আচ্ছা,কাল কী হয়েছিল বজ্জাত ঘড়িটার?কাল দুপুরে
অমন ছুটছিল,যেন রেসের ঘোড়া,আমার সাথে শত্রুতা
ফাঁস পরাবোই,কিন্তু এখানে অনেক রোদ ভেঙে আসি
জানালার কাঁচে ধূলোতে তর্জনী ছুঁইয়ে নাম লিখি
একবারও ভাবে নি,মুখ তুলে চায় নি আমাদের দিকে!
ওভারব্রীজটা পার হতে যেন উড়ে যাই,ধীর সয় না
তিনতলাতে ছয়তলাতে লিফটটা থামে,অলস একটা
বিশ্রী গরম-এই শেষ শ্রাবনে-এত ঘামি,রেণু নাকে মুখে
তাসমিয়া-রাকিব ওরা নেমে গেল কেন?
আর তুমি এত চুপ-আমি কথা শুনতে চাচ্ছিলাম;চিৎকারঃ
“বাসটা একটু পরে আসলে পারতো না?”
তোমার খুব জ্বর ছিল,সোনা,আমার ঠোঁট পুড়ে যাচ্ছিল
প্রথম চুমু,সাহসী,খুব উত্তেজনা তাই না,ভয় একটু একটু!
আর বাসস্টপে,বিশ্বাস কর আমার লজ্জা লাগে
তোমার দিকে তাকাতে,তুমিও তাকাও-হেসো না!
ঘামছিলাম,তুমি তোমার ওড়না দিয়ে আমার ঘামটা মুছিয়ে দিলে!
বাসটা এত শব্দ করে,তোমার ফিসফিস-আমি শুনতে পাচ্ছি না
চলো বসি-আহ,লোকটা পা মাড়িয়ে গেলো।
গোঁফঅলা লোকটা এভাবে তাকায় কেন?
তোমার পাশে আমার প্রথম বসা না?
কী বলতে চাচ্ছিঃবলতে পারছি না।
“আমরা এসে পড়েছি”-রাস্তাটা এত ছোট কেন?
“নেমে যাবো”-নামতেই হবে?আমার সঙ্গে চলো
“চলে যাবে?”-আর কিছুক্ষণ থাকো না।
“আচ্ছা,যাও”-আমি যাচ্ছি,ওফ! বিদায় বলা হয় নি
একবার ফিরেও তাকালো না মেয়েটা!
আমি দাঁড়িয়েছিলাম যতক্ষণ না ঝাপসা হয়ে যায়,এরপর সে হারিয়ে গেলো।আমি উলটো পথে হাটতে লাগলাম।
:clap:
nice 1
এমন রুদ্ধসশ্বাস লেখা! ভীষণ তরতাজা।তোমার আগের স্টাইলের অর্গল ভেঙে বেরিয়ে আসা।সাধু সাধু!
অনেক সুন্দর হয়েছে এইবার । :thumbup:
ভালো এবং সতেজ লেগেছে পড়তে। চলুক। (সম্পাদিত)
আমার বন্ধুয়া বিহনে
অসাধারণ
অনেকেই ভাল লাগলো... ...
শিরোনামটা চোখ টানলো
এরপর চমৎকার জমাট একটা ছায়াছবি।
এর মাঝে কিছু লেখনী ঢুকে গেল মগজে...
যেমন : বজ্জাত ঘড়িটা ,অলস গরম, ছোট হয়ে যাওয়া রাস্তা।
তারপর - তাদের নেমে যাওয়া - চলে যাওয়া - উনার ফিরে না তাকানো
- এনার দাঁড়িয়ে থাকা - অবশেষে হারিয়ে যাওয়া।
সুন্দর।
:clap:
সাধুবাদ নাও হে কবি।
সৈয়দ সাফী
ভালো লাগলো..
:clap: :clap: :clap:
কবি ইদানিং নীরব কেন? :dreamy: