনার
তোমার চোখে আমি এক অদ্ভুত জ্যোতি দেখতাম
তুমি ছিলে তারুণ্যের নদীতে পাল তোলা নৌকা
তোমাকে দেখলেই তাই আমার কবিতা লেখার ইচ্ছে হতো
সেগুলো কবিতা ছিল না , ক’টি এলোমেলো শব্দ
আর এলোমেলো দুঃখের খণ্ড খণ্ড কষ্ট
জীবন নামের এই স্বোতস্বিনীতে
বড্ড একা আমি,

বিস্তারিত»

বন্ধুকেঃ মনে রাখার কিছু

একদিন ঝরা পাতার মত নামহীন নিঃশব্দে
তোমাদের কাছ থেকে ঝরে যাব যখন
পিছনে ফেলে রেখে আমার নিদ্রাহীনতার কয়েকটি ফুল
নতজানু তাই আমি, তোমাদের সুখের অভিসারে।
হে আমার সম্ভাবনা, এক সুখ এর মুখোশে আমি
সে সুখ সংশয়হীন- একা একা!
তোমাদের ছেড়ে যাব…না না, তা কেন ?
আমি আবার আসবো, এই রঙ্গ মেলায়,
রঙের দ্বারা সাজাবো আমার সমস্ত দেহ,

বিস্তারিত»

আগন্তুক

যদি কখনো খুব ব্যস্ত তুমি
ধরা যাক-পড়ছো, একঘেয়ে সুরে
হাতের কাছে হঠাৎ কলমটা খুঁজে পাচ্ছো না-
দেখো, টেবিলের ওপাশটায় আমি
হাতে কি? আরে না না,তোমার কলম নয়, ওটা সিগারেট
ধোয়ায় তোমার ঘর ভাসিয়ে দিচ্ছি
তোমাকে আরো রাগাবার জন্যে
ঘর ফাটিয়ে হো হো করে হাসছি ।

যদি কখনো রাতদুপুরে বৃষ্টি একাকার-
ঘুম নেই চোখে,
এপাশ আর ওপাশ,

বিস্তারিত»