কারো কারো অভিমান
বর্ষার কালো মেঘ হয়ে শুধু বারি ঝরাতেই থাকে।
কারো কারো অভিমান
চাপাকান্নার আওয়াজ হয়ে শুধু ফিরে ফিরে আসে।
কারো কারো অভিমান
বুকের মাঝখানটাতে ঝনঝন করে বাজতেই থাকে,
কারো কারো অভিমান
মৃদু বাতাসের মর্মর ধ্বনি থেকে তীব্র তুফান ডাকে।
কারো কারো অভিমান
তপ্ত প্রশ্বাসের মত শুধু আবৃত মুখে উত্তাপ ছড়ায়,
কারো কারো অভিমান
ক্ষণিক বৃষ্টির অবসানে বর্ণিল রঙধনুর দেখা পায়।
সব অভিমান মুখিয়ে থাকে
যেন এক পশলা বৃষ্টির পর সোনালী রোদ আসে,
কারো অভিমান তিরোহিত হয়
হাসির ঝিলিকে, আবার কারোটা রোদনে ভাসে।
ঢাকা
২৬ এপ্রিল ২০১৫
স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
:boss: :boss: :boss:
ধন্যবাদ নুপূর।
অভিমান খুবই গোলমেলে এক মানসিক অবস্থা- এটার কোন যুৎসই ইংরেজী প্রতিশব্দ পাইনি। অভিমানের বহুমাত্রিকতা কবিতায় সুন্দর ভাবে উঠে এসেছে, কবিকে অভিনন্দন।
তোমার বিশ্লেষণ এর সাথে একমত, মাহবুব।
আর উদার প্রশংসায় প্রীত হ'লাম।
"অভিমান" এর ইংরেজী প্রতিশব্দ তো দূরের কথা, কোন বাংলা প্রতিশব্দও খুঁজে পাইনি আজ পর্যন্ত। আরেকটা শব্দ আছে, "পরশ্রীকাতর"। ওটারও সঠিক কোন ইংরেজী প্রতিশব্দ অভিধানে খুঁজে পাওয়া যায় না, তবে ইনিয়ে বিনিয়ে বোঝানো যায়। আর 'অভিমান' এর মানে ইনিয়ে বিনিয়েও বোঝানো যায় না। কেউ মানে না জানলে তাকে বোঝানো দুষ্কর।
এ দুটো শব্দ মনে হয় শুধু বাঙালীদেরই একচ্ছত্র অধিকার। বাঙালী (ললনাদের) অলঙ্কারও বলা যেতে পারে হয়তোবা।।
খুবই সুন্দর, মন কাড়া
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
অনেক ধন্যবাদ, সাইদুল।
এক পশলা বৃষ্টির মতো অভিমান আসে ।
সহসা সোনালী রোদে অনাবিল হাসে ।
🙂
বাহ! চমৎকার বলেছো লুৎফুল।
ধন্যবাদ। খায়রুল ভাই।
হঠাৎ সবাই অভিমান জ্বরে আক্রান্ত হলেন নাকিগো, সিসিবিয়ান ভাইয়ারা? আমেরিকানরা অভিমানের ধার ধারেন না, অতো সময় কই তাদের, বলুন? তাই অভিমানের প্রতি শব্দ নেই বলেই মনে হয়। এখানে সবার রাগ হয়, ক্ষোভ হয়, অপমানিত বোধ হয়, মুখ কালো হয়, পিঠ ফিরে শোওয়া হয়, কথার জবাবে মুখের প্রায় কাছে মুখ এনে চেঁচিয়ে কথা হয় কিন্তু মধুর অভিমান হয়না।
বরাবরের মত চমৎকার লেখা, ভাইয়া!
"মধুর অভিমান" তো মনে হয় শুধুমাত্র বাঙালী ললনাদেরই একচ্ছত্র অধিকার বলে মনে হয়। এটাকে তাদের একটা বিচিত্র অলঙ্কারও বলা যেতে পারে। তবে, পুরুষরাও বা কম কিসে?
কবিতার প্রশংসায় প্রীত ও অনুপ্রাণিত হ'লাম। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, সাবিনা।
বাঙ্গালি হয়ে যারা অভিমান বোঝে না, তাঁদের কপালে খারাবি থাকে।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে এই বান্দা অভিমান নামক জিনিসটা একে বারেই বুঝে না।
এই জন্য জীবনে অনেক পস্তাতে হয়েছে।
মনে হয় আরও হবে।
যারা মান-অভিমান বোঝে ও সেটা হ্যান্ডেল করতে পারে, তাঁদের আমার বেশ ঈর্সা হয়।
ক্যান যে বুঝি না?
আর পরে সব কিছু মেস-আপ করে শেষ করে দিয়ে ভাবি, "ও, ওটা অভিমান ছিল বুঝি নাই ক্যান???"
যাক, দুঃখ করে আর কি হবে?
কপালের নাম গোপাল। ফেলে তো দিতে পারবো না। তাই না?
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
অভিমান বুঝেও তার প্রতিকার না করলে অভিমানকারীর গোস্বা বেড়ে যায়। কিন্তু অভিমানটা একেবারে বুঝতেই না পারলে সে সুনামির মত ফুলে ফেঁপে উঠতে থাকে। আঘাত দিয়ে বোঝানোর অপেক্ষায় থাকে। সুতরাং, এ যাবত বেঁচে গেলেও, এখন থেকে সাবধান হয়ে যাও পারভেজ। অভিমান এর রকম প্রকারের খোঁজ খবর নিতে শুরু করে দাও।
বয়স তো পঞ্চাশ হতে চললো।
আর কবে যে শিখবো?
তবুও, বললেন যখন, উপদেশটা দস্যু বাহারামের মত "মনের মধ্যে গাথিয়া রাখিলাম"
এবং "আর একটি বার চেষ্টা করিয়া দেখিবার জন্য পণ করিলাম..."
প্লীজ ইউশ মি লাক... 😛 😛 😛 (সম্পাদিত)
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.