এখন এবার আমার পালা,এখন আমি বদলা নেবো
সত্যি আমি ঠিক করেছি এবার আমি বদলা নেবো
:আমার সাথে সকল প্রকার প্রতারণার
সকাল দুপুর হেলায় ফেলায় দিন কাটানো অবহেলার
আমার সাথে কুষ্ঠি-পাথর,জন্মরাশি ভুল বোঝানোর
আমার সাথে সকল প্রকার মিথ্যে এবং ছল চাতুরীর বদলা নেবো
বুকে আমার বাড়ন্ত ঘাস ক্রমশ কমে শ্যাওলা হলো
তোমার সকল মলিনতর স্মৃতিময় ক্রমশ জমছে ধুলো
আমি সেসব ফেলে রাখা ফ্রেমের ছবির হিসেব নেবো
তোমার কাছে-
আমার সকল ভালো মন্দ জানা ছিলো
কোথায় আমার দিক মেলেনা,কোথায় আমি ভীষণ অন্ধ
তোমায় এবার বলতে হবে কোথায় আমার রূপোর কৌটাও
আমার দেওয়া সোনার কাঠি লুকিয়ে তুমি কাকে দিলে
আমার কাছে তোমার সকল শপথ ভাঙার হিসেব নেবো
ভাবছো তুমি কোথায় পাবো তোমায় এখন এই আঁধারে
মনে রেখো পরজন্মেও দেখা হবে বলেছিলে নদীর ধারে!
তোল অবগুন্ঠন,কেটে দাও পলাতকা নাম
এই ভোরে আমিও জানলাম
গত পৌষের কুয়াশা ও প্রেম
বিকেল ও মফস্বল
লালন ও ইউটিউব
এবং কলম
আগুনে পুড়েছে,আগুনে পুড়ছে,আগুনে পুড়বে!
চোখে লেগে আছে তোমারই মুখ
তোমার তিল
তোমার বুক ও তাতে বরফ
তোমার যোনীচিহ্ন ও মঞ্চের কুশীলব
সেই একটা দুপুর আমাদের কাছে কেমন অন্যরকম হয়ে গে’ছিল না?
কতকালের স্মৃতি আজ ঝরে যাবে ফোঁটায় ফোঁটায়
অথচ এগুলো হবে মূল্যহীন বেদনা
মনের সকল মনি কোঠায় আজ রিক্ততার গাহন
অসহনীয় যন্ত্রণা তাকে করবে সত্যাশ্রয়ী
আজ কোনও গান বাজে না সূর হয়ে
লুকানো আঘাত ফিরে আসে সাগরের ঢেউয়ে।
চারপাশে শুধু অবিশ্বস্ত আলো
আবেগের কাছে তাই বিবেক পরাজিত।
সততা,বিশ্বাস,মেহনতি হাত নতজানু
আবেগ ভালবাসায় অর্জিত জীবন
থেমে যায় মাঝ পথে বারে বারে।
নানাবাড়িটি মেঘনার ঠিক পাড়েই। আশুগঞ্জ, বি-বাড়িয়া। ছোটখাট আবাসিক এলাকার মত এই নানাবাড়ির শেষ সীমানায় অবস্থিত আমার খালার ৫ তলা অট্রালিকার দো-তালায় আমার থাকা হয় পেশার সুবাদে। মেঘনা কিন্তু বয়ে চলেছে ৫০ গজ পিছন দিয়েই। নিজেকে সৌভাগ্যবান বলতে কার্পণ্য করি না কখনো। ছাদে উঠে প্রায়শই নদী ও তার আশেপাশে দেখার অভ্যাসটা বেশ ভালো ভাবেই গড়ে উঠেছে। এখন আবার শীতের আগমন। শুকিয়ে যাওয়া নদীর উপরে মাছের খোঁজে শ্যেন দৃষ্টিতে টহল দিচ্ছে শিকারী বাজ,