ভালোবাসার গান

হাইসা হাইসা আইসা তুমি আমার ভাঙ্গা নায়ে,
বইলা পাশে হাইসা হাইসা কুনুদিক না তাকায়ে।
ভাইবা আকুল তার লাইগ্যা কি দিবাম তোমারে,
আসমান পানে চাইয়া রইলাম, ডাকলাম আল্লারে,
আল্লাহ কইলো দিয়া দিতে আমার কইলজাডারে!

নায়ের তলায় ফুডা একটা ছিল বডডো মস্ত,
তুমি আইসা নায়ে বইসা দিয়া তোমার হস্ত,
চাইপা ধরলা ফুডাটারে শাড়ীর আঁচল দিয়া,
মুক্তমনে বাইলাম আমি বাউল গান গাইয়া।

বিস্তারিত»

তোমার কথা

তোমার কথা মাঝে মাঝে মনে হয়,

সেই যে অনেক দূর হেটে গিয়ে ফিরে এলে
কিংবা হলদে পাখির পালক ঝরানো দেখলে অপলক
জানলেও না হয়ত আমি ভালসতাম
অন্য কিছু
হতে পারে তোমার চোখের কাজল…………

এটা ফেবুতে আগে পোস্টেড

বিস্তারিত»

অজুহাত

বড্ড রাগ হয় আমার,
বারেবারেই ; আচমকা নয় ।
আর কেন হবেনা ?
এত নিষেধ করি, এত বারণ,
কিন্তু কে শোনে কার কথা ?
যখন ইচ্ছে আসা , যখন ইচ্ছে যাওয়া,
যখন ইচ্ছে আমার সাথে লুকোচুরি খেলা ।
আর শাসন করার পালা আসলেই –
দু’গাল ফুলিয়ে রাজ্যের মায়া নিয়ে অপলক চেয়ে থাকা।
সে দৃষ্টি বড় বাজে –

বিস্তারিত»

মা-মাটি-মানুষ

মা মাটি সতী সাবিত্রী

তোমার ভালোবাসায় গড়ি ধারয়িত্রী

মানুষ হয়েছে হিমালয় জয়ে জয়ন্তী।

বিস্তারিত»

৭১-এ না লেখা চিঠি

কইছিলা, বেলা ডুবনের সময় আমারে দেখা দিবা,

রাঙ্গা নদীর পাড়ে, কলসী নিয়া ছিলাম আমি সেদিন।

তোমার নায়ের আশায়;

তারপরের দিন, তারও পরের দিন।

তুমি আসো নাই।

বিস্তারিত»

ছেলে বেলার মা-মাটি

গ্রীস্মের খরদুপুরে মহানন্দায় শীতলতা গ্রহণ,
আগুনরাঙ্গা কৃষ্ণচুড়া ফুল আহরণ,
আমার ছেলে বেলার মা-মাটির বন্ধন।

বর্ষার বর্ষণ মুখর উঠানের সেই আনন্দ ক্ষণ,
শ্রাবনে পরিপূর্ণ জল ধারায় বর্ষা বরন,
আমার ছেলে বেলার মা-মাটির বন্ধন।

শরতে আকাশ জুড়ে মেঘের নীলাবরণ,
মাটিতে ধবল কাশফুলের ছোয়া লাগে নিদারুন,
আমার ছেলে বেলার মা-মাটির বন্ধন।

হেমন্তের শিশির ছড়ানো ধানক্ষেতে পদচারণ,

বিস্তারিত»

অস্থির

মনে করে এলেই যখন, একটু বসো, একটুখানি।
এসেই কেন চাইছো যেতে, একটু বসো, গল্প শুনি।
আসতে কি খুব কষ্ট হলো? নাকে কেন ঘাম জমেছে?
উড়ছে যে চুল কিছু কিছু, আর কিছুটা লেপ্টে গেছে।

একটু বসো, একটু বসো, থামাও তোমার ছটফটানি,
একটু তোমার একটু আমার, কথা শুনি একটুখানি।
মলিন মুখে হাসি মেখে, আসলে যে তাও, খুশী হ’লাম।
এটাই হবে শেষ দেখা যে,

বিস্তারিত»

স্বল্পায়ু কবি রবার্ট লুই স্টিভেনসন, তার একটি কবিতা ও আমার অনুবাদ

আমাদের সময়ে রবার্ট লুই স্টিভেনসন এর From a Railway Carriage কবিতাটি মাধ্যমিক স্কুলের সিলেবাসে পাঠ্য ছিলো। তাই এ কবিতাটি প্রথম সম্ভবতঃ দশম শ্রেণীতে থাকাকালীন পড়েছিলাম। কবিতার ছন্দময়তা, গতিময়তা আর দৃশ্যমান বর্ণনাময়তায় তখনই মুগ্ধ হয়েছিলাম। এখনও যতবার পড়ি, ততবারই মুগ্ধ হই। তখন পুরো কবিতাটি মুখস্থ ছিলো, প্রথম আট পংক্তি এখনো আছে। তার মূল ইংরেজী কবিতাটি ও আমার বাংলা অনুবাদ, দুটোই এখানে দিলামঃ

From a Railway Carriage

Faster than fairies,

বিস্তারিত»

ভালবাসার ঋতু

শুভ্র কাশফুল ছড়ানো, কোমল ঘাসের চাদরে জড়ানো
কোন এক শরতের বিকেলে-
যখন আকাশে উড়ছিল এক পাল সাদা বক আর
দক্ষিনা বাতাস গাইছিল মিলনের গান
তেমনি এক সাদা মেঘে নীল আকাশ ছেয়ে যাওয়া ক্ষনে
তোমায় দেখেছিলাম।

শীতের কোন এক সকালে;
যখন চারদিক ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন-
যখন চারদিক খেলা করছিল হিমশীতল বাতাস
আর দিগন্তে উকি দিচ্ছিল সূর্য-
তেমনি এক আবছা ক্ষনে
তোমার রূপে মুগ্ধ হয়েছিলাম।

বিস্তারিত»

বিরহ ব্যথা

যে কোকিল ভালোবাসার গান গায়,
তারও কন্ঠের নীচে কিছু দুঃখ চাপা পড়ে যায়।
উদাস দুপুরে যে ঘুঘু একটানা গেয়ে চলে বিরহের গান,
তার বিরহে কাতর হয়ে উঠে আরও কত বিরহীর প্রাণ!

তমসা নদীতীরে যে মিথুনরত হংস ঝরে যায় ব্যাধের তিরে,
কি ব্যাকুল কান্নায় ফিরে পেতে চায় হংসী তার স্তব্ধ সঙ্গীরে,
হর্ষোৎফুল্ল রমন নিমেষে পরিণত হয়ে যায় শোকের বিলাপে,

বিস্তারিত»

বেঁচে থাকা

নিঃস্পৃহতায় বাঁচতে যেন, কেমন লাগে!
নিয়ম করে ভুলে থাকায়, ক্লান্তি লাগে,
পালিয়ে থাকার বিড়ম্বনায়, খারাপ লাগে
লুকিয়ে ফেলা ভালোবাসায়,কষ্ট বড়!
যেমন কষ্ট অভিমানে, ফিরে দেখায়;
যেমন কষ্ট মুখোশ পরে, পালিয়ে থাকায়,
যেমন কষ্ট আত্মবোধের, জেগে থাকায়,
যেমন কষ্ট সব হারিয়ে, বেঁচে থাকা । ।

বিস্তারিত»

পাঠ-প্রচেষ্টা

বলো,’আসি’
তারাপদ রায়

‘যাই’ বলা নাই। বলো,’আসি’,
বলো, ‘আবার আসমু, দেখা হইবে।’
তুমিও জানো, আমিও জানি এসব বাজে কথা –
এক নদীতে দুইবার ডুব দেওয়া যায় না,
এক ওষ্ঠে দুইবার চুম্বন করা যায় না,
এক বিছানায় দুইবার শয়ন করা যায় না,
এক জন্মে দুইবার দেখা হয় না।

কিন্তু তুমি যদি বলো, ‘যাই’
আমার আর দাঁড়ানোর জায়গা থাকে না।

বিস্তারিত»