বলতেই হবে,সুখে আছি,
গুঁজে আছি মাথা বেশ,
রাজা হল কে? ধুর মশাই,
ভাববো কেন অতশত?
ভাববার আছে, আরও যে ঢের!
কাজের ছেলে রেখেছি একটা,
বাজার করে সেই,
যেমন রেখেছি নেতা-পাতিনেতা,
চিন্তা করুক সেই।
বরং আমি মজে থাকি নিজে,
দেয়াল একটা তুলে।
বলতেই হবে, এই বেশ আছি,
সুখে আছি, এইতো বেশ ।।
সুপ্রভাত, অতঃপর…
আলোর ক্ষণ টুকু আলোময় হয়েই থাকুক-
নাই বা করলে আড়াল কলঙ্কের নীচতায়!
সূর্য আমাদের মরে গেছে বহুকাল আগে।
সকালগুলোকে তুলে রেখেছি সিন্দুকে ভরে-
অস্থিরতার মধ্যাহ্ন-
আলিঙ্গণের তীব্র নেশায় শেষবেলায় ছুটে যাওয়া-
সব-
তোমার আলমারিতে পুরনো ডাইরির পাতায়-
আয়নায় রাখা আমার সবুজ টিপে-
ব্রাশ হোল্ডারে-
চাবির রিঙে-
আর,
গা এলিয়ে বিছানায় পড়ে থাকা তোমার পাশবালিশটাতে-
তন্ন তন্ন করে এতটুকু অধিকার খোঁজা।
শেষ ক’টি মুহূর্তের অভিজিৎ
ধুয়ে মুছে তৈরি হয়েছে তলোয়ার
সেজেগুজে গুঁজে গেছে কোমরে —
চারপায়ে তখন খুরের ধ্বনি,
মোবাইল বেজে উঠেছে
দিক আর নির্দেশ নিয়ে;
কীবোর্ডে অগুনতি ফলোয়ার
চাপাতি-কোপ দেবার জন্যে
নিয়ে নিচ্ছে দম
কেবল বইমেলার ধুলো পেয়েছিল টের
সেকেন্ড আগে ঢের
ওদের পা জড়িয়ে ছিল
ইনিয়ে বিনিয়ে
চেয়েছিল
আরেকটু দেরি হোক
কুশলাদি আর অটোগ্রাফ চেয়ে
আরো আসুক লোক
আরেকটু আটকে থাক
অভিজিৎ আর বন্যা
অথচ ধুলোর চেয়ে বেশি কে জানে
তা তো হবার না
এমন কি বইগুলো সব
পাতায় পাতায় অস্থির খসখস
বারংবার,
ক্যাডেট জীবন নিয়ে বই প্রকাশ সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তি: আলীম হায়দার।
ক্যাডেট কলেজের জীবনে বেড়ে ওঠা শৈশব কৈশোরের আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্না, বিদ্রোহ ও প্রেম নিয়ে দুটি উপন্যাস পাওয়া যাচ্ছে এবারের অমর একুশে বই মেলায়, প্রথম উপন্যাস : রক ক্যাডেট, দ্বিতীয় উপন্যাস: বুড়ো বালকের দল, স্টল নাম্বার ২২০-২২১, জয়তী প্রকাশনী, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। এছাড়া আমার দুটি কবিতার বই (১) চিত্রপট এবং (২) গাঙ গিরি গন্ধবহে পিঙ্গলে পিঙ্গলে, বইদুটিও পাওয়া যাচ্ছে একই স্টলে।
ধন্যবাদ ।
প্রণয়োন্মাদের প্রলাপ-৩
দু’হাতের মুঠোয় হৃদয়খানি ধরে যদি সামনে আসি,
এবারের মত গোলাপ না দিলেও চলবে??
আজ হাত ধরে হাঁটি যদি, মেঘ মিলায় যতদূরে;
কালকে আমার একটু দেরি সইবে তো?
কথা ভুলে গিয়ে যদি বোকার মত হেসে ফেলি,
বুঝে নিও, সে তোমার হাসি দেখে।
সন্ধ্যাবেলায় আমার পাশে থেকো না আর।
নাহয় বিলুপ্ত করে দাও, সকল সোডিয়াম বাতি।
হলদে আলোর মায়া তোমায় ছাড়তে দেয় না।
অনুভব
আঙুলে আলতো ছুঁলে তোমায়
কেন জাগে শিহরণ?
শরীর কি জানে মনের ইতিহাস?
তোমার এঁটো কাপে
ঠোঁট ছোঁয়ালে কেন
শরীর জুড়ে সাইরেন?
মাথার উপরের নীল ছাদে
চাঁদের ঝাড়বাতি ঝুলে আছে
রাতের পর রাত পেরোলো ঘুমহীন,
ভাবনারা জট পাকালো
মন মাকড়সার জালে।
ধুলোময় পথ মাড়িয়ে তোমার
পা দুটো হোক না মলিন
আলোর আবীরে ছুঁয়ে দেব সিঁথি
ভাবনার বুক চিরে
চলুক না সুখের তরী
আজ,
অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫ তে “নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে কাঁদতে নেই “
অনেকদিন পর সি সি বি তে এলাম। সাময়িক ব্যস্ততার কারণে দীর্ঘদিন কোন পোস্ট দিতে পারিনি। সবাইকে আগাম বসন্তের শুভেচ্ছা। ইতিমধ্যে এক ঝাঁক নতুন লেখকদের দেখে বেশ ভালো লাগছে। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫ তে প্রকাশ পেয়েছে আমার প্রথম কবিতাগ্রন্থ ” নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে কাঁদতে নেই”।
সিসিবির কাছে আমার অনেক ঋণ। আমার সেই অপরিপক্ক লেখাগুলো প্রকাশ করার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সিসিবি ছিলো প্রথম মাধ্যম। অনেকেই না না ভাবে সমালোচনা,
বিস্তারিত»তবুও মন ছুটে যায়
তবুও মন ছুটে যায়
————— ড. রমিত আজাদ
আমি জানি, তুমি আর আমার নও,
সেই কবেই হয়েছে বিচ্ছেদ।
তোমাকে বিরক্ত করা মোটেই ঠিক নয়,
এ যে একেবারেই বেহায়াপনা!
নোনাজলে আর্দ্র দগ্ধ হৃদয়,
অবিশ্রান্ত শ্রাবনের উত্তুঙ্গ উৎকন্ঠা
অজস্র ডেনডিলিয়নের বর্ণচ্ছটায় রঙিন হলুদ সবুজ মাঠ,
সতেজ ঘাসের ফাকে ফাকে রৌদ্রের খেলা।
নিঃসঙ্গ বৃত্তে বন্দি স্পৃহা,
বিস্তারিত»পৌষের এক বিকেল
পৌষের এক বিকেল
——————–
সেদিন ছিল পৌষের এক ঝিম মারা বিকেল।
ধান কাটার পরের বিষন্নতাকে সাথী করে,
খড়কুটার নিস্তেজতা উড়ানো বাতাস
ভেসে এসে থমকে দাঁড়ায় আমার আঙিনায়!
এমনই এক বিকেল! যখন
সাদা বকেরা ঝিমায় কেবলি,
স্মৃতিতে ওদের জলভরা বিলের পুরনো সুখস্মৃতি।
গোবরে লেপা উঠান কৃষাণীর চোখের মত
ঝকমকে আলোর চমকে উদ্ভাসিত!
এখানে সেখানে পরে থাকা ধানের ছড়া
ঠুসি পরানো বলদের চোখে জাগায় লোভাতুর চাহনি।
প্রলাপ-১৩
থোকা থোকা বেগুনী সে-অর্কিডফুল
পোর্সেলিনের জল থেকে উন্মুখ
জানলাপ্রান্তে ঝুঁকে দেখে
তুষারের মোলায়েম গান –
দিনভর। অবিরাম।
অথচ জলের নির্বিবাদ কোলে
গাঢ়সবুজ তার পত্রাবলির সাথে
বেগুনী আভার সখ্যতা দেখে
জলার ধার ধরে
কি করে
সারসার জারুলের গাছ
মনে চলে আসে,
সবুজের হাত ধরে।
বরফের কনকনে কামড়
ফালাফালা করে দেবার আগে
নিমেষ জুড়ে
বাংলাদেশ।
শাহবাগ
মাঝে মধ্যে অবাক হইয়া ভাবি শাহবাগ যেন জোঁকের মুখে নুন হইয়া গেছে!
প্রায় তো দুই বছর হইতে চললো। তেরো সালের ফেব্রুয়ারি থেকে-
এখন অব্দি কম তো গালি খায় নাই শাহবাগ। নিরীহ মাসুম চৌরাস্তার মোড়টারে
কী পরিমাণ এবিউজের শিকার হইতে হইলো – ভাবলেই মায়া লাগে।
কে না তারে গালি দিছে! কাদের মোল্লার পুত্র থেকে গোলামাজমের পুত্র,
লন্ডনের বড়ো গণতন্ত্র থেকে ব্যারনেস ভার্সি,
বরিশাল ক্যাডেট কলেজ রিউনিয়ন ২০১৫
ভাইয়েরা, অতি উৎসাহী হয়ে কয়েকটা লাইন লিখে ফেললাম…ভুলত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন, আমি কোন বড় লেখক/ কবি নই…ঃ)
(প্রতিটি লাইনের প্রথম অক্ষর মিলায় আমার কলেজের নাম হয়!)
***********************************************************
ব রিশালের বৃষ্টি মাখা, স্নিগ্ধ দিনের ভাঁজে
রি ণিঝিনি হাওয়ার তালে, মাতাল মাদল বাজে।
শা ন্তি আজি তারই মাঝে, খুঁজছে কোলাহল
ল ক্ষ্য পানে আসছে ছুটে বাঁধন ছেড়ার দল!
বিস্তারিত»
অবশেষে স্নিগ্ধ সকাল
অবশেষে স্নিগ্ধ সকাল
——————– ড. রমিত আজাদ
অবশেষে স্নিগ্ধ সকাল নিয়ে আসে মৃদু মোলায়েম রোদ,
নিটোল পাহাড়ী ঝর্ণার কোমল নিস্বন গভীর অন্তস্রোতে।
অবশেষে স্নিগ্ধ সকাল মুছে ফেলে শীতল নিরুত্তাপ রাত,
নির্মেঘ অন্তরীক্ষে সূর্যকরোজ্জ্বল চুনূরি দু্যতির ক্রীড়া।
এখানে প্রিপাত্রী উৎসবে বন্য-আহলাদ বসন্তের অরণ্যে,
এখানে সজীব বৃক্ষপত্রে বিহ্বল সমীরণ নিরত বিভোর।
এখানে বিশৃংখল উর্বীরূহ তান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণে দুর্বোধ ত্তলটান।
আত্মজৈবনিক
এবং কয়েক যুগ পেরিয়ে গেলে খেয়াল হলো যে কবিতা লিখি না
মাথার ভেতর এই খেয়াল মাটিতে পড়ার আগেই আমি দুই ভাগ হয়ে
তর্কে নামলাম। এক ভাগ বলে ওঠে হয়তো আপ্নে কখনই
কবিতা লিখতে পারতেন না। শুনে অন্য ভাগ তেড়ে আসে,
বেশি বুঝেন ইচ্ছা হয় না তাই লিখি না নাহলে দেখিয়ে দিতাম।
আমি দুই ভাগের তর্ক শুনি, কমলার জুস খাই
জুস বেশ তেতো লাগলে ভাবি একটু চিনি মেশালে মন্দ হতো না।
পিতৃ ভুমির দায়বদ্ধতা,,, মাতৃ ভাষার অমর কবিতা,,,,,,,,,,,
পিতৃ ভুমির দায়বদ্ধতা,,,
মাতৃ ভাষার অমর কবিতা,,,,,,,,,,,
আমার একটা দুঃখ আছে সুখের প্রলেপ দেয়া,
সেই সুখেতেই কান্না আছে যত্ন করে পাওয়া।
সুখ দুঃখের আস্তাবলে কষ্ট লাগাম টানে,
বেদনা বিলাসে শান্তি বলো পেলাম কেমন করে?
পিতৃ ভুমির দায়বদ্ধতা,,,
মাতৃ ভাষার অমর কবিতা,,,,,,,,,,,
রাত্রিটাকে খুব ভালবাসি প্রখর সূযর্্য তাপে,
অমাবস্যায় অনেক কালো চাঁদনীর অনুতাপে।
ভুল করে যত জাগতিক ভুল স্বপ্নের কান্ডারী,