শ্রেষ্ঠ বীর

আমি শ্রেষ্ঠ বীর বলে মানি না একিলিসকে ,
যদিও কালজয়ী ইলিয়াডের অমর চরিত্র সে।
কিন্তু তার ছিল হেফাস্টাস নির্মিত বর্ম,
আর দেবী এথেনির সুতীব্র অনুগ্রহ।
শ্রেষ্ঠ
বীর মানব না হেকটরকেও,
সে ট্রয়ের শ্রেষ্ঠ বীর ঠিকই,
কিন্তু একিলিসের মুখোমুখি হওয়ার সাহস সে পায়নি।
কেন শ্রেষ্ঠ বীর বলব রামকে?
যার সঙ্গী ছিল বিশাল বানর বাহিনী,
কিংবা লক্ষণ,

বিস্তারিত»

একজন কবির মৃত্যু ও নীল বোতাম

একজন কবির মৃত্যু ও নীল বোতাম

পশ্চিমে তেমনি করে ধূসর মেঘ জমে
আগের মত সকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা আসে
ফাগুনের বাতাসে আমের বোলের মিষ্টি সুবাস,
সবই আছে পুরাতন আগের মত
শুধু নেই তুমি।

তুমি নেই বলে
রংধনুর রঙ আজ বিবর্ণ,
রঙচটা আমার বহু পুরনো জামার মত।

তুমি নেই বলে
আমার সারা দেহে হাসের মত পালক,

বিস্তারিত»

কল্পনা

ভালবাসা মানে আকাশ পানে তোমার ছবি আঁকা,

ভালবাসা মানে একাকি সময়ে তোমার পাশে থাকা।

ভালবাসা মানে উষ্ণ সকালে তোমার পদধ্বনি,

ভালবাসা মানে কাজের সময় তোমার হাতছানি।

ভালবাসা মানে ক্লান্ত দুপুরে তোমার পায়ের আওয়াজ,

ভালবাসা মানে তোমার সোনালি শাড়ীর কারুকাজ।

ভালবাসা মানে স্নিগ্ধ বিকালে তোমার হাজারো কথা,

ভালবাসা মানে গোধূলি বেলায় তোমার নীরবতা।

বিস্তারিত»

দুঃস্বপ্নের শ্লোগান

(৭১’এর পিশাচদের বিচারের দাবীতে)

এসলাম এজলাস করে করে দ্বীন গেল অজুহাতে
চলমান কালো তাবু বানাতে চাস রূপবতী বাঙালি নারীকে
পর্দার আবরণে ঢেকে দিতে চাইছিস বঙ্গকণ্যাকে মাথা থেকে পায়ে
তবে তোর মায়ের নেকাব খুলেছিলি কেন ৭১ এ !!

ভাবীর ব্লাউজ-শাড়ি, বোনের সালোয়ার-কামিজ
ছিড়েছিলি কেন ছিন্নভিন্ন করে ! একেই বুঝি দ্বীন রক্ষা বলে!
জলপাই রঙের গাড়িতে করে একদল পাক-জানোয়ার ডেকে
কেন লেলিয়ে দিয়েছিলি তোর গর্ভবতী মায়ের দিকে!

বিস্তারিত»

আমার আকাশ

হঠাৎ একদিন মনে হল
অনেকদিন আকাশ দেখি না;
দেখি না মেঘের লুকোচুরি খেলা।
মেঘহীন আকাশের হলদে সূর্যের দিকে চেয়ে
অনেকদিন চোখ রাঙানো হয় না।

আজ আকাশ দেখলাম,
আমার বহু পরিচিত বন্ধুর দিকে যেন চোখ ফেরানো হল।
আকাশটা কেমন যেন
গোমড়া মুখে চেয়ে রইল আমার দিকে।
যেন বলছে, “বহুদিন মনে করনি যে আমায়”।

চকিতে চোখ নামিয়ে নিলাম,

বিস্তারিত»

যাচ্ছেতাই

আজ আমার অনেক অবসর
দুরন্ত সকালটা থমকে গেছে আমার চিলেকোঠায়,
কার্ণিশে বসে থাকা চড়ুই দুটি
ব্যস্ত বুঝি রোদের সাথে সখ্যতায়।
বারবার যায় উড়ে
আকাশের ছায়ায় ঘুরেফিরে
আবার এসে বসে জানালার ধারে,
হঠাত্‍ আসে একটা ঘাসফড়িঙ
চড়ুই দুটিকে বখাটে ছেলের মত নাচিয়ে
কোথায় যেন ঘাপটি মারে।

সকালের এই স্নিগ্ধ ছবিটা ছিঁড়ে খুঁড়ে
হয়ে উঠতে ইচ্ছে করে বেপরোয়া
হাতড়ে বেড়াই নিয়ম ভাঙ্গার ছুতো
কাট্টি ওগো শাসন ঘুড়ি তোমার ওই সুতো,

বিস্তারিত»

আমি খুব সুষ্ঠুভাবে মরে যাবো

দেখিস আমি একদিন খুব সুষ্ঠুভাবে মরে যাবো।

গানশট কিংবা কাঁটাতারে ঝুলে নয়-
আমি মরে যাবো খুব শান্তভাবে, নরম বালিশে
লাল-হলুদ-সবুজ সব সিগন্যাল বাতি মেনে।

মৃত্যুর ঠিক তেত্রিশ সেকেন্ডের মাথায়
নারীকন্ঠের বিলাপ, যদিও কণ্ঠ শুনিনি আগে
দ্রুত হাতে চটপট মৃত্যু সনদ
বানান ভুল হবেনা একটাও, দেখিস, কাঁপবেনা একটুও হাত
কাঁধে কাঁধে ঘুরে,
সুবোধ শিশুর মত চারকোণা (গোলাকার নয় !)-
সেকেন্ডহ্যান্ড এক গর্তে নেমে যাবো ফিটফাট।

বিস্তারিত»

প্রলাপ-৭

দোয়াতের ভেতরেই হায়
নিরুপায়
ডুবে থাকে
না লেখা সমূহ চিঠি

উদগ্রীব নিবের মন
নিবে গেলে
যথেচ্ছ হাসে
কাগজ, মনোহর খাম

বেপরোয়া দোয়াত
শেষে
নিঃশেষে
কাত হলে
টেবিলে গড়ায়
প্রণয়ের পরিণাম..

বিস্তারিত»

প্রলাপ-৬

মৃত্যুগুলো দ্যাখো ফুটেছে কী শুভ্রতায়!

এপাশে
ট্রাফিকের দিনভর গোঙানি
লালবাতিতে লটকে থাকে জমাট খুন
আঙুলে গোলাপকাঁটা বিঁধে গেলে
ঠোঁটের সলতেয় আগুন
জুড়ে দিয়ে
প্রেমিকেরা শ্লাঘায়
ডুবে গেছে…

অতঃপর সবাই
ঘুরপথে সব অলিগলি শেষ করে
অইখানে
এপিটাফের
দুলাইনে এসে
পৌঁছুলে
মৃত্যুগুলো সাদা ফুল হয়ে ফোটে…

বিস্তারিত»

আসর ভাঙ্গার কলরব

(কলেজ থেকে চলে আসার কয়েকদিন আগে এই কবিতাটা লেখা। আমাদের ফেয়ারওয়েল উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের নামেই কবিতার নামটা দেয়া।)

উদাসী বাতাসে আসর ভাঙ্গার গুঞ্জন শুনি
আজকাল। স্মৃতির ডাকপিয়ন হঠাৎ হঠাৎ
কড়া নাড়ে। লুকোচুরি চলে তার সাথে।
গল্পচ্ছলে বলে কিনা-
আমার নাকি রাধাচূড়া-রক্তকায়ার স্তুপ মাড়িয়ে
আর কোনদিন হাঁটা হবে না-
ভোরবেলা কংক্রিটে চিৎ হয়ে শুয়ে জলরঙা সেই আকাশ,
ছুটির সন্ধ্যায় মাঝমাঠে বুক খোলা শার্ট গায়ে
তারা গোণা…………

বিস্তারিত»

কষ্ট ও নীরবতা…আমার চলা

সোডিয়াম লাইট এর মিটি মিটি আলোয়
পথ চলতে চলতে মাঝে মাঝে থেমে যাই,
চোখ ধাঁধানো কোন চলন্ত বাস কিংবা ট্রাকের
হেডলাইটের আলোয়,
মনের অজান্তে ক্ষীন সেই টিমটিমে
লন্ঠনের কাছে চলে যাই।

কেয়েকটা ঝিঁঝিঁপোকা
অথবা কয়েকটা জোঁনাকি।
আমার খড়কুটোর ঘরের
ছোট্ট জানালার ফাঁক দিয়ে
শেষ রাতের ঝুলেপড়া চাঁদটা
মাঝে মাঝে নীরবে কথা বলে,
যখন আমি আমার কাছে হেরে যাই।

বিস্তারিত»

একটা কবিতা……অতঃপর তুমি

মন্ত্রমুগ্ধের মতো আমার সাদা ক্যানভাস এ
তাকিয়ে আছি , সাদা ক্যানভাস
আর কিছু নেই।

আমার কিংবা আমার আকাশ
প্রতিচ্ছবি,ব্যস্ত স্বপ্ন কিংবা
আমার শহুরে নীরব প্রাণহীন
সকাল।

জানো একটুও ছাপ
পড়েনি তোমার।
আমার ক্যানভাস রংহীন
নাহ, অবশ্যই তোমার জন্য নয়।

একবারও কেন ভাবনি ?
আমি তোমায় ভালবাসিনি
করুণা করেছিলাম, আজ
তাই তোমাকে ভাবতে ঘৃণা হয়
ভাগ্যিস ভালবাসিনি।

বিস্তারিত»

দিবা সপ্ন

দোষ  কি  যদি  হই  ক্ষুদ্র  পাখির  মতো

ঠিকানাবিহীন  আকাশজুড়ে  ভবঘুরে

ক্লান্ত  পরিস্রান্ত  ঘরে  ফিরি , কে  বা

দেবে  এমন  ঘরের  খোঁজ

নাম  না  জানা  নানা   রঙের  দুঃখ

পেয়েও  ঘুম  আসে  না  , দুঃখের  সাথে  আড়ি

আমি  সারথপর,

একলা  ঘরে  নিজের  মুখোমুখি , অবসাদে   এলিয়ে

পড়েও  সুখের  পেছন  ছুটি ,

বিস্তারিত»

ব্রুটাসের অট্টহাসি

ব্রুটাস, তুমি এইখানে, এদিকটায় এসো

বঙ্গদেশে তোমাকে অভ্যর্থনা জানাতে

হাজারে হাজার সাঁজোয়া গাড়ির প্যারেড,

অশ্বারোহী কিংবা তরবারী স্যলুট

যেটাই তুমি চাও, প্রস্তুত।

চল্লিশ বছর আগের হাড়গোড়

-বেশি নয়, হাজার বিশেক খুব জোর

নিখোঁজ কিছু নিখোঁজ সংবাদ, দুটো চারটে ধর্ষণ

সব কিছু ভুলে গেছি, কসম!

চার চার করে কত বছরের মসনদ চাই,

বিস্তারিত»

পারফ্যুম

একান্তে নিয়ে
আলতো
ইশারায়
যেই আমাকে
মুক্ত করে দিলে
হাওয়ায়,
আঃ!
মুহুর্তের জন্যে
জগৎটা জমে গেছে

নিমীলিত চোখ,
মুগ্ধ ঘ্রাণের সুযোগে
জন্মান্তরের বন্দী
বুদ্বুদগুলো
ঝাঁকে ঝাঁকে
সহস্র প্যারাসুট মেলে
তোমার সারাগায়
নেমে এলে

দ্বিধায়
শতধা হয়ে
করেছি অনুনয়
সখী,
আজ বেড়াতে
না গেলেই কি নয়!

বিস্তারিত»