দুটি ব্যাকুল হৃদয়ের মাঝ দিয়ে
যখন ভালবাসার কোন নদী প্রবাহিত হয়,
দেবতারাও তখন কান পেতে শোনে,
নৈঃশব্দের মাঝে বলা তাদের সকল কথা।
প্রেমিক যুগল যখন হাতে হাত রেখে
ভালবাসার নদীতীরে এক লয়ে পথ চলে,
নদীর কুলুধ্বনি তখন থেমে যায়, কারণ
নদীও তখন শোনে নৈঃশব্দের কথা বলা।
অন্ধকার অরণ্যেও যদি প্রেমাকুল দুটি হৃদয়
একান্তে বসে চুপিসারে বলে কিছু হৃদয়ের কথা,
দূর দূরান্তে তখন ভেসে যায় তাদের কথাগুলো,
নিশাচর পাখি আর প্রাণীরা শোনে সেসব কথা।
জ্যোৎস্নালোকে পথ চলতে চলতে প্রেমিক দম্পতি
যখন অবলীলায় বলে যায় তাদের গোপন কথা,
ঝিঁঝিঁ পোকারাও থেমে তখন স্তব্ধ হয়ে শোনে,
নৈঃশব্দের মাঝে বলা তাদের প্রণয়ের কথামালা।
ঢাকা
২৭ এপ্রিল ২০১৫
স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
মুগ্ধ হয়ে গেলাম, চমতকার
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
সাদামাটাভাবে ব্যক্ত সাদাকালো ছবির মত কাহিনী, তবুও চমৎকার? অনেক ধন্যবাদ সাইদুল!
:boss: :boss: :boss:
স্বপ্ন স্বপ্ন লাগলো!!!
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
হ্যাঁ পারভেজ, অনেকটা স্বপ্নাবিষ্ট হয়েই লেখা এ কবিতাটা। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
🙂 🙂 🙂 🙂
এটি নিশ্চয়ই আপনাদের সময়কার কথা ও কবিতা, ভাইয়া! সাদা কালো মুভির মত তখন জীবনটাও সাদা কালো ছিল তখন। আধুনিক মানুষ বদলে গেছে। অধিক ব্যবহারে প্রেম এখন বড় বাজারী শব্দ হয়ে গেছে বলেই প্রতীয়মান হয়! মুড়ি মুড়কির মত লোকজন প্রেমের ঘোষণা দিচ্ছে আজ তো কালই পড়তে হবে তাদের ব্রেকআপের কাহানী! ওভারওয়ার্কড প্রেমের দেবতাগণ এখন অবসরে গেছেন, ঝিঁঝিঁ পোকারাও আর স্তব্ধ হয় টয় না...
তোমার এ মন্তব্যের উত্তরটা কেমন করে যেন নীচে চলে গেলো! হ্যাঁ ভাবনাটাও নিছক সাদাকালো।
আমিতো সেই সাদা কালো এরার মানুষ, ভাইয়া। এই জীবনে আধুনিক রঙ্গিলা মানুষ আর হতে পারলাম কই, বলুন।
আজ দেশ থেকে আমার বন্ধু তাপসী 'মনের রঙে রাঙাবো' গানটির লিঙ্ক পাঠিয়েছিলেন। সাগর পাড়ে দাঁড়িয়ে ছবি আঁকতে আঁকতে কবরী গাইছিলেন গানটি। গানের সুরে কোথা থেকে যেন হাজির হলেন নায়ক। ডোরা কাটা ম্যাচিং শার্ট প্যান্ট পরা নায়ক আড়ালে দাঁড়িয়ে অপার মুগ্ধতায় গান শুনছেন...
কী যে চমৎকার গানের সুর আর কথা, সেই সাথে কী মিষ্টি যে কবরীর হাসি আর সারল্য! এখন রঙিন মানুষ মেলে সহজেই কিন্তু সাদা মনের সেই শুদ্ধতা ক'জনের আছে, ভাইয়া??
শেষঅংশটুকু :awesome: :boss:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
থ্যাঙ্কস, মোস্তাফিজ!
"ওভারওয়ার্কড প্রেমের দেবতাগণ এখন অবসরে গেছেন, ঝিঁঝিঁ পোকারাও আর স্তব্ধ হয় টয় না..." - আগেই বলেছি, "অনেকটা স্বপ্নাবিষ্ট হয়েই লেখা এ কবিতাটা"। স্বপ্নভঙ্গ হতে আর কতক্ষণই বা লাগে?
এ কবিতাটা একদিন পাঠ করার অনুমতি চেয়ে রাখলাম খায়রুল ভাই।
মুগ্ধতা জানবেন।
নুপূর, তুমি পাঠ করলে সেটা তো কবিতার একটা অলংকারই হয়ে থাকবে। অবশ্যই তুমি তা যে কোন সময় করতে পারো।
আচ্ছা, তবে কেনো ওরা (দেবতা, নদী, নিশাচর প্রানী, ঝিঁঝিঁ) চুপ হয়ে ওদের কথা শোনে?
কারন বোধহয় মানুষই প্রেম নামের এই চরম ইররেশনাল জিনিস নিয়ে জীবনপাত করে!
কি জানি! হতে পারে।
দেবতারাও কান পেতে শোনে ...
নিশাচর পাখী আর প্রাণীরা ...
ঝিঁ ঝিঁ পোকারাও ...
জ্যোৎস্নালোকে বোনে যখন ওরা সখ্যতার কথকতা ...
অপূর্ব !
ধন্যবাদ লুৎফুল, উদ্ধৃত অংশগুলো তোমার ভালো লেগেছে জেনে খুশী হ'লাম।
ভাল লেগেছে।
একরাশ মুগ্ধতা।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ধন্যবাদ, রাজীব। কবিতাটা তোমার ভালো লেগেছে জেনে খুশী হ'লাম।